রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 25/10/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 25/10/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 25/10/2020

*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-25/10/2020, রবিবার
               সময় :- রাত 8:45 মিঃ


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


আজ মহানবমী
       শ্রীকান্ত মালাকার

আজ মহানবমী, দুগ্গা মায়ের গোছগাছ শুরু,
আগামী দিন কৈলাস যাবেন, মন্দির প্রাঙ্গণ করে মরু।

মানব মনে খানিক আনন্দ জাগিয়ে রেখে,
"পূর্ণিমাতে আসছি আবার" বলতে শুনলাম লক্ষ্মীমাকে।

মন্দির প্রাঙ্গণে আজ সকলে মিলে খাবো মায়ের ভোগ।
ছোট-বড় সকলে মিলে দিয়েছি দুর্গোৎসবে যোগ।

আগামী দিন ঘট নরলেই মা পরিবার নিয়ে যাবেন বহুদূর,
সকাল হলেই মায়ের আটনে বাজাবে ঢোলিরা বিদায়ের সুর।।





ভিন্ন বিসর্জন
             সুশান্ত মজুমদার

বিসর্জন শুধু নয় বিষাদের
আনন্দে বেগ বান,
একটু যদি ভেবে দেখো
হয়ে হৃদয় বান।

দীন ছাত্র শুধায় মাকে
বিসর্জনটা কবে ?
স্কুলে গিয়ে মিড'ডে মিলে
উদর ভর্তি হবে।

শ্রমিক ভাবে ভাসান শেষে
কাজে যোগ দেবে।
মুজুরি পাবে রসদ কিনবে
ভর পেটে রবে।

অসহায় পিতার মাথায় হাত
ছেলে গেছে জেলে,
বিসর্জন পরে খুললে কোর্ট
জামিন পাবে ছেলে।

রোগ যন্ত্রণায় কাতর রোগী
বিসর্জন করে আশা,
ডাক্তার বাবু কাজে এলে
হবে যে চিকিৎসা!

বৃদ্ধ বৃদ্ধা হৃদ রোগী
থাকে অপেক্ষায়,
বিসর্জনটা হলে পরে
ডি.জে 'র শব্দ যায়।

সবাই শুধু চায়'না বোধন
বিসর্জনও চায়,
কিছু জীবন থাকে কেবল
ভাসানের  অপেক্ষায়।



মাতৃহারার পুজো আখ‍্যান
        মহীতোষ গায়েন

জন্মানোর পর এই প্রথম পুজোতে মাতৃহারা,
এই প্রথম মহামারির কবলে মা দুর্গা,চারিদিকে
পুজোর গন্ধ,তবু মায়ের গন্ধ কোথাও পাচ্ছিনা
না বিগ্রহে,না চরাচরে,মায়া মেঘাচ্ছন্ন দিগন্ত।

গত বছর শয‍্যাশায়ী মায়ের জন‍্য বুকখোলা
নাইটি নিয়ে গিয়েছিলাম,মা হেসেছিল অম্লান,
এবার জন্মদিনেই মাকে দাহ করতে হলো...
সেই থেকে তীব্র দহন  সারা শরীর মনে।

শত দু:খের মাঝে মায়ের মুখের হাসি মলিন
হয়নি,এবার আর বিজয়া দশমীর সন্ধ্যায়
মায়ের রুগ্ন মুখে মিষ্টি দেওয়া হবে না,মিষ্টির
রসধারা চিবুক বেয়ে আর গড়িয়ে পড়বে না।

সমস্ত উপত্যকায় এবার চাষ হচ্ছে কুইনাইন
সমস্ত শরীরে বেজে চলেছে বিষাদের সানাই
সমস্ত উপবন অন্ধকার,কেউ ঢুকতে পারছে
না,কাউকে চেনা যাচ্ছে না,বোঝা যাচ্ছে না।

গাছের ফুল সব ঝরে যাচ্ছে,ঝরে যাচ্ছে পাতা
গভীর রাতের স্বপ্নগুলো বোবা কান্নায় অস্থির
আঁকড়ে ধরে,সব স্মৃতিগুলো যেন স্বার্থপর দৈত্য,
বাগানে ঢুকতে দিচ্ছে না,নোটিশ টাঙানো আছে।

ভয়ংকর দু:সময় রোমকূপে ঢুকে পড়েছে,দখল
নিচ্ছে সমস্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি,নিলাম হয়ে
যাচ্ছে যাবতীয় আশা,তানপুরার তার কেটে গেছে;
সময়ের স্রোত বেয়ে এগিয়ে আসছে অচেনা শব্দ।

এবারের পুজোয়  মহামারির সমুদ্রে ভেসে গেল
সব সুখের স্বপ্নগাছ।চারিদিকে দু:খের স্রোত বয়ে
চলেছে,সমস্ত যাত্রী বাঁচার জন‍্য তীরে উঠতে মরিয়া
চোরা স্রোতে ভাসছি অসহায় কূলহীন মাতৃহীন একা।




The Lamp of the Earth
By Sabir Ahmed

I
   I am the lamp of the earth
  Burning since beginning in the heart of heaven
       I burn not for me, but burn for others to shine
I always second to reflect my beams
     Like a mirror on the distant earth's face
Immortalized me by the sun, I'll never put out...
 
      II      
                          I am pale and I am bright
                         Like the flame of a wick    
                 Under the natural phenomena
   As I am led by the rules of universe,
For a few days I appear and again goes away
             Just like a guest...

                                                      III
  I am changeable in phase and in size
       Sometime gibbous and quarter,
        sometime crescent,new and full
   I can change in the appearance of colours
            Sometime red and orange
             Or gold during eclipse...

IV
                      My duration is long, too long
               But not like the stars
         For my birth is for the earth
    And the earth is for the human beings
     Fenced by all the variegated creatures
Without stopping I travel from west to east…
                                                                                                             


মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)

পথ

পথ
চলে গেছে
রাঙামাটির পথ ধরে
চলে যাই বাঙলার গ্ৰামে
দামোদরের ধার অথবা কোপাই নদী
শরৎ হেমন্তে সব জায়গায় এক সুর।

গ্ৰামের মানুষ আজো ভুলিয়ে দেয় দূর
ঢাকের তালে পা মেলাই যদি
বুকের মাঝে শরৎ নামে
ভাবি ফিরেছি ঘরে
মন চিনেছে
গত।

(২)

নেই আজ উৎসব

মুছে
গেছে দেখি
ডায়েরির সব লেখা
পুড়ে গেছে ভালোবাসার গান
গীটারেতে বাজে শুধু বিষাদের সুর
আমাকে ছোঁয়না তাই আজ কোন উৎসব ।

জানিনা কতদিন আর গুণে যাবো শব  
নিজের কাছে পৌঁছতেই লাগে দূর
ভুলে গেছি সব অভিমান
জীবনের বিষাক্ত আয়ুরেখা
যাবে সখি
ঘুচে।





জীবনের প্রয়োজনে
         জুয়েল রূহানী

জীবনের প্রয়োজনে-
ছুটে চলা অন্তহীন গন্তব্যের দিকে
ঠিকানা বিহীন পথে
পথহারা পথিকের ন্যায়!
জানি না কখন ফুরাবে
এ পথের সীমা-পরিসীমা?
শুধু এতটুকু জানি
যতটুকুর প্রয়োজনে-
কাছের মানুষগুলো চলে গেছে-
দূর হতে বহুদূরে!






  আশা নিয়ে
         বিমান প্রামানিক

আমি আছি বসে মন্দির মাঝে
তুমি আসবে তাই ।
কত রঙের মাঝে তোমাকেই খুঁজি
ফিরে ফিরে তাকাই ।
পারি না আনমনা হতে শুধু তুমি
কখন যে আসবে !
দূর হতে ঐ হাতটি নেড়ে
আমায় যে ডাকবে।
পাড়ায় পাড়ায় পারি না যেতে
কোথায় কখন তুমি ।
আমি যাবো কোন পানে আর
তুমি আসবে পূণ্যভুমি।
মায়ের এই মন্দিরে তাই শুধু
একটু আছি অপেক্ষায় ।
সব এড়িয়ে যদি তুমি ডাকো
তোমার চোখের ইশারায় ।



মৃন্ময়ী
       বদরুদ্দোজা শেখু
--------------------------------------

ভাজাভুজি একদম চলবেনা, ডাক্তার বলেছে।
সুখ নাই, হাজারো অসুখ । ধুত্তোরি ! নিকুচি করেছে 
তোর পথ্যের বিধান ! ভাত আর পোলাও
কি এক হ'লো ? ভুজিয়ার সমান কি সেদ্দ ছোলাও ?
বিরক্ত হ'য়ে মরি উপযুক্ত খাদ্য খুঁজে খুঁজে ,
গিন্নী ব্যাজার হন, খাও বাবা নাকমুখ   গুঁজে
যা দিচ্ছি বাধ্য ছেলের মতো,অতশত
তোমার বুঝে কাজ নাই, ভালো থাকা জীবনের ব্রত ।

কিছুতেই বুঝে না সে, একঘেয়ে বিস্বাদ
হ'য়ে যায় খাদ্যগুলো, যদিও যত্ন ও মমত্ব অগাধ
দিয়ে সে প্রস্তুত করে, প্রতিবাদে ফল হবে না জানি ---
অগত্যা গলাধঃ করি তার শ্রমের মেহেরবানি
ভেবে, সময়ে চেক-আপে যাই
মাসে মাসে দামী দামী বস্তা বস্তা ওষুধ দাওয়াই
খেয়ে যাই, যদিও মাঝে মধ্যেই গোলমাল হয়
তবু মনে ভাবি , কাজ দিবে নিশ্চয় নিশ্চয়,---
মনে ভাবি, ডাক্তার তো অনেকটাই ঈশ্বরের প্রতিভু,
নিত্যদিন আয়ুরেখা জাগে নিভু নিভু- --
তাতেই সন্তুষ্ট হই, দুষ্ট চিন্তা ছাড়ি,
হয়তো তাই জিতে যায় প্রিয়তমা মৃন্ময়ী নারী।।




বিশ্বাসের ফল
     অশোক কুমার রায়

শুনছি যত বুঝছি তত
পাচ্ছি নাকো তাই ।
তেল বিহীন হেরিকেনটা
ধরিয়ে দিলি ভাই !

এবার দেখো বাঁশটা কোথায়
আঁকড়ি যেন থাকে ।
বিশ্বাসের এই.ফলটি পেলাম
বাসছি ভাল যাকে !










উৎসবে জীবন
         এমাজদ্দিন সেখ

জৈব  তাড়নার ঊর্দ্ধে ও যে জীবন ;
তাহাই মানব জীবন l
মনের টানে প্রাণের আকুতি ---
প্রাণের ছোঁয়ায়  প্রাণের সৃষ্টি ; ---
কৃষ্টিশীলতায় মানুষ স্রষ্টার  শ্রেষ্ঠ আরশে  !
তাই আনন্দে হরষে বিকশিত হৃদ-  কুসুম !
মুছে যায় ভেদ -  ক্ষেদ -  বঞ্চনা-  গ্লানি ---
উৎসবে মিলনে গানে ...

খুন্নি বৃত্তির  ক্ষুদ্র  ছাঁচের বাইরে ...
ছাপোষা প্রাণ খোলা মাঠের মুক্ত বাতাসে ---
  পায় বুকভরা  মুক্তি শ্বাস ---
একটু কল্প রঙে ভাসায় পানসি অনন্ত  আকাশ  !
জীবনী শক্তির স্থিতিশীলতার  রসদ উৎসব !
জীবন বৃক্ষের  শিকড়  উৎসব !

কলুর বলদ প্রায় একঘেয়ে  জীবনে ---
বৈচিত্র্যের সাদে  শোভিত  পাতাবাহার  ;---
ক্ষণিকের নন্দন  কানন  উৎসব l
  শারদ কি বসন্ত  ;  নবরাত্রি  বা ঈদ ---
সবার মনেই খুশির জোয়ার ; ---
হৃদ হতে মুছে যায় বিদ্বেষ বিষ
উৎসবে কাঁধ মিলিয়ে মাগি শান্তি ,সুস্থ্য পরমায়ু আশিস l

   


ঠাকুরের ভোগ দান
         অঞ্জলি দে নন্দী,মম

আমি তখন কলেজে পড়ি। ছুটির দিনে গিয়ে বেলুড় মঠে হাজির হতাম। সারাটা দিন কাটিয়ে সন্ধ্যায় হোষ্টেল ফিরতাম। ওখানেই দুপুরে ভোগ পেতাম। সঙ্গে আমার অনেক বান্ধবী থাকত।

এক দিন আমার অতি বৃদ্ধা ঠাকুমা আমাকে বলল, " বড় রানী মা! তোর বেলুড় মঠে আমাকে দুর্গা পূজার সময় ভোগ পাওয়াতে পারিস কি? বড় সাধ হয়। " এর পর শ্রী দুর্গা মহা অষ্টমীর দিন আমি আমার কোনও রকমে হাঁটতে পারা বৃদ্ধা ও অসুস্থ্য ঠাকুমার হাত ধরে রওনা দিলুম। গিয়ে দেখি মঠের মূর্তির কাছ থেকে বাইরের মেন রোড পার হয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের গেট পর্যন্ত বিরাট কিউ। এটি ভোগ পাওয়ার লাইন। ঠাকুমাকে বোঝালাম যে ভোগ পাওয়ার কোনও আশা নেই। মূর্তি দর্শন করে বাড়ি ফিরবো। এই বলে আমরা প্যান্ডেলের ভেতরে ঢুকে মাকে নমস্কার করলাম। উঠে দাঁড়াতেই দেখি কি, এক দিব্য কান্তি পুরুষ, তাঁর সর্বাঙ্গ থেকে এক অলৌকিক জ্যোতি বের হচ্ছিল। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, " মা আপনারা ভোগ পেয়েছেন কি? " আমি বললাম, " না। " উনি আমাদের প্যান্ডেলের পিছনে নিয়ে গেলেন। সেখানে আমাদের বসতে বললেন ও নিজেও বসলেন। তাঁর দু হাতের তালুতে দুটি ভোগ ভরা মাটির মালসা। তিনি আমাদের ও দুটি সামনে রেখে বললেন, " দয়া করে এই ভোগ গ্রহন করুন মা! " আমি বললাম, " এতো নয়। একটিতেই আমাদের দুজনের হয়ে যাবে। " উনি বললেন, " দুটিই নিন মা! " আমরা ভোগ নিলাম। পেট ভরে গেল। এতো বেশি যে আইঢাই করছি। উনি এরপর ওনার কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ থেকে একটি জলের বোতল বের করে আমাদের হাত ধোয়ালেন। আবার জল পানও করালেন। এঁটো মালসাদুটি নিজে হাতে তুলে নিয়ে ডাস্টবিনে ফেললেন। আমাদের মঠের গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে এলেন।

আমার ঠাকুমা যে কত আন্তরিক তা আমি বুঝলাম। ঠাকুর তাই নিজে এসে ঠাকুমার মনের সাধ পূরণ করলেন। ভক্তের ভক্তিতে যে ঠাকুর বড় কাছের জন।







ওরা মানুষ
      আব্দুল রাহাজ

হাটে মাঠে ঘাটে পড়ে থাকে ওই মানুষগুলো ওদের কি কেউ সাহায্য করার কেউ নেই আছে বৈকি সম্পদের টান পড়বে বলে এগিয়ে আসে না ওদের কাছে ওরা যে দুবেলা দুমুঠো ভাত পায় না যে দ্বারে দ্বারে গেলে খেতে হয় লাঞ্ছনা-বঞ্চনা তবে এই সমাজের একজন মানুষ।
দিনদিন ওরা হয়ে যাচ্ছে সমাজের ওই আড়ালে ওদের কি কেউ সাহায্য করার কেউ নেই
মানুষের বিবেক-বুদ্ধি হয়ে গেছে পাষাণ তবে কি আমরা সাহায্য করার মানসিকতা আমাদের নেই।
আরে ওরাও তো মানুষ ওদের কে সাহায্য করো ওদের পাশে দাঁড়াও প্রভু তোমার খুশি করবে।



মিলনোৎসব
          মোঃআলিউল হক

আজি মোচ্ছবের পূণ্য প্রাতে
হাতে হাত রেখে সাথে     হোক প্রত্যয় সবাকার ;

আমরা মানুষ এই ভূ-ভারতে
মিলে মিশে রইবো সাথে     বিদ্বেষ নহে আর।

নারি যদি সু-মানুষ হতে
জন্মে কি লাভ ধরনীতে      পার্বন কি দরকার।

গুটি কয় এই  দিবসেতে
সুফল  লভি কোন মতে?    বদল না হয় চেতনার !

যদি না জাগে ভ্রাতৃ বোধ
পুষে রাখি আদী ক্রোধ       এ বড়ো বেদনার।

মনের অসুরে আগে বঁধি
সাধু পুরুষ হই যদি        সমস্যা পগার পার।

উৎসব মানে উৎস পানে
মিলেমিশে এক সনে       চলিবার অঙ্গীকার।





কৃষকের বন্ধু
        সাফরিদ সেখ

আমি কৃষকের বন্ধু।কৃষণীর বান্ধবী।
কাদামাটির গন্ধ গায়ে মেখে ঘুমাও।
ধানের স্পর্শ হৃদয়ে নিয়ে বাঁচ ।পথ চলো।
বাংলার নদী তোমার স্নানের আধার।

প্রকৃতির আপন বন্ধু প্রকতই তুমি।
এত নিবিড় ভাবে প্রকৃতিকে কে পাই!
কলমিশাকের লতা তোমায় জানাই জানাশোনা।
ভাট ফুল তোমার সখার আদরের ধন।

বিন্নি ধানের খই ।কে আর পাই।
মাটির গন্ধ ভরা শালুক যত দেখি
তোমার কথা বন্ধু মনে আসে তত।
গ্রামের রূপে  তোমায় করে বন্ধু রূপসী।







           শেষ দেখা
                হামিদুল ইসলাম
                  

তুমি চলে যাচ্ছো।  যাও --
অথচ তোমার যাওয়ার কথা ছিলো না
তবু তুমি চলে যাচ্ছো
আমার বুক চিরে
আমাকে চিরে
যাও --

থমকে দাঁড়িয়ে আছো কেনো
তোমার চলে যাওয়ার কথা শুনে
অরণ‍্য ভাঙছে ঝড়ে
নদী শুকিয়ে কাঠ
সমুদ্রে মালবাহী জাহাজ কাৎ হয়ে যাচ্ছে
এখনই ধ্বষে পড়বে পৃথিবী, তুমি চলে যাচ্ছো বলে ।

তবু তুমি চলে যাচ্ছো
চাঁদ ডুবে যাচ্ছে
সূর্য অন্ধকারে
মাটির নীচের কালো ধোয়াগুলো আরো অন্ধকার করে দিচ্ছে চারদিক
তুমি চলে যাচ্ছো
আমার দুচোখে জল ।

আর তো দেখা হবে না আমাদের
এ দেখাই শেষ দেখা --






সুখ
উমর ফারুক

দুপুর গড়িয়ে আশ্বিন বেলা
মিলেনা কিছুতো নয়নে!
আমারও হৃদয়ে চুমেচি আকাশ
দেখেছি অবাক শয়নে।
মানুষর তানে কল্লোল পৃথিবী
মিঠা রোদে পুড়ে পিঠ
কাহারো প্রাণেতে দুঃখের ঢাক
অবিরাম চোষে কীট  ।

আদর স্নেহ তে পুসিনু  পাখি
খাচার ভেতর রেখে
চিড় ধরিয়ে উড়িয়া পালাল
আদর স্নেহ মেখে।
দূর্বার হয়ে ছুটিলাম  কত
পাইনা ছুঁতে তাহারে
আষাঢ়ে ভাদরে নানা মাসে ধরে
দিয়েছিনূ  সুখ যাহারে ।






উৎসবের মূল উদ্দেশ্য
       নরেন্দ্র নাথ নস্কর

উৎসব, ফেস্টিভ্যাল বা কার্নিভাল যাই বলে যে কোন ভাষায় পরিচিত হোক না কেন তাদের মূল উদ্দেশ্য সম্ভবত এক রকম।

উৎসব হয়ত কোন কালে শুরু হয়েছিল কোন সংস্কার বা ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে। কিন্তু কালক্রমে সেই  উৎসব একটা সার্বজনীন রূপ নেয়।
ক্রমে সেই উৎসব, সংস্কার বা ধর্মীয় সীমা অতিক্রম করে স্থান,কাল ও পাত্রের বাধা পেরিয়ে   সমস্ত শ্রেণীর মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে যায় ও মানুষের খুশি ও আনন্দের উৎস হয়ে থাকে।

এক কথায় বলতে গেলে সৃষ্টির শুরু যাই হোক যে কোন উৎসব মানুষকে আনন্দ দিয়ে থাকে।
সেই উৎসব সমস্ত শ্রেণীর নরনারী দের এক অদৃশ্য যোগ সূত্রে মিলিত করে।
যেমন উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় দূর্গাপূজা  ঈদ,বড়দিন, পয়লা বৈশাখ, পয়লা জানুয়ারি ,যে কোন রাজ্যে ফসল কাটার উৎসব, বিহু, ওনাম, পোঙ্গাল, দশেরা,বিজয়া দশমী যে উৎসবই  পৃথিবীর যে কোন স্থানে অনুষ্টিত হোক না কেন, তাদের আসল উদ্দেশ্য সেই স্থানের সমস্ত মানুষদের মিলিত করে আনন্দ দেওয়া ও এক অদৃশ্য ভ্রাতৃত্ব বোধে যোগ করা।

সুতরাং অন্য দিক দিয়ে বলা যায় কিছু ব্যথিক্রম বাদ দিলে যে উৎসব খুশি বা আনন্দ দেয় না সেটা ঠিক উৎসব পদমর্যাদার নয়।
সবাইএর জন্য আনন্দের উৎস যেখানে সৃষ্টি হয় সেটাই আসল উৎসব।

বি:দ্র:-
এই লেখা  কোন বই বা গ্রন্থ থেকে নেওয়া নয়,হৃদয়ের অনুভূতি থেকে লেখা ।
মতামত লেখকের নিজস্ব ।




প্রেমের মৃত্যু নেই
     সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

প্রেম ছোটে
দূরন্ত তার গতি
ইতিহাস মানে না
শুধুই ছুটে চলা।

যত দূরই সে যাক না কেন
সেখান থেকেই শুরু

আগে কিছু ছিল না

অন্ধকারের নিরন্ধ্র কুলায় ছিল 
তার নব জন্মের ইতিবৃত্ত
প্রতীক্ষার অন্তরালে
হৃদয় যেন ছিল নিষ্পন্দ নিষ্প্রাণ

প্রেম মরে না মরতে পারেনা।

জীবন মরে আবির্ভাব তিরোধান হয়

প্রেম বিদীর্ণ তৃণসম
বৃষ্টি পেলেই আবার জীবন্ত...





👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 












1 টি মন্তব্য:

  1. খুব ভালো লাগলো। উপকন্ঠের প্রতিটি সংখ্যা একান্তই বেশ ভালো হচ্ছে। অনেকে বেশ ভালো লিখেছেন। প্রত্যেক সাহিত্য স্রষ্টাকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি। অসংখ্য ধন্যবাদ।

    উত্তরমুছুন