শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 06/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 06/11/2020



*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-06/11/2020, শুক্রবার
               সময় :- রাত 7 টা. 15 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


   বাক্স  রহস্য
        পিনাকী মুখার্জী
  
             আগুন  দামের আগুন
             নিয়ে ,  তৈরী  জতুগৃহ  !!
              পেঁয়াজ  রসুন  উচ্ছে
             বেগুন ,  সাজায়  চক্রব্যূহ  !!
      
                   রোধ  করে  কন্ঠ ,
                যখন  চড়া  দামে  !!
                 পরোয়ানা  নিয়ে  যম
             দেবতাই  ,  কেবল   সর্বনামে  !!
     
            বঞ্চনারই  আঁতুড়ঘরে ,  জন্ম
                   শুধুই  নাম  বদল  !!
             দিবাস্বপ্নে  , আকাশ -কুসুম
             স্বপ্নগুলোর   বেশ  বদল  !!

                  মাঞ্জা লাটাই টানছে
                কখন  ছাড়ছে কোথায়  !!
                স্বপ্নগুলোর স্বপ্ন  উড়ান
               ভোকাট্টা  নীল  অজানায়  !!





সব ছেড়ে চলে যেতে হয়....তাই
        চিত্তরঞ্জন দেবভূতি

তারপর সময় হলে,সব ছেড়ে চলে যেতে হবে,
এই চরম সত্যকে উপেক্ষা করতে পেরেছে,
কে আর কবে?
আসুন তাই মিলেমিশে থাকি,
সারা দেশ জুরে সত্য ন্যায় ভালোবাসার,
আলপনা আঁকি৷
মানুষ হয়ে মানুষকে আমরা কেউ কাউকে,
না যেন দিই ফাঁকি৷



অণুকাব্য
        মৃদু হাসি
               জুয়েল রুহানী

"দু'টি ঠোটের মৃদু কম্পনে
কপোলে টলক স্বর্গীয় রুপে
মুচকি হাসির বিচিত্রতায়-
পতিত হৃদয় সুখের কূপে"


পান্ডুলিপি
        সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

বুদ্ধদেব বসুর পান্ডুলিপিটা
নোংরা স্যাঁতসেঁতে আঙুল গুলো চটকেছে
তবু সূর্য ওঠেনি, বিস্ফোরণ ঘটেনি-- সেসময়।

ভেবেছিলাম-- ওটা অতীত।
এখন উন্নত কম্পিউটারের শরীর।
আমার পান্ডুলিপি কে মিটিমিটি
চোখে দেখবে না,। হলদে লোভী চোখ দু'টোও
বলবে না-- 'এ লেখা আপনার কেউ পড়বে? '

অথচ বছরের পর বছর ধরে
লেখা গুলো আমার কি সত্যিই রোগাক্রান্ত!?
আমি কি একটা আস্ত গাধা?

ঘুম আসে না। লেখার ওপর বিতৃষ্ণা জাগে
বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন চলে নিরন্তর
মনের গভীরে।

সান্ত্বনা ও জোটে। কিন্তু স্বর্গ চ্যুত প্রকাশকের
মনে দেবত্ব পক্ষপাত দুষ্ট হয়ে থাবা বসায়

জানিনা, অবাক হব এরপর
         নাকি
    তৃষ্ণায় চাতক হব!!!




ভোর ৩
       উমর ফারুক

স্থিতিশীল আকাশের চাঁদ
প্রাকাণ্ড এক আলো
বিচূর্ণ চাহনির প্রান্তরে হাঁটে।
আযানের  প্রতিধ্বনি
ঘুম ভাঙানো মোরগের ডাকে
মৃত্যুর পরোয়ানা প্রত্যাহার
আলো জ্বলে উঠে
অন্যের দ্যুতি হয়ে।
কোকিলের গুঞ্জন বরিষণ
ভোরের বাতাস
উষ্ণ হৃদয় কে হিম করে।
প্রতিধ্বনির স্বনিত এক কোন থেকে
উন্মোচিত হবে অনুজ্জ্বল নক্ষত্র।





শান্তি চাই
        আব্দুল রহিম

প্রতিবন্ধকতার লালসা ছাড়িয়ে,
জেগে উঠুক সমাজ, জেগে উঠুক মানবতা,
ধর্ম নয়, জন্ম নয়, বর্ণ নয়, কর্মের হোক জয়,
চোখের কোণে সাজুক নব নব পৃথিবী।।

সভ‍্যতার বর্বরতা, কর্কশ, হিংস্রতা কাটিয়ে,
স্বপ্ন জাগুক রাশি রাশি,
বিদ্বেষ নয়,
মানুষ মানুষকে বলুক ভালোবাসি
মিথ‍্যা নয় সত‍্যের হোক জয়,।।

সবার উপর মানব ধর্ম,
তাহার উপর কিছু নাই,
এ কথা মানে যে জন যে মন
সেই শুধু জানে
পৃথিবীতেই স্বর্গ,পৃথিবীতেই নরক  ।।

মৃত্যু মানে সব শেষ,
তবে কেন এত জাতি -ধর্ম -বর্ণ বৈষম্য
জাতি -ধর্ম -বর্ণ নির্বিশেষে চামড়া কেটে দেখ,
শুধু পাবি  তাজা রক্ত মাংস ।।

যুদ্ধ নয়,শান্তি চাই।।





প্রবন্ধ
পুস্তকের প্রচ্ছদ ও বই পড়ার ইচ্ছে
         অগ্নিমিত্র

  জ্ঞানী লোকেরা বলে গিয়েছিলেন-'Don't Judge a book by its cover '। সত্যিকারের যারা বইপোকা, তারা প্রচ্ছদ ভালো হলো বা না হলো, তার ধার ধারেন না। সেখানে বইয়ের content বা লেখার গুণগত মানই মুখ্য বিষয়  । তা হলেও, একটি পুস্তকের প্রচ্ছদ অনেক সময়েই যদি ভালো হয়, তবে তা পাঠককে সেই পুস্তকটি পড়তে প্রলুব্ধ করবে। আর যদি তা তেমন চিত্তাকর্ষক না হয়, তবে পাঠকের মনে একটু বিতৃষ্ণা জাগে বইকি । মানে আগে দর্শন ধারি, পিছে গুণ বিচারি!.. অর্থাৎ কোন একটি পুস্তকের প্রচ্ছদ অনেক সময়েই  সেই পুস্তকের ভাগ্য নির্ণয় করে থাকে! তাই প্রচ্ছদ ভালো ভাবে বানানোর জন্য প্রকাশকেরা অনেক সময়ে  আর্টিস্টদের দ্বারস্থ হন । যেমন, প্রথম জীবনে সত্যজিত রায় এভাবেই প্রচ্ছদ ডিজাইন করতেন । তবে সব মনোযোগ যদি কেবল প্রচ্ছদেই চলে যায়, আর বইয়ের লেখা বা লেখাগুলি তেমন ভালো না হয়,  তবে আবার মুশকিল ।।




জিজ্ঞাসা
      সুশান্ত মজুমদার

বৈচিত্রময়  মানব জাতি
ধরা ধামে শ্রেষ্ঠ,
জ্ঞান বুদ্ধি, প্রেম প্রীতি
আদর্শে তাহা স্পষ্ট।

বলিতেছে মুখে আত্মসুখে 
মোরা সেরা জাতি,
নিজের ঢাক নিজে বাজিয়ে
আনন্দেতে মাতি।

অন্তরিক্ষে বাঁধিয়া ঘর
হাওয়ায় ভাসাইয়া গাড়ি,
চাঁদের দেশে চরণ রাখিয়া
মঙ্গলে দিয়াছে পাড়ি।

বুদ্ধির পাহাড় ডিঙাইয়া তবু
বন্দি ঘরের মাঝে,
জিজ্ঞাসি মনে আজি কি আর
কোনো অহং সাজে ?





        ভালোবাসা
                  হামিদুল ইসলাম
                     

জীবনটা কষ্টে কেটে যায়
এমন ভাঙাচোরা ভালোবাসা
কেউ কোনোদিন ভালোবাসে নি আমায়
তবু জীবনটা কষ্টে কেটে যায়   ।।

সারারাত তার জন‍্যে করি অপেক্ষা
সে আসে
আমার পাশ ঘেসে শোয়
উলোট পালোট শরীর সর্বদাই  ।।

সারারাত স্বপ্ন দেখি
উজানে উন্মত্ত ঘোড়া ছোটে
নদীতে হাঁটুজল
পেরিয়ে যাই আলোছায়া ঘরদোর  ।।

আর কতোদিন এভাবে কাটাই জীবন
এমন ভেঙেচুরে ভালোবাসা তার
মনের গভীরে
যেনো একফোঁটা ক্লান্তি নেই  ।।

প্রতিদিন তার সুপ্ত ভালোবাসা
দিঘীর জলের মতো আমাকে জড়িয়ে ধরে
পালাবার পথ খুঁজে পাই না
কোথায় পালাই  ।।

আসলে পালাতে চাই না আমি
এমন ভেঙেচুরে ভালোবাসা আর কোথায় পাই  ।।





এখন আমি যা
অজ্ঞলি দে নন্দী,মম

গত কয়েক দিন ধরে আমার দেহ কোরোনা ভাইরাস আক্রান্ত। বন্ধ রুমে শয্যাশায়ী। বুকের ভেতর এক অদ্ভুত শব্দ সদা সর্বদাই বেরিয়ে আসছে। চোখে ঝাপসা দেখছি। কানে সাফ শুনছি না। কথাও আটকে যাচ্ছে। নড়াচড়া করার ইচ্ছা ও শক্তি কোনোটাই নেই। মুঠো করে আমার জীবনসঙ্গী আমাকে ঔষধ সেবন করাচ্ছে। ওআরএস মিশিয়ে জল ঢালছে। প্রতিটি মুহূর্ত যেন যুদ্ধ করছে। কোন অপ্রয়োজনীয় কথা নেই। নিখুঁত সেবা। সমস্ত কাজের মধ্যে যেন এক সুনিশ্চিত অপ্রকাশিত প্রতিজ্ঞা যে ..... আমার পত্নীকে শীঘ্রই বিছানা ছেড়ে দাঁড় করাতে হবে.....মাঝে মাঝেই দূর থেকে দেখছে। আমি দেখছি....এক অলৌকিক দৃষ্টি তার লক্ষ্যে। এর আগে এই লুক কখনও দেখিনি। তেমন করে প্রেম ভালোবাসা এতো বেশি করে কখনওই আন্দাজ করতে চেষ্টা করিনি। সংসার সামলাতে সামলাতে কখন যে সময় দরিয়া পার হয়ে এসেছি। কত তুফান একাই মোকাবিলা করার মত শক্তিও ধরেছি। আজ হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছি। বয়স স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে কতটা প্রভাব ফেলে রেখে গেছে তা কোনদিন ভাবিনি ও। তা যাক আজ বোধ হয় একটু কাঁচের হৃদয় দোয়াত ধোবার সময় এসেছে। নিজে হাতে রান্না করে ও চিকেন স্টিউ একটি বোলে নিয়ে চামচে করে একটু একটু একটু করে চুইয়ে চুইয়ে চুইয়ে ও আমার মুখে দিচ্ছে। ফিরে গেলাম পিছনে। সমুদ্র মন্থনে এই প্রেমামৃত পান করেই তো দেবতা মৃত্যু জয় করেছিল। হ্যাঁ, এরই নাম তো সম্বন্ধের সুধা স্বাদ। আমি নিশ্চিত যে আমি অমরত্ব লাভ করছি। সব ছিল যা ছিল না তাও পেলাম। দরদর করে পসিনা ছুটছে। তবুও কত্তার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত হচ্ছে। ......সবটুকু খেতেই হবে......সামান্য একটু সুপ তা খেতে যে কত সময় নিলুম। ওর কিন্তু কোন বিরক্ত লাগছে না। পুরোটাই ফিনিশ করিয়ে মুখটা সাফ করালো। মৃদু হেসে বলল, " তোমার সাদা অপরাজিতায় আজ টোটাল ন'টা ফুল ফুটেছে। " আমি ওঠার চেষ্টা করছি। মাথাটা ভোঁ ভোঁ ভোঁ করে ঘুরছে। ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ করে আবার কাশ্ছি। তবুও উঠলাম। ও ব্যালকনির ডোরটা খুলল। উঁকি দিয়ে দেখলাম। ফুলগুলো ও যেন ঠিক ওর মতোই এক অলৌকিক দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে.....ওদের কাছে জানতে চাইলে কী ভুল হবে? আমি বেঁচে থাকবো অমর জীবন নিয়ে তোমাদেরই তরে গো। এ জীবন ঈশ্বরের অস্তিত্ব রক্ষায় নয়। তোমাদের আন্তরিকতার প্রবল বেগে। কি সত্যি তো! .....




এক ছিল জঙ্গল
         আব্দুল রাহাজ

হরিহর হরিহর পিছন দিয়ে ডাকতে  লাগলো হাবুল কী হয়েছে তোর ডাকছিস কেন রে
জানো জানো আমাদের জঙ্গলে বাঘের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে
তাই নাকি।
এতো বেজায় মুশকিল হলো
হাবুল বললো কী মজা ‌মজা
এবার ‌জঙ্গলের নাম ছড়িয়ে পড়বে চারিদিকে।
সবার কাছে ছড়িয়ে ‌পড়লো জঙ্গলের কথা‌
সবাই খুশি আবার কেউ বেজায় ভয় পেয়ে ‌ঘরের মধ্যে লুকিয়ে আছে।
এ সেই আমাদের জঙ্গল
যা মনেছিল সবার কাছে।





জীবনের মানে
             হরিপদ রায়

    বাড়ি ফেরার উচ্ছাসটা নিমেষে দমে গেল। গ্রামে ঢোকার রাস্তায় বা‌শের ব্যারিকেড। হাতে লাঠি নিয়ে গ্রামের ছেলেরা 'মার মার' শব্দে এগিয়ে আসছে। উচ্চস্বরে তারা বলে ওঠে-  'চলে যা গ্রামে ঢুকবি না'।
   প্রলয় হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে থাকে। ছেলেগুলি তার  চেনা, অনেকের সঙ্গে ছোট থেকে বড় হয়েছে সে।
  - কেন গায়ে ঢুকবো না?
  - না তুই ঢুকবি না, করোনা নিয়ে ফিরেছিস।
কি করে বোঝায়, যে সে রীতিমত সওয়াব টেস্ট করে এসেছে। রিপোর্ট নেগেটিভ।

শ্রান্ত ক্লান্ত দেহ, মন যেন ক্রমশ অবসন্ন।গাঁয়ে ঢোকার বৃথা চেষ্টা না করে পথের মধ্যেই বসে থাকে। বাড়িতে বৃদ্ধা মা ও স্ত্রী-পুত্রের সংসার। সংসারে অনটন, কাজ নেই। পাশের গ্রামে দিলওয়ার ওর ছোটবেলাকার বন্ধু। সংসারের অভাবের  জন্য প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পার হওয়াটা সম্ভব হয়নি। সীমান্তে মাল এপার ওপার করে ভালই কামিয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই বর্ডার কড়া। কাজেই দিলওয়ার নতুন ব্যবসা ফেঁদেছে। ভিন রাজ্যের কারখানায় লোক সাপ্লাই দিলে মেলে তার কমিশন। কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে, চাকরির চেষ্টা করেছে প্রলয়, কিন্তু হয়নি। সেখানেও চলছে কারবার ডোনেশন। তাই সেই ছোটবেলার বন্ধু দিলওয়ারের শরণাপন্ন প্রলয়। কথা শুনে চমকে ওঠে। শেষে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের  সঙ্গে প্রলয় পাড়ি দেয় ভিন রাজ্যে। ভালোই চলছিল। কিন্তু বাদ সাধে করোনা। কারখানা বন্ধ, বাড়ি ফেরার কোনো ব্যবস্থা নেই। অবশেষে ট্রেনের দরজা ঠেলে উঠিয়ে দেয় দিল্লির এক পুলিশ। ট্রেন থেকে নামতেই পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ধরে নিয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আটকে রাখে, জেনো জেলখানার কয়েদি। সেখান থেকে প্রলয় ভাবে, কয়েদিদের প্রতিও জেলখানার দারোগাদের মমত্ববোধ আছে। কিন্তু এদের তাও নেই। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে অনেক উচ্ছ্বাস নিয়ে গাঁয়ের পথে এগোচ্ছিল প্রলয়। ভাবতে ভাবতে সন্ধ্যা হয়ে আসে। রাতের অন্ধকারে ঘুরপথে বাড়ি ফেরে। কিন্তু ভাবনা ও বাস্তব যে কতটা ব্যবধান তা হাড়ে হাড়ে টের পায় প্রলয়। তার স্ত্রী  কুপি হাতে নিয়ে বেরিয়ে এসে বলে,' কি দরকার ছিল করোনা নিয়ে বাড়ি ফেরা'!
   হঠাৎ এক দমকা বাতাসে কুপির আলো নিভে যায়। অন্ধকারে বাড়ি থেকে দূরে একদিন গাছ তলায় বসে থাকে সে। অন্ধকারে কখন ঝিমুনি এসেছে বুঝতে পারেনি। হঠাৎ লন্ডনের আলো, তাকিয়ে দেখে সামনে আনোয়ার। তার হাতে ত্রিপাল। বলে এই গাছ তলায় ত্রিপালের তলায় কদিন থাকতেই হবে। নইলে নিস্তার নেই। গাছ তলাতেই ত্রিপল দিয়ে ঘর বেধে দেয় আনোয়ার।  প্রলয়ের মনে চলছে তখন মহাপ্রলয়।   ত্রিপালের নিচে শুয়ে সে জীবনের মানেটা কি ,তা নতুন করে ভাবতে থাকে।






মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)

বটগাছ

বাবা
মানে বটগাছ
সবাই বলে শুনেছি
আমি পাইনি বটগাছের ছায়া
জানি শুধু মা ফলন্ত আমগাছ
তার চোখে দেখেছি ফল বাঁচানোর আঁচ ।

মা ছাড়া আমি জল ছাড়া মাছ
মায়ের যত্নেই আমার মানবিক ছাঁচ
সেখানেই পেয়েছি স্নেহ মায়া
আমি শুধু জেনেছি
মায়ের ধাঁচ
সেবা।

(২)

আমাদের লেখা

আমাদের
লেখায় আমরা
নিজের কথা লিখছি
লিখছি বিনুনি প্রেমের কথা
অলৌকিক,ভূত,প্রেত সব লিখছি
লিখছিনা শুধু আমাদের রাষ্ট্র , মানুষের কথা ।

লেখকের আজ এসব নিয়ে নেই মাথাব্যথা
প্রেমের কাব্য লিখে পুরষ্কার পাচ্ছি
ভূত, প্রেতেও মিলছে চোথা
রাষ্ট্রদ্রোহিতা এড়িয়ে বাঁচছি
বুদ্ধিজীবী লেখকেরা
সমাজের।





দেশ বন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্মরণে
             নরেন্দ্র নাথ নস্কর

মানুষ দেখি অনেক,
সত্যি বন্ধু কোথায় পাই?
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন,
তার তুলনা নাই।

অগাদ খ্যাতি,প্রতিপত্তি হাতের মুঠোয় ছিল,
নি:শব্দে,অন্তরালে
দেশকে বিতরিল।

কত দরিদ্র,কত অচ্চুৎ
গোপনে পেয়েছে দান;
কেহ জানে না,ভগবান জানে
কত তার পরিমান।

দেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে
নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে;
দেশবন্ধু হয়েছেন তিনি,
প্রণাম হে মহান হিয়ে।

এত মহৎ  প্রাণ গেছেন'
মানুষকে ভালবেসে;
আত্ম ত্যাগের আদর্শ তিনি ,
পৃথিবীর দেশে দেশে।

আবার এস এই প্রজন্মে,
হে মৃত্যুহীন প্রাণ;
এই বাংলা ফিরে পায় যেন'
তার হৃত সম্মান।



👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 










২টি মন্তব্য:

  1. সুন্দর বৈচিত্র্যময় । খুব সুন্দর আয়োজন ।

    উত্তরমুছুন
  2. সুপ্রভাত
    আশা করি সকলে ভালো আছেন। মাঝে ক'দিন বিরতির পর আজকের লেখনী গুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। সকল সাহিত্য সেবী বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানাই।

    উত্তরমুছুন