শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 06/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 06/11/2020



*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-06/11/2020, শুক্রবার
               সময় :- রাত 7 টা. 15 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


   বাক্স  রহস্য
        পিনাকী মুখার্জী
  
             আগুন  দামের আগুন
             নিয়ে ,  তৈরী  জতুগৃহ  !!
              পেঁয়াজ  রসুন  উচ্ছে
             বেগুন ,  সাজায়  চক্রব্যূহ  !!
      
                   রোধ  করে  কন্ঠ ,
                যখন  চড়া  দামে  !!
                 পরোয়ানা  নিয়ে  যম
             দেবতাই  ,  কেবল   সর্বনামে  !!
     
            বঞ্চনারই  আঁতুড়ঘরে ,  জন্ম
                   শুধুই  নাম  বদল  !!
             দিবাস্বপ্নে  , আকাশ -কুসুম
             স্বপ্নগুলোর   বেশ  বদল  !!

                  মাঞ্জা লাটাই টানছে
                কখন  ছাড়ছে কোথায়  !!
                স্বপ্নগুলোর স্বপ্ন  উড়ান
               ভোকাট্টা  নীল  অজানায়  !!





সব ছেড়ে চলে যেতে হয়....তাই
        চিত্তরঞ্জন দেবভূতি

তারপর সময় হলে,সব ছেড়ে চলে যেতে হবে,
এই চরম সত্যকে উপেক্ষা করতে পেরেছে,
কে আর কবে?
আসুন তাই মিলেমিশে থাকি,
সারা দেশ জুরে সত্য ন্যায় ভালোবাসার,
আলপনা আঁকি৷
মানুষ হয়ে মানুষকে আমরা কেউ কাউকে,
না যেন দিই ফাঁকি৷



অণুকাব্য
        মৃদু হাসি
               জুয়েল রুহানী

"দু'টি ঠোটের মৃদু কম্পনে
কপোলে টলক স্বর্গীয় রুপে
মুচকি হাসির বিচিত্রতায়-
পতিত হৃদয় সুখের কূপে"


পান্ডুলিপি
        সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

বুদ্ধদেব বসুর পান্ডুলিপিটা
নোংরা স্যাঁতসেঁতে আঙুল গুলো চটকেছে
তবু সূর্য ওঠেনি, বিস্ফোরণ ঘটেনি-- সেসময়।

ভেবেছিলাম-- ওটা অতীত।
এখন উন্নত কম্পিউটারের শরীর।
আমার পান্ডুলিপি কে মিটিমিটি
চোখে দেখবে না,। হলদে লোভী চোখ দু'টোও
বলবে না-- 'এ লেখা আপনার কেউ পড়বে? '

অথচ বছরের পর বছর ধরে
লেখা গুলো আমার কি সত্যিই রোগাক্রান্ত!?
আমি কি একটা আস্ত গাধা?

ঘুম আসে না। লেখার ওপর বিতৃষ্ণা জাগে
বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন চলে নিরন্তর
মনের গভীরে।

সান্ত্বনা ও জোটে। কিন্তু স্বর্গ চ্যুত প্রকাশকের
মনে দেবত্ব পক্ষপাত দুষ্ট হয়ে থাবা বসায়

জানিনা, অবাক হব এরপর
         নাকি
    তৃষ্ণায় চাতক হব!!!




ভোর ৩
       উমর ফারুক

স্থিতিশীল আকাশের চাঁদ
প্রাকাণ্ড এক আলো
বিচূর্ণ চাহনির প্রান্তরে হাঁটে।
আযানের  প্রতিধ্বনি
ঘুম ভাঙানো মোরগের ডাকে
মৃত্যুর পরোয়ানা প্রত্যাহার
আলো জ্বলে উঠে
অন্যের দ্যুতি হয়ে।
কোকিলের গুঞ্জন বরিষণ
ভোরের বাতাস
উষ্ণ হৃদয় কে হিম করে।
প্রতিধ্বনির স্বনিত এক কোন থেকে
উন্মোচিত হবে অনুজ্জ্বল নক্ষত্র।





শান্তি চাই
        আব্দুল রহিম

প্রতিবন্ধকতার লালসা ছাড়িয়ে,
জেগে উঠুক সমাজ, জেগে উঠুক মানবতা,
ধর্ম নয়, জন্ম নয়, বর্ণ নয়, কর্মের হোক জয়,
চোখের কোণে সাজুক নব নব পৃথিবী।।

সভ‍্যতার বর্বরতা, কর্কশ, হিংস্রতা কাটিয়ে,
স্বপ্ন জাগুক রাশি রাশি,
বিদ্বেষ নয়,
মানুষ মানুষকে বলুক ভালোবাসি
মিথ‍্যা নয় সত‍্যের হোক জয়,।।

সবার উপর মানব ধর্ম,
তাহার উপর কিছু নাই,
এ কথা মানে যে জন যে মন
সেই শুধু জানে
পৃথিবীতেই স্বর্গ,পৃথিবীতেই নরক  ।।

মৃত্যু মানে সব শেষ,
তবে কেন এত জাতি -ধর্ম -বর্ণ বৈষম্য
জাতি -ধর্ম -বর্ণ নির্বিশেষে চামড়া কেটে দেখ,
শুধু পাবি  তাজা রক্ত মাংস ।।

যুদ্ধ নয়,শান্তি চাই।।





প্রবন্ধ
পুস্তকের প্রচ্ছদ ও বই পড়ার ইচ্ছে
         অগ্নিমিত্র

  জ্ঞানী লোকেরা বলে গিয়েছিলেন-'Don't Judge a book by its cover '। সত্যিকারের যারা বইপোকা, তারা প্রচ্ছদ ভালো হলো বা না হলো, তার ধার ধারেন না। সেখানে বইয়ের content বা লেখার গুণগত মানই মুখ্য বিষয়  । তা হলেও, একটি পুস্তকের প্রচ্ছদ অনেক সময়েই যদি ভালো হয়, তবে তা পাঠককে সেই পুস্তকটি পড়তে প্রলুব্ধ করবে। আর যদি তা তেমন চিত্তাকর্ষক না হয়, তবে পাঠকের মনে একটু বিতৃষ্ণা জাগে বইকি । মানে আগে দর্শন ধারি, পিছে গুণ বিচারি!.. অর্থাৎ কোন একটি পুস্তকের প্রচ্ছদ অনেক সময়েই  সেই পুস্তকের ভাগ্য নির্ণয় করে থাকে! তাই প্রচ্ছদ ভালো ভাবে বানানোর জন্য প্রকাশকেরা অনেক সময়ে  আর্টিস্টদের দ্বারস্থ হন । যেমন, প্রথম জীবনে সত্যজিত রায় এভাবেই প্রচ্ছদ ডিজাইন করতেন । তবে সব মনোযোগ যদি কেবল প্রচ্ছদেই চলে যায়, আর বইয়ের লেখা বা লেখাগুলি তেমন ভালো না হয়,  তবে আবার মুশকিল ।।




জিজ্ঞাসা
      সুশান্ত মজুমদার

বৈচিত্রময়  মানব জাতি
ধরা ধামে শ্রেষ্ঠ,
জ্ঞান বুদ্ধি, প্রেম প্রীতি
আদর্শে তাহা স্পষ্ট।

বলিতেছে মুখে আত্মসুখে 
মোরা সেরা জাতি,
নিজের ঢাক নিজে বাজিয়ে
আনন্দেতে মাতি।

অন্তরিক্ষে বাঁধিয়া ঘর
হাওয়ায় ভাসাইয়া গাড়ি,
চাঁদের দেশে চরণ রাখিয়া
মঙ্গলে দিয়াছে পাড়ি।

বুদ্ধির পাহাড় ডিঙাইয়া তবু
বন্দি ঘরের মাঝে,
জিজ্ঞাসি মনে আজি কি আর
কোনো অহং সাজে ?





        ভালোবাসা
                  হামিদুল ইসলাম
                     

জীবনটা কষ্টে কেটে যায়
এমন ভাঙাচোরা ভালোবাসা
কেউ কোনোদিন ভালোবাসে নি আমায়
তবু জীবনটা কষ্টে কেটে যায়   ।।

সারারাত তার জন‍্যে করি অপেক্ষা
সে আসে
আমার পাশ ঘেসে শোয়
উলোট পালোট শরীর সর্বদাই  ।।

সারারাত স্বপ্ন দেখি
উজানে উন্মত্ত ঘোড়া ছোটে
নদীতে হাঁটুজল
পেরিয়ে যাই আলোছায়া ঘরদোর  ।।

আর কতোদিন এভাবে কাটাই জীবন
এমন ভেঙেচুরে ভালোবাসা তার
মনের গভীরে
যেনো একফোঁটা ক্লান্তি নেই  ।।

প্রতিদিন তার সুপ্ত ভালোবাসা
দিঘীর জলের মতো আমাকে জড়িয়ে ধরে
পালাবার পথ খুঁজে পাই না
কোথায় পালাই  ।।

আসলে পালাতে চাই না আমি
এমন ভেঙেচুরে ভালোবাসা আর কোথায় পাই  ।।





এখন আমি যা
অজ্ঞলি দে নন্দী,মম

গত কয়েক দিন ধরে আমার দেহ কোরোনা ভাইরাস আক্রান্ত। বন্ধ রুমে শয্যাশায়ী। বুকের ভেতর এক অদ্ভুত শব্দ সদা সর্বদাই বেরিয়ে আসছে। চোখে ঝাপসা দেখছি। কানে সাফ শুনছি না। কথাও আটকে যাচ্ছে। নড়াচড়া করার ইচ্ছা ও শক্তি কোনোটাই নেই। মুঠো করে আমার জীবনসঙ্গী আমাকে ঔষধ সেবন করাচ্ছে। ওআরএস মিশিয়ে জল ঢালছে। প্রতিটি মুহূর্ত যেন যুদ্ধ করছে। কোন অপ্রয়োজনীয় কথা নেই। নিখুঁত সেবা। সমস্ত কাজের মধ্যে যেন এক সুনিশ্চিত অপ্রকাশিত প্রতিজ্ঞা যে ..... আমার পত্নীকে শীঘ্রই বিছানা ছেড়ে দাঁড় করাতে হবে.....মাঝে মাঝেই দূর থেকে দেখছে। আমি দেখছি....এক অলৌকিক দৃষ্টি তার লক্ষ্যে। এর আগে এই লুক কখনও দেখিনি। তেমন করে প্রেম ভালোবাসা এতো বেশি করে কখনওই আন্দাজ করতে চেষ্টা করিনি। সংসার সামলাতে সামলাতে কখন যে সময় দরিয়া পার হয়ে এসেছি। কত তুফান একাই মোকাবিলা করার মত শক্তিও ধরেছি। আজ হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছি। বয়স স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে কতটা প্রভাব ফেলে রেখে গেছে তা কোনদিন ভাবিনি ও। তা যাক আজ বোধ হয় একটু কাঁচের হৃদয় দোয়াত ধোবার সময় এসেছে। নিজে হাতে রান্না করে ও চিকেন স্টিউ একটি বোলে নিয়ে চামচে করে একটু একটু একটু করে চুইয়ে চুইয়ে চুইয়ে ও আমার মুখে দিচ্ছে। ফিরে গেলাম পিছনে। সমুদ্র মন্থনে এই প্রেমামৃত পান করেই তো দেবতা মৃত্যু জয় করেছিল। হ্যাঁ, এরই নাম তো সম্বন্ধের সুধা স্বাদ। আমি নিশ্চিত যে আমি অমরত্ব লাভ করছি। সব ছিল যা ছিল না তাও পেলাম। দরদর করে পসিনা ছুটছে। তবুও কত্তার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত হচ্ছে। ......সবটুকু খেতেই হবে......সামান্য একটু সুপ তা খেতে যে কত সময় নিলুম। ওর কিন্তু কোন বিরক্ত লাগছে না। পুরোটাই ফিনিশ করিয়ে মুখটা সাফ করালো। মৃদু হেসে বলল, " তোমার সাদা অপরাজিতায় আজ টোটাল ন'টা ফুল ফুটেছে। " আমি ওঠার চেষ্টা করছি। মাথাটা ভোঁ ভোঁ ভোঁ করে ঘুরছে। ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ করে আবার কাশ্ছি। তবুও উঠলাম। ও ব্যালকনির ডোরটা খুলল। উঁকি দিয়ে দেখলাম। ফুলগুলো ও যেন ঠিক ওর মতোই এক অলৌকিক দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে.....ওদের কাছে জানতে চাইলে কী ভুল হবে? আমি বেঁচে থাকবো অমর জীবন নিয়ে তোমাদেরই তরে গো। এ জীবন ঈশ্বরের অস্তিত্ব রক্ষায় নয়। তোমাদের আন্তরিকতার প্রবল বেগে। কি সত্যি তো! .....




এক ছিল জঙ্গল
         আব্দুল রাহাজ

হরিহর হরিহর পিছন দিয়ে ডাকতে  লাগলো হাবুল কী হয়েছে তোর ডাকছিস কেন রে
জানো জানো আমাদের জঙ্গলে বাঘের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে
তাই নাকি।
এতো বেজায় মুশকিল হলো
হাবুল বললো কী মজা ‌মজা
এবার ‌জঙ্গলের নাম ছড়িয়ে পড়বে চারিদিকে।
সবার কাছে ছড়িয়ে ‌পড়লো জঙ্গলের কথা‌
সবাই খুশি আবার কেউ বেজায় ভয় পেয়ে ‌ঘরের মধ্যে লুকিয়ে আছে।
এ সেই আমাদের জঙ্গল
যা মনেছিল সবার কাছে।





জীবনের মানে
             হরিপদ রায়

    বাড়ি ফেরার উচ্ছাসটা নিমেষে দমে গেল। গ্রামে ঢোকার রাস্তায় বা‌শের ব্যারিকেড। হাতে লাঠি নিয়ে গ্রামের ছেলেরা 'মার মার' শব্দে এগিয়ে আসছে। উচ্চস্বরে তারা বলে ওঠে-  'চলে যা গ্রামে ঢুকবি না'।
   প্রলয় হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে থাকে। ছেলেগুলি তার  চেনা, অনেকের সঙ্গে ছোট থেকে বড় হয়েছে সে।
  - কেন গায়ে ঢুকবো না?
  - না তুই ঢুকবি না, করোনা নিয়ে ফিরেছিস।
কি করে বোঝায়, যে সে রীতিমত সওয়াব টেস্ট করে এসেছে। রিপোর্ট নেগেটিভ।

শ্রান্ত ক্লান্ত দেহ, মন যেন ক্রমশ অবসন্ন।গাঁয়ে ঢোকার বৃথা চেষ্টা না করে পথের মধ্যেই বসে থাকে। বাড়িতে বৃদ্ধা মা ও স্ত্রী-পুত্রের সংসার। সংসারে অনটন, কাজ নেই। পাশের গ্রামে দিলওয়ার ওর ছোটবেলাকার বন্ধু। সংসারের অভাবের  জন্য প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পার হওয়াটা সম্ভব হয়নি। সীমান্তে মাল এপার ওপার করে ভালই কামিয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই বর্ডার কড়া। কাজেই দিলওয়ার নতুন ব্যবসা ফেঁদেছে। ভিন রাজ্যের কারখানায় লোক সাপ্লাই দিলে মেলে তার কমিশন। কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে, চাকরির চেষ্টা করেছে প্রলয়, কিন্তু হয়নি। সেখানেও চলছে কারবার ডোনেশন। তাই সেই ছোটবেলার বন্ধু দিলওয়ারের শরণাপন্ন প্রলয়। কথা শুনে চমকে ওঠে। শেষে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের  সঙ্গে প্রলয় পাড়ি দেয় ভিন রাজ্যে। ভালোই চলছিল। কিন্তু বাদ সাধে করোনা। কারখানা বন্ধ, বাড়ি ফেরার কোনো ব্যবস্থা নেই। অবশেষে ট্রেনের দরজা ঠেলে উঠিয়ে দেয় দিল্লির এক পুলিশ। ট্রেন থেকে নামতেই পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ধরে নিয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আটকে রাখে, জেনো জেলখানার কয়েদি। সেখান থেকে প্রলয় ভাবে, কয়েদিদের প্রতিও জেলখানার দারোগাদের মমত্ববোধ আছে। কিন্তু এদের তাও নেই। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে অনেক উচ্ছ্বাস নিয়ে গাঁয়ের পথে এগোচ্ছিল প্রলয়। ভাবতে ভাবতে সন্ধ্যা হয়ে আসে। রাতের অন্ধকারে ঘুরপথে বাড়ি ফেরে। কিন্তু ভাবনা ও বাস্তব যে কতটা ব্যবধান তা হাড়ে হাড়ে টের পায় প্রলয়। তার স্ত্রী  কুপি হাতে নিয়ে বেরিয়ে এসে বলে,' কি দরকার ছিল করোনা নিয়ে বাড়ি ফেরা'!
   হঠাৎ এক দমকা বাতাসে কুপির আলো নিভে যায়। অন্ধকারে বাড়ি থেকে দূরে একদিন গাছ তলায় বসে থাকে সে। অন্ধকারে কখন ঝিমুনি এসেছে বুঝতে পারেনি। হঠাৎ লন্ডনের আলো, তাকিয়ে দেখে সামনে আনোয়ার। তার হাতে ত্রিপাল। বলে এই গাছ তলায় ত্রিপালের তলায় কদিন থাকতেই হবে। নইলে নিস্তার নেই। গাছ তলাতেই ত্রিপল দিয়ে ঘর বেধে দেয় আনোয়ার।  প্রলয়ের মনে চলছে তখন মহাপ্রলয়।   ত্রিপালের নিচে শুয়ে সে জীবনের মানেটা কি ,তা নতুন করে ভাবতে থাকে।






মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)

বটগাছ

বাবা
মানে বটগাছ
সবাই বলে শুনেছি
আমি পাইনি বটগাছের ছায়া
জানি শুধু মা ফলন্ত আমগাছ
তার চোখে দেখেছি ফল বাঁচানোর আঁচ ।

মা ছাড়া আমি জল ছাড়া মাছ
মায়ের যত্নেই আমার মানবিক ছাঁচ
সেখানেই পেয়েছি স্নেহ মায়া
আমি শুধু জেনেছি
মায়ের ধাঁচ
সেবা।

(২)

আমাদের লেখা

আমাদের
লেখায় আমরা
নিজের কথা লিখছি
লিখছি বিনুনি প্রেমের কথা
অলৌকিক,ভূত,প্রেত সব লিখছি
লিখছিনা শুধু আমাদের রাষ্ট্র , মানুষের কথা ।

লেখকের আজ এসব নিয়ে নেই মাথাব্যথা
প্রেমের কাব্য লিখে পুরষ্কার পাচ্ছি
ভূত, প্রেতেও মিলছে চোথা
রাষ্ট্রদ্রোহিতা এড়িয়ে বাঁচছি
বুদ্ধিজীবী লেখকেরা
সমাজের।





দেশ বন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্মরণে
             নরেন্দ্র নাথ নস্কর

মানুষ দেখি অনেক,
সত্যি বন্ধু কোথায় পাই?
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন,
তার তুলনা নাই।

অগাদ খ্যাতি,প্রতিপত্তি হাতের মুঠোয় ছিল,
নি:শব্দে,অন্তরালে
দেশকে বিতরিল।

কত দরিদ্র,কত অচ্চুৎ
গোপনে পেয়েছে দান;
কেহ জানে না,ভগবান জানে
কত তার পরিমান।

দেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে
নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে;
দেশবন্ধু হয়েছেন তিনি,
প্রণাম হে মহান হিয়ে।

এত মহৎ  প্রাণ গেছেন'
মানুষকে ভালবেসে;
আত্ম ত্যাগের আদর্শ তিনি ,
পৃথিবীর দেশে দেশে।

আবার এস এই প্রজন্মে,
হে মৃত্যুহীন প্রাণ;
এই বাংলা ফিরে পায় যেন'
তার হৃত সম্মান।



👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 










বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 05/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 05/11/2020



*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-05/11/2020, বৃহস্পতিবার
               সময় :- রাত 8 টা. 05 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

অন্তর দহন
                বিপ্লব গোস্বামী

কি করে এ জ্বালা আমি করব সহন ?
হিয়া মাঝে ব‍্যথাকীট করছে দহন।
বিশ্বাসের অকাল মৃত‍্যু হয়েছে যেদিন
অন্তরেতে ব‍্যথাকীট প্রবেশে সেদিন।
দারুণ বিষের জ্বালায় হিয়া পুড়ে ছাই
অশান্ত চিত্ত মাঝে শান্তি কোথা পাই ?
যে স্মৃতি আমি চাই যেতে ভুলে
এমন নিঠুর স্মৃতি আসো কেন ফিরে ?
এসো না,এসো না তুমি মম কল্প-লোকে
নতুন পৃথিবী মাঝে থাকো তুমি সুখে।
সুখে থাকো ভালো থাকো তোমার সখা সনে
নীলকণ্ঠ কবি তুমি রেখো না মনে।



একমুঠো রোদ্দুর
           এমাজদ্দিন সেখ

কালো কুয়াশায় পুরো আকাশটা ছেয়ে আছে l
নিটোল আঁধারে দিশেহারা ;  ছটফট করছে অব্যক্ত বেদনায় ;--- 
বাংলা - ভারত - বিশ্বের সিংহ ভাগ মানুষ ঝিমোচ্ছে সে আঁধারে ;--- 
সেই আঁধারেই গুটি কয়েক হাসে কুটি কুটি ;
আলো-আঁধারীয় নির্বিঘ্নে মানুষের শ্রম -  রক্ত নিচ্ছে লুটি ! 
এই অশুভ মেঘ আঁধার তন্দ্রা তাদেরই সৃষ্টি  l
একমুঠো রোদ্দুর জন্য হাপিত্যিস করছে মানুষ ;---
একমুঠো রোদ্দুর দেবে কুয়াশা মুক্ত এক ঝলমলে আকাশ  ;..
একমুঠো রোদ্দুর আনন্দে কোটি কন্ঠ একতানে গাইবে জীবনের গান ! 
একমুঠো রোদ্দুর আবেশে আট- আশির হৃদয়ে জাগাবে প্রেম ! 
একমুঠো রোদ্দুর সৌরভে কিশোর - যুবক ভুলে যাবে বাবার কাছে হাত পাতা ;---
একমুঠো রোদ্দুর হরষে প্রেমিক-প্রেমিকার আবার নিয়ম করে কাছে আসা ;---
একমুঠো রোদ্দুর আলোতে চাষী-মজুর-জেলে-মুচি তুলবে মাথা !
একমুঠো রোদ্দুর তীব্র আলোকে পুলিশ-কেরানি ভুলেযাবে  হাত পাতা !
একমুঠো রোদ্দুর মিষ্ঠতায় কবি সৃজিবে অমর কাব্য গাথা ! 
একমুঠো রোদ্দুর শুভ্রতায় নারী বেড়ি,পর্দা ছুঁড়ে এক সাথে মেলাবে পা ! 
একমুঠো রোদ্দুর ঝলকে চির তরে মুছে যাবে  মধ্যম গ্রাম -হাথরাস  লজ্জা l 
একমুঠো রোদ্দুর ছোঁয়ায় বন্ধ হবে  দুঃখী মায়ের বুক বিদীর্ণ কান্না ! 
একমুঠো রোদ্দুর বন্যায় ধুয়ে যাবে জাত জালিয়াত ফেতনার বর্বরতা ! 
একমুঠো রোদ্দুর রোশনাই এক আসনে মিলবে ব্রাহ্মণ-চাঁড়াল-ডোম-মোল্লা-মাঁঝি ;--- 
এই ঘোর আঁধারে আমার  চাই একমুঠো রোদ্দুর আজই !
একমুঠো রোদ্দুর চাই ;মনের , বিবেকের ,মনুষ্যত্বের ;ঘুচাবে হৃদয়ের বিভাবরী !!



আমি আজও ভালোবাসি......
                চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

পদ্ম আর গোলাপ আমি আজও সমান ভালোবাসি,
যেমন ভালো লাগে হিন্দু মুসলমানের মিলেমিশে থাকা,খাওয়া দাওয়া আর মিষ্টি মধুর হাসি৷
সবাই মানুষ,সবার রক্ত?সেটাও তো দেখি লাল,
যেখানে হিংসা,সেখানে হানাহানি, আমরা কেন চাইবো এমন  কাল?






অভিন্ন
     সুস্মিতা দে

উমা  রূপে কালির রূপে উমা। তারা অভিন্ন। নামেই তারা ভিন্ন ।
সেই  স্রষ্টার সেই সৃষ্টি  সেই মহাদেব সেই  সৃজন ছন্দে  নাচে আনন্দে নাচে সেই নটরাজ সেই।
এক সৃষ্টিকর্তার অভিন্ন রূপের বিরাজমান। সেই আল্লা সেই  প্রভু  সেই তো এক ঈশ্বর সেই যীশু ।
এক মায়ের কোলে রবি শশী দোলে দোলে
সৃষ্টির নিয়মে এক খালি চাঁদ  নীল আকাশে নিঝুম রাতে একলা হাসে ।
সেই  অমাবস্যার তমসালগ্ন শেষ হলে সেই একই রূপোলি ঈদের চাঁদে আমরা আনন্দে মাতি ।
সচ্ছ হয় নয় সেই কলঙ্কিত চাঁদ পূর্ণিমা রাতে সোনালী  রূপের  আলো কিরনে স্বচ্ছ আলোর কিরনে জলে। জোয়ার হাসে প্রকৃতি নিজের নিয়মে চলে আসবে সব রূপের ঋতু ।

আজ হেমন্ত  তাকে  স্বাগতম জানাই সে পাতাগুলো ঝড়িয়ে যাবে নতুন পাতা তবেই আসবে।

শীতের আমেজ  বেশ লাগছে গায়ে হালকা গরম জামা রাখো । করোনা ভাইরাস শেষ  হোক ঈশ্বর  তুমি  আশীর্বাদ  করো।



কবিতা  
       নীলকন্ঠী
ডঃ রমলা মুখার্জী

একটা দারুণ স্বপ্ন সেদিন দেখি শারদ প্রাতে,
ত্রিশূলের বদলে মা ভ্যক্সিন নিয়ে হাতে।
করোনাসুর বধ করে অভয়া করোনামর্দিনী-
সত্যি হোক স্বপ্ন মাগো, বাঁচাও জগত্তারিণী।
তুমি মাগো অগতির গতি, তুমিই বিপত্তারিণী-
তুমিই গৌরী, কাত্যায়নী, শ্যামা,শঙ্কাহরণী।
পাপী-তাপী, অধম জনেরে করে দাও মাগো ক্ষমা-
বিশ্বের বিষ শোষণ করে হও নীলকন্ঠী উমা।
নীল পদ্মে পুজবো তোমায়, দেবো অপরাজিতা -
দয়া কর মা, করোনা ভাইরসকে কর তুমি পরাজিতা।




আমাদের গ্ৰামের মাঠ
        আব্দুল রাহাজ

আমাদের গ্ৰাম সবুজে শ্যামলায় ভরা
পূর্বের দিকে তাকালে শুধু দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ।
ভালো লাগে পরিবেশ ভালো লাগে ফুরফুরে হাওয়া ।
পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বিদ্যাধরী নদী সবুজের ‌মাঝে নদী‌ বয়ে চলে নিজের তালে তালে
দেখতে ভালো লাগে সবাইকে।
ওপাড়ার কালু থেকে এপাড়ার করিম দাদুরা সারাদিন কাটিয়ে দেয়  মাঠে নিজ নিজ কাজের
মধ্য দিয়ে।
সত্যি ধান‌ সরিষার সময় প্রকৃতির সবুজ শ্যামলায় ভরে ওঠে।





শীতের  শহরে
          বদরুদ্দোজা শেখু

গ্রীষ্মের শিমলা শহর
ঘুরে এলাম একদা দলবদ্ধ
আমরা সবাই, পূঞ্জীভূত সবুজের নিবিড়ে নিবদ্ধ
মহাকালের কোনো এক অনাদি প্রহর
মনে হলো দিনরাত্রির নীরব পর্যায়ক্রমিক
ছন্দের  আবর্ত ভেঙে সাজাচ্ছে রূপের এক অপূর্ব মোহন
নিসর্গ শহর ঘিরে, আনন্দের চেয়ে সমধিক
বিস্ময় জাগায় দীর্ঘ দেওদার বৃক্ষশোভা লতাপাতা পাহাড়িয়া শহর-বিন্যাস,
আকাশে বাতাস তোলে সবুজের তীব্র জলোচ্ছ্বাস
ক্ষণে ক্ষণে, কুয়াশায় আন্দোলিত সবুজে শীতের আস্তরণ ।

ওই শীতের শহর দেখে  সকলেই মুগ্ধ হয়
কমবেশি, কেউ কেউ যান
গ্রীষ্মকালে পেতে হৃত স্বাস্থ্যের টনিক , বর্ণময়
অবসর কাটানোর আদর্শ শহর বটে স্বপ্ন অফুরান
দৃশ্যরাজির সম্ভারে । স্মৃতি-মনোহর
রহস্য আমার চোখে অভিনব চূড়ার বসতে একদিন
কাটানোর অভিজ্ঞতা , আনন্দের সেই গ্রন্থিহীন
সময়কে যাবে না তো কখনো ফেরানো আর ডেকে পরস্পর ।।






ভালোবাসা
          অলোক রায়

জানি তুই ভালোবাসি শব্দটাই শুনতে চাস।
আসলে শব্দটি এতোটাই সস্তা যে বললে নিজেকেই সস্তা মনে হয়।
যে কেউই এটা বলে দেয়,
এই দাবি প্রমাণ করতে যে,
সে ভালোবাসে।
কিন্তু, ভালোবাসা তো একটা শব্দতেই নির্ধারিত হতে পারেনা।
এটি একটি ঐশ্বরিক অনুভূতি।
আমি তা সস্তা ভাবে বিকোতে চাইনি কখনোই।
তবে পরিস্থিতি  সবকিছুই করতে বাধ্য করে।
আমি প্রকাশ না করে ভালোবাসির মানুষ টাকে আকড়ে রাখতে চাই,
এমন ভাবে যাতে তাকে কখনোই  শাব্দিক ভালোবাসি এটা  বলার প্রয়োজন না পড়ে,
শুধু সে জানুক আমি তাকে ভালোটা বাসি ভালোবাসি।
আর এটা কোন সম্পর্কের দায়বদ্ধতায় সীমাবদ্ধতার ভিত্তি তে নয়।
শুধুই ভালোবাসি এই ভিত্তিতে।
যেখানে শুধু ত্যাগ থাকবে আপন ছন্দময়তায়।






       ভালোবাসার নদী
                   হামিদুল ইসলাম

সেদিনগুলো আর নেই
ছিলো একদিন
যেদিন ছিলো
ভালোবাসা  প্রেম
আমরা ছিলাম প্রেম পুজারী  ।।

আমাদের বিশ্বাস এখনো অটুট
এই বিশ্বাসে বেঁচে আছে গাছ
নদী
নল খাগড়া
সমুদ্র সৈকত  ।।

আমরা ভাগ‍্যবান
আমাদের কপালে লেখা ইতিহাস
সে ইতিহাস নির্মেঘ
চেয়ে দেখি জলোচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে
প্রাণ  ।।

মরিয়া জীবন
ফিরে পাই হাতে
চেপে ধরি প্রিয়ার হাত
ভালোবাসার নদী
বুকেতে গভীর রাত  ।।




কবিতা :
     তোমার কথা!
             বিশ্বজিৎ কর

তোমার কথায় আকাশ দেখি -
স্বচ্ছতার ক্যানভাসে,
তোমার কথায় ভালবাসা -
চাঁদের আলোয় ভাসে!
তোমার আদুরে গলার কথা-
জীবনকে নিয়ে হাসে,
তোমার কথায় কথা থাকে -
নিবিড়তার উচ্ছ্বাসে!
তোমার কথা শুনতে চাই -
মিলনের আলাপনে,
তোমার কথা স্মৃতি হবে -
বিচ্ছেদের সন্ধিক্ষণে!



প্রেমের খোঁজে
           তাপসী প্রামাণিক

প্রেম শুধু একটি ছোট্ট কথা
কিন্তু ভীষণ দামী
মণিমাণিক্য পাবার আশায়
হই তার অনুগামী।

ডুবুরি সেজে খুঁজতে গিয়ে
অনেক গভীরে যাই,
পাইনা তার মনের হদিশ
কোথাও যে প্রেম নাই।

মরীচিকার মতো যে প্রেম
অধরা স্বপ্নই বটে
ঠিকানা খুঁজে পাই না তবু
বদনাম কত রটে!

নাই বা পেলাম তারে আমি
খুঁজব চিরদিনই,
মনের মানুষ হয়ে এসো গো
থাকব চির-ঋণী।



আত্মঘাতী
         অনিন্দ্য পাল

নিজেকে খেয়ে চলেছি নিজে
ধ্বংস করেছি নিজেকে, করছিও
তবু শুনলাম কানাকানি
সব ধ্বংস-স্তূপ একদিন ফুল হয়ে যায়

আমার ছন্নছাড়া শেষ উৎসবের শিকড়ে
রেখেছি তাই এক টুকরো জন্ম-মাটি...




          হিয়ার আনন্দ
            সৌম্য ঘোষ
     
আমার সকল কবিতা যখন তোমার চেতনা স্পর্শ করে
আমার সমস্ত উপলব্ধি যখন তোমার
হৃদয়কে ছোঁয়, আমার সমস্ত ভাবনা
যখন তোমার বোধিতে নিমজ্জিত,
তখন প্রাণের গভীর থেকে
মোহনমন্ত্র উচ্চারিত হয় ।
জানি না কেন মোহন বাঁশির সুর
এতোবার ধ্বনিত হয় আমার নীরব হিয়ায় !
বারবার কেন ঘুরে ঘুরে আসে !

অর্ফিয়াসের বাঁশরী কিংবা পিনাকপাণির ডমরু
রণিত হয় ভিতরে,
বুকের মধ্যে যন্ত্রণাক্ত আকাশ,
আমার আকাশ যেন অমলিন হয়ে যায়
যেন ক্ষুধাতুর
শিশুটির হাতে এক থালা গরম ভাত.....

আমি
মুগ্ধমূর্খ চোখে কেবল তাকিয়ে থাকি  ।।




মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
মেয়ে মানুষ

আমি
মেয়ে মানুষ
সবাই ভাবে মুখ‍্যু
আমার মাথায় বুদ্ধি নেই
তাই সহ‍্য করি সংসারের অত‍্যাচার
একুশ শতকেও মেনে নিচ্ছি পারিবারিক নির্যাতন।

তোমরা আসলে বোঝোনি কোনদিন নারীর মন
নারী চায় একটা নিজের সংসার
সহ‍্য তাই ঝড়ঝাপটার খেই
মানে তাই দুখ‍্যু
হয়না ফানুস
কামী।

(২)

নদী ও নারী

নারীকে
কেউ ভাবে
নারী একটা নদী
বয়ে চলা তার ধরন
নারীকে কেউ আবার ভাবে অরণ‍্য
যে অরণ‍্য শুধু মানুষের সেবায় লাগে।

কেউ ভাবেনা নদীর বুকেও নারী জাগে
সময়ে সেও দেখায়না ধ্বংসে কার্পণ্য
শীৎকারকে অরণ্য করেনা বরণ
নারীই নদী যদি
রাখো খেতাবে
নারীকে।




আমার মৃত্যুর পর
         অশোক কুমার পাইক

আমার মৃত্যুর পর হয়তো থেমে যাবে
দিকে দিকে ক্ষয়িষ্ণুর উদ্দাম নৃত্য,
বিষণ্ণ কালো ছায়া রাত্রির বন্ধন,
হয়তো সভ্য হবে চির শত্রুর কৃত্য l

কোমল মনের কোঠরে গুজব গুঞ্জন
যদিবা গ্রামনগরের ভিড়ে সায়ক মারে,
'বুদ্ধের অহিংসার চেতনার সে বাণী'
মোর মৃত্যুর পর ছড়াবে বিশ্বদ্বারে l

হয়তো সেদিন থামবে 'রক্তের পিপাসা ',
মিথ্যা খুনোখুনি, হানাহানি ও কলরব,
বহু চেতনার কুহুতানে মূখরিত হবে
'রক্তবাসরে চির শত্রুর উৎসব l'

হয়তো সেদিন বৈরীর হিংসা কানাকানি
শেষ হবে উন্মাদ তিক্ত অহংবোধ -
খুঁজবে মানুষ 'সত্যযুগের সন্ধান '
শান্তি নীরবতার সেই 'ভ্রাতৃত্ববোধ l'

হয়তো সেদিন থাকবেনা অন্তরজ্বালা,
সত্যসাধনায় জাগবে শত্রুকুল,
শেষ হবে রক্তরসের জীবন্ত ক্ষুধা -
ভাবনায় শোধরাবে বদ্ধ মনের ভুল l

হয়তো বা আবার দস্যুতার প্রবৃত্তি
'রত্নাকর নাম - কবি বাল্মীকি হবে ',
দগ্ধ হৃদয়ে ধ্যান গম্ভীর সাধনায়
হয়তো 'অমর মহাকাব্য 'রচিবে ভবে l




সান্ত্বনা
ভাগ্যশ্রী রায়

প্রদীপ টাকে বিশ্বাস
করেছিলো শিখা
মৃত্যুর আগে কখনো
ছাড়বে না একা।
ভেঙে পড়ার আগে
শেষ সান্ত্বনাটুকু
মুছে বুজুক চোখ
অন্তরালে থেকে
কেউ বুঝি বলে
ছিলো নিশ্চুপে
ওর ভালো হোক।





👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 







বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 04/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 04/11/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 04/11/2020


*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-04/11/2020, বুধবার
               সময় :- রাত 7 টা. 05 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

মাছ পাখি ও মানুষের গল্প
      মহীতোষ গায়েন

সব মাছ জলের গভীরে খেলে,
উপরে ভাসে না কেউ,
পাছে কোন পাখি খপ করে ধরে নিয়ে
মুখে পুরে নেয়,এই ভয়।

মাছ সেটা জানে,মানুষও বুঝে গেছে
সব,শিকারি ছিপ হাতে,সুতো তার
লম্বা অনেক,জলের গভীরতা মেপে
সুতো ছাড়ে হিসাব মত।

শব্দ যায়,শব্দ আসে,খেলে খেলে ক্লান্ত
যারা,খিদে পায়,খাবার অমিল,
পুকুরে নাল ফুল ভাসে,পাতার তলায়
মজা,শ‍্যাওলায় ভরা।

হঠাৎ গন্ধ ছড়ায়,উপাদেয় আহার ভাসে
একে একে এসে যায় ঝাঁক,
চতুর শিকারি আসে,টপাটপ ধরে নেয়
কিছু,মাছেরা প্রমাদ গোনে।

এবার অনেক ঢেউ,ঝড় আসে মেঘলা
আকাশ,কালো মেঘে ঢেকে যায় দিক,
বাতাস বইছে জোরে,মাছ,পাখি,মানুষ
এবার জোট বাঁধে,প্রতিরোধ গড়ে।

https://goraps.com/fullpage.php?section=General&pub=537231&ga=g​

মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)

কাঞ্চনজঙ্ঘা

মুখের
ওড়না সরানো
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা দিচ্ছে
পাঞ্জাব, শিলিগুড়ি,ধুপগুড়ি, জলপাইগুড়ি
যেখানেই যাও তুষারশৃঙ্গ দেখবে
কষ্ট করে আর দার্জিলিং যেতে হবেনা।

আমরাই ঢাকা দিয়েছিলাম তার মুখে ওড়না
ভাবিনি প্রকৃতি একদিন শোধ নেবে
পাপের ফসল ঝড়ছে গুঁড়িগুঁড়ি
মানুষ এবার শিখছে
প্রকৃতিকে হারানো
দুঃখের।

(২),

তখন এখন 

একটা
সময় ছিল
স্বপ্ন ছিল দেদার
চুলে তখন লক্স ছিল
চোখের পাতায় ঝিলিক দিত মাসকারা
বন্ধু মহলে দিতাম খুশি মত আসকারা।  

এখন আমি হয়েছি দেখি শিকড় ছাড়া
ভীতি,অবিশ্বাসে আজ ঝুলি ভরা
জীবন শুধু দুঃখ দিল
অভাব আজ মজার
ঘুরিয়ে দিল
পথটা।



        তোমার জন‍্য
             বিপ্লব গোস্বামী

                  তুমি আছো অন্তরেতে
                  আছো হৃদয়জুড়ে।
                 আছো স্বপ্নে,জাগরণে
                  ভাবি দিন,দুপুরে।

                 তুমি আমার প্রথম প্রেম
                 তোমাতেই প্রেমের গুরু,
                তুমি আমার জীবন সাথী
                 তোমাতেই শেষ -শুরু।

               তোমার প্রেমে অন্ধ আমি
                  বুঝি না ভালো মন্দ,
                পদ‍্য লিখতে করি ভুল
                  হারিয়ে ফেলি ছন্দ।

              লোকে আমায় মন্দ বলে
                  তাতে দেই না কান,
             তোমার জন‍্য সইতে রাজি
                  হোক না অপমান।



https://goraps.com/fullpage.php?section=General&pub=537231&ga=g

       তোমাকে
               হামিদুল ইসলাম
                 

বধূঁ ফিরে যায়
কলসি কাঁখে
জলকে চল
জল ছুঁয়ে দেখি
জলে উত্তাপ  ।।

নিরুত্তাপ তোমার হৃদয়
হৃদয় ভাঙি
গভীর রাত
ঘামে ভেজা শরীর
উত্তপ্ত ভাত  ।।

হারিয়ে যায় প্রতিদিন
নদীতে জোয়ার
জলে গা ভাসাই
নগ্ন শরীর
চাঁদের রোশনাই  ।।

ফুলে ফুলে ভ্রমর
মধু শুষে খায়
নিস্তব্ধ মাঠ
কাঁচা কাঁচা প্রেম
তোমাকে জড়িয়ে ধরি নিবিড় কামনায়  ।।




নতুন দিশায়
         ভাগ্যশ্রী রায়

একা গায়
ঘন কুয়াশায়
স্নেহের চাদর
আদর ছড়ায়
কে হেঁটে যায়
বনরাজি ছায়
মায়া বোলায়
আকস ব্যথা
কাল বোশেখ
কথায়, আজ
আষাঢ় থামে
জলের ফোঁটা
কান্না নামে
আকাশ নীল
পায়রা ভেজে
আলোর খোঁজে
নতুন দিশায়।



https://goraps.com/fullpage.php?section=General&pub=537231&ga=g

আড়ি
    অশোক কুমার পাইক

      
জানিগো জানি এদিন মোরে
লইবে নাগো আপন করে ,
খেলবে নাগো খেলার  সাথী
ধূলার পরে হাতটি ধরে l

মঠের মাঝে নানান সাথী
করছে খেলায় মাতামাতি
কোমর ধরে পরস্পরে
মনের সুখে নাচছে মাতি l

খোঁপায় বাঁধা বনের ফুল,
কর্ণে দোলে ঝুলন দুল,
কণ্ঠে শোভে পুঁতির মালা,
কাজল চোখে নয়তো ভুল l

চলার পথে চকিতে দেখা
মনের মাঝে জাগছে রেখা
কাঁকন ভরা হাতটি নেড়ে
লাজুক চোখে লুকায় একা l

নূপুর পায়ে, ডুরেল শাড়ী,
কৃষ্ণ কেশে লাগছে ভারী,
ওষ্টে রাঙা হাসির ছলে
আমার সাথে করছে আড়ি l

পথের ধারে ফুলের বাগান,
উড়ছে পাখি গাইছে গান,
আপন মনে খেলছে শিশু
তাহার সাথে মধুর টান l

গাছগাছালির ঝোপের আড়ে
দাঁড়িয়ে দেখি থাকতে তারে,
আঁচল দিয়ে মুখটি ঢেকে
আড়চোখে চায় বারে বারে l

যতেক শিশু পিছন দিয়ে
জড়িয়ে তারে ধরলো গিয়ে
অমনি দেখি ধপাস করে
পড়লো বসে তাদের নিয়ে l

ফাঁকটি করে গাছের পাতা
হামাগুড়িই তুলছে মাথা,
সবাই খেলছে লুকোচুরি
আমার সঙ্গে আড়িপাতা l

যাবে আমার এদিন চলে
সূর্য শিখা পড়ছে ঢোলে,
কখন খেলা সাঙ্গ করে
ফিরছে তারা গাঁয়ের কোলে l

ফেরার পথে শেষ ঝলকে
পিছন ফিরে এক পলকে
আড় নয়নে তাকায় শুধু
ফুলের হাসি মুখ-আলোকে l

বেলা শেষের নাইগো বাকি
কুলায় ফেরে বনের পাখি,
গোয়ালে ফেরে মাঠের গরু,
সবার ফেরায় চেয়ে থাকি l




বিভাগ-লিমেরিক
         শংকর হালদার

রাজারাণীর অগ্নি পরীক্ষা পাঁচ বছর পর
প্রাসাদ ছেড়ে দ্বারে ঘোরে নিতে আমজনতার বর ।
ভিক্ষা মাগে গদির তরে
লুটিয়ে প্রণাম কর জোড়ে ,
গদির স্বপ্ন পূর্ণ হলে আমজনতাই পর ।


https://goraps.com/fullpage.php?section=General&pub=537231&ga=g

ও পাড়ার হাবুল
       আব্দুল রাহাজ

ওপাড়ার হাবুল ও বেটা
বেজায় কাবুল।
সবাই যেন ক্ষিপ্ত তার উপর
কারণ হলো  সারাদিন গ্রামের ছেলে মেয়েদের নিয়ে হইহই করে খেলা ছুটির মধ্যে পড়াশুনা সব চালের মাথায় তোলা হাবুল হাবুল বলে সারাদিন মাথায় করে তোলে বাবা মায়ের ওরা। ওইযে হাবুল বেজায় কাবুল থাকে মানুষের‌ আপদে বিপদে।
কারোর কাছে‌ ভালো কারোর কাছে খারাপ
এভাবে চলে হাবুল বেজায় কাবুল  এর দৈনন্দিন জীবন।




    ভিসুভিয়াস 
       পিনাকী  মুখার্জী
          
            উত্তপ্ত  আবেগ  শ্বাসরুদ্ধ
         পঞ্জর  কম্পনে বিক্ষুব্ধ  !!
          সহস্র  ফনা  তুলে  আসে ধেয়ে  ,
      অলিন্দ  নিলয় বিষ বাষ্পে ছেয়ে  !!

        তপ্ত  শোণিত  ফুটন্ত  অন্তরে
           সূর্য  হতে  জন্ম  লগ্ন  ধরে  !!
         জীবনে যুদ্ধ কর্ণের অবিশ্রান্ত ,
       মাতৃ  মিলনে  পরিতাপ হবে শান্ত  !!

           নিঃশব্দ  অভ্যন্তর  ভাঙন
         তপ্ত  শোণিত  ভস্ম উদ্গীরণ  !!
        আগুনে  আগ্রাস বদলের আশ্বাস ,
                        ভিসুভিয়াস  !!



   অন্তহীন 
         সৌম্য ঘোষ

যতবার ছুঁয়েছি তোমার ভেজা ঠোঁট
অবনত হয়েছো লজ্জায়
আরো কিছুর  নীরব প্রত্যাশায় ।
আর সৃষ্টি হয়েছে একটি
একটি কবিতা।
এমন অনেক কবিতা আছে আমার--
কিছু পড়েছি তোমার কিশোরী বেলায়,
কিছু পড়েছি তোমার রমণী বেলায় ।

দেখলাম তোমার সৌন্দর্য
আবৃত অন্তহীনতার দিকে  ।।




নেপাল ছবির মতো সুন্দর  এক দেশ
         চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

বাড়ীর পাশে সুন্দর নেপাল  ছবির মতো দেশ,
সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যায় ফিরলাম ঘরে,
মনে লেগে আছে নেপালে বেড়ানোর রেশ৷
হাজার হাজার নেপালী বাঙ্গালী হিন্দু মুসলিম,
মিলেমিশে সবাই আছে,
যখন সময় পাই,
আমি চলে যাই ভালোলাগা,ভালোবাসার সেইসব মানুষদের কাছে৷
কলকাতা থেকে ৬০০ কি.মি. দূরে দার্জিলিং এর পাশেই নেপাল,
রাস্তাঘাটে চলেও মজা,
এদিকে মিষ্টির চেয়ে বেশী পছন্দ করে মাংস আর ঝাঁল৷
প্রতিদিন রাত হয়,আবার রাত শেষে দেখা দেয় সুন্দর সকাল৷



আমি মরে গেলে
          উমর ফারুক

আমি মরে গেলে
খুলে দিও দরজার খিল
ছোট্ট হৃদয়ে বিধৌত ক্বলব
আজরাইল নিয়ে যাবে।
পূবের হাওয়া আর একটি লণ্ঠন
খেয়ে যাচ্ছে ভোরের নিশ্বাস ।
জিবন সন্ধ্যে আকাশের মেঘ।
বারান্দা থেকে তাকে শুনতে পাচ্ছি
যেন টান দেওয়া দড়ি!
অতিকায় দানবের মত শূন্যে ওড়ে
শূন্যে ভেসে যায়
কমলার পাতার সুগন্ধ নিয়ে ।
আসমানের দিকে তাকিয়ে
সর্বত্রই দেখি আমি হৃদয় বিদ্ধ ছুরিটা।





জীবনের হিসাব
          অনাদি মুখার্জি

জীবনের খাতায়  প্রতি
পাতায় ,,যতোই লেখো হিসাব নিকাশ,!
জীবনের শুরু সেই শূণ্য আর ফেরা হবে সেই শূণ্যতা নিয়ে !
দিন যায় দিন আসে কেউ চলে যায় ,
সময় যেন ডাকে যেন পিছু ইশারায়!
মাঝে মাঝে কারোও সাথে হয় পরিচয় ,
বালুর চরে মতোন কেউ বা হারায় !
জীবনের চলার পথে কি করি কাজ ,
কাউকে দেওয়া নেওয়া রাখি আমরা হিসাব !
ভালো মন্দ সেই কাজ বুঝি না বাপু ,
কাজ করে নিজেকে ভাবি বড়ো সাধু !
কখনো বা  স্মৃতি দিয়ে অতিত কে হারায় ,
কালের শ্রোতের তালে সব কিছু হারিয়ে যায় !
কত আশা ভালো বাসা  প্রাণের থেকে যায় ,
জীবনের সব কাজের হিসাব খাতায় লিখে যায় !
এই ভাবনাই আমার জীবন শেষ হয়ে যায় ,
সব হিসাভ লেখা আছে ঐ বিধাতার খাতায় !
তাই আমি ভাবি এক মনে,
আমাদের জীবন টা খেলাঘর যে !





নীড় ভাঙে
      সুস্মিতা দে

দরজাতে দরজাতে বেদনার ছবি। আর শিশু মন কতো  সংগ্রাম করবে। বিশ্বজুড়ে  সাধারন মানুষের  মনে আজ জাগছে দেখা দাও  প্রভু  তোমার  চরনে আমাদের  প্রনাম  নমস্কার ।
বনমূয়রী মেতে ওঠে  আকাশের মেঘে?  শ্রাবণের কালো মেঘ মল্লার তুমি ভৈরবী গান গাইতে থাকো , উদাসীন বাউল এলোমেলো হয়ে যায়। কোথায় কোথায় একতারা  নিয়ে তানসেনের সুরে ঐক্যতান সুর ধরে  দিনে রাতে আপন মনে ঘুরে চলে।    আমার মেয়ে দুষ্টু না সে পাতাগুলো পরিষ্কার করে  কতো ভাঙা নীড়ের  মতো চোখ তুলে আমাকে বলে।

আমায় জায়গা দে না নীড় ভেঙে গাছের কোন পাতা নেই  অবসাদে বাঁচতে চায়না ।
পাখির মা সন্তানের কষ্ট  সহ্য করতে না পেরে  ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে পিক পিক করে ডাকে।
  ছানা গুলো কি
ঝোড়ো হাওয়ায় এদিকে  সেদিক হয়ে যাবে  চিন্তা করিস না ।
  মা মা বলবি না  মা ভালোবাসা কি পাপ?।
দে তোর পাখি ছানাদের নরম কাপড়ে জড়িয়ে ঠাকুরের ঘরে রাখি।
রামকৃষ্ণ দেব ঠাকুরের উক্তিটি ছিল স্বামীজির কাছে  বহুরূপে সম্মুখে ছাড়ি কোথা  খুঁজিছো  জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিচ্ছে ঈশ্বর । আমি তো  তাই করছি মা ? পাখিরা জীব না ? তাই বুঝি? আমাদের মতো  ওদের প্রান আছে ? বল মা? ।
আমি তোকে শিশুদের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আরো অনেক রূপকথার বই কিনে  দেবো ।






👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 






মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 03/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 03/11/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 03/11/2020

*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-03/11/2020, মঙ্গলবার
               সময় :- রাত 7 টা. 40 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


ডেঙ্গু সতর্কতা
    অশোক কুমার পাইক

মশার কামড়ে যদি জ্বর, ঘোরে মাথা,
আর বেহুস ভাব ও বমি, পেট ব্যথা,
নাক থেকে ঝরে যদি রক্তক্ষরণ,
বুঝবে সদাই ডেঙ্গুর লক্ষণ !

আর যদি মনে হয় অতি দুর্বল
বসতে দাঁড়াতে মোটেই থাকেনা বল,
মূত্র বন্ধ, খুব অল্প বা গাঢ়,
তখনি ডেঙ্গু হয়েছে জানতে পারো l

ডাল জল, ঘোল, আর তরল খাবার,
খাও ফলরস, ডাব, পাবে প্রতিকার,
হাত পা ঢেকে রাখো মশারিতে বিরাম,
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলে পাবে যে আরাম l



   শ্রমণের লিপি
           সৌম্য ঘোষ

হেমন্তের পাতা-ঝরার শব্দ শুনবো বলে
নিঃশব্দে অপেক্ষা করেছি
নির্জন বনভূমিতে ;
দিগন্ত, নিস্তব্ধতা,
গাছেদের প্রজ্ঞা
দেখতে দেখতে হেঁটেছি--
তোমার অন্তহীন অসীমতার দিকে

লুপ্ত পথরেখা খুঁজে খুঁজে  ।।




ঘুমন্ত প্রহরে
        বদরুদ্দোজা শেখু


অবশ্য নাই এখানে তেমন কোনো
সমতলভূমি , নাই অবারিত মাঠ
তবু লোকজন মালভূমি গ্রাম গড়ে
বানায় পেঁচানো সর্পিল পথঘাট ।


পথের ক্লান্তি  দু'দণ্ড তাড়ানোর
নাই পরিচিত জটাধারী বুড়ো বট ,
ঘন্টাধ্বনি ছড়ায়  কিন্তু সাঁঝে
দেবদেবীদের মন্দির  কিবা মঠ ।


পাহাড়ী ললনা গম-রঙা সুন্দরী,
রুক্ষ্ম রূপসী পাহাড়কে মনে হয়;
আনমনা কোনো গোধূলিতে ব'সে দেখি
পাই কি না পাই আর কিছু পরিচয়।


অল্প রাতেই পান্থনিবাসে ফিরে
খাওয়া-দাওয়া সেরে বন্ধুরা দ্যায় খিল,
লোহার গরাদ পারে ঘুমানো পাহাড়
ধ্যানের প্রহরে নিমগ্ন অনাবিল ।


খোয়াই  পাহাড় পর্বত বনভূমি
খুবলে' অজানা এবং গূঢ় আদিম
পরাবাস্তব দেখবার নেশা নিয়ে
জ্বেলে রাখি আমি চোখের দু'টি পিদিম ।


কোনো রহস্য গ্রন্থি খোলে না তার,
চারিধারে শুধু  সময়  নিদ্রারত
এবং নিজেকে মনে হয় বারবার
গিরি-কন্দরে হারানো শিশুর মতো । ।





মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
আসবে শীত

আসবে
শীত এবার
শীতের মিষ্টি রোদে
মেলে ধরবো একবার স্বপ্নগুলো
তাতিয়ে নেব আমার অশীতিপর শরীর
হতেই পারে এটাই হবে শেষ শীত ।

ভুলে গেছি জীবনের সব ছন্দ গীত
বৃদ্ধাবাসে শুয়ে মন হয়েছে চৌচির
হারিয়েছি জীবনের অর্জিত চালচুলো
ফুরোচ্ছি সন্তানের ক্রোধে
ফুরোলেই ভার
জূড়োবে।

(২)
বাজার

বাজার
গেলে এখন
জিনিসের দাম শুনে
আচমকাই হাত পুড়ে যায়
পোড়া হাতে ঘোরাঘুরি এদিক ওদিক
যৎসামান্য কিনে ব‍্যর্থ হয়ে ঘরে ফেরা।

সাধারণের জীবন এখন আগুন দিয়ে ঘেরা
প্রাণ বাঁচাতে মানুষ ছুটছে দিকবিদিক
প্রতিকারের নেই কোন উপায়
ভাষণ শুনে শুনে
বাঁচা যখন
হাসার।




ভোর
    উমর ফারুক

চুপ করে হলুদ হেমন্তের ভোরে
কিছুটা মানুষ
কিছুটা মানুষের বেশে
প্রশ্ন করেনা কোনও !
ছুড়ে ফেলা মুক্তার খোঁজে
অর্ধ শতাব্দী পর্যন্ত অভিযান।
হাতে পিঠে চুমু দেই কত ছায়া
তীক্ষ্ম ফলার মত রোদ্র
অগ্নিদগ্ধ হয়ে চড়েছে মগডালে।
ভোরের কুয়াশা পড়েছিল রোদ্র
অতএব তারা  অ-উদ্যমী নয়!





অণু কবিতা 
        পূর্ণিমা
  ডঃ রমলা মুখার্জী

বুকের মাঝে জমাট কালো,
     ভয় ভাবনার নেই শেষ...
কান্না চেপে হেসে বলি
    ভালো আছি এই বেশ।
জানি চাঁদের নরম জোছনা
    মুছে দেবে সব কালো,
দেখবো সেদিন জরাহীন ধরা,
    অমা শেষে শত আলো।
সেই আলোতে নাচবে অলি
     কল-তানে শত পাখি-
মানুষ আবার মানুষের হাতে
    বেঁধে দেবে ফুল-রাখি।




            ছন্দে ছন্দে
                  হামিদুল ইসলাম
                     
দু চোখ জানান দেয়
এখন গভীর রাত
বাসনার স্রোত বয়ে যায় শিরায় শিরায়
তোমার আমার শারীরিক ছন্দে
নদীর তীর ভাঙে বনস্পতি  ।

বাহুযুগলে আঁকড়ে ধরি তোমায়
আগুন
উত্তেজনার পারদ চড়চড় করে লাফিয়ে বাড়ে
নামগোত্রহীন এক হলুদ লালসা
এক নিঃশ্বাসে ভেঙে ফেলে সমস্ত আপত্তি  ।

তোমার স্তনচূড়া এখন পাহাড়ের মতো উন্নত
বুকের গভীরে ভাঙি পাথর
তর সয় না যেনো
কেবল মুহূর্তের অপেক্ষা
হৃদয়ের ভালোবাসা হয়ে ওঠে কাদামাটি  ।

তোমার দুঠোঁটে দ্বিমাত্রিক ছন্দের লালিত‍্য
কামনার সরোবর ভরে ওঠে জলে
হাত বাড়িয়ে দিই
ছুঁয়ে দেখি তোমার ঘামে ভেজা শরীর
মুহূর্তের  স্নায়ুগর্তে এ জীবন হয়ে ওঠে খাঁটি  ।





মুখোশ
অনাদি মুখার্জি

মুখোশের আড়ালে আজ মুখগুলো লাগে বড্ডো অচেনা,
কে সাধু আর কে চোর সাজে কিছুই বোঝা যায় না !
যাকে আমি ভাবি আপন সেই হয় পর ,
জীবনের এই খেলাতে পুড়ছে কত সুখের ঘর !
স্বার্থের পিছনে ছুটছে মানুষ হারিয়ে যাচছে মনুষ্যবোধ,
এই সমাজের আছে কিছু সুবিদাবাদি লোক !
আমরা সবাই মুখোশধারী ভালো সেজে অভিনয় করি,
কে আসল আর কে নকল চিনতে এখনো পারেনি !




     অপেক্ষা
বিমান প্রামানিক

তোমার জন্য পথ চেয়ে
          আজও আছি বেঁচে ,
ধন্য হোক জীবন মোদের
          উঠবো আবার নেচে।
ধরা ধামে আসেনি বসন্ত
          কোকিল আসেনি পাছে ,
আকাশে এখনও নামেনি সন্ধ্যা
            পাখিরা এখনো গাছে ।
চিৎকার করে ক্ষুধাতুর শিশু
              দেয় না ডাকে সাড়া ,
তুমি আসবে বলেই অপেক্ষাতে
              শান্ত আজও পাড়া।
বৃদ্ধ সকল চিন্তায় মরে
              চোখের জলে বন্যা ,
দেশে দেশে ডাক ওঠে
              ওঠে আরও কান্না।




কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাচ্ছেন?
চিত্তরঞ্জন দেবভূতি

উত্তর পূর্ব হিমালয়ের কোলে এই হালকা
শীতের সময়ে,
বরফে মোড়া যেন সোনার মুকুট পড়া,
কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত চূড়া বহুদূর থেকে দেখা যাচ্ছে,
আপনিও কি দেখতে পাচ্ছেন কবি?
সবুজ চাদরে মোড়া পাহাড়ে সেই অপূর্ব ছবি!

বাংলাদেশ,নেপাল,ভুটানসহ—
আশেপাশের জেলা শহর পাড়া গ্রামের লোকজন,
কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ দেখে মুগ্ধ,
আসুন ভালোবাসার গল্প বলি,
কি লাভ ?বোকার মতো হয়ে থেকে ক্ষুদ্ধ?
বরঞ্চ মিলেমিশে ভালোবেসে জীবনের পথ চলি৷
মনের কিছু কথা আজকে না হয়
আবার নতুন করে বলি৷
———————————————————




  অবসাদ
      সুস্মিতা দে

হেমন্ত কাঁদো কাঁদো গলায় বলে আমার কিসের অপরাধ আমি পথে ঝড়ে পড়ি তাই আমাকে প্রকৃতি পাতা ঝড়া বলে ।

মা আমার পুজো নেবে কিনা জানি আগে বলি হাতে তুলে নিয়ে কচি কচি শৈশব কৈশোর বিলীন হয়ে যায় নেই আনন্দ ।

পাতার মাঝে খেলতে ঝড়া পাতাগুলির  নীচে লুকিয়ে লুকোচুরি খেলা আত্মত্যাগ করি

অবসাদে থাকি জানি
আমার  কষ্ট তোমার রাজমুকুট পড়া তুমি  বসন্ত বলে আমাকে ধন্যবাদ  দিয়ে  চলে যাবে । আমি কি করি?
প্রকৃতির ইচ্ছে । আমার করার  কি কিছু  আছে ?

হেমন্ত বলে আমি  গর্বিত  আমার  ঝড়া পাতার মূল্য  নাই  দেবোতার পায়ে  কে দেবে ফুল




প্রবন্ধ

প্রকৃতির হারিয়ে যাওয়া ও সাহিত্য
  - অগ্নিমিত্র

প্রকৃতির মন ভোলানো রূপ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে ভালো কিছু লিখতে, অন্যরকম ভাবে ভাবতে। ইঁট পাথরের ভিড়ে আজ প্রকৃতি ক্রমশঃ অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে, আর অদৃশ্য হচ্ছে সেই প্রকৃতিগত বা প্রকৃতিনির্ভর লেখাও । সেই রূক্ষতার ছাপ পড়ছে সাহিত্যেও ! ..এখনকার দিনে 'আরণ্যক ' বা ' কোয়েলের কাছে'-র মতো গল্প  বা উপন্যাস  লেখা খুবই কঠিন, কারণ প্রকৃতির সেই শ্যামল রূপ আজ দেখতেই পাওয়া যাবে না । এখন চার দিকে কেবল ইঁট, কাঠ, কংক্রিটেরই জঙ্গল। সাহিত্য রচনাও তাই এসব নিয়েই হচ্ছে । লেখা হচ্ছে নাগরিক জীবনের গাথা। প্রকৃতি এখন প্রায় ব্রাত্য ।.. শুধু গ্রামের দিকে বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে হয়তো প্রকৃতির একটু শোভা এখনো দেখতে পাওয়া যায় । এই সব জায়গার লোকেরাও হয়তো প্রকৃতির সৌন্দর্য নিয়ে সাহিত্য সৃষ্টি করছেন, তবে তা সাহিত্যের  মূল স্রোতে তেমন ভাবে পৌঁছোচ্ছে না।
প্রকৃতির নতুন রূপে সৃজন হলে সাহিত্যেও আবার সেই প্রকৃতিনির্ভর লেখা ফিরে আসবে। তখন বাংলা সাহিত্য আবার প্রকৃতিনির্ভর হয়ে উঠবে ।।..




বর্তমান সময়ে গাছেদের অবস্থা
     আব্দুল রাহাজ

গাছ আমার মস্ত ভালো মস্ত উপকার সব করে।
একটি গাছ একটি প্রাণ কথাটা কেন বুকের অন্দরে আনন্দিত করে।
গাছ থেকে উপযুক্ত উপাদান পাওয়া সত্বেও বর্তমান সময়ের মায়াজাল লোভ-লালসা আরাম ভোগবিলাসে হচ্ছে যে বৃক্ষ নিধন।
প্রতিবাদ করতে গেলে হয় লাঠি নয় কারাগার তবে কি নতুন প্রজন্ম দেখবে এক অন্ধকার পরিবেশ হারিয়ে যাবে কি আমাদের এই সুন্দর মায়াভরা পৃথিবী বর্তমান গাছের অবস্থা এখন করুন অবস্থা তাই বলি সবাই আসুন বৃক্ষরোপণ করি বৃক্ষরোপণে অপরকে উৎসাহ করি আবার সুন্দর পরিবেশ পৃথিবী গড়ে তুলি নতুন প্রজন্মকে দিয় আলাদা উপহার।







আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছেন কবি চিত্তরঞ্জন দাশ
          বিপ্লব গোস্বামী

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকে আমরা সকলেই এক জন স্বাধীনতা সংগ্ৰামী,রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী হিসাবে চিনি।এসবের পরও তিনি যে এক জন কবি তা আমরা কজনই বা জানি ?তিনি তাঁর ঐক‍্য,অসাম্প্রদায়িকতা,দেশপ্রেম,ত‍্যাগ ও নিবেদিত প্রাণের জন‍্য দেশবাসীর কাছে দেশবন্ধু হিসাবে পরিচিত।কিন্তু তিনি যে বাংলা সাহিত‍্যের এক জন একনিষ্ঠ সাধক ছিলেন তা সবার আড়ালে চলে যাচ্ছে‌।তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে তাঁর কবি পরিচয়।
         দেশবাসীর কাছে যিনি রাজনীতিবিদ হিসাবে পরিচিত তাঁর রাজনৈতিক জীবন ছিল মাত্র ছয়-সাত বছরের।এত অল্প সময়ের রাজনৈতিক জীবনে তিনি যেভাবে সারা দেশে প্রভাব ফেলে দিয়েছিলেন তা তাঁর আগের অন‍্য কোন নেতার পক্ষে সম্ভব হয়নি।আর এখনও কোন নেতা সর্বভারতীয় স্থরে এমন প্রভাব ফেলতে পারেননি।তিনি ছিলেন জাত-বৈষম‍্য ও  সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধে।তিনি নারী মুক্তি,নারী শিক্ষা ও বিধবা বিবাহের পক্ষে ছিলেন।এ সব কিছুর জন‍্য তাঁর স্বপ্লকালীন রাজনৈতিক জীবনই তাঁর জীবনের অন‍্য সব পরিচয় আড়াল করে দিয়েছে।
         এই মহান দেশ প্রেমিকের জন্ম হয়েছিল ১৮৭০ সালের ৫ নভেম্বর কলকাতার এক উচ্চ মধ‍্যবিত্ত পরিবারে।তাঁর পিতা ভুবন মোহন দাস ছিলেন কলকাতা হাইকার্টের এক জন সলিমিটার ।তাঁর প্রাথমিক ও মাধ‍্যমিক শিক্ষা কলকাতাতেই।কলকাতার মহাবিদ‍্যালয় থেকেই তিনি বি.এ পাশ করেন।তারপরে লণ্ডনে চলে যান আইন বিষয়ে উচ্চ ডিগ্ৰীর জন‍্য।এখান থেকে ফিরে এসে তিনি আইনজীবী হিসাবে তাঁর কর্ম জীবন শুরু করেন।যদিও তিনি পেশায় আইনজীবী ছিলেন তবু সাহিত‍্য অনুরাগটা কোন দিনও তাঁর মন থেকে হারিয়ে যায়নি।
            তাঁর সাহিত‍্য চর্চা শুরু সেই ছোটবেলে থেকেই।দেশ যখন পরাধীন,দেশবাসী যখন ইংরেজদের কাছে  অত‍্যাচারিত,নিপীড়িত তখন তিনি কলম ধরেছিলেন।তাঁর কবিতায় স্থান পেয়েছে অত‍্যাচারিত ,নিপীড়িত ও অবহেলিত মানুষের কথা।বাংলার মা ও মানুষের কথা সুন্দর ভাবে ফোটে উঠেছে তাঁর কবিতায়।তাঁর লেখা কাব‍্যগ্ৰন্থের সংখ‍্যা পাঁচ।তিনি নিজে "নারায়ণ" নামক একটি পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন।তাঁর লেখা প্রথম প্রকাশিত হয় "নব‍্যভারত" পত্রিকায়।তাছাড়া তাঁর লেখা প্রকাশিত হত "নির্মাল‍্য" ও "মানসী" নামক পত্রিকায়।তাঁর প্রথম কাব‍্যগ্ৰন্থ "মালঞ্চ" ১৮৯৬ সালে প্রকাশিত হয়।তারপর একে একে দ্বিতীয় কাব‍্যগ্ৰন্থ "মালা" ,তৃতীয় কাব‍্যগ্ৰন্থ "সাগর সঙ্গীত" ,চতুর্থ কাব‍্যগ্ৰন্থ "অন্তর্যামী" ও পঞ্চম তথা  শেষ "কিশোর কিশোরীতে" প্রকাশিত হয়।তাঁর কাব‍্যগ্ৰন্থ"সাগর সঙ্গীত " ১৯১১ সালে ও কাব‍্যগ্ৰন্থ "অন্তর্যামী" ১৯১৪ সালে প্রকাশিত হয়।
   তিনি সাহিত‍্যকে কতটা ভালোবাসতেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর দেওয়া ব‍ক্তৃতাতেই।পাটনা সাহিত‍্য পরিষদ আযোজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন," আমিও সাহিত‍্য সেবায় জীবনাতিবাহিত করিব বলিয়া ঠিক করিয়া ছিলাম,ঘটনা চক্রে এক্ষেত্রে আসিয়া পড়িয়াছি।নতুবা সেই পথই অবলম্বিত হইত।"তিনি চেয়ে ছিলেন সারা জীবন ধরে সাহিত‍্যচর্চা করতে কিন্তু দেশের পরাধীনতা তাঁর জীবনের চলার পথ বদলে দেয়।এ জন‍্য তাঁর আক্ষেপও ছিল।১৯২৫ সালের ১৬ জুন বিক্রমপুর-মুন্সিগঞ্জ সাহিত‍্য সম্মেলনে সভাপতিত্ব করে ফিরার পথে দার্জিলিংয়ে আকস্মিক ভাবে তাঁর মৃত‍্যু ঘটে।তাঁর মৃত‍্যুতে ভেঙ্গে পড়ে ছিলেন তাঁর অনুরাগী সকল।শোকে কাতর নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন "রাজভিখারী" নামক কবিতা।শোকার্ত রবীন্দ্রনাথ লিখে ছিলেন ,"এনেছিলে সাথে করে মৃত‍্যুহীন প্রাণ/মরণে তাহাই তুমি করেগেলে দান।" -পংক্তি দুটী।জীবনানন্দ দাশও লিখে ছিলেন "দেশবন্ধুর প্রয়াণে" নাকম কবিতা।
       দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস নিঃসন্ধেহে এক জন দেশ প্রেমিক,বিখ‍্যাত আইনজীবী রাজনীতিবিদ ও স্বাধীনতা সংগ্ৰামী।তাঁর দেশপ্রেম,বিষম‍্যহীন ও অসাম্প্রদায়িকতার জন‍্য দেশবাসীর কাছে তিনি স্মরণীয় ও বরণীয় তা ঠিকই আছে।কিন্তু তিনি যে বাংলা সাহিত‍্যের এক জন একনিষ্ঠ সাধক ছিলেন তা ভুলে গেলে চলবে না।চিত্তরঞ্জন দাস বাংলা সাহিত‍্যের এক জন কবি।বাংলা সাহিত‍্যে রয়েছে তাঁর বিশেষ অবদান।নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁর কবি পরিচয় তুলে ধরা অতি।প্রয়োজন।




👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 
















সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 02/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 02/11/2020



*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-02/11/2020, সোমবার
               সময় :- রাত 6 টা. 40 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

হেমন্ত আসবে
    সুস্মিতা দে

হেমন্ত এসে গেছে ঝড়ে পাতা
ঝড়ে অনেক  গেছে । আমি
দুষ্টমী করে ঝড়া পাতাগুলির নীচে  লুকিয়ে লুকোচুরি খেলছি।

আমাকে বন্ধুরা খুঁজে  পাচ্ছেনা । তুই  লুকিয়ে থাক আমি  যাই বলে বেরিয়ে  যায় বন্ধু আমার বেলি

বসন্ত তো নেই কোন ভয় আর নেই, বসন্তের রুপে বেলি কেবল আকঁতো নানা ছবি হেমন্ত মুচমুচে শব্দ পাতা হাজার রঙের দরদ খানি মায়া মাখানো মনে আমার হৃদয়ে ভাসে

ঋতুরাজ বসন্ত বলে তুই কবি শোন তবে আমার বাহার তোর চোখের সৌন্দর্য আনে।আমার  মা হেমন্ত আত্মত্যাগ করে তাই  বাচ্ছাদের মর্মের কাছে ।

নিচে সে হেমন্ত পাতার আঁচল পাতে খেলার জন্য  হেমন্ত  তাই সে  নীচে থাকে আর সন্তানরা খেলে থাকে
না নীচে  পড়ার ভয় থাকে।  হেমন্ত নিজে আত্মত্যাগে প্রমাণ করে আমি ঋতুর মা   সবংসহী মা।




স্বপ্নভঙ্গ
      বিমান প্রামানিক


হনহনিয়ে
আমি আছি  

 এখনও তোর অপেক্ষায়

 চিরদিন মনের মনি কোঠায়

তোকে খুঁজে খুঁজে আজ ক্ষান্ত
তবু নামেনি এখনও মোর জীবনে বসন্ত।

রয়েছি আমি আজও শিশুর ন্যায় ঘুমন্ত
ঘুম ভেঙে দেখি বেলা শান্ত
অচেনা ঠিকানায় খবর পাঠায়
পাগল হয়ে তাকায়
উড়ন্ত মাছি
ভনভনিয়ে।



নারী তুমি জাগো
         অনাদি মুখার্জি

নারী তুমি রজনীগন্ধা না ফুটন্ত গোলাপ,
তুমি হলে পিপাসা মিটানো প্রেমের মিষ্টি আলাপ!
তুমি হলে আমোদ আসরে মিলন বাসরে পূজারী প্রতিমা,
দিবারাত্রির ঘিরে হৃদয় মন্দিরে তুমি শান্তি পরিশীমা !
কালের গর্ভে থেকে থাকা জীবনে তোলো সুরের ঝঙ্কার,
হৃদযকাশে সুখের তারা হয়ে বাড়াও সুখের হাহাকার!
নারী তুমি হলে প্রেমের জোয়ারে সুখের চাবিকাঠি,
সবার মাঝে বুকের আতলে শান্তির শীতলপাটি!
তোমার ভূবণ মোহণী হাসি দেখে মেঘ ও থমকে যায়,
হীরা মুক্ত ও ভালোবাসা ঝরে তোমার হাসির কনায় !
তুমি শত  ব্যাস্ততা মাঝে ভাবো  স্বামী চিন্তা ,
নানা ধরনের রান্না তে তোমার জুড়ি কেউ নেই আর !
নারী তুমি দশভূজা কখনো সেজেছো সেবিকা,
বিজ্ঞান ও খেলাধুলা তে তোমার নাম আছে জগৎ জোড়া!
জাগো নারী জাগো আজ  প্রতিটি ঘরে নারী ,
স্বাধীন ভারতে আজো কেন আছো পরাধীন !
জন্মের থেকে পৃথিবীর আলো দেখি তোমার করুণায় ,
জগৎ সংসারের তুমি ছাড়া আজো ও পুরুষ অসহায় !






মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)

বন্ধু

বন্ধু
ছেড়ে এসেছি
তোকে কতদিন আগে
ভুলতে কিন্তু পারিনি এখনো
ভেবেছিলাম জীবীকার কাছে ভালোবাসা তুচ্ছ
তাইতো চলে এসেছিলাম একদিন সব ছেড়েছুড়ে।

বন্ধু বিনা  এখন আমি হয়েছি ভবঘুরে
জড়ো করছি রোজ দুঃখের গুচ্ছ
ছোটবেলার বন্ধুত্ব ভুলবোনা কখনো
ভুগছি অভিমানে রাগে
স্মৃতিতে পুড়েছি
শুধু।

(২)

পৃথিবী ওঠো ভালো হয়ে

পৃথিবী
তুমি তাড়াতাড়ি
ওঠো  ভালো হয়ে
কথা ছিল যুদ্ধ শেষে
আবার দেখা হবে শান্তি সমাবেশে
কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্র জমছে ক্রমাগত শবের পাহাড়।

প্রতিদিন বাড়ছে স্বজন. হারানোর করুণ হাহাকার
জানিনা কারা বেঁচে থাকবে অবশেষে
পঞ্চমীর চাঁদের মত আকাশে
কতদিন থাকবো ক্ষয়ে
আতঙ্ক বাড়াবাড়ি
   সর্বব‍্যাপী।




      হারানো  সুর
              পিনাকী মুখার্জী
  
         ইচ্ছেডানায় ভাসাও তুমি
           কোন  অজানার  দেশে  !!
        রোদের তাপে জীবন ঘুরে
            তোমার  কায়ায় মিশে  !!

         শরৎ  আকাশ  মেঘের  মেলা
                 শুভ্র  মেঘের  ভেলা  !!
          আশার  পালে  তোমার  আসা
               বাইতে  জীবন  ভেলা  !!

            হাসি  কান্না  ফুলের সুবাস
               সাথে  মেখেছো  সপ্তসুর  !!
            দাবদাহ  বুকে  শীতল পরশ
                  আহা  বড়ই  সুমধুর  !!

           কাঁদলে  সবাই  জীবন  নদীর
                 এপার  ওপার গমন  !!
           আমরা  তোমায় ভুলছি জীবন ,
               মোদের  স্বভাব  বিস্মরণ  !!




অবাক পৃথিবী
     অশোক কুমার পাইক

পৃথিবী অলস শয্যা পরে ঘুমায় এখন
নরম ঘুমের ঘোর জানিনা ভাঙবে কখন;
দারুন বিপর্যয়ে ক্লান্ত, মৌন নীরবতা,
সহসা মহামারীর ব্যথায় মুখে নাই কথা !

ত্রস্ত মানুষ দিশিহারায় ছুটছে নিয়ত
মৃত্যু মিছিল প্রাদুর্ভাব, এ ঘাড় আনত,
অনিশ্চিত ঐ ভাগ্যাকাশে ডুমুরের ফুল --
ফুটবে কী জানিনা, দুঃসময় পৃথিবীর কুল !

স্বপ্নের বাসর ঘরে জাগে মান অভিমান
প্রেমের উঠানে মরুভূমির শুকনো বাগান,
অতীত স্মরণ সভা বসেছে মুলুকে মুলুকে,
বিস্ময়ের খবর ছড়ানো পৃথিবীর বুকে !




লজ্জাবতী
        বিপ্লব গোস্বামী

কেন এত অভিমান ?
আমার পরশে তুমি মাথা করো নিচু ;
ত্রাস পেওনা লাজুক বালা
করব না তো কিছু।
সবুজ শাড়িতে সদা ঢাকো মুখটা,
আমার পরশে লাজে লাল হয় গালটা।
ওগো লজ্জাবতী,শ‍্যামলী বালা
হাতে ভরা রঙ্গিন বালা
গলে শত কাঁটার মালা।
করে যৌবন রসে অলি খেলা
এক ষোড়শী যুবতী যেন
এ হেমন্তের বেলা।



       আমরা
             হামিদুল ইসলাম
               

কোভিটের সংক্রমন প্রতিদিন
এখনো বাড়াবাড়ি
কোথায় পা রাখি
জানি না
আমরা এখনো ঘোর বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে থাকি  ।

ভূখা পেট
আর কতোদিন সইবো ক্ষুধার জ্বালা
কর্মচ‍্যুতি এখন প্রতি ঘরে ঘরে
আর জোটে না দিন আনা দিন খাওয়া
এখন মৃত‍্যু নিশ্চিত   ।

পালিয়ে যেতে চাই এই জগৎ ছেড়ে
কিন্তু কোথায় পালাবো
জানা নেই পথ
বাজারে আগুন
পুড়ে যাচ্ছে প্রতিদিন গরিবের পেট  ।

রাষ্ট্র তুমি জবাব দাও
কার দোষে আমাদের এই মরণ দশা
আমরা জেনেশুনে করছি বিষপান
প্রতিদিন হাতড়াই জীবন
বিবস্ত্রে পড়ে আছি জমিনের উপর  ।



এক বনের কথা
     আব্দুল রাহাজ

একটা ছোট্ট পাহাড় ঘেঁষে আছে ছোট বন আঁখি সেখানে থাকে বনের জীব জন্তুরা সবাই একসাথে মিলেমিশে থাকে। সিংহ বাঘ হরিণ ভাল্লুক টিয়া ময়না বাবুই জিরাফ সবাই থাকে। বনের রাজা হচ্ছে সিংহ প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় ওদের নিম গাছ তলায় চলে মিটিং তারপর হয় রাজ খাওয়া দাওয়া এরপর চলে সারাদিনের আলোচনা। একদিন কয়েকজন দস্যু এসে জিরাফ হরিণ কে বেঁধে নিয়ে যায় বাঘ দেখতে পেয়ে তাড়াতাড়ি করে রাজামশাই সিংহর কাছে কাছে চলে আসে এরপর সবার কানে খবর চলে গেলে রাজদরবারে এসে বলতে থাকে সজারু আসে সাপ আসে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সিংহ মশাই ওদের বাঁচাতে যায় যেই শাপ‌ ফনা
তুলল সজারু তার কাঁটা যেই না ওদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেল বাঘ একটু হুংকার দিতেই ওরা জিরাফ হরিণ কে ফেলে রেখে দৌড় মাড়লো তারপর থেকে ওরা যেখানে যেতে এক সঙ্গে একত্রিত হয়ে যেত এইভাবে ওই বনের পশুরা একসাথে বসবাস করত মিলেমিশে। ওরা একসাথে শীতের দিনে তরী নদীর তীরে বনভোজন করত সে কি আনন্দ থাক তোদের মধ্যে সেদিন টিয়া আসত ময়না আসতো ময়ূর আসতো সবার গানে নাচে ভরে যেত সেদিনটা। এইভাবে ওই ছোট্ট বনের পশুপাখিরা খুবই সুখে শান্তিতে বসবাস করত।






          এপিটাফ 
               সৌম্য ঘোষ

ঘাসের ডগায় যখন রোদের উত্তাপ ছোঁয় রাতের
শিশির ,
ঝরাফুলের মালা গেঁথে রাখি চিতাভস্মের
স্মরণে ;
রাতের কুয়াশার আস্তরণ শব্দমালা হয়
অনায়াসে,
আজ আমি কবিতার ভাষা শিখেছি লাল অক্ষরের
বিন্যাসে ;
কিছু দিয়ে যেতে হবে, মরার পর
ফ্রেমে বন্দী হয়ে থাকবার ইচ্ছা নেই,
ফুরিয়ে যাওয়ার আগে দু'ফোঁটা রক্তে কালজয়ী
কবিতা লিখতে চাই ,

জ্যোৎস্না , জানলাটা খুলে দাও--
আলো আসুক ... ...... ।।




অপ্রস্তুত
          বদরুদ্দোজা শেখু


কাশ্মীরি সতীর্থের মুখে খবর পেয়েই
তড়িঘড়ি হন্তদন্ত গিয়ে দাঁড়ালাম কোনোক্রমে ঈদের জামাতে,
তখন সবাই কাতারে সটান দাঁড়িয়ে পড়েছে,
নিয়ত করার অবসরটুও নাই,
ইমামের তকবির দেওয়া শুরু হলো আর
কিছুক্ষণের মধ্যেই শেষ হলো
ঈদের নামাজ । হাউজ খাস জামাতের সবাই অতি দ্রুত
ছত্রভঙ্গ হ'য়ে গেল যে যার  ডেরায় ।
এর কোনোরকম প্রস্তুতিই ছিল না , শুধু
জানা ছিল আগামী কাল ঈদ আছে
রমজান শেষে ।

অপ্রস্তুত বিষণ্ণ বিমর্ষ  মনে ফিরলাম ধীর পায়ে
ঈদের চাঁদের কেরামতি মেনে , নাকি
আচমকা দাঙ্গা ফ্যাসাদ  আতঙ্ক এড়াতে স্থানীয়
প্রশাসন এগিয়ে দিয়েছে জামাতের
সময়কাল , কানাঘুষো এরকম ইতস্ততঃ শোনা গেল ।
হয়তো-বা । বিচিত্র কী ?
বলা যায় না , বিচিত্র এই দেশ । হয়তো হঠাৎ
কারফিউ লেগে যাবে আবার এক্ষুণি !









দূর থেকে সব সুন্দর লাগে

               চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি


দূর  থেকে  সব সুন্দর মনে হয়,

যেমন এই দার্জলিং পর্বতমালা,

কাছে গেলে জানা যায়,পাহাড়ের কত দুঃখ,তবু হাসি মুখে জীবনকে করেছে জয়৷


এখানে ঝর্ণা,সমতলে নদী সাগর,

হয়ে প্রবাহিত,ভাঙ্গা গড়ার 

কত কাহিনী,

কতজন আর শুনতে পান?পর্বতের আসল কন্ঠস্বর?

ভালোবাসার আড়ালে চাপা কান্নার ইতিহাস!

তবু আমরা মিলেমিশে থাকি পরস্পর৷

—————————————————






👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন)