উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 03/11/2020
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 03/11/2020 |
*********************************
আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
100% ইনকাম ও Real payment
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-03/11/2020, মঙ্গলবার
সময় :- রাত 7 টা. 40 মি:
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
ডেঙ্গু সতর্কতা
অশোক কুমার পাইক
মশার কামড়ে যদি জ্বর, ঘোরে মাথা,
আর বেহুস ভাব ও বমি, পেট ব্যথা,
নাক থেকে ঝরে যদি রক্তক্ষরণ,
বুঝবে সদাই ডেঙ্গুর লক্ষণ !
আর যদি মনে হয় অতি দুর্বল
বসতে দাঁড়াতে মোটেই থাকেনা বল,
মূত্র বন্ধ, খুব অল্প বা গাঢ়,
তখনি ডেঙ্গু হয়েছে জানতে পারো l
ডাল জল, ঘোল, আর তরল খাবার,
খাও ফলরস, ডাব, পাবে প্রতিকার,
হাত পা ঢেকে রাখো মশারিতে বিরাম,
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলে পাবে যে আরাম l
শ্রমণের লিপি
সৌম্য ঘোষ
হেমন্তের পাতা-ঝরার শব্দ শুনবো বলে
নিঃশব্দে অপেক্ষা করেছি
নির্জন বনভূমিতে ;
দিগন্ত, নিস্তব্ধতা,
গাছেদের প্রজ্ঞা
দেখতে দেখতে হেঁটেছি--
তোমার অন্তহীন অসীমতার দিকে
লুপ্ত পথরেখা খুঁজে খুঁজে ।।
ঘুমন্ত প্রহরে
বদরুদ্দোজা শেখু
অবশ্য নাই এখানে তেমন কোনো
সমতলভূমি , নাই অবারিত মাঠ
তবু লোকজন মালভূমি গ্রাম গড়ে
বানায় পেঁচানো সর্পিল পথঘাট ।
পথের ক্লান্তি দু'দণ্ড তাড়ানোর
নাই পরিচিত জটাধারী বুড়ো বট ,
ঘন্টাধ্বনি ছড়ায় কিন্তু সাঁঝে
দেবদেবীদের মন্দির কিবা মঠ ।
পাহাড়ী ললনা গম-রঙা সুন্দরী,
রুক্ষ্ম রূপসী পাহাড়কে মনে হয়;
আনমনা কোনো গোধূলিতে ব'সে দেখি
পাই কি না পাই আর কিছু পরিচয়।
অল্প রাতেই পান্থনিবাসে ফিরে
খাওয়া-দাওয়া সেরে বন্ধুরা দ্যায় খিল,
লোহার গরাদ পারে ঘুমানো পাহাড়
ধ্যানের প্রহরে নিমগ্ন অনাবিল ।
খোয়াই পাহাড় পর্বত বনভূমি
খুবলে' অজানা এবং গূঢ় আদিম
পরাবাস্তব দেখবার নেশা নিয়ে
জ্বেলে রাখি আমি চোখের দু'টি পিদিম ।
কোনো রহস্য গ্রন্থি খোলে না তার,
চারিধারে শুধু সময় নিদ্রারত
এবং নিজেকে মনে হয় বারবার
গিরি-কন্দরে হারানো শিশুর মতো । ।
মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
আসবে শীত
আসবে
শীত এবার
শীতের মিষ্টি রোদে
মেলে ধরবো একবার স্বপ্নগুলো
তাতিয়ে নেব আমার অশীতিপর শরীর
হতেই পারে এটাই হবে শেষ শীত ।
ভুলে গেছি জীবনের সব ছন্দ গীত
বৃদ্ধাবাসে শুয়ে মন হয়েছে চৌচির
হারিয়েছি জীবনের অর্জিত চালচুলো
ফুরোচ্ছি সন্তানের ক্রোধে
ফুরোলেই ভার
জূড়োবে।
(২)
বাজার
বাজার
গেলে এখন
জিনিসের দাম শুনে
আচমকাই হাত পুড়ে যায়
পোড়া হাতে ঘোরাঘুরি এদিক ওদিক
যৎসামান্য কিনে ব্যর্থ হয়ে ঘরে ফেরা।
সাধারণের জীবন এখন আগুন দিয়ে ঘেরা
প্রাণ বাঁচাতে মানুষ ছুটছে দিকবিদিক
প্রতিকারের নেই কোন উপায়
ভাষণ শুনে শুনে
বাঁচা যখন
হাসার।
ভোর
উমর ফারুক
চুপ করে হলুদ হেমন্তের ভোরে
কিছুটা মানুষ
কিছুটা মানুষের বেশে
প্রশ্ন করেনা কোনও !
ছুড়ে ফেলা মুক্তার খোঁজে
অর্ধ শতাব্দী পর্যন্ত অভিযান।
হাতে পিঠে চুমু দেই কত ছায়া
তীক্ষ্ম ফলার মত রোদ্র
অগ্নিদগ্ধ হয়ে চড়েছে মগডালে।
ভোরের কুয়াশা পড়েছিল রোদ্র
অতএব তারা অ-উদ্যমী নয়!
অণু কবিতা
পূর্ণিমা
ডঃ রমলা মুখার্জী
বুকের মাঝে জমাট কালো,
ভয় ভাবনার নেই শেষ...
কান্না চেপে হেসে বলি
ভালো আছি এই বেশ।
জানি চাঁদের নরম জোছনা
মুছে দেবে সব কালো,
দেখবো সেদিন জরাহীন ধরা,
অমা শেষে শত আলো।
সেই আলোতে নাচবে অলি
কল-তানে শত পাখি-
মানুষ আবার মানুষের হাতে
বেঁধে দেবে ফুল-রাখি।
ছন্দে ছন্দে
হামিদুল ইসলাম
দু চোখ জানান দেয়
এখন গভীর রাত
বাসনার স্রোত বয়ে যায় শিরায় শিরায়
তোমার আমার শারীরিক ছন্দে
নদীর তীর ভাঙে বনস্পতি ।
বাহুযুগলে আঁকড়ে ধরি তোমায়
আগুন
উত্তেজনার পারদ চড়চড় করে লাফিয়ে বাড়ে
নামগোত্রহীন এক হলুদ লালসা
এক নিঃশ্বাসে ভেঙে ফেলে সমস্ত আপত্তি ।
তোমার স্তনচূড়া এখন পাহাড়ের মতো উন্নত
বুকের গভীরে ভাঙি পাথর
তর সয় না যেনো
কেবল মুহূর্তের অপেক্ষা
হৃদয়ের ভালোবাসা হয়ে ওঠে কাদামাটি ।
তোমার দুঠোঁটে দ্বিমাত্রিক ছন্দের লালিত্য
কামনার সরোবর ভরে ওঠে জলে
হাত বাড়িয়ে দিই
ছুঁয়ে দেখি তোমার ঘামে ভেজা শরীর
মুহূর্তের স্নায়ুগর্তে এ জীবন হয়ে ওঠে খাঁটি ।
মুখোশ
অনাদি মুখার্জি
মুখোশের আড়ালে আজ মুখগুলো লাগে বড্ডো অচেনা,
কে সাধু আর কে চোর সাজে কিছুই বোঝা যায় না !
যাকে আমি ভাবি আপন সেই হয় পর ,
জীবনের এই খেলাতে পুড়ছে কত সুখের ঘর !
স্বার্থের পিছনে ছুটছে মানুষ হারিয়ে যাচছে মনুষ্যবোধ,
এই সমাজের আছে কিছু সুবিদাবাদি লোক !
আমরা সবাই মুখোশধারী ভালো সেজে অভিনয় করি,
কে আসল আর কে নকল চিনতে এখনো পারেনি !
অপেক্ষা
বিমান প্রামানিক
তোমার জন্য পথ চেয়ে
আজও আছি বেঁচে ,
ধন্য হোক জীবন মোদের
উঠবো আবার নেচে।
ধরা ধামে আসেনি বসন্ত
কোকিল আসেনি পাছে ,
আকাশে এখনও নামেনি সন্ধ্যা
পাখিরা এখনো গাছে ।
চিৎকার করে ক্ষুধাতুর শিশু
দেয় না ডাকে সাড়া ,
তুমি আসবে বলেই অপেক্ষাতে
শান্ত আজও পাড়া।
বৃদ্ধ সকল চিন্তায় মরে
চোখের জলে বন্যা ,
দেশে দেশে ডাক ওঠে
ওঠে আরও কান্না।
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাচ্ছেন?
চিত্তরঞ্জন দেবভূতি
উত্তর পূর্ব হিমালয়ের কোলে এই হালকা
শীতের সময়ে,
বরফে মোড়া যেন সোনার মুকুট পড়া,
কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত চূড়া বহুদূর থেকে দেখা যাচ্ছে,
আপনিও কি দেখতে পাচ্ছেন কবি?
সবুজ চাদরে মোড়া পাহাড়ে সেই অপূর্ব ছবি!
বাংলাদেশ,নেপাল,ভুটানসহ—
আশেপাশের জেলা শহর পাড়া গ্রামের লোকজন,
কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ দেখে মুগ্ধ,
আসুন ভালোবাসার গল্প বলি,
কি লাভ ?বোকার মতো হয়ে থেকে ক্ষুদ্ধ?
বরঞ্চ মিলেমিশে ভালোবেসে জীবনের পথ চলি৷
মনের কিছু কথা আজকে না হয়
আবার নতুন করে বলি৷
———————————————————
অবসাদ
সুস্মিতা দে
হেমন্ত কাঁদো কাঁদো গলায় বলে আমার কিসের অপরাধ আমি পথে ঝড়ে পড়ি তাই আমাকে প্রকৃতি পাতা ঝড়া বলে ।
মা আমার পুজো নেবে কিনা জানি আগে বলি হাতে তুলে নিয়ে কচি কচি শৈশব কৈশোর বিলীন হয়ে যায় নেই আনন্দ ।
পাতার মাঝে খেলতে ঝড়া পাতাগুলির নীচে লুকিয়ে লুকোচুরি খেলা আত্মত্যাগ করি
অবসাদে থাকি জানি
আমার কষ্ট তোমার রাজমুকুট পড়া তুমি বসন্ত বলে আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে চলে যাবে । আমি কি করি?
প্রকৃতির ইচ্ছে । আমার করার কি কিছু আছে ?
হেমন্ত বলে আমি গর্বিত আমার ঝড়া পাতার মূল্য নাই দেবোতার পায়ে কে দেবে ফুল
প্রবন্ধ
প্রকৃতির হারিয়ে যাওয়া ও সাহিত্য
- অগ্নিমিত্র
প্রকৃতির মন ভোলানো রূপ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে ভালো কিছু লিখতে, অন্যরকম ভাবে ভাবতে। ইঁট পাথরের ভিড়ে আজ প্রকৃতি ক্রমশঃ অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে, আর অদৃশ্য হচ্ছে সেই প্রকৃতিগত বা প্রকৃতিনির্ভর লেখাও । সেই রূক্ষতার ছাপ পড়ছে সাহিত্যেও ! ..এখনকার দিনে 'আরণ্যক ' বা ' কোয়েলের কাছে'-র মতো গল্প বা উপন্যাস লেখা খুবই কঠিন, কারণ প্রকৃতির সেই শ্যামল রূপ আজ দেখতেই পাওয়া যাবে না । এখন চার দিকে কেবল ইঁট, কাঠ, কংক্রিটেরই জঙ্গল। সাহিত্য রচনাও তাই এসব নিয়েই হচ্ছে । লেখা হচ্ছে নাগরিক জীবনের গাথা। প্রকৃতি এখন প্রায় ব্রাত্য ।.. শুধু গ্রামের দিকে বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে হয়তো প্রকৃতির একটু শোভা এখনো দেখতে পাওয়া যায় । এই সব জায়গার লোকেরাও হয়তো প্রকৃতির সৌন্দর্য নিয়ে সাহিত্য সৃষ্টি করছেন, তবে তা সাহিত্যের মূল স্রোতে তেমন ভাবে পৌঁছোচ্ছে না।
প্রকৃতির নতুন রূপে সৃজন হলে সাহিত্যেও আবার সেই প্রকৃতিনির্ভর লেখা ফিরে আসবে। তখন বাংলা সাহিত্য আবার প্রকৃতিনির্ভর হয়ে উঠবে ।।..
বর্তমান সময়ে গাছেদের অবস্থা
আব্দুল রাহাজ
গাছ আমার মস্ত ভালো মস্ত উপকার সব করে।
একটি গাছ একটি প্রাণ কথাটা কেন বুকের অন্দরে আনন্দিত করে।
গাছ থেকে উপযুক্ত উপাদান পাওয়া সত্বেও বর্তমান সময়ের মায়াজাল লোভ-লালসা আরাম ভোগবিলাসে হচ্ছে যে বৃক্ষ নিধন।
প্রতিবাদ করতে গেলে হয় লাঠি নয় কারাগার তবে কি নতুন প্রজন্ম দেখবে এক অন্ধকার পরিবেশ হারিয়ে যাবে কি আমাদের এই সুন্দর মায়াভরা পৃথিবী বর্তমান গাছের অবস্থা এখন করুন অবস্থা তাই বলি সবাই আসুন বৃক্ষরোপণ করি বৃক্ষরোপণে অপরকে উৎসাহ করি আবার সুন্দর পরিবেশ পৃথিবী গড়ে তুলি নতুন প্রজন্মকে দিয় আলাদা উপহার।
আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছেন কবি চিত্তরঞ্জন দাশ
বিপ্লব গোস্বামী
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকে আমরা সকলেই এক জন স্বাধীনতা সংগ্ৰামী,রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী হিসাবে চিনি।এসবের পরও তিনি যে এক জন কবি তা আমরা কজনই বা জানি ?তিনি তাঁর ঐক্য,অসাম্প্রদায়িকতা,দেশপ্রেম,ত্যাগ ও নিবেদিত প্রাণের জন্য দেশবাসীর কাছে দেশবন্ধু হিসাবে পরিচিত।কিন্তু তিনি যে বাংলা সাহিত্যের এক জন একনিষ্ঠ সাধক ছিলেন তা সবার আড়ালে চলে যাচ্ছে।তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে তাঁর কবি পরিচয়।
দেশবাসীর কাছে যিনি রাজনীতিবিদ হিসাবে পরিচিত তাঁর রাজনৈতিক জীবন ছিল মাত্র ছয়-সাত বছরের।এত অল্প সময়ের রাজনৈতিক জীবনে তিনি যেভাবে সারা দেশে প্রভাব ফেলে দিয়েছিলেন তা তাঁর আগের অন্য কোন নেতার পক্ষে সম্ভব হয়নি।আর এখনও কোন নেতা সর্বভারতীয় স্থরে এমন প্রভাব ফেলতে পারেননি।তিনি ছিলেন জাত-বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধে।তিনি নারী মুক্তি,নারী শিক্ষা ও বিধবা বিবাহের পক্ষে ছিলেন।এ সব কিছুর জন্য তাঁর স্বপ্লকালীন রাজনৈতিক জীবনই তাঁর জীবনের অন্য সব পরিচয় আড়াল করে দিয়েছে।
এই মহান দেশ প্রেমিকের জন্ম হয়েছিল ১৮৭০ সালের ৫ নভেম্বর কলকাতার এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে।তাঁর পিতা ভুবন মোহন দাস ছিলেন কলকাতা হাইকার্টের এক জন সলিমিটার ।তাঁর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কলকাতাতেই।কলকাতার মহাবিদ্যালয় থেকেই তিনি বি.এ পাশ করেন।তারপরে লণ্ডনে চলে যান আইন বিষয়ে উচ্চ ডিগ্ৰীর জন্য।এখান থেকে ফিরে এসে তিনি আইনজীবী হিসাবে তাঁর কর্ম জীবন শুরু করেন।যদিও তিনি পেশায় আইনজীবী ছিলেন তবু সাহিত্য অনুরাগটা কোন দিনও তাঁর মন থেকে হারিয়ে যায়নি।
তাঁর সাহিত্য চর্চা শুরু সেই ছোটবেলে থেকেই।দেশ যখন পরাধীন,দেশবাসী যখন ইংরেজদের কাছে অত্যাচারিত,নিপীড়িত তখন তিনি কলম ধরেছিলেন।তাঁর কবিতায় স্থান পেয়েছে অত্যাচারিত ,নিপীড়িত ও অবহেলিত মানুষের কথা।বাংলার মা ও মানুষের কথা সুন্দর ভাবে ফোটে উঠেছে তাঁর কবিতায়।তাঁর লেখা কাব্যগ্ৰন্থের সংখ্যা পাঁচ।তিনি নিজে "নারায়ণ" নামক একটি পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন।তাঁর লেখা প্রথম প্রকাশিত হয় "নব্যভারত" পত্রিকায়।তাছাড়া তাঁর লেখা প্রকাশিত হত "নির্মাল্য" ও "মানসী" নামক পত্রিকায়।তাঁর প্রথম কাব্যগ্ৰন্থ "মালঞ্চ" ১৮৯৬ সালে প্রকাশিত হয়।তারপর একে একে দ্বিতীয় কাব্যগ্ৰন্থ "মালা" ,তৃতীয় কাব্যগ্ৰন্থ "সাগর সঙ্গীত" ,চতুর্থ কাব্যগ্ৰন্থ "অন্তর্যামী" ও পঞ্চম তথা শেষ "কিশোর কিশোরীতে" প্রকাশিত হয়।তাঁর কাব্যগ্ৰন্থ"সাগর সঙ্গীত " ১৯১১ সালে ও কাব্যগ্ৰন্থ "অন্তর্যামী" ১৯১৪ সালে প্রকাশিত হয়।
তিনি সাহিত্যকে কতটা ভালোবাসতেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর দেওয়া বক্তৃতাতেই।পাটনা সাহিত্য পরিষদ আযোজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন," আমিও সাহিত্য সেবায় জীবনাতিবাহিত করিব বলিয়া ঠিক করিয়া ছিলাম,ঘটনা চক্রে এক্ষেত্রে আসিয়া পড়িয়াছি।নতুবা সেই পথই অবলম্বিত হইত।"তিনি চেয়ে ছিলেন সারা জীবন ধরে সাহিত্যচর্চা করতে কিন্তু দেশের পরাধীনতা তাঁর জীবনের চলার পথ বদলে দেয়।এ জন্য তাঁর আক্ষেপও ছিল।১৯২৫ সালের ১৬ জুন বিক্রমপুর-মুন্সিগঞ্জ সাহিত্য সম্মেলনে সভাপতিত্ব করে ফিরার পথে দার্জিলিংয়ে আকস্মিক ভাবে তাঁর মৃত্যু ঘটে।তাঁর মৃত্যুতে ভেঙ্গে পড়ে ছিলেন তাঁর অনুরাগী সকল।শোকে কাতর নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন "রাজভিখারী" নামক কবিতা।শোকার্ত রবীন্দ্রনাথ লিখে ছিলেন ,"এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ/মরণে তাহাই তুমি করেগেলে দান।" -পংক্তি দুটী।জীবনানন্দ দাশও লিখে ছিলেন "দেশবন্ধুর প্রয়াণে" নাকম কবিতা।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস নিঃসন্ধেহে এক জন দেশ প্রেমিক,বিখ্যাত আইনজীবী রাজনীতিবিদ ও স্বাধীনতা সংগ্ৰামী।তাঁর দেশপ্রেম,বিষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িকতার জন্য দেশবাসীর কাছে তিনি স্মরণীয় ও বরণীয় তা ঠিকই আছে।কিন্তু তিনি যে বাংলা সাহিত্যের এক জন একনিষ্ঠ সাধক ছিলেন তা ভুলে গেলে চলবে না।চিত্তরঞ্জন দাস বাংলা সাহিত্যের এক জন কবি।বাংলা সাহিত্যে রয়েছে তাঁর বিশেষ অবদান।নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁর কবি পরিচয় তুলে ধরা অতি।প্রয়োজন।
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে
কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন)
খুব সুন্দর হয়েছে । চমৎকার আয়োজন ।
উত্তরমুছুন