শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 31/10/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 31/10/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন-31/10/2020


*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-31/10/2020, শনিবার
               সময় :- রাত 8 টা. 


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

Necessary
         Sohini Shabnam

People fall in love easily
with them who listen to them.
Nowadays people are so uselessly busy,
Wandering in social media and standing online without knowing
for what they are standing.
They don't like to talk much
As they think everybody is going to mock at him and his suffering.

But some time coincidentally or rather fortunately special person came in life who is willing to hear all of your stuffs without hesitating for a single moment.
May be they like how you talk
Or like you entirely.

Whenever a dejected person finds this kind of friend,
They just want to hold that person for lifetime and the first opinion come to their mind is to propose him.
              BUT
Reality is much harder than you think.
Situation changes and that same person become busy and not has least time to listen to you.
Then the relationship become toxic.
               SO
It is better to be friends.
That person who takes cares of you earlier may be come back to you one day.
What you can do is to wait for him
             BECAUSE
Some people are like sticks  to support you whenever you need.
And make you so self sufficient that you can live your life so strongly and bravely without him.

It is not betrayal,it is the part of teaching from where you learn how to be yourself.
It is our necessary to have that friend and believe me surely there is someone for you.

Keep patience.if there is no one like that then it implies you are already sufficient for yourself baby.






বিভাগ
        হাইকু কবিতা
        শংকর হালদার

০১।
শিশিরে মুক্তো
দুর্বার শিরোপরে
তব হাসিতে ।
০২।
মুক্তির স্বাধ
মরণে নয় ওগো
অনুকম্পায় ।
০৩।
সবুজে প্রাণ
প্রাণের মাঝে ঢেউ
ঢেউতে শুদ্ধি ।
০৪।
দৃষ্টিতে ক্ষত
বিষময় বিবেক
চলনে ভয় ।
০৫।
অদুরে তুমি
স্বপন মনে হয়
হারানো ভয় ।



দার্জিলিং—কোলকাতা
           চিত্তরঞ্জন দেবভূতি

সবুজ চাদরে ঢাকা এই দার্জিলিং জেলা  থেকে
ফারাক্কা হয়ে গঙ্গা পেরিয়ে পলাশীর প্রান্তরের পাশ দিয়ে কংক্রিটের মহানগরী কোলকাতা যতো বার গেছি,
ইংরেজ আমলের বাংলার এই রাজধানী দেখে মুগ্ধ হয়েছি৷
কতো ধর্মের কত কর্মের কত বর্ণের লোক !
"কারো পকেট ভরা,কারো পকেট ফাঁকা"
আবার হচ্ছে কত চিকিৎসা,যাঁর যেমন আছে রোগ৷
কত নেতা,মন্ত্রী, লাল বাতির গাড়ী, ভিক্টোরিয়া, ইডেন গার্ডেন, যাদুঘর আর চিড়িয়াখানা,
মঠ, মন্দির, গীর্জা,
মসজিদ, শিয়ালদা—হাওড়া লক্ষ লক্ষ মানুষের আনাগোনা!
অট্টলিকার সারির কাছে কত বস্তি বাড়ী আছে!
অবাক কান্ড কোলকাতায় ট্রেন চলে মাটির উপরে আর নিচে৷
জলে জাহাজ আকাশে বিমান!
কত জনের জন্য কত রকমের থাকে ফরমান,
রাতের বেলা লাগে দিনের মতো,
লড়াই করে বাঁচেন মানুষ—
জীবনের পথ চলে, খেলাধুলা, নাটক— কবিতা, গল্প, উপন্যাস, বইমেলা, কত কান্ভ,
এমন সুন্দর মহানগরী কম দেখা যায়,
লোকজন তো এই কথা বলে৷






বাহন
আভা সরকার মন্ডল

প্যাঁচাদের ঘরে ঘরে চলছে কলরব
লক্ষ্মী মায়ের কাছটি থেকে এসেছে তলব ।

সেজেগুজে পূর্ণিমাতে আনতে যাবে মাকে
লক্ষ্মী প্যাঁচা এই দিনেরই অপেক্ষাতে থাকে ।

তদারকি সারে তারা থেকে দূরে দূরে
সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনেই দেখে সব যে ঘুরে ঘুরে ।

হরেক-রকম আলপনাতে ঘর-বারান্দা সাজে
নিয়ম নিষ্ঠা ভরা থাকে প্রতি খাঁজে খাঁজে ।

মায়ের কাছেই বসে তারা মাপে মতিগতি
জেনেই সেটা, ভক্ত করে তার-ও যে আরতি ।

বাবা স্বয়ং মহাদেব যার মাতা দশভূজা
বাহন হয়ে তাঁরই প্যাঁচা ধরাতে পায় পূজা ।



আরশির ব্যাথা
            এমাজদ্দিন সেখ

যদি গাছ হতে পারতাম !!
মরা পাতা  ঝড়ে যেত , উদাসীন থাকতাম l
যদি সদা বাহার হতাম  ; ---
সদাই নবীন পুষ্পে-  পল্লবে  মাতোয়ারা  প্রাণ !!
যদি, পাতা ঝড়া হতাম :----
ফি-বছর বসন্তে নব সাজে পল্লবিত  বিকশিত জীবন !!
ক্যাকটাস হলেও কাঁটার  আড়ালে সবুজ সতেজ রোইতাম ---
যেমন সহস্র কাঁটা বিন্যাসের  গহীনে ...
রস সম্পৃক্ত  ফণীমনসা  ;---
গভীর মাটি -  পাথর থেকে সংগ্রহ করে প্রাণ রস ll

আমি কেন চূর্ন কাঁচ -  মানব প্রাণ ?
কেন আছড়ে ভাঙলে সুন্দর হৃদ আরশিটাকে ?
সে আরশিয় দেখো স্বরূপ কায়া বারে বারে ---
রূপ যদি না হয় গো প্রিয় আবার ভাঙ তারে !
রূপই যদি হয় গো কালো !
আরশির  কী দোষ বলো ?




তোমার অপেক্ষায় রয়
        অনাদি মুখার্জি

প্রিয়া আজ তুমি চলে গেছো বহু দূরে,
জানিনা তোমার মন  বেঁধেছে আজ কোন সুরে !
একবার ও কি মনে পড়ে না আমার মনের কথা,
তোমার কথা ভেবে এই  হৃদয়ে জাগে শুধু ব্যাথা !
সারাদিন সারারাত আজো আছি জেগে,
কিছুতেই ঘুম আসে না আমার এই দুই চোখেতে !
তুমি বলেছিলে আবার আমাদের দেখা হবে ,
নদীর পাড়ে বসে আমি ভাবি নীরবে !
আজ খুব মনে পড়ে তোমার ঐ গোলাপি ঠোঁট,
ঐ  ঠোঁটের ছোঁয়া পেয়ে ভিজেছিল আমার মন !
তোমার ঐ  শ্যাম্পু করা ভেজা চুলের গন্ধ,
যে গন্ধে আমি পেয়েছি জীবনের চলার ছন্দ !
কি এমন অভিমান হয়েছে বলো গো সাথি,
তোমার সাথে এমন ভাবে থাকতে চাই মোর সখি !
এখনো কি তুমি জোৎস্নার দেখো  প্রতি রাতে,
যে ভাবে আগে দেখতাম আমি তুমি এক সাথে !
বৃষ্টি এলে তোমার কথা বেশী মনে পড়ে ,
কলেজের ফেরার সময় ভিজে ছিলাম এক সাথে !
তোমায় ছাড়া হৃদয়ের উঠান শূন্য মনে হয়,
ফিরে আসবে জানি বলে আজো আছি তোমার অপেক্ষায় !





অনুভূতির ছোঁয়া
           নির্মল সরকার

সকল জীবন তোমার জন্য
কে তুমি ? ওগো প্রাণময় ..!
পথহারা যেন আমি ব‍্যকুল হৃদয় ।
কেমনে বলো, আপনারে শুধাই ।
আমার একটু ভালোবাসা -
তাও যদি মরে যায় !
তুমি নিষ্ঠুর না অবুঝ তা জানা নাই !
তুমি অনন্ত সুন্দর -
পবন বাহিত মনোরম দৃশ্য
হার মানে অপরূপ পৃথিবীময় !   ।

   
 

  চলাচল
       সৌরভ পুরকাইত

হিমেল হাওয়ার মতো
আমার কানের কাছে এসে
কী কথা যে বলো তুমি
কী যে কথা বলো ভালোবেসে।

শীতের দুপুর ঘেরা রোদ আসে
রাঙা আঙিনায়
মৃত সমাজের মতো
নীরবতা ঘেরে দুই পায়।

আমাদের চলাচল
শতকের আস্তরণ ঠেলে
কখনো মলিন হয়
জেগে ওঠে
নীলিমার
নীল বুক ঠেলে।

আদিগন্ত এ কি কথা
নাকি শুধু জলধির ঢেউ
বুক চিরে কথা কয়
নাকি বয়
বাতাসেতে কেউ।।





     ছেলে ভোলানো
           সুস্মিতা দে

বাজে বেদনার কান্নার সুর
সন্তান খাইনি আজ তিন চাড় দিন। আঁচে হাঁড়ি বসিয়ে মা বলে ভাত সেদ্ধ হয়নি আর একটু সবুর কর মায়ের খোকা ,

পুরোটা  মিথ্যা গল্প  বাচ্ছা কে সান্ত্বনা দিতে এই পথ মাতা অনুসরণ করে। হাঁড়ি তে ভাত নেই  অথচ ভাতের মিছে আশা  সন্তান কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে  পড়লে ক্রন্দন ধ্বনি মার কানে আসবে না ক্ষুধার্ত মা তাই ভাবে ?
মা একটু ঘুমিয়ে যাবে।
আর কতো কাল কাঙালিনী জননীরা পেটে ক্ষুধা নিয়ে তন্দ্রাবিহীন রাত কাটাবে কে জানে?

আঁধার রাতে এক খালি রুপালী আলোর ঈদের  চাঁদ উঠেছে , ঐ দেখ খোকা মা ডাকে? খোকা কি? ঘুমিয়ে গেছে  ,সাড়া নাই  মা ভয়ে চমকে উঠে । না না না খোকা  ঠিক আছে পিট পিট করে  চেয়ে মা কে দেখে?

            




বাবা-মা
    আব্দুল রাহাজ

আমাদের বাবা-মা শ্রেষ্ঠ জগত সভায় শ্রেষ্ঠ প্রতীক
নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসে তারাই এটাই হলো আমাদের বাবা-মা।
সুখ দুঃখ ভুলে হাসি ফোটায় ছেলেমেয়েদের দুবেলা দুমুঠো অন্ন তুলে দেয় মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারাই আমাদের বাবা-মা। সত্যিই তাদের অবদান কারো সাথে তুলনা নয় তারাই শ্রেষ্ঠ তারায়  মহান এই শ্রেষ্ঠ জগত সভায়।
কিছু অমানুষ ছেলে মেয়ে বাবা মাকে কষ্ট দেয় গায়ে হাত তোলে হে মানবজাতি তাদের বিরুদ্ধে তোমরা গর্জে ওঠো বাবা-মা সত্যিই আমাদের নয়নের মনি তারা না থাকলে হয়তো এই পৃথিবীর মায়া মুখ আমরা দেখতে পেতাম না তাদের উপর অত্যাচার বর্তমান সময়ে বহুপঠিত হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোন প্রতিবাদ
নেই।
তাই বলি আমাদের বাবা মাকে শ্রদ্ধা করি ভালোবাসি তাদেরকে সাহায্য করি তারাই আমাদের ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক আমাদের বাবা-মা আমাদের বাবা-মা।





হাহাকার
        মোঃআলিউল হক

পাঁচ শো বছর নত শিরে
খোদার দ্বারে লুটি
আজ সেথা নাইকো নিশান
ইট পাটকেল খুঁটি
উপন্যাসের নায়ক হলো
ভক্তের কান্ডার
রাম তুমি জাগিয়ে দিলে
রহিমের হাহাকার!

দীর্ঘ কাল ধ'রে যেথা
শির নত হলো
হায় আফশোস পেশি বলে
তাই কেড়ে নিলো!
এই কি তোমার সত্য নিষ্ঠা ?
মহা ফ্যাসাদের গুরু !
ইতিহাস ছাড়বেনা ফের
কুরুক্ষেত্র শুরু!






          কামরাঙা মন
                   হামিদুল ইসলাম
               

ছন্দের যাদুকর পান্থজনের সখা
মনের মাধুরী মিশিয়ে দুচোখ ভরে দেখে নেয়
সাদা জলের পিপাসা
তাকে চিনি
বড়ো বাজার থেকে সে কিনে এনেছিলো ভালোবাসা
আর টুকরো টুকরো মেঘ  ।

মেঘেরা কোমল হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো
ভালোবাসা নেমেছিলো
কাঁচের পিঞ্জরে
তাকে দেখে বড়ো মায়া হতো আমার
একদিন স্বপ্নে দেখি সে আমার বাসর ঘরে
কুটি কুটি করে কেটে ফেলেছে ভালোবাসার নৈঃশব্দ‍্য হাহাকার  ।

আমার দুচোখের জলে
আমি স্নান করি প্রতিদিন
কাঁচের পিঞ্জরা ভেঙে ফেলি দুহাতের মুঠোয়
মুক্ত করি কপট ভালোবাসা
ডালিয়া ফুলের ঘ্রাণ তার স্তনের বোঁটায়
মেঘের মতো ঈষৎ নীল তার কামরাঙা মন  ।





পদচিহ্ন
        উমর ফারুক

এক বুক কেঁপে উঠে
ধরিত্রীর বায়ুতে কম্পমান হৃদয়
অনুপস্থিতি আবার উপস্থিত থাকবে
চিড় ধরিয়ে বিধৃত হয়ে চলে
তুমি যেথা যাও বদলে!
পাঁচের পদচিহ্ন এক বা দুই নিবে 
কোন চাঁদের আহরিত
আলোয় উজ্জ্বল হবে  বক্ষ।
পথের রেখাচিত্র জতির্ময় করে না
জ্যামিতিক নকশা প্রণয়ন করো,
পদচিহ্ন হৃদয় হীনতার তালে
ছুরিকা হাতে প্রস্তুত!





পানিপথের চতুর্থ যুদ্ধ
      মহীতোষ গায়েন

অনাবিল জোৎস্নালোকে পড়ে থাকা মৃতদেহ সারি
সৎকার হয়নি,অতৃপ্ত আত্মারা সব অদৃশ‍্য ইতিহাসে,
যাদের সৎকার করার কথা ছিল তারা যুদ্ধ থেকে
ফেরেনি,অতৃপ্ত আত্মারা আততায়ীর খোঁজে গেছে।

আততায়ীরা নির্বিঘ্নে ঘুমিয়ে পড়েছে,রাত গাঢ় হয়,
অতৃপ্ত আত্মা নিরিবিলি নির্ঘুম ঘোরে,সময়ের খেয়া
বেয়ে চলে যায় সব সাক্ষী,সব আত্মা একজোট হয়ে প্রস্তুত,এবার একটা যুদ্ধ বাধবে,পতনের প্রতিশোধে।

এতদিন যারা সুকৌশলে কেটেছে যাবতীয় লাভের
ফসল,তাদের গোডাউন এবার লুটে নেবে প্রেতাত্মার দল,যে সব আততায়ীরা গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরেছে,
ডিঙিয়েছে লাশের পর লাশ,তাদের পোস্টমর্টেম হবে।

পরাজিত আত্মারা নবরূপে বিবর্তনের পথে,এখনো
পানিপথের প্রান্তরে মারাঠদের অতৃপ্ত আত্মরা ঘোরে,
আত্মারা এবার  আববদালিদের বাগানে যুদ্ধে নামবে-
সব পথ একাকার পানিপথে,চতুর্থ যুদ্ধের ডঙ্কা বাজে।







কুতুবমিনারের পাদদেশে 
         বদরুদ্দোজা শেখু


কুতুবমিনার সামনে দণ্ডায়মান ,ইতস্ততঃ
ভাঙাচুরা ইমারত , ভগ্নস্তূপ ,পাথরের চাঁই
অথবা বিধ্বস্ত কেল্লা কোনোকালের সাক্ষীর মতো
প'ড়ে আছে চারিপাশে প্রাণহীন বিপন্ন দশায় ।
পাদদেশে ইতস্ততঃ গুণমুগ্ধ মানুষের ভিড় ,
ভ্রমণ-বিলাসী কেউ , ভ্রমণকে স্মৃতির মাধবী
ক'রে রাখার প্রয়াসে ব্যস্ত কেউ তুলে রাখে ছবি ,
কীর্তির ভৌতিকতায় উচ্চকিত স্নায়ুর নিবিড় ।

চৌহদ্দির চারিপাশে লতাগুল্ম আগাছায় গাছে
পরাস্ত সত্ত্বার কিছু হৃদয়ের লজ্জা ঢেকে আছে ,
ইচ্ছা নাই পিছনে হাঁটার , তবু সপাটে সাবেকী
শাহী খানদানির খোল-নলচে পিছু ফিরে দেখি ,
ঘুরে ফিরে মিনারের পাদদেশে এসে দাঁড়ালাম
বুঝিনি কতোটা ঠিক ইতিহাস মাড়িয়ে এলাম ।





মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
কোজাগরী

ধনের
দেবী লক্ষীদেবী
লক্ষীলাভে কোজাগরী জাগরণ
জগতের ঐশ্বর্য  তোমারি দান
ধূপদীপ আলপনাতে  ঘর হলে আলো
তুমি করো মঙ্গল সবার হয় ভালো।

এবার দেখো ঘরের লক্ষীর মুখ কালো
রোজগারপাতি বন্ধ নিভে গেছে আলো
রেখো তাদের ঘরের মান
পেতেছে তারাও আসন
দেখো ছবি
ঘরের।

(২)

নবী দিবস

বিশ্বনবী
দিবস হচ্ছে
এবার লক্ষীপুজোর দিনে
কেউ লক্ষী কেউ নবী
আরাধনা সব জগতের মঙ্গল কামনায়
যে যার আরাধ‍্যেই পাবে পথের ঠিকানা।

ভিন্ন পথে হাঁটতে নেই কোন মানা
লক্ষীলাভ হয় যেমন লক্ষী আরাধনায়
বিশ্বনবীর পথে জোটে সব ই
লক্ষী নবীর ঋণে
জগতের পাল্টাচ্ছে
ছবি।





বিষয় :  অনু কবিতা
করোনা
      সত্যব্রত চৌধুরী

দুরু-দুরু করে বুক
আতঙ্কে শুকায় মুখ
     'করোনা' আসিল যে দ্বারে ,
অদৃশ্য শত্রুর সনে
লড়াই যে অঞ্জানে
  হার-জিত কে বলিতে পারে !!




   অসাম্য
   ডঃ রমলা মুখার্জী

লক্ষ্মী-প্রতিমা পূজিতা হন
          ধুমধাম সহকারে,
অবৈতনিক বাড়ির লক্ষ্মী
        দিন-রাত খেটে মরে।
লক্ষ্মী পূজায় ফল-মিষ্টি
         অঢেল উপাচার-
ঘরের লক্ষ্মী দাসী-বাঁদী
         কেবল অত্যাচার।
মাটির লক্ষ্মীী পুজোয় হাজার
         লোকের নিমন্ত্রণ-
অভাবী ঘরে আনাদরে মেয়ে
           অনাহারে মরণ।
মাটির লক্ষ্মী, মানবী লক্ষী
         দুয়ের এই অসাম্য,
দূর কর মাগো, আনো সাম্য,
        সব মানবীরই কাম্য।





মনে পড়ে স্মৃতি
        অশোক কুমার পাইক

মনে পড়ে আজ কাচের বয়ামে
জোনাকি ধরার খেলা,
মনে পড়ে সেই ফড়িং ধরার
নিত্য দুপুর বেলা !

মনে পড়ে আজ বাবুই পাখির
বাসা ভাঙা ডিম চুরি,
চেয়ে থাকি সেই শূন্য আকাশে
সাথীরা উড়াই ঘুড়ি !

মনে পড়ে সেই বটের তলায়
গল্প আসর চলা,
দল বেঁধে শুনি পাড়ার ছেলেরা
দাদুর গল্প বলা !

মনে পড়ে আজ উঠানে মাদুর
বিছাই গরম কালে,
মনে পড়ে সেই বড়োর শাসন
লুকাই মায়ের কোলে !

মনে পড়ে সেই সকাল বেলায়
শ্যাওলার ফুল তোলা,
মনে আছে পাঠশালা পলায়নে
গুরু দিতো কান মলা !









👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 











বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 27 & 28 / 10/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 27 & 28 / 10/2020


*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-27 ও 28 /10/2020, মঙ্গলবার ও বুধবার
               সময় :- রাত 7 টা. 


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


আজ ভগিনী নিবেদিতার জন্মদিন তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি কবিতা।

প্রিয়তমা মায়ের আদরের খুকী
          রঞ্জনা রায়

মায়ের প্রাণের সরস্বতী আদরের ছোট্ট খুকী
মায়ের সেবায় সদা  প্রনত কন্যা নিবেদিতা
পৃথিবীর মহত্তমা নারী তিনি জননী সারদা
তমসায় শুদ্ধ জ্যোতির্ময়ী, তিনি মেরিমাতা।

বিবেকানন্দের মানস তনয়া  মার্গারেট
ভারতের আত্মভূমিতে খুঁজে পায়
এক অনির্বচনীয় প্রদোষের সঘন মধুরিমা
সোনার আলোয় ভরা ,খেলায় ভরা আশ্রয়
মাতাদেবী তিনি, প্রজ্ঞা ও মাধুর্যের মিলনে
ঈশ্বরের অপূর্বতম সৃষ্টি ,এক নিরব স্তবগান।

মা আর মেয়ে, মেয়ে আর মা
প্রায় তেরোটি বছরের অটুট বন্ধন
ছিড়ে যায় বিধাতার নিষ্ঠুর অংকে
সন্ধ্যা তারার আলোয় চাঁদের প্রার্থনার সুরে
বিশ্ব প্রেমের আধারস্বরূপা মা জেগে থাকেন
মেয়ের অবিনশ্বর চির শাশ্বত প্রজ্ঞায় ।
ভালোবাসা ভরা মায়ের শান্তির আঁচল ছায়ায়
ঘুমায় প্রিয়তমা মায়ের চিরকালের বোকাখুকী।




হামিদুল ইসলাম এর দুটি কবিতা

                   ১) ছায়া
             
একটা ভয় আমাকে তাড়া করে
প্রতিদিন
আমি ভয়ে পালাই
কিন্তু পালাবো কোথায়
যেখানেই যাই সেখানেই ভয় আমার পিছু নেয় ।

ছায়া হয়ে আসে সমস্ত ভয়
বোঝা যায় না ছায়ার মধ‍্যে কী লুকিয়ে আছে
আমার ছায়া তো আমার মতো
তাকে ভয় কেনো  ?
তবু ভয়ে পেছনে খিড়কির দরজা দিয়ে ছুটে পালাই  ।

মূর্খ আমি
তাই ভয়ে পালাই
আদতে ভয় আমার জীবনের প্রতিরূপ
তাকে জীবনে রেখে দিতে চাই
ঘুরুক ফিরুক তবু সে থাকুক  ।

ভয়কে তুচ্ছ করি
ছায়ার টুঁটি টিপে ধরি
ছায়া তবু পালায় না এ জীবন ছেড়ে
এক অদ্ভুত প্রাণ ছায়ার
ভুলে যাই ঘটনাগুলো যেনো স্বপ্ন বলে মনে হয়  ।

         ২) আকাশে পূর্ণিমা চাঁদ
                     

আমাকে কথা দাও
একটিবার কথা দাও যা আমাদের আকাশের মতো
উদার  উদাসীন
ক্লান্ত শহর আজ ঘুমিয়েছে অনেক দিন পর
তাকে ডেকো না
না না না  ।

ছন্দহারা জীবন আমি চাই না
তাই আমাকে একটিবার কথা দাও
আমি পেরিয়ে যেতে চাই আকাশ নদী বন্দর
তোমাকে পরাবো বলে
পারিজাত ফুল নিয়ে আসি
পাহাড় থেকে  ।

নীরোর সাথে দেখা হয়েছিলো
গভীর রাত
নিস্তব্ধ পৃথিবী
ও আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলো
ভালো থেকো
ভালোবাসা নিয়ো  ।

আমার চোখের সামনে ভয়ংকর সমুদ্রের গর্জন
আজ সব উলোট পালোট হয়ে যাচ্ছে
তোমার জন‍্যে চাপ নিই
জলে দাঁড়াই
তোমার আমার ভেজা শরীর
আকাশে পূর্ণিমা চাঁদ   ।





       হারজিত     
          পিনাকী মুখার্জী
    
                 হার  কাচ  ঠুনকো
               হাত  থেকে  পড়া  !!
               জিত  গড়া  দধীচির
                  দৃঢ়  শিরদাঁড়া  !!

         
             হার মানে  লখাইয়ের
                 লোহার  বাসর  !!
              জিত  আনে  বেহুলার
                 জোর  মন জোর  !!

            
               হার  দেখে  হতাশার
                    অথৈ  সাগর  !!
              জিত মানে সেতু বাঁধা
                   সাগর  উপর  !!

           
              হার  মানে  না  লড়েই
                 হেরে  মাঠ ছাড়া  !!
              জিত  মানে পড়ে গিয়ে
                 ধুলো ঝেড়ে খাড়া  !!





হাইকু কবিতা
         শংকর হালদার

০১।
শেষে বিদায়
বাঁধ ভাঙে হৃদয়ে
আজ দশমী ।
০২।
ফেলে আসার
স্মৃতিগুলো মন্থন
আঁখি তারায় ।
০৩।
মাটির বুকে
মৃন্ময়ী রূপে দেখি
জগৎ মাঝে ।
০৪।
বিষাদ সুর
গায়ে মাখি চৌপর
দিবস গুনে ।
০৫।
শুভ অশুভ
সবকিছুর মাঝে
স্বপ্ন রোপণ ।




প্রবন্ধ
পূজা ও উৎসব
   অগ্নিমিত্র

  পূজা ও উৎসব অনেক সময়েই সমার্থক, কিন্তু আবার অনেক সময়ে তা নয় । পূজা মনের ভক্তি এবং ইষ্টদেবতার প্রতি শ্রদ্ধা দিয়ে মূলতঃ  নিষ্পন্ন হয় । উৎসবে আবার জাঁকজমক ও হৈহুল্লোড় বেশি হয়ে থাকে। আবার অনেক সময়েই পূজাও উৎসবের রূপ নেয়! দুর্গাপূজা যেমন পূজা, আবার বাঙালির প্রাণের উৎসবও বটে। বা গ্রামের দিকে নবান্ন উৎসব , টুসু, ভাদু ইত্যাদি ।
  অনেক সময়ে পূজা বিনা আড়ম্বরে, নিভৃতে হয়ে থাকে। যেমন নিত্য পূজা, স্থাপিত দেবতার পূজা, গ্রামে ঘেঁটুপুজো, ইতুপূজা ইত্যাদি । তা তখন কিন্তু তেমন ভাবে উৎসবের চেহারা নেয় না ।
আবার কারো বাড়িতে জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী বা বিয়ের অনুষ্ঠান হলে সেটা উৎসব, তবে পূজা নয়। তাই সব সময়েই পূজা মানে উৎসব নয়; আবার উৎসব মানেই পূজা নয় ।






 
বিদ্যালয়ে পড়াই
      সুস্মিতা দে

আমরা সবাই বিভিন্ন ধরনের মানুষ বিভিন্ন মানসিকতা লেখা সুন্দরবনের একটি সুন্দরী গাছ
কোন টা শাল কোনটা চন্দন কোনটা
সেগুন কাঠের ভাস্কর্য 
রপরসে গন্ধভরা

কোনটি সুন্দরী কোনটা
মহুয়া জমা মধুভরা মৌমাছির
গুন গুন শব্দ ।আছে সমুদ্র গঙ্গার নব
জন্ম আবার আসবে গঙ্গোত্রী হিমবাহ
থেকে গঙ্গা নামছে কত সরু হয়ে
আবার চূর্ন বিচূর্ণ পাথর বালি নিয়ে
এসে সাগরের বুকে নিজেকে
মিলেমিশে বদ্বীপ বানিয়ে দেয়
জীবনচক্রের  চক্ষু খুলবে।

     একটি ভালো বই একশো
           টি বইয়ের সমান
           সমাপ্ত ভূগোল বই।
       আব্দুল কালাম।

দিদিমুনি  কি?  আনন্দ বেঞ্চিতে উঠে 
বলে  আমার একটি প্রশ্ন আছে ?
রয়েল বেঙ্গল টাইগারের নাম শুনেছেন ?
আমার কাকুকে  তাড়া করছিলো ?
সত্যি নৌকা জোড়ে জোড়ে অনেক  দূর এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য মনে মনে বলে কতো হরি ন দেখেছে। হরিন জোড়ে  দৌড়াতে পারে ?
ক্লাস পুরো শান্ত হয়ে গেলো জয়ের গল্প শুনতে ।

     একটি ছাত্র একটি গোটা ক্লাস কে
      মনসংযোগের সাথে পড়িয়ে দিল?
               এপিজে আব্দুল কালাম ।

      একটি ভালো বন্ধু একটি
      গোটা  লাইব্রেরির সমান নাম আনন্দ !
        সমাপ্ত
একটি বন্ধু আনন্দ।






মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
ফেরার পালা

কাটলো
পুজো এবার
দেখছি ভালোয় ভালোয়
এবার কাজে ফেরার পালা
শ্রমিক যেন  ফেরে কলে  কারখানায়
স্কুল খুলে ছাত্রছাত্রীর  শুরু হোক.  লেখাপড়া ।

থমকে গেছে বছরভর জীবনের সব বোঝাপড়া
ঠিকের মাসি কাজে  ফিরুক পাড়ায়
খুলে যাক আদালতের তালা
মানুষ ফিরুক আলোয়
উদ‍্যম সবার
জাগলো।

(২)

নারীশক্তি

নারীশক্তির
আরাধনায় কাটলো
যখন চারটে দিন
নারীকে এবার করো সম্মান
ফিরিয়ে দাও তার অর্জিত অধিকার
তবেই পাবে জেনো মায়ের অপার আশীর্বাদ ।

নারীশক্তির অবহেলাতেই সমাজ সংসার হয় বরবাদ তার লাঞ্ছনাতেই  জেনো সমাজে অনাচার
নারীর সম্মানেই মায়ের মান
ঘুচবে জন্ম ঋণ
  আশীষ  থাকলো
মাতৃভক্তির ।





        ক্ষত
        অঙ্কুর মাইতি

শেষ মুহূর্তেই বেশি মনে আসে প্রথম রাত।
চোখে চোখে ভাষাপাঠ,আঙ্গুলে বাক‍্যের ঢেউ।
তারপর আরেক অধ‍্যায়।

হাওয়ার দমক হঠাৎই আসে।
প্রদীপ নেভার কোনো পূর্বাভাস নেই।
ঠোঁটের দূরত্ব বাড়ে।
ঝাপসা হয় চেনা বর্ণমালা।যার
শেষ অধ‍্যায়ে কথা নেই।
আছে স্রেফ একটা ক্ষত;যা
আজীবন ভুগিয়ে যাবে।

          

বিচিত্র সমাজ
         বিপ্লব গোস্বামী

ধনের লক্ষ্মী তুষ্ট করতে
পূজার আয়োজন ;
আসল লক্ষ্মী পূজা দিতে
নেইতো কোন জন।
গৃহের সতী সাবিত্রী লক্ষ্মী
সয় নির্যাতন ;
রাস্তার লক্ষ্মী একা পেলে
করতে চায় ধর্ষণ।
বিয়ের লক্ষ্মী কালো হলে
চায় মোটা পণ ;
গর্ভে যদি লক্ষ্মী আসে
ভ্রূণে করে নিধন।
আর্ত লক্ষ্মীর বস্ত্র দিতে
কষ্ট পায় মন ;
ধন-ঐশ্বর্য,যশ-শ্রী পেতে
মাটির লক্ষ্মীর পূজন।
ধন ঐশ্বর্য যশ পেতে
লক্ষ্মী আরাধণা ;
আসল লক্ষ্মীর সম্মান দিতে
শাস্ত্রে তাদের মানা।







পল্লীর অন্তর
         সাফরিদ সেখ

সূর্য পশ্চিমে গড়ে পড়ে।আলো নিভায়।
মাঠেরা গ্রামে ঢোকে।গ্রামে আলো জ্বলে।
মন্দিরে ঘন্টা বাজে।মসজিদে আজান।
শান্তির পার্থনা শুরু করে লোকজনে।

এখনি হয়তো অন্ধকারের স্রোত
ভাসিয়ে দেবে পল্লীগ্রামের বনানিকে।
আঁধারের পিঠে পিঠ রেখে ঘুমাই।
কালো জীবন নিয়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখা।

এক গুচ্ছ আশা বুকে জড়িয়ে মা পাখি
ভাবে শুধু ছানাদের ভূত ভবিষ্যৎ।
অন্য এক সকালের প্রতিমা নিয়ে
আনন্দ আহ্লাদে রাতে নিশ্চিতে ঘুমাই।

আর ওই যে অসহায় বাবা বালিশে মুখ গুঁজে
ছেলের বেকারত্ব নিয়ে কত দুঃস্বপ্ন দেখে।
সান্তনা। একদিন  দারিদ্র যাবে ঘুঁচে।
মলিন বেশ রঙিন হবে।স্বপ্ন হবে সত্য।

সহস্র চিন্তার ভিড়ে অন্ন চিন্তা বড়ো।
লেখাপড়া ,শিল্পকলা ভাবার সময় কই?
দিনের ক্লান্তি নিশীথে নিরাময়।
রাতের স্বপ্ন দিনের আলোয় পুড়ে মরে।





সে কি জানে
       সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

যে লোকটি
নোংরা খুঁটে খুঁটে বেড়ায় কোনমতে
গ্রুপ চালাচ্ছে হিম্মতে
নিজেকে সবজান্তা হরিদাস ভাবে
লিখে চলে স্বভাবে
একা থাকতে চায় রাজার সাজে
অন্যকে হটিয়ে ধরা মাঝে
জেনেছে কি সে কাউকে অপমান করলে
কোনও কিছু কি চলে???

সে কি জানে--
অপমান কারে বলে?!?!






নারী
যুথিকা দোলই

মানুষ কেন বলে নারীর নিজস্ব নাই কিছু‌
আমি তো দেখি জগৎ চলছে নারীদের পিছু পিছু।       পিতার ঘরে লক্ষী আমি স্বামীর ঘরে অন্নপূর্ণা
ছেলের কাছে জননী হয়ে সংসার করছি সম্পূর্ণ।
আমার মতো আপন করতে আর কি কেউ পারে‌?
তাই তো পিতার ঘর ছাড়ি পরের ঘরের তরে।
গোত্র থেকে গোত্রান্তর যদিও আমার হই                       তবুও যেন জননী রূপে সকল দুঃখ সই।
ভারত মাতা সেও নারী ,নারী জগদ্ধাত্রী
নারী হল এ জগৎ সংসারের সবার জম্মদাত্রী।
পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ তাই পুরুষকে বড়ো করে         জেনে রেখো সেই পুরুষকেই নারী গর্ভে ধারণ করে।
মহাকাল আমার পদতলে শায়িত চিরকাল              আমি ছাড়া এই জগৎ সংসার বৃথা বইবে হাল।




       বিসর্জন
শ্রীকান্ত মালাকার

পিনকন ভাই ঘুমিয়ে গেছে
নিথর দেহ নিয়ে।
সুব্রত তুই হারিয়ে গেলি
এ কেমন স্মৃতি দিয়ে।

অরিন্দমটাও বেঁচে নেই
কেরে নিয়েছে জল।
যমদূত সোমনাথ কে নিয়ে গেল
করে নিষ্ঠুর ছল।

প্রীতম দা চলে গেছে
বেলডাঙাকে করে আঁধার।
দুপারের বিসর্জনের বাজনাতে তোরা বিসর্জিত,
ব্যর্থ হলো শতচেষ্টা তোদের বাঁচার।।




সবরে সাফল্য
       মোঃ আলিউল হক

হাতে ছিল কালি কলম
ছিল অক্ষর  জ্ঞান
এই দুয়েরি সমন্বয়ে
সামনে আগুয়ান।

হঠাৎ এলো জীবন জোয়ার
চারি পানে ঘোর আঁধার     নিশীথ অবস্থান।

সবর ছিল চির সাথী
দূর হবেই ঘোর রাতি         মিলবে সুকল্যাণ।

সত্যি মেঘ সরে গেলো
নয়া প্রভা ধরা দিলো      বিপদ অবসান।

শিক্ষা দানে বিদ্যা ভবন
নিত্য করি গমনাগমন      পেয়েছি সম্মান।

দুঃখ ব্যথা ভেদ করে
নয়া সকাল খোদার বরে     লভি বর্তমান।

নতুন আশে বাঁচি এখন
হারানো সে স্বপ্ন দেখন      হলো ফলবান।






ও পাড়ার রায় বাবু
           আব্দুল রাহাজ

ও পাড়ার রায় বাবু
ছিলেন রাগী মানুষ
একসময় ছিলেন মস্ত বাড়ির মস্ত বড় পন্ডিত
এক ডাকে চিনতো সবাই ওপাড়ার রায় বাবু কে।
ছেলেমেয়েগুলো পড়তে যেত ভয় ভয়ে বাড়ি ফিরতো সব আনন্দে আনন্দে।
রায় বাবু রাগী রাগী হলেও সবার বিপদে আপদে ছোটে সবাইকে নিয়ে বাঁচতে ভালোবাসে সে।





নবীশ
       বদরুদ্দোজা শেখু

মন-মরা হ'য়ে থাকি , বাঁধা রুটিনের
দিন যায় ক্লাশ ক'রে নোট লিখে বক্তব্য বানিয়ে
দলগত আলোচনার সভায় , বিরক্তি জাগায় প্রায় সব
বক্তাদের অত্যধিক শিশু বিষয়ক মগজ ধোলাই ,
সুবোধ ছাত্রের মতো চুপচাপ শুনি ,
বক্তা-পরম্পরা পুস্তক-তত্ত্বের সাথে প্রায়োগিক
বাস্তবের বিরাট ফারাক কান ঝালাপালা করে,
বিশেষতঃ ওঁরা যে আদর্শ  পরিবেশের অভিজ্ঞান বর্ণনা করেন
হাভাতে হাঘরে এই  দেশটার গ্রামগঞ্জে তার কণা কানাকড়ি
মেলাই দুষ্কর , তবু সেই শিশুবিদ ফ্রেডরিক
হার্বার্ট ভল্টেয়ার মন্টেশরী রুশো
প্রমুখ মহাত্মাগণ ভরসা যোগান , তাই কষ্টেসৃষ্টে
নবীশি মহড়া নিই দ্রুততালে নিয়ম-নিষ্ঠায় ,
অবসরে খবরের পাতায় বুলাই চোখ , বিজ্ঞাপক দূরদর্শন  ক্বচিৎ দেখি দল বেঁধে
সাপ্তাহিক সিরিয়াল দীর্ঘ রামায়ণ । মন প'ড়ে
থাকে দূর অখ্যাত গ্রামের এক বসত বাড়িতে
, প্রতীক্ষায় থাকি রোজ বাড়ির চিঠির ;
অনেকের আসে । ঘনঘন । আমার আসেনা ।
তবু প্রত্যাশায় থাকি । চিঠি দিই নিজে ।
দিল্লীর বিষয় জানাই । রাজমা রোঁচে না মোটে ,
খাওয়া-দাওয়া বন্দোবস্ত এলাহি বহর বটে তবু ।
অত্যধিক গরমে বিব্রত আছি , মরমে আহত ----
উগ্র প্রাদেশিকতার বোধ
বন্ধুরা বাড়ায় প্রতি পদে , মিলজুল অনুষ্ঠানে
অগ্রাধিকার প্রাধান্য নিয়ে মতান্তর হয়,
সম্প্রীতির মাহাত্ম্য ব্যাহত হয় , স্বাধীন কাশ্মীর খালিস্তান
গোর্খাল্যান্ড সূক্ষ্ম ওত পেতে থাকে
সমর্থক সতীর্থ বন্ধুর মনে ,ঐক্যে চিড় ধরে ---
দূরত্ত্ব বজায় রেখে নিজ-বর্গে ঘুরে অনেকেই
, অনেকেই অন্তরাল সন্দেহ-প্রবণ ঝানু
রাজনীতিকের মতো ইতিউতি মেলামেশা করে  । এর চেয়ে
ওই দু'চার দিনের কিংবা
হপ্তা খানেকের জন্য নবীশ আসছে যারা,
চ'লে যাচ্ছে ক'দিন বাদেই, তাদের সান্নিধ্য
পরিচয় অনেকটা নিরাপদ  হাসিখুশী
সহজ সুলভ মনে হয় ; হয়তো তারাও এই বোধ থেকে
মুক্ত নয় , তবু তারা এখানের
পরিবেশ বিষাক্ত করে না, এই অভিধায়
তারাই প্রশংসার্হ , আমরা ভিজে বেড়াল ।








লিমেরিক
       দেবব্রত পাল

(১)

বিয়ে করতে যাবে শুভ, কন্যে বর দেখেছে।
টাকা চাই না, পণ চাই না, শুধু রক্ত চেয়েছে।
দুজনের রক্ত পরীক্ষা হবে।
তাতেই মিল খোঁজা যাবে।
এতে মারণ রোগে মুক্ত জুটির স্বপ্ন দেখেছে।

(২)

স্বপ্ন দেখা খারাপ তো নয়, বরং স্বপ্ন দেখা ভালো।
সংস্কারে না পা দিলে তবে, জীবনে আসে আলো।
মুক্ত জীবন, মুক্তমন।
এয়ো সাজে নেই প্রয়োজন।
প্রাণে প্রাণ, মনে মন আর শুভেচ্ছায় মন ভরালো।

(৩)
শুভর বিয়েতে ঘোষনা ছিলো, উপহার চলবে না।
ফুল আর শুভেচ্ছা ছাড়া দেওয়ার কিছু থাকল না।
থাকল না বড়াই করার।
ধনী গরিবের বাছ-বিচার।
বেকার শঙ্কুর হাতে হাত মেলাতে সংকোচ থাকল না।






প্রহর
       ফিরোজ হক্

রাত্রি ঘনিয়ে আসে
চারিদিকে নেমে পড়ে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক,
নিস্তব্ধতার মাঝে আরেকটু নিস্তব্ধতা
ঘড়ির কাটার খটখট শব্দ
তোমার শরীরের স্পর্শ
ও মৃদু রঙের নীল আভা;
রাত্রি বরাবর টিকটিকি সমর্থন করে চলে
আমাদের মুক্ত ভালোবাসার।
আর কিছুক্ষণে
আমার বাদামি রঙের অপেক্ষার প্রহর
ঘনিয়ে আসবে...

আর আমি তোমার কানে কানে বলবো
জেগে ওঠো প্রিয়
একরাশ ভালোবাসায়, ভালোলাগায়...





  ফিরে আসুক
           নির্মল সরকার

কাছে কিংবা দূরে
আপনজন না হলেও       প্রিয় স্বজন হবে ।
চিরকাল যেন থাকে - আমার হৃদয় মাঝারে ।
ক্ষণিকের জন্য হলেও যাদের সাক্ষাৎ হলে
প্রাণ ভরে যায় আনন্দে ।
বটো বৃক্ষের ছায়ার মতো
থাকি যেন তাদের পাশে ।
সদা সর্বদা সুখে অথবা দুঃখে,
হাসিখুশি থাকি যেন সবার মাঝে ।
জীর্ণ - ঝড়া , যাক সব দূরে  ,
সংকীর্ণতা যেন না আসে মনে ।
ফিরে আসুক মনোবল শক্তি
উদীয়মান সূর্যের মতো
অগ্নিশিখায় ঝাপ দিবো
তবুও সংকুচিত না হোক হৃদয়ে ।
 


মানুষের জয়গান ভালো  লাগে
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

সারা বিশ্বের দেশে দেশে কত গঠনমূলক কাজ হয়,
জাতি ধর্ম বর্ণ ভাষার মানুষ  মিলেমিশে,
যেন গেয়ে চলে প্রবাহমান জীবনের জয়৷
আমি মানুষদের জয়গান ভালোবাসি কবি,
অশান্তির পাশাপাশি দেশে দেশে আছে শান্তির কত সুন্দর ছবি৷

দুর্গাপূজা,কালীপূজা,
ঈদ,মহরম,সবেবরাত,
মেলা,উৎসবে মিলেমিশে তাই থাকি,
পরস্পরকে ভালোবেসে যে আনন্দ পাই,
এই হৃদয়ে সযত্নে তাকেই ধরে রাখি৷

যেমন কৃষাণ কৃষাণী জানে কত ধানে কত হয় চাল,
আমরা যেমন আশায় বাঁচি,এই কালো রাত কেটে যাবে,কালকেই দেখা দিবে সুন্দর সকাল৷

মানুষদের জয়গান তাই খুব ভালো লাগে,
যতো মেলামেশা করি এই পাহাড় থেকে সমতলে,
ভালো মানুষদের প্রতি আরও শ্রদ্ধা জাগে৷







👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 




সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 26/10/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 26/10/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন-26/10/2020


*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-26/10/2020, সোমবার
               সময় :- রাত 7 টা. 


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒





       সিঁদুর  খেলা
        পিনাকী  মুখার্জী
       
          ধুলোমাখা  গায়ে  মমতা  মাখানো
                  স্নেহের  আলিঙ্গনে  !!
          মায়ের  বিম্ব   তাতেই  হারায়
                 মনের  দর্পণে  !!

             দশ  হাতে  দশদিক , দুই
                    হাতে  তাই  !!
               তবু  আজ  ও   ছায়া
                   নিজে ,  বিবর্ণতাই  !!

          জলে  ভেসেভেসে মাটি  অবশেষে
               কোথাও  দুখিনী বেশে !!
              ছায়া  রোদে জলে  ছেঁড়া 
             আঁচলে ,   ধ্বনির  আশেপাশে  !!

                   মায়ের  দিকে  দৃষ্টি  যখন
                ঝাপসা  চোখের  জলে  !!
                 নূতন  সূর্য  নূতন  শপথ
                  সেই   সিঁদুর  খেলাচ্ছলে  !!





মা দূর্গাকে  খোলা চিঠি
নরেন্দ্র নাথ নস্কর

হে মহামায়া দূর্গা,
বৎসরান্তে  আবার তুমি পিতৃগৃহে পুত্র কন্যা সহ এসেছ।
কিন্তু তোমার সাধের পৃথিবীতে এবারে এসে কি দেখলে?
নতুন এক ভাইরাস রোগের প্রকোপে বিশ্বব্যাপী আপামর জনসাধারণ আক্রান্ত।
প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত  হচ্ছে।
বেশ কয়েক হাজার মানুষ হয় মাড়া যাচ্ছে নয়  কর্ম ক্ষমতা হারিয়ে প্রতিবন্ধী হয়ে যাচ্ছে।

তোমার প্রিয় বাংলা ও ভারতবর্ষ এর থেকে বাদ নেই।
লক্ষাধিক মানুষ মারা গেছে।
অর্থনিতির বেহাল অবস্থা হয়ে গেছে। কত নরনারী বেকার হয়ে গেছেন।
কবে এই মহমারী বা অতিমারী যে শেষ হবে তুমিই একমাত্র জান মা।
বিজ্ঞানীরা অক্লান্ত চেষ্টা করে চলেছেন এই রোগের সফল টিকা আবিষ্কারের জন্য।
জানিনা কবে তারা সফল হবেন?
এই দুর্দশা কি মানুষের পাপের ফলে না অন্য কিছু আমাদের জানা নেই।
অসাধু কিছু ব্যবসায়ী এই সুযোগে    লাল হয়ে গেল। তাদের কে শাস্তি দেবে মা?
গরিব সত মানুষদের যাতনা কবে শেষ হবে বল মা।
ম্রিয়মাণ এবারের শারদ উৎসব ।
সর্বত্র একটা ভয়ের পরিবেশ চারিদিকে। ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যবসা লাটে উঠেছে।
বেড়াতে যেতে মানুষ ভয় পাচ্ছে।

এমনকি আত্মীয় বন্ধুদের বাড়ি যেতেও মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
মন্দির মসজিদ গির্জায় প্রবেশে হয় নিষেধাজ্ঞা নয় বিধি নিষেধ।
তুমি কোথায় মা?
তোমার কাছে কাতর প্রার্থনা,
এ বিশ্বকে তথা ভারত ও বাংলাকে রক্ষা করো মা।

অচিরেই যেন সমাজের গরিবরা
দুবেলা দুমুঠো খেতে পায়।

সমাজের উপরতলার মানুষ ও বড় ব্যবসায়ীরা যেন সহৃদয় হয়।

সর্বোপরি এই আতঙ্কের পরিবেশ যেন অচিরেই  পৃথিবী তথা ভারতবর্ষ থেকে অন্তর্হিত হয়।

পরের বছর যেন তোমার আগমন আনন্দদায়ক হয়।





মা এসেছে
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

ঢ্যাং কুড়াকুড় ঢ্যাং কুড়াকুড় কুড়ুর কুড়ুর
শিউলি গন্ধে ভাসে শারদীয়া র  মধুর সুর।

মা এসেছে । আজ নবমীতে  যাবার রাতে
বাঙালি যেন ভাসছে অশ্রু পাতে।
  মন বলছে যেওনা ফিরে
   করোনা রয়েছে ঘিরে।
রূপ দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে সম্প্রদায়ের বর্ণের ভেদাভেদ
    পুজো করেই শত্রু নিধনে মা যে আসছে সবখানেই।
কৈলাসে যাবার আগে মা করোনাসুর নিধন করবেই।।




অলস
অঙ্কুর মাইতি

আমার মস্তিষ্ক জুড়ে অক্ষরের ছোটাছুটি।
অথচ আঁচড় কাটতে পারছেনা কলম।
আমার শরীর গ্ৰাস করেছে অলসতা।

আমার দুচোখ খুঁজছে ঠিঁকরে আসা রোদ।
অথচ,মন জুড়ে নিকষ কালো রাত্রি।
আমার শরীর জুড়ে অলসতা।

আমার হৃদয়ে তোমার প্রেমের আর্তি।
আমি চাইছি মাস্ক খুলে ফেলে দিতে।
চাইছি,একটা দৃঢ় আলিঙ্গন মিলিয়ে দিক পরষ্পরকে।
অথচ,আমার শরীর জুড়ে অলসতা।

আমি অলস!!

    


আমাদের তিন্নি
         আব্দুল রাহাজ

আমাদের তিন্নি  সে আজ বাড়ির বড় গিন্নি।
পথে হেটে যাই সে অপরকে সাহায্য করে সে সেই হলো আমাদের তিন্নি।
ছোট বেলা কাটে তিন্নির নদীর ধারে লালু ভুলু দের সাথে খেলা করে।
আজ তিন্নি বড় হয়েছে বাড়ির গিন্নি।
সে ছিল এক ছিল এক বেজায় পেটুক এই হল আমাদের তিন্নি।
ছিল বেশ আমোদপ্রমোদ চরম রসিক আমাদের তিন্নি ।
বেজায় মানুষের ভালো রাখতেন আমাদের তিন্নি।





মনুষ্যত্ব
        জুয়েল রূহানী

মানুষরূপী হায়েনার দল
কান পাতিয়া শোন,
মাতিয়া না থেকে,কর রে-
হেফাজত যৌবন!

লোভ-লালসায় মত্ত থেকে
করিস না অন্যায়,
ব্যাভিচারে লিপ্ত থেকে-
মনোবাসনায়!

পশু রূপের মুখোশ কে শোন
কর্ রে উন্মোচন,
মনুষ্যত্বের বড় পরিচয়ে-
পাবি রে সম্মান!








   

রজকিনী- রাজলক্ষী
          এমাজদ্দিন সেখ

রজকিনী , তুমি কি আজ আমার কথা ভাব ?
রজকিনী , বার বার মন চায় তোমার বাড়ি যাবো !
রজকিনী  , সত্যি বলো , কাজের ফাঁকে আমায় মনে পরে ?   

আমি তখন ট্রেনিং কলেজ, স্বপ্ন প্রফেশন ; ---  
কোনো এক ঝড়ে তোমার বুকটা ভেঙেছিল !  
দেখা হলো , কথা হলো চেনা-জানার সেই ট্রেডিশন ;---
স্বভাব বশে আলতো বহু বাড়িয়ে দিয়েছিলাম ; ---
কোড'হীন  মাঠে তোমার সাথে টেনিস খেলেছিলাম ; ---
ছাউনি  উড়া ঘর ভুলে ঝাপটে ধরে দৈব হাসি হেসেছিলে ! 
হাসির স্রোতে ভাসিয়ে দু'  চোখে স্বপ্ন এঁকেছিলে ;---
স্বপ্নটারে চর্চা-লালনে আকাশ ছেয়েছিলে ! 

রজকিনী , আজও কি তোমার সেই স্বপ্ন মনে পরে ?
স্বপ্নটারে বাঁধতে ঘরে সে কী কান্না জুড়েছিলে ! 
সেই ঘর বাঁধতে গেলে শর্ত প্রাচীর দিয়েছিলে ; ---
ডিঙিয়ে প্রাচীর পৌঁছে গেছি ;  শুধু চাকরিটা পাইনি ;--- 
সেই দোষেতে রজকিনী , আমি আজও মানুষ হইনি !!

রজকিনী ,আজ কি তোমার সেসব কথা মনে পরে ? 
দহন চিতায় পুড়ে আমি ক্রমেই ক্ষয়ে গেছি ;--- 
সেই অবসরে সিন্ধু -  গঙ্গা সুদূরে বয়ে গেছে !! 

রজকিনী , সূর্য ওঠে, রাত্রি পোহায়, পৃথিবী আপন কক্ষে ঘোরে অনির্বার ;--- 
রজকিনী ,সেই দহন চিতার আগুন নিভলোনা তো আর ?
রজকিনী , স্বপ্ন গুলো কুল হারায়ে সাগর ঢেউএ মেলায় ;---
রজকিনী , আজ জীবনের মানে ফানুস বাতাসে মেলায় !!

রজকিনী , আজ নুহ্য আমি ;  ধূলি পথে নুড়ি কুড়োই ;---
রজকিনী , ও রাজলক্ষ্মী , এই ধূলি মাঝে কাল মানিক পাবোই ;--- 
রাজলক্ষ্মী , সেদিন এসো , স্বপ্ন-  ঘরে মিলবে দোঁহার ঠাঁই !! 

ফুটো চালে জ্যোৎস্না আলো ধোয়ায় বিছানাটাকে! 
এই ভেজা মেঝেয় অহর্নিশি কান্না মিশে থাকে ;---
রজকিনী , শুনতে কি পাও ,  আহাজারী আকাশে-  বাতাসে ? 
নেত্র আমার ঊর্দ্ধ পানে , উদবাহু তোমার আসার আশে ! 
রাজলক্ষী , ফিরে এসো আর একবার এ জীবন আঙিনায় ---





চেতনার জাগরণ
         সাফরিদ সেখ

জাগো হে মোর নির্যাতিত মানব।
জাগো মোর গহন বনের আলোক বর্তিকা।
ধুলো ওড়া মেঠো পথ আজ মুখরিত হোক
নব উত্থানের নবীণ গানে ।নবীন সুরে।

হিংসার গুপ্ত পথ আজ অদৃশ্য হোক
মুছে যাক অনন্ত কাল থেকে এখুনি।
উদ্ভিদ সারা বিশ্বে এক জাতি।এক নাম।
তোমাদের পরিচয় হোক এক মানব জাতি রূপে।

জাগো তোমার চেতনায়।মননে।
গড়ে উঠুক মহামিলন ক্ষেত্র এক।
যেথা সব জাতি ,বর্ণ,ধর্ম মিলিবে ।
বন্ধনহীন ,উন্মুক্ত আকাশের কোলে মিলিবে।






                        " লুডু "
                  হামিদুল ইসলাম
                    

জলের মধ‍্যে খুঁজি
পাথর জীবাশ্ম হৃদয়
খুঁজে পাই নে জীবন
জীবন বড়ো কঠিন
পাথরের জীবাশ্মে লুকিয়ে থাকে প্রেম ।

হৃদয় ছুঁয়ে যায় বেলাভূমি
তীর বেঁধা হাস
ডানা ভাঙা মেঘের মতো ওড়ে
হৃদয়ে একবুক দীর্ঘশ্বাস
তবু প্রাণের মায়া ত‍্যাগ করতে পারি না কোনোদিন ।

জলে জলে ভাসুক হৃদয়
উপছে পড়ুক হৃদয়ভূমি
এতোদিন যাকে খুঁজেছি জীবনের কোণায় কোণায়
আজ সে দাঁড়িয়ে থাকে
আমার পাশে। তাকে তুলে নিই একবুক মায়ায় ।

পালিয়ে যেতে পারি না
সে আমার জীবন নদীর উৎসমুখ
তাকে নিয়ে পুতুল খেলি
কখনো সাপ লুডু মই লুডু
জীবন লুডুর মতো প্রতিদিন ওঠে আর নামে ।

সাপ লুডু তুমি
মই লুডু আমি
লুডুময় আমাদের মায়ার জীবন  ।







তবু যাচি
    বদরুদ্দোজা শেখু

বাক্সপ্যাঁটরা বই সঙ্গে যাবে না।জানাজা কি যাবে ?
আর স্বপ্নগুলো যা রেখেছি বুকের কিংখাবে
মুড়ে' আজন্মকাল ? সকাল সকাল
প্রশ্নগুলো মনে ঘুরে , অন্তঃপুরে পার্থিব মায়াজাল---
বিহ্বল বিষণ্ণ হই, ওই এক ঘুণপোকা ঘুরে
বিরক্ত মগজে, সরলে সহজে আয়ুষ্কাল জুড়ে
সময়গুলো কাটলো না, বিধাতার বর
দিনরাত কানামাছি খেলে যেন দৃশ্য পরস্পর
নাট্যশালে, কালে কালে কতো বিপর্যয়
এসেছিল, প্রকৃত পরিসংখ্যান পাওয়া অনিশ্চয়,
সমুদয় তত্ত্ব তথ্য ভিড় করে  বিবিক্ত উঠোনে,
বন্দী জীবনে এর বেশী কথাবার্তা হয়না,শুধু ফোনে ফোনে
খোঁজখবর সত্যমিথ্যা প্রহর যাপন, ব্রেন যেন বাঁঝা ---
তবু যাচি শোকের কাফন, একমুঠো মাটি ও জানাজা ।।







মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)

নবমী নিশি

আজ
নবমী  নিশি
জানি হবে অবসান
সকাল হলেই বিজয়া দশমী
ফিরে যাবে উমা স্বামীর ঘরে
কন‍্যার বিদায়ে মায়ের ঘর ডুববে অন্ধকারে।

কন‍্যা বিদায়ের প্রথা এখনো প্রতিটি অন্তরে
ঘরে রাখিনা কন‍্যাকে যতন করে
ছোটতেই শেখাই সংসার স্বামী
শ্বশুরবাড়িতে পায়না মান
থাকেনা মিশি
স্বরাজ ।

(২)

থাকবো তিমিরেই

বিদায়
নেবে দুর্গামা
একটি দিন পরে
আসবে আবার বছর পরে
ছেলেমেয়ে সঙ্গে নিয়ে যাবে শ্বশুরবাড়ি
ভোলনাথের  কৈলাসেতে সাজাবে আবার ঘর সংসার।

আমরা যেমন ছিলাম তেমন করবো দিনপার
ভাতের খোঁজে দূরান্তে দেব পাড়ি
অভাব ধুঁকে মরবে ঘরে
হতাশা থাকবে অন্তরে
পার্বণী হবেনা
আদায়।






👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 


রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 25/10/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 25/10/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 25/10/2020

*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-25/10/2020, রবিবার
               সময় :- রাত 8:45 মিঃ


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


আজ মহানবমী
       শ্রীকান্ত মালাকার

আজ মহানবমী, দুগ্গা মায়ের গোছগাছ শুরু,
আগামী দিন কৈলাস যাবেন, মন্দির প্রাঙ্গণ করে মরু।

মানব মনে খানিক আনন্দ জাগিয়ে রেখে,
"পূর্ণিমাতে আসছি আবার" বলতে শুনলাম লক্ষ্মীমাকে।

মন্দির প্রাঙ্গণে আজ সকলে মিলে খাবো মায়ের ভোগ।
ছোট-বড় সকলে মিলে দিয়েছি দুর্গোৎসবে যোগ।

আগামী দিন ঘট নরলেই মা পরিবার নিয়ে যাবেন বহুদূর,
সকাল হলেই মায়ের আটনে বাজাবে ঢোলিরা বিদায়ের সুর।।





ভিন্ন বিসর্জন
             সুশান্ত মজুমদার

বিসর্জন শুধু নয় বিষাদের
আনন্দে বেগ বান,
একটু যদি ভেবে দেখো
হয়ে হৃদয় বান।

দীন ছাত্র শুধায় মাকে
বিসর্জনটা কবে ?
স্কুলে গিয়ে মিড'ডে মিলে
উদর ভর্তি হবে।

শ্রমিক ভাবে ভাসান শেষে
কাজে যোগ দেবে।
মুজুরি পাবে রসদ কিনবে
ভর পেটে রবে।

অসহায় পিতার মাথায় হাত
ছেলে গেছে জেলে,
বিসর্জন পরে খুললে কোর্ট
জামিন পাবে ছেলে।

রোগ যন্ত্রণায় কাতর রোগী
বিসর্জন করে আশা,
ডাক্তার বাবু কাজে এলে
হবে যে চিকিৎসা!

বৃদ্ধ বৃদ্ধা হৃদ রোগী
থাকে অপেক্ষায়,
বিসর্জনটা হলে পরে
ডি.জে 'র শব্দ যায়।

সবাই শুধু চায়'না বোধন
বিসর্জনও চায়,
কিছু জীবন থাকে কেবল
ভাসানের  অপেক্ষায়।



মাতৃহারার পুজো আখ‍্যান
        মহীতোষ গায়েন

জন্মানোর পর এই প্রথম পুজোতে মাতৃহারা,
এই প্রথম মহামারির কবলে মা দুর্গা,চারিদিকে
পুজোর গন্ধ,তবু মায়ের গন্ধ কোথাও পাচ্ছিনা
না বিগ্রহে,না চরাচরে,মায়া মেঘাচ্ছন্ন দিগন্ত।

গত বছর শয‍্যাশায়ী মায়ের জন‍্য বুকখোলা
নাইটি নিয়ে গিয়েছিলাম,মা হেসেছিল অম্লান,
এবার জন্মদিনেই মাকে দাহ করতে হলো...
সেই থেকে তীব্র দহন  সারা শরীর মনে।

শত দু:খের মাঝে মায়ের মুখের হাসি মলিন
হয়নি,এবার আর বিজয়া দশমীর সন্ধ্যায়
মায়ের রুগ্ন মুখে মিষ্টি দেওয়া হবে না,মিষ্টির
রসধারা চিবুক বেয়ে আর গড়িয়ে পড়বে না।

সমস্ত উপত্যকায় এবার চাষ হচ্ছে কুইনাইন
সমস্ত শরীরে বেজে চলেছে বিষাদের সানাই
সমস্ত উপবন অন্ধকার,কেউ ঢুকতে পারছে
না,কাউকে চেনা যাচ্ছে না,বোঝা যাচ্ছে না।

গাছের ফুল সব ঝরে যাচ্ছে,ঝরে যাচ্ছে পাতা
গভীর রাতের স্বপ্নগুলো বোবা কান্নায় অস্থির
আঁকড়ে ধরে,সব স্মৃতিগুলো যেন স্বার্থপর দৈত্য,
বাগানে ঢুকতে দিচ্ছে না,নোটিশ টাঙানো আছে।

ভয়ংকর দু:সময় রোমকূপে ঢুকে পড়েছে,দখল
নিচ্ছে সমস্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি,নিলাম হয়ে
যাচ্ছে যাবতীয় আশা,তানপুরার তার কেটে গেছে;
সময়ের স্রোত বেয়ে এগিয়ে আসছে অচেনা শব্দ।

এবারের পুজোয়  মহামারির সমুদ্রে ভেসে গেল
সব সুখের স্বপ্নগাছ।চারিদিকে দু:খের স্রোত বয়ে
চলেছে,সমস্ত যাত্রী বাঁচার জন‍্য তীরে উঠতে মরিয়া
চোরা স্রোতে ভাসছি অসহায় কূলহীন মাতৃহীন একা।




The Lamp of the Earth
By Sabir Ahmed

I
   I am the lamp of the earth
  Burning since beginning in the heart of heaven
       I burn not for me, but burn for others to shine
I always second to reflect my beams
     Like a mirror on the distant earth's face
Immortalized me by the sun, I'll never put out...
 
      II      
                          I am pale and I am bright
                         Like the flame of a wick    
                 Under the natural phenomena
   As I am led by the rules of universe,
For a few days I appear and again goes away
             Just like a guest...

                                                      III
  I am changeable in phase and in size
       Sometime gibbous and quarter,
        sometime crescent,new and full
   I can change in the appearance of colours
            Sometime red and orange
             Or gold during eclipse...

IV
                      My duration is long, too long
               But not like the stars
         For my birth is for the earth
    And the earth is for the human beings
     Fenced by all the variegated creatures
Without stopping I travel from west to east…
                                                                                                             


মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)

পথ

পথ
চলে গেছে
রাঙামাটির পথ ধরে
চলে যাই বাঙলার গ্ৰামে
দামোদরের ধার অথবা কোপাই নদী
শরৎ হেমন্তে সব জায়গায় এক সুর।

গ্ৰামের মানুষ আজো ভুলিয়ে দেয় দূর
ঢাকের তালে পা মেলাই যদি
বুকের মাঝে শরৎ নামে
ভাবি ফিরেছি ঘরে
মন চিনেছে
গত।

(২)

নেই আজ উৎসব

মুছে
গেছে দেখি
ডায়েরির সব লেখা
পুড়ে গেছে ভালোবাসার গান
গীটারেতে বাজে শুধু বিষাদের সুর
আমাকে ছোঁয়না তাই আজ কোন উৎসব ।

জানিনা কতদিন আর গুণে যাবো শব  
নিজের কাছে পৌঁছতেই লাগে দূর
ভুলে গেছি সব অভিমান
জীবনের বিষাক্ত আয়ুরেখা
যাবে সখি
ঘুচে।





জীবনের প্রয়োজনে
         জুয়েল রূহানী

জীবনের প্রয়োজনে-
ছুটে চলা অন্তহীন গন্তব্যের দিকে
ঠিকানা বিহীন পথে
পথহারা পথিকের ন্যায়!
জানি না কখন ফুরাবে
এ পথের সীমা-পরিসীমা?
শুধু এতটুকু জানি
যতটুকুর প্রয়োজনে-
কাছের মানুষগুলো চলে গেছে-
দূর হতে বহুদূরে!






  আশা নিয়ে
         বিমান প্রামানিক

আমি আছি বসে মন্দির মাঝে
তুমি আসবে তাই ।
কত রঙের মাঝে তোমাকেই খুঁজি
ফিরে ফিরে তাকাই ।
পারি না আনমনা হতে শুধু তুমি
কখন যে আসবে !
দূর হতে ঐ হাতটি নেড়ে
আমায় যে ডাকবে।
পাড়ায় পাড়ায় পারি না যেতে
কোথায় কখন তুমি ।
আমি যাবো কোন পানে আর
তুমি আসবে পূণ্যভুমি।
মায়ের এই মন্দিরে তাই শুধু
একটু আছি অপেক্ষায় ।
সব এড়িয়ে যদি তুমি ডাকো
তোমার চোখের ইশারায় ।



মৃন্ময়ী
       বদরুদ্দোজা শেখু
--------------------------------------

ভাজাভুজি একদম চলবেনা, ডাক্তার বলেছে।
সুখ নাই, হাজারো অসুখ । ধুত্তোরি ! নিকুচি করেছে 
তোর পথ্যের বিধান ! ভাত আর পোলাও
কি এক হ'লো ? ভুজিয়ার সমান কি সেদ্দ ছোলাও ?
বিরক্ত হ'য়ে মরি উপযুক্ত খাদ্য খুঁজে খুঁজে ,
গিন্নী ব্যাজার হন, খাও বাবা নাকমুখ   গুঁজে
যা দিচ্ছি বাধ্য ছেলের মতো,অতশত
তোমার বুঝে কাজ নাই, ভালো থাকা জীবনের ব্রত ।

কিছুতেই বুঝে না সে, একঘেয়ে বিস্বাদ
হ'য়ে যায় খাদ্যগুলো, যদিও যত্ন ও মমত্ব অগাধ
দিয়ে সে প্রস্তুত করে, প্রতিবাদে ফল হবে না জানি ---
অগত্যা গলাধঃ করি তার শ্রমের মেহেরবানি
ভেবে, সময়ে চেক-আপে যাই
মাসে মাসে দামী দামী বস্তা বস্তা ওষুধ দাওয়াই
খেয়ে যাই, যদিও মাঝে মধ্যেই গোলমাল হয়
তবু মনে ভাবি , কাজ দিবে নিশ্চয় নিশ্চয়,---
মনে ভাবি, ডাক্তার তো অনেকটাই ঈশ্বরের প্রতিভু,
নিত্যদিন আয়ুরেখা জাগে নিভু নিভু- --
তাতেই সন্তুষ্ট হই, দুষ্ট চিন্তা ছাড়ি,
হয়তো তাই জিতে যায় প্রিয়তমা মৃন্ময়ী নারী।।




বিশ্বাসের ফল
     অশোক কুমার রায়

শুনছি যত বুঝছি তত
পাচ্ছি নাকো তাই ।
তেল বিহীন হেরিকেনটা
ধরিয়ে দিলি ভাই !

এবার দেখো বাঁশটা কোথায়
আঁকড়ি যেন থাকে ।
বিশ্বাসের এই.ফলটি পেলাম
বাসছি ভাল যাকে !










উৎসবে জীবন
         এমাজদ্দিন সেখ

জৈব  তাড়নার ঊর্দ্ধে ও যে জীবন ;
তাহাই মানব জীবন l
মনের টানে প্রাণের আকুতি ---
প্রাণের ছোঁয়ায়  প্রাণের সৃষ্টি ; ---
কৃষ্টিশীলতায় মানুষ স্রষ্টার  শ্রেষ্ঠ আরশে  !
তাই আনন্দে হরষে বিকশিত হৃদ-  কুসুম !
মুছে যায় ভেদ -  ক্ষেদ -  বঞ্চনা-  গ্লানি ---
উৎসবে মিলনে গানে ...

খুন্নি বৃত্তির  ক্ষুদ্র  ছাঁচের বাইরে ...
ছাপোষা প্রাণ খোলা মাঠের মুক্ত বাতাসে ---
  পায় বুকভরা  মুক্তি শ্বাস ---
একটু কল্প রঙে ভাসায় পানসি অনন্ত  আকাশ  !
জীবনী শক্তির স্থিতিশীলতার  রসদ উৎসব !
জীবন বৃক্ষের  শিকড়  উৎসব !

কলুর বলদ প্রায় একঘেয়ে  জীবনে ---
বৈচিত্র্যের সাদে  শোভিত  পাতাবাহার  ;---
ক্ষণিকের নন্দন  কানন  উৎসব l
  শারদ কি বসন্ত  ;  নবরাত্রি  বা ঈদ ---
সবার মনেই খুশির জোয়ার ; ---
হৃদ হতে মুছে যায় বিদ্বেষ বিষ
উৎসবে কাঁধ মিলিয়ে মাগি শান্তি ,সুস্থ্য পরমায়ু আশিস l

   


ঠাকুরের ভোগ দান
         অঞ্জলি দে নন্দী,মম

আমি তখন কলেজে পড়ি। ছুটির দিনে গিয়ে বেলুড় মঠে হাজির হতাম। সারাটা দিন কাটিয়ে সন্ধ্যায় হোষ্টেল ফিরতাম। ওখানেই দুপুরে ভোগ পেতাম। সঙ্গে আমার অনেক বান্ধবী থাকত।

এক দিন আমার অতি বৃদ্ধা ঠাকুমা আমাকে বলল, " বড় রানী মা! তোর বেলুড় মঠে আমাকে দুর্গা পূজার সময় ভোগ পাওয়াতে পারিস কি? বড় সাধ হয়। " এর পর শ্রী দুর্গা মহা অষ্টমীর দিন আমি আমার কোনও রকমে হাঁটতে পারা বৃদ্ধা ও অসুস্থ্য ঠাকুমার হাত ধরে রওনা দিলুম। গিয়ে দেখি মঠের মূর্তির কাছ থেকে বাইরের মেন রোড পার হয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের গেট পর্যন্ত বিরাট কিউ। এটি ভোগ পাওয়ার লাইন। ঠাকুমাকে বোঝালাম যে ভোগ পাওয়ার কোনও আশা নেই। মূর্তি দর্শন করে বাড়ি ফিরবো। এই বলে আমরা প্যান্ডেলের ভেতরে ঢুকে মাকে নমস্কার করলাম। উঠে দাঁড়াতেই দেখি কি, এক দিব্য কান্তি পুরুষ, তাঁর সর্বাঙ্গ থেকে এক অলৌকিক জ্যোতি বের হচ্ছিল। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, " মা আপনারা ভোগ পেয়েছেন কি? " আমি বললাম, " না। " উনি আমাদের প্যান্ডেলের পিছনে নিয়ে গেলেন। সেখানে আমাদের বসতে বললেন ও নিজেও বসলেন। তাঁর দু হাতের তালুতে দুটি ভোগ ভরা মাটির মালসা। তিনি আমাদের ও দুটি সামনে রেখে বললেন, " দয়া করে এই ভোগ গ্রহন করুন মা! " আমি বললাম, " এতো নয়। একটিতেই আমাদের দুজনের হয়ে যাবে। " উনি বললেন, " দুটিই নিন মা! " আমরা ভোগ নিলাম। পেট ভরে গেল। এতো বেশি যে আইঢাই করছি। উনি এরপর ওনার কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ থেকে একটি জলের বোতল বের করে আমাদের হাত ধোয়ালেন। আবার জল পানও করালেন। এঁটো মালসাদুটি নিজে হাতে তুলে নিয়ে ডাস্টবিনে ফেললেন। আমাদের মঠের গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে এলেন।

আমার ঠাকুমা যে কত আন্তরিক তা আমি বুঝলাম। ঠাকুর তাই নিজে এসে ঠাকুমার মনের সাধ পূরণ করলেন। ভক্তের ভক্তিতে যে ঠাকুর বড় কাছের জন।







ওরা মানুষ
      আব্দুল রাহাজ

হাটে মাঠে ঘাটে পড়ে থাকে ওই মানুষগুলো ওদের কি কেউ সাহায্য করার কেউ নেই আছে বৈকি সম্পদের টান পড়বে বলে এগিয়ে আসে না ওদের কাছে ওরা যে দুবেলা দুমুঠো ভাত পায় না যে দ্বারে দ্বারে গেলে খেতে হয় লাঞ্ছনা-বঞ্চনা তবে এই সমাজের একজন মানুষ।
দিনদিন ওরা হয়ে যাচ্ছে সমাজের ওই আড়ালে ওদের কি কেউ সাহায্য করার কেউ নেই
মানুষের বিবেক-বুদ্ধি হয়ে গেছে পাষাণ তবে কি আমরা সাহায্য করার মানসিকতা আমাদের নেই।
আরে ওরাও তো মানুষ ওদের কে সাহায্য করো ওদের পাশে দাঁড়াও প্রভু তোমার খুশি করবে।



মিলনোৎসব
          মোঃআলিউল হক

আজি মোচ্ছবের পূণ্য প্রাতে
হাতে হাত রেখে সাথে     হোক প্রত্যয় সবাকার ;

আমরা মানুষ এই ভূ-ভারতে
মিলে মিশে রইবো সাথে     বিদ্বেষ নহে আর।

নারি যদি সু-মানুষ হতে
জন্মে কি লাভ ধরনীতে      পার্বন কি দরকার।

গুটি কয় এই  দিবসেতে
সুফল  লভি কোন মতে?    বদল না হয় চেতনার !

যদি না জাগে ভ্রাতৃ বোধ
পুষে রাখি আদী ক্রোধ       এ বড়ো বেদনার।

মনের অসুরে আগে বঁধি
সাধু পুরুষ হই যদি        সমস্যা পগার পার।

উৎসব মানে উৎস পানে
মিলেমিশে এক সনে       চলিবার অঙ্গীকার।





কৃষকের বন্ধু
        সাফরিদ সেখ

আমি কৃষকের বন্ধু।কৃষণীর বান্ধবী।
কাদামাটির গন্ধ গায়ে মেখে ঘুমাও।
ধানের স্পর্শ হৃদয়ে নিয়ে বাঁচ ।পথ চলো।
বাংলার নদী তোমার স্নানের আধার।

প্রকৃতির আপন বন্ধু প্রকতই তুমি।
এত নিবিড় ভাবে প্রকৃতিকে কে পাই!
কলমিশাকের লতা তোমায় জানাই জানাশোনা।
ভাট ফুল তোমার সখার আদরের ধন।

বিন্নি ধানের খই ।কে আর পাই।
মাটির গন্ধ ভরা শালুক যত দেখি
তোমার কথা বন্ধু মনে আসে তত।
গ্রামের রূপে  তোমায় করে বন্ধু রূপসী।







           শেষ দেখা
                হামিদুল ইসলাম
                  

তুমি চলে যাচ্ছো।  যাও --
অথচ তোমার যাওয়ার কথা ছিলো না
তবু তুমি চলে যাচ্ছো
আমার বুক চিরে
আমাকে চিরে
যাও --

থমকে দাঁড়িয়ে আছো কেনো
তোমার চলে যাওয়ার কথা শুনে
অরণ‍্য ভাঙছে ঝড়ে
নদী শুকিয়ে কাঠ
সমুদ্রে মালবাহী জাহাজ কাৎ হয়ে যাচ্ছে
এখনই ধ্বষে পড়বে পৃথিবী, তুমি চলে যাচ্ছো বলে ।

তবু তুমি চলে যাচ্ছো
চাঁদ ডুবে যাচ্ছে
সূর্য অন্ধকারে
মাটির নীচের কালো ধোয়াগুলো আরো অন্ধকার করে দিচ্ছে চারদিক
তুমি চলে যাচ্ছো
আমার দুচোখে জল ।

আর তো দেখা হবে না আমাদের
এ দেখাই শেষ দেখা --






সুখ
উমর ফারুক

দুপুর গড়িয়ে আশ্বিন বেলা
মিলেনা কিছুতো নয়নে!
আমারও হৃদয়ে চুমেচি আকাশ
দেখেছি অবাক শয়নে।
মানুষর তানে কল্লোল পৃথিবী
মিঠা রোদে পুড়ে পিঠ
কাহারো প্রাণেতে দুঃখের ঢাক
অবিরাম চোষে কীট  ।

আদর স্নেহ তে পুসিনু  পাখি
খাচার ভেতর রেখে
চিড় ধরিয়ে উড়িয়া পালাল
আদর স্নেহ মেখে।
দূর্বার হয়ে ছুটিলাম  কত
পাইনা ছুঁতে তাহারে
আষাঢ়ে ভাদরে নানা মাসে ধরে
দিয়েছিনূ  সুখ যাহারে ।






উৎসবের মূল উদ্দেশ্য
       নরেন্দ্র নাথ নস্কর

উৎসব, ফেস্টিভ্যাল বা কার্নিভাল যাই বলে যে কোন ভাষায় পরিচিত হোক না কেন তাদের মূল উদ্দেশ্য সম্ভবত এক রকম।

উৎসব হয়ত কোন কালে শুরু হয়েছিল কোন সংস্কার বা ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে। কিন্তু কালক্রমে সেই  উৎসব একটা সার্বজনীন রূপ নেয়।
ক্রমে সেই উৎসব, সংস্কার বা ধর্মীয় সীমা অতিক্রম করে স্থান,কাল ও পাত্রের বাধা পেরিয়ে   সমস্ত শ্রেণীর মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে যায় ও মানুষের খুশি ও আনন্দের উৎস হয়ে থাকে।

এক কথায় বলতে গেলে সৃষ্টির শুরু যাই হোক যে কোন উৎসব মানুষকে আনন্দ দিয়ে থাকে।
সেই উৎসব সমস্ত শ্রেণীর নরনারী দের এক অদৃশ্য যোগ সূত্রে মিলিত করে।
যেমন উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় দূর্গাপূজা  ঈদ,বড়দিন, পয়লা বৈশাখ, পয়লা জানুয়ারি ,যে কোন রাজ্যে ফসল কাটার উৎসব, বিহু, ওনাম, পোঙ্গাল, দশেরা,বিজয়া দশমী যে উৎসবই  পৃথিবীর যে কোন স্থানে অনুষ্টিত হোক না কেন, তাদের আসল উদ্দেশ্য সেই স্থানের সমস্ত মানুষদের মিলিত করে আনন্দ দেওয়া ও এক অদৃশ্য ভ্রাতৃত্ব বোধে যোগ করা।

সুতরাং অন্য দিক দিয়ে বলা যায় কিছু ব্যথিক্রম বাদ দিলে যে উৎসব খুশি বা আনন্দ দেয় না সেটা ঠিক উৎসব পদমর্যাদার নয়।
সবাইএর জন্য আনন্দের উৎস যেখানে সৃষ্টি হয় সেটাই আসল উৎসব।

বি:দ্র:-
এই লেখা  কোন বই বা গ্রন্থ থেকে নেওয়া নয়,হৃদয়ের অনুভূতি থেকে লেখা ।
মতামত লেখকের নিজস্ব ।




প্রেমের মৃত্যু নেই
     সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

প্রেম ছোটে
দূরন্ত তার গতি
ইতিহাস মানে না
শুধুই ছুটে চলা।

যত দূরই সে যাক না কেন
সেখান থেকেই শুরু

আগে কিছু ছিল না

অন্ধকারের নিরন্ধ্র কুলায় ছিল 
তার নব জন্মের ইতিবৃত্ত
প্রতীক্ষার অন্তরালে
হৃদয় যেন ছিল নিষ্পন্দ নিষ্প্রাণ

প্রেম মরে না মরতে পারেনা।

জীবন মরে আবির্ভাব তিরোধান হয়

প্রেম বিদীর্ণ তৃণসম
বৃষ্টি পেলেই আবার জীবন্ত...





👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন)