রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১

উপকণ্ঠ সাপ্তাহিক পত্রিকা।। Upokontha Weekly Megazine ।। 247 th Issue

 উপকণ্ঠ সাপ্তাহিক বিভাগ-247 তম সংখ্যা

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)    


প্রকাশ কাল:- 04/07/2021, রবিবার
               সময় :- সকাল 05:45মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


স্বর্গ খুব দূরে নয়
জয়িতা চট্টোপাধ্যায়

উচ্চ আকাঙ্খার কাঁটা ফোটে তোমার পায়ে
স্বপ্ন বিবর্জিত হাহাকারময় বিজন সৈকতে
আজ দাঁড়িয়ে আমরা উদাসীনতার মখমল জড়িয়ে গায়ে
স্মৃতিময় প্রাচীন দূর্গের মতো বাড়ি ভেসে ওঠে
পোশাক তুমি ছিন্ন হবে
সবকিছু ছাপিয়ে তোমার মুখ উদ্ভাসিত দৃষ্টিপাতে
শান্তি তোমার তৃষ্ণা পাবে
তোমাকে দেখবো তন্বী গাছে
ফুলের আভায় গাছের নীচে থাকা হলুদ বই আমি
থমকে দাঁড়ানো গলিপথ আমার গাছের নীচে
মজা দীঘির কোন থেকে চাবির দুঃখকে দাও বিদায়
আমার প্রতিটা কবিতা বুক চিরে বলে হ্যাঁ তুমিই আছো
প্রণাম করি অরণ্যের সিংহাসন
পাঁজরের মরুভূমি
চোখের সৈকত
দিগন্তের চেয়েও আরও একটু দূরে যাব
আমার কবিতায় বলি তুমিহীনতার মাঝে প্রতিদিন তুমিময় হয়
মুখে রাখ মুখ
চোখে রাখ চোখ
শরীরে শরীর
দেখি দুচোখ ভরে বহুবর্ণ বাক্যের ওপারে
নবীন পাতার মতো তোমার শুদ্ধ রূপ
হৃদয়ের পরগনা জুড়ে উদ্ভাসিত হয়।।




সম্পর্ক
     ওহিদ রেহমান

বিন্দু বিন্দু উপেক্ষা
জন্ম দেয় একসাগর অভিমান।
সম্পর্করা ভিজে যায় নোনা জলে।

জীবন সৈকতে সম্পর্করা হুটোপুটি করে
যাপিত জীবন হিসেব কষে চলে।
আছড়ে পড়া ঢেউয়ে শুধু আক্রোশ নয়
ভালোবাসার ফসফরাস ও জ্বলে।

আদতে উদাসীন মুখের আড়ালে
সম্পর্করা আঁকিবুঁকি কাটে।
হয়তো, এলোমেলো চুলে বিলি-
কাটতে কাটতে বলা হয়নি
একটা নতুন সম্পর্ক দাঁড়িয়ে আছে বাঁকে।

কিছু খাম বন্দি সম্পর্ক
অপেক্ষায় থাকে একটা ঠিকানার।
মাছের কাঁটা খুলতে খুলতে কিংবা
মশারী গুঁজতে গুঁজতে মনে পড়ে
কতদিন দেখা হয়নি।

সময়ে অসময়ে সম্পর্করা খোঁচা দেয়
কখনো ভালোবাসার কখনো অবহেলার।
দিনের শেষে সম্পর্করা জ্বলতে থাকে
কখনো ফেসবুক কখনো স্মৃতির কড়িকাঠে।

ওহিদ রেহমান
ধুলিয়ান, মুর্শিদাবাদ



3👇👇👇


অন্তঃস্থল

                  ( পঙ্কজ)


   আমি ভুল করেছি তোর কাছে;

কোনো অধিকার আবদার নয়

°°°°° তবে তুই ক্ষমা কর আমায়

       আমি যা পাবার যোগ্য নই

হয়তো তাই চেয়েছিলাম।

   আমার অপরাধ  ক্ষমার  অযোগ্য

বারেক ফিরিয়ে'যোগ্যতা' দিলি তারে তুই-ই

একি মহানুভব! জানিলোনা কেহ যে

                                  চাতুরী করিনু মুই।

      তবুও আজি দোষানুভবে

অভিশপ্তিত হতে ইচ্ছে হয়,অতি সহজে

 যেন চলে যেতে চায়  অনন্তের আশায়!


     ভুলে যেতে পারি আমি,ভুলিসনা তুই!

              আর্তি জুড়ায়ে নিবেদয়  ••••

কলেবরের মন্ত্রণাকে ভুলবুঝিস 'অন্তঃস্থলকে' নয়!

তোর বিশ্বাসেরশূন্যতা প্রতি পলে ভাবায়

ক্ষমা কর ক্ষমা কর তুই আমায়!








4 ) 
           ||  প্রার্থনা  ||
      """""""""""""""""""""""""""""
            সৌম্য ঘোষ
       """""""""""""""""""""""""""""

কতটুকু উন্মুক্ত হলে শরীরে শীতলতা আসে ,
আর কতটা আড়াল সরালে হৃদয়ে
মন্দিরের ঘন্টা বাজে -------  তুমি কি জানো ?

প্রকৃতি জানে,
জানে বলেই সবুজ পাতায় বৃষ্টিস্নান,

পাখিরা জানে,
জানে বলেই ফুলের জলসায় সুরের কলতান ।

আকাশ জানে,
জানে বলেই তার প্রার্থনা নীল শরীরে !

তাই দেখে দেখে শিখেছিলো  পুরুষ
এনেছিল বটবৃক্ষের বীজ  ------  একদিন ।

শরীর জানে, কতটা অবগুন্ঠন সরালে
উলুধ্বনিতে  সন্ধ্যা  নামে  ।।

_______________________________
    সৌম্য ঘোষ। চুঁচুড়া।



রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১

উপকণ্ঠ সাপ্তাহিক পত্রিকা || 25 April 2021 || Upokontha -246 issue

 উপকণ্ঠ সাপ্তাহিক বিভাগ

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)    


প্রকাশ কাল:- 25/04/2021, রবিবার
               সময় :- রাত 07:30 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

নিষ্ঠুর মহামারী
বিপ্লব গোস্বামী

প্রতি শতবর্ষ পরে
        তুমি কেন এসো ফিরে
                     হে নিষ্ঠুর মহামারী !!

কখনো বা প্লেগ হয়ে
        নয় তো কলেরা ভয়ে
              নয় স্প‍্যানিশ নাম ধরি !!

এসেছে বার বার
          করেছে নর সংহার
            মৃত‍্যু মিছিল প্রতি বারই !!

 কুড়িতে করোনা নামে
           প্রতি নগর,শহর,গ্ৰামে
             রূপ নিয়েছে অতিমারি !!

চারিদিকে হাহাকার
              নেই কোন প্রতিকার
                   মৃত‍্যু হয়েছে ভারী !!

কেবল আতঙ্ক-ত্রাস
          হায় ! নিয়তির পরিহাস
                 কেবল লাশের সারি !!

কারো বোন কারো ভ্রাতা
        কারো পিতা কারো মাতা
             কারো পুত্র নিছে কারি !!

শ্মশানেতে জ্বলে চিতা
              পুত্র শোকে কাঁদে পিতা
                  শোকার্ত প্রতি বাড়ি !!

জানি না শেষ পরিণতি
        কোথায় যে টানবে ইতি
            অপেক্ষায় আছি তারই !!



(প্রয়াত কবি শঙ্খ ঘোষের স্মরণে)
মৃত্যুতে আমি
-শ্যামল কুমার সরকার

মৃত্যুর সাথে সেইদিন থেকে আজ
পর্যন্ত আছি আমি
কোলাকুলি দিয়ে; ধরেছি মৃত্যুসাজ--
আমি মৃত্যুকামী।

কত যে মৃত্যু চোখের সামনে করি
পার, শৈশবের সেই
মৃত্যুটা এলো কৈশোরে যখনি পড়ি;
'আমি' মারি আমাকেই।

মৃত্যু আমার সত্যধারায় চলে
যৌবনের মৃত্যুটা
হলেই, বৃদ্ধজন্ম আমাকে বলে,
'গেল আমার আমিটা!'



কবিতা
      শব্দহীন শঙ্খ
কলমে   ডঃ রমলা মুখার্জী

শব্দহীন আজ শঙ্খ-নিনাদ,
স্তব্ধ হয়ে গেল কবিতার ঝর্ণা।
সেই ঝর্ণা-ধারা অহরহ মনের জমাট কালো ধৌত করে বইয়ে দেয় অমৃত সুধা।
ঝুঁকে পড়া মেরুদণ্ড হয় সিধা,
মসৃণ হয় মরচে ধরা বিবেক।
জেগে ওঠে অতলান্ত চেতনা, শোষকের চোখে চোখ রেখে কথা বলার সাহস।
তোমার প্রতিবাদী কলমের শেষ গদ্যগ্রন্থ "ছেড়ে রেখেই ধরে রাখা";
সেটাই এ মুহূর্তে আঁকড়ে রেখে বলি,
তোমাকে ছেড়েও মনেতেই ধরে রাখবো অনুক্ষণ।
হে সত্যের ধ্বজাবাহী, সাম্যবাদী শঙ্খকবি তোমাকে শত প্রণাম।
বিজ্ঞাপনে মুখ ঢাকা এ অস্হির সময়ে আবার এসো ফিরে
কবিতার আকাশে ধ্রুবতারা হয়ে।
শঙ্খ বাজুক আবার.....
অনুরণিত হোক মানুষের হৃদয়,
মনুষ্যত্বের দ্বার হোক উন্মোচিত।


কবিতা -         
      রবিবাসরীয়
            পিনাকী   মুখার্জী
      
                 রবি  সংসার  এক  পরিবার ,
                   বিভাজন , হয়নি  প্রজনন  !!
               ছোট  সংসারে , প্রাণের  প্রদীপ
                    হাতে ,  আমরাই  ক'জন  !!

               শঙ্খধ্বনি  মৌন  আঁধারে , রাত্রি
                     শেষে  রবির  আলিঙ্গন  !!
                  শরৎ  মেঘে  একাকী  রবির ,
                   আজ  অনেক  আপনজন  !!

                      মন  ভেসে  যায় , সুরের
                  ডানায় ,  তোমার  জলসাঘরে !!
                    তোমার  সুর  অঞ্জলি  দেয় ,
                         তোমার  জল  নূপুরে  !!

                 ঐ   সুরেতেই  ধরেছে  কোকিল ,
                         মিষ্টি  মিলন  আলাপ  !!
                   শূন্য  দুপুর ,  আগুন  হাওয়ায়
                        স্বজন  হারানো  বিলাপ  !!



কবি শঙ্খ ঘোষ প্রয়ানে
তাপস কুমার বেরা 

নিভে  গেল সূর্য
আকাশে |
অদ্ভুত অন্ধকার
চরাচর |
এ তিমির ভেদী
শঙ্খ কি আর
বাজবে না ?
জীবন দীপ জ্বেলে
কে করবে তবে
সন্ধ্যারতি ?
এ ঘোর অমানিশা কেটে
শঙ্খ বাদ্য সহকারে
ভোরের আলো কি
আর ফুটবে না ?




বাবুমশাই
মিলন পুরকাইত

সবিনয় নিবেদন' তোমাকে,
যদিও, 'তুমি আর নেই সে তুমি'!
'বাবুমশাই', কোনো এক 'যমুনাবতীর তীরে',
এক 'মহা নিমগাছ' রেখেছিল তোমায় 'আড়ালে' ঘিরে!
'ঝরে পড়ার শব্দ জানে তুমি আমার নষ্ট প্রভু'!
অমর রবে তুমি হৃদমাঝারে, ভুলবো না তোমায় কভু।
তুমি বলেছিলে, '' চুপ করো, শব্দহীন হও ''
সেই তুমিই তোমার কথা রেখে নিঃশব্দে চলে গেলে!
তবু, তোমার তৈরি করা সেই শব্দ-ছন্দের 'খাল',
তোমায় বাঁচিয়ে রাখবেই, এই ত্রিতালে চিরকাল।

বুক পেতে বেশ শুয়ে আছো ঘাসের উপরে চক্রাবলে!
যে শহরে 'মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে'!
মিথ্যে কথার সেই শহরেই,
তোমার নতুন 'পুনর্বাসন' হোক আজ তবে!




জামাই
অঞ্জলি দে নন্দী, মম

জৈষ্ঠ মাসে।
মেয়ে-জামাই কাছে আসে।
জামাই ষষ্ঠীর পর্ব।
জামাই তো শ্বাশুড়ীর গর্ব। (বানান - আমার)
শ্বশুর কেনাকাটি।
শালা-শালী মজা করে।
আদর-যতন এক্কেবারে খাঁটি।
ঘোমটা টেনে শাশুড়ী রান্না করে
পিঁড়িতে বসে রান্নাঘরে।
সুবাসে ম ম ম করে সারা বাড়ী।
এরপরে শাঁখা-পলা পড়া নিজের দুকরে,
জামাইকে তা পরিবেশন করে।
পোলাও, মাছ, মাংস, ভাজাভুজি, তরকারী।
পাখার বাতাস দেয়।
বেরোয় না তাই ঘাম।
জামাইকে কাছের করে নেয়।
পাকা কলা, কাঁঠাল, লিচু, আম,
তরমুজ, কাঁকুর, জামরুল, জাম।
দয়ের বাটি, মিষ্টির থালা।
খাতির, আপ্যায়ন ঢালা।
খেয়ে উঠে জামাই বাবাজীবন
শ্বাশুড়ী মাকে করে নমস্কার।
আর দুহাতে তাকে দেয় উপহার।
প্রতি বছর জামাইষষ্ঠী হয়।
যুগে যুগে যুগে এভাবেই
তো সম্পর্কের ধারা বয়।
এ কথা যে ইতিহাসই কয়।
সংসার চলে অন্তরের শুদ্ধ ভাবেই।





পরিস্থিতি
শ্রীকান্ত মালাকার

তোমার জন্য এখন আমি অপরিচিত মুখ।
তোমার জন্য হারিয়ে যাচ্ছে বন্ধুত্বের সুখ।
তোমার জন্য ডিগ্রি সব আছে ফাইলবন্দি।
তোমার জন্যই হয়েছিল আলিনগরের সন্ধি।

তোমার জন্য মন ভেঙে সংসার গড়ে কেউ।
তোমার জন্য হাসছে সে লুকিয়ে বেদনার ঢেউ।
তোমার জন্য কোন গায়ক বর্তমানে মুদি।
তোমার জন্যই এক শ্রেণীর হচ্ছে টাকার গদী।

তোমার জন্য বনবাসে জনদরদী নেতা।
তোমার জন্য হঠাৎ লাভবান হন কাঁচামাল ক্রেতা।
তোমার জন্য দিশাহীন জীব করে আত্মহত্যা।
তোমার জন্যই নির্ভীক কলম হারায় তার সত্তা।

তোমার জন্য কোন অপদার্থ হয়ে ওঠে শ্রেষ্ঠ।
তোমার জন্য বলির ছাগল হয় অবুঝ কেষ্ট।
তোমার জন্য নরম হৃদয় হয়ে ওঠে কঠিন।
তোমার জন্যই মহাননেতা নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন সেদিন।।





ঝাউবন
   বদরুদ্দোজা শেখু

বেড়াতে যাওয়ার ছিল বন্ধুর বাড়িতে
বন্ধুটি মহিলা ব'লে দ্বিধাও বিস্তর,
বস্তুতঃ এমন সুন্দরী বন্ধুর হাতছানি
নির্জন সৈকতে ঝাউবনের আলিম্পন যেন

ইতস্ততঃ দ্বিধান্বিত মনে বেরোলাম
পাহাড়ি রাস্তায়, পেরোলাম ব্যস্ত বাজারের
মোড়, সব্জি মন্ডির ফুটপাত ধ'রে
আমার লক্ষ্য শুধু বান্ধবীর দেখা পাওয়া,

আদৌ তার বাড়ি যাওয়া নয় ; হয়তো হঠাৎ
কোনো অলৌকিকতায় ভর ক'রে বুঝি
উদয় হবে সে এসে সামনে আমার ,
বলবে অম্লান হেসে, 'দেরী দেখে এসেই গেলাম' ।

বেঁচে যাই বেঁচে যাই তবে , এমন পাওয়াই আমি চাই, কাছে পাওয়া , বাড়ি যাওয়া নয়
পাহাড়ি সন্ধ্যার এই উতলা বাতাসে
আসুক সে আমার কাছে সম্মোহনে সদ্যঃ ঝাউবন ।।




কবিতা
    উত্তরণ
     শান্তি_দাস

জীবনের যত ঘাত প্রতিঘাত
   পেরিয়ে যাবার আশায়,
আসে মোদের অনেক আঘাত
    কেউ থাকে না নিরাশায়।
জীবনে পেরিয়ে যেতে হবে সাগর
   পাহাড় নদী মনে ভাবনা,
সময় বহমান স্রোতের গতিতে
   তবুও মনে জাগে সাধনা।
কামনা বাসনা জীবনের দোড়ে
    সুখকে করি আহরণ,
জীবন যাত্রায় হাবুডুবু খেতে হয়
   যদি না জানে কেউ সন্তরণ।
হতাশাকে চিরসাথী করে রাখলে
   সময় তো পেরিয়ে যাবে,
জীবনের সব আশা আকাঙ্খা
  পূর্ণ হবে না কোন কালে।
চাই মোদের আশা হোক পূর্ণ
   করতে চাই উত্তোরণ,
তাই তো জীবন পথে চলতে
সুখটুকু করতে হবে আহরণ।





দুপুর
রাহাত জামিল

শুনশান নীরবতা আচ্ছন্ন দুপুরের বিলাসিতা,
প্রমোদের অথৈ সাগরে ডুব দিয়ে আয়েস
খুঁজেছিলাম পাকা ডুবুরীর মত।
মালঞ্চ থেকে সবচেয়ে সুন্দর ফুলের
সুঘ্রাণে সাজিয়েছিলাম অপ্রতিরোধ্য দুপুর।
কিম্বা মালির পরিপাটি করা পুষ্প কানন থেকে
বেলী ফুলের অর্ঘ্য সাজিয়ে বরণ করেছিলাম সৌখিন
মধ্যাহ্ন।

বহতা নদে ভেসে যাওয়া শ্যাওলার মতো
পেরিয়েছে সে সব হুড়মুড়িয়ে।
দিনান্তে আঁধারে ফিঁকে হওয়া সূর্যের মতো
বিচ্ছিন্নের ঘোমটা দিয়েছে এখন সেও,
নিষেধের অলিখিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করে দূরে সরিয়েছে দ্রৌপদী দুপুরের ঘনঘটা।
ভুলেছে হর্ষ মাখানো দুপুরের নিখাদ ভালোবাসা
আর বিভিন্ন রঙের অভিন্ন রামধনু।

হয়তো এখন সে আদুরে রাত খোঁজে,
কিম্বা মিশুকে বিড়ালের মত উষ্ণ বিছানা!


দিন যায় দিন আসে....
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

দিন যায় দিন আসে,সবার কথা মনে পড়ে,
এলো যে এমন দিন
ইচ্ছা অনিচ্ছায়
অনেকে বন্দী ঘরে৷
বেকুবের মতো কিছু লোক উদাসীন থেকে,
করোনা সংক্রমণে মরে৷

যাঁদের কর্ম করতে বাইরে বের হতেই হয়,
তাঁদের কথা আলাদা,
উদাসীন থেকে ,মাক্স না পড়ে,সামাজিক দুরত্ব রাখে না বজায়,
তাঁদের জন্য আরো জটিল হবে,
করোনাকে দেশে দেশে করা জয়৷

প্রতি শতাব্দীতে এমন ভাবেই বুঝি,
শুরু হয় মৃত্যু মিছিল?
আমরা বাঁচার পথ খুঁজি?
মানুষে মানুষে কি আর নেই আগের মতো মিল?

দশ —বিশ হাজার বছর  আগে,
যখন পৃথিবীতে লোকজন ছিল না বেশী!
তখন ও কি মানুষ ছিল
মিলেমিশে?
আত্মীয়স্বজন বেড়াতে গেলে হতো খুশী?
নৈতিকতা? সে তো কোথায় যেন হারিয়ে গেছে,
নীতিহীন ভাবে ঝগরা,মারামারি,এই সব যেন বড় হয়ে আছে!
সব কিছু ছাপিয়ে সাহিত্য জগৎ?
এখনো মনটা নিয়ে যায় মানুষের আরো কাছে৷

ভালো থাকুন সবাই,মনে জেগে থাক পবিত্র ভালোবাসা,
লেখক | লেখিকাগণ পাশে আছেন,
মনে তাই জাগে অনেক স্বপ্ন আর আশা৷
——————————————



আশার ছলনা
মহীতোষ গায়েন

একটি আশা বাতাসে উড়ছে
একটি চরছে আকাশে,
একটি আশা রাজনীতি করে
একটি হচ্ছে ফ‍্যাকাশে।

একটি আশা ভোট ময়দানে
একটি শুধুই খাচ্ছে,
একটি আশা রাহাজানি করে
রিগিং করতে যাচ্ছে।

একটি আশা যাচ্ছে প্রচারে
একটি করোনা ভুগছে,
একটি আশা খিদের জ্বালায়
ফুটপাতে পড়ে ধুঁকছে।

একটি আশা প্রেম করে মরে
একটি সাজায় বাসর,
একটি আশা সব লুঠে নিয়ে
বসায় নাচের আসর।

একটি আশা স্বপ্ন দেখাচ্ছে
একটি সুবিধা তুলছে,
সমস্ত আশা উঠেছে সাঁকোতে
সাঁকোটা ভীষণ দুলছে।

একটি আশা এগিয়ে আসছে
সুখ শান্তির জন‍্য,
সব আশারা অপেক্ষায় থাকে
আমজনতা ধন‍্য।



      যদি
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

    যদি হোও সুজন
তেঁতুল পাতায় ন'জন।
   তোমরা ক'জন?
মেঘ বৃষ্টি রৌদ্র ছায়া
  মোট চারজন।
থাকবি আমার সাথে?
    ছায়াঘেরা মাঠে
         কিংবা
হারিয়ে যাওয়া স্রোতে
চড়চড়িয়ে রোদে
      নয়তো
ছাতা মাথায় বরষায়
প্রেম হারানোর ভয়ে
         আনন্দে
         নয়তো
      অশ্রু পাতে।।





বিভাগ-কবিতা
পয়লা বৈশাখ
শংকর হালদার

চৈতের অবসান ,বৈশাখ তার রোদের রং বদলে
ঘোষণা করে, গ্রীষ্ম এখনও তার দখলে ।

একে একে ঋতুগুলো নিজেদের দেখে ফিরে
আভিজাত্য আর অহমিকা রয়েছে ওদের ঘিরে ।

হে নূতন, চিরবরণীয় তোমাকে করি বরণ
ধূপ দীপ পুষ্প আদি আর নানা আভরণ।

ছিন্ন করো দুঃখ দৈন্য ক্লান্তি বিভেদ বেড়া
কে'বা দেখাবে পথ বলো তুমি যে  ছাড়া ।

সখা,সম্মুখে রয়েছ তুমি সময়ের প্রতি বাঁকে
স্বাগত জানায় কর জোড়ে আঠাশের পয়লা বৈশাখে ।




বাসন্তিকা
  অনিন্দ্য পাল

আকাশে ও কিসের রং?
উৎসব মুখর!
হোক্ গে! চল বসন্ত মেখে নিই খুল্লম-খুল্লা
বাজারে প্যাকেটজাত টিপছাপ আর বিছানা-বদল
তাতে কি?
দ্রৌপদীরও তো ছিল পাঁচ-স্বামী!
চল চামড়াটা ডুবিয়ে আনি রক্তহীন ডুবজলে
চল বাসন্তী-নাভিতে চুমু খেয়ে আকণ্ঠ শুষে নিই
কাল-পেয়ালার মধু,
তারপর না হয় ভেবে দেখবো সুন্দরী সায়ানাইড
তোমার ক্লিভেজের খাঁজে লুকিয়ে রাখা যাবে কি না  বিশ্বাসঘাতক রঙের জীবন্ত পুঁটুলি...





প্রেম-বসন্ত
   অশোক কুমার রায়

আড়ালেতে.নড়ে চড়ে ঐ ছুঁড়িটা কে ?
ওরে নদু কৈ-রে আমার চশমাটা দে !
চশমা দিয়ে দেখে
বলছে দাদু হেঁকে
ছুঁড়ির সাথে ছোঁড়াটা বসন্তো-না রে !






কবিতাঃ
"স্মৃতি জ্বালাময়ী"
জুয়েল রুহানী

নূতন দিনের সম্ভাসনে
এ কোন মায়ার আচ্ছ্বাদন?
দূর অজানায় চলার পথে-
পেলাম সুখের সিংহাসন!

সুখের সিংহাসনে বসে
আমি হবো রাজা,
সুখ দিয়েছো তাই তোমাদের
দিব অনেক সাজা!

কল্পনাতে ছিলো নাকো
নানান রঙ্গের আল্পনা,
তোমরা আমায় যা দিলে ভাই
হৃদয় রাজ্যে অল্প না!

কাম্য এমন সুখের স্মৃতি
নূতন দিনের অামন্ত্রনে,
মিশবো মায়ায় ছন্দে অতি-
তোমাদেরই নিমন্ত্রনে!





অনুগল্প
স্কুলের নৈশভোজের সেই দিন টা  
        আব্দুল রাহাজ

সালটা দু হাজার চোদ্দো
তখন আমরা অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি স্কুলে ঘোষণা হয় প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে মাছ ভাত খাওয়ানো হবে সবার মনে আনন্দ উচ্ছলতা দেখা দিয়েছিল সেদিন। আমার পাশে বসে থাকা একজন বলেছিল আহা কত দিন পর মাছ ভাত খাব। আমাদের স্কুলের চারপাশের এলাকা ছিল প্রান্তিক মানুষের বসবাস সেই সব পরিবার থেকে আসা ছেলেমেয়েরা আমাদের স্কুলে পড়তো । যেদিন ঘোষণা হয় মাছ ভাত দেবে সেদিন স্কুলঘর ভরে গিয়েছিল খুব ভালো লাগছিল সেদিন সবার সাথে দেখা হয়েছিল । তারপর টিফিনের ঘন্টা পড়ার সাথে সাথে সবাই মাছ ভাত খেতে যে যার জায়গায় বসে পরলো বেস তৃপ্তিভরে মাছ ভাত খেলো। আমার পাশে বসে ছিল একটা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র দেখলাম তার একটা বড় মাছ পড়েছে সে মাছটা  অর্ধেকটা খেয়ে আর অর্ধেকটা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে সত্যি এই দৃশ্যটা কোনদিন ভোলার নয়।  তারপর দিন তার সাথে দেখা হয়নি বোধহয় অত্যন্ত প্রান্তিক পরিবারের‌ ছেলে । সেই নৈশভোজের কথা আজও মনে পড়ে যায় সত্যিই ওই দিন ছেলে মেয়ে গুলো একটু পেট ভরে খেতে পেয়ে ছিল সেদিন‌। ওই যে দৃশ্যটা আজও কোথাও যেন নিজেকে ভাবায় ওই নৈশভোজে মনে করিয়ে দেয় দুবেলা দুমুঠো খেতে পাওয়া ছেলে মেয়ের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেদিন। নৈশভোজের দিনটা আজও যেন বুকের মণিকোঠায় গেঁথে আছে যা থাকবে আজীবন।





প্রবন্ধ
শুধু উপদেশ নয়
ড. নরেন্দ্রনাথ নস্কর

নিজে যেমন সুস্থ হয়ে বাঁচবেন,
তেমনি নিজের আত্মীয় স্বজন, পরিবার, ও সর্বোপরি আপনার প্রতিবেশি বা শুভানুধ্যায়ীরা যাতে সুস্থ থাকেন সেটার জন্য কিছুটা দায়িত্ব আমাদের কম বেশি সবাইয়ের।
এখন নিশ্চয়ই বিভিন্ন মাধ্যমে যেমন টিভি, রেডিও, ওয়াটস্যাপ, ফেসবুক ইত্যাদিতে দেখতে ও শুনতে পাচ্ছেন যে মহমারী আবার দ্বিতীয় অধ্যায়ে নতুন রূপে ফিরে এসেছে সমগ্র পৃথিবীতে।
মাঝে কিছুটা বিরতি দিয়েছিল।
এই সুযোগে বেশির ভাগ মানুষও সাধারণ সতর্কতা নেওয়া, যেমন নাক মুখ ঢেকে মাস্ক পরা, যথা সম্ভব শারীরিক দুরত্ব  বজায় রাখা, ও ভাল  করে  সাবান জলে হাত ধুয়ে  নেওয়া ইত্যাদি, থেকেও অনেকখানি দুরে সরে গিয়েছিল। কেমন যেন সতর্কতাহীন ভয়হীন হয়ে বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ বেপরোয়া মনোভাবে চলতে শুরু করেছিল।
বেশিরভাগ মানুষের ধারনা হয়েছিল এই রোগের প্রকোপ চলে গেছে, ও আর এই রোগ ফিরে আসবে না।
এই ভুল ধারনার সুযোগে ধীরে ধীরে এই রোগ ক্রমে বিস্তার হয়েছে। অনেকেই বুঝতে পারেনি বা চায়নি।
এই সুযোগে খুব সহজে করোনা রোগ বিনা প্রতিরোধে মহামারীর আকার ধারণ করেছে ও দেশে দেশে নতুন করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী করেছে।
এই মহামারী প্রতিরোধে শুধু সরকারের  উপর দায়িত্ব  দিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়া  উচিত নয়।
সাথে সাথে  আমাদেরও সবাইকে সরকার ও ডাক্তারবাবুদের উপদেশ মেনে চলতে হবে নিষ্ঠার সঙ্গে।
আগের নির্দেশ মত আবার বাইরে বেরোলে অবশ্যই নাক মুখ ঢেকে মাস্ক পরতে হবে ও যথা সম্ভব শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে ও সঙ্গে পরিস্কার সাবান জলে হাত ভাল করে হাত ধুতে হবে বা অলকোহল স্যানিটাইজারে হাত ঘসে নিতে হবে।
আসুন নিজের ও অন্যের স্বাস্থ্য  নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ও জীবন রক্ষার জন্য এই বিধিগুলো মেনে চলি ও মহমারী প্রতিরোধে দেশকে সাহায্য করি।





বিভাগ :  বাংলা প্রবন্ধ
দার্শনিক রবীন্দ্রনাথ
"""""""""""""""""""""""""""""""""
    সৌম্য ঘোষ
""""""""""""""""""""""""""""""""

সৌন্দর্যের ভেতর দিয়ে সত্যের ও প্রেমের সাধনাই রবীন্দ্রনাথের সমগ্র কাব্যসাহিত্যের ইতিহাস। এই দর্শন বেদান্তের সেই মূল মন্ত্র :   "একং সদ্বিপ্রা বহুদা বদন্তি"  এই তত্ত্বের মর্মবাণী। অর্থাৎ পৃথিবীর সব বস্তুই একই বস্তুর বিকাশমাত্র। রবীন্দ্রনাথ তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন থেকে বেদ-উপনিষদের মূল তত্ত্বের পরিচয় লাভ করেছিলেন। কিন্তু মায়াবাদী দার্শনিক কিংবা সন্ন্যাসীর মতো সবই শেষ পরিণতিতে ঈশ্বরে বিলুপ্ত হবে বলে ঈশ্বরের বিশ্বসৃষ্টিকে ‘স্বপ্নজগৎ কিংবা মায়ার আবরণ’ বলে ভ্রম করেননি কবি। জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতে, শত উপলব্ধির প্রত্যক্ষ অনুভূতিতে জীবনসমুদ্ররূপ রূপনারাণের কূলে জেগে উঠে তিনি অনুভব করেছেন, এ জগৎ স্বপ্ন নয়, পরম বাস্তব। এই পরম বাস্তবের আয়নায় দেখেছেন নিজ রক্তের অক্ষরে আপনার বাস্তব রূপ। এই সুখ-দুঃখময় বিচিত্র শোভাসম্পদের আধার পৃথিবী ও বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কবির কাছে পরম রমনীয় বলে মনে হয়েছে তাই। পৃথিবীর রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করেছেন কবি। তাকে ভালোবেসেছেন প্রেমমুগ্ধ অন্তরের সর্বানুভূতি দিয়ে।

বিশ্বের সেই অন্তর্নিহিত শক্তি, যাঁর থেকে এই রূপময় পৃথিবী এবং সমগ্র বিশ্বের সৃষ্টি, সেই অন্তর্নিহিত শক্তিই হলো সমস্ত সৃষ্টির মূল সত্য। রবীন্দ্রনাথের মধ্যে এই আধ্যাত্মিক চেতনার সাথে যুক্ত হয়েছিল আধুনিক ইউরোপের গতিবাদ। বিশ্বের কোনো কিছুই স্থির হয়ে নেই। সমস্তই বিপুল পরিবর্তন, পরিবর্ধনের ভেতর দিয়ে ছুটে চলেছে অবিশ্রান্ত। এই যে অনির্বাণ ছুটে চলা, অনন্ত জীবনপ্রবাহ এটাই হলো বিশ্বসৃষ্টির মূল তত্ত্ব।

রবীন্দ্রনাথের  দার্শনিক অনুসন্ধান তাঁর রচনার একটি বিশেষ অংশজুড়ে। এই দার্শনিক আলোচনা তাঁর  প্রবন্ধাবলীর একটি মূল আলোচ্য বিষয়। তাঁর ধর্ম শীর্ষক প্রবন্ধসমূহ এবং শান্তিনিকেতন শীর্ষক প্রবন্ধগুলির প্রধান প্রেরণা দার্শনিক আলোচনা। এছাড়া বিক্ষিপ্ত আকারে সাহিত্য শীর্ষক প্রবন্ধে, পত্রালাপে এবং ছোট ছোট রচনায় দার্শনিক তত্ত্ব মূলস্থান দখল করে আছে। মানুষের ধর্ম শীর্ষক তাঁর ‘হিবার্ট বক্তৃতা’ একটি অমূল্য দার্শনিক রচনা। এই বক্তৃতামালায় তাঁর, সমগ্র দর্শনকে একত্রিত করে বলার চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁর কাব্য রচনায় অনেকাংশ দার্শনিক তত্ত্বকণিকা বুকে ধারণ করে আছে। দার্শনিক তত্ত্বই তাদের আধার।

রবীন্দ্ররচনা বিচিত্র ও বিপুল। রবীন্দ্রনাথের ভাষার মাধুর্য কল্পনার অভিনবত্ব, ভাবের গভীরতা, রসের প্রাণদর্শিতা বিস্ময়কর। ভিক্টর হুগো বলেছেন, ‘প্রতিভা ঈশ্বরের আত্মস্বরূপের বহিঃপ্রকাশ।’ বেদে ব্রহ্মকেও আত্মদা বলা হয়েছে। এ অপ্রেমেয় প্রতিভার আবির্ভাব মানুষের ইতিহাসে এক চিরস্থায়ী সম্পদ। আমাদের প্রয়োজন ক্ষুব্ধ অর্থহীন তুচ্ছতাজর্জর জীবনে পরিবর্তন ধারা অব্যাহত রাখা; কিন্তু সকল ক্ষুদ্র প্রয়োজনকে অতিক্রম করে যে মহা জীবনের দিব্য মহিমা আমাদের নিকট উদঘাটিত, তাহাকে যেন আমরা সত্যভাবে শ্রদ্ধা করতে শিখি। সংসারের প্রাত্যহিক জীবনের কৃত্রিমতার কালরেখাগুলি ধীরে ধীরে কালের ‘গহনে’ অন্তর্হিত হয়; কিন্তু রবীন্দ্রনাথের মতো তেজোদীপ্ত মনস্বী, তপস্বী রসিকের একটা পূর্ণ অবয়ব মহাকালের পটে মৃত্যুঞ্জয় হয়ে আছে।
তাঁর কবিতা কখনও মর্তচেতনা, কখনও ব্যঙ্গ কৌতুক আবার কখনো প্রেম ও সৌন্দর্য চেতনার সঙ্গে বিশ্ব চেতনায় সমকাল সংলগ্ন হয়েছে। তিনি  মরমী কবিও। কারণ উপনিষদের ঋসিসুলভ প্রত্যয় তাঁর কবিতায় উচ্চারিত হয়েছে। সুফিবাদের ধারা,  কবির  ও  রামপ্রসাদ সেনের আলিঙ্গণ তাঁকে ঋদ্ধ করেছে। তাঁর কবিতা গ্রাম বাংলার বাউল ফকিরদের দ্বারাও সমৃদ্ধ হয়েছে। বাউলদের মনের মানুষের মতোই তিনি জীবন দেবতা সৃষ্টি করেছেন।

রবীন্দ্রনাথের মধ্যে  আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক চেতনার সাথে যুক্ত হয়েছিল আধুনিক ইউরোপের গতিবাদ। বিশ্বের কোনো কিছুই স্থির হয়ে নেই। সমস্তই বিপুল পরিবর্তন, পরিবর্ধনের ভেতর দিয়ে ছুটে চলেছে অবিশ্রান্ত। এই যে অনির্বাণ ছুটে চলা, অনন্ত জীবনপ্রবাহ এটাই হলো বিশ্বসৃষ্টির মূল তত্ত্ব। বেদ উপনিষদের গতিবাদ সহস্র সহস্র বছর পূর্বে এই অমোঘ তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্বসত্য সম্পর্কে সাধনার লব্ধ অভিজ্ঞতায়। উপনিষদের রচয়িতারা বারংবার তাই অমৃতের সন্তানদের নির্দেশ দিয়েছিলেন সামনে এগিয়ে চলার। বলেছিলেন---- এগিয়ে চলো, এগিয়ে চলো এবং এগিয়ে চলো অবিরাম। যতক্ষণ না তুমি পূর্ণের সাথে মিলিত হয়ে পূর্ণ হয়ে ওঠো হে অমৃতস্য পুত্র, ততোক্ষণ এগিয়ে চলাই তোমার ধর্ম।চরৈবেতি! চরৈবেতি! বিশ্বজগৎ এই পূর্ণতালাভের জন্যই ছুটে চলেছে আদিঅন্তহীন কাল ধরে। কারণ শক্তিমাত্রই গতিময়। বিশ্বের সব বস্তুই গতিময় তাই।   কিন্তু রবীন্দ্রনাথের কবি মন যেমন ইউরোপীয় তাত্ত্বিক গতিবাদের ব্যাখ্যায় তৃপ্ত হতে পারেনি, তেমনি বেদ-উপনিষদের সৃষ্টিতত্ত্বের অবিচলিত উপসংহারে পৌঁছেও অস্থির হয়েছে বারবার। কারণ অনন্ত গতিপ্রবাহে জন্ম থেকে নানান জন্মান্তরে যাত্রা করে অসীমের পানে ছুটতে ছুটতে পূর্ণতা লাভ করার জন্য লালায়িত হননি কবি। তিনি সসীম থেকে অসীমে এবং অসীম থেকে সসীমের খণ্ডতায় প্রত্যাবর্তন করতে চেয়েছেন বারবার। সে কারণেই রবীন্দ্রনাথ বলেছেন---

"আমার কাব্য সাধনার একটিমাত্র পালা। সে পালার নাম সীমার মধ্যে অসীমের মিলন সাধনের পালা।"

রবীন্দ্রনাথের কাব্য সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য তাঁর ভাব-গভীরতা, গীতি ধর্মিতা, চিত্ররূপময়তা আধ্যাত্মচেতনা ঐতিহ্যপ্রীতি প্রকৃতি প্রেম, মানব প্রেম, ভাব-ভাষা ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র, বাস্তবচেতনা ও প্রগতি চেতনা।    রবীন্দ্রনাথের দর্শনে ঈশ্বর এক নিবিড় অনুভূতি।  রবীন্দ্রনাথের ঈশ্বরের মূল নিহিত রয়েছে মানব সংসারের মধ্যেই। তিনি দেব বিগ্রহের পরিবর্তে মানুষ অর্থাৎ কর্মী-ঈশ্বরের পূজার কথা বলতেন।  উপনিষদের ধর্মীয় আরাধনার পথ বেয়ে মানুষের ধর্মে উপনীত হয়েছিলেন তাঁর সৃষ্টি কর্মের মাধ্যমে।

রবীন্দ্রদর্শনে আমরা দেখি  তিনি অনুভূতির পথের পক্ষপাতিত্ব করেছেন এবং তাঁর ক্ষেত্রে একে ঠিক অনুভূতির পথ বললে সঠিক হবে না। আমার মনে হয় তিনি যে পথ অবলম্বন করেছেন তাকে অনুভূতির অন্তর্গত একটি বিশেষ পথ বলে আমরা চিহ্নিত করতে পারি। 

  একদিকে তিনি যেমন আকুল হয়ে ওঠেন অনন্ত সুদূরের ব্যাকুল বাঁশরির আহ্বানে ------- "আমি চঞ্চল হে, আমি সুদূরের পিয়াসী" বলে, তেমনি পরক্ষণেই মৃত্তিকা পৃথিবীর আকর্ষণে তাঁর অন্তর কেঁদে আকুল হয় নিরন্তর। অসীমের আহ্বান ছেড়ে জননী জগতের সাথে নাড়ির টান অনুভব করে ছুটে যেতে চান ধরণীর সুধাস্নেহমাখা কোলে----- "আমারে ফিরায়ে লহ সেই সর্ব মাঝে/যেথা হতে অহরহ অঙ্কুরিছে, মুকুলিছে, মুঞ্জুরিছে প্রাণ শতেক সহস্র রূপে/। গুঞ্জরিছে গান শতলক্ষ সুরে/ উচ্ছ¡সি উঠিছে নৃত্য অসংখ্য সঙ্গীতে।"  পৃথিবীর প্রতিটি সৃষ্টির অস্তিত্বের ভেতরে নিজেকে বিকশিত দেখতে চান তিনি।  তিনি জন্মান্তরে অবিরাম যাত্রা করে ফিরেছেন। রূপ হতে রূপান্তর পরিগ্রহ করতে করতে লোক হতে লোকান্তরে বিচরণ করেছেন জীবনের নানা পর্যায়ের ভেতর দিয়ে ---- "আমার পৃথিবী তুমি বহু বরষের/তোমার মৃত্তিকা সনে/আমারে মিশায়ে লয়ে অনন্ত গগনে/অশ্রান্ত চরণে/করিয়াছ প্রদক্ষিণ সবিতৃমণ্ডল/অসংখ্য রজনী দিন যুগযুগান্তর ধরি।"  বিশ্বের সবকিছুর জন্য এই যে বিপুল ভালোবাসা, বিশ্ব প্রকৃতির সাথে এই নিবিড় একাত্মতা, তার সৌন্দর্যের স্নিগ্ধতায় কবির প্রাণে বিপুল জীবনের অনুসন্ধান জেগে ওঠা, এটা তো কেবল এক জন্মের সাধনায় সম্ভব নয়। জলস্থল, আকাশ বাতাস, লোক লোকান্তর, সর্বদেশকাল, সর্বসমাজে নিজেকে পরিব্যাপ্ত করার এই প্রবল আকাঙ্খা তার  কারণ অফুরান জীবনের পরশ দিয়ে বিধাতা তাঁকে গড়েছেন ------ "আমারে তুমি অশেষ করেছ এমনি লীলা তব/ফুরায়ে ফেলে আবার ভরেছ জীবন নব নব।"
রবীন্দ্রনাথের মতে, “নিছক সত্য সম্বন্ধে জ্ঞান বা নিছক শক্তির আবিষ্কার বাহিরের বস্তু, তারা সত্তার অন্তরের নাগাল পায় না।” নিছক মনন বৃত্তির সাহায্যে যে জানা তার চেয়ে ব্যক্তিগত সম্বন্ধ স্থাপনের দ্বারা হৃদয়বৃত্তির সাহায্যে যে পাওয়া ঘটে, তা আরো গভীর আরো সমৃদ্ধ অনুভূতি- এটিই রবীন্দ্র দর্শনের একটি মূল ভাবধারা। রবীন্দ্রনাথ এ কথাই দার্শনিক ও সাহিত্যিক আলোচনায় বোঝাতে চেষ্টা করেছেন।

রবীন্দ্রনাথ দার্শনিক।  তারচেয়েও বড় কথা তিনি জীবনরসের কবি। অসীম-সসীমের মিলনকে কবি অনুভব করেছেন প্রেমে ভালোবাসায়, রূপে রসে, গন্ধস্পর্শে, বিষাদে বেদনায়, সুখ-দুঃখে। সেটা তিনি অনুভব করেছেন সর্বানুভূতির ভেতর দিয়ে। কিছুই তাঁর কাছে তুচ্ছ নয় তাই। পৃথিবীর তুচ্ছতম ধূলিকণাও কবির কাছে পরম উপভোগ্য হয়েছে। সবই অভিষিক্ত হয়েছে সৌন্দর্যের নব নব উৎসরসে। সংসারের কোনো বন্ধন কিংবা আসক্তি পরিত্যাগ করে বৈরাগ্যের সাধনায় তিনি তাই ব্রতী হতে চাননি। তাঁর অন্তরস্থিত কবিচিত্তের প্রেমমুগ্ধ হৃদয় জগতের আনন্দযজ্ঞে পূর্ণতার অভিস্নানে সিক্ত হতে উৎসুক থেকেছে অবিরাম। এ কথা রবীন্দ্রনাথ তাঁর বহু কবিতায় নানাভাবে বলতে চেয়েছেন যে পৃথিবীর সমস্ত বিষয় থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে জীবনের একাকীত্বের মধ্যে মানুষের মুক্তি নেই। বিশ্বেশ্বরকে এই বিশ্বের মধ্যেই অনুভব করতে হবে।।





বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা বাংলা শুভ নববর্ষ সংখ্যা- ১৪২৮| Upokontha Bengali happy new year issue-1428

  উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা

 

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 15/04/2021, শুক্রবার
               সময় :- রাত 11. 06 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


রাজা দেবরায়  এর দুটি অনুকবিতা
নববর্ষের হর্ষ!
✍✍✍ রাজা দেবরায়

নববর্ষে আনন্দ,
সঙ্গে ছোট্ট আবদার!
মায়ের হাতের রান্না,
একত্রিত পরিবার।



নববর্ষের আশা!
✍✍✍ রাজা দেবরায়

নতুন বছর,
বয়ে আনুক শান্তি।
দূর হয়ে যাক,
আছে যত ক্লান্তি!




‌অন্য যাতনা 

        অরুণ কুমার ঘড়াই 


নিদ্রাহীন ঘুম অবকাশ খোঁজে,

 হারানো আকাশ ।


জানালার ফাঁকে ফেলে আসা

 পৃথিবী 

একলা ঘরে অন্যরকম ,

জোনাকি বাতাস আনমনে মেঘ 

রহস্য তার কর্তব্য ভুলে যায়।


সে এক অসফল একাকিত্ব

পা থেকে মাথা পর্যন্ত মরাচাঁদ 

বেকারত্ব তুমি হেসো না আর !





আবার বৈশাখ
✍✍✍ অনিন্দ্য পাল

আবার একটা বৈশাখ এল, একবুক অচেনা রোদ্দুর 
আবার একটা বৈশাখ এল, একমুঠো কৃষ্ণচূড়া
আবার একটা বৈশাখ এল, একচুমুক ভালোবাসা
আবার একটা বৈশাখ এল, ক্যালেন্ডারে দখিন হাওয়া

আবার এল বাংলা বছর, তাপ-তপনের দহন
আগুন ভেজা মেঘলা-কাদা, আবার গ্রীষ্ম-সহন
রোদ আধুলি বৃষ্টি ফোঁটা, আম-কাঁঠালের আদর
এই গরমেই জন্মেছিলেন কাদম্বরীর দেওর

নীলের বাতি, চড়ক-পুজো চৈতী ঘামের দেশ
ফুটি-ফাটা মাঠের মাটি, ঘাসের পক্ক-কেশ
বর্ষা এখন পরের বাড়ি, মেঘের ডানা ছেঁড়া
বৈশাখী ঝড় ওই দাঁড়িয়ে, টপকে এল বেড়া
ডাকের ঘুড়ি ওড়ে না আর, আগুন ফানুস কই?
বোশেখ তবু গ্রীষ্ম-পুরুষ, প্রেম কবিতার বই,

যাক চলে যাক গতবছর, আসুক নতুন নবীন
সুস্থ সবল বাঁচুক সবাই, মা -বাপ-ভাই-বহিন।








Bengali New Year
© Anjali Denandee, Mom

Bengali New Year.
It comes in every year.
The Earth moves around the Sun.
So, all the years run run and run........
All seasons come.
All months come.
The Nature says, Welcome!
Times move forward to front.
Never be backward.
We turun over the calender pages.
The life is ever new.
And it says,
Very happy new year!
I like to see you.






নববর্ষের চাওয়া
✍✍✍ বিপ্লব গোস্বামী

নতুন বছর আসুক নিয়ে
নতুন আনন্দ উল্লাস,
নিপাত যাক করোনা-ত্রাস
মিটুক ভ‍্যাকসিন তল্লাশ।

নতুন বছর আসুক নিয়ে
এক নতুন সুসংবাদ,
কোভ‍্যাকসিনে হয় যেন ভাই
কালকরোনা বরবাদ।

নতুন বছর আসুক নিয়ে
নতুন আশার আলো,
মিটে যাক আতঙ্ক-ত্রাস
মুছুক আঁধার কালো।

নতুন বছর আসুক নিয়ে
নতুন এক প্রত‍্যয়,
মনের সকল সুপ্ত আশা
সব সত‍্যি যেন হয়।






মন ছুঁয়ে.....
✍✍✍ গোপাল বিশ্বাস

হাত দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
মন দিয়ে ছোঁব
একে একে যোগ করে
তোমাকে আমি করে নেব  l

ফুল দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
প্রেম দিয়ে ছোঁব
ঘরের মানুষ বের হয়ে গেলে
রাত জেগে রব  l

হাত দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
হৃদয় দিয়ে ছোঁব
তোমার ঘরের বদ্ধ দরজা টা
এবার খুলে দেব  l

সুখ দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
দুঃখ দিয়ে ছোঁব
সবিতা কখনোই ডুবে যায় না
আমরাই তো ডুব দিয়ে যাব  l

হাত দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
প্রেম দিয়ে ছোঁব
হৃদয়ের গভীর ডাক এলে
তোমাকে আমি করে নেব  l







নবরূপে_বর্ষবরণ
     ✍✍✍ শান্তি_দাস

ভেদাভেদ ভুলে শুভ নববর্ষে খুশীর জোয়ারে ভেসে,
বছর আসে বছর ঘুরে নববর্ষের আনন্দ থাকুক হৃদয় জুড়ে।
নবরূপে নতুনকে বরণ করে এসো সবাই পুরাতনকে মুছে ফেলে।
নতুন বছর এসেছে ভালো কাটবে তাই মনে আনন্দ খেলে।

গত বছর বিভীষিকাময় সারা বিশ্বে জুড়ে,
কত শত শত মানুষ লড়াইয়ে হেরেছে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে।
পুরাতন বিদায় নতুনকে বরণ কত ব্যথা বেদনা ছিল ঘিরে,
এসেছে  নতুন বছরকরেছি বরণ নতুন রূপে তবুও মনে আসে ফিরে।

সৃষ্টির সৃষ্টি ভিন্ন ভিন্ন রূপ তাতে তবুও নেই কোন বিরাম,
নতুন বর্ষ এসেছে আনন্দ উৎসবে তাতে না রেখে অভিমান।
ভালো মন্দ সব নিয়ে তো মোদের জীবন গড়া,
তাই বলে কি আমাদের সবসময় মন্দকে মনে করা !

গত বছরের এই আতঙ্কের অন্ধকার দূর করে দাও আলো,
পৃথিবীকে সুস্থ স্বাভাবিক ছন্দে সাবলীল রূপে দূর করো মনের কালো।
মনে ভয়ভীতি তবুও নতুনের বরণ করতে কেউ নয় পিছু,
আনন্দ উৎসবে বর্ষররণ অনুষ্ঠান নেই কিছুতেই কম কিছু।

নতুন রূপে এসেছে ব্ছর সবার জীবন হয়ে উঠুক আলোকিত,
নতুনের আহবান আনন্দ উৎসবে সবার মন পুলকিত।
সবার শুধু একটাই আক্ষেপ নতুন স্বাচ্ছন্দ্য আসুক ভোরের জাগরণে,
নতুন বছর যেন সবার আনন্দ কাটে নবরূপে করে এই বর্ষবরণে।








কেউতো এমনভাবে ছাপ রেখে যায়নি
✍✍✍ আমিরুল ইসলাম

আমিও প্রেমে পড়েছিলাম,
আমারও বুকের বামপাশে চিনচিনে
ব্যাথার হঠাৎ টের পেয়েছিলাম।

এর আগেও তো হাত ছুঁয়েছি প্রেমের।
এর আগেও তো প্রেমে পড়েছি -
কুয়াশার ফাঁকে ফাঁকে জোনাকির, শিশির বিন্দুর,
হিমালয়, কাঞ্চনজঙ্ঘা,সিন্ধুর।
এমনভাবে কেউতো কাছে ডাকেনি,
কেউতো এমনভাবে আকড়ে ধরেনি।

এচোখ বর্বাদি দেখতে চাই-
তুমি-বিনা গণজোয়ার পৃথিবীর।
তুমি বিহীন হৃদয় আগুনে পোড়া ছাই।

এর আগেও তো স্বপ্ন দেখেছি,
অগনিত মিথ্যে স্বপ্ন বুকেই দাফন করেছি।
কিছু স্বপ্ন আবার জমে উঠে, মাথা তুলে দাড়ায়-
বুকেই কাঠি মারি..., তাদেরও ভবিষ্যৎ ছাই।
এমনভাবে কেউতো স্বপ্ন দেখায়নি।
কেউতো এমনভাবে ছাপ রেখে যায়নি।
**********সমাপ্ত**********





বিবর্ণ ক্যানভাস
✍✍✍ ডাঃ তারক মজুমদার

সাদা কালোয় দ্বন্ধে বিভোর
উপোশী যত মন
স্বপ্ন যতই খান খান
অটুট থাকবেই  পণ।

জীবন নদীর বাঁকে আজ
কত কী যে ঘটে
স্বচ্ছ পোশাক  কালিমা লিপ্ত
অনেকেই শুধু চটে।

মন যদি হয় আনমনা
বিবর্ণ  ক্যানভাস
অশ্রুসিক্ত নয়নে জোটে
শুধুই উপহাস।






ওদের গ্রামে বাংলা নববর্ষের মেলা
✍✍✍  আব্দুল রাহাজ

চৈত্র মাসের বিদায় এসেছে নতুন সকাল এসেছে একটি নতুন বছর।
পুরানো সব দুঃখ কষ্ট ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে 
শুরু করেছে বাঙালি এক নতুন জীবন।
পলাশপুরের মাঠে প্রতি বছরের মতো বাংলা নববর্ষের সেই মেলা হয়ে আসছে জমজমাট ভাবে
কিন্তু করোনার আবহে ভাটা পড়েছে এবারের মেলা। আট থেকে আশি সবাই আসে মেলায়
গাই গান করে আনন্দ শুরু হয় নতুন জীবন নতুন বর্ষের মধ্য দিয়ে
মেলাটি বাঙালির কাছে এক নতুন চলার পথ শেখায়। নতুনত্বের এই মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি শুরু করে এক অনন্য অধ্যায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে সত্যিই একটি বছর পার বাংলা নববর্ষের একটি সালকে পেরিয়ে বাঙালি আজ পেয়েছে  নতুন বর্ষ নতুন দিন। সব হারিয়ে কোথাও কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল সবাই কিন্তু আবারও নতুনত্বের এক আলোর রশ্মি নিয়ে সামনে উপস্থিত হল আমাদের এই বাংলা নববর্ষ। সুজনদের গ্রামের এই মেলা ওখানকার প্রান্তিক মানুষদের এক আলাদা করে বাঁচতে শেখায় সবকিছু ভুলে। একে একে পুরানো দ্বন্দ্ব ভুলে মিলে যায় এক মহানন্দে এইভাবে সবাই মিলে মেলার মধ্যে দিয়ে নতুন দিন তথা বছরের সূচনা হয় ওদের গ্রামে।








*বৈশাখীর নববর্ষে ঐতিহ্যের বাঙালিয়ানা।*
      ✍✍✍রাজীব কুমার নন্দী

"নতুন বছর নতুন করে তোমায় বরণ করি,
সুখের মাঝে ওঠে যেন সবার জীবন ভরি।"

বাঙালির নতুন বছর মানে নতুন ভাবে পথ চলার আবাহনী।বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন এর মাঝে নববর্ষ বাঙালির হৃদয়ে এক দারুন জায়গা করে নিয়েছে।
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরের প্রথম দিনটি শুরু হয় পয়লা বৈশাখ দিয়ে। গোটা বিশ্ব জুড়ে বাঙালিরা নতুন বছরের এই প্রথম দিনটি বাঙালি সংস্কৃতি ও আচার আচরণের সঙ্গে পালন করেন। এই বছর ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৪ এপ্রিল পালিত হবে পয়লা বৈশাখ।
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, বাংলা নববর্ষ সাধারণত ১৪ বা ১৫ এপ্রিল পড়ে। বাংলা সৌর ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস বৈশাখের প্রথম দিনটিকে নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ বা বৈশাখি নামে ডাকা হয় দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এই বছর ১৪২৮-এ পা দেব আমরা। ১৫ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার পড়েছে ১ লা বৈশাখ। সুতরাং চৈত্র সংক্রান্তি পালিত হবে তার আগের দিন অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল।

পয়লা বৈশাখ থেকে বাঙালি ব্যবসায়ীরা নতুন আর্থিক বছরের সূচনা করেন। নতুন খাতায় ব্যবসার হিসেব রাখা শুরু হয় এদিন থেকে। দোকানে দোকানে পয়লা বৈশাখে তাই লক্ষ্মী-গণেশের পুজো করে ও খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে হালখাতা পালন করা হয়। নতুন বছরে পরস্পকে শুভেচ্ছা জানানো, নতুন পোশাক পরা, খাওয়া দাওয়া, আড্ডা ও মিষ্টিমুখ করে নতুন বছরের প্রথম দিনটি পালন করেন বাঙালিরা। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার অনেক জায়গায় পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে মেলা বসে।

ইতিহাস অনুসারে সপ্তম শতকের বাংলার রাজা শশাংক বাংলা ক্যালেন্ডারের সূচনা করেন। পরবর্তীকালে মোঘল সম্রাট আকবর কর আদায়ের সুবিধের জন্য সৌরবর্ষ অনুসারে তারিখ-ই-ইলাহির প্রণয়ন করেন। শকাব্দে বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস ছিল চৈত্র। পরে তা বদলে বৈশাখ থেকে বছর শুরুর প্রথা শুরু হয়।
বাঙালিদের সবচেয়ে বড় উত্‍সব দুর্গাপুজো হলেও পয়লা বৈশাখের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে আলপনা দিয়ে, পুজো করে এই দিনটি পালিত হয়। শহরেও পয়লা বৈশাখে সেজে ওঠে বড় বড় শপিংমলগুলো। বাংলা গান, বাংলা সাহিত্য, বাঙালির পোশাক, বাঙালির রান্নার মাধ্যমে পয়লা বৈশাখের হাত ধরে নিজস্ব সংস্কৃতির কাছে অন্তত এই এক দিনের জন্য হলেও ফিরে যায় বাঙালি সম্প্রদায়।
উত্তর ও মধ্য ভারতে নতুন বছর বৈশাখী, আসামে রঙ্গালি বিহু, তামিলনাড়ুতে তামিল পুঠান্ডু, কেরালায় বিশু, ওড়িশায় বিশুব সংক্রান্তি এবং পশ্চিমবাংলায় পয়লা বৈশাখ নামে পরিচিত নববর্ষ উৎসব।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসন্ন ,এই করোনা মহামারীর পরবর্তী সময়ে আগেরবারের দুঃখ ভুলতে চাইছে আপামর বাঙালি।তবু সতর্ক ভাবে।
তাই কবির কথায় বলা যায়।
"নতুন দিনে নতুন ভাবে দাও সবারে শিক্ষা।
ভালোবাসার মন্ত্রে যেন সব্বাই পায় দীক্ষা।"

💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫


বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক " শ্রী অরুণ কুমার ঘড়াই" সম্পাদিত প্রথম সূচনা সংখ্যা " শব্দ পাখি "

পড়ুন নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে 


শব্দ পাখি || দ্বি-মাসিক ওয়েব ম্যাগাজিন || বৈশাখী সংখ্যা-১৪২৮ প্রথম সংখ্যা ||


🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈


#উপকণ্ঠ 

#উপকণ্ঠ_সাহিত্য_পত্রিকা

#বাংলা_প্রাত্যহিক_ওয়েব_ম্যাগাজিন




বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

Bangla gaan :- Tomay kichu..... Niye nite parte Lyrics by Surajeet Pal

গান:"তোমায় কিছু........ নিয়ে নিতে পারতে।

 গান রচনা : সুরজিৎ পাল


আবাস :

      ৮৩, নজরুল সরনি শিলিগুড়ি, দার্জিলিং-৭৩৪০০১

তারিখ : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি ২০২১


 গান:"তোমায় কিছু........ নিয়ে নিতে পারতে।


তোমায় কিছু দিতে

আমার ইচ্ছে করে

ইচ্ছে না থাকলে ও,

নিয়ে নিতে পারতে। ২

এ প্রতিঙ্গা ধ্বংসের 

ভেঙ্গে দিতে পারতে

আমার জগৎ ছেড়ে,

রাজপ্রাসাদে থাকতে।

স্বপ্ন নিয়ে আজ, চলেছি আমি

সব বাধা পেরিয়ে,হৃদয়ে স্থান পেতে

তোমায় কিছু........নিতে পারতে।

লক্ষ্য মোর দুর নয়,ধৃঢ়তা সুনিশ্চিত।

যতোই ঢেউ আছরে,পরুক আহত মনে ।

ততোই উজ্জীবিত হই, যখন ঠেলো দুরে,

পোঁছে যাব আমি, বাঁধা দুর করে।

তোমায় কিছু..... নিতে পারতে।

তোমার ছায়া লয়ে

লক্ষ্যে চলেছি

শান্তি পাব বলে

কলঙ্ক ধুয়েছি।

তোমায় কিছু..... নিতে পারতে।




গীতিকার সুরজিৎ পাল এর নিজের কন্ঠে গান🎶🎧🎤

শুনুন 👇👇👇👇👇




সৌজন্যে-- উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা

শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

Upokontha sahitya patrika web megazine- 13/02/2021

 Upokontha sahitya patrika web megazine-13/02/2021


এই বেশ ভালো আছি
চিত্তরঞ্জন দেবভূতি

এই বেশ ভালো আছি এই নীল আকাশের নিচে,
মুক্ত বাতাস,জল,মাটি  আর আলো,
চোখের সামনের এই পথ বহুদূর চলে গেছে,
আর কতশত স্মৃতি জড়িয়ে আছে৷
যা আমার আজও সমান লাগে ভালো৷
খাল বিল নদী আর পুকুরের জলে,
রহিম,করিম চাচারা আজও মাছ ধরে,
সবার ঘরে বিদ্যুৎ নেই,
তাতে কি?সন্ধ্যার সাথে সাথে ঘরে ভরে ওঠে লন্ঠনের আলো৷
চকিদার  কবে থেকে নেই গ্রামে?
আগের মতো প্রেমের চিঠি আসে নাকো আর
রঙ্গীন খামে৷
১০—১২টা বাচ্ছা মানুষ করা?
এখনকার দিনে শুনে, যেন জ্বর চলে আসে অনেকের,
ছোট্ট  সংসার,হাসিখুশী জীবন,সুখে মন থাক ভরা৷
আমরা এই বেশ ভালো আছি,দিন চলে যায়,জীবন যৌবন ও তাই কি—না?
ভাবলে  অনেক কিছু,অনেকে তো বেঁছে আছে ,নানা কারনে ঘরে বউ আনতে মানা?
পৃথিবীটা এমন বটে,
শুধু টাকা দিয়ে সুখ যায় কি কেনা?






কবিতা :
   "ভালবাসা এক ঠিকানা"     
      সুরজিৎ পাল 

ভালোবাসার তরে অপেক্ষা রত
এক কুঁড়ি,
প্রস্ফুটিত হয়েছিল মালির লালিমা লিপ্ত স্পর্শে।
সুরভিত সেই দিন, চিহ্নিত ভ্যালেন্টাইন,
সপ্তাহ জুড়ে পাই, খবরের পাতায়।
৫০% ছাড়,লোভায় স্বর্ণকার,
দেখায় পেন্ডেন্টের বাহার।
ডাচ গোলাপের মান,বিশ্বে মহান,
হাতে লোয়ে প্রাণ ছুটিয়া জান,
রোচিয়া মুখে মিষ্টি গান।
বেলুন রূপী হৃদয়,ফুলিয়া রয়,
ব্যাথিত হয়,বাতাস হলে নির্গমন।
খুঁজে দেখি প্রায়,শার্শিতে  তোমায়,
চন্দ্রমুখীর ন্যায়,মৃগনয়নী্রে দেখায়।
২০-র বিদায়,২১-শের চলায়,
স্পর্শ সে দেয় ভালবাসার দোলায়।
কাঙ্ক্ষিত পূর্ণিমারে পাই , পিনহোল ক্যামেরায়,
নয়ন মেলে বাসস্টপের কোনায়।
পাল্টেযাই চিন্তাধারায়,
ছুটছি দেখ ভাই,যেথা স্বর্ণকার রয়।
তীর বিদ্ধ হৃদয়,পেন্ডেন্ট্ খুঁজে পায়,
অপেক্ষায় রয় ১৪-ই ফেব্রুয়ারীর আশায়,
ডাচ গোলাপের সুবাসিত সুশোভিত
সোভায়।



Embrace the day today!
~ Raja Debroy & Panchali Deb

Let the bond of the heart be
stronger. 'Jadu Ki Jhappi',
The mind is fresh and happiee!
Today you pretend to be a little
cute pug. Enjoy any one of these six!
Beer Hug, Polite Hug, One Way Hug,
Intimate Hug, Buddy Hug and Back Hug.
But hug people you know,
If you are a stranger,  you may be in danger!
The embrace strengthens the relationship,
The mind of a loved one can be easily won!
'Jadu Ki Jhappi' is very much needed,
to let the heart skip.
Nice and sweet conversation with
embrace makes the relationship stronger,
Embrace Bindas, and be the hug monger!




সময় বড়োই বলবান
বিপ্লব গোস্বামী

সময় বড়োই বলবান
সময়ের ফেরে রাজা হয়ে দীন
হারিয়ে বৈভব , হয়ে অতি হীন।
পথে পথে ভিক্ষা চান !

সময় বড়োই বলবান
সময়ের ফেরে ভিখারী হয় আমীর
হয় যশ-ঐশ্বর্যধারী টাকার কুমির।
সবে করে তার জয়গান।

সময় বড়োই বলবান
সময়ের ফেরে মানী হয়ে অপমান
হারিয়ে মর্যাদা,হারিয়ে মান-সম্মান।
প্রতি পদে লজ্জা পান।

সময় বড়োই বলবান
সময়ের ফেরে মহাবীর -মহারথী
হয়ে পরাজিত ঘটে  অতি দুর্গতি।
বেঘোরে হারান প্রাণ।

সময় বড়োই বলবান
সময়ের ফেরে সত‍্যবাদীর সত‍্য নাশে
মিথ‍্যুক-প্রতারক হন সময়ের পরিহাসে।
ঈমানদার হারান জবান।






ভালবাসার দিন
অশোক কুমার রায়

টাটকা গোলাপ মারেন ছুঁড়ে
চন্ডী চরণ রায় ।
চুপটি করে পড়লো গোলাপ
চম্পা রানির গায় ।

চম্পা রানির অবাক দৃষ্টি
মনটা দুরু দুরু !
ঠাম্মা হলেম এ বয়সেও
প্রেমটা হল শুরু !

মুচকি হেসে ভালবেসে
গোলাপ নিল তুলে  ।
ভালবাসার দিনটাই এমন
সব কিছু যায় ভুলে !





কবিতা
শিরোনাম-অনুভব
কলমে- মিনতি গোস্বামী

জমানো কিছু অনুভব, সকালের
শিশিরের মত
সূর্যের আলোয় মিলিয়ে যায়
দিন ফিরি করি যাযাবরের
কখনো তাকে মেলে ধরা হলনা।

তার হাত ধরে হাঁটিনি শহরে
বসিনি কোনদিন ভিক্টোরিয়ার মাঠে
হারাইনি কখনো সোনাঝুরির হাটে
নিরালায় তবু মগ্ন থাকি অনুভবের ঠাটে।

অনুভব নয় মুখোশধারী দানব
তার উষ্ণতায়  থাকে সৃজন
অনুভবের বারান্দায় চিরকাল
শোনা যায় সৃষ্টিশীল মানুষের কুজন।






#কবিতা__রক্তাক্ত_মাতৃভূমি
#কলমে__শান্তি_দাস

এদেশ সকল দেশ সেরা গর্বে ভরা আমার মাতৃভূমি,
সুজলা সুফলা এদেশ আমার শষ্য শ্যামলা ভূমি।
স্বদেশ আমার স্বদেশ আমার সবকিছুতেই বিশ্ব সেরা,
আমার গর্বে ভরা ভালোবাসা আমার সোনার বাংলা।

স্বাধীনতা আনতে কত মহাপ্রাণ দিয়েছে বলিদান,
ভারতের মাঝে তবুও রয়ে গেছে একতার ঐকতান।
যে ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি আমার
মাতৃভাষা,
মায়ের এই ভাষা বিশ্ব খ্যাতি মোদের বাংলা ভাষা।

এই ভাষাতে কথা বলবো আমার জন্মগত অধিকার,
এই মাতৃভাষার অধিকারে, রক্ত প্লাবনের রাজপথ।
কত শহীদদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি এই অধিকার,
যাদের জন্য আজ দেশের জয় পরাজয় করেছিল শপথ।

আজ ও আছে কত শত্রু দেশকে করবে ছিন্নভিন্ন,
তারা করছে ষড়যন্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে দেশকে করবে অভিন্ন।
আছে কত বীর সন্তান দেশরক্ষায় নিয়োজিত,
মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে নিজেই শহীদ রক্তের দানে।

ভারত রীর সন্তান, বীর পুরুষ তোমায় নমস্কার,
দেশরক্ষায় নিয়োজিত তোমারা  বাঁচাও লক্ষ মানুষের প্রাণ।
তোমাদের রক্তের বিনিময়ে আজ মোদের অহংকার,
আমরা দেবো জীবন বলিদান ভারত মাতার প্রিয় সন্তান।




আজ কিস ডে
©মম

ভোরে উঠে
শক্তি বাড়াচ্ছি মাঠে ছুটে।
এমন সময় দেখি,
আশ্চর্য, এ কী?
সাপ ও ব্যাঙ খাচ্ছে চুমি, মাঠের পাশে।
ওঃ গ্রেট কলিযুগ, তুমি!
তাই তো সাপ ও ব্যাঙ
একে অপরকে ভালোবাসে।
ওরা ভোরে মজা করে খায় শুধুই চুমি...
ধন্য তুমি ভারত ভূমি।
দেখে ওদের পীড়িতি
আমি নাচি, ড্যাঙ ড্যাঙ্গা ড্যাঙ ড্যাং...
ওঃ কী ঐশ্বরিক প্রীতি!
সত্যই আজ কিস ডে।
২০২১, ১৩ই ফেব্রুয়ারি, স্যাটারডে।





সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের ভালোবাসা
(ছোট গল্প )
আব্দুল রাহাজ

বাবা-মা এ যেন এক অমূল্য সম্পদ এই পৃথিবীর ধরা তলে সেই বাবা-মা আগলে ধরে রাখে আজীবন। এই সুন্দর প্রকৃতির কোলে বাবা-মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা হয়ে আসছে আজীবন সময়ের সাথে সাথে সবই পরিবর্তন হয় পালাবদল হয় বহু জিনিসের কিন্তু পরিবর্তন হয় না বাবা মায়ের ভালোবাসা এটা যেন সময়কে হার মানায়। একবার পড়ন্ত বিকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিল সৌমেন পিকলু রেজাউল তমাল রা গ্রামের শেষে কয়েকটা পরিবারের বসবাস তার কাছেই আছে সুন্দর অপরূপ দৃশ্য সেখানে মানুষজন বিকাল বেলায় ফুরফুর বাতাসে মনটা হালকা করতে যায়। তমালের একটা দৃশ্য চোখে পড়ে একটা ছোট্ট মাটির দেওয়াল আর বিচালি দিয়ে ছাওয়া ঘরের সামনে তিনটি ছোট ছোট বাচ্চা খেলা করছে ও তার বাবা-মা দিনের শেষে কাজ থেকে ফিরে সন্তানদের নিয়ে বেশ মজা করছে একজন বলে উঠল বাবা তুমি কি আমাদের জন্য খাবার আনোনি তখন বাবা অল্প কিছু খাবার তাদের মুখে তুলে দেয় নিজে না খেয়ে তোমালের এই দৃশ্য দেখে অনুধাবন করে প্রতিটি বাবা-মায়ের ভালোবাসা সন্তানদের প্রতি নিঃস্বার্থ হয়ে থাকে। এদিকে সূর্যের অন্তিম আলো হলুদ বর্ণের আভায় পূর্ব আকাশে ডুব দিচ্ছে এই সময় ডাক পড়ল এই‌ তমাল চলে আয় একসাথে বাড়ি যায় আসছি বলে ওদের সাথে চলে যায়‌ বাড়ির উদ্দেশ্যে।  খাবার পেয়ে ছেলে-মেয়ের গুলো যে আনন্দ হাসি সেটাই বড় পাওনা ছিল ওদের বাবা মায়ের কাছে। এরকম শত শত বাবা-মা তাদের ছেলে মেয়েকে ছোট থেকে আগলে রেখে করে বড় করে তোলে নিঃস্বার্থভাবে‌‌ তাদের এই ভালোবাসা আর কারো সাথে তুলনা করা যায় না। সত্যি তাদের এই ভালোবাসা এই পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে আর অন্যান্য সম্পর্কের থেকে সূর্যের উজ্জ্বল রশ্মির মত দীপ্ত রাশির মতো ফুটে উঠছে বৈচিত্র্যের মত। একবার শীতের দিনে গ্রাম বাংলার পরিবেশ এক অপরূপ সাজে সেজে ওঠে সবার সামনে প্রান্তিক মানুষগুলো কষ্ট পায় ছেলে মেয়ে গুলোকে নিয়ে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে ঘরের মধ্যে থাকে। কেউ সাহায্য করে তো খুব ভালো কিন্তু বাবা-মা শত বাধা পেরিয়ে ও শীতের হিমেল বাতাস উপেক্ষা করেও ওরা ছেলেমেয়েগুলোকে একটু ভালো বস্ত্র তুলে দেয় নিজেদের কষ্ট উপেক্ষা করে সত্যিই তাদের এই ভালোবাসা হয়ে আসছে সেই চির দিগন্তের পথ ধরে‌ যা আজও বহমান আছে মানব জাতির মাঝে যা থাকবে আজীবন। তবুও বাবা-মা কোথাও যেন লাঞ্ছিত বঞ্চিত বর্তমান সময়ে যা মানব জাতির কাছে অত্যন্ত লজ্জাজনক। যে বাবা-মা ছোট থেকে বড় করে তোলে বৃহত্তর সমাজে সন্তানকে প্রবেশ করায়  সেই সন্তান যদি কষ্ট দেয় সত্যি খুব খারাপ লাগে। সত্যি বাবা-মায়ের সন্তানের প্রতি ভালোবাসা এক অনন্য স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে আজীবন যা কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না।


শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

Upokontha sahitya patrika web megazine-12/02/2021

Upokontha sahitya patrika web megazine-12/02/2021

 Upokontha sahitya patrika web megazine-12/02/2021

প্রমিস ডে
রাজা দেবরায়

আজ ডে প্রমিস,
তোমায় করতে চাইনা মিস।
দিলাম তোমায় প্রতিশ্রুতি,
ঠিক থাকবে মোর মতিগতি!
দিনরাত করবো তোমার যত্ন,
তুমিই তো আমার দামী রত্ন!
তুমি পড়লে যেকোনো বিপদে,
পাশে থাকবো প্রতি পদে পদে।
পাশে থাকবো তোমার সুখে ও দুঃখে,
কটু কথা কখনো আসবেনা মোর মুখে।
থাকবো বিশ্বাসযোগ্য এবং সৎ,
পাল্টাবেনা কখনো মোর এই মত।
তোমায় কখনো কষ্ট বা আঘাত দেবোনা,
দোহাই মিথ্যেবাদী মোরে কখনো ভেবোনা।

এত প্রতিশ্রুতির বন্যা দেওয়া যায় আর কাকে,
তাই প্রমিস করলাম আসলে নিজেই নিজেকে!

Promise Day!
~ Raja Debroy & Panchali Deb

I promise to keep you close to my heart.
I will be loyal to you and we shall never depart!
I will care for you day and night.
You are my precious gem,
Any danger befalls, I will fight.
I will be by you side in joy and sorrow.
I will never hurt you with my words or action, nor I shall delay your wishes for tomorrow.
I will be constant and would never change.
You will be my aerial, always in my range.

I promise all these to myself.
As promises made to others can be broken.
But man loves himself the most, so he won't delve.



ওরা   দিনগোনে
         পিনাকী  মুখার্জী
    
            গাঁদা  ফুলের  দল , সকাল
              থেকেই  আনন্দে  মেতে  !!
         শীত   থেকেই   দিনগোনে ওরা ,
              বসন্তের  ছোঁয়া  পেতে  !!

              বসন্ত  ও    বড্ড  রঙিন
           মেজাজ  ,  সামনেই  দোল  !!
            জুড়বে  সাথে  রাঙা  পলাশ ,
                ধামসা   আর  মাদল  !!

              লাল  গাঁদা  হলুদ  গাঁদা ,
                 সেরার  সেরা  বাসন্তী  !!
              মা  সরস্বতী  অবাক ,  চোখ
                 মেললেই  রং  মিলান্তি  !!

              ঠান্ডা - গরম  উত্তুরে ,  কত
                 বইছে   বদল - হাওয়া !!
            বদলে  গেছে  হাওয়ায়  ভেসে ,
                 প্রথম  চাওয়া পাওয়া  !!
               ************************



ডা: নরেন্দ্র নাথ নস্কর এর কবিতা

তোমার কালো কেশের আড়ালে
জানিনা কি লুকায়ে আছে;
অদৃশ্য সুগন্ধ তোমার অঙ্গে নাচে।

তোমার কোমল হাতে যেন জাদুর পরশ মাখা;
তোমার তনুর তালে অজান্তে মন ঢাকে।

তোমার নূপুর ধ্বনি  কিসের সুর আনে?
  সুপ্ত আবেশ আসে তোমার মধুর গানে।

তোমার চলার ছন্দ  হাওয়ায় সুর তোলে;
তোমার আবেদন হৃদয়ে ঢেউ তোলে।

তোমার কাঁকন কিঙ্কিনি মিষ্টি শব্দে ভাসে;
তোমার হৃদির সৃষ্টি এ মন যে ভালবাসে।




শরীর আর মন
শুকদেব পাল

যখন মন শত্রুতা করে তখন শরীরের মৃত্যু হয়
অভিমানের মৃত্যু হয় না ।
অভিমান এক ভাষাহীন বিমূর্ত ছবি যেখানে রঙ এতটাই ফিকে যে অদৃশ্য ক্যানভাস ।
জানি না সব কথা কেন বোঝানো যায় না ।
সব ব্যথার সীমানা নিখোঁজ অন্তরের গহিনে
উন্মাদনার কারাগারে গভীর নিরাশ
অন্ধকার এতই গাঢ় যে হাতরে ঠাহর পায় না ।
উপলব্ধি ভেঙ্গে গড়ে প্রতিদিনে
জানি না এ কি সৃষ্টি নাকি ধ্বংসের আভাস ?
আবেগ বুঝি কালো ছায়া ফেলে যায়
হৃদয় আর হাসে না ।
মন তুমি এই দুর্দিনে শত্রুতা ভুলে মৌন থাক বরং
যদিও শরীরের কিছু যায় আসে না ।
শরীর যেদিন মন থেকে হয় ভিন্ন
বুঝবে সেদিন হঠাৎ এই পরিবর্তনের প্রয়াস --
কিছু অবলম্বনে খুঁজে বেঁচে থাকার জন্য ।




  স্বপ্নের পসরা
মিনতি গোস্বামী

স্বপ্নের পসরা সাজিয়ে
ফিরি করতে করতে
আজ আমি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা,
হাসার কথা ছিল যাদের
তারা কাঁদে গুমরে গুমরে
লোকে ভাবে স্বপ্নের দেয়ালা।

প্রতিটি পদে খেয়েছি হোঁচট
রক্ত মুছে সাজিয়েছি পসরা
সবাই গেছে পাশ কাটিয়ে,
ফিরি করতে দক্ষিণা লাগে
লাগে কারো দক্ষিণ হাত
নাহলে হাত নেয় খাটিয়ে।

পসরা যখন বর্জ‍্য হলো
স্বপ্নের ঘোর কেটে
কপালে জমলো বলিরেখা,
না-মানুষের দেশে পড়ে
ঘুরে মরছি আস্তাকুঁড়ে
স্বপ্ন এখন সুদূর নীহারিকা।





শিশুর শপথ
বিপ্লব গোস্বামী

খালি পেটে খাবো জল
ভরা পেটে খাবো ফল।
ঊষা কালে খুব  হাঁটবো
সারা দিন অনেক খাটবো।

নিয়মের অধিক না খাবো
নিত‍্য একই সময়ে শুবো।
প্রাতে  করবো শরীরচর্চা
ইস্কুলে করবো জ্ঞানচর্চা।

না জেনে  তর্ক না করবো
জানতে গুণীর সঙ্গ ধরবো।
গুরু জনে করবো শ্রদ্ধা-ভক্তি
কুসংস্কার দূরে ধরবো যুক্তি।




তুমি ভালো আছো বলে আমি ভালো আছি
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

দার্জিলিং পাহাড়ের পাড়া গ্রাম বস্তি ঘুরে বেড়াই,
পাহাড়ী  নারী  পুরুষদের
কত সমস্যা!
প্রেম মিলন বিরহ,চলমান কবিতা যেন,
কারো  ভালো,কারো খারাপ মন৷

প্রতিদিন  পাহাড়ে ভোরে,
হাজার সমস্যা আসে,
চা বাগানে কাজ,জঙ্গলে জ্বালানী সংগ্রহ ,
সন্তান ধারণ,লালন পালন,
হাট বাজার,এদিকের
নারীরা পুরুষের সাথে ,
সমান ভাবে করে৷
আমি টাইগার হিলে মাঝে মাঝে সূর্য ওঠা দেখি,
দিন বদলের সাথে সাথে!
এই পৃথিবীটা কেমন পুরানো লাগছে একি!
অতীতের বন্ধুরা পাশে কাছে থাকো,
আজ আবার নতুন বন্ধুদের ডাকি৷
ভালৈ ভাবে বাঁচবো আমরা!
কেউ  যেন অপরকে  না দিই কখনো ফাঁকি৷
তোমার মন  ভালো  থাকলে!
আমিও যে  ভালো থাকি৷




সিরদী সাঁই বাবা
বদরুদ্দোজা শেখু


পক্ষকাল কাটালাম সিরদী সাঁই বাবা
মন্দিরের অতিথি-শালায়, সভা-সেমিনার
মিটিং মহফিল হলো মন্দির চাতালে,
বিশিষ্ট সরকারী ব্যক্তিবৃন্দ এলেন গেলেন ।


দরকারী কাজকর্ম কথাবার্তা হলো,
কেউ কেউ কিনলেন মাদুলি তাবিজ তাগা
সাঁই বাবার মূর্তি-মূদ্রিত । বইপত্র কেউ ।
বিদায় দিলেন মন্দিরক সাঁই বাবার নামে ।


সাঁই সিরদী সাধুর কৃপায়  ভক্ত আস্থাশীল
দেখলাম ধনী শেঠ সম্পন্ন বহু
বিত্তবান নরনারী সাঁই বাবার থানে
এলো গেলো , লচপচে নরনারী মানত-বিলাসী,


পাঁচতলা ধর্মশালা পাহাড়ের গায়ে,
তার ঊর্দ্ধে একান্তে সাঁই বাবার মন্দির ,
হপ্তা পক্ষকাল থেকে ভক্ত নরনারী
ভজে সাঁই কৃপা  কিংবা মানত চড়ায় ।


বেদীতে বসানো আছে মূর্ত্তি সাঁই বাবার
দরবেশী উখড়ো আসনে বাঁ পায়ের 'পরে
ডান পা-টি তুলে আছেন , দেখে মনে হয়
শিষ্যদের কাছে কিছু সিদ্ধিজ্ঞান তাঁর
প্রচার করছেন ব'সে, চোখে অপলক
অলক্ষ্য দুর্জ্ঞেয় দৃষ্টি অনন্তে উধাও
দূরত্বের দিব্যজ্ঞানে যেন যোগাযোগ
হচ্ছে তাঁর, পার্থিব মোহন মায়া নাই ।


পক্ষকাল থাকলাম, মাহাত্ম্য দেখলাম
সাঁই বাবার অধুনা-প্রস্তুত এক ভিডিও মুভিতে,
মন ভিজলো না কিছু, শুধু সব সভায় মিটিঙে
মনে হলো মূর্ত্তিমান ব'সে আছেন সাক্ষী সাঁই বাবা।

আজ আর সেই   সব সভা মিটিঙের
অনুপুঙ্ক্ষ বক্তব্য মনে নাই কিছু,
মনে শুধু জেগে আছে মূর্ত্তিমান বাবা
যেন তিনি সেই সব বাগ্মিতার অলৌকিক আমানতদার ।।



শিরোনাম-অভিমান
কলমে-শান্তি দাস

অভিমান জাগে মনে,সেদিন ও এসেছিল বসন্ত,
অফূরন্ত ভালোবাসা ছিল,তুমি আসবে বলে।
কত ভাবনা থেকে লিখেছিলাম একটি ভালোবাসার গান,
অভিমান রেখো, অভিমানে ভালোবাসা গভীর হয়।

ভালোবাসা পাবো বলে এনেছিলাম গোলাপ,কদম, কৃষ্ণ চূড়া,
কিন্তু তুমি তো এলে না,ভালোবাসা দিলে না।
এই অভিমান যেন জীবনে বিচ্ছেদ না ঘটায়,
জীবনের গতিবেগ যেন ভূল আচরে না পড়ে।

আজ ও তুমি আছো মনের গভীরে,অন্তরে মোর,
ভালোবাসা না দাও,শুধু ভালোবাসা নাও।
এই অভিমান ভালোবাসা আরও গভীর হবে,
ভাঙবে যখন সেই অভিমান তোমার মনের কোণের।

আর তো কিছুই চাইনা আমি,হাসিমুখে ব্যাথা দিলে,
জানি তুমি আসবেই তুমি ফিরে একদিন।
আমার মরনের আগে পরে হয়তো কোনদিন,
এই অভিমান ডেকে আনতে পারে বিপর্যয়।

কোনদিন যদি ফিরে আসো....
        কোন এক শ্রাবনে......
আমি যখন থাকবো না,শুধু থাকবে স্মৃতি গুলো।
স্মৃতি গুলো পাশে পাবে শুধু থাকবো না আমি,
আজ ও জেনো তোমায় ভালোবাসি তুমি এলে না।



আমার ভাষা কবিতা
আব্দুল রাহাজ

ও রে আমার ভাষা
আমার প্রাণের মাতৃভাষা
যার আবেগ অনুভূতি জড়িয়ে থাকে প্রতিটি কথায় সে যে আমার মাতৃভাষায়।
এই মাতৃভাষার অধিকারে
সালাম রফিক বরকত জব্বার দিয়েছিল প্রান ঝরেছিল তাদের রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল তাদের আত্মত্যাগ সত্যি এক বীরের মতো
সেই থেকে আমাদের মাতৃভাষা হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা। বাঙালি জাতি ফিরে পেয়েছে এক অনন্য রূপ এর স্বাধের মাতৃভাষা।
এই হলো আমাদের সাধের প্রাণের ভাষা আমার মাতৃভাষা।





এক মেডের গপ্পো
অঞ্জলি দে নন্দী, মম

আমার ফ্ল্যাটের গেট।
কলিং বেল বাজছে।
আমার সিট ছিল সোফা সেট।
সামনে ছুটন্ত, বলন্ত টিভি।
আমি দিল্লীর বাঙালী বিবি।
কর্তা বাইরে বেরোবে বলে সাজছে।
কোন এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাবে।
রাতে ওখানেই খাবে।
ডিনার সেরে এখানে আসবে ফিরে।
এখন দিনের আলো কমছে ধীরে ধীরে ধীরে।
আমি সোফা থেকে উঠে খুললাম গেট।
এক মলিন শাড়ি নারী।
ও হাতজোড় করে বলল, নমস্তে ম্যাডাম জী!
ও করল মাথা হেঁট।
আমি বললাম, কি দরকার?
ও বলল, বিহার আমার বাড়ি।
কাজের খোঁজে এসেছি। ম্যাডাম জী।
আমি বললাম, হ্যাঁ হ্যাঁ আমার দরকার।
কাল থেকে ও আমার বর্তন ও ঘর সাফ করবে।
আর বেকফাস্টেও নিজের পেট ভরবে।
মাইনে দেড় হাজার টাকা মাসে।
আর ছুটি চার দিন।
ও কাজ করতে আসে।
সঙ্গে ওর মেয়েও আসে।
জেনেছি, ওর নাম নীতি।
আর ওর নাম ইতি।
গ্রামে ও খাটত ক্ষেতে।
এভাবেই ওরা পেত রোজ খেতে।
বরটা মরেছে সবে, রেখে গেছে ঋণ।
ধার করে সে দারু খেত হর দিন।
আর বৌ পেটাতো রাতে ফিরে মাটির ঘরে।
ও আমার সঙ্গে চা খায় বসে
আমার পায়ের পাশে, ও সে।
অনেক গল্পও ও করে।
ওর মেয়েটা ক্লাস নাইনে পড়ছিল।
ছাড়িয়ে দিয়ে এখানে এসেছে নিয়ে।
ও তো গ্রামে টিউশনিও করছিল।
বরটা গেল ক্যান্সারে মরে।
ভাসুর-জা আর থাকতে দিল না ঘরে।
দেওরটা বউটাকে গ্রামে রেখে আসে করে বিয়ে।
ও থাকে এখানে, ঘর ভাড়া করে।
এক কলেজে পড়ে।
এই বৌদী গ্রাম থেকে ওর পড়ার খরচ চালাতো।
আবার ওর বউয়েরও খরচ চালাতো।
আর এখনও ও-ই দুজনের খরচ চালায়।
থাকে একসাথে।
দেওরের ভাড়া ঘরে।
দিনে কাজ করে।
শোয় রাতে।
দেওরটা ওকে খুব জ্বালায়।
অত্যাচারও করে।
মারে বড় বৌদিকে, আবার মার খায়ও ওর বউ।
ও, ওর মেয়ে, দেওর ও দেওরের বউ।
সংসার বড়। আর একজনই তো রোজগার করে।
আমি বললাম, মেয়েকে ফের দে স্কুলে ভর্তি করে।
আমি হেল্প করবো,
পড়া দেখিয়ে দব।
ও বলল, খরচ চালাতে পারব না গো ম্যাডাম জী!
গ্রামে তো ও টিউশনি করে
আপন পড়ার খরচ চালাতো। ম্যাডাম জী!
আমি ভাবি,
ও কত মহতী ভাবী।
নিজের বেটির পড়া বন্ধ রেখে
দেবরের পড়ার খরচ করে।
এর কিছুদিন পরে
ওর মেয়েকে আমার এক বান্ধবী নিল ডেকে।
চব্বিশ ঘন্টা তার ঘরে থেকে
সংসারের সব কাজ করতে হবে।
মাসে পাঁচ হাজার টাকা মাইনে
ও চার বেলা খেতে দেবে।
আমি আশ্চর্য হই ভেবে -
এদের ইতিহাস কে আর লেখে কবে?
এরা তো চিরতরেই অপ্রকাশ্যই রবে।
আমরা তো কোনদিনই এদের দিকে ঘুরে চাই নে।
নিজেরদের প্রকাশ করি, আপন সাইনে।
পৃথিবী সেদিন সুখের হবে তবে
যেদিন এরা ফোকাসে রবে।
জানি না কবে সেসুদিনের উদয় হবে?
আমাদের এ জীবন্ত ভবে।



মুর্শিদাবাদ
উমর ফারুক

এ জেলা বঞ্চিত হয় শিক্ষা থেকে
যুগের পর যুগ কেটে যায়
ব্রিটিশ থেকেই শেখা হলো ,
স্বাধীন হয়ে কি বা লাভ প্রশ্ন তুলে ছাত্র তে।
এখানে চাই যে নিতে সব লুটে
'জ্বালাও ঘরে শিক্ষা বাতি,
নেভাও  যত অজ্ঞতা'—
এ ভাষন একটুও নয় কার্যকর!
শিক্ষা ছাড়াই ওই আসন
যে আসন আসীন ছিলেন  অজ্ঞ সে লোক
শিক্ষা হীন ও মুখ্য যে—
নবাব যেদিন ছাড়ল এ দেশ
ব্রিটিশ সেদিন উল্লাসে গায়
বিদেশি গান বাজছে কানে বাংলাতে।
ক্ষমতা করে সমর্পিত বাংলারই এক
মোল্লাকে যে করল তা নিঃশেষ।
এ জেলা সেই থেকে পেল গোল্লা
শুধু ভোট বাড়াতে চাইছে যে।
শাসক যে হোক বাড়িয়ে দু হাত
ভিক্ষা করে দ্বারে দ্বারে
দেই যে মুখের ফুলঝুড়ি তার
শুনবে কে ?
যে গড়বে হেথায় ভার্সিটি
রাস্তা হবে পাকা কাঁচা মাটির
এ ভাই এই জেলা ভাই বড্ড বেশি
বঞ্চিত হয় যুগ হতে যুগ যুগ হতে।
ধোঁকা ছাড়া পাইনা কিছু
পোড়ায় ওরা শিক্ষাকে!



বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন-10/02/2021

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 10/02/2021

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 10/02/2021, বুধবার
               সময় :- রাত 09. 05 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

Teddy Day
~ Panchali Deb & Raja Debroy

The Day is special, it's all about Teddies.
Cute, little, colourful, soft buddies!
Former president of the United States,
Theodore Roosevelt, went hunting one day.
But unfortunately, could not get his prey.
But finally a black bear was caught.
He had an innocent look.
So, Mr. President could not take a shot.
The story of his kindnesss was widespread.
Though the actual teddy of this day was black, not red.
An animated story was published on this incidence.
It touched the heart of a toy company owner,
and he grabbed a large audience.
Hence, the gift became very popular,
one gives or gets it from their lover.


টেডি ডে
~ রাজা দেবরায়

আজ ডে টেডি,
অনেকেই টেডি বিয়ার কিনতে রেডি!
রং-বেরংয়ের মিষ্টি ভল্লুক দেখতে ভালো,
এই দিবসের আসল ভল্লুক ছিলো কালো।
একদা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট,
নাম থিওডোর রুজভেল্ট।
একদিন করতে যান ভল্লুক শিকার,
কিন্তু হায় শিকারে হলেন বেকার!
তবে অবশেষে আনা হলো কালো ভল্লুক,
যার ছিলো একদম বাচ্চা লুক!
রুজভেল্ট করলোনা তাকে গুলি,
ছড়িয়ে পড়লো তার মানবিক গুণাবলী।
একদিন এই কাহিনীর প্রকাশ কার্টুনে,
এক খেলনা কোম্পানির ধরলো মনে।
তারপর বানালো প্রথম টেডি বিয়ার,
ছড়িয়ে পড়লো দিকে দিকে এর প্রচার।
বর্তমানে টেডি বিয়ার দারুণ জনপ্রিয়,
উপহার হিসেবে পায় 'প্রিয়া' অথবা 'প্রিয়'!




বাস্তব সত‍্য
বিপ্লব গোস্বামী

নিজের দোষ কেউ দেখেনা
পরের দোষে বিচারপতি ;
নিজের স্বার্থ কেউ ছাড়ে না
পরকে বলে কিপ্টে অতি।

নিজের দোষ ঢাকতে সবাই
উকিল হয়ে যুক্তি দেখায়,
পরের দোষের নেইতো ক্ষমা
সাত পুরুষের মন্দ গায়।

  নিজের ছেলে শান্তশিষ্ট
  নিজের মেয়ে লক্ষ্মীমতী ;
পরের ছেলে বকাটে-বেকার
পরের মেয়ে  নষ্টা-অসতী।

পরের জাত-বংশ হীন-নীচ
নিজের জাত-বংশ উত্তম ;
নিজের স্তর-মর্যাদা অতি উঁচু
বাকিরা সব নিকৃষ্ট অধম।






উপলব্ধি
ডা:নরেন্দ্র নাথ নস্কর

যে দিন গুলো চলে যায়,
সে গুলো হয়ত আর পুনরায় ফিরে আসে না।
কিন্তু তার রেশ, তার ছাপ নতুন দিনের পথ দেখায়।
পুরানোকে কেই বা মনে রাখে?
অকৃতজ্ঞের মত পুরানোকে ভুলে গেলে, পদে পদে বাধা পেতে হয়।
পুরানোর অভিজ্ঞতা, তার দেখানো পথে এগিয়ে গেলে অনেক দুর পৌঁছান যায়।
না হলে বারে বারে নতুন করে শুরু করতে হয়।
নতুনের জন্য পুরানোকে পথ ছাড়তেই হয়।
সবাই এক দিন পুরানো হবে।
তাদেরও নতুনকে পথ ছেড়ে দিতে হবে।
এই যাওয়া আসার খেলায় প্রকৃতি চলছে।
তাই প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে, কোন কিছুই চির স্থায়ী নয়।
যেমন জীবন,  যৌবন, ধন, মান, যশ, পদ, প্রাপ্তি  ইত্যাদি সমস্তকে ছেড়ে যেতে হয়।
যারা এই সমস্তকে মানুষের সেবায় উৎসর্গ করেন তাদের উপলব্ধি অনেক আগেই হয়েছে।
তাদের পদচিহ্ন দীর্ঘস্থায়ী হয়।

যারা পারেনা তাদের কষ্ট পেতে হয় ছেড়ে যেতে। বৃথা এগুলোর মোহে পড়ে  অনেকে যাতনা পায়।

প্রথম থেকে ছাড়তে শিখলে, দিতে শিখলে মনে অনেক শান্তি পাওয়া যায়।
যারা আঁকড়ে ধরে মোহাচ্ছন্ন থাকে, তারা দিতে পারেনা বা ছাড়তেও পরে না, শুধু কি হবে এই আশংকায় দিন কাটায়।

দেখা গেছে জ্ঞান ও অনেক ক্ষেত্রে  ধন বরং দান করলে বৃদ্ধি পায়।

ঈশ্বর একজনকে দিয়েছেন ভালো  মানুষদের ও যাদের নেই তাদের দেবার জন্য, জমাবার জন্য নয়।

নিজেদের প্রয়োজন মিঠে গেলে, যাদের সত্যি প্রয়োজন তাদের দিলে মানসিক, শারীরিক,  সামাজিক ও আধ্যাত্মিক  ভাবে সুস্থ ও আনন্দে থাকা যায়।

NB:এগুলো উপলব্ধি প্রসূত কথা।
কোন বই পড়ে লেখা নয়।





দিক_বালিকা
শান্তি_দাস

বিধাতার দান দিয়েছে নারীর অঙ্গে শোভা,
নারীরা যে চিরকাল অত্যাচারীত হয়ে ও থাকে বোবা।
চিরদিন বঞ্চিত হয়ে পেয়েছে শুধু শোষন আর শাসন,
তবে সবাই নিশ্চিত যুগের বদলে হবে সমাজের বদল।

এই পৃথিবীতে ভরে গেছে পিশাচের দল নেই নিরাপত্তা,
বড় আশা নিয়ে আছে দিক বালিকা সুন্দর হবে পৃথিবীটা।
রূপের মাধুর্যে দিকে দিকে শুধু লোভ লালসার স্বীকার,
জ্বলে পুড়ে যায় চেতনা বিবেকের অন্ধত্বের বিকার।

এতটা তো চায়নি বালিকা ব্যথা আর মানুষের মুখে বিহ্বলতা,
চেয়েছিল আরো কিছু কম এতো শোভা এতো স্বাধীনতা।
আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়ে দেখেছিল রূপের বাহার,
আঘাত ও ব্যথা বেদনা ঘিরে আছে মনের মাঝে বিরাট পাহাড়।

কত কথা কাঁটা হয়ে বুকের মাঝে আছে বিঁধে,
কত অভিমান  কত জ্বালা পোষে আছে এই হৃদয়ে।
দেখে যাও এসো প্রিয় কত সাধ এই জীবন দোড়ে,
কত আশা ছিল জীবনে সব শেষ ভরে গেল হাহাকারে।

অতটুকু চায়নি বালিকা শুধু চেয়েছিল একটু ভালোবাসুক,
বসে থাকা সবটা দুপুর চেয়েছিল মা বাবা তার বেদনা দেখুক।
অত হৈ রৈ অত সমাগম বুকের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য খনি দিক এখনি,
ভালোবাসার অদূরে চেয়েছিল কম শুধু চেয়েছিল একটি পুরুষের মুখে বলুক রমনী।




ওদের সেই ছাগল
আব্দুল রাহাজ

রঞ্জন দের অনেকগুলি ছাগল ছিল ওদের সাথে বেশ বন্ধুত্ব ছিল।  ওদের মধ্যে একটি ছাগলের নাম ছিল পুটি পাশেই ছিল রেলওয়ে স্টেশন সেখানে ঘুরে ঘুরে বেড়াত বাড়িতে আসত সেই সন্ধ্যার শেষে। রেলওয়ে স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম থাকে যাত্রীদের সাথে ও বেশ বন্ধুত্ব হয়েছে ছাগলের। একবার ওদের গ্রামের সরেন কলেজে যাবে বলে স্টেশনে বসে ছিল সে দেখে ছাগলের এক অদ্ভুত কাণ্ড অল্প বয়সী মেয়ে ঝাল মুড়ি নিয়ে খেতে খেতে গল্প করছে মেয়েটি ঝাল মুড়ির ঠোঙা টি পাশে রাখতেই কখন যে আপন মনে ছাগল সেটি নিয়ে খেয়ে ফেলল পরে মেয়েটি খেতে গিয়ে টের পায় সমস্ত যাত্রীগণ অবাক চোখে তাকিয়ে দেখে ছাগলের কান্ড। স্টেশনের যাত্রীরা বেশ অবাক হয়ে যেত ছাগলকে দেখে তারপরে খেতে  দিত বিস্কুট কলা এইভাবে সারা দিন কাটতো স্টেশনে থেকে। রঞ্জন দের যখন খুব অভাব ছিল ঠিক তখন এই ছাগল গুলো পুষে ছিল ওর বাবা-মা তা আজ বেশ বড় হয়েছে বিভিন্ন দিক থেকে বেশ পঞ্চমুখ হয়েছে রঞ্জন রা । এইভাবে ছাগলগুলো নিয়ে যাবে সুখে-শান্তিতে বসবাস করে করছে আজীবন ধরে।



মুর্শিদাবাদ
উমর ফারুক

এ জেলা বঞ্চিত হয় শিক্ষা থেকে
যুগের পর যুগ কেটে যায়
ব্রিটিশ থেকেই শেখা হলো ,
স্বাধীন হয়ে কি বা লাভ প্রশ্ন তুলে ছাত্র তে।
এখানে চাই যে নিতে সব লুটে
'জ্বালাও ঘরে শিক্ষা বাতি,
নেভাও  যত অজ্ঞতা'—
এ ভাষন একটুও নয় কার্যকর!
শিক্ষা ছাড়াই ওই আসন
যে আসন আসীন ছিলেন  অজ্ঞ সে লোক
শিক্ষা হীন ও মুখ্য যে—
নবাব যেদিন ছাড়ল এ দেশ
ব্রিটিশ সেদিন উল্লাসে গায়
বিদেশি গান বাজছে কানে বাংলাতে।
ক্ষমতা করে সমর্পিত বাংলারই এক
মোল্লাকে যে করল তা নিঃশেষ।
এ জেলা সেই থেকে পেল গোল্লা
শুধু ভোট বাড়াতে চাইছে যে।
শাসক যে হোক বাড়িয়ে দু হাত
ভিক্ষা করে দ্বারে দ্বারে
দেই যে মুখের ফুলঝুড়ি তার
শুনবে কে ?
যে গড়বে হেথায় ভার্সিটি
রাস্তা হবে পাকা কাঁচা মাটির
এ ভাই এই জেলা ভাই বড্ড বেশি
বঞ্চিত হয় যুগ হতে যুগ যুগ হতে।
ধোঁকা ছাড়া পাইনা কিছু
পোড়ায় ওরা শিক্ষাকে!