উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 09/02/2021
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:- 09/02/2021, মঙ্গলবার
সময় :- রাত 09. 45 মি:
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
It's Chocolate Day Today!
~ Raja Debroy & Panchali Deb
On the lover's head, a big load.
He has to get an expensive one of good label,
else love will be blowed.
He justifies "Kids eat chocolate",
but his girl is stubborn.
Further he says, "You will spoil
your beautiful teeth".
Oh! Don't worry, she replies "I have a strong
toothpaste, all the cavity will perish from keith"
Ok, I will purchase one, but let us share.
This is how we will show, we care.
The chocolate purchased with the intention
that they both ate. Alas ! She did checkmate.
She announced "I kept three fourth for myself!"
"I can show I care, but not with
my lover's gift as it is very rare."
শীত যায় যায় করছে..তাই..
চিত্তরঞ্জন দেবভূতি
শীত যায় যায় করছে তাই..
আমার তো ভীষন ভালো লাগছে৷
শীতকালে কৃষাণ রমণীদের কষ্ট
আজও আমি ভুলি নাই৷
ভোরবেলা উঠে গোয়ালঘর পরিস্কার,উঠোন ঝাড় দেওয়া,,
বাসন মাজা সবই করতে হয়,
অথচ তাঁদের জীবন আলেখ্য কেন সাহিত্যর পাতায় নয়?
কত ধানে কত থাকে পাতান
কত হয় চাল?
অট্টলিকার সব নারী জানে কি সেই হিসাব?
পাড়া গ্রামে নারীরা কঠিন পরিশ্রম দ্ধারা ,
সুন্দর করে তোলে ,
প্রতিটি সকাল৷
মনের ভাবনা
গল্প
কলমে ,,অনাদি মুখার্জি
আজ 9ই ফেব্রুয়ারি এই দিনটার জন্য ক্যালেন্ডারে দাগ দিয়ে রেখেছে ! আজ তো চকলেট ডে সেই উপলক্ষে ফ্রিজ থেকে ডাইরি মিল্কটা বের করে রাখলো ! আকাশ এখন অফিসে যাবে, তার আগে তার হাতে এই ডাইরি মিল্কটা দিয়ে হ্যাপি চকলেট ডে উইশ করবে ! আকাশ সব কিছু গুছিয়ে অফিস যাবার জন্য বের হয়,তখন দিয়া তার হাতে চকলেট দিতে যায় তা দেখে আকাশ বললো এখন আমার সময় নেই তোমার কথা শোনার এখন অফিস চললাম !
আকাশের এত ব্যাস্ততা দেখে দিয়া ভাবলো আকাশ এখন অনেক পাল্টে গেছে ,সব সময় কিছু বললেই কাজের অজুহাত দেখিয়ে চলে যায় ! কিন্তু একদিন এই আকাশ তাকে পাবার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা তার জন্য সময় বের করতো ! সেই দিনের কথা গুলো মনে করলে দিয়ার চোখের জল আসে !
একদিন দিয়ার কলেজ ছুটির পর সেই বাড়ি ফিরছিলো তখন রাস্তায় মধ্যেই আকাশ কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ,আকাশ কে দেখে দিয়া বললো কার জন্য দাঁড়িয়ে আছো তুমি ! আকাশ উফ তোমাকে দেখার জন্যই একঘন্টা ধরে অপেক্ষা করছি ! দিয়া হাসতে হাসতে বললো আমাকে তোমার প্রেমের জালে ফাসাতে গেলে সময় তো দিতে হবে তার সাথে কিছু খরচ করতে হবে ! সেই কথা শুনে আকাশ বললো তোমাকে একটু দেখতে পাবার জন্য আমি সারাদিন অপেক্ষা করতে রাজি ! দিয়া বললো আচছা তবে এখন চলোতো বাবু আমাকে ফুচকা খাওয়াতে নিয়ে চল ,আকাশ বললো ওকে ইয়ার চলো ! ফুচকা খেতে খেতে আকাশ দিয়াকে বললো কাল একটু পার্কের মধ্যেই দেখা করো ,দিয়া বললো কেনো ? আরে এসোই না এলে বুঝতে পারবে ! পরের দিন ঠিক কথা মতোন দিয়া অনেকক্ষণ ,কিছু বাদে আকাশ কে দেখে দিয়া বললো আমার সাথে কথা বলতে গেলে তোমাকে পাংচুয়াল হতে হবে বুঝলে ,আকাশ ঘাড় হেলিয়ে বললো ওকে ম্যাডাম ,কিন্তু আজ একটু দেরি হলো কেনো জানো ? তোমায় মনের মধ্যেই এই দিন টা সারাজীবন মনে থাকে এই জন্যই ! দিয়া বললো কেনো আজ কি বিশেষ দিন, যে মনে রাখতে হবে ? আকাশ তখন তার হাতে থাকা বড়ো একটা ক্যাডবেরি দিয়ার হাতে দিয়ে বললো হ্যাপি চকলেট ডে ,আজ চকলেট দিবস এই দিনে তোমার প্রিয় জিনিস তোমার হাতে দিয়ে তোমার মুখের মিষ্টি হাসি দেখতে চাই ! দিয়া তার ভ্রু নাচিয়ে হুম বলে তার ভেতরটা একটা সাধারণ দিনটা ও কেমন যেনো স্পেশাল হয়ে গেলো ! তখন দিয়া চকলেট ভেঙে একটু মুখে দিয়ে আকাশের মুখে গুজে বলে থ্যাংকস বলে এই দিনের কথা আমি কোনোদিন ভুলবো না ! তার পর থেকে আকাশ প্রতি বছর এই দিনটি তে দিয়া কে অনেক ধরনের চকলেট উপহার দেয় !দিয়াও খুব ভালো বাসে চকলেট খেতে তাই তো সেই এই দিনটা মনে রেখেছে !
আকাশের সাথে দিয়া বিয়ে হয়ছে পাঁচ বছর , আর এই দিনটি দিয়া ও আকাশ পালন করে আসছে কিন্তু আজ এখন আর সময় নেই আকাশের কেন এমন হলো হঠাৎ মা বলে একটা শব্দ কানের মধ্যেই আসতে দিয়া চমকে উঠে পিছনে তাকায় দেখে তার একমাত্র মেয়ে ঝিলিক কে !
রাতে অফিস থেকে এসে সোজা আকাশ তার বেডরুমে চলে গেল ,খানিক বাদে দিয়া আকাশের বেডরুমে এসে দেখে আকাশ তার ল্যাপটপে সামনে বসে তার কাজের রিপোর্ট লিখছে ,দিয়া তখন আকাশের সামনে চকলেট টা রাখে ,সেই চকলেট দেখে আকাশ বলে ,তুমি কি করছো বলতো আর এত চকলেট তুমি খাচছো কেন ? তুমি জানো তোমার বেবি হবার পর তোমার ওজন বেড়েছে তাই তোমার চকলেট খাওয়া বারণ ! এই চকলেট খেলে তুমি মোটা হয়ে যাবে ! যাও এখন সামনে থেকে ,দিয়া বললো আজ চকলেট ডে হ্যাপি চকলেট ডে আকাশ ! দিয়ার মুখ থেকে ঐ কথা শোনার পর আকাশ বললো আরে তুমি একটা বাচ্চা মেয়ে মতোন কেন করো ! উফ তোমাকে নিয়ে আর পারি না দেখছো তো আমি এখন ব্যাস্ত প্লিজ তুমি আমাকে ডিসটার্ব করো না !
আকাশের মুখে এই কথা শোনার পর দিয়া অভিমানে চোখের জল নিয়ে তার বেডরুমে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো ! কিছু বাদে আকাশ এলো শোবার ঘরের এসে দেখে দিয়া তখন ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে ,তা দেখে আকাশ দিয়ার পাশে বসে বললো আরে তোমার কি হয়েছে ,এমন কেনো করছো ! তখন দিয়া বলে উঠলো যাও তোমার ল্যাপটপে কাছে থাকো ,সব সময় কাজ নিয়ে থাকো ,আমাকে তো আর ভালো লাগে না তোমার ,কিছুই মনে নেই সব ভুলে গেছো ! দিয়ার মুখে এই কথা শুনে আকাশ বললো সব মনে আছে কিছু ভুলে যায়নি ! এই দিনটা তে তোমাকে চকলেট দিতাম আর হ্যাপি চকলেট ডে বলতাম ! বলে তো তোমাকে আমি পেলাম আমার জীবনে ,আর তুমি ও আমাকে সব কিছু উজাড় করে দিলে , তোমার জন্যই আজ আমি মেয়ের বাবা হলাম ,কিন্তু কি জানো তুমি আর আমার মেয়ে আসার পর আর কিছু চাই না , এই নিয়ে সুখে থাকতে চাই! এর মধ্যেই যা আছে তা কোনো চকলেট অথবা রোজ ডে আর মানায় না ! কই দাও তো চকলেট বলে দিয়ার হাত থেকে চকলেট নিয়ে ঝিলিক কে উঠাতে লাগলো আকাশ ! ঝিলিক উঠে বলে কি হলো পাপা ,আকাশ তখন তার মেয়ে কে চকলেট দিয়ে বললো হ্যাপি চকলেট ডে সোনা ! থ্যাংক কিউ পাপা বলে ঝিলিক ! তখন দিয়া উঠে রান্না ঘরে দিকে পা বাড়াতে আকাশ খপ করে দিয়ার হাত ধরে বলে এসো কাছে ! দিয়া সামনে আসতে আকাশ তার পকেট থেকে একটা বড়ো ক্যাডবেরি বার করে দিয়া হাতে চকলেট দিয়ে বলে হ্যাপি চকলেট ডে ইয়ার ! দিয়া তখন তার হাত থেকে চকলেট নিয়ে ভেঙে আকাশের দুই গালে মাখিয়ে বলে খুব শয়তান তুমি ! তাদের মেয়ে ঝিলিক কে জড়িয়ে ধরে দিয়া বলে হ্যাপি চকলেট ডে আকাশ সত্যি তুমি খুব ভালো !
গোয়ালে গাড়া গয়না
অঞ্জলি দে নন্দী, মম
আমি চৈতন্যবাটী গ্রামের নন্দী বাড়ীর মেয়ে ছিলাম। আমাদের গোয়ালের এক কোণে কয়লা ঢালা থাকতো। তা ভেঙ্গে আঁচ দেওয়ার জন্য একটি বড় পাথর এই ঢালা কয়লার গা ঘেঁষে রাখা থাকতো। একটি লোহার হাতুড়ি দিয়ে ওই পাথরের ওপরে বড় কয়লার চাঁই রেখে ঘা মেরে মেরে মেরে ভেঙে, একটি বেতের ঝুড়িতে করে বয়ে রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে মাটির উনুনে আঁচ দেওয়া হত।
এই কয়লার নীচে মাটির মেঝে শাবল দিয়ে খুঁড়ে তার মধ্যে একটি পেতোলের বাক্সে সোনার গয়না রেখে, তা তালা দিয়ে বন্ধ করে, গেড়ে রাখা গত। কয়েক শো ভোরি সোনার গয়না। মণিও। সোনার মোহোর। রজত অলংকার, মুদ্রা ও বাসন।
আমার মনে পড়ে আজ, টিনের চালের নীচে এতো অমূল্য সম্পদ.......
বাংলা আমার মাতৃভাষা
বিপ্লব গোস্বামী
বাংলা আমার মাতৃভাষা
বাংলা আমার চির আশা।
বাংলা আমার সব ভরসা
বাংলা আমার জীবন সরসা।
বাংলায় আমার জন্ম তাই
পৃথিবীর রূপ দেখিতে না চাই।
বাংলায় দেখি প্রথম সবিতা
তাই লিখি বাংলায় কবিতা।
যে ভাষার রাখতে মান
ঊনিশ একুশ নিলো প্রাণ।
এপারে ঊনিশে ওপারে একুশে
তাইতো বাংলার মান সর্ব দিশে
কবিতা---
অটুট বন্ধন
কলমে-শান্তি দাস
মায়ের কোল ছেড়ে একদিন এসেছিলাম তোমার হয়ে,
তোমার হাত ধরে তোমার ছোট্ট কুটির মাঝে।
প্রথম জীবনটা কেটেছিল মোদের আনন্দে উল্লাসে,
আজ ও মনে পড়ে সেই বিরহে বেদনার দিনগুলো।
সংসারের দায়িত্ব পালন ঝড়ের গতিবেগে প্রতিমুহূর্ত,
বুঝতেই পারতাম না দিন শেষে বছর পেরিয়ে যেত।
হাসি, ঠাট্টা,সুখ দুঃখ সবগুলোই ছিল এর মাঝে,
ছেলে,মেয়ে নিয়ে সুখে দুঃখে পেরিয়ে গেল অনেক বছর।
প্রত্যেকে এখন তারা তাদের নিজের দায়িত্বে,
হারিয়ে গেল সেই দিনগুলো আজ বার্ধক্যের দোড়ে।
এখন তো ছেলেমেয়ে মা বাবাকে বোঝা মনে করে,
ছেলেমেয়ে নিজের দায়িত্বে বাবা মাকে ভুলে আছে।
জীবনে চলার পথে আমরা একে অপরে নির্ভর করে,
জীবন চলার পথে নিত্য সঙ্গী রূপে হৃদয়ের বন্ধনে।
স্বামী,স্ত্রীর বন্ধন রয়ে যাবে চিরতরে অটুট বন্ধনে,
একে অপরের হাত রেখে চলব শেষ নিঃশ্বাসে।
এই দুটি মনের বন্ধন এই যে অটুট বন্ধনে আবদ্ধ,
একে অপরের সুখে দুঃখে দুজনে থাকবো চিরকাল।
সাতপাকে বাঁধা পড়ে দুটি মনে,এক হয়ে চলবো একসাথে,
এই বন্ধন যে চিরদিনের জন্য রয়ে যায় অটুট বন্ধনে।
কবিতা -
রাঙা অস্তরাগে
কবি - পিনাকী মুখার্জী
সকাল সাঁঝ পূব পশ্চিম ,
রন্ধন , তারই ইন্ধনে !!
নিজের ঘরে মনটা ফেলে ,
পথেই রসদ সন্ধানে !!
জীবনের বোঝা কাঁধে তুলে ,
মেঘের সারি হয়ে !!
ভরবে দুচোখ , ছোট্ট ঝর্ণা ,
উঠলে নেচে - গেয়ে !!
বর্ষার ভাগে রঙিন স্বপ্ন ,
আমার ধূসর কালো !!
শরৎ শীতে ফেরিওয়ালা , কাঁধে
মস্ত পেঁজা তুলো !!
বদলের নামে ব্যাপন শুধু ,
একজোট ওরা অনুযোগে !!
মন ক্যানভাস , তারই আভাস
পশ্চিমে , রাঙা অস্তরাগে !!
****************************
কবিতা
ডাকছে যখন রাজপথ
কলমে-মিনতি গোস্বামী
সব ভুলে, দেদার মশগুলে, মাতন যখন এই সভায়
সেই ঠেকে,চোখ রেখে, পৃথিবী নত হয়েছে লজ্জায়,
মাটি ভুলে, আলপথ তুলে, মাটির বুকে চলছে লড়াই
খাবার খুঁটে,বুক ঠুকে, বাঁচছে দেখি কিছু চড়াই।
ঘামে বোনা, রক্তে গোণা,শ্রমে হচ্ছে নতুন মিনার
শ্রমিক ধুঁকে, যাচ্ছে ফুঁকে, দেখতে পায়না দিশা বাঁচার।
লাঙ্গল আছে,কাস্তে আছে, বিপ্লব দেয় নতুন দিশা
লড়িয়ে জান, গেলে প্রাণ, আসবে হাতে বাঁচার ভিসা,
এগিয়ে চলো, শ্লোগান তোলো,ডাকছে কুয়াশা ঢাকা রাজপথ
দেখতে চাইলে, আনতে চাইলে, সাতটি ঘোড়ার সেই সূর্যরথ।
ধর্ষক
ঐশিকী সিংহ
সমাজের কথা ভাবলেও অাজ
কাঁটা দিয়ে ওঠে গায়ে,
রাস্তার কিছু কুকুর,শেয়াল
নিষ্পাপ মেয়েকে ছিঁড়ে খায়।
যেই হাতে নিজের বোনের
চোখের জল তোরা মোছাস,
সেই হাতে অন্যের বোনের
সন্মান তোরা ঘোচাস।
এক মেয়েকে হত্যা করে
শূন্য করিস মায়ের বুক,
সেই আনন্দেই মেতে উঠিস
আর তাতেই পাস সুখ।
মা-বোনেরা আতঙ্কে থাকে
ভয় পায় বারো-মাস,
ওই মানুষরূপী পিশাচগুলো
সমাজকে করছে ক্রমশ গ্রাস।
সব পুরুষরাই ধর্ষক নয়
বাড়িতে বাবা আমারও আছে,
কুকুর গুলো যাতে মানুষ হয়
প্রার্থনা করি ভগবানের কাছে।।
ওদের গ্রামে শীতের আমেজ
আব্দুল রাহাজ
রাহুল রতন শফিক রা বসবাস করত এক সুন্দর সবুজে রাঙানো এক মনোরম পরিবেশের মধ্যে। গ্রামটি চিত্রা নদীর পাড়ে পতিত আছে সেই আদি দিগন্তের কাল ধরে। শীতের সময় ওদের গ্রামের পরিবেশ যেন অন্য রূপে ফুটে ওঠে চারিদিকে । চিত্রা নদীর পূর্ব পাশে পরিযায়ী পাখিরা দল বেঁধে থাকে শীতের দিনগুলোতে। বেশ আনন্দ করে কাটে ওখানকার মানুষের প্রান্তিক হলেও পারস্পরিক মেলবন্ধন ছিল চোখে পড়ার মতো। শীতের সময় ওদের গ্রামে মাঠ গুলোতে সবজি সরিষা হতো ধান হত এই সময়ে গ্রামের মানুষ কৃষি কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকত সেইসাথে পরিবেশ ফুটে উঠত এক অন্য রূপে। ওরা অবাক চোখে দেখত এই প্রকৃতির লীলাখেলা সত্যিই ওদের গ্রামের শীতের আমেজে পরিবেশ ফুটে উঠত সূর্যের দ্বীপ্ত রাশির মত। ওদের গ্রামের শীতের দিনের সৌন্দর্যতা মানুষের মুখে যে চওড়া হাসি এসব দেখে প্রকৃতি মা বেশ প্রত্যক্ষ করতো আজীবন ধরে শীতের হিমেল বাতাসে ওদের গ্রামের মেলা বেশ জমে উঠত নানা রঙে সম্প্রীতির মেলবন্ধন সবমিলিয়ে শীতের আমেজ ওদের গ্রামের পরিবেশকে যেরকম বৈচিত্র্যের মতো ফুটিয়ে তুলতো ঠিক তেমনি প্রান্তিক মানুষগুলোর চোখে মুখে একটা শান্তির ছায়া দেখতে পাওয়া যেত মুখে চওড়া হাসি ফুটে উঠত। এইভাবে ওরা শীতের দিন গুলো উপভোগ করে আসছে চিরবসন্তের হাত ধরে।
সবুজ ঘোড়া
বদরুদ্দোজা শেখু
এক দঙ্গল সবুজ ঘোড়া যাচ্ছে ছুটে' পাহাড়-পুরে
নৈঃশব্দ্যের ধুলোর মতো ভৌতিকতা বাজছে ক্ষুরে
জমাট সবুজ ভঙ্গিলতার নিবিড় তরাই উপত্যকায়
রূপকথার এক পক্ষিরাজের লাফ শোনা যায় হাওয়ার পাখায়
ছুটছে দূরে দুঃসাহসী ধূসর ধূমল শৃঙ্গশ্রেণী
টেক্কা দেওয়া ফুল্ল কেশর কৃষ্ণ মেঘের মুক্ত বেণী
দূরে কোথাও দুর্বিনীত দেমাক -ভরা বেহেড মাতাল
ধমক খেয়ে থমকে' আছে চক্রবালের সমান্তরাল
রুক্ষ চূড়াও গ্রাস করবার করছে ভীষণ গোঁয়ার্তুমি,
কোথাও বেঘোর ঘুমিয়ে আছে পেয়ে চিরোল চারণভূমি ,
পাহাড়গুলোও ডিঙোয় পাহাড় দৃশ্য বটে দেখার মতো
মুলুক-জোড়া তালুকটি তার খেয়ালিপনার মজ্জাগত,
মধ্যপথে বিরুদ্ধ যেই টগবগিয়ে ছোটার নেশা--
খণ্ড শিলার ঢিবির খোঁচে দাঁত খিঁচিয়ে হাঁকছে হ্রেষা ।
পিঠের উপর শহরগুলোর নকশীকাঁথার পালান চ'ড়ে
রূপ -সওয়ারী মানুষগুলো যাচ্ছে বিভোর বল্গা ধ'রে
দৃশ্যরাজির, দারুণ পুলক-রোমাঞ্চিত আকাশ-চেপে',
স্বভাব-ভীরু দিগবালিকা সান্ধ্য শিখায় উঠছে কেঁপে
অস্পষ্ট দিগ্বলয়ে,পৃথিবীটাই ওলটপালট
করার নেশায় উচ্ছ্বসিত অশ্বগুলো ঘোর একজোট ।
ওলটপালট হচ্ছে অবাক মগ্ন মনের সূপ্ত শিথিল
সমতলের অভিজ্ঞতার জাড্য-প্রবণ বধির ফসিল,
উন্মোচিত হচ্ছে ক্রমেই নতুন থেকে নতুনতরো
দিগন্ত যার বিচিত্রতায় বসুন্ধরা যে কতো বড়ো !
অন্ধকারের কালো পিঠে উথলে'-ওঠা শিলার
ঢেলায়
চাঁদতারাদের লেপ্টে থাকার নৈসর্গিক নীরব খেলায়
অঙ্কিত এক ঐশীস্তর ভারসাম্যের শুদ্ধ চুমো,
দূর নীলিমায় ভর করেছে অভ্রভেদী ভেলার ডুমো ।
মধ্যযামে উধাও মায়ার দিগভ্রান্ত তেপান্তরে
ভয়ার্ত ঘোর হাঁকলো হ্রেষা অমানিশার রুক্ষ ঝড়ে,
শীতের শহর চূড়ার চড়াই পেরিয়েই সে পড়লো বুঝি
মুখ থুবড়ে ' ,থমকে ' গণি অনিশ্চিত আয়ুর পুঁজি !
হাতড়ে' বেড়াই মগ্ন মনে ঘুমন্ত ঘোর দৃশ্যের সংলাপ ;
মনের ঘোড়া সবুজ ঘোড়া আকাশে দ্যায় আকাশে দ্যায় লাফ ।।
খুব সুন্দর আয়োজন ।
উত্তরমুছুনউপকন্ঠর জন্য নিরন্তর শুভকামনা ❤️