উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 25/08/2020
Upokontha Sahitya Patrika
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-25/08/2020,মঙ্গলবার
সময় :- সকাল 8 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
Upokontha Sahitya Patrika
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-25/08/2020,মঙ্গলবার
সময় :- সকাল 8 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫
💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫
ধারাবাহিক
-------নারী জন্ম অপরাধ-------
----------রুহুল আমিন----------
পর্ব-৩
সোহাগ চাকরি সুত্রে নিজের বাসস্থান ত্যাগ করে এক হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তারের ভুমিকা পালন করে চলেছে। চাকরির ব্যাপার যেখানে পাঠাবে তার মারজিমাফিক যেতে হবে। আউটডোর শেষ করে সবেমাত্র ডিসপেনন্সারিতে বসতেই। একটা কেস এসে হাজির। দেখে মনে হলো অচৈতন্য হয়ে আছে। নাড়িতে হাত রেখে পালস পেলোনা সে। প্রেসার মাপার চেষ্টাও বৃথা হলো। মহিলার সাথে ছিল বছর চল্লিশের এক ভদ্রলোক। সোহাগ আগাগোড়া দেখে ধারনা করলেন মহিলার বাবা হতে পারেন। সোহাগ বললো এত দেরি করে কেন নিয়ে এলেন ভদ্রলোক আমতা আমতা করে বললো বিদেশ ছিলাম বাবু আজ সকালে ফিরলাম।
ডিহাইড্রেশন মারাত্মক পর্যায়ে পৌছে গেছে। বমি-পায়খানা করতে করতে সে অত্যান্ত দূর্বল হয়ে পড়েছে। কম্পাউন্ডারকে স্যালাইন রেডি করতে বললো। অনেক ভেবে সৃষ্টি কর্তার নাম জবতে জবতে সুঁচ ফোটালো সোহাগ। স্যালাইনের তৃতীয় বতল যখন শেষ পর্যায়ে তখন পালস ও প্রেশারের দেখা মিললো। অবজারভেশনে রাখার পর মহিলাকে পরের দিন সকাল দশটা নাগাদ ছুটি দেয় সোহাগ। এখন সে পরিপূর্ণ সুস্থ বলা যেতে পারে। যদিও পেটে হালকা ব্যাথা আছে। কিন্তু ওষুধ আর নুন জল খাওয়ার কথা বলে দিলো কেননা হাসপাতালে ওআরএস এর প্যাকেট ফুরিয়ে গেছে।
নিস্তব্ধতার মাঝে সোহাগ মহিলার কথা ভাবে, কি চমৎকার সুন্দর তার কথা বলার ভঙ্গিমা। হয়তো কোনো ডাক্তার এই প্রথম তার রুগির প্রেমে পড়লো। মুশকিল হল নিজের অজান্তেই সে মহিলার কথা মনে করে হাসতে থাকে আর কম্পাউন্ডারের ডাক্তার বাবু নাম উচ্চারনে প্রতিবারি তার কল্পনা ভঙ্গ হয়। সোহাগ নিজেকে তখন কেমন পাগল পাগল অনুভব করে। আলাপচারিতায় হয়তো তাদের পরিচয়কে আরো গাঢ় করতে পারতো। তার ফলেই নিজেদের সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানা হতো। হয়তো বা ভালোবাসার পরিমানটাও বাড়তো। মিঠে বন্ধুত্বের ভাবটা প্রবল হতো। ভারী নরম ভঙ্গিতে মনের মাটিতে গেথে ফেলতো মস্ত গোলাপ গাছ। মেজাজ গম্ভীর নয় বরং খোস মেজাজে সমস্ত রুগির মাঝে ওই মহিলা রুগির প্রতিচ্ছবি লক্ষ্য করে নিজেই শরম বোধ করতে থাকে।হাসলে মহিলাকে অনেক সুন্দর লাগতো। তার মুখের হাসি উপলব্ধি করার জন্য সোহাগ মজার গল্পও শুনিয়েছে। আবেগ-অনুভূতি নিজের মনে আওড়ে যায়। নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে থাকে সেই ক্যাবিনের দিকে। মজার গল্প গুলো দুষ্টুমির আকারে ধরা দেয় সোহাগের মনে। জোর শব্দে তার জ্ঞান ফেরে, বেরিয়ে আসে চিন্তা থেকে। কম্পাউন্ডার বলছে স্যার একটা কেস এসেছে।
কিডনি খারাপের জন্য নিধু কাকাকে শহরে ডায়ালিসিস করতে পাঠিয়েছেল। আজ তিনি রিপোট নিয়ে হাজির হয়েছেন। হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে পায়চারি করে বিকালের পূর্ব মুহূর্তে মোক্তার বাকচিকে ডেকে পাঠালেন। ইনি হলেন সোহাগের রাঁধুনি। তাকে মহিলা রুগির সমস্ত বর্ননা দিয়ে একটা কাল্পনিক চিত্রে তুলে ধরে সমস্ত খবর রাতের মধ্যে আনতে বললেন।
নীল-সাদা ডোরাকাটা ওড়নাটা মহিলা তাড়াহুড়াতে হসপিটালে ফেলে গেছে। তাই ওড়নাটা আজ সোহাগ সাথেই নিয়ে ঘুরছে। আজ রাতে মোক্তার কাকা খবর নিয়ে এলে পরদিন সকালে সোহাগ নিজে গিয়ে ওড়নাটা দিয়ে আসবে। কিন্তু তা আর হবার নয়, মোক্তার কাকার কথা শুনে সোহাগ রিতিমত থমকে গেলো। মহিলাটি বিবাহিত তার যে সাথে ভদ্র লোকটি ছিলেন সেটা মহিলার বাবা নয় তার স্বামী।
জীবনের প্রান্ত সীমায় এসে এটা বুঝতে পারছে। ভবিষ্যৎ আর অতীতকে বোঝা বেশ কঠিন। তবুও একটা ধারনা করা যাক। ভবিষ্যৎটা যত ছোট হতে শুরু হয়েছে। মহিলাকে নিয়ে অতীতটা তত বড় হতে শুরু করেছে। ভবিষ্যৎ আজ ত্যাগের পর্বে লিপিবদ্ধ কিন্তু অতীতকে ভুলিয়ে দেওয়ার মতো রাজ কন্যা কি সোহাগের জীবনে আসবে কখনও ?
একাকিত্ব সোহাগকে সামাজিক দ্বায়িত্বসম্পন্ন মানুষ বানায়নি। বরং সোহাগকে দিন দিন ভেঙ্গে মুচড়ে ফেলেছে। একাকিত্ব তার থেকে কেড়েছে তার দক্ষতা, তার এক নিষ্ট কর্ম জীবনের চরিত্রকে। কিন্তু আজ তার মন কারুর জন্য প্রতিক্ষায় বসে থাকে না। থাকেনা কারুর উপর নির্ভর করে।
কয়েক দিন অতিবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ একদিন ভালোলাগা আর ভালোবাসার মিলবন্ধনের গল্প। স্টেশনে তাদের দুজনার প্রথম দেখা। প্রথম দেখাতেই কেমন যেন ভিজে মাটির প্রেম প্রেম গন্ধের আভাস ছিল দুজনার চোখে। হঠাৎ একটা হিংসুটে ট্রেন দুজনার মাঝে আড়াল করে দাড়ালো। সরু রাস্তার বাঁকের মোড় যেমন অসমাপ্তের মতো সমাপ্ত হয়। যেমন আলো মুছতে মুছতে সন্ধার অন্ধকার নামে তেমনি হঠাৎ ট্রেনের সাথে কোথায় মিলিয়ে গেলো অপর এক খন্ড ভালোবাসা। সোহাগের মনে হতে লাগলো সে যেনো তার জীবনকে হারিয়ে ফেলেছে। বাতাসের আদ্রতা কোথাও যেন মিলিন হয়ে রুখো বাতাসে পরিনত হচ্ছে। পাগলের ন্যায় শহরতলিতে খুঁজেছে বৈখাখীকে কোথাও তার চিহ্ন পারিনি।
কিন্তু ভাগ্যের কি চমৎকার তালমিল। তাদের মুলত পরিচয় ঘটলো ফেসবুকের কমেন্ট বক্সে। সেখান থেকে ভালোলাগার সুএপাত। চলতে থাকে ইনবক্সে ভালোলাগার আদান-প্রদান।
- আমি আপনাকে ঘুমন্ত পরী বলে বাকি। কারন প্রথম দেখাতে আপনি আমার ঘুম কেড়েছেন।
- ঘুমন্ত পরী বেশ মজা পেলাম।
- আপনি পড়াশুনা করেন?
- আমি বি.এ. সেকেন্ড ইয়ারে পাঠরত ছাত্রী।
- আপনার প্রিয় ঋতু কি?
- শীত কাল আমার খুব প্রিয়। ভোরের সময় কুয়াশা জড়িত আকাশ যেন আমাকে স্পর্শ করতে নেমে আসে। জনমানব হীন রাস্তায় এক মায়াবি ভালোবাসার অনুভূতি দেয়।
- আপনার এত মায়াবি ভালোবাসা কোথায় থাকে?
- কোনো এক অচেনা যন্ত্রনায় হৃদয়ের গহ্বরে।
- একটা মেয়েকে সব থেকে বেশি মায়াবি মনে হয় কখন?
- জানিনা। নিজেকেই কখন আয়নার সামনে দাঁড়করিয়ে দেখা হয়নি।
- ঘুমন্ত অবস্থায় মেয়েদের সব থেকে মায়াবি বলে মনে হয়।
কখন সেপ্টেম্বরের ঝির ঝির বৃষ্টির মাঝে নৌকা ভ্রমনের অভিজ্ঞতা আছে?
- না। কেমন সে অভিজ্ঞতা?
- মনে হয় নদীর জলের উপর প্রভাবিত ঠান্ডা ফুরফুরে বাতাস আমাকে সরবতের মতো পান করবে।
- সাহিত্যিক হলেই পারতেন। সাহিত্যের ভাষা আপনার মুখে রেডি থাকে।
- কবির ডাইরির পাতায় পড়েছি সময় অতিবাহিত হলে নাকি তাকে অতীত বলিয়া গন্য করা হয়।
- তবে কি আপনি অতীতের মাঝে ডুবে আছেন?
- অনেক চিন্তার ক্লান্ত বিন্দু দিয়ে আজ একটা নদী প্রবাহিত করেছি। দুটি তীরের এক প্রান্তে আমি আর এক প্রান্তে শূন্যতা। এটাই হয়তো অতীত।
-প্রতিটি মানুষ তার মনের জানালা দিয়ে ভালোবাসার বাতাস উপভোগ করে। অহেতুক কেন কষ্ট পাবেন আপনি। এটিও হতে পারে আপনার শূন্যতার স্থানে পূর্নতা অপেক্ষা করছে।
- সময় বড়ো অদ্ভূত, কেমন করে সব পাল্টে দেয়।
- শুধু কষ্ট না পেয়ে উঠুন, খুঁজুন আপনার পূর্নতার মানুষকে। সেও হয়তো আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
আচ্ছা আপনি কি করেন?
- আমি ডাক্তার।
- ডাক্তারের মনে এত ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে আগে কখন অনুভব করিনি।
- কত ডাক্তারের মন পড়েছেন আপনি?
- প্রশ্নের পর প্রশ্নের আঘাতে আমাকে জর্জরিত করে তুলছেন।
- কোন প্রশ্ন?
আগেই বলে রাখি বৈশাখীর থেকে সোহাগের রুপ সৌন্দর্যে অনেক গুনে বেশি লাবন্যময়। মায়ের সাথে কোনো এক দরকারে বৈশাখী হাই কোটে গিয়েছিল। সোহাগকে সে আসতে বলে, পরিচয় ঘটার পর প্রথম বার তাকে কাছ থেকে দেখার জন্য। বৈশাখী আগেই বলে দিয়েছে মা থাকার কারনে সোহাগ সাথে সে কথপকথন করতে পারবে না।
কি আর করার তাই মেনে নিয়ে সোহাগ অবশেষে বৈশাখীর সামনে দিয়ে দুই বার রাস্তার পথিকের ন্যায় হেঁটে চলে গেলো।
বৈশাখী সোহাগকে দেখে রীতি মতো অবাক হলো। মাথা ধরতে শুরু হলো তার। যে ছেলেকে ফেসবুকে সুন্দর ছেলে বলে কমেন্ট করতো সে শুধু সুন্দর নয় বলা চলে সুন্দরের সুনামী। নিজের প্রতি লজ্জ্বা অনুভব করলো সে।
আপন মনে ভাবতে লাগলো আমার মতো অসুন্দর মেয়ে কি করে এত সৌন্দর্যবান ছেলের প্রেমিকা হতে পারে। মনে মনে প্রচন্ড ভয় হলো বৈশাখীর। তাহলে কি সোহাগ প্রেমের নাটক করছে? রুপ হীন মেয়ের যৌবনতা ছাড়াতো কিছুই নেই। সোহাগ কি সেটার জন্য বৈশাখীকে প্রেমের জালে ফাঁসাতে চাইছে। কেমন যেনো ভাবনা গুলো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে তার। তারপর ফেসবুকে নিয়মিত কথা চলে দুজনার ভালোবাসার বক্ষ গহ্বর থেকে। দেখতে দেখতে আরও কিছুটা সময় পেরিয়ে যায়।
দুজনার কল্পনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত টানলো তারা দেখা করবে বসিরহাট পার্কে। বেলা চারটার সময় কিন্তু সোহাগ জানালো সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে তার কপাল কেটে গেছে। আজ সে আসতে পারবে না।
বৈশাখী প্রচন্ড রাগ গেলো। সে বসিরহাট থেকে ফিরে যাচ্ছে সোহাগের না আসার জন্য। অটোরিক্সাতে উঠে সোহাগকে লিখল "আমি চলে গেলাম অনেক দূরে"।
কিছু মূহুর্ত পর সোহাগ ফোন করলো। বৈশাখী অনইচ্ছাকৃত ভাবে কল রিসিভ করলো। সোহাগ বলেই চললো, " আমি বাইক চালাচ্ছি যেখানে আপনি আছেন ওখানেই নেমে যান। বিশ মিনিটের মধ্যে আমি আপনার সামনে হাজির হবো জাহাপনা"।
আর কি করার রাস্তার ফাঁকা জায়গায় নেমে পড়তে হলো বৈশাখীর। কিন্তু রাগ কমলেও অভিমান পরপর বেড়েই চলছে তার।
সোহাগ এসে বৈশাখীকে বললো চলো আজ তোমাকে এক অপরূপ সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখাবো। বৈশাখীকে বাইকে নিয়ে সোহাগ আপন গতিধারা বজয় রেখে বাইক ছুটিয়ে যায়। চলতি বাইকেই সোহাগ ইশারা করে বৈশাখীকে বার বার অনুরোধ করেই চলেছে একবার আই লাভ ইউ বলার জন্য। উত্তর না আসার জন্য সোহাগ যা কান্ড কারখানা শুরু করেছে তাতে বৈশাখী রিতিমতো ঘাবরে গিয়ে বলেই ফেলে আই লাভ ইউ। বৈশাখীর মুখ থেকে এই বাক্য শোনার পর সোহাগের মনে হতে শুরু হলো। হিমালয় পর্বতমালা কেউ যেনো তার মাথার উপর থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
বৈশাখী লজ্জা পেলেও সোহাগের আচরণ তার মনের কোনে মালা গাঁথতে শুরু করেছে। বাইক যখন গন্তব্য স্থলে গিয়ে থামলো তখন বৈশাখী দেখলো সত্যি এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের তুলনা করা চলে না। বসিরহাটে কোন এক নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে সোহাগ তাকে নিয়ে গিয়েছে।
নদীর তীর ধরে দুজনা হাঁটতে শুরু করলো। নিজেদের মধ্যে কথা চলতে থাকে নানা ধরনের। কারন-অকারনে বৈশাখী লজ্জায় সোহাগের মুখের দিকে তাকিতে পারছেনা। গল্পের ছলে ঘুরতে ঘুরতে সোহাগ বৈশাখীর মাথার চুলের উপর একটি চুম্বন এঁকে দেয়। বৈশাখী সোহাগের এমন অদ্ভূত স্পর্শকে বুঝতে পেরেছে তা সোহাগকে অনুভব করতে দেয়নি কোনো ভাবে।
সোহাগ বৈশাখীকে জড়িয়ে ধরে কাব্যিক ভাবে প্রকৃতির বর্ননা দিতে থাকে। সূর্যের দিকে ইশারা করে সোহাগ বলতে শুরু করে, " সূর্য যেনো না ডোবার প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয়েও ডুবতে চলেছে। টিভিতে আ্যন্টাসিড ট্যাবলেট এর এড দেবার মতো পাখি গুলো মাঝে মাঝে তাদের দলবদ্ধ ভঙ্গ করে এদিকে ওদিকে উড়তে থাকে। সৃর্য তার প্রতিজ্ঞা ভেঙ্গে ডুবতে যাওয়ার লজ্জায় সোনালী আভা নদীর জলে ফেলে সোনার নদী তৈরি করার একটা আপ্রান চেষ্টা লাগিয়েছে আর কি। সৃর্যের এই খুনসুটি ভালোবাসা দেখে আমার ভালোবাসাকে পরিবর্তন ঘটাতে ইচ্ছা হচ্ছে।
বৈশাখী সোহাগকে লক্ষ্য করে বলে দেখো, মহাশূন্যতার এই আকাশে সূর্য অস্তের দিগন্ত থেকেই যেন উঠে আসছে কয়েক ঝাঁক পাখি। দলবেঁধে তারা বাসার উদ্দেশ্যে তারা রওনা দিয়ে আমাদের ইঙ্গিত দিচ্ছে বাড়ি ফেরার জন্য।
সোহাগের মনের কল্পনার সত্য গোপন হয় না। তা প্রকাশ পায় বৈশাখীর অন্তরে। সে কি আশ্চর্য এক কল্পনা ছিল। নীল রং সোহাগের খুব প্রিয় তাই বৈশাখীর পরনে নীলের দেখা।
ধারাবাহিক
-------নারী জন্ম অপরাধ-------
----------রুহুল আমিন----------
পর্ব-৩
সোহাগ চাকরি সুত্রে নিজের বাসস্থান ত্যাগ করে এক হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তারের ভুমিকা পালন করে চলেছে। চাকরির ব্যাপার যেখানে পাঠাবে তার মারজিমাফিক যেতে হবে। আউটডোর শেষ করে সবেমাত্র ডিসপেনন্সারিতে বসতেই। একটা কেস এসে হাজির। দেখে মনে হলো অচৈতন্য হয়ে আছে। নাড়িতে হাত রেখে পালস পেলোনা সে। প্রেসার মাপার চেষ্টাও বৃথা হলো। মহিলার সাথে ছিল বছর চল্লিশের এক ভদ্রলোক। সোহাগ আগাগোড়া দেখে ধারনা করলেন মহিলার বাবা হতে পারেন। সোহাগ বললো এত দেরি করে কেন নিয়ে এলেন ভদ্রলোক আমতা আমতা করে বললো বিদেশ ছিলাম বাবু আজ সকালে ফিরলাম।
ডিহাইড্রেশন মারাত্মক পর্যায়ে পৌছে গেছে। বমি-পায়খানা করতে করতে সে অত্যান্ত দূর্বল হয়ে পড়েছে। কম্পাউন্ডারকে স্যালাইন রেডি করতে বললো। অনেক ভেবে সৃষ্টি কর্তার নাম জবতে জবতে সুঁচ ফোটালো সোহাগ। স্যালাইনের তৃতীয় বতল যখন শেষ পর্যায়ে তখন পালস ও প্রেশারের দেখা মিললো। অবজারভেশনে রাখার পর মহিলাকে পরের দিন সকাল দশটা নাগাদ ছুটি দেয় সোহাগ। এখন সে পরিপূর্ণ সুস্থ বলা যেতে পারে। যদিও পেটে হালকা ব্যাথা আছে। কিন্তু ওষুধ আর নুন জল খাওয়ার কথা বলে দিলো কেননা হাসপাতালে ওআরএস এর প্যাকেট ফুরিয়ে গেছে।
নিস্তব্ধতার মাঝে সোহাগ মহিলার কথা ভাবে, কি চমৎকার সুন্দর তার কথা বলার ভঙ্গিমা। হয়তো কোনো ডাক্তার এই প্রথম তার রুগির প্রেমে পড়লো। মুশকিল হল নিজের অজান্তেই সে মহিলার কথা মনে করে হাসতে থাকে আর কম্পাউন্ডারের ডাক্তার বাবু নাম উচ্চারনে প্রতিবারি তার কল্পনা ভঙ্গ হয়। সোহাগ নিজেকে তখন কেমন পাগল পাগল অনুভব করে। আলাপচারিতায় হয়তো তাদের পরিচয়কে আরো গাঢ় করতে পারতো। তার ফলেই নিজেদের সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানা হতো। হয়তো বা ভালোবাসার পরিমানটাও বাড়তো। মিঠে বন্ধুত্বের ভাবটা প্রবল হতো। ভারী নরম ভঙ্গিতে মনের মাটিতে গেথে ফেলতো মস্ত গোলাপ গাছ। মেজাজ গম্ভীর নয় বরং খোস মেজাজে সমস্ত রুগির মাঝে ওই মহিলা রুগির প্রতিচ্ছবি লক্ষ্য করে নিজেই শরম বোধ করতে থাকে।হাসলে মহিলাকে অনেক সুন্দর লাগতো। তার মুখের হাসি উপলব্ধি করার জন্য সোহাগ মজার গল্পও শুনিয়েছে। আবেগ-অনুভূতি নিজের মনে আওড়ে যায়। নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে থাকে সেই ক্যাবিনের দিকে। মজার গল্প গুলো দুষ্টুমির আকারে ধরা দেয় সোহাগের মনে। জোর শব্দে তার জ্ঞান ফেরে, বেরিয়ে আসে চিন্তা থেকে। কম্পাউন্ডার বলছে স্যার একটা কেস এসেছে।
কিডনি খারাপের জন্য নিধু কাকাকে শহরে ডায়ালিসিস করতে পাঠিয়েছেল। আজ তিনি রিপোট নিয়ে হাজির হয়েছেন। হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে পায়চারি করে বিকালের পূর্ব মুহূর্তে মোক্তার বাকচিকে ডেকে পাঠালেন। ইনি হলেন সোহাগের রাঁধুনি। তাকে মহিলা রুগির সমস্ত বর্ননা দিয়ে একটা কাল্পনিক চিত্রে তুলে ধরে সমস্ত খবর রাতের মধ্যে আনতে বললেন।
নীল-সাদা ডোরাকাটা ওড়নাটা মহিলা তাড়াহুড়াতে হসপিটালে ফেলে গেছে। তাই ওড়নাটা আজ সোহাগ সাথেই নিয়ে ঘুরছে। আজ রাতে মোক্তার কাকা খবর নিয়ে এলে পরদিন সকালে সোহাগ নিজে গিয়ে ওড়নাটা দিয়ে আসবে। কিন্তু তা আর হবার নয়, মোক্তার কাকার কথা শুনে সোহাগ রিতিমত থমকে গেলো। মহিলাটি বিবাহিত তার যে সাথে ভদ্র লোকটি ছিলেন সেটা মহিলার বাবা নয় তার স্বামী।
জীবনের প্রান্ত সীমায় এসে এটা বুঝতে পারছে। ভবিষ্যৎ আর অতীতকে বোঝা বেশ কঠিন। তবুও একটা ধারনা করা যাক। ভবিষ্যৎটা যত ছোট হতে শুরু হয়েছে। মহিলাকে নিয়ে অতীতটা তত বড় হতে শুরু করেছে। ভবিষ্যৎ আজ ত্যাগের পর্বে লিপিবদ্ধ কিন্তু অতীতকে ভুলিয়ে দেওয়ার মতো রাজ কন্যা কি সোহাগের জীবনে আসবে কখনও ?
একাকিত্ব সোহাগকে সামাজিক দ্বায়িত্বসম্পন্ন মানুষ বানায়নি। বরং সোহাগকে দিন দিন ভেঙ্গে মুচড়ে ফেলেছে। একাকিত্ব তার থেকে কেড়েছে তার দক্ষতা, তার এক নিষ্ট কর্ম জীবনের চরিত্রকে। কিন্তু আজ তার মন কারুর জন্য প্রতিক্ষায় বসে থাকে না। থাকেনা কারুর উপর নির্ভর করে।
কয়েক দিন অতিবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ একদিন ভালোলাগা আর ভালোবাসার মিলবন্ধনের গল্প। স্টেশনে তাদের দুজনার প্রথম দেখা। প্রথম দেখাতেই কেমন যেন ভিজে মাটির প্রেম প্রেম গন্ধের আভাস ছিল দুজনার চোখে। হঠাৎ একটা হিংসুটে ট্রেন দুজনার মাঝে আড়াল করে দাড়ালো। সরু রাস্তার বাঁকের মোড় যেমন অসমাপ্তের মতো সমাপ্ত হয়। যেমন আলো মুছতে মুছতে সন্ধার অন্ধকার নামে তেমনি হঠাৎ ট্রেনের সাথে কোথায় মিলিয়ে গেলো অপর এক খন্ড ভালোবাসা। সোহাগের মনে হতে লাগলো সে যেনো তার জীবনকে হারিয়ে ফেলেছে। বাতাসের আদ্রতা কোথাও যেন মিলিন হয়ে রুখো বাতাসে পরিনত হচ্ছে। পাগলের ন্যায় শহরতলিতে খুঁজেছে বৈখাখীকে কোথাও তার চিহ্ন পারিনি।
কিন্তু ভাগ্যের কি চমৎকার তালমিল। তাদের মুলত পরিচয় ঘটলো ফেসবুকের কমেন্ট বক্সে। সেখান থেকে ভালোলাগার সুএপাত। চলতে থাকে ইনবক্সে ভালোলাগার আদান-প্রদান।
- আমি আপনাকে ঘুমন্ত পরী বলে বাকি। কারন প্রথম দেখাতে আপনি আমার ঘুম কেড়েছেন।
- ঘুমন্ত পরী বেশ মজা পেলাম।
- আপনি পড়াশুনা করেন?
- আমি বি.এ. সেকেন্ড ইয়ারে পাঠরত ছাত্রী।
- আপনার প্রিয় ঋতু কি?
- শীত কাল আমার খুব প্রিয়। ভোরের সময় কুয়াশা জড়িত আকাশ যেন আমাকে স্পর্শ করতে নেমে আসে। জনমানব হীন রাস্তায় এক মায়াবি ভালোবাসার অনুভূতি দেয়।
- আপনার এত মায়াবি ভালোবাসা কোথায় থাকে?
- কোনো এক অচেনা যন্ত্রনায় হৃদয়ের গহ্বরে।
- একটা মেয়েকে সব থেকে বেশি মায়াবি মনে হয় কখন?
- জানিনা। নিজেকেই কখন আয়নার সামনে দাঁড়করিয়ে দেখা হয়নি।
- ঘুমন্ত অবস্থায় মেয়েদের সব থেকে মায়াবি বলে মনে হয়।
কখন সেপ্টেম্বরের ঝির ঝির বৃষ্টির মাঝে নৌকা ভ্রমনের অভিজ্ঞতা আছে?
- না। কেমন সে অভিজ্ঞতা?
- মনে হয় নদীর জলের উপর প্রভাবিত ঠান্ডা ফুরফুরে বাতাস আমাকে সরবতের মতো পান করবে।
- সাহিত্যিক হলেই পারতেন। সাহিত্যের ভাষা আপনার মুখে রেডি থাকে।
- কবির ডাইরির পাতায় পড়েছি সময় অতিবাহিত হলে নাকি তাকে অতীত বলিয়া গন্য করা হয়।
- তবে কি আপনি অতীতের মাঝে ডুবে আছেন?
- অনেক চিন্তার ক্লান্ত বিন্দু দিয়ে আজ একটা নদী প্রবাহিত করেছি। দুটি তীরের এক প্রান্তে আমি আর এক প্রান্তে শূন্যতা। এটাই হয়তো অতীত।
-প্রতিটি মানুষ তার মনের জানালা দিয়ে ভালোবাসার বাতাস উপভোগ করে। অহেতুক কেন কষ্ট পাবেন আপনি। এটিও হতে পারে আপনার শূন্যতার স্থানে পূর্নতা অপেক্ষা করছে।
- সময় বড়ো অদ্ভূত, কেমন করে সব পাল্টে দেয়।
- শুধু কষ্ট না পেয়ে উঠুন, খুঁজুন আপনার পূর্নতার মানুষকে। সেও হয়তো আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
আচ্ছা আপনি কি করেন?
- আমি ডাক্তার।
- ডাক্তারের মনে এত ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে আগে কখন অনুভব করিনি।
- কত ডাক্তারের মন পড়েছেন আপনি?
- প্রশ্নের পর প্রশ্নের আঘাতে আমাকে জর্জরিত করে তুলছেন।
- কোন প্রশ্ন?
আগেই বলে রাখি বৈশাখীর থেকে সোহাগের রুপ সৌন্দর্যে অনেক গুনে বেশি লাবন্যময়। মায়ের সাথে কোনো এক দরকারে বৈশাখী হাই কোটে গিয়েছিল। সোহাগকে সে আসতে বলে, পরিচয় ঘটার পর প্রথম বার তাকে কাছ থেকে দেখার জন্য। বৈশাখী আগেই বলে দিয়েছে মা থাকার কারনে সোহাগ সাথে সে কথপকথন করতে পারবে না।
কি আর করার তাই মেনে নিয়ে সোহাগ অবশেষে বৈশাখীর সামনে দিয়ে দুই বার রাস্তার পথিকের ন্যায় হেঁটে চলে গেলো।
বৈশাখী সোহাগকে দেখে রীতি মতো অবাক হলো। মাথা ধরতে শুরু হলো তার। যে ছেলেকে ফেসবুকে সুন্দর ছেলে বলে কমেন্ট করতো সে শুধু সুন্দর নয় বলা চলে সুন্দরের সুনামী। নিজের প্রতি লজ্জ্বা অনুভব করলো সে।
আপন মনে ভাবতে লাগলো আমার মতো অসুন্দর মেয়ে কি করে এত সৌন্দর্যবান ছেলের প্রেমিকা হতে পারে। মনে মনে প্রচন্ড ভয় হলো বৈশাখীর। তাহলে কি সোহাগ প্রেমের নাটক করছে? রুপ হীন মেয়ের যৌবনতা ছাড়াতো কিছুই নেই। সোহাগ কি সেটার জন্য বৈশাখীকে প্রেমের জালে ফাঁসাতে চাইছে। কেমন যেনো ভাবনা গুলো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে তার। তারপর ফেসবুকে নিয়মিত কথা চলে দুজনার ভালোবাসার বক্ষ গহ্বর থেকে। দেখতে দেখতে আরও কিছুটা সময় পেরিয়ে যায়।
দুজনার কল্পনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত টানলো তারা দেখা করবে বসিরহাট পার্কে। বেলা চারটার সময় কিন্তু সোহাগ জানালো সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে তার কপাল কেটে গেছে। আজ সে আসতে পারবে না।
বৈশাখী প্রচন্ড রাগ গেলো। সে বসিরহাট থেকে ফিরে যাচ্ছে সোহাগের না আসার জন্য। অটোরিক্সাতে উঠে সোহাগকে লিখল "আমি চলে গেলাম অনেক দূরে"।
কিছু মূহুর্ত পর সোহাগ ফোন করলো। বৈশাখী অনইচ্ছাকৃত ভাবে কল রিসিভ করলো। সোহাগ বলেই চললো, " আমি বাইক চালাচ্ছি যেখানে আপনি আছেন ওখানেই নেমে যান। বিশ মিনিটের মধ্যে আমি আপনার সামনে হাজির হবো জাহাপনা"।
আর কি করার রাস্তার ফাঁকা জায়গায় নেমে পড়তে হলো বৈশাখীর। কিন্তু রাগ কমলেও অভিমান পরপর বেড়েই চলছে তার।
সোহাগ এসে বৈশাখীকে বললো চলো আজ তোমাকে এক অপরূপ সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখাবো। বৈশাখীকে বাইকে নিয়ে সোহাগ আপন গতিধারা বজয় রেখে বাইক ছুটিয়ে যায়। চলতি বাইকেই সোহাগ ইশারা করে বৈশাখীকে বার বার অনুরোধ করেই চলেছে একবার আই লাভ ইউ বলার জন্য। উত্তর না আসার জন্য সোহাগ যা কান্ড কারখানা শুরু করেছে তাতে বৈশাখী রিতিমতো ঘাবরে গিয়ে বলেই ফেলে আই লাভ ইউ। বৈশাখীর মুখ থেকে এই বাক্য শোনার পর সোহাগের মনে হতে শুরু হলো। হিমালয় পর্বতমালা কেউ যেনো তার মাথার উপর থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
বৈশাখী লজ্জা পেলেও সোহাগের আচরণ তার মনের কোনে মালা গাঁথতে শুরু করেছে। বাইক যখন গন্তব্য স্থলে গিয়ে থামলো তখন বৈশাখী দেখলো সত্যি এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের তুলনা করা চলে না। বসিরহাটে কোন এক নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে সোহাগ তাকে নিয়ে গিয়েছে।
নদীর তীর ধরে দুজনা হাঁটতে শুরু করলো। নিজেদের মধ্যে কথা চলতে থাকে নানা ধরনের। কারন-অকারনে বৈশাখী লজ্জায় সোহাগের মুখের দিকে তাকিতে পারছেনা। গল্পের ছলে ঘুরতে ঘুরতে সোহাগ বৈশাখীর মাথার চুলের উপর একটি চুম্বন এঁকে দেয়। বৈশাখী সোহাগের এমন অদ্ভূত স্পর্শকে বুঝতে পেরেছে তা সোহাগকে অনুভব করতে দেয়নি কোনো ভাবে।
সোহাগ বৈশাখীকে জড়িয়ে ধরে কাব্যিক ভাবে প্রকৃতির বর্ননা দিতে থাকে। সূর্যের দিকে ইশারা করে সোহাগ বলতে শুরু করে, " সূর্য যেনো না ডোবার প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয়েও ডুবতে চলেছে। টিভিতে আ্যন্টাসিড ট্যাবলেট এর এড দেবার মতো পাখি গুলো মাঝে মাঝে তাদের দলবদ্ধ ভঙ্গ করে এদিকে ওদিকে উড়তে থাকে। সৃর্য তার প্রতিজ্ঞা ভেঙ্গে ডুবতে যাওয়ার লজ্জায় সোনালী আভা নদীর জলে ফেলে সোনার নদী তৈরি করার একটা আপ্রান চেষ্টা লাগিয়েছে আর কি। সৃর্যের এই খুনসুটি ভালোবাসা দেখে আমার ভালোবাসাকে পরিবর্তন ঘটাতে ইচ্ছা হচ্ছে।
বৈশাখী সোহাগকে লক্ষ্য করে বলে দেখো, মহাশূন্যতার এই আকাশে সূর্য অস্তের দিগন্ত থেকেই যেন উঠে আসছে কয়েক ঝাঁক পাখি। দলবেঁধে তারা বাসার উদ্দেশ্যে তারা রওনা দিয়ে আমাদের ইঙ্গিত দিচ্ছে বাড়ি ফেরার জন্য।
সোহাগের মনের কল্পনার সত্য গোপন হয় না। তা প্রকাশ পায় বৈশাখীর অন্তরে। সে কি আশ্চর্য এক কল্পনা ছিল। নীল রং সোহাগের খুব প্রিয় তাই বৈশাখীর পরনে নীলের দেখা।
করোনা নয়,মৃত্যুর ভয়
জুয়েল রুহানী
জুয়েল রুহানী
করোনার ভয় করো না ভাই
মৃত্যুকে ভয় করো
করোনা না নয়, সত্য মহান-
মৃত্যু অনেক বড়!
মৃত্যুকে ভয় করো
করোনা না নয়, সত্য মহান-
মৃত্যু অনেক বড়!
করোনা শুধু আভাস মাত্র-
মৃত্যু পথও যাত্রীর,
দিনের আলো শেষে যেমন-
আভাস আসে রাত্রির।
মৃত্যু পথও যাত্রীর,
দিনের আলো শেষে যেমন-
আভাস আসে রাত্রির।
করোনার এই আগোমনে হও
যাত্রীরা হুশিয়ার,
জীবন নদী পারাপারের-
নেইকো সময় আর!
যাত্রীরা হুশিয়ার,
জীবন নদী পারাপারের-
নেইকো সময় আর!
করোনায় আজ থমকে গেছে
পৃথিবীর লীলাক্ষেত্র,
মরনকে আজ স্বরন করে-
শত্রুরা হও মিত্র!
পৃথিবীর লীলাক্ষেত্র,
মরনকে আজ স্বরন করে-
শত্রুরা হও মিত্র!
ভূবনে যত অন্যায় আর-
পাপাচারে ছিলে রত,
মৃত্যুর ভয় করে তবে হও
প্রভূর কাছে নত।
পাপাচারে ছিলে রত,
মৃত্যুর ভয় করে তবে হও
প্রভূর কাছে নত।
কাল্পনিক
শুকদেব পাল
শুকদেব পাল
দীর্ঘদিন একই জীবনে অভস্থ্য আকাশ ,
রাতের বেলা নক্ষত্রদের ফুটিয়ে তোলা, যেভাবে কৃষ্ণ ফলকে অসংখ্য বিন্দু করে ছড়িয়ে থাকে,আর মধ্যে কিছু মহাজাগতিক জ্যোতিষ্কের চোখের পলক পরে আবার কারোর পরে না ।
একরাশ আলোকে হয়তো কাবু করতে পারে নি বলে সূর্যকে রেখেছে হৃদয়ের কোণে, সেই অসীম আকাশ জানে হৃদয় পুড়লে কোনো আক্ষেপ নেই ,তার শরীরের সর্বত্র জুড়ে ফস্কার মতো ছড়ানো অগ্নি স্ফুলিংগ ।
সেই দগদখে ঘা মিলিয়ে যায় দিনের আলোতে তাই বলে বেদনা নয় ।
ক্ষণিকের প্রশমনে বৃষ্টি কনার আবেশ মলমের কাজ করে ।
সীমাহীন এ আকাশের যন্ত্রনা অনন্ত , কল্পনিক নীহারিকা ঘনিয়ে আনে মহা জাগতিক মেঘ যখন সৃষ্টি উদ্ভব সদ্যজাত বায়ুমণ্ডলে রামধনু থাকবে ,কিন্তু অক্সিজেন থাকবে না ।
রাতের বেলা নক্ষত্রদের ফুটিয়ে তোলা, যেভাবে কৃষ্ণ ফলকে অসংখ্য বিন্দু করে ছড়িয়ে থাকে,আর মধ্যে কিছু মহাজাগতিক জ্যোতিষ্কের চোখের পলক পরে আবার কারোর পরে না ।
একরাশ আলোকে হয়তো কাবু করতে পারে নি বলে সূর্যকে রেখেছে হৃদয়ের কোণে, সেই অসীম আকাশ জানে হৃদয় পুড়লে কোনো আক্ষেপ নেই ,তার শরীরের সর্বত্র জুড়ে ফস্কার মতো ছড়ানো অগ্নি স্ফুলিংগ ।
সেই দগদখে ঘা মিলিয়ে যায় দিনের আলোতে তাই বলে বেদনা নয় ।
ক্ষণিকের প্রশমনে বৃষ্টি কনার আবেশ মলমের কাজ করে ।
সীমাহীন এ আকাশের যন্ত্রনা অনন্ত , কল্পনিক নীহারিকা ঘনিয়ে আনে মহা জাগতিক মেঘ যখন সৃষ্টি উদ্ভব সদ্যজাত বায়ুমণ্ডলে রামধনু থাকবে ,কিন্তু অক্সিজেন থাকবে না ।
কবিতা
মৃত্যু
মিনতি গোস্বামী
মৃত্যু
মিনতি গোস্বামী
চলে যেতে পারি অনায়াসে এই পৃথিবী ছেড়ে
বুকে নিয়ে অজস্র টুকরো স্মৃতি
এঁদো ডোবা,শালুকলতা,করবী বকুলফুল জেগে ঘ্রাণে
মরাডালের ফুলে বুঝেছি মৃত্যুর মানে।
বুকে নিয়ে অজস্র টুকরো স্মৃতি
এঁদো ডোবা,শালুকলতা,করবী বকুলফুল জেগে ঘ্রাণে
মরাডালের ফুলে বুঝেছি মৃত্যুর মানে।
মৃত্যু যদি হয় আকাশের উজ্জ্বল তারা
তোমার ভেতর মৃত্যুতে হবো হারা
নদী পাহাড় পর্বত থাকবে এমনি জেগে
আমি চলে যাবো মৃত্যুর আবেগে।
তোমার ভেতর মৃত্যুতে হবো হারা
নদী পাহাড় পর্বত থাকবে এমনি জেগে
আমি চলে যাবো মৃত্যুর আবেগে।
নতুন পোষাকে ফিরবো আবার এখানে
দেখবো শালিখ মেতেছে স্নানে মিশে যাবো আবার মানুষের ভিড়ে
আমাকে পাবেনা বুক চিড়ে।
দেখবো শালিখ মেতেছে স্নানে মিশে যাবো আবার মানুষের ভিড়ে
আমাকে পাবেনা বুক চিড়ে।
আজব শহর এক
অঞ্জলি দে নন্দী, মম
অঞ্জলি দে নন্দী, মম
এক যে ছিল আজব শহর।
আকাশে তার ছুটতো সলিল লহর।
তার ওপরে সারি সারি সারি
ভাসতো কত কত কত
পাল তোলা নৌবহর।
সেই শহরে সারা নিশি প্রহর
গাছগুলো সব যত
রং বে রঙের পাতা বাহারী,
তারার আলোয় নেচে নেচে নেচে
গাইতো জোরে জোরে জোরে ধরিত্রী-গীত,
অপূর্ব সব ধুনে;
সেই সময়ে তাদের গীত শুনে,
শহরের প্রস্থর স্ট্যাচুগুলি সব
হেসে হেসে হেসে উঠতো বেঁচে।
আর কোরতো হাস্য-নাট্য-উৎসব।
উদ্ভিদ দল - দিনের বেলায়
মাত্ত কাবাডি খেলায়,
নাড়িয়ে লম্বা লম্বা লম্বা শাখা।
কোরতো লড়াই তারা নিয়ে
তাদের আপন আপন হার-জিত।
শহরটির মাটি ছিল ঢাকা
ঝকঝকে চাঁদীর চাদর দিয়ে।
চাদরের ওপরে বসে দেব-দেবী সকলে
গাঁথতো মালা নক্ষত্র পুষ্প নিয়ে।
সেই শহরের সাথে ওদের বড়ই প্রীত!
আর মানুষ সবাই হামাগুড়ি দিয়ে
চলতো মাটির নিচে দিয়ে।
সেই শহরে ছিল না কোনোই পশুপক্ষী।
সারাদিনরাত উড়তো শুধুই মধুমক্ষী।
পুরো ইউনিভার্স -
ছিল সেই শহরটার দখলে।
লিফ্ট চড়ে সেই শহরে প্রতি মঙ্গলবারে
বেড়াতে আসতো পৃথিবীর প্রিয় গ্রহ-মার্স।
শহরটি সেদিন সাজতো
ঘন জঙ্গল-হারে,
আর সূচ্চ-পাহাড়ে।
সেদিন তার হৃদয়ে বাজতো
মহব্বতের, নহবতের সুর।
মার্সকে সে শহর
খেতে দিত মিক্স আখের-খেঁজুর-তাল-গুড়।
সেই শহর আজও আছে।
সবার কল্পনারই অতি কাছে।
আকাশে তার ছুটতো সলিল লহর।
তার ওপরে সারি সারি সারি
ভাসতো কত কত কত
পাল তোলা নৌবহর।
সেই শহরে সারা নিশি প্রহর
গাছগুলো সব যত
রং বে রঙের পাতা বাহারী,
তারার আলোয় নেচে নেচে নেচে
গাইতো জোরে জোরে জোরে ধরিত্রী-গীত,
অপূর্ব সব ধুনে;
সেই সময়ে তাদের গীত শুনে,
শহরের প্রস্থর স্ট্যাচুগুলি সব
হেসে হেসে হেসে উঠতো বেঁচে।
আর কোরতো হাস্য-নাট্য-উৎসব।
উদ্ভিদ দল - দিনের বেলায়
মাত্ত কাবাডি খেলায়,
নাড়িয়ে লম্বা লম্বা লম্বা শাখা।
কোরতো লড়াই তারা নিয়ে
তাদের আপন আপন হার-জিত।
শহরটির মাটি ছিল ঢাকা
ঝকঝকে চাঁদীর চাদর দিয়ে।
চাদরের ওপরে বসে দেব-দেবী সকলে
গাঁথতো মালা নক্ষত্র পুষ্প নিয়ে।
সেই শহরের সাথে ওদের বড়ই প্রীত!
আর মানুষ সবাই হামাগুড়ি দিয়ে
চলতো মাটির নিচে দিয়ে।
সেই শহরে ছিল না কোনোই পশুপক্ষী।
সারাদিনরাত উড়তো শুধুই মধুমক্ষী।
পুরো ইউনিভার্স -
ছিল সেই শহরটার দখলে।
লিফ্ট চড়ে সেই শহরে প্রতি মঙ্গলবারে
বেড়াতে আসতো পৃথিবীর প্রিয় গ্রহ-মার্স।
শহরটি সেদিন সাজতো
ঘন জঙ্গল-হারে,
আর সূচ্চ-পাহাড়ে।
সেদিন তার হৃদয়ে বাজতো
মহব্বতের, নহবতের সুর।
মার্সকে সে শহর
খেতে দিত মিক্স আখের-খেঁজুর-তাল-গুড়।
সেই শহর আজও আছে।
সবার কল্পনারই অতি কাছে।
এসেছে শরৎ
কনিকা রায়
কনিকা রায়
বর্ষার মুখ ভার কেটে এসেছে শরৎ!
ঘাসের আগায় লেগেছে হিমের পরশ!!
কাঁশের বনে লেগেছে দোলা!
আজ আমার মন যে বড়োই উত্তলা!!
জুঁই, কেয়া,করবী শরৎ এর সাথী!
স্বর্ণ ধানের সোনার রঙ্গে মাঠ উঠেছে যে মাতি!!
ঘাসের আগায় লেগেছে হিমের পরশ!!
কাঁশের বনে লেগেছে দোলা!
আজ আমার মন যে বড়োই উত্তলা!!
জুঁই, কেয়া,করবী শরৎ এর সাথী!
স্বর্ণ ধানের সোনার রঙ্গে মাঠ উঠেছে যে মাতি!!
ভোরের বেলায় শিউলি তলায় পরেছে কত ফুল!
দশোভূজার আগমনে মেতেছে নদীর দু-কূল!!
মায়ের আগমনে ঢাকে পরেছে কাঁঠি!
আজ বাংঙ্গালীর মন উৎসবে পরিপাটি।
দশোভূজার আগমনে মেতেছে নদীর দু-কূল!!
মায়ের আগমনে ঢাকে পরেছে কাঁঠি!
আজ বাংঙ্গালীর মন উৎসবে পরিপাটি।
কবিতা :
আমার পাখি!
বিশ্বজিৎ কর
আমার পাখি!
বিশ্বজিৎ কর
রাতের সুখশয্যায় তুমি অনন্যা,নাগালের বাইরে-
বাহুবন্ধনের উষ্ণতায়,কামনার জোয়ারে.......
ভুলে গেছ কবিতার ঠিকানা -
কত কথা বার্তা হয়ে গেছে
তোমার মনের ডাকঘরে!
তুমি বলতেই পারনি -
"দে পড়ে দে আমায় তোরা,
কি কথা আজ লিখেছে সে...!"
কবির চেতনায় তুমি যে এক মুক্ত ডানার পাখি!
সার্কাস জীবন
হামিদুল ইসলাম
যখন যেখানে দাঁড়াই
সারাক্ষণ অক্লেশ
পাখিরা উড়ে যায় নীলাকাশে
বন্ধুত্ব পরস্পর ভাঙনের মুখে ।
ছায়ারা জেগে ওঠে ঘুম থেকে
অদৃশ্য শক্তি হাতে
জিয়ন কাঠি মরণ কাঠি পড়ে থাকে মাঠে
পূবের আকাশে এখন অশনি সংকেত ।
নৈঃশব্দের বেড়া ভাঙে রাতের আঁধার
অদৃশ্য কথোপকথন
নিমেশে গুণে নিই এ জীবনের সমস্ত অনুভূতি
জীবন এখন সার্কাস জীবন ।
নিত্য আলোয় ফুটে ওঠে এখনো ভোরের মুখ ।
ও পাড়ার উত্তর পাড়ার মাঠ
আব্দুল রাহাজ
আলী দের গ্রামের উত্তর দিকে এক দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ ছিল গ্রামের সবাই উত্তরপাড়ার মাঠ বলে জানে। এই উত্তরপাড়ার মাঠ নাকি রাতের বেলায় রহস্যজনক হয়ে ওঠে সন্ধ্যার দিকে আর কেউ যায় না। সেবার পূর্ণিমা তলার মেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে রহিম আলী সুজন ভুবনরা উত্তর পাড়ার ঐ মাঠের পাশ দিয়ে পায়ে হেঁটে হেঁটে গল্প করতে করতে আসছিল রহিম বলল এই ভুবন এতো উত্তরপাড়ার মাঠের মাঝখানে আমরা ভয়ে কাঁপতে লাগলো সুজন দেখল তাদের সামনে থেকে একটু দূরে লাল আলো জ্বলছে চারিদিকে যেন ঝুম ঝুম আওয়াজ ওরা তো ভয় আড়ষ্ট হয়ে গেল ওরা সবাই দৌড় দিল এদিকে উত্তরপাড়ার মাঠ বিভিন্ন আলো ফুটে উঠল যেন অদৃশ্য মানুষের পায়ের আওয়াজ এসব দেখছিল উত্তর ভারত থেকে কিছুটা দূরে নিয়ামত চাচা আমবাগান থেকে তখন রাত প্রায় একটা ওরা তো সবাই ভয় আরষ্ট হয়ে গিয়েছিল ওরা দিচ্ছিল ওদের দিকে যেন আশ্চর্য ভাবে আসছে একজন ওরা দৌড় দিয়ে গ্রামের চার রাস্তার মোড়ে এসে হাঁফাতে লাগলো গ্রামের চৌকিদার হারাধন দাদু বলল হ্যাঁরে পূর্ণিমার মেলা দেখতে গিয়েছিলি উত্তরপাড়ার মাঠ অতিক্রম করে এসেছিস তোদের দম আছে বটে। এরপর চৌকিদার হারাধন দাদুর সাথে সব বলল দাদুর কাঁপতে আরম্ভ করলো কেউ কি তার দাদুর কোয়াটার গিয়ে একটু জল খেল তখন রাত প্রায় তিনটে বাজে চৌকিদার বলল তোরা বাড়ি যা জানিনা উত্তরপাড়ার মাঠের ভূতগুলো আবার আমাদের গ্রাম কে যদি গ্রাস করে ফেলে কি জানি কি হবে সামনের দিনগুলো এই কথা গ্রামের মানুষের সাথে বলল ওরা তারপর উত্তর পাড়ার মাঠে হয়ে উঠলো সবার কাছে এক আতঙ্কের উত্তরপাড়ার মাঠের দিকে আর কেউ যায়না দেখতে দেখতে একটি বছর কেটে যাওয়ার পর উত্তরপাড়ার মাঠ একটা বনে রূপান্তরিত হল গ্রামের চৌকিদার হারাধন দাদু তা দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত হয়েছিল। এরপর গ্রামের সবাই উত্তরপাড়ার মাঠকে বলতে লাগলো ভূতের হানা এইভাবে উত্তরপাড়ার মাঠ সবার কাছে আতঙ্কের মাঠ হয়ে উঠেছিল।
বসন্তের আবির
সায়ন প্রামানিক
আবির মাখা অন্তরাগ
মুছিয়ে দিক মনের দাগ
লাল পলাশের রঙের গুনে
বসন্তের এই মধুর দিনে
সপ্ত রঙে উঠুক ভরে
জীবন সারা বছর ধরে ।
Source-Man
Dr.Mahitosh Gayen
Of space
by the boorish road
The source-man walks
last lonely night.
There is no vision
fire in his eyes,
Jaw in pain
comes hard.
Still a strong dream in both eyes
advanced shire walks ...
Wash away all dirt
wants to get new world.
Happiness and peace
very intense of love
Walks on promise-
walks fast.
Dreamy dawn of good
times waiting
With sincere pride
In anticipation of translucent.
বৃষ্টি রাতের সুর
উমর ফারুক
তুফান এসে নাড়ছে কড়া
দুর্গ ভেঙ্গে ঢুকতে চায়
জানালা দিয়ে বাইরে দেখি
ঝড়ের দানব বেলতলায়।
পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে কে
ডুমুর গাছে কে দেয় হানা
একপেয়ে নারিকেল গাছ
মিনতি করছে নানা ।
বদ্ধ ঘরে ল্যাম্প জ্বালায়
বৃষ্টি পড়ে ঢুকেছে জল।
স্যাঁতসেঁত করে ভয় ভয় ভাব
বন্যার মত করে উচ্ছ্বল।
ঘুম আসেনা এক'টা বাজে
কবর থেকেও কী ভয়ানক
আকাশ কাঁদে তুমূল জোড়ে
চাঁদ মামা আজ বিমূখ ।
ব্যাঙের ডাকে মেঘ সাড়া দেয়
বন্ধ পথের হাঁটাচলা
আঁধার রাতে চোখ বুজেছি
ভাসছে মেঘের কত ভেলা।
প্রেমিক আমি
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
যখন ছিলে কাছে
মনে হোতো
এসো আরও কাছে।
যখন কথা হোত
মন বলতো
একি তবে মিছে!
যখন পাশাপাশি বসে
মধুর সংলাপ ছিল
কে জানতো ---
তুমি চলে যাবে দূরে!
যখন স্পর্শ ছিল
অনুরাগে
মনে হতো-
কেউ যাবো না সরে।
হাসিতে হাসি যখন ফুট তো
কেউ পারেনি
তারে রুখতে।
যখন কেবলই প্রেম ছিল
কেউ দেখেনি
আড় চোখে তে।
এখন তুমি গেছো সরে
কিসের ছলে
কওনা কথা কোনো
অকারণে মিথ্যে
বাঁধা অঞ্চলে।
যদি আর নাই কাছে এলে
তবে কেন
এসেছিলে আধা রাতে?
জ্যোৎস্না আজও আকাশে
শুধু নেই তুমি
আনন্দের অশ্রুপাতে।
কাক
বিপ্লব গোস্বামী
একটা কাক অবিরাম ডাকছিলো,,,
কদমের ডালে ।
কেউ বুঝতে চাইল না
কেন ডাকছে সে।
কত জন তাড়া করে তারে
কত জন দিলো গালি।
তবু কাক ডাকে,কদমের ডালে
কতনা সুরে কতনা বার
বসন্তের কাল,সকাল বিকাল।
কাক বলে: ওহে নবিশ
তোমার মনে কি নেই বিষ ?
তোমার সঙ্গী-সাথী যারা
সবে আমায় করে তাড়া !
কবি কোন রসেতে আত্মহারা
কোনসে ভুলে করো না তাড়া।
কবি বলেন : কাক,কুহু সুরে ডাক
সবে তোরে করবে আদর।
কাক বলে : শুন নবিশ
মম কণ্ঠে বড় বিষ !
খেয়ে পচা গলা ঝড়া
সুচি করি ধরা।
কেবল কা ডাকিলেই -তাড়া !!
এক ভাষণে জাগলো মানুষ
চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু
খোকা নামের সেই ছেলেটির সবাই তাকে চিনতো,
স্বপ্ন ছিলো দু'চোখ জুড়ে গুনতো নতুন দিনতো।
মনের ভেতর আগুন ছিলো কেউ কি সেদিন জানতো,
ছোট বড় সবাই সেদিন তাকে নেতা মানতো।
লাল সবুজের আনবে সে দেশ বাঘের মত বলতো,
করবে লড়াই ওদের সাথে সেই সাহসে চলতো।
একাত্তরের সেই মার্চে মনের কথা বললো,
সারা দেশে ঘরে ঘরে তাইতো আগুন জ্বললো।
জাগলো সবাই করলো শপথ আনবে তারা দেশটা,
যাইনি বৃথা বীর বাঙালির তাদের প্রানের চেষ্টা।
পালিয়ে গেলো দস্যুরা সব নতুন স্বদেশ আসলো,
দেশ জুড়ে তাই এই বাঙালি আনন্দে সব ভাসলো।
খোকা নামের সে নেতা কে এবার সবাই জানবে,
দেখলে ছবি শ্রদ্ধা ভরে বুকের ভেতর টানবে।
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর দিলো শেষে রক্ত,
বুকের মাঝে থাকবে অমর আমরা যে তার ভক্ত।
💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"মহরম সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 18 Aug 2020 থেকে 29 Aug 2020 এর মধ্যে
যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
বিষয়:-কারবালার ঘটনা ও মহরম সম্পর্কীত
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "মহরম সংখ্যা"
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 30 Aug 2020 , বিকাল 3টা
বাহুবন্ধনের উষ্ণতায়,কামনার জোয়ারে.......
ভুলে গেছ কবিতার ঠিকানা -
কত কথা বার্তা হয়ে গেছে
তোমার মনের ডাকঘরে!
তুমি বলতেই পারনি -
"দে পড়ে দে আমায় তোরা,
কি কথা আজ লিখেছে সে...!"
কবির চেতনায় তুমি যে এক মুক্ত ডানার পাখি!
সার্কাস জীবন
হামিদুল ইসলাম
যখন যেখানে দাঁড়াই
সারাক্ষণ অক্লেশ
পাখিরা উড়ে যায় নীলাকাশে
বন্ধুত্ব পরস্পর ভাঙনের মুখে ।
ছায়ারা জেগে ওঠে ঘুম থেকে
অদৃশ্য শক্তি হাতে
জিয়ন কাঠি মরণ কাঠি পড়ে থাকে মাঠে
পূবের আকাশে এখন অশনি সংকেত ।
নৈঃশব্দের বেড়া ভাঙে রাতের আঁধার
অদৃশ্য কথোপকথন
নিমেশে গুণে নিই এ জীবনের সমস্ত অনুভূতি
জীবন এখন সার্কাস জীবন ।
নিত্য আলোয় ফুটে ওঠে এখনো ভোরের মুখ ।
ও পাড়ার উত্তর পাড়ার মাঠ
আব্দুল রাহাজ
আলী দের গ্রামের উত্তর দিকে এক দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ ছিল গ্রামের সবাই উত্তরপাড়ার মাঠ বলে জানে। এই উত্তরপাড়ার মাঠ নাকি রাতের বেলায় রহস্যজনক হয়ে ওঠে সন্ধ্যার দিকে আর কেউ যায় না। সেবার পূর্ণিমা তলার মেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে রহিম আলী সুজন ভুবনরা উত্তর পাড়ার ঐ মাঠের পাশ দিয়ে পায়ে হেঁটে হেঁটে গল্প করতে করতে আসছিল রহিম বলল এই ভুবন এতো উত্তরপাড়ার মাঠের মাঝখানে আমরা ভয়ে কাঁপতে লাগলো সুজন দেখল তাদের সামনে থেকে একটু দূরে লাল আলো জ্বলছে চারিদিকে যেন ঝুম ঝুম আওয়াজ ওরা তো ভয় আড়ষ্ট হয়ে গেল ওরা সবাই দৌড় দিল এদিকে উত্তরপাড়ার মাঠ বিভিন্ন আলো ফুটে উঠল যেন অদৃশ্য মানুষের পায়ের আওয়াজ এসব দেখছিল উত্তর ভারত থেকে কিছুটা দূরে নিয়ামত চাচা আমবাগান থেকে তখন রাত প্রায় একটা ওরা তো সবাই ভয় আরষ্ট হয়ে গিয়েছিল ওরা দিচ্ছিল ওদের দিকে যেন আশ্চর্য ভাবে আসছে একজন ওরা দৌড় দিয়ে গ্রামের চার রাস্তার মোড়ে এসে হাঁফাতে লাগলো গ্রামের চৌকিদার হারাধন দাদু বলল হ্যাঁরে পূর্ণিমার মেলা দেখতে গিয়েছিলি উত্তরপাড়ার মাঠ অতিক্রম করে এসেছিস তোদের দম আছে বটে। এরপর চৌকিদার হারাধন দাদুর সাথে সব বলল দাদুর কাঁপতে আরম্ভ করলো কেউ কি তার দাদুর কোয়াটার গিয়ে একটু জল খেল তখন রাত প্রায় তিনটে বাজে চৌকিদার বলল তোরা বাড়ি যা জানিনা উত্তরপাড়ার মাঠের ভূতগুলো আবার আমাদের গ্রাম কে যদি গ্রাস করে ফেলে কি জানি কি হবে সামনের দিনগুলো এই কথা গ্রামের মানুষের সাথে বলল ওরা তারপর উত্তর পাড়ার মাঠে হয়ে উঠলো সবার কাছে এক আতঙ্কের উত্তরপাড়ার মাঠের দিকে আর কেউ যায়না দেখতে দেখতে একটি বছর কেটে যাওয়ার পর উত্তরপাড়ার মাঠ একটা বনে রূপান্তরিত হল গ্রামের চৌকিদার হারাধন দাদু তা দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত হয়েছিল। এরপর গ্রামের সবাই উত্তরপাড়ার মাঠকে বলতে লাগলো ভূতের হানা এইভাবে উত্তরপাড়ার মাঠ সবার কাছে আতঙ্কের মাঠ হয়ে উঠেছিল।
বসন্তের আবির
সায়ন প্রামানিক
আবির মাখা অন্তরাগ
মুছিয়ে দিক মনের দাগ
লাল পলাশের রঙের গুনে
বসন্তের এই মধুর দিনে
সপ্ত রঙে উঠুক ভরে
জীবন সারা বছর ধরে ।
Source-Man
Dr.Mahitosh Gayen
Of space
by the boorish road
The source-man walks
last lonely night.
There is no vision
fire in his eyes,
Jaw in pain
comes hard.
Still a strong dream in both eyes
advanced shire walks ...
Wash away all dirt
wants to get new world.
Happiness and peace
very intense of love
Walks on promise-
walks fast.
Dreamy dawn of good
times waiting
With sincere pride
In anticipation of translucent.
বৃষ্টি রাতের সুর
উমর ফারুক
তুফান এসে নাড়ছে কড়া
দুর্গ ভেঙ্গে ঢুকতে চায়
জানালা দিয়ে বাইরে দেখি
ঝড়ের দানব বেলতলায়।
পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে কে
ডুমুর গাছে কে দেয় হানা
একপেয়ে নারিকেল গাছ
মিনতি করছে নানা ।
বদ্ধ ঘরে ল্যাম্প জ্বালায়
বৃষ্টি পড়ে ঢুকেছে জল।
স্যাঁতসেঁত করে ভয় ভয় ভাব
বন্যার মত করে উচ্ছ্বল।
ঘুম আসেনা এক'টা বাজে
কবর থেকেও কী ভয়ানক
আকাশ কাঁদে তুমূল জোড়ে
চাঁদ মামা আজ বিমূখ ।
ব্যাঙের ডাকে মেঘ সাড়া দেয়
বন্ধ পথের হাঁটাচলা
আঁধার রাতে চোখ বুজেছি
ভাসছে মেঘের কত ভেলা।
প্রেমিক আমি
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
যখন ছিলে কাছে
মনে হোতো
এসো আরও কাছে।
যখন কথা হোত
মন বলতো
একি তবে মিছে!
যখন পাশাপাশি বসে
মধুর সংলাপ ছিল
কে জানতো ---
তুমি চলে যাবে দূরে!
যখন স্পর্শ ছিল
অনুরাগে
মনে হতো-
কেউ যাবো না সরে।
হাসিতে হাসি যখন ফুট তো
কেউ পারেনি
তারে রুখতে।
যখন কেবলই প্রেম ছিল
কেউ দেখেনি
আড় চোখে তে।
এখন তুমি গেছো সরে
কিসের ছলে
কওনা কথা কোনো
অকারণে মিথ্যে
বাঁধা অঞ্চলে।
যদি আর নাই কাছে এলে
তবে কেন
এসেছিলে আধা রাতে?
জ্যোৎস্না আজও আকাশে
শুধু নেই তুমি
আনন্দের অশ্রুপাতে।
কাক
বিপ্লব গোস্বামী
একটা কাক অবিরাম ডাকছিলো,,,
কদমের ডালে ।
কেউ বুঝতে চাইল না
কেন ডাকছে সে।
কত জন তাড়া করে তারে
কত জন দিলো গালি।
তবু কাক ডাকে,কদমের ডালে
কতনা সুরে কতনা বার
বসন্তের কাল,সকাল বিকাল।
কাক বলে: ওহে নবিশ
তোমার মনে কি নেই বিষ ?
তোমার সঙ্গী-সাথী যারা
সবে আমায় করে তাড়া !
কবি কোন রসেতে আত্মহারা
কোনসে ভুলে করো না তাড়া।
কবি বলেন : কাক,কুহু সুরে ডাক
সবে তোরে করবে আদর।
কাক বলে : শুন নবিশ
মম কণ্ঠে বড় বিষ !
খেয়ে পচা গলা ঝড়া
সুচি করি ধরা।
কেবল কা ডাকিলেই -তাড়া !!
এক ভাষণে জাগলো মানুষ
চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু
খোকা নামের সেই ছেলেটির সবাই তাকে চিনতো,
স্বপ্ন ছিলো দু'চোখ জুড়ে গুনতো নতুন দিনতো।
মনের ভেতর আগুন ছিলো কেউ কি সেদিন জানতো,
ছোট বড় সবাই সেদিন তাকে নেতা মানতো।
লাল সবুজের আনবে সে দেশ বাঘের মত বলতো,
করবে লড়াই ওদের সাথে সেই সাহসে চলতো।
একাত্তরের সেই মার্চে মনের কথা বললো,
সারা দেশে ঘরে ঘরে তাইতো আগুন জ্বললো।
জাগলো সবাই করলো শপথ আনবে তারা দেশটা,
যাইনি বৃথা বীর বাঙালির তাদের প্রানের চেষ্টা।
পালিয়ে গেলো দস্যুরা সব নতুন স্বদেশ আসলো,
দেশ জুড়ে তাই এই বাঙালি আনন্দে সব ভাসলো।
খোকা নামের সে নেতা কে এবার সবাই জানবে,
দেখলে ছবি শ্রদ্ধা ভরে বুকের ভেতর টানবে।
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর দিলো শেষে রক্ত,
বুকের মাঝে থাকবে অমর আমরা যে তার ভক্ত।
💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"মহরম সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 18 Aug 2020 থেকে 29 Aug 2020 এর মধ্যে
যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
বিষয়:-কারবালার ঘটনা ও মহরম সম্পর্কীত
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "মহরম সংখ্যা"
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 30 Aug 2020 , বিকাল 3টা
0 comments: