Upokontha sahitya patrika -09/01/2021
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 09/01/2021
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:- 09/01/2021, শনিবার
সময় :- রাত 09 টা. 30 মি:
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
ছবিতা-৮
ডাঃ তারক মজুমদার
মুখের ভাষায়
থাকলে আগুন
সব কিছু ছারখার
বিদায় নেয় ফাগুন । ।
তিনিই সব
বিপ্লব গোস্বামী
তিনি সূর্য হতেও অতি পুরাতন
তিনি বিকশিত কুঁড়ি অপেক্ষাও নূতন।
তিনিই আনাদির আদি প্রভু,তিনিই সম্পূর্ণ
তিনি অনাচারী-অত্যাচারীর দর্প করেন চূর্ণ।
তিনি রক্ষা করেন ভবের প্রতি জীব
প্রলয় ধ্বংশে নিজেই তিনি শিব।
আলো দানিতে তিনি নিজে দিবাকর
জ্যোৎস্না বিলাতে তিনিই সুধাকর।
স্বর্গ শাসিতে তিনিই তো বাসব
কৌরব নাশিতে তিনিই পাণ্ডব।
তিনি অনাদির আদি ভোলা-পশুপতি
তিনিই ধনের স্বামী কুবের ধনপতি।
জ্ঞান বিলাতে তিনিই বৃহস্পতি
শক্র নাশিতে তিনিই সেনাপতি।
জ্ঞানে-বিজ্ঞানে তিনি সীমাহীন সাগর
সর্ব মন্ত্রের সার তিনিই একাক্ষর।
তিনি বারিবাহি গঙ্গা পবিত্র নির্মল
তিনিই বাঁধার প্রাচীর বিন্ধ্য-হিমাচল।
তিনিই উপাস্য স্বামী সর্ব দেবগণে
তিনিই সুধা রক্ষক সমুদ্র মন্থনে।
তিনিই গন্ধর্ব ,তিনিই চিত্ররথ
পশু মধ্যে তিনিই শ্রষ্ঠ ঐরাবত।
তিনিই বরুণ ,তিনিই জলাধিপতি
তিনিই প্রহ্লাদ ,তিনিই সুকৃতী।
রারণ বধিতে তিনি রাম দশরথি
তিনিই এনেছেন মর্ত্যে গঙ্গা-ভাগীরথি।
তিনি গঙ্গা ,তিনিই গায়ত্রী ,তিনিই সাবিত্রী
তিনিই শ্রী,বাণী,স্মৃতি,মেধা,ক্ষমা,ধৃতি।
কবিতা :-
পথভোলা
শান্তি দাস
জীবন একটা নাট্যমঞ্চ অভিনয় করে চলা,
এই অভিনয় যে মোদের নিত্য দিনের খেলা।
মনে হয় পথ হারিয়ে যাই কোথাও চলে,
পথভোলা পথিক হয়ে দূরে আরও দুরে।
প্রশান্তি জাগা মনে কোন এক ভবের সন্ধানে,
যেখানে নেই জোট ঝামেলা নেই কোন অনুসন্ধানে।
উদাসী মন ছন্নছাড়া পথভোলা সুরের বাঁধন,
চোখ জুড়ানো মন ভরিয়ে অজানা পথে বহু সাধন।
নতুন পথের সন্ধান পেতে পথের বাঁকে বাঁকে,
মনের মধ্যে পাইনা জবাব পাই না তার কোন মানে।
পথভোলা পথিক হয়ে জীবন পথের খোঁজে,
জীবনের নাট্যমঞ্চে ধর্ম পালন ক নিজেকে বুঝে।
জীবন পথের পথিক হয়ে কাঁধে দায়দায়িত্ব তোলা,
যতই বলি না কেন আমি যে এক পথিক পথভোলা।
বিশে বিষক্ষয়
তাপসী প্রামাণিক
বিশ সালে করে বিষক্ষয়
একুশে দিলাম পা
জীবন- মরণ বাজী রেখে
পিছনে ফিরব না।
অনিশ্চয়তার অন্ধকারেই
বিশ সাল ছিল ভরা
তিক্ত বিষাক্ত অভিজ্ঞতায়
কেঁপে উঠেছে ধরা।
একুশে ফিরুক সুখ-স্বস্তি
মিটুক মনের আশা
পৃথিবী হোক দূষণ-মুক্ত
শান্তি -ভালোবাসা।
নতুন বছরের নতুন স্বপ্ন
করব না আর ভয়
আঁধার ঘুচে আলোয় ফেরা
মানুষের হোক জয়।
*****
নীরাকে
হামিদুল ইসলাম
নীরাকে ভালোবেসেছিলাম
ভুলে গেছে ও সে কথা
দুঃখের দিনে আমার আঁধারে কাটে রাত
বন্ধু জানিয়ে দেয় বিদায় ব্যথা ।।
বন্ধুই ছিলো নীরা
তার আপাদমস্তক গড়ায় দুপুরের রৌদ্র
বাসি ফুলগুলো ঝরে পড়ে প্রতিদিন
আমার দুচোখে সমুদ্র ।।
নীরার হাত ছিলো আমার হাতের উপর
নীরাকে বরাবর দেখেছি উত্তপ্ত ঘুড়ি
মনের মালিন্য ধুয়ে দিতো সে
যখন তার রুপোলী ঠোঁটে ভালোবাসার ছড়াছড়ি ।।
গ্যালিলিও
©মম
পরম সত্য যা বিজ্ঞান তা।
অকারণ তবুও মৃত্যু বরণ।
অতি মূল্যবান প্রাণ হরণ।
আজ তাকে করি স্মরণ।
হায়! সত্যই কী আছে বিধাতা?
সত্যই কী পূজ্য তার শ্রী চরণ?
বিজ্ঞান কী প্রমান করতে পারে, সিধা তা?
আবিষ্কারকের হল মরণ।
এ কেমন বিচারের ধরণ?
কত অত্যাচার সহ্য করা।
কত নির্যাতন সহ্য করা।
কেন? এ ই কী সত্যের প্রাপ্য? হায়!
আজ বিজ্ঞান সঠিক উত্তর চায়;
কী পেল সে, বল তো, ওহে জগৎ!
ভুল তো ছিল না তার পথ।
ভুল তো ছিলে তুমি, হে বিশ্ব!
হায় গো ভুল-শূল!
আর কেউ ছিল না অজ্ঞ, তব সমতুল।
চিনতে তাই পারো নি তাকে,
সে ছিল সত্যের শিষ্য,
তুমি অন্যায়ের পথে শেষ করলে যাকে।
তবুও তার পৃথিবী আজও ঘুরেই চলে
সূর্যের চারিদিকে নিজের সম্পর্ক বলে।
শুধু তার জীবন থেমে গেল, সত্য বলার ফলে।
মিথ্যে অশ্রু জলে
ভাসলো সুকর্ম তার।
সত্য শুধুই করল হাহাকার।
0 comments: