সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২১

Upokontha Sahitya Patrika -11/01/2021

 Upokontha Sahitya Patrika -11/01/2021


উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 11/01/2021

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 11/01/2021, রবিবার
               সময় :- রাত 09 টা. 30 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

              আরশিনগর
           হামিদুল ইসলাম
              

কি থেকে হঠাৎ কী হয়
      জানি না কিছু
বন্ধুরা একে একে ছুটি নেয়
    ছায়ারা ছোটে পিছু ।।

স্মৃতিগুলো মনের গভীরে থেকে থেকে
                ইতিহাস
    ওরা কাঁদায়, দুঃখ দেয়
     দেয় জীবনের পূর্বাভাস।।

হঠাৎ কোনোদিন দেখি
  আর এক নতুন বন্ধু
রাস্তা মাপে স্বর্গে যাবার
বন্ধু আমার করুণার সিন্ধু।।

জলে বাঁধি খেলাঘর
ডুবে যায় হৃদয় সাগর
বন্ধুরা একে একে বাড়ি আসে
ভরে ওঠে আরশিনগর  ।।


                 সংশয়
         হামিদুল ইসলাম
           

হারিয়ে যাচ্ছি গভীর রাতে
অন্ধকার চারদিক
ধারপাশে কেউ নেই
আজ পুতুল খেলা বাকি পড়ে থাক    নির্জনেই ।।

জীবন পুতুল খেলা
খেলছি সারা জীবন
তুমি আমার চোখ বাঁচিয়ে চলো
সারা জীবন আমিও খেলি, তুমিও খেলো  ।।

তবু আমার সন্দিগ্ধ মন
তোমাকে ফাঁসায়
মান অভিমানের পালায় আমি হেরে যাই নিত‍্য
যখন তোমার বুকের মাঝে থাকে না ভালোবাসার চিত্ত ।।




পৌষ সংক্রান্তি
বিপ্লব গোস্বামী

সংক্রান্তি এলে আনন্দে ভাসে
ঈশানবাংলার গ্ৰাম ;
মহানন্দে সব গিন্নী করেন
পিঠে-পুলি ধুমধাম।
বাংলার প্রতি আঙ্গিনা সাজে
রঙিন আলপনায় ;
কিশোরী মনে নাড়া দেয়
শতেক কল্পনায়।
ঊষা কালে স্নান সেরে
মেড়ামেরি দাহন ;
নববস্ত্র পরিধান করে
গুরুজন বন্দন।
বেলা বাড়লে শুরু হয়
নগর পরিক্রমা ;
রসাল সুরে মেতে উঠেন
যত সব রমা।
তিল,গুড়,সন্দেশ,মিষ্টি
ছানা,দুধ,দই ;
রকমারি সব পিঠে-পুলি
মুড়ি,চিড়া,খই।
মাছ,মাংস,পিঠা,মিষ্টি
হরেক প্রকার ভোজন ;
বিকেল হলে হাটে বসে
বাউলের ভজন।




বদলে গেছে
বিপ্লব গোস্বামী

আধুনিকতায় গ্ৰাস করেছে
বদলে গেছে দেশ,
বদলে গেছে আদব-কায়দা
বদলে গেছে বেশ।
বদলে গেছে শহর-নগর
বদলে গেছে গ্ৰাম,
বদলে গেছে জাত-পরিচয়
বদলে গেছে নাম।
অবনী এখন অব্নি হয়েছে
কৃষ্ণ হয়েছে কৃষ,
কর্ণ এখন করণ হয়েছে
তৃষ্ণা হয়েছে তৃষ।
মনসা এখন মন্সা হয়েছে
মানসী হয়ছে মান্সি,
রোবিয়া এখন রোব্বি হয়েছে
তানিসা হয়েছে তান্সি।
সম্ভাষণের রীতি হারিয়েগেছে
বদলে গেছে ধরণ,
নমস্কার এখন হারিয়েগেছে
হেন্ডসিপে হয় বরণ।




বিবর্ণ ক্যানভাস
ডাঃ তারক মজুমদার

সাদা কালোয় দ্বন্ধে বিভোর
উপোশী যত মন
স্বপ্ন যতই খান খান
অটুট থাকবেই  পণ।

জীবন নদীর বাঁকে আজ
কত কী যে ঘটে
স্বচ্ছ পোশাক  কালিমা লিপ্ত
অনেকেই শুধু চটে।

মন যদি হয় আনমনা
বিবর্ণ  ক্যানভাস
অশ্রুসিক্ত নয়নে জোটে
শুধুই উপহাস।






ইচ্ছেরা
    শাশ্বতী দাস

ইচ্ছে ছিল হারিয়ে যাব
নীল সাগরের দেশে,
যেখানেতে সফেন ঢেউ
নীল দিগন্তে মেশে!
তোর বুকেতে মাথা রেখে
দেখবো নীল চাঁদ,
নীল জোছনায় ভেসে যাব
দুজনে একসাথ।
আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নগুলো
সাজিয়ে নীল রঙে
ভাসিয়ে দেব মেঘের ভেলায়
তোর ঠিকানা লিখে।
তুই যে আমার  নরম রোদের
উষ্ণ গরম ছোঁয়া,
তোর পরশে তৃপ্ত আমি
আমার সকল পাওয়া।।




দল
উমর ফারুক

সব দল দুর্বল একটিও
শক্ত নয় কখনোই, যে চুরি
করে তার ভয় সব সময় বলে
দল বদলের হিড়িক পড়েছে।
কিছু দল দুর্বল নয়
আমি তাদের দলে নেই যে দলে
ঘুম হয় হারাম, শত পাহারাদার
দুশমন পাখির চোখ করে।
সেই দলে বেঁচে থাকি
বাঁচার মত বাঁচি
যারা আমাকে কাছে চায়
ডানেও  দেখি বামেও দেখি
যেখানে দলে দলে  কুন্দল
সেখানে দল করা হয়ে ওঠেনা।
স্বদেশী মার্কা কিছু দল
দেশপ্রেমের দোহায় দিয়ে
স্বার্থ সিদ্ধিতে দেয় ডুব ;
তারা সত্যের দিকেও যায়না
মিথ্যার দিকেও নয়,
স্বার্থ রক্ষার দিকে ছুটে অবিরাম!



মা
©মম

মহাসাগররূপী গর্ভে
আমি ছিলাম নিমজ্জিতা যখন,
নোনা জলে ভিজে দেহে তখন,
করতাম অনুভব-তাঁর হৃদ স্পন্দন।
যাঁর দেহ রস শুষে নিয়ে
বর্ধিতা হত আমার অপূর্ণা, ক্ষুদ্রা অবয়ব,
তাঁর সম্পূর্ণা, পরিপূর্ণা ধরে।
      এ তো এক চিরাটুট বন্ধন।
              নিজের প্রকৃত পরিচয় যার
মাতৃত্ব দিয়ে।
        যে আমার উপস্থিতীতে
নিজেকে ভরত নারীত্বের গর্বে,
সে ই তো যুগ যুগ ধরে
প্রাণ প্রবাহ ধারিণী মা।
এই তো আদি সাধনা, তপস্যা-
সন্তানের জন্ম দিয়ে
                সফল হয় যা।
        সকল সৃষ্ট জীবনই তার-
                হ্যাঁ মা'র কাছে চির ঋণী;
          অনন্ত প্রাকৃতিক রীতিতে।
পার্থিব বংশ বিস্তার করার স্থিতিতে,
              যে অশেষ হয়ে
       আপন ইচ্ছায় কষ্ট সয়ে
জগৎকে দেয় সন্তান উপহার,
         ঐচ্ছিক জাগতিক নীতিতে।
যাঁর সন্তানই একমাত্র চাওয়া।
তাই তো মা অবশ্যই উপাস্যা।
"মা", শান্তির একটাই মন্ত্র।
কারণ, মা'র জন্যই পাওয়া
                       সকল শরীর তন্ত্র-যন্ত্র।
সকল সৃষ্টির মা'ই নমস্যা।





স্মৃতির_পাতায়
শান্তি_দাস

আজও ভেসে উঠে মনের কোনে স্মৃতির আবহনে,
স্মৃতির পাতায় রাখা আছে মনের জাগরণে।
কত সুন্দর সেই দিনগুলো ইচ্ছে জাগে ফিরে যেতে,
সেই ফেলে আসা ছোটবেলা,খেলা আর খেলা মেতে থাকা।

সেই স্মৃতি গুলো ছোট বেলার অকপটে ছবি আঁকা,
সকাল হলে বর্ষার জমানো জলে কাদামাটি মাখা,
বৃষ্টি ভিজে ভিজে আম গাছের তলায় কুঁড়িয়ে আম খাওয়া,
কচু পাতার ছাতা নিয়ে ঘুরাঘুরি করা জল ছিটিয়ে দেওয়া।

ঝরা আমগুলো কুঁড়িয়ে,গামছায়  করে হতো আনা,
বন্ধুরা সবাই মিলে আম কুঁচিয়ে ভর্তা মাখা সবার জানা।
বড় ইচ্ছে জাগে,সেই দিন গুলো ফিরে পেতে,
সেই দিনগুলো রান্নাবাটি খেলায়  থাকতাম মেতে।

মাটি দিয়ে ভাত রান্না আর গাছ থেকে সবজি পাতালতা,
কি আনন্দ কি আনন্দ ছুটে বেড়াতাম যেথা সেথা।
সন্ধ্যা হলেই মায়ের বকুনি পড়তে বসতে হবে জোর,
সারাদিনের ক্লান্তি পড়তে বসলেই  চোখে ঘুমের ঘোর।

অতীত কিন্তু নয়কো মোর বর্তমানকে ভুলে থাকা,
অতীত আমার স্বপ্ন মধুর স্মৃতির আবেগ জাগা।
নিজের ছবি দেখি যখন ভাবতে লাগে মনে ব্যথা,
পুরনো সেই দিনগুলো স্মৃতির পাতায় গাঁথা।





দুই মেয়ে
সুস্মিতা দে

খুকি তুই  উঠে পড়
ফুলের থালা সাজা পর পর।
ঘোড়া পিঠে চড়ে পড়।
আমি যাবো গাই চড়াতে খাবার  থালা আছে সাজানো আছে  পর পর।
পড়া লেখা করে বড়ো হবে দুই মেয়ে  পড় পড়।
মাথা ঠান্ডা তে একটি  হলো শ্বশুর বাড়ির পর।
বুদ্ধিমতি বুদ্ধি করে শ্বশুর বাড়ি হলো নয় মোটেই পর। জীবনের পথে চলতে গেলে বুঝতে পারছি না কে আপন আর কেউ হলো সত্যি পড়।






ওরা স্বাধীন 
আব্দুল রাহাজ

একটা ছোট্ট বনের মধ্যে বাস করে ওরা  প্রকৃতির মায়ের কোলে বেশ সুখে-শান্তিতে পরস্পরের মেলবন্ধন নিয়ে বসবাস করে ‌। বনের ফলমূল কাঠ প্রধান স্তম্ভ ওদের কাছে এইভাবে ওরা যুগের পর যুগ বাস করে সেই
ছোট্ট বনের ভেতরে। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে নদী আঁখি প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে সে হেলিয়ে দুলিয়ে চির দিগন্তের পথ ধরে বয়ে চলেছে। বেশ মনমুগ্ধকর পরিবেশে ওরা বসবাস করে। ছোট্ট বন ছিল ওদের কাছে এক সুন্দর মায়াময় পৃথিবী ওরা ওদের পার্বণে প্রকৃতি মাকে স্মরণ করে প্রকৃতি মা ওদের সহায় হয় ওরা যেন কোথাও স্বাধীন এই মহাবিশ্বে। সত্যিই অবাক লাগে বনের পশু পাখি সবাই যেন ওদের সাথে পরস্পরের বন্ধু প্রান্তিক হলেও দুবেলা দুটো ভাত খেতে না পারলেও স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে সবুজ মায়ের কোলে এক পরিবেশে সত্যিই অসাধারণ ওরা স্বাধীন ওরা স্বাধীন এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না আর সূর্যের উজ্জল দীপ্ত রাশির মত ওরা যেন প্রকৃতির মায়ের কোলে  নক্ষত্রের মতো বেঁচে আছে  আজীবন।

1 টি মন্তব্য: