বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা বাংলা শুভ নববর্ষ সংখ্যা- ১৪২৮| Upokontha Bengali happy new year issue-1428

  উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা

 

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 15/04/2021, শুক্রবার
               সময় :- রাত 11. 06 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


রাজা দেবরায়  এর দুটি অনুকবিতা
নববর্ষের হর্ষ!
✍✍✍ রাজা দেবরায়

নববর্ষে আনন্দ,
সঙ্গে ছোট্ট আবদার!
মায়ের হাতের রান্না,
একত্রিত পরিবার।



নববর্ষের আশা!
✍✍✍ রাজা দেবরায়

নতুন বছর,
বয়ে আনুক শান্তি।
দূর হয়ে যাক,
আছে যত ক্লান্তি!




‌অন্য যাতনা 

        অরুণ কুমার ঘড়াই 


নিদ্রাহীন ঘুম অবকাশ খোঁজে,

 হারানো আকাশ ।


জানালার ফাঁকে ফেলে আসা

 পৃথিবী 

একলা ঘরে অন্যরকম ,

জোনাকি বাতাস আনমনে মেঘ 

রহস্য তার কর্তব্য ভুলে যায়।


সে এক অসফল একাকিত্ব

পা থেকে মাথা পর্যন্ত মরাচাঁদ 

বেকারত্ব তুমি হেসো না আর !





আবার বৈশাখ
✍✍✍ অনিন্দ্য পাল

আবার একটা বৈশাখ এল, একবুক অচেনা রোদ্দুর 
আবার একটা বৈশাখ এল, একমুঠো কৃষ্ণচূড়া
আবার একটা বৈশাখ এল, একচুমুক ভালোবাসা
আবার একটা বৈশাখ এল, ক্যালেন্ডারে দখিন হাওয়া

আবার এল বাংলা বছর, তাপ-তপনের দহন
আগুন ভেজা মেঘলা-কাদা, আবার গ্রীষ্ম-সহন
রোদ আধুলি বৃষ্টি ফোঁটা, আম-কাঁঠালের আদর
এই গরমেই জন্মেছিলেন কাদম্বরীর দেওর

নীলের বাতি, চড়ক-পুজো চৈতী ঘামের দেশ
ফুটি-ফাটা মাঠের মাটি, ঘাসের পক্ক-কেশ
বর্ষা এখন পরের বাড়ি, মেঘের ডানা ছেঁড়া
বৈশাখী ঝড় ওই দাঁড়িয়ে, টপকে এল বেড়া
ডাকের ঘুড়ি ওড়ে না আর, আগুন ফানুস কই?
বোশেখ তবু গ্রীষ্ম-পুরুষ, প্রেম কবিতার বই,

যাক চলে যাক গতবছর, আসুক নতুন নবীন
সুস্থ সবল বাঁচুক সবাই, মা -বাপ-ভাই-বহিন।








Bengali New Year
© Anjali Denandee, Mom

Bengali New Year.
It comes in every year.
The Earth moves around the Sun.
So, all the years run run and run........
All seasons come.
All months come.
The Nature says, Welcome!
Times move forward to front.
Never be backward.
We turun over the calender pages.
The life is ever new.
And it says,
Very happy new year!
I like to see you.






নববর্ষের চাওয়া
✍✍✍ বিপ্লব গোস্বামী

নতুন বছর আসুক নিয়ে
নতুন আনন্দ উল্লাস,
নিপাত যাক করোনা-ত্রাস
মিটুক ভ‍্যাকসিন তল্লাশ।

নতুন বছর আসুক নিয়ে
এক নতুন সুসংবাদ,
কোভ‍্যাকসিনে হয় যেন ভাই
কালকরোনা বরবাদ।

নতুন বছর আসুক নিয়ে
নতুন আশার আলো,
মিটে যাক আতঙ্ক-ত্রাস
মুছুক আঁধার কালো।

নতুন বছর আসুক নিয়ে
নতুন এক প্রত‍্যয়,
মনের সকল সুপ্ত আশা
সব সত‍্যি যেন হয়।






মন ছুঁয়ে.....
✍✍✍ গোপাল বিশ্বাস

হাত দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
মন দিয়ে ছোঁব
একে একে যোগ করে
তোমাকে আমি করে নেব  l

ফুল দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
প্রেম দিয়ে ছোঁব
ঘরের মানুষ বের হয়ে গেলে
রাত জেগে রব  l

হাত দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
হৃদয় দিয়ে ছোঁব
তোমার ঘরের বদ্ধ দরজা টা
এবার খুলে দেব  l

সুখ দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
দুঃখ দিয়ে ছোঁব
সবিতা কখনোই ডুবে যায় না
আমরাই তো ডুব দিয়ে যাব  l

হাত দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
প্রেম দিয়ে ছোঁব
হৃদয়ের গভীর ডাক এলে
তোমাকে আমি করে নেব  l







নবরূপে_বর্ষবরণ
     ✍✍✍ শান্তি_দাস

ভেদাভেদ ভুলে শুভ নববর্ষে খুশীর জোয়ারে ভেসে,
বছর আসে বছর ঘুরে নববর্ষের আনন্দ থাকুক হৃদয় জুড়ে।
নবরূপে নতুনকে বরণ করে এসো সবাই পুরাতনকে মুছে ফেলে।
নতুন বছর এসেছে ভালো কাটবে তাই মনে আনন্দ খেলে।

গত বছর বিভীষিকাময় সারা বিশ্বে জুড়ে,
কত শত শত মানুষ লড়াইয়ে হেরেছে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে।
পুরাতন বিদায় নতুনকে বরণ কত ব্যথা বেদনা ছিল ঘিরে,
এসেছে  নতুন বছরকরেছি বরণ নতুন রূপে তবুও মনে আসে ফিরে।

সৃষ্টির সৃষ্টি ভিন্ন ভিন্ন রূপ তাতে তবুও নেই কোন বিরাম,
নতুন বর্ষ এসেছে আনন্দ উৎসবে তাতে না রেখে অভিমান।
ভালো মন্দ সব নিয়ে তো মোদের জীবন গড়া,
তাই বলে কি আমাদের সবসময় মন্দকে মনে করা !

গত বছরের এই আতঙ্কের অন্ধকার দূর করে দাও আলো,
পৃথিবীকে সুস্থ স্বাভাবিক ছন্দে সাবলীল রূপে দূর করো মনের কালো।
মনে ভয়ভীতি তবুও নতুনের বরণ করতে কেউ নয় পিছু,
আনন্দ উৎসবে বর্ষররণ অনুষ্ঠান নেই কিছুতেই কম কিছু।

নতুন রূপে এসেছে ব্ছর সবার জীবন হয়ে উঠুক আলোকিত,
নতুনের আহবান আনন্দ উৎসবে সবার মন পুলকিত।
সবার শুধু একটাই আক্ষেপ নতুন স্বাচ্ছন্দ্য আসুক ভোরের জাগরণে,
নতুন বছর যেন সবার আনন্দ কাটে নবরূপে করে এই বর্ষবরণে।








কেউতো এমনভাবে ছাপ রেখে যায়নি
✍✍✍ আমিরুল ইসলাম

আমিও প্রেমে পড়েছিলাম,
আমারও বুকের বামপাশে চিনচিনে
ব্যাথার হঠাৎ টের পেয়েছিলাম।

এর আগেও তো হাত ছুঁয়েছি প্রেমের।
এর আগেও তো প্রেমে পড়েছি -
কুয়াশার ফাঁকে ফাঁকে জোনাকির, শিশির বিন্দুর,
হিমালয়, কাঞ্চনজঙ্ঘা,সিন্ধুর।
এমনভাবে কেউতো কাছে ডাকেনি,
কেউতো এমনভাবে আকড়ে ধরেনি।

এচোখ বর্বাদি দেখতে চাই-
তুমি-বিনা গণজোয়ার পৃথিবীর।
তুমি বিহীন হৃদয় আগুনে পোড়া ছাই।

এর আগেও তো স্বপ্ন দেখেছি,
অগনিত মিথ্যে স্বপ্ন বুকেই দাফন করেছি।
কিছু স্বপ্ন আবার জমে উঠে, মাথা তুলে দাড়ায়-
বুকেই কাঠি মারি..., তাদেরও ভবিষ্যৎ ছাই।
এমনভাবে কেউতো স্বপ্ন দেখায়নি।
কেউতো এমনভাবে ছাপ রেখে যায়নি।
**********সমাপ্ত**********





বিবর্ণ ক্যানভাস
✍✍✍ ডাঃ তারক মজুমদার

সাদা কালোয় দ্বন্ধে বিভোর
উপোশী যত মন
স্বপ্ন যতই খান খান
অটুট থাকবেই  পণ।

জীবন নদীর বাঁকে আজ
কত কী যে ঘটে
স্বচ্ছ পোশাক  কালিমা লিপ্ত
অনেকেই শুধু চটে।

মন যদি হয় আনমনা
বিবর্ণ  ক্যানভাস
অশ্রুসিক্ত নয়নে জোটে
শুধুই উপহাস।






ওদের গ্রামে বাংলা নববর্ষের মেলা
✍✍✍  আব্দুল রাহাজ

চৈত্র মাসের বিদায় এসেছে নতুন সকাল এসেছে একটি নতুন বছর।
পুরানো সব দুঃখ কষ্ট ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে 
শুরু করেছে বাঙালি এক নতুন জীবন।
পলাশপুরের মাঠে প্রতি বছরের মতো বাংলা নববর্ষের সেই মেলা হয়ে আসছে জমজমাট ভাবে
কিন্তু করোনার আবহে ভাটা পড়েছে এবারের মেলা। আট থেকে আশি সবাই আসে মেলায়
গাই গান করে আনন্দ শুরু হয় নতুন জীবন নতুন বর্ষের মধ্য দিয়ে
মেলাটি বাঙালির কাছে এক নতুন চলার পথ শেখায়। নতুনত্বের এই মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি শুরু করে এক অনন্য অধ্যায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে সত্যিই একটি বছর পার বাংলা নববর্ষের একটি সালকে পেরিয়ে বাঙালি আজ পেয়েছে  নতুন বর্ষ নতুন দিন। সব হারিয়ে কোথাও কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল সবাই কিন্তু আবারও নতুনত্বের এক আলোর রশ্মি নিয়ে সামনে উপস্থিত হল আমাদের এই বাংলা নববর্ষ। সুজনদের গ্রামের এই মেলা ওখানকার প্রান্তিক মানুষদের এক আলাদা করে বাঁচতে শেখায় সবকিছু ভুলে। একে একে পুরানো দ্বন্দ্ব ভুলে মিলে যায় এক মহানন্দে এইভাবে সবাই মিলে মেলার মধ্যে দিয়ে নতুন দিন তথা বছরের সূচনা হয় ওদের গ্রামে।








*বৈশাখীর নববর্ষে ঐতিহ্যের বাঙালিয়ানা।*
      ✍✍✍রাজীব কুমার নন্দী

"নতুন বছর নতুন করে তোমায় বরণ করি,
সুখের মাঝে ওঠে যেন সবার জীবন ভরি।"

বাঙালির নতুন বছর মানে নতুন ভাবে পথ চলার আবাহনী।বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন এর মাঝে নববর্ষ বাঙালির হৃদয়ে এক দারুন জায়গা করে নিয়েছে।
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরের প্রথম দিনটি শুরু হয় পয়লা বৈশাখ দিয়ে। গোটা বিশ্ব জুড়ে বাঙালিরা নতুন বছরের এই প্রথম দিনটি বাঙালি সংস্কৃতি ও আচার আচরণের সঙ্গে পালন করেন। এই বছর ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৪ এপ্রিল পালিত হবে পয়লা বৈশাখ।
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, বাংলা নববর্ষ সাধারণত ১৪ বা ১৫ এপ্রিল পড়ে। বাংলা সৌর ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস বৈশাখের প্রথম দিনটিকে নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ বা বৈশাখি নামে ডাকা হয় দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এই বছর ১৪২৮-এ পা দেব আমরা। ১৫ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার পড়েছে ১ লা বৈশাখ। সুতরাং চৈত্র সংক্রান্তি পালিত হবে তার আগের দিন অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল।

পয়লা বৈশাখ থেকে বাঙালি ব্যবসায়ীরা নতুন আর্থিক বছরের সূচনা করেন। নতুন খাতায় ব্যবসার হিসেব রাখা শুরু হয় এদিন থেকে। দোকানে দোকানে পয়লা বৈশাখে তাই লক্ষ্মী-গণেশের পুজো করে ও খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে হালখাতা পালন করা হয়। নতুন বছরে পরস্পকে শুভেচ্ছা জানানো, নতুন পোশাক পরা, খাওয়া দাওয়া, আড্ডা ও মিষ্টিমুখ করে নতুন বছরের প্রথম দিনটি পালন করেন বাঙালিরা। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার অনেক জায়গায় পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে মেলা বসে।

ইতিহাস অনুসারে সপ্তম শতকের বাংলার রাজা শশাংক বাংলা ক্যালেন্ডারের সূচনা করেন। পরবর্তীকালে মোঘল সম্রাট আকবর কর আদায়ের সুবিধের জন্য সৌরবর্ষ অনুসারে তারিখ-ই-ইলাহির প্রণয়ন করেন। শকাব্দে বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস ছিল চৈত্র। পরে তা বদলে বৈশাখ থেকে বছর শুরুর প্রথা শুরু হয়।
বাঙালিদের সবচেয়ে বড় উত্‍সব দুর্গাপুজো হলেও পয়লা বৈশাখের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে আলপনা দিয়ে, পুজো করে এই দিনটি পালিত হয়। শহরেও পয়লা বৈশাখে সেজে ওঠে বড় বড় শপিংমলগুলো। বাংলা গান, বাংলা সাহিত্য, বাঙালির পোশাক, বাঙালির রান্নার মাধ্যমে পয়লা বৈশাখের হাত ধরে নিজস্ব সংস্কৃতির কাছে অন্তত এই এক দিনের জন্য হলেও ফিরে যায় বাঙালি সম্প্রদায়।
উত্তর ও মধ্য ভারতে নতুন বছর বৈশাখী, আসামে রঙ্গালি বিহু, তামিলনাড়ুতে তামিল পুঠান্ডু, কেরালায় বিশু, ওড়িশায় বিশুব সংক্রান্তি এবং পশ্চিমবাংলায় পয়লা বৈশাখ নামে পরিচিত নববর্ষ উৎসব।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসন্ন ,এই করোনা মহামারীর পরবর্তী সময়ে আগেরবারের দুঃখ ভুলতে চাইছে আপামর বাঙালি।তবু সতর্ক ভাবে।
তাই কবির কথায় বলা যায়।
"নতুন দিনে নতুন ভাবে দাও সবারে শিক্ষা।
ভালোবাসার মন্ত্রে যেন সব্বাই পায় দীক্ষা।"

💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫


বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক " শ্রী অরুণ কুমার ঘড়াই" সম্পাদিত প্রথম সূচনা সংখ্যা " শব্দ পাখি "

পড়ুন নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে 


শব্দ পাখি || দ্বি-মাসিক ওয়েব ম্যাগাজিন || বৈশাখী সংখ্যা-১৪২৮ প্রথম সংখ্যা ||


🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈


#উপকণ্ঠ 

#উপকণ্ঠ_সাহিত্য_পত্রিকা

#বাংলা_প্রাত্যহিক_ওয়েব_ম্যাগাজিন




৪টি মন্তব্য: