উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 02/11/2020
*********************************
আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
100% ইনকাম ও Real payment
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-02/11/2020, সোমবার
সময় :- রাত 6 টা. 40 মি:
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
হেমন্ত আসবে
সুস্মিতা দে
হেমন্ত এসে গেছে ঝড়ে পাতা
ঝড়ে অনেক গেছে । আমি
দুষ্টমী করে ঝড়া পাতাগুলির নীচে লুকিয়ে লুকোচুরি খেলছি।
আমাকে বন্ধুরা খুঁজে পাচ্ছেনা । তুই লুকিয়ে থাক আমি যাই বলে বেরিয়ে যায় বন্ধু আমার বেলি
বসন্ত তো নেই কোন ভয় আর নেই, বসন্তের রুপে বেলি কেবল আকঁতো নানা ছবি হেমন্ত মুচমুচে শব্দ পাতা হাজার রঙের দরদ খানি মায়া মাখানো মনে আমার হৃদয়ে ভাসে
ঋতুরাজ বসন্ত বলে তুই কবি শোন তবে আমার বাহার তোর চোখের সৌন্দর্য আনে।আমার মা হেমন্ত আত্মত্যাগ করে তাই বাচ্ছাদের মর্মের কাছে ।
নিচে সে হেমন্ত পাতার আঁচল পাতে খেলার জন্য হেমন্ত তাই সে নীচে থাকে আর সন্তানরা খেলে থাকে
না নীচে পড়ার ভয় থাকে। হেমন্ত নিজে আত্মত্যাগে প্রমাণ করে আমি ঋতুর মা সবংসহী মা।
স্বপ্নভঙ্গ
বিমান প্রামানিক
হনহনিয়ে
আমি আছি
এখনও তোর অপেক্ষায়
চিরদিন মনের মনি কোঠায়
তোকে খুঁজে খুঁজে আজ ক্ষান্ত
তবু নামেনি এখনও মোর জীবনে বসন্ত।
রয়েছি আমি আজও শিশুর ন্যায় ঘুমন্ত
ঘুম ভেঙে দেখি বেলা শান্ত
অচেনা ঠিকানায় খবর পাঠায়
পাগল হয়ে তাকায়
উড়ন্ত মাছি
ভনভনিয়ে।
নারী তুমি জাগো
অনাদি মুখার্জি
নারী তুমি রজনীগন্ধা না ফুটন্ত গোলাপ,
তুমি হলে পিপাসা মিটানো প্রেমের মিষ্টি আলাপ!
তুমি হলে আমোদ আসরে মিলন বাসরে পূজারী প্রতিমা,
দিবারাত্রির ঘিরে হৃদয় মন্দিরে তুমি শান্তি পরিশীমা !
কালের গর্ভে থেকে থাকা জীবনে তোলো সুরের ঝঙ্কার,
হৃদযকাশে সুখের তারা হয়ে বাড়াও সুখের হাহাকার!
নারী তুমি হলে প্রেমের জোয়ারে সুখের চাবিকাঠি,
সবার মাঝে বুকের আতলে শান্তির শীতলপাটি!
তোমার ভূবণ মোহণী হাসি দেখে মেঘ ও থমকে যায়,
হীরা মুক্ত ও ভালোবাসা ঝরে তোমার হাসির কনায় !
তুমি শত ব্যাস্ততা মাঝে ভাবো স্বামী চিন্তা ,
নানা ধরনের রান্না তে তোমার জুড়ি কেউ নেই আর !
নারী তুমি দশভূজা কখনো সেজেছো সেবিকা,
বিজ্ঞান ও খেলাধুলা তে তোমার নাম আছে জগৎ জোড়া!
জাগো নারী জাগো আজ প্রতিটি ঘরে নারী ,
স্বাধীন ভারতে আজো কেন আছো পরাধীন !
জন্মের থেকে পৃথিবীর আলো দেখি তোমার করুণায় ,
জগৎ সংসারের তুমি ছাড়া আজো ও পুরুষ অসহায় !
মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
বন্ধু
বন্ধু
ছেড়ে এসেছি
তোকে কতদিন আগে
ভুলতে কিন্তু পারিনি এখনো
ভেবেছিলাম জীবীকার কাছে ভালোবাসা তুচ্ছ
তাইতো চলে এসেছিলাম একদিন সব ছেড়েছুড়ে।
বন্ধু বিনা এখন আমি হয়েছি ভবঘুরে
জড়ো করছি রোজ দুঃখের গুচ্ছ
ছোটবেলার বন্ধুত্ব ভুলবোনা কখনো
ভুগছি অভিমানে রাগে
স্মৃতিতে পুড়েছি
শুধু।
(২)
পৃথিবী ওঠো ভালো হয়ে
পৃথিবী
তুমি তাড়াতাড়ি
ওঠো ভালো হয়ে
কথা ছিল যুদ্ধ শেষে
আবার দেখা হবে শান্তি সমাবেশে
কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্র জমছে ক্রমাগত শবের পাহাড়।
প্রতিদিন বাড়ছে স্বজন. হারানোর করুণ হাহাকার
জানিনা কারা বেঁচে থাকবে অবশেষে
পঞ্চমীর চাঁদের মত আকাশে
কতদিন থাকবো ক্ষয়ে
আতঙ্ক বাড়াবাড়ি
সর্বব্যাপী।
হারানো সুর
পিনাকী মুখার্জী
ইচ্ছেডানায় ভাসাও তুমি
কোন অজানার দেশে !!
রোদের তাপে জীবন ঘুরে
তোমার কায়ায় মিশে !!
শরৎ আকাশ মেঘের মেলা
শুভ্র মেঘের ভেলা !!
আশার পালে তোমার আসা
বাইতে জীবন ভেলা !!
হাসি কান্না ফুলের সুবাস
সাথে মেখেছো সপ্তসুর !!
দাবদাহ বুকে শীতল পরশ
আহা বড়ই সুমধুর !!
কাঁদলে সবাই জীবন নদীর
এপার ওপার গমন !!
আমরা তোমায় ভুলছি জীবন ,
মোদের স্বভাব বিস্মরণ !!
অবাক পৃথিবী
অশোক কুমার পাইক
পৃথিবী অলস শয্যা পরে ঘুমায় এখন
নরম ঘুমের ঘোর জানিনা ভাঙবে কখন;
দারুন বিপর্যয়ে ক্লান্ত, মৌন নীরবতা,
সহসা মহামারীর ব্যথায় মুখে নাই কথা !
ত্রস্ত মানুষ দিশিহারায় ছুটছে নিয়ত
মৃত্যু মিছিল প্রাদুর্ভাব, এ ঘাড় আনত,
অনিশ্চিত ঐ ভাগ্যাকাশে ডুমুরের ফুল --
ফুটবে কী জানিনা, দুঃসময় পৃথিবীর কুল !
স্বপ্নের বাসর ঘরে জাগে মান অভিমান
প্রেমের উঠানে মরুভূমির শুকনো বাগান,
অতীত স্মরণ সভা বসেছে মুলুকে মুলুকে,
বিস্ময়ের খবর ছড়ানো পৃথিবীর বুকে !
লজ্জাবতী
বিপ্লব গোস্বামী
কেন এত অভিমান ?
আমার পরশে তুমি মাথা করো নিচু ;
ত্রাস পেওনা লাজুক বালা
করব না তো কিছু।
সবুজ শাড়িতে সদা ঢাকো মুখটা,
আমার পরশে লাজে লাল হয় গালটা।
ওগো লজ্জাবতী,শ্যামলী বালা
হাতে ভরা রঙ্গিন বালা
গলে শত কাঁটার মালা।
করে যৌবন রসে অলি খেলা
এক ষোড়শী যুবতী যেন
এ হেমন্তের বেলা।
আমরা
হামিদুল ইসলাম
কোভিটের সংক্রমন প্রতিদিন
এখনো বাড়াবাড়ি
কোথায় পা রাখি
জানি না
আমরা এখনো ঘোর বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে থাকি ।
ভূখা পেট
আর কতোদিন সইবো ক্ষুধার জ্বালা
কর্মচ্যুতি এখন প্রতি ঘরে ঘরে
আর জোটে না দিন আনা দিন খাওয়া
এখন মৃত্যু নিশ্চিত ।
পালিয়ে যেতে চাই এই জগৎ ছেড়ে
কিন্তু কোথায় পালাবো
জানা নেই পথ
বাজারে আগুন
পুড়ে যাচ্ছে প্রতিদিন গরিবের পেট ।
রাষ্ট্র তুমি জবাব দাও
কার দোষে আমাদের এই মরণ দশা
আমরা জেনেশুনে করছি বিষপান
প্রতিদিন হাতড়াই জীবন
বিবস্ত্রে পড়ে আছি জমিনের উপর ।
এক বনের কথা
আব্দুল রাহাজ
একটা ছোট্ট পাহাড় ঘেঁষে আছে ছোট বন আঁখি সেখানে থাকে বনের জীব জন্তুরা সবাই একসাথে মিলেমিশে থাকে। সিংহ বাঘ হরিণ ভাল্লুক টিয়া ময়না বাবুই জিরাফ সবাই থাকে। বনের রাজা হচ্ছে সিংহ প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় ওদের নিম গাছ তলায় চলে মিটিং তারপর হয় রাজ খাওয়া দাওয়া এরপর চলে সারাদিনের আলোচনা। একদিন কয়েকজন দস্যু এসে জিরাফ হরিণ কে বেঁধে নিয়ে যায় বাঘ দেখতে পেয়ে তাড়াতাড়ি করে রাজামশাই সিংহর কাছে কাছে চলে আসে এরপর সবার কানে খবর চলে গেলে রাজদরবারে এসে বলতে থাকে সজারু আসে সাপ আসে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সিংহ মশাই ওদের বাঁচাতে যায় যেই শাপ ফনা
তুলল সজারু তার কাঁটা যেই না ওদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেল বাঘ একটু হুংকার দিতেই ওরা জিরাফ হরিণ কে ফেলে রেখে দৌড় মাড়লো তারপর থেকে ওরা যেখানে যেতে এক সঙ্গে একত্রিত হয়ে যেত এইভাবে ওই বনের পশুরা একসাথে বসবাস করত মিলেমিশে। ওরা একসাথে শীতের দিনে তরী নদীর তীরে বনভোজন করত সে কি আনন্দ থাক তোদের মধ্যে সেদিন টিয়া আসত ময়না আসতো ময়ূর আসতো সবার গানে নাচে ভরে যেত সেদিনটা। এইভাবে ওই ছোট্ট বনের পশুপাখিরা খুবই সুখে শান্তিতে বসবাস করত।
এপিটাফ
সৌম্য ঘোষ
ঘাসের ডগায় যখন রোদের উত্তাপ ছোঁয় রাতের
শিশির ,
ঝরাফুলের মালা গেঁথে রাখি চিতাভস্মের
স্মরণে ;
রাতের কুয়াশার আস্তরণ শব্দমালা হয়
অনায়াসে,
আজ আমি কবিতার ভাষা শিখেছি লাল অক্ষরের
বিন্যাসে ;
কিছু দিয়ে যেতে হবে, মরার পর
ফ্রেমে বন্দী হয়ে থাকবার ইচ্ছা নেই,
ফুরিয়ে যাওয়ার আগে দু'ফোঁটা রক্তে কালজয়ী
কবিতা লিখতে চাই ,
জ্যোৎস্না , জানলাটা খুলে দাও--
আলো আসুক ... ...... ।।
অপ্রস্তুত
বদরুদ্দোজা শেখু
কাশ্মীরি সতীর্থের মুখে খবর পেয়েই
তড়িঘড়ি হন্তদন্ত গিয়ে দাঁড়ালাম কোনোক্রমে ঈদের জামাতে,
তখন সবাই কাতারে সটান দাঁড়িয়ে পড়েছে,
নিয়ত করার অবসরটুও নাই,
ইমামের তকবির দেওয়া শুরু হলো আর
কিছুক্ষণের মধ্যেই শেষ হলো
ঈদের নামাজ । হাউজ খাস জামাতের সবাই অতি দ্রুত
ছত্রভঙ্গ হ'য়ে গেল যে যার ডেরায় ।
এর কোনোরকম প্রস্তুতিই ছিল না , শুধু
জানা ছিল আগামী কাল ঈদ আছে
রমজান শেষে ।
অপ্রস্তুত বিষণ্ণ বিমর্ষ মনে ফিরলাম ধীর পায়ে
ঈদের চাঁদের কেরামতি মেনে , নাকি
আচমকা দাঙ্গা ফ্যাসাদ আতঙ্ক এড়াতে স্থানীয়
প্রশাসন এগিয়ে দিয়েছে জামাতের
সময়কাল , কানাঘুষো এরকম ইতস্ততঃ শোনা গেল ।
হয়তো-বা । বিচিত্র কী ?
বলা যায় না , বিচিত্র এই দেশ । হয়তো হঠাৎ
কারফিউ লেগে যাবে আবার এক্ষুণি !
দূর থেকে সব সুন্দর লাগে
চিত্তরঞ্জন দেবভূতি
দূর থেকে সব সুন্দর মনে হয়,
যেমন এই দার্জলিং পর্বতমালা,
কাছে গেলে জানা যায়,পাহাড়ের কত দুঃখ,তবু হাসি মুখে জীবনকে করেছে জয়৷
এখানে ঝর্ণা,সমতলে নদী সাগর,
হয়ে প্রবাহিত,ভাঙ্গা গড়ার
কত কাহিনী,
কতজন আর শুনতে পান?পর্বতের আসল কন্ঠস্বর?
ভালোবাসার আড়ালে চাপা কান্নার ইতিহাস!
তবু আমরা মিলেমিশে থাকি পরস্পর৷
—————————————————
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে
কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন)
বেশ ভালো লাগলো । সুন্দর আয়োজন ।
উত্তরমুছুন