সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 26/10/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 26/10/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন-26/10/2020


*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-26/10/2020, সোমবার
               সময় :- রাত 7 টা. 


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒





       সিঁদুর  খেলা
        পিনাকী  মুখার্জী
       
          ধুলোমাখা  গায়ে  মমতা  মাখানো
                  স্নেহের  আলিঙ্গনে  !!
          মায়ের  বিম্ব   তাতেই  হারায়
                 মনের  দর্পণে  !!

             দশ  হাতে  দশদিক , দুই
                    হাতে  তাই  !!
               তবু  আজ  ও   ছায়া
                   নিজে ,  বিবর্ণতাই  !!

          জলে  ভেসেভেসে মাটি  অবশেষে
               কোথাও  দুখিনী বেশে !!
              ছায়া  রোদে জলে  ছেঁড়া 
             আঁচলে ,   ধ্বনির  আশেপাশে  !!

                   মায়ের  দিকে  দৃষ্টি  যখন
                ঝাপসা  চোখের  জলে  !!
                 নূতন  সূর্য  নূতন  শপথ
                  সেই   সিঁদুর  খেলাচ্ছলে  !!





মা দূর্গাকে  খোলা চিঠি
নরেন্দ্র নাথ নস্কর

হে মহামায়া দূর্গা,
বৎসরান্তে  আবার তুমি পিতৃগৃহে পুত্র কন্যা সহ এসেছ।
কিন্তু তোমার সাধের পৃথিবীতে এবারে এসে কি দেখলে?
নতুন এক ভাইরাস রোগের প্রকোপে বিশ্বব্যাপী আপামর জনসাধারণ আক্রান্ত।
প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত  হচ্ছে।
বেশ কয়েক হাজার মানুষ হয় মাড়া যাচ্ছে নয়  কর্ম ক্ষমতা হারিয়ে প্রতিবন্ধী হয়ে যাচ্ছে।

তোমার প্রিয় বাংলা ও ভারতবর্ষ এর থেকে বাদ নেই।
লক্ষাধিক মানুষ মারা গেছে।
অর্থনিতির বেহাল অবস্থা হয়ে গেছে। কত নরনারী বেকার হয়ে গেছেন।
কবে এই মহমারী বা অতিমারী যে শেষ হবে তুমিই একমাত্র জান মা।
বিজ্ঞানীরা অক্লান্ত চেষ্টা করে চলেছেন এই রোগের সফল টিকা আবিষ্কারের জন্য।
জানিনা কবে তারা সফল হবেন?
এই দুর্দশা কি মানুষের পাপের ফলে না অন্য কিছু আমাদের জানা নেই।
অসাধু কিছু ব্যবসায়ী এই সুযোগে    লাল হয়ে গেল। তাদের কে শাস্তি দেবে মা?
গরিব সত মানুষদের যাতনা কবে শেষ হবে বল মা।
ম্রিয়মাণ এবারের শারদ উৎসব ।
সর্বত্র একটা ভয়ের পরিবেশ চারিদিকে। ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যবসা লাটে উঠেছে।
বেড়াতে যেতে মানুষ ভয় পাচ্ছে।

এমনকি আত্মীয় বন্ধুদের বাড়ি যেতেও মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
মন্দির মসজিদ গির্জায় প্রবেশে হয় নিষেধাজ্ঞা নয় বিধি নিষেধ।
তুমি কোথায় মা?
তোমার কাছে কাতর প্রার্থনা,
এ বিশ্বকে তথা ভারত ও বাংলাকে রক্ষা করো মা।

অচিরেই যেন সমাজের গরিবরা
দুবেলা দুমুঠো খেতে পায়।

সমাজের উপরতলার মানুষ ও বড় ব্যবসায়ীরা যেন সহৃদয় হয়।

সর্বোপরি এই আতঙ্কের পরিবেশ যেন অচিরেই  পৃথিবী তথা ভারতবর্ষ থেকে অন্তর্হিত হয়।

পরের বছর যেন তোমার আগমন আনন্দদায়ক হয়।





মা এসেছে
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

ঢ্যাং কুড়াকুড় ঢ্যাং কুড়াকুড় কুড়ুর কুড়ুর
শিউলি গন্ধে ভাসে শারদীয়া র  মধুর সুর।

মা এসেছে । আজ নবমীতে  যাবার রাতে
বাঙালি যেন ভাসছে অশ্রু পাতে।
  মন বলছে যেওনা ফিরে
   করোনা রয়েছে ঘিরে।
রূপ দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে সম্প্রদায়ের বর্ণের ভেদাভেদ
    পুজো করেই শত্রু নিধনে মা যে আসছে সবখানেই।
কৈলাসে যাবার আগে মা করোনাসুর নিধন করবেই।।




অলস
অঙ্কুর মাইতি

আমার মস্তিষ্ক জুড়ে অক্ষরের ছোটাছুটি।
অথচ আঁচড় কাটতে পারছেনা কলম।
আমার শরীর গ্ৰাস করেছে অলসতা।

আমার দুচোখ খুঁজছে ঠিঁকরে আসা রোদ।
অথচ,মন জুড়ে নিকষ কালো রাত্রি।
আমার শরীর জুড়ে অলসতা।

আমার হৃদয়ে তোমার প্রেমের আর্তি।
আমি চাইছি মাস্ক খুলে ফেলে দিতে।
চাইছি,একটা দৃঢ় আলিঙ্গন মিলিয়ে দিক পরষ্পরকে।
অথচ,আমার শরীর জুড়ে অলসতা।

আমি অলস!!

    


আমাদের তিন্নি
         আব্দুল রাহাজ

আমাদের তিন্নি  সে আজ বাড়ির বড় গিন্নি।
পথে হেটে যাই সে অপরকে সাহায্য করে সে সেই হলো আমাদের তিন্নি।
ছোট বেলা কাটে তিন্নির নদীর ধারে লালু ভুলু দের সাথে খেলা করে।
আজ তিন্নি বড় হয়েছে বাড়ির গিন্নি।
সে ছিল এক ছিল এক বেজায় পেটুক এই হল আমাদের তিন্নি।
ছিল বেশ আমোদপ্রমোদ চরম রসিক আমাদের তিন্নি ।
বেজায় মানুষের ভালো রাখতেন আমাদের তিন্নি।





মনুষ্যত্ব
        জুয়েল রূহানী

মানুষরূপী হায়েনার দল
কান পাতিয়া শোন,
মাতিয়া না থেকে,কর রে-
হেফাজত যৌবন!

লোভ-লালসায় মত্ত থেকে
করিস না অন্যায়,
ব্যাভিচারে লিপ্ত থেকে-
মনোবাসনায়!

পশু রূপের মুখোশ কে শোন
কর্ রে উন্মোচন,
মনুষ্যত্বের বড় পরিচয়ে-
পাবি রে সম্মান!








   

রজকিনী- রাজলক্ষী
          এমাজদ্দিন সেখ

রজকিনী , তুমি কি আজ আমার কথা ভাব ?
রজকিনী , বার বার মন চায় তোমার বাড়ি যাবো !
রজকিনী  , সত্যি বলো , কাজের ফাঁকে আমায় মনে পরে ?   

আমি তখন ট্রেনিং কলেজ, স্বপ্ন প্রফেশন ; ---  
কোনো এক ঝড়ে তোমার বুকটা ভেঙেছিল !  
দেখা হলো , কথা হলো চেনা-জানার সেই ট্রেডিশন ;---
স্বভাব বশে আলতো বহু বাড়িয়ে দিয়েছিলাম ; ---
কোড'হীন  মাঠে তোমার সাথে টেনিস খেলেছিলাম ; ---
ছাউনি  উড়া ঘর ভুলে ঝাপটে ধরে দৈব হাসি হেসেছিলে ! 
হাসির স্রোতে ভাসিয়ে দু'  চোখে স্বপ্ন এঁকেছিলে ;---
স্বপ্নটারে চর্চা-লালনে আকাশ ছেয়েছিলে ! 

রজকিনী , আজও কি তোমার সেই স্বপ্ন মনে পরে ?
স্বপ্নটারে বাঁধতে ঘরে সে কী কান্না জুড়েছিলে ! 
সেই ঘর বাঁধতে গেলে শর্ত প্রাচীর দিয়েছিলে ; ---
ডিঙিয়ে প্রাচীর পৌঁছে গেছি ;  শুধু চাকরিটা পাইনি ;--- 
সেই দোষেতে রজকিনী , আমি আজও মানুষ হইনি !!

রজকিনী ,আজ কি তোমার সেসব কথা মনে পরে ? 
দহন চিতায় পুড়ে আমি ক্রমেই ক্ষয়ে গেছি ;--- 
সেই অবসরে সিন্ধু -  গঙ্গা সুদূরে বয়ে গেছে !! 

রজকিনী , সূর্য ওঠে, রাত্রি পোহায়, পৃথিবী আপন কক্ষে ঘোরে অনির্বার ;--- 
রজকিনী ,সেই দহন চিতার আগুন নিভলোনা তো আর ?
রজকিনী , স্বপ্ন গুলো কুল হারায়ে সাগর ঢেউএ মেলায় ;---
রজকিনী , আজ জীবনের মানে ফানুস বাতাসে মেলায় !!

রজকিনী , আজ নুহ্য আমি ;  ধূলি পথে নুড়ি কুড়োই ;---
রজকিনী , ও রাজলক্ষ্মী , এই ধূলি মাঝে কাল মানিক পাবোই ;--- 
রাজলক্ষ্মী , সেদিন এসো , স্বপ্ন-  ঘরে মিলবে দোঁহার ঠাঁই !! 

ফুটো চালে জ্যোৎস্না আলো ধোয়ায় বিছানাটাকে! 
এই ভেজা মেঝেয় অহর্নিশি কান্না মিশে থাকে ;---
রজকিনী , শুনতে কি পাও ,  আহাজারী আকাশে-  বাতাসে ? 
নেত্র আমার ঊর্দ্ধ পানে , উদবাহু তোমার আসার আশে ! 
রাজলক্ষী , ফিরে এসো আর একবার এ জীবন আঙিনায় ---





চেতনার জাগরণ
         সাফরিদ সেখ

জাগো হে মোর নির্যাতিত মানব।
জাগো মোর গহন বনের আলোক বর্তিকা।
ধুলো ওড়া মেঠো পথ আজ মুখরিত হোক
নব উত্থানের নবীণ গানে ।নবীন সুরে।

হিংসার গুপ্ত পথ আজ অদৃশ্য হোক
মুছে যাক অনন্ত কাল থেকে এখুনি।
উদ্ভিদ সারা বিশ্বে এক জাতি।এক নাম।
তোমাদের পরিচয় হোক এক মানব জাতি রূপে।

জাগো তোমার চেতনায়।মননে।
গড়ে উঠুক মহামিলন ক্ষেত্র এক।
যেথা সব জাতি ,বর্ণ,ধর্ম মিলিবে ।
বন্ধনহীন ,উন্মুক্ত আকাশের কোলে মিলিবে।






                        " লুডু "
                  হামিদুল ইসলাম
                    

জলের মধ‍্যে খুঁজি
পাথর জীবাশ্ম হৃদয়
খুঁজে পাই নে জীবন
জীবন বড়ো কঠিন
পাথরের জীবাশ্মে লুকিয়ে থাকে প্রেম ।

হৃদয় ছুঁয়ে যায় বেলাভূমি
তীর বেঁধা হাস
ডানা ভাঙা মেঘের মতো ওড়ে
হৃদয়ে একবুক দীর্ঘশ্বাস
তবু প্রাণের মায়া ত‍্যাগ করতে পারি না কোনোদিন ।

জলে জলে ভাসুক হৃদয়
উপছে পড়ুক হৃদয়ভূমি
এতোদিন যাকে খুঁজেছি জীবনের কোণায় কোণায়
আজ সে দাঁড়িয়ে থাকে
আমার পাশে। তাকে তুলে নিই একবুক মায়ায় ।

পালিয়ে যেতে পারি না
সে আমার জীবন নদীর উৎসমুখ
তাকে নিয়ে পুতুল খেলি
কখনো সাপ লুডু মই লুডু
জীবন লুডুর মতো প্রতিদিন ওঠে আর নামে ।

সাপ লুডু তুমি
মই লুডু আমি
লুডুময় আমাদের মায়ার জীবন  ।







তবু যাচি
    বদরুদ্দোজা শেখু

বাক্সপ্যাঁটরা বই সঙ্গে যাবে না।জানাজা কি যাবে ?
আর স্বপ্নগুলো যা রেখেছি বুকের কিংখাবে
মুড়ে' আজন্মকাল ? সকাল সকাল
প্রশ্নগুলো মনে ঘুরে , অন্তঃপুরে পার্থিব মায়াজাল---
বিহ্বল বিষণ্ণ হই, ওই এক ঘুণপোকা ঘুরে
বিরক্ত মগজে, সরলে সহজে আয়ুষ্কাল জুড়ে
সময়গুলো কাটলো না, বিধাতার বর
দিনরাত কানামাছি খেলে যেন দৃশ্য পরস্পর
নাট্যশালে, কালে কালে কতো বিপর্যয়
এসেছিল, প্রকৃত পরিসংখ্যান পাওয়া অনিশ্চয়,
সমুদয় তত্ত্ব তথ্য ভিড় করে  বিবিক্ত উঠোনে,
বন্দী জীবনে এর বেশী কথাবার্তা হয়না,শুধু ফোনে ফোনে
খোঁজখবর সত্যমিথ্যা প্রহর যাপন, ব্রেন যেন বাঁঝা ---
তবু যাচি শোকের কাফন, একমুঠো মাটি ও জানাজা ।।







মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)

নবমী নিশি

আজ
নবমী  নিশি
জানি হবে অবসান
সকাল হলেই বিজয়া দশমী
ফিরে যাবে উমা স্বামীর ঘরে
কন‍্যার বিদায়ে মায়ের ঘর ডুববে অন্ধকারে।

কন‍্যা বিদায়ের প্রথা এখনো প্রতিটি অন্তরে
ঘরে রাখিনা কন‍্যাকে যতন করে
ছোটতেই শেখাই সংসার স্বামী
শ্বশুরবাড়িতে পায়না মান
থাকেনা মিশি
স্বরাজ ।

(২)

থাকবো তিমিরেই

বিদায়
নেবে দুর্গামা
একটি দিন পরে
আসবে আবার বছর পরে
ছেলেমেয়ে সঙ্গে নিয়ে যাবে শ্বশুরবাড়ি
ভোলনাথের  কৈলাসেতে সাজাবে আবার ঘর সংসার।

আমরা যেমন ছিলাম তেমন করবো দিনপার
ভাতের খোঁজে দূরান্তে দেব পাড়ি
অভাব ধুঁকে মরবে ঘরে
হতাশা থাকবে অন্তরে
পার্বণী হবেনা
আদায়।






👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 


৩টি মন্তব্য:

  1. শুভ বিজয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা ।
    চমৎকার আয়োজন ।

    উত্তরমুছুন
  2. সব্বাইকে শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাই। উপকন্ঠের প্রতিটি সংখ্যা একান্তই বেশ ভালো। এই সংখ্যাও তেমনি সুন্দর বিষয় সমৃদ্ধ। উপকন্ঠের প্রতিটি সংখ্যা আরও সুন্দর হোক এই কামনা রইলো ।

    উত্তরমুছুন