বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 27 & 28 / 10/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 27 & 28 / 10/2020


*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-27 ও 28 /10/2020, মঙ্গলবার ও বুধবার
               সময় :- রাত 7 টা. 


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


আজ ভগিনী নিবেদিতার জন্মদিন তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি কবিতা।

প্রিয়তমা মায়ের আদরের খুকী
          রঞ্জনা রায়

মায়ের প্রাণের সরস্বতী আদরের ছোট্ট খুকী
মায়ের সেবায় সদা  প্রনত কন্যা নিবেদিতা
পৃথিবীর মহত্তমা নারী তিনি জননী সারদা
তমসায় শুদ্ধ জ্যোতির্ময়ী, তিনি মেরিমাতা।

বিবেকানন্দের মানস তনয়া  মার্গারেট
ভারতের আত্মভূমিতে খুঁজে পায়
এক অনির্বচনীয় প্রদোষের সঘন মধুরিমা
সোনার আলোয় ভরা ,খেলায় ভরা আশ্রয়
মাতাদেবী তিনি, প্রজ্ঞা ও মাধুর্যের মিলনে
ঈশ্বরের অপূর্বতম সৃষ্টি ,এক নিরব স্তবগান।

মা আর মেয়ে, মেয়ে আর মা
প্রায় তেরোটি বছরের অটুট বন্ধন
ছিড়ে যায় বিধাতার নিষ্ঠুর অংকে
সন্ধ্যা তারার আলোয় চাঁদের প্রার্থনার সুরে
বিশ্ব প্রেমের আধারস্বরূপা মা জেগে থাকেন
মেয়ের অবিনশ্বর চির শাশ্বত প্রজ্ঞায় ।
ভালোবাসা ভরা মায়ের শান্তির আঁচল ছায়ায়
ঘুমায় প্রিয়তমা মায়ের চিরকালের বোকাখুকী।




হামিদুল ইসলাম এর দুটি কবিতা

                   ১) ছায়া
             
একটা ভয় আমাকে তাড়া করে
প্রতিদিন
আমি ভয়ে পালাই
কিন্তু পালাবো কোথায়
যেখানেই যাই সেখানেই ভয় আমার পিছু নেয় ।

ছায়া হয়ে আসে সমস্ত ভয়
বোঝা যায় না ছায়ার মধ‍্যে কী লুকিয়ে আছে
আমার ছায়া তো আমার মতো
তাকে ভয় কেনো  ?
তবু ভয়ে পেছনে খিড়কির দরজা দিয়ে ছুটে পালাই  ।

মূর্খ আমি
তাই ভয়ে পালাই
আদতে ভয় আমার জীবনের প্রতিরূপ
তাকে জীবনে রেখে দিতে চাই
ঘুরুক ফিরুক তবু সে থাকুক  ।

ভয়কে তুচ্ছ করি
ছায়ার টুঁটি টিপে ধরি
ছায়া তবু পালায় না এ জীবন ছেড়ে
এক অদ্ভুত প্রাণ ছায়ার
ভুলে যাই ঘটনাগুলো যেনো স্বপ্ন বলে মনে হয়  ।

         ২) আকাশে পূর্ণিমা চাঁদ
                     

আমাকে কথা দাও
একটিবার কথা দাও যা আমাদের আকাশের মতো
উদার  উদাসীন
ক্লান্ত শহর আজ ঘুমিয়েছে অনেক দিন পর
তাকে ডেকো না
না না না  ।

ছন্দহারা জীবন আমি চাই না
তাই আমাকে একটিবার কথা দাও
আমি পেরিয়ে যেতে চাই আকাশ নদী বন্দর
তোমাকে পরাবো বলে
পারিজাত ফুল নিয়ে আসি
পাহাড় থেকে  ।

নীরোর সাথে দেখা হয়েছিলো
গভীর রাত
নিস্তব্ধ পৃথিবী
ও আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলো
ভালো থেকো
ভালোবাসা নিয়ো  ।

আমার চোখের সামনে ভয়ংকর সমুদ্রের গর্জন
আজ সব উলোট পালোট হয়ে যাচ্ছে
তোমার জন‍্যে চাপ নিই
জলে দাঁড়াই
তোমার আমার ভেজা শরীর
আকাশে পূর্ণিমা চাঁদ   ।





       হারজিত     
          পিনাকী মুখার্জী
    
                 হার  কাচ  ঠুনকো
               হাত  থেকে  পড়া  !!
               জিত  গড়া  দধীচির
                  দৃঢ়  শিরদাঁড়া  !!

         
             হার মানে  লখাইয়ের
                 লোহার  বাসর  !!
              জিত  আনে  বেহুলার
                 জোর  মন জোর  !!

            
               হার  দেখে  হতাশার
                    অথৈ  সাগর  !!
              জিত মানে সেতু বাঁধা
                   সাগর  উপর  !!

           
              হার  মানে  না  লড়েই
                 হেরে  মাঠ ছাড়া  !!
              জিত  মানে পড়ে গিয়ে
                 ধুলো ঝেড়ে খাড়া  !!





হাইকু কবিতা
         শংকর হালদার

০১।
শেষে বিদায়
বাঁধ ভাঙে হৃদয়ে
আজ দশমী ।
০২।
ফেলে আসার
স্মৃতিগুলো মন্থন
আঁখি তারায় ।
০৩।
মাটির বুকে
মৃন্ময়ী রূপে দেখি
জগৎ মাঝে ।
০৪।
বিষাদ সুর
গায়ে মাখি চৌপর
দিবস গুনে ।
০৫।
শুভ অশুভ
সবকিছুর মাঝে
স্বপ্ন রোপণ ।




প্রবন্ধ
পূজা ও উৎসব
   অগ্নিমিত্র

  পূজা ও উৎসব অনেক সময়েই সমার্থক, কিন্তু আবার অনেক সময়ে তা নয় । পূজা মনের ভক্তি এবং ইষ্টদেবতার প্রতি শ্রদ্ধা দিয়ে মূলতঃ  নিষ্পন্ন হয় । উৎসবে আবার জাঁকজমক ও হৈহুল্লোড় বেশি হয়ে থাকে। আবার অনেক সময়েই পূজাও উৎসবের রূপ নেয়! দুর্গাপূজা যেমন পূজা, আবার বাঙালির প্রাণের উৎসবও বটে। বা গ্রামের দিকে নবান্ন উৎসব , টুসু, ভাদু ইত্যাদি ।
  অনেক সময়ে পূজা বিনা আড়ম্বরে, নিভৃতে হয়ে থাকে। যেমন নিত্য পূজা, স্থাপিত দেবতার পূজা, গ্রামে ঘেঁটুপুজো, ইতুপূজা ইত্যাদি । তা তখন কিন্তু তেমন ভাবে উৎসবের চেহারা নেয় না ।
আবার কারো বাড়িতে জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী বা বিয়ের অনুষ্ঠান হলে সেটা উৎসব, তবে পূজা নয়। তাই সব সময়েই পূজা মানে উৎসব নয়; আবার উৎসব মানেই পূজা নয় ।






 
বিদ্যালয়ে পড়াই
      সুস্মিতা দে

আমরা সবাই বিভিন্ন ধরনের মানুষ বিভিন্ন মানসিকতা লেখা সুন্দরবনের একটি সুন্দরী গাছ
কোন টা শাল কোনটা চন্দন কোনটা
সেগুন কাঠের ভাস্কর্য 
রপরসে গন্ধভরা

কোনটি সুন্দরী কোনটা
মহুয়া জমা মধুভরা মৌমাছির
গুন গুন শব্দ ।আছে সমুদ্র গঙ্গার নব
জন্ম আবার আসবে গঙ্গোত্রী হিমবাহ
থেকে গঙ্গা নামছে কত সরু হয়ে
আবার চূর্ন বিচূর্ণ পাথর বালি নিয়ে
এসে সাগরের বুকে নিজেকে
মিলেমিশে বদ্বীপ বানিয়ে দেয়
জীবনচক্রের  চক্ষু খুলবে।

     একটি ভালো বই একশো
           টি বইয়ের সমান
           সমাপ্ত ভূগোল বই।
       আব্দুল কালাম।

দিদিমুনি  কি?  আনন্দ বেঞ্চিতে উঠে 
বলে  আমার একটি প্রশ্ন আছে ?
রয়েল বেঙ্গল টাইগারের নাম শুনেছেন ?
আমার কাকুকে  তাড়া করছিলো ?
সত্যি নৌকা জোড়ে জোড়ে অনেক  দূর এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য মনে মনে বলে কতো হরি ন দেখেছে। হরিন জোড়ে  দৌড়াতে পারে ?
ক্লাস পুরো শান্ত হয়ে গেলো জয়ের গল্প শুনতে ।

     একটি ছাত্র একটি গোটা ক্লাস কে
      মনসংযোগের সাথে পড়িয়ে দিল?
               এপিজে আব্দুল কালাম ।

      একটি ভালো বন্ধু একটি
      গোটা  লাইব্রেরির সমান নাম আনন্দ !
        সমাপ্ত
একটি বন্ধু আনন্দ।






মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
ফেরার পালা

কাটলো
পুজো এবার
দেখছি ভালোয় ভালোয়
এবার কাজে ফেরার পালা
শ্রমিক যেন  ফেরে কলে  কারখানায়
স্কুল খুলে ছাত্রছাত্রীর  শুরু হোক.  লেখাপড়া ।

থমকে গেছে বছরভর জীবনের সব বোঝাপড়া
ঠিকের মাসি কাজে  ফিরুক পাড়ায়
খুলে যাক আদালতের তালা
মানুষ ফিরুক আলোয়
উদ‍্যম সবার
জাগলো।

(২)

নারীশক্তি

নারীশক্তির
আরাধনায় কাটলো
যখন চারটে দিন
নারীকে এবার করো সম্মান
ফিরিয়ে দাও তার অর্জিত অধিকার
তবেই পাবে জেনো মায়ের অপার আশীর্বাদ ।

নারীশক্তির অবহেলাতেই সমাজ সংসার হয় বরবাদ তার লাঞ্ছনাতেই  জেনো সমাজে অনাচার
নারীর সম্মানেই মায়ের মান
ঘুচবে জন্ম ঋণ
  আশীষ  থাকলো
মাতৃভক্তির ।





        ক্ষত
        অঙ্কুর মাইতি

শেষ মুহূর্তেই বেশি মনে আসে প্রথম রাত।
চোখে চোখে ভাষাপাঠ,আঙ্গুলে বাক‍্যের ঢেউ।
তারপর আরেক অধ‍্যায়।

হাওয়ার দমক হঠাৎই আসে।
প্রদীপ নেভার কোনো পূর্বাভাস নেই।
ঠোঁটের দূরত্ব বাড়ে।
ঝাপসা হয় চেনা বর্ণমালা।যার
শেষ অধ‍্যায়ে কথা নেই।
আছে স্রেফ একটা ক্ষত;যা
আজীবন ভুগিয়ে যাবে।

          

বিচিত্র সমাজ
         বিপ্লব গোস্বামী

ধনের লক্ষ্মী তুষ্ট করতে
পূজার আয়োজন ;
আসল লক্ষ্মী পূজা দিতে
নেইতো কোন জন।
গৃহের সতী সাবিত্রী লক্ষ্মী
সয় নির্যাতন ;
রাস্তার লক্ষ্মী একা পেলে
করতে চায় ধর্ষণ।
বিয়ের লক্ষ্মী কালো হলে
চায় মোটা পণ ;
গর্ভে যদি লক্ষ্মী আসে
ভ্রূণে করে নিধন।
আর্ত লক্ষ্মীর বস্ত্র দিতে
কষ্ট পায় মন ;
ধন-ঐশ্বর্য,যশ-শ্রী পেতে
মাটির লক্ষ্মীর পূজন।
ধন ঐশ্বর্য যশ পেতে
লক্ষ্মী আরাধণা ;
আসল লক্ষ্মীর সম্মান দিতে
শাস্ত্রে তাদের মানা।







পল্লীর অন্তর
         সাফরিদ সেখ

সূর্য পশ্চিমে গড়ে পড়ে।আলো নিভায়।
মাঠেরা গ্রামে ঢোকে।গ্রামে আলো জ্বলে।
মন্দিরে ঘন্টা বাজে।মসজিদে আজান।
শান্তির পার্থনা শুরু করে লোকজনে।

এখনি হয়তো অন্ধকারের স্রোত
ভাসিয়ে দেবে পল্লীগ্রামের বনানিকে।
আঁধারের পিঠে পিঠ রেখে ঘুমাই।
কালো জীবন নিয়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখা।

এক গুচ্ছ আশা বুকে জড়িয়ে মা পাখি
ভাবে শুধু ছানাদের ভূত ভবিষ্যৎ।
অন্য এক সকালের প্রতিমা নিয়ে
আনন্দ আহ্লাদে রাতে নিশ্চিতে ঘুমাই।

আর ওই যে অসহায় বাবা বালিশে মুখ গুঁজে
ছেলের বেকারত্ব নিয়ে কত দুঃস্বপ্ন দেখে।
সান্তনা। একদিন  দারিদ্র যাবে ঘুঁচে।
মলিন বেশ রঙিন হবে।স্বপ্ন হবে সত্য।

সহস্র চিন্তার ভিড়ে অন্ন চিন্তা বড়ো।
লেখাপড়া ,শিল্পকলা ভাবার সময় কই?
দিনের ক্লান্তি নিশীথে নিরাময়।
রাতের স্বপ্ন দিনের আলোয় পুড়ে মরে।





সে কি জানে
       সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

যে লোকটি
নোংরা খুঁটে খুঁটে বেড়ায় কোনমতে
গ্রুপ চালাচ্ছে হিম্মতে
নিজেকে সবজান্তা হরিদাস ভাবে
লিখে চলে স্বভাবে
একা থাকতে চায় রাজার সাজে
অন্যকে হটিয়ে ধরা মাঝে
জেনেছে কি সে কাউকে অপমান করলে
কোনও কিছু কি চলে???

সে কি জানে--
অপমান কারে বলে?!?!






নারী
যুথিকা দোলই

মানুষ কেন বলে নারীর নিজস্ব নাই কিছু‌
আমি তো দেখি জগৎ চলছে নারীদের পিছু পিছু।       পিতার ঘরে লক্ষী আমি স্বামীর ঘরে অন্নপূর্ণা
ছেলের কাছে জননী হয়ে সংসার করছি সম্পূর্ণ।
আমার মতো আপন করতে আর কি কেউ পারে‌?
তাই তো পিতার ঘর ছাড়ি পরের ঘরের তরে।
গোত্র থেকে গোত্রান্তর যদিও আমার হই                       তবুও যেন জননী রূপে সকল দুঃখ সই।
ভারত মাতা সেও নারী ,নারী জগদ্ধাত্রী
নারী হল এ জগৎ সংসারের সবার জম্মদাত্রী।
পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ তাই পুরুষকে বড়ো করে         জেনে রেখো সেই পুরুষকেই নারী গর্ভে ধারণ করে।
মহাকাল আমার পদতলে শায়িত চিরকাল              আমি ছাড়া এই জগৎ সংসার বৃথা বইবে হাল।




       বিসর্জন
শ্রীকান্ত মালাকার

পিনকন ভাই ঘুমিয়ে গেছে
নিথর দেহ নিয়ে।
সুব্রত তুই হারিয়ে গেলি
এ কেমন স্মৃতি দিয়ে।

অরিন্দমটাও বেঁচে নেই
কেরে নিয়েছে জল।
যমদূত সোমনাথ কে নিয়ে গেল
করে নিষ্ঠুর ছল।

প্রীতম দা চলে গেছে
বেলডাঙাকে করে আঁধার।
দুপারের বিসর্জনের বাজনাতে তোরা বিসর্জিত,
ব্যর্থ হলো শতচেষ্টা তোদের বাঁচার।।




সবরে সাফল্য
       মোঃ আলিউল হক

হাতে ছিল কালি কলম
ছিল অক্ষর  জ্ঞান
এই দুয়েরি সমন্বয়ে
সামনে আগুয়ান।

হঠাৎ এলো জীবন জোয়ার
চারি পানে ঘোর আঁধার     নিশীথ অবস্থান।

সবর ছিল চির সাথী
দূর হবেই ঘোর রাতি         মিলবে সুকল্যাণ।

সত্যি মেঘ সরে গেলো
নয়া প্রভা ধরা দিলো      বিপদ অবসান।

শিক্ষা দানে বিদ্যা ভবন
নিত্য করি গমনাগমন      পেয়েছি সম্মান।

দুঃখ ব্যথা ভেদ করে
নয়া সকাল খোদার বরে     লভি বর্তমান।

নতুন আশে বাঁচি এখন
হারানো সে স্বপ্ন দেখন      হলো ফলবান।






ও পাড়ার রায় বাবু
           আব্দুল রাহাজ

ও পাড়ার রায় বাবু
ছিলেন রাগী মানুষ
একসময় ছিলেন মস্ত বাড়ির মস্ত বড় পন্ডিত
এক ডাকে চিনতো সবাই ওপাড়ার রায় বাবু কে।
ছেলেমেয়েগুলো পড়তে যেত ভয় ভয়ে বাড়ি ফিরতো সব আনন্দে আনন্দে।
রায় বাবু রাগী রাগী হলেও সবার বিপদে আপদে ছোটে সবাইকে নিয়ে বাঁচতে ভালোবাসে সে।





নবীশ
       বদরুদ্দোজা শেখু

মন-মরা হ'য়ে থাকি , বাঁধা রুটিনের
দিন যায় ক্লাশ ক'রে নোট লিখে বক্তব্য বানিয়ে
দলগত আলোচনার সভায় , বিরক্তি জাগায় প্রায় সব
বক্তাদের অত্যধিক শিশু বিষয়ক মগজ ধোলাই ,
সুবোধ ছাত্রের মতো চুপচাপ শুনি ,
বক্তা-পরম্পরা পুস্তক-তত্ত্বের সাথে প্রায়োগিক
বাস্তবের বিরাট ফারাক কান ঝালাপালা করে,
বিশেষতঃ ওঁরা যে আদর্শ  পরিবেশের অভিজ্ঞান বর্ণনা করেন
হাভাতে হাঘরে এই  দেশটার গ্রামগঞ্জে তার কণা কানাকড়ি
মেলাই দুষ্কর , তবু সেই শিশুবিদ ফ্রেডরিক
হার্বার্ট ভল্টেয়ার মন্টেশরী রুশো
প্রমুখ মহাত্মাগণ ভরসা যোগান , তাই কষ্টেসৃষ্টে
নবীশি মহড়া নিই দ্রুততালে নিয়ম-নিষ্ঠায় ,
অবসরে খবরের পাতায় বুলাই চোখ , বিজ্ঞাপক দূরদর্শন  ক্বচিৎ দেখি দল বেঁধে
সাপ্তাহিক সিরিয়াল দীর্ঘ রামায়ণ । মন প'ড়ে
থাকে দূর অখ্যাত গ্রামের এক বসত বাড়িতে
, প্রতীক্ষায় থাকি রোজ বাড়ির চিঠির ;
অনেকের আসে । ঘনঘন । আমার আসেনা ।
তবু প্রত্যাশায় থাকি । চিঠি দিই নিজে ।
দিল্লীর বিষয় জানাই । রাজমা রোঁচে না মোটে ,
খাওয়া-দাওয়া বন্দোবস্ত এলাহি বহর বটে তবু ।
অত্যধিক গরমে বিব্রত আছি , মরমে আহত ----
উগ্র প্রাদেশিকতার বোধ
বন্ধুরা বাড়ায় প্রতি পদে , মিলজুল অনুষ্ঠানে
অগ্রাধিকার প্রাধান্য নিয়ে মতান্তর হয়,
সম্প্রীতির মাহাত্ম্য ব্যাহত হয় , স্বাধীন কাশ্মীর খালিস্তান
গোর্খাল্যান্ড সূক্ষ্ম ওত পেতে থাকে
সমর্থক সতীর্থ বন্ধুর মনে ,ঐক্যে চিড় ধরে ---
দূরত্ত্ব বজায় রেখে নিজ-বর্গে ঘুরে অনেকেই
, অনেকেই অন্তরাল সন্দেহ-প্রবণ ঝানু
রাজনীতিকের মতো ইতিউতি মেলামেশা করে  । এর চেয়ে
ওই দু'চার দিনের কিংবা
হপ্তা খানেকের জন্য নবীশ আসছে যারা,
চ'লে যাচ্ছে ক'দিন বাদেই, তাদের সান্নিধ্য
পরিচয় অনেকটা নিরাপদ  হাসিখুশী
সহজ সুলভ মনে হয় ; হয়তো তারাও এই বোধ থেকে
মুক্ত নয় , তবু তারা এখানের
পরিবেশ বিষাক্ত করে না, এই অভিধায়
তারাই প্রশংসার্হ , আমরা ভিজে বেড়াল ।








লিমেরিক
       দেবব্রত পাল

(১)

বিয়ে করতে যাবে শুভ, কন্যে বর দেখেছে।
টাকা চাই না, পণ চাই না, শুধু রক্ত চেয়েছে।
দুজনের রক্ত পরীক্ষা হবে।
তাতেই মিল খোঁজা যাবে।
এতে মারণ রোগে মুক্ত জুটির স্বপ্ন দেখেছে।

(২)

স্বপ্ন দেখা খারাপ তো নয়, বরং স্বপ্ন দেখা ভালো।
সংস্কারে না পা দিলে তবে, জীবনে আসে আলো।
মুক্ত জীবন, মুক্তমন।
এয়ো সাজে নেই প্রয়োজন।
প্রাণে প্রাণ, মনে মন আর শুভেচ্ছায় মন ভরালো।

(৩)
শুভর বিয়েতে ঘোষনা ছিলো, উপহার চলবে না।
ফুল আর শুভেচ্ছা ছাড়া দেওয়ার কিছু থাকল না।
থাকল না বড়াই করার।
ধনী গরিবের বাছ-বিচার।
বেকার শঙ্কুর হাতে হাত মেলাতে সংকোচ থাকল না।






প্রহর
       ফিরোজ হক্

রাত্রি ঘনিয়ে আসে
চারিদিকে নেমে পড়ে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক,
নিস্তব্ধতার মাঝে আরেকটু নিস্তব্ধতা
ঘড়ির কাটার খটখট শব্দ
তোমার শরীরের স্পর্শ
ও মৃদু রঙের নীল আভা;
রাত্রি বরাবর টিকটিকি সমর্থন করে চলে
আমাদের মুক্ত ভালোবাসার।
আর কিছুক্ষণে
আমার বাদামি রঙের অপেক্ষার প্রহর
ঘনিয়ে আসবে...

আর আমি তোমার কানে কানে বলবো
জেগে ওঠো প্রিয়
একরাশ ভালোবাসায়, ভালোলাগায়...





  ফিরে আসুক
           নির্মল সরকার

কাছে কিংবা দূরে
আপনজন না হলেও       প্রিয় স্বজন হবে ।
চিরকাল যেন থাকে - আমার হৃদয় মাঝারে ।
ক্ষণিকের জন্য হলেও যাদের সাক্ষাৎ হলে
প্রাণ ভরে যায় আনন্দে ।
বটো বৃক্ষের ছায়ার মতো
থাকি যেন তাদের পাশে ।
সদা সর্বদা সুখে অথবা দুঃখে,
হাসিখুশি থাকি যেন সবার মাঝে ।
জীর্ণ - ঝড়া , যাক সব দূরে  ,
সংকীর্ণতা যেন না আসে মনে ।
ফিরে আসুক মনোবল শক্তি
উদীয়মান সূর্যের মতো
অগ্নিশিখায় ঝাপ দিবো
তবুও সংকুচিত না হোক হৃদয়ে ।
 


মানুষের জয়গান ভালো  লাগে
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

সারা বিশ্বের দেশে দেশে কত গঠনমূলক কাজ হয়,
জাতি ধর্ম বর্ণ ভাষার মানুষ  মিলেমিশে,
যেন গেয়ে চলে প্রবাহমান জীবনের জয়৷
আমি মানুষদের জয়গান ভালোবাসি কবি,
অশান্তির পাশাপাশি দেশে দেশে আছে শান্তির কত সুন্দর ছবি৷

দুর্গাপূজা,কালীপূজা,
ঈদ,মহরম,সবেবরাত,
মেলা,উৎসবে মিলেমিশে তাই থাকি,
পরস্পরকে ভালোবেসে যে আনন্দ পাই,
এই হৃদয়ে সযত্নে তাকেই ধরে রাখি৷

যেমন কৃষাণ কৃষাণী জানে কত ধানে কত হয় চাল,
আমরা যেমন আশায় বাঁচি,এই কালো রাত কেটে যাবে,কালকেই দেখা দিবে সুন্দর সকাল৷

মানুষদের জয়গান তাই খুব ভালো লাগে,
যতো মেলামেশা করি এই পাহাড় থেকে সমতলে,
ভালো মানুষদের প্রতি আরও শ্রদ্ধা জাগে৷







👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 




৩টি মন্তব্য:

  1. শ্রদ্ধেয় মহাশয় আমার খুব ভালো লাগে সন্মান পত্র পেলে মন মুক্ত করে রাখবো দেখি certificate এলে আনন্দ করে নিয়ে আবার লিখবো

    উত্তরমুছুন
  2. খুব সুন্দর । বৈচিত্র্যময় । ভাষা প্রেমীদের মধ্যে এই
    সুন্দর আয়োজন দিন প্রতিদিন তার স্থান আরও উজ্জ্বল
    করছে ও ভবিষ্যতে ও করবে এই আমার বিশ্বাস ।
    তাই উপকন্ঠর জন্য নিরন্তর শুভকামনা ♥️

    উত্তরমুছুন