সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

Upokontha sahitya patrika web Bengali megazine- 08/02/2021, Monday

 Upokontha sahitya patrika web Bengali megazine- 08/02/2021, Monday

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 08/02/2021


**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 08/02/2021, সোমবার
               সময় :- রাত 07. 45 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

Propose Day
Panchali Deb & Raja Debroy

Today is 'Propose Day',
Boss! But what do I propose,
friendship or love?
Proposal means 'love proposal'
or a refined, secret urge?
If I offer love today,
what will I do on the 14th?
Things perplex me but
still I am on full charge.
Will I go empty handed or
propose with chocolates and rose?
But, yesterday was rose day and
tomorrow chocolate day!
Will this days lose their significance
if with these things I propose?
The more I think about these,
I get stuck in the maze,
and I am doubtful if ever
someone can clear this haze?



সোনার শিক্ষা
বিপ্লব গোস্বামী

বর্ণ  শিখে ছোট্ট সোনা
মায়ের কাছে বসে ;
বাবার কাছে সংখ‍্যা শিখে
সোনা অঙ্ক কষে ।

আমার কাছে বসে সোনা
শিখে মজার ছড়া ;
বাবার কাছে গিয়ে শিখে
শতকিয়ার পড়া।

মায়ের কাছে জানে সোনা
কোথায় কোন দেশ,
বাবার কাছে শিক্ষা পায়
যত সৎ উপদেশ।





স্মৃতির_পাতায়
     শান্তি_দাস

আজও ভেসে উঠে মনের কোনে স্মৃতির আবহনে,
স্মৃতির পাতায় রাখা আছে মনের জাগরণে।
কত সুন্দর সেই দিনগুলো ইচ্ছে জাগে ফিরে যেতে,
সেই ফেলে আসা ছোটবেলা,খেলা আর খেলা মেতে থাকা।

সেই স্মৃতি গুলো ছোট বেলার অকপটে ছবি আঁকা,
সকাল হলে বর্ষার জমানো জলে কাদামাটি মাখা,
বৃষ্টি ভিজে ভিজে আম গাছের তলায় কুঁড়িয়ে আম খাওয়া,
কচু পাতার ছাতা নিয়ে ঘুরাঘুরি করা জল ছিটিয়ে দেওয়া।

ঝরা আমগুলো কুঁড়িয়ে,গামছায়  করে হতো আনা,
বন্ধুরা সবাই মিলে আম কুঁচিয়ে ভর্তা মাখা সবার জানা।
বড় ইচ্ছে জাগে,সেই দিন গুলো ফিরে পেতে,
সেই দিনগুলো রান্নাবাটি খেলায়  থাকতাম মেতে।

মাটি দিয়ে ভাত রান্না আর গাছ থেকে সবজি পাতালতা,
কি আনন্দ কি আনন্দ ছুটে বেড়াতাম যেথা সেথা।
সন্ধ্যা হলেই মায়ের বকুনি পড়তে বসতে হবে জোর,
সারাদিনের ক্লান্তি পড়তে বসলেই  চোখে ঘুমের ঘোর।

অতীত কিন্তু নয়কো মোর বর্তমানকে ভুলে থাকা,
অতীত আমার স্বপ্ন মধুর স্মৃতির আবেগ জাগা।
নিজের ছবি দেখি যখন ভাবতে লাগে মনে ব্যথা,
পুরনো সেই দিনগুলো স্মৃতির পাতায় গাঁথা।





দিন চলে যায়....
চিত্তরঞ্জন দেবডূতি
(টাইগার হিল  থেকে)

দার্জিলিং জেলায় টাইগার হিলে...
অনেকের  মতো  আমার  হয়  আসা,
কথা বলে গল্প করে দিন চলে যায়—
মানুষের প্রতি মানুষের বাড়ে আরো ভালোবাসা৷
ঘড়ির কাঁটাকে থামতে দেখি নি কখনো আমি,
সাগর পাড়ের কবি বান্ধবী মধুমিতা,
আজো কি বসে বসে সাগরের ঢেউ গোনো  তুমি?
দিন তো ঠিকই  চলে  যায় !
কালো চুলে ধরে পাক সাদা কেন হয়?
উত্তর তো জানা আছে সবার!
সবাই আসে আবার চলে যায়,
কিছু দিনের এই নাট্যশালায়—
কেউ বুঝি  কারো নয়?
দিন শেষে সবাই যে যাঁর মতো ফিরে যায় ঘরে,
কত সুন্দর এই টাইগার হিল,তবু সে একা থাকে পড়ে!





বর্তমান সময়ে হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব
(প্রবন্ধ)
আব্দুল রাহাজ

আজ আমরা বর্তমান সময়ে আধুনিকতার মায়াজালে জড়িয়ে পড়েছি এই সুন্দর পৃথিবী ধরা তলে। কোথাও যেন শিশুমন সবুজ পৃথিবীর মায়া কে উপভোগ না করে জড়িয়ে পড়ছে আধুনিকতার মায়াজালের মধ্যে। শহরাঞ্চলে এর প্রভাব বেশি আস্তে আস্তে দেখা যায় গ্রাম বাংলার সুন্দর পরিবেশে এর গ্রাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ‌‌। একবার সুজন অনেক বছর বাদেই মামার বাড়িতে গেছে গ্রীষ্মের ছুটিতে ইস্কুল বন্ধ সুজন বেশ ভালো ছাত্র গ্রামের সব বন্ধুরা আর কেউ খেলাধুলা করে না কেউ আর নদীর পাড়ে বসে গল্প করে না কাউকে ডাকতে গেলে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু সুজন কয়েক বছর আগের কথা চিন্তা করলে সুজনের মনটা বেশ আনন্দে ভরে উঠত। দক্ষিণ পাশের ওই মাঠে ফুটবল ক্রিকেট খেলায় ভরপুর হয়ে থাকতো‌ সারাদিন নদী পারে কতইনা খেলা করেছে ওরা এখন আর সেসব কিছুই হয় না। আস্তে আস্তে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে ওরা এবার ছুটিতে তাই সুজন মামার বাড়িতে যাবে। রাজগঞ্জের ঘাট থেকে কালু মাঝি নৌকায় উঠে  মামার বাড়িতে গেল সেখানকার পরিবেশ অপরূপ মায়া দৃশ্য এ সজ্জিত বেশ ভালো লাগে সুজনের । কিন্তু সেই হৈ হুল্লোড় আর নেই কনক নদীর পাড়ে বসে সুজন একা একা বসে ভাবে সত্যিই আধুনিকোত্তর মায়াজাল বিস্তার করছে অতি দ্রুত ছেলেবেলার শৈশব আর নেই হয়ে যাচ্ছে সূর্যের নিস্তেজ আলোর মতো কোথাও যেন মিলিয়ে যাচ্ছে। সুজন এসব কথা ভাবতে ভাবতে মামার  বাড়ি থেকে ফিরে এসে প্রকৃতির কল্পনায় বাকি সময়টা কাটিয়ে দিত ছাদে বসে কিংবা নদীর পাড়ে বসে। সুজন ভেবেছিল আর বোধ হয় তেলি পাড়ার মাঠে ফুটবল খেলা হবে না নদীতে আর সেই হইচই করে স্নান হবে না। শৈশব পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ঘর বন্দী হয়ে যাচ্ছে যা খুবই হতাশ এবং কালো অন্ধকার ডেকে আনছে শিশুমনের সামনে।





কবিতা
শিরোনাম-তুরুপের তাস
কলমে-মিনতি গোস্বামী

বেকারি বাড়ছে, হতাশা বাড়ছে, ধুঁকে ধুঁকে মরে জনগণ
ঢোল পিটে, ঢাক পিটে , মঞ্চে ফানুস ওড়াচ্ছে উন্নয়ন
খাদ‍্যে লাইন, স্বাস্হ্যে লাইন,লাইন হাঁটছে সোজা চিতায়
কেউ জানেনা, কেউ বোঝেনা,কার ঘাড়ে বর্তায় দায়।

ভোট এলে দলে দলে, নেতারা. হয় মুসকিল আসান
পরের নষ্টে, থাকে কষ্টে, কেঁদে কেঁদে বুক ভাসান।

ভোটে জিতে, যাবে মেতে,কালো টাকার কাম ধান্দায়
আর্জি নিয়ে,চটি খুইয়ে, পাবেনা আর সেই বান্দায়,
ভাবতে হবে, বোঝাতে হবে, হাতে পেলে তুরুপের তাস
নেইতো খোকা,ন ইতো বোকা, মাটির মাঝে আমাদের বাস।






  চোখ
অনিন্দ্য পাল

পাপকে দেখা যায় না,
নিজের বা পরের
চোখকেও কি চেনা যায় পরিচিত রং
আর  ছন্নছাড়া মেঘের দিকে না তাকালে?

পাপী খানিকটা খরগোশের মত
আড়াল গুলো আরো একটু বুদ্ধিমান হতে পারতো
অথবা নিজেরাই হেসে উঠতে পারতো
খরগোশের মত উদ্বিগ্ন নিশ্চিন্ততায়
তারপর পাপ এবং পাপী আবার ভোরবেলা!
পাপ
পাপী
এবং চোখ
যতদূর চোখ যায় দৃষ্টি টপকে যায় জিহ্বার পাঁচিল
কোন শব্দ আর এগোয় না রেটিনার দিকে
ওরা বুঝে যায় পাপ নয়
পাপী নয়,
আসলে সমস্ত নরক লুকিয়ে আছে
চোখের অনন্তশয্যায়...






Rose and thorn
©Mom
I pray to God, Hey! Dear!
Bless me, bless! Bless! Bless!
Kindly gift me a new birth
As a lovely rose
On this earth.
But he send me as thorn of rose.
So, i become fear,
Not love, yes....Yes....Yes...
I take place very near of rose.
Yes, too near!
Yet, i am not rose.
Then I complain against my God.
Why did you do it?
You have no blessing on me, dear!
Then he says,
You are too dear of rose.
Because you save her always.
Then I believe that God is ever good.
He will do good, does good and did good.
Yes, he can, could.






নারীর প্রত্যুক্তি
✍  এমাজদ্দিন সেখ

অতি উত্তম কবি ;  বলেছেন যখন সংস্কৃতির কথা !
কীআর করা ! ছাড়ান দিলাম ; 
বরং শ্রেয় চুপটি করে থাকা !
কিন্তু , যদি সব ভগিনী একযোগে কয় বিদ্রোহের গাথা ! 

:-- সংস্কৃতি মানে কি ডোবার জল ,
অচলায়তনের বদ্ধ দরজা ,
কুপমণ্ডক হয়ে সাগর মাপা ?
সেও তো স্রোতস্বীনি পদ্মা মেঘনা মুক্ত ধারা ---- 
স্থানু হলে কেনই বা গর্ব এতো , পাল্লাদিয়ে ভার্সিটি গড়া ?
সেই তো গোয়ালের ঝি ;  রান্না ঘর আর আঁতুর ঘর !
তার বাইরে জগৎ সভা পুরুষ সিংহ রাজের কাছাড় !!

কেনই বা তবে মিছে শ্রম , আধুনিকতার গান গাওয়া ?
লোক দেখানো ভরন !!! 
মুক্তি যুদ্ধে , স্বদেশি যুগে কেন আশ করা ; 
ভগিনী , রমণীরে সঙ্গ পাওয়া ?? 
জগৎ সভায় এগোতে হলে চাই-ই চাই নারীরও সমান কাঁধ মিলিয়ে অগ্র পানে হাঁটা ;
বেশের দোহাই পেরে , খোঁচা দিয়ে কেন বিদ্যজন হয় পথের কাঁটা ??
যদি তিনি বঙ্গ সংস্কৃতির অগ্রণী বীর ভ্রাতা !!
যদি , বাংলা ও বাঙালি রমণীর শাড়িহীনতা হয় অপসংস্কৃতি ; 
তবে বস্তা বন্দি ,শাসন ফন্দি ,
খাঁচার চিড়িয়া দেখার ঔদ্ধত্ত্ব ও পুরুষ সিংহের অপরাধ , এ বিধান দুষ্কৃতী !! 
ধর্ম কি এতোই ঠুনকো !! 
বেশ  ভুষার স্পর্শকাতরতায়  ফাটবে ফানুস ,
ভাঙবে মাটির হাঁড়ি ???
বিধান শুধুই নারীর বেলা ?
পুরুষের বেলা "ব্র্যাভো" !!
শাড়ি -  চুড়ি-  বোরখায় ঢাকা মানেই আহা কী পরেশগাড় , লাবণ্য ছুড়ি ! 
পুরুষ কেন লুঙ্গি ছাড়া , বেশ হারা ?
প্যান্ট ,ব্লেজার আর সানগ্লাসে রক, মেহেফিলে বসে ভাঙছে অবলা বোনের মাথায় হাজার সামন্ত যুগ বিধানের হাতুড়ি ???





প্রবন্ধ
  মহাশ্বেতা দেবী
    -  অগ্নিমিত্র

  মহাশ্বেতা দেবী বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র । ১৯২৬ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি । স্বামী বিজন ভট্টাচার্য ছিলেন খ্যাতনামা নাট্যব্যক্তিত্ব । বাবা মণীশ ঘটক কল্লোল যুগের নামকরা সাহিত্যিক । কাকা ঋত্বিক ঘটক সুবিখ্যাত নির্দেশক । একমাত্র পুত্র নবারুণ ভট্টাচার্যও বিখ্যাত কবি ও ঔপন্যাসিক ।  মহাশ্বেতা ভট্টাচার্য অনেক ভালো ভালো গল্প ও উপন্যাস উপহার দিয়েছেন বাঙালি তথা ভারতীয় পাঠককে , যেমন হাজার চুরাশির মা, রুদালি,  অরণ্যের অধিকার ইত্যাদি । সমাজের বঞ্চিত, নিপীড়িত শ্রেণীর কথা তাঁর কলমে উঠে এসেছে বারবার । লিখেছেন সাঁওতালী ও আদিবাসী মানুষদের জীবনগাথা। লিখেছেন শিশুদের জন্যও। বাংলা সাহিত্যের এক স্তম্ভ ছিলেন ইনি।
  এই সুমহান ব্যক্তিত্ব ভূষিত হয়েছেন জ্ঞানপীঠ ও ম্যাগসাইসাই পুরস্কারে । ২০১৬ সালে ওনার প্রয়াণ হয়।
আজ ১৪ই জানুয়ারি মহাশ্বেতা দেবীর উদ্দেশ্যে অকুন্ঠ শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।।

1 টি মন্তব্য: