সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 19/10/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 19/10/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 19/10/2020

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-19/10/2020, সোমবার
               সময় :- সন্ধ্যা 7:25 টা 


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

https://publishers.adsterra.com/referral/qxRrX1u3Zf
**********************************

The World is Sick
             By Sabir Ahmed

            The world is sick,deeply sick!
    People are rudderless,lives are being devoured,
Rampantly blood is being imbibed               
   By  red stings of virus.
      Pain and panic of corona is increasing,
  As snakes shed their skin  for further growth.
                     
       The world is sick, nearly breathless!
            Injured in chill,not fortified yet,
Gasping like bellows for the lack of pure oxygen.
      It's been quavering and suffering
                From low and high fever,
    As the patients of the cancer suffer a lot.

            The world is sick,highly infected!
              Those famines are very old;
           And the notches of epidemic are past.
  The pandemic throughout the world reigns,
       With its feral paws of un-trimmed claws,
         In alleys of towns and cities and villages.

     The world is sick in the mesh of politics !
                                                                 Diplomacy and conspiracy of the rich
        Spread out their ill shadows of wings,
  Over the needy,the illiterate and migrants;
                    Deprived of square meal
                          One-third of a day.

                      You are cursed,2020 !
       Yawn for the annexation of human race.
    Masses are worried and frown in despair.
        Forthcoming annals will recall you.
   2020 ! never come in disguise of another years,
       For the world is sick ,deeply sick!
                                                                                         
                                                                                                                                      



Why dear, now
       Mom

Delhi, my city is sleeping now.
And you are calling me now.
Why?
My dear sky!
At every midnight
You call me and I open my sleepy eyes.
I arise
Open my close door,
And come out for you.
I can not realize
That why you call me at every night.
But I adore you.
Yes, i adore.
I look at your endless beauty from very far.
I love your stars
And their smiles of light.
My mind is blowing with speechless gladness.
Though you call me at my sleeping time
Yet I like your this madness.
My heart beats recite love's rhythmic rhymes
And it reach to you, yes.
You hear it, hear hear and hear....
With joy of tears.
Hey, you, the night sky, my dear!
I invite you, yes,
Please, come near!




মহিয়সী মাতঙ্গিনী
         ডঃ রমলা মুখার্জী

বাঙালির গর্ব আলিনানের বীরঙ্গনা মাতঙ্গিনী
তমলুকের এই বাঙালী নেত্রী শক্তি-স্বরূপিনী।

মেদিনীপুরের মাতঙ্গিনীর ছিল না স্কুলের শিক্ষা-
মাতঙ্গিনী হাজরা নিয়েছিলেন অহিংসার দীক্ষা।

লবণ আইন অমান্য করায় হলেন কারারুদ্ধ-
প্রতিটি নারী এই মহিতী প্রাণে হই একটু উদ্বুদ্ধ।

কারামুক্ত দেশ-সেবিকার যোগ জাতীয় কংগ্রেসে-
গান্ধীবুড়ি চরকাতে সুতা কাটেন অক্লেশে।

শ্রীরামপুরে সম্মেলনে খেলেন লাঠির বাড়ি-
নিঃস্বার্থ সেবা যখন গ্রামে বসন্ত মহামারী।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনে সারা মেদিনীপুর তোলপাড়-
মাতঙ্গিনীর নেতৃত্বে তমলুকে বিপ্লবীরা জোরদার।

থানা, আদালত দখল করতে বিপ্লবীরা এগিয়ে চলে-
পুলিশের সাথে বিরাট সংঘর্ষ তারই ফলে।

“বন্দেমাতরম” ধ্বনিতে পতাকা হস্তে সম্মুখে অগ্রণী-
তিয়াত্তরের অকুতোভয় বীরঙ্গনা মাতঙ্গিনী।

একটি হাতে লাগল গুলি, পতাকা অপর হাতে,
তবু তিনি লড়ে গেলেন ব্রিটিশ শক্তির সাথে।

অবশেষে একটি গুলি লাগল বুকে তাঁর-
শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়লেন, মানলেন না তো হার।

বীরোচিত এই আত্মত্যাগে আন্দোলন রণতুঙ্গে,
অমূল্য জীবনদানে তুমুল আলোড়ন বঙ্গে।

দেশমাতৃকার শৃঙ্খলমোচনে এই মহতী জীবনদান-
ভারতবাসীর মনের ঘরে চির-অম্লান, অনির্বাণ।






বিশেষ ধারাবাহিক প্রবন্ধ :
কবিতার রূপকল্প : পর্ব :  ২৭

|| বাংলা কবিতা আন্দোলন  ||

              সৌম্য ঘোষ

                  বাংলা কবিতার ইতিহাস ভালোভাবে জানতে গেলে, এই সময়ের কয়েকটি কবিতা আন্দোলনের কথা জানা দরকার । এমনই দুটি উল্লেখযোগ্য আন্দোলন -------  হাংরি আন্দোলন ,  শ্রুতি আন্দোলন এবং নকশালপন্থী কবিতা আন্দোলন  । এই আন্দোলনগুলি নিতান্ত কবিতা সম্পর্কিত আন্দোলন। প্রথমে আসবো 'হাংরি আন্দোলন'কে কেন্দ্র করে ।

                     হাংরি আন্দোলন
                """""""""""""""""""""""""""""""
                    হাংরি আন্দোলনের দূরবর্তী গুরু বলা যায় মার্কিন বিটবংশীয় কবি অ্যালেন গিন্সবার্গকে । আরো দূরবর্তী প্রেরণার কথা ভাবলে, অন্তত আঙ্গিকের দিক থেকে সুরিয়ালিস্টরা ।

                      আলেকজান্ডার পোপ, জোনাথোন সুইফট এর চিরায়ত আদর্শ, বিদ্রুপ এবং সংশয়বাদকে আশ্রয় করে “দ্য অগাস্তান” আন্দোলন করলেন ১৮ শতকে। ১৯ শতকে যুক্তি, বিজ্ঞান সব ফেলে আবেগ আর কল্পনাকে আশ্রয় করে ভিক্টর হুগো, ক্যামিলো ক্যাস্তেলো “অবাধ কল্পনাপ্রবণতা”য় বেঁধে ধরলেন সাহিত্য কে। এরপর Dark Romanticism, Realism আরও কত কি..!!
                            বাংলা সাহিত্যেও এরকম দুটি আন্দোলন হয়েছিল। যার একটি ১৯৬১-১৯৬৫ তে আর একটি ১৯৬৯ এ। ১৯৬১-১৯৬৫ এর এই আন্দোলনটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম আন্দোলন। বাঁধ ভাঙার আওআজ তুলে ইশতেহার প্রকাশের মাধ্যমে বাংলা শিল্প ও সাহিত্যের যে একমাত্র আন্দোলন হয়েছে, তার নাম হাংরি মুভমেন্ট বা ক্ষুধার্ত আন্দোলন । আর্তি বা কাতরতা শব্দগুলো মতাদশর্টিকে সঠিক তুলে ধরতে পারবে না বলে, আন্দোলনকারীরা শেষমেষ এই হাংরি শব্দটি গ্রহণ করেন । উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষে্র ঔপনিবেশিক সাহিত্যকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিয়ে নিজেদের স্বত্ত্বার বহিঃপ্রকাশই ছিল এই আন্দোলন এর আপাত অভিপ্রায়। ১৯৬১ সালের নভেম্বরে পাটনা শহর থেকে একটি ইশতেহার প্রকাশের মাধ্যমে হাংরি আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিলেন। মলয় রায় চৌধুরী এই বিখ্যাত সাহিত্য আন্দলেনের মূল পথিকৃৎ।  ছিলেন কবির দাদা সমীর রায় চৌধুরী, আন্দোলনের সম্পাদনায় ও বিতরণে ছিলেন কবি দেবী রায় এবং নেতৃত্বে ছিলেন কবি শক্তি চট্রোপাধ্যায়।
১৯৬১ সাল দেশভাগের ফলে পশ্চিমবঙ্গ এই ভয়ংকর অবসানের মুখে সাহিত্য, ওদিকে আবার পচে গলে পড়ে যাচ্ছে উন্নত ভারত বর্ষের স্বপ্ন। কবি মলয় রায় নিজে বলেছিলেন, “স্বদেশী আন্দোলনের সময় জাতিয়তাবাদী নেতারা যে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা টকে গিয়ে পঁচতে শুরু করেছে উত্তর ঔপনিবেশিক কালখণ্ডে ”।
তিনি Oswald Spengler এর লেখা "The Decline of the West" বইটির মূল বক্তব্য থেকে এই আন্দোলনের দর্শন গড়ে তুলেছিলেন | Oswald Spengler এই বইটিতে বলেছিলেন, কোনো সংস্কৃতির ইতিহাস কেবল একটি সরল রেখা বরাবর যায় না, তা একযোগে বিভিন্ন দিকে প্রসারিত হয় ; তা হল জৈবপ্রক্রিয়া, এবং সেকারণে নানা অংশের কার কোন দিকে বাঁকবদল ঘটবে তা আগাম বলা যায় না| যখন কেবল নিজের সৃজনক্ষমতার উপর নির্ভর করে তখন সংস্কৃতিটি নিজেকে বিকশিত ও সমৃদ্ধ করতে থাকে, তার নিত্যনতুন স্ফূরণ ও প্রসারণ ঘটতে থাকে | কিন্তু একটি সংস্কৃতির অবসান সেই সময় আরম্ভ হয় যখন তার নিজের সৃজনক্ষমতা ফুরিয়ে গিয়ে তা বাইরে থেকে যা পায় তাই আত্মসাৎ করতে থাকে, খেতে থাকে, তার ক্ষুধা তৃপ্তিহীন | তাঁর মনে হয়েছিল যে দেশভাগের ফলে পশ্চিমবঙ্গ ভয়ংকর অবসানের মুখে পড়েছে, এবং উনিশ শতকের মনীষীদের পর্যায়ের বাঙালীর আবির্ভাব আর সম্ভব নয় |
তাঁর মনে হয়েছিল যে কিছুটা হলেও এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো দরকার,আওয়াজ তোলা দরকার, আন্দোলন প্রয়োজন। অর্থাৎ দেশভাগোত্তর বাঙালির কালখণ্ডটিকে কবিগণ হাংরিরূপে চিহ্ণিত করতে চাইলেন।হাংরি আন্দোলনকারীরা শব্দটি আহরণ করেছিলেন ইংরেজি ভাষার কবি Geoffrey Chaucer এর In Swore Hungry Time বাক্যটি থেকে।

                     আর সেই ভাবনা থেকেই কবি মলয় রায় তাঁর দাদা সমীর রায়, দুই বন্ধু দেবী রায় এবং শক্তি চট্টোপাধ্যায় এর সাথে ধারনাটি ব্যাখ্যা করেন এবং হাংরি আন্দোলনের প্রস্তাবনা দেন পড়ে তাদের এবং অন্যান্য তরুণ লেখক কবি শিল্পীদের নিয়ে এই আন্দোলন শুরু করেন | নভেম্বর ১৯৬১ সালে প্রথম হাংরি বুলেটিন প্রকাশিত করা হয় পাটনা থেকে এবং সেখানে বাংলা ছাপাবার প্রেস না পাওয়ায় বুলেটিনটি প্রকাশিত করা হয় ইংরেজীতে | অতি স্বল্প কালের মধ্যেই হিন্দী ও নেপালী ভাষাতেও এই আন্দোলন ছড়িয়েছিল। ১৯৬২-৬৩ সালে আন্দোলনে মিশে যান বিনয় মজুমদার, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, উৎপলকুমার বসু, সুবিমল বসাক, ত্রিদিব মিত্র, ফালগুনী রায়, আলো মিত্র, রবীন্দ্র গুহ, সুভাষ ঘোষ, প্রদীপ চৌধুরী, সুবো আচার্য, অরুপরতন বসু, বাসুদেব দাশগুপ্ত, সতীন্দ্র ভৌমিক, শৈলেশ্বর ঘোষ, হরনাথ ঘোষ, নীহার গুহ, অজিতকুমার ভৌমিক, অশোক চট্টোপাধ্যায়, অমৃততনয় গুপ্ত, ভানু চট্টোপাধ্যায়, শংকর সেন, যোগেশ পাণ্ডা, মনোহর দাশ, তপন দাশ, শম্ভু রক্ষিত, মিহির পাল, রবীন্দ্র গুহ, সুকুমার মিত্র, দেবাশিষ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ । অনিল করঞ্জাই এবং করুণানিধান নামের দুজন চিত্রকরও ছিলেন এই আন্দোলনে ।

হাংরি আন্দোলনকারিরা প্রধানতঃ একপৃষ্ঠার বুলেটিন প্রকাশ করতেন । এক পাতার বুলেটিনে তঁরা কবিতা, রাজনীতি, ধর্ম, অশ্লীলতা, জীবন, ছোটগল্প, নাটক, উদ্দেশ্য, দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে ইশতাহার লেখা ছাড়াও, কবিতা, গদ্য, অনুগল্প, স্কেচ ইত্যাদি প্রকাশ করেছিলেন । বুলেটিনগুলো হ্যান্ডবিলের মতন কলকাতার কলেজ স্ট্রিট কফি হাউস, পত্রিকা দপ্তর, কলেজগুলোর বাংলা বিভাগ ও লাইব্রেরি ইত্যাদিতে তাঁরা বিতরন করতেন । হাংরি আন্দোলনের কথা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার এইটি-ই প্রধান কারণ বলে মনে করেন গবেষকরা ।
১৯৬৩-৬৫ সালের মাঝে হাংরি আন্দোলনকারীরা কয়েকটি পত্রিকাও প্রকাশ করেছিলেন । সেগুলো হল, সুবিমল বসাক সম্পাদিত প্রতিদ্বন্দ্বী, ত্রিদিব মিত্র সম্পাদিত উন্মার্গ, মলয় রায়চৌধুরী সম্পাদিত জেব্রা, দেবী রায় সম্পাদিত চিহ্ণ, প্রদীপ চৌধুরী সম্পাদিত ফুঃ সতীন্দ্র ভৌমিক সম্পাদিতএষণা, এবং আলো মিত্র সম্পাদিত ইংরেজি দি ওয়েস্ট পেপার ।

               ১৯৬৩ সালের শেষদিকে সুবিমল বসাক, দেবী রায় ও মলয় রায়চৌধুরীর কিছু-কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে হাংরি আন্দোলন বাঙালির সংস্কৃতিতে প্রথম প্রতিষ্ঠানবিরোধী গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত হয় । বহু আলোচক হাংরি আন্দোলনকারীদের সে সময়ের কার্যকলাপে দাদাইজম প্রভাব লক্ষ্য করেছেন । এই কারণে শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, সতীন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ হাংরি আন্দোলন ত্যাগ করেন ।এই সমস্ত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাঁরা দাবী করতেন যে অচলায়তনকে ভাঙা যাবে । অবশ্য তাঁদের অনুকরণে পরবর্তীকালে বহু প্রতিষ্ঠানবিরোধী লেখক এসেছেন বাংলা সাহিত্যে ।
                শ্মশান, গোরস্তান, ভাটিখানা, হাওড়া ও শেয়ালদা স্টেশনে তাঁরা কবিতা পাঠের আয়োজন করতেন; ’মুখোশ খুলে ফেলুন’ লেখা জীব-জন্তু, দেবতা, দানবের মুখোশ পাঠাতেন মন্ত্রী, সমালোচক, প্রশাসকদের; কবিদের সমালোচনা করতেন বিবাহের কার্ডে; তৎকালীন মানদণ্ডে অশ্লীল স্কেচ ও পোস্টার আঁকতেন ও বিলি করতেন; একটি গ্রন্হের দাম রাখতেন লক্ষ টাকা বা কয়েকটি টি.বি. সিল। বাণিজ্যিক পত্রিকায় গ্রন্থ রিভিউ করার জন্য জুতোর বাক্স পাঠাতেন কিংবা শাদা কাগজ পাঠাতেন ছোটগল্প নামে। তাঁদের রচনায় প্রশাসন ও মিডিয়াকে আক্রমণ করতেন। বেনারস এবং কাঠমান্ডু গিয়ে সাহিত্য সম্পর্কহীন হিপিনীদের সঙ্গে মাদকসেবন এবং যৌন যথেচ্ছাচারে লিপ্ত হয়ে সেখানকার সংবাদপত্রে শিরোনাম হতেন। পেইন্টিং প্রদর্শনী করে শেষ দিন প্রতিটি ছবিতে আগুন ধরিয়ে দিতেন।

                  ১৯৬৪ সালে, তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র সেনের রাজত্বকাল মলয় রায়চৌধুরী, প্রদীপ চৌধুরী, সুভাষ ঘোষ, দেবী রায়, শৈলেশ্বর ঘোষ ও সমীর রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার করা হয়| পরে অন্য সবাইকে ছেড়ে দিয়ে শুধু মলয় রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে অশ্লীল সাহিত্য রচনা করার অভিযোগে মামলা করা হয়, তাঁর "প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার” কবিতাটির জন্য | হাংরি আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ৩৫ মাস অর্থাৎ ১৯৬৭ পর্যন্ত মামলা চলতে থাকে।
২৬ জুলাই ১৯৬৭ তে উচ্চ আদালত মলয় রায় চৌধুরী কে বেকসুর খালাস করে দেন। আর এভাবেই শেষ হয় ক্ষুধিত কবিদের হাহাকার। চোর ডাকাতের পাশে হাতকড়া পড়ে হেঁটে যাওয়া কবি এবং কবি আর তাঁদের ম্লান হয়ে যাওয়া কষ্ট ঢাকা পড়ে যায় এক নতুন সম্ভাবনায়।

                      শ্রুতি আন্দোলন
             """"""""""""""""""""""""""'''''''''''''''''''''''''''
         
                          কৃত্তিবাস আর হাংরির উগ্রতা ও যৌন ধর্মী অ্যাজেন্ডায় কিছু মানুষ ততদিনে প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে উঠেছে। মৃণাল বসু চৌধুরীর ‘কবিপত্র’ তখনকার ঐতিহ্যশালী পত্রিকা। পুস্কর দাসগুপ্তের নেতৃত্বে গড়ে উঠল শ্রুতি আন্দোলন। মৃণাল বসু চৌধুরী ও পরেশ মন্ডল শ্রুতি আন্দোলনে যোগ দেন। কিন্তু ঐতিহ্যশালী ও হাংরির বাইরে অন্য কিছু একটা করে দেখাবার, যা বামপন্থী স্লোগান সর্বস্বতার বাইরে, যা কিনা সমাজ, সংস্কার, উগ্র আধুনিকতার বাইরের বিশ্বাসকে নাড়িয়ে দেবে।

'গভীর সমুদ্র থেকে/ দিনশেষে মাছের বদলে/ হারানো তাবিজ নিয়ে/ ফিরে আসে বিষণ্ণ যুবক’— লিখেছেন কবি মৃণাল বসুচৌধুরি। শ্রুতি আন্দোলনের অন্যতম কারিগর এই কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মগ্ন বেলাভূমি’ প্রকাশ পায় ১৯৬৫ সালে। এরপর একে একে পাঠকের হাতে পৌঁছে গেছে ‘শহর কলকাতা’, ‘গুহাচিত্র’, ‘শুধু প্রেম’, ‘মায়াবী উত্তাপ’–‌এর মতো কবিতার বই কিংবা উপন্যাস ‘ভুল’, গল্পের বই ‘যন্ত্রণার এ–‌পিঠ ও–‌পিঠ’–‌এর মতো ব্যতিক্রমী গ্রন্থ ।
                           জৈব আর্তনাদ কবিতা নয়, হাংরিদের বিপরীতভাবে, এই কথা বলে শুরু হয়েছিল------' শ্রুতি আন্দোলন' । আবেগ উপলব্ধিকে তাঁরা চৈতন্য পরিশ্রুত করে নেওয়াটাই অভিপ্রেত জেনেছেন। অশিক্ষিত আবেগের বেগবান অসংযত প্রকাশই কবিতা নয় ।কবিকে আত্মমগ্ন হয়ে প্রকাশের শিক্ষা নিতে হয়। হাংরি কবিতায় যদি শব্দের প্লাবন হয়, তাহলে শ্রুতি কবিতা মিতভাষী । "শব্দের বিন্যাস সুর, বর্ণ, গতি মিলিয়ে নিজস্ব শিল্প রহস্যলোক নির্মাণও করতে চেয়েছিলেন তারা ।"  মেলাতে চেয়েছেন চিত্রকলা ও কবিতাকে । ফরাসি কবিতা আন্দোলন দ্বারা প্রভাবিত শ্রুতি গোষ্ঠীর কবিরা হলেন ---- পুষ্কর দাশগুপ্ত , মৃণাল বসুচৌধুরী, পরেশ মন্ডল, সজল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি। সজল বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখেন :
"সেদিন মাঝরাত / সমস্ত বাড়ির দরজা নেই/ আমি/ আর ত্রিশূল / আর তার ওপর / খেলা লেখা খেলা..... ‌"
পুষ্কর দাশগুপ্ত এর লাইন :
"তোমার বা আমার একটা দিন/ একঘেয়ে, বিষাদ, পুনরাবৃত্তিময় ....."

                নকশালপন্থী কবিতা আন্দোলন
           """"""""""""""""""'""""""""""""""""""""""""""""""""
                      নকশালপন্থী কবিতা 'কবিতা আন্দোলনের' ফসল নয় । এই কবিতা এক বিপুল আলোড়ন সৃষ্টিকারী আন্দোলনের উপজাতক । সত্তর দশকে বলা হয়েছিল 'মুক্তির দশক'। এই উত্তাল আন্দোলনের নেপথ্যে ছিল আর্থ- রাজনৈতিক কারণ এবং অবশ্যই আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের সমর্থন । জাগ্রত হয়েছিল বিপ্লবী উন্মাদনা। নকশালপন্থীরা মনে করতেন , চল্লিশ দশকের অসমাপ্ত বিপ্লবকে সমাপ্ত করার দায়ে তাঁদের । এই অভিঘাতে বাংলায় চল্লিশ দশকের 'প্রগতি পন্থী' কবিতার পর লেখা হলো 'বিপ্লবপন্থী রাজনৈতিক কবিতা'। চল্লিশ দশকের প্রবীণ কবি লিখলেন,
    "মুক্তির লড়াই করবে বলে/ ছেলে গেছে বনে।"

স্বয়ং কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সত্তর দশকের এই বিপ্লবী কবিদের প্রতি সহমর্মী ছিলেন। সত্তর দশকের প্রতিভাবান নব্য যুবকেরা শুধু রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপে অংশ নেননি, গান বেঁধেছেন, কবিতা লিখেছেন । সেই সময়ের কবি সব্যসাচী দেব লিখলেন :
"এবার কবিতা হোক টান করা ধনুকের ছিলা।"

তাঁরা বলতেন ,  'কবিতার ভাষা হবে ধারালো, তাতে পোশাকই শব্দ বা অলংকার থাকবে না ।'
এই সময় কবিতা লিখেছেন ------ মণিভূষণ ভট্টাচার্য, সব্যসাচী দেব ছাড়াও কমলেশ সেন (১৯৩৮), সৃজন সেন (১৯৩৬), সমীর রায় (১৯৩৬-৯৪), দ্রোণাচার্য ঘোষ (১৯৪৮-৭২) প্রভৃতি।

বিপ্লবের আগুনের অক্ষরে লেখা এইসব কবিতা গুলি বেশিরভাগ পর্যবসিত হয়েছিল স্লোগানে।



শারদীয়ার  শুভক্ষণে
        অলোক রায়

ঢাকের বাদ্যি শোনো ঐ বাজে,
কিশোরীরা সেজেছে দেখো নববধূর সাজে।
আজ যে মায়ের অকালবোধন,
হৃদয়ের বিহ্বলতা কাটিয়ে আজ উৎফুল্ল মন।
দেবী পক্ষের সূচনায়,
আপামর জগৎ প্রাণ শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানায়।
অশুভের বিনাশে মত্ত জগৎ মাতৃবন্দনায়,
সুনির্মল বাতাসের ছোঁয়া লেগে হৃদয় বিভোর মূর্ছনায়।
প্রভাতী রবির রক্তিম কিরণে,
মনের সকল কলুষতা যেন যায় পুড়ে অকারণে।
কাশফুল আর শিউলির কোমলতায়,
ভরে উঠুক সুন্দর হৃদয় বিশুদ্ধতায়।
সকলের বিপদ নাশে যেন পাই তোমায়,
মাতৃরূপে যুগে যুগে এই দুনিয়ায়।
অব্যক্ত আবেগী অনুভূতি প্রকাশিতব্য শারদ শুভেচ্ছায়,
শারদ প্রাতে সবার জন্য শুভকামনা থাকুক সবার ভাবনায়।




শিলা বৃষ্টি
    মোহাম্মাদ  আবুহোসেন সেখ

চারদিকে যখন করোনার ভয়ে আত্মকিত
সূর্যের কিরনে সকাল তখন ঝলোমলো।
সাঁঝের বেলায় পরিবেশ শান্ত ন্সিগ্ধ
হঠাৎ ঝড়, বৃষ্টি আসিলো 
      মহা প্রলয়ের মতো।
বৃষ্টির মধ্যে অসংখ্য ছোটো ছোটো
         বরফের টুকরো পড়ছে।
গৃহ লোকেরা বলাবলি করছে,
গ্যালো বুঝি টিন গুলো ফেটে।
আমি তখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে ।
হ্যাঁকা চেকা হয়ে তাকিয়ে আছি আকাসের দিকে ঝড়,বৃষ্টি বরফের টুকরো দেখে
মোনটা আনন্দে ভরে যায়।
উপর আল্লা পেলেন এসব কথা থেকে।

            দেখি চেয়ে ওই,
          বালোকেরা বাটি নিয়ে,
              ছুটিছে মাঠের পানে,
                হই চই বাঁধিয়া,   মহা আনন্দে গুড়াচ্ছে শিলটাকে।





শাপ মোচন
          সুশান্ত মজুমদার

মহামারি রোষে আজ চলিছে কর্মনাশের পালা,
অন্ন নাহি বস্ত্র নাহি কর্ম ঘুচিল সংক্রমণে;
হৃদি মাঝে অনুতাপ সম্মুখেতে দুর্ভিক্ষের থালা !
পরিজন প্রতিবেশী থাকে লুকাইয়া সঙ্গোপনে।

স্বার্থপরতা বিদ্বেষে করিয়াছি লুপ্ত মানবতা,
পাতকী  অভিসম্পাত  লাগিছে  হীনবল  চরণে;
অধর্মের জয়গানে বাড়িয়াছে  মম দানবতা-
আঁখি প্রান্তে সপ্তসিন্ধু প্রবাহের জীর্ণতা পরনে।

বিশ্ব জগৎ পালিনী দয়া তব অসীম অনন‍্য,
আসিতেছ ধরাধামে মাগো যদি সন্তানের টানে;
কর ক্ষমা ভুল  যত  তুমিতো নহ মাতা নগণ‍্য;
অন্নপূর্ণার হাতটি  বাড়াইও  অধমের পানে।

একবার কর কৃপা করিতে তোমার আরাধনা;
পাপ খন্ডাইতে মোর  করিব তব পদ বন্দনা ।






                           ভাবনা
           হামিদুল ইসলাম
                      

নদী বয়ে যায়
ইতিহাস
পাখিরা ফিরে আসে নীড়ে
উতলা বাতাস
তোমার সাথে দেখা নেই কতোদিন ।

তুমি থাকলে পৃথিবী সবুজ
তুমি না থাকলে কাদা
তুমি না থাকলে বুকের মাঝে প্রবল জলরাশি
কাশের মতো শাদা
তোমার জন‍্যে এখন কেবল অপেক্ষা ।

কিন্তু আর কতোদিন
হ য ব র ল প্রেম
অগোছালো জীবন
অথৈ জলে আঁটা জলছবির ফ্রেম
মনকে রাখি প্রতিদিন বাসর বন্দি খাঁচায় ।

হারিয়ে যায় শব্দতরঙ্গ
উত্থিত যৌবন
তুমি আমি একে একে দুই
বিস্তির্ণ আজ মৌবন
ভুলে যাই ইতিহাস আপন ভাবনায়  ।





দিগন্ত আকাশ
         আব্দুল রাহাজ

দিগন্ত আকাশে উড়ে যায় পাখি
প্রকৃতির সবুজায়নের উপরে দিগন্ত আকাশ সময়ে সময়ে তার অপরূপ দৃশ্য ফুটিয়ে তোলে
আকাশের সূর্য দীপ্ত রাশি প্রকৃতিকে জাগিয়ে তোলে মনোরম পরিবেশে।
দিগন্ত আকাশ বিরাজ করে বিশ্বের নানা প্রান্তে
আর ফুটিয়ে তোলে তার অপরূপ মায়া সৌন্দর্যে।
মেঘলা আকাশ কালো হয়ে যায়
বৃষ্টি পড়লে চাষীর আনন্দ হয়
দিগন্ত আকাশে যা বহন করে আসছে দিনের পর দিন। শরৎতের আকাশ উৎসবের আমেজে ভরিয়ে দেয় আপামর বাঙালি কে
তাই দিগন্ত আকাশ চিরজীবন বহমান হয়ে আছে প্রতিটি মানুষের মনে।






ছাত্র তরুণ দল
          উমর ফারুক

ছাত্র তরুণ যুবক তারা
প্রতিবাদের ঝড়
বিপ্লব ডানা বিছিয়ে দিয়েচে
ভারত মায়ের ওপর।
জ্ঞানের কিরণে পুলকিত মন
নবীন যুগের চোখ
আশার আলো ভারতে ছড়ায়
তারা উদ্যমী যুবক !
অনাথ ইতিমের আর্তি শোনে
এরা প্রতিবাদী মুখ
গরীবের তরে হাত বাড়িয়ে
ঘুচোই তাদের দুখ।
ধরলো কাঁধে ছাত্র তরুণ
বিপ্লবের হাল
ঐশী আলোর পথ ধরে যায়
প্রগতিশীল ঢাল।






প্রতীক্ষা
    সাফরিদ সেখ

আমি তোকে প্রথম যেদিন দেখি।
জানিস কি মনে হয়েছিল?মনে হলো
কত দিনের জানা শোনা।সেই গ্রামের পাঠশালার বন্ধু।
তোর মনে আছে সেই দিনের কথা।যেদিন
আমরা নদীর জলে ভেসে গিয়েছি অজানা এক গ্রামে।
এক গামলাতে মুড়ি নিয়ে খেতে খেতে
আমি না জল ঢেলে দিয়েছিলাম।
সবাই রাগে ত্রস্ত হয়ে ছুটে এলে তুই
বলেছিলি ছেড়ে দে ।আমি হাঃ  হয়ে দেখেছি।

বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে এলাম কলেজে।
আজ ও তেমনি করে তোরে ভাবি।
তুই চোখে চোখ হাতে হাত রেখে বলেছিলি;
আমি তোরে ভালোবাসি।
সত্যি বলছি আমি তখন জানতাম না
ভালোবাসার মনে।অর্থ।কি এর কাজ।

বাবা জানালো আজ তোকে দেখতে আসবে নিরু।
আমি বললাম কেন?কে আসবে?
বাবা শান্ত গলায় বলেছিল মারে তোর বিয়ে।
হটাৎ আমার শরীর আগুনের মতো ঝলসে উঠলো।
বাবার মুখের সামনে বলেদিলাম না।
এ হতে পারে না।আমি এ বিয়ে মানি না।
সমস্ত পাড়া এক আর আমি এক দিকে।না এক নয় দুই।

তুই কথা দিয়েছিলি আমি টীচার হবো।
আমার বিয়ে করবি।কিন্তু কই  টীচার!
আজ চাকরি এত সহজ নয় রে ?কঠিন।
আজ আমরা সেই প্রতিক্ষায়।






অসুর নিধনের পালা
             মহীতোষ গায়েন

এবারের পালায় একটিই নায়ক,নায়িকা অনেক
কোন ভিলেন নেই,কোন গান নেই,নাচ নেই,
শুধু পাহাড় আর জঙ্গল,নায়ক জঙ্গলে পথ
হারিয়েছে,সারাদিন জঙ্গলে ঘুরছে,পথ অচেনা।

নায়ক ছেলেটি পিপাসায় কাতর,কোন জলাধার
অথবা নদী কাছাকাছি কোথাও খুঁজে পায় না,
একটি নায়িকার কাঁখে কলসি,ছেলেটি পিছু
নেয় তার,গাঢ় জঙ্গলে সে হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায়।

কিছুক্ষণ পরে আর একটি মেয়ের হাতে ফুল
দেখা যায়,ছেলেটি তারও পিছু নেয়,এই মেয়েটিও
অদৃশ্য হয়ে যায়,এবার আর একটি মেয়ে লালপেড়ে
শাড়ি পরে মন্দিরের পথে যেতে যেতে অদৃশ্য হয়।

এভাবেই নায়িকারা একে একে দেখা দেয়,
আশা জাগায় ,আবার আলেয়ার মত মিলিয়ে
যায়,ছেলেটি জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে হয়রান,সব ঝোপে
রাস্তায় অন্ধকার নামে,নায়ক হঠাৎ ভিলেন হয়ে যায়

নায়িকারা অদৃষ্ট দেখতে পায়,শুনতে পায় ঘন্টা-
ধ্বনি,পুজোর ঘন্টা, মাঙ্গলিক আরতি; ভিলেনের
সারা শরীরে নামাবলি, কপালে রক্ততিলক,ক্ষুধার্ত
নায়ক স্বাদ বদলের স্বপ্ন দেখে,নায়িকারা অদৃশ‍্য।

উন্মত্ত নায়ক ছুটছে,সামনে জলাধার সরে যাচ্ছে
সরে যাচ্ছে আকাশ,সরে যাচ্ছে গাছপালা,সমস্ত
নায়িকা মিলিয়ে যাচ্ছে,পিছনে মহাভৈরবী,হাতে তার
রক্তবর্ণ খাঁড়া,জঙ্গলে এবার অসুর নিধনের পালা।






মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)

শুধু এর জন্য

এই
আলো নদী
বিস্তৃত প্রান্তরের সবুজ
নদীর নিরন্তর বয়ে চলা
প্রিয় মানুষের সাথে কথা বলা 
এর জন্য ইতো বারবার​ এখানে ফিরে আসা ।

এদের কাছেই শিখি রোজ প্রকাশের  ভাষা
এদের  আকর্ষণেই যাপনের পথ চলা
এরা শেখায়না কখনো ছলাকলা
এদের টানেই অবুঝ
পারি যদি
হ ই।

(২)

এসেছি গ্ৰামে

আজ
চলে  এসেছি
আবার প্রিয় গ্ৰামে  
যেখানে করোনার  থাবা নেই
কোন মানুষের মুখে নেই মাস্ক
চাষীরা মাঠে মাঠে চাষ করে আনন্দে।

বাইরের ভাইরাসকে এরা ডাকেনি এখনো সানন্দে
এখানে দূরত্ববিধির দেওয়া হয়না টাস্ক
চাষের কাজ দূরে দূরেই
ফসল পায়না  দামে
তবু দেখছি
কাজ ।






হৃদয় আলোয়
         নদেরচাঁদ হাজরা

সব ভালো কি হয়গো বন্ধু আমার ভালো
তবে জগৎ জুড়ে  আজো এত কেন কালো ?
কাটাও সকল আঁধার
আলোয় ভরাও চারধার
দেখবে কেমন মনটা জুড়ে বিরাজ করে আলো ৷

জাগাও মানবতাকে আজ তোমারি চারপাশে
সরাও অহমিকাকে যা আছে সব আশেপাশে
ঘুচিয়ে আত্মপরতা
জুড়াও মনের ব্যথা
সকল মানুষ দেখবে তখন আছে তোমার পাশে ৷

দম্ভখানা ছাড়ো 'অহং' থাকবেনা যে কাছে
সকল হৃদয়গ্লানি দেখবে কেমন যাবে মুছে
ভালোবাসার বীজমন্ত্রে
ভালোবাসার জপমন্ত্রে
ক্রুরতা আর থাকবেনা যে কখনো তব কাছে ৷

জাগবে যখন তোমার আমার বিবেকখানি
মন যমুনায় ভাসবে তখন প্রাণের তরীখানি
তুলো ঢেউয়ের পরে ঢেউ
দেবেনা কোনো বাধা কেউ
আপন মনের স্রোতে গান গাইবে তখন হৃদয়খানি ৷

সেই ভালোবাসার স্রোতে থেকো জাগরণে
হৃদয়টাকে মিলিয়ে দিও সকল প্রাণে প্রাণে
জ্বলবে আলো মনের মাঝে
থাকবে খুশী সকাল সাঁঝে
সেই আলোতে মুছে যাবে অন্ধকারের মানে।











হৃদয়ের সুখ
          নির্মল সরকার

দিশেহারা মন আমার
ভাবে একা নিরবে ,
সুখ যে কোন ভবঘুরে
পাবে কি সুখের ঠিকানা খুঁজে ।
কত কাল পেরিয়ে গেল
ঐ নীল আকাশের দিকে চেয়ে ,
বলেছিল আসবে নিশ্চিত
যাবে না আমায় ছেড়ে ।
যখনই শ্রাবণে বর্ষা  আসে
এসে যায় স্মৃতিটুকু মনে ,
ঐ সুদূরে যেন চেয়ে থাকে
সে -,আমারও মুখ পানে ।
আসলে যত্ন করে রাখিবো
আমারও হৃদয় মাঝে ।
আজও সেই দিন প্রতিদিন রাতে
তারা গুলির সাথে কথা বলে ।
যেন সেগুলি দেখিতে পাই
সেই খোলা আকাশের নিচে বসে ।
একদিন চলে যাবে নিশ্চিত
ঐ স্বপ্নেরেই দেশে ।
        


*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

https://publishers.adsterra.com/referral/qxRrX1u3Zf
**********************************

সম্পাদক, উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন



৩টি মন্তব্য: