বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 04/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 04/11/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 04/11/2020


*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-04/11/2020, বুধবার
               সময় :- রাত 7 টা. 05 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

মাছ পাখি ও মানুষের গল্প
      মহীতোষ গায়েন

সব মাছ জলের গভীরে খেলে,
উপরে ভাসে না কেউ,
পাছে কোন পাখি খপ করে ধরে নিয়ে
মুখে পুরে নেয়,এই ভয়।

মাছ সেটা জানে,মানুষও বুঝে গেছে
সব,শিকারি ছিপ হাতে,সুতো তার
লম্বা অনেক,জলের গভীরতা মেপে
সুতো ছাড়ে হিসাব মত।

শব্দ যায়,শব্দ আসে,খেলে খেলে ক্লান্ত
যারা,খিদে পায়,খাবার অমিল,
পুকুরে নাল ফুল ভাসে,পাতার তলায়
মজা,শ‍্যাওলায় ভরা।

হঠাৎ গন্ধ ছড়ায়,উপাদেয় আহার ভাসে
একে একে এসে যায় ঝাঁক,
চতুর শিকারি আসে,টপাটপ ধরে নেয়
কিছু,মাছেরা প্রমাদ গোনে।

এবার অনেক ঢেউ,ঝড় আসে মেঘলা
আকাশ,কালো মেঘে ঢেকে যায় দিক,
বাতাস বইছে জোরে,মাছ,পাখি,মানুষ
এবার জোট বাঁধে,প্রতিরোধ গড়ে।

https://goraps.com/fullpage.php?section=General&pub=537231&ga=g​

মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)

কাঞ্চনজঙ্ঘা

মুখের
ওড়না সরানো
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা দিচ্ছে
পাঞ্জাব, শিলিগুড়ি,ধুপগুড়ি, জলপাইগুড়ি
যেখানেই যাও তুষারশৃঙ্গ দেখবে
কষ্ট করে আর দার্জিলিং যেতে হবেনা।

আমরাই ঢাকা দিয়েছিলাম তার মুখে ওড়না
ভাবিনি প্রকৃতি একদিন শোধ নেবে
পাপের ফসল ঝড়ছে গুঁড়িগুঁড়ি
মানুষ এবার শিখছে
প্রকৃতিকে হারানো
দুঃখের।

(২),

তখন এখন 

একটা
সময় ছিল
স্বপ্ন ছিল দেদার
চুলে তখন লক্স ছিল
চোখের পাতায় ঝিলিক দিত মাসকারা
বন্ধু মহলে দিতাম খুশি মত আসকারা।  

এখন আমি হয়েছি দেখি শিকড় ছাড়া
ভীতি,অবিশ্বাসে আজ ঝুলি ভরা
জীবন শুধু দুঃখ দিল
অভাব আজ মজার
ঘুরিয়ে দিল
পথটা।



        তোমার জন‍্য
             বিপ্লব গোস্বামী

                  তুমি আছো অন্তরেতে
                  আছো হৃদয়জুড়ে।
                 আছো স্বপ্নে,জাগরণে
                  ভাবি দিন,দুপুরে।

                 তুমি আমার প্রথম প্রেম
                 তোমাতেই প্রেমের গুরু,
                তুমি আমার জীবন সাথী
                 তোমাতেই শেষ -শুরু।

               তোমার প্রেমে অন্ধ আমি
                  বুঝি না ভালো মন্দ,
                পদ‍্য লিখতে করি ভুল
                  হারিয়ে ফেলি ছন্দ।

              লোকে আমায় মন্দ বলে
                  তাতে দেই না কান,
             তোমার জন‍্য সইতে রাজি
                  হোক না অপমান।



https://goraps.com/fullpage.php?section=General&pub=537231&ga=g

       তোমাকে
               হামিদুল ইসলাম
                 

বধূঁ ফিরে যায়
কলসি কাঁখে
জলকে চল
জল ছুঁয়ে দেখি
জলে উত্তাপ  ।।

নিরুত্তাপ তোমার হৃদয়
হৃদয় ভাঙি
গভীর রাত
ঘামে ভেজা শরীর
উত্তপ্ত ভাত  ।।

হারিয়ে যায় প্রতিদিন
নদীতে জোয়ার
জলে গা ভাসাই
নগ্ন শরীর
চাঁদের রোশনাই  ।।

ফুলে ফুলে ভ্রমর
মধু শুষে খায়
নিস্তব্ধ মাঠ
কাঁচা কাঁচা প্রেম
তোমাকে জড়িয়ে ধরি নিবিড় কামনায়  ।।




নতুন দিশায়
         ভাগ্যশ্রী রায়

একা গায়
ঘন কুয়াশায়
স্নেহের চাদর
আদর ছড়ায়
কে হেঁটে যায়
বনরাজি ছায়
মায়া বোলায়
আকস ব্যথা
কাল বোশেখ
কথায়, আজ
আষাঢ় থামে
জলের ফোঁটা
কান্না নামে
আকাশ নীল
পায়রা ভেজে
আলোর খোঁজে
নতুন দিশায়।



https://goraps.com/fullpage.php?section=General&pub=537231&ga=g

আড়ি
    অশোক কুমার পাইক

      
জানিগো জানি এদিন মোরে
লইবে নাগো আপন করে ,
খেলবে নাগো খেলার  সাথী
ধূলার পরে হাতটি ধরে l

মঠের মাঝে নানান সাথী
করছে খেলায় মাতামাতি
কোমর ধরে পরস্পরে
মনের সুখে নাচছে মাতি l

খোঁপায় বাঁধা বনের ফুল,
কর্ণে দোলে ঝুলন দুল,
কণ্ঠে শোভে পুঁতির মালা,
কাজল চোখে নয়তো ভুল l

চলার পথে চকিতে দেখা
মনের মাঝে জাগছে রেখা
কাঁকন ভরা হাতটি নেড়ে
লাজুক চোখে লুকায় একা l

নূপুর পায়ে, ডুরেল শাড়ী,
কৃষ্ণ কেশে লাগছে ভারী,
ওষ্টে রাঙা হাসির ছলে
আমার সাথে করছে আড়ি l

পথের ধারে ফুলের বাগান,
উড়ছে পাখি গাইছে গান,
আপন মনে খেলছে শিশু
তাহার সাথে মধুর টান l

গাছগাছালির ঝোপের আড়ে
দাঁড়িয়ে দেখি থাকতে তারে,
আঁচল দিয়ে মুখটি ঢেকে
আড়চোখে চায় বারে বারে l

যতেক শিশু পিছন দিয়ে
জড়িয়ে তারে ধরলো গিয়ে
অমনি দেখি ধপাস করে
পড়লো বসে তাদের নিয়ে l

ফাঁকটি করে গাছের পাতা
হামাগুড়িই তুলছে মাথা,
সবাই খেলছে লুকোচুরি
আমার সঙ্গে আড়িপাতা l

যাবে আমার এদিন চলে
সূর্য শিখা পড়ছে ঢোলে,
কখন খেলা সাঙ্গ করে
ফিরছে তারা গাঁয়ের কোলে l

ফেরার পথে শেষ ঝলকে
পিছন ফিরে এক পলকে
আড় নয়নে তাকায় শুধু
ফুলের হাসি মুখ-আলোকে l

বেলা শেষের নাইগো বাকি
কুলায় ফেরে বনের পাখি,
গোয়ালে ফেরে মাঠের গরু,
সবার ফেরায় চেয়ে থাকি l




বিভাগ-লিমেরিক
         শংকর হালদার

রাজারাণীর অগ্নি পরীক্ষা পাঁচ বছর পর
প্রাসাদ ছেড়ে দ্বারে ঘোরে নিতে আমজনতার বর ।
ভিক্ষা মাগে গদির তরে
লুটিয়ে প্রণাম কর জোড়ে ,
গদির স্বপ্ন পূর্ণ হলে আমজনতাই পর ।


https://goraps.com/fullpage.php?section=General&pub=537231&ga=g

ও পাড়ার হাবুল
       আব্দুল রাহাজ

ওপাড়ার হাবুল ও বেটা
বেজায় কাবুল।
সবাই যেন ক্ষিপ্ত তার উপর
কারণ হলো  সারাদিন গ্রামের ছেলে মেয়েদের নিয়ে হইহই করে খেলা ছুটির মধ্যে পড়াশুনা সব চালের মাথায় তোলা হাবুল হাবুল বলে সারাদিন মাথায় করে তোলে বাবা মায়ের ওরা। ওইযে হাবুল বেজায় কাবুল থাকে মানুষের‌ আপদে বিপদে।
কারোর কাছে‌ ভালো কারোর কাছে খারাপ
এভাবে চলে হাবুল বেজায় কাবুল  এর দৈনন্দিন জীবন।




    ভিসুভিয়াস 
       পিনাকী  মুখার্জী
          
            উত্তপ্ত  আবেগ  শ্বাসরুদ্ধ
         পঞ্জর  কম্পনে বিক্ষুব্ধ  !!
          সহস্র  ফনা  তুলে  আসে ধেয়ে  ,
      অলিন্দ  নিলয় বিষ বাষ্পে ছেয়ে  !!

        তপ্ত  শোণিত  ফুটন্ত  অন্তরে
           সূর্য  হতে  জন্ম  লগ্ন  ধরে  !!
         জীবনে যুদ্ধ কর্ণের অবিশ্রান্ত ,
       মাতৃ  মিলনে  পরিতাপ হবে শান্ত  !!

           নিঃশব্দ  অভ্যন্তর  ভাঙন
         তপ্ত  শোণিত  ভস্ম উদ্গীরণ  !!
        আগুনে  আগ্রাস বদলের আশ্বাস ,
                        ভিসুভিয়াস  !!



   অন্তহীন 
         সৌম্য ঘোষ

যতবার ছুঁয়েছি তোমার ভেজা ঠোঁট
অবনত হয়েছো লজ্জায়
আরো কিছুর  নীরব প্রত্যাশায় ।
আর সৃষ্টি হয়েছে একটি
একটি কবিতা।
এমন অনেক কবিতা আছে আমার--
কিছু পড়েছি তোমার কিশোরী বেলায়,
কিছু পড়েছি তোমার রমণী বেলায় ।

দেখলাম তোমার সৌন্দর্য
আবৃত অন্তহীনতার দিকে  ।।




নেপাল ছবির মতো সুন্দর  এক দেশ
         চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

বাড়ীর পাশে সুন্দর নেপাল  ছবির মতো দেশ,
সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যায় ফিরলাম ঘরে,
মনে লেগে আছে নেপালে বেড়ানোর রেশ৷
হাজার হাজার নেপালী বাঙ্গালী হিন্দু মুসলিম,
মিলেমিশে সবাই আছে,
যখন সময় পাই,
আমি চলে যাই ভালোলাগা,ভালোবাসার সেইসব মানুষদের কাছে৷
কলকাতা থেকে ৬০০ কি.মি. দূরে দার্জিলিং এর পাশেই নেপাল,
রাস্তাঘাটে চলেও মজা,
এদিকে মিষ্টির চেয়ে বেশী পছন্দ করে মাংস আর ঝাঁল৷
প্রতিদিন রাত হয়,আবার রাত শেষে দেখা দেয় সুন্দর সকাল৷



আমি মরে গেলে
          উমর ফারুক

আমি মরে গেলে
খুলে দিও দরজার খিল
ছোট্ট হৃদয়ে বিধৌত ক্বলব
আজরাইল নিয়ে যাবে।
পূবের হাওয়া আর একটি লণ্ঠন
খেয়ে যাচ্ছে ভোরের নিশ্বাস ।
জিবন সন্ধ্যে আকাশের মেঘ।
বারান্দা থেকে তাকে শুনতে পাচ্ছি
যেন টান দেওয়া দড়ি!
অতিকায় দানবের মত শূন্যে ওড়ে
শূন্যে ভেসে যায়
কমলার পাতার সুগন্ধ নিয়ে ।
আসমানের দিকে তাকিয়ে
সর্বত্রই দেখি আমি হৃদয় বিদ্ধ ছুরিটা।





জীবনের হিসাব
          অনাদি মুখার্জি

জীবনের খাতায়  প্রতি
পাতায় ,,যতোই লেখো হিসাব নিকাশ,!
জীবনের শুরু সেই শূণ্য আর ফেরা হবে সেই শূণ্যতা নিয়ে !
দিন যায় দিন আসে কেউ চলে যায় ,
সময় যেন ডাকে যেন পিছু ইশারায়!
মাঝে মাঝে কারোও সাথে হয় পরিচয় ,
বালুর চরে মতোন কেউ বা হারায় !
জীবনের চলার পথে কি করি কাজ ,
কাউকে দেওয়া নেওয়া রাখি আমরা হিসাব !
ভালো মন্দ সেই কাজ বুঝি না বাপু ,
কাজ করে নিজেকে ভাবি বড়ো সাধু !
কখনো বা  স্মৃতি দিয়ে অতিত কে হারায় ,
কালের শ্রোতের তালে সব কিছু হারিয়ে যায় !
কত আশা ভালো বাসা  প্রাণের থেকে যায় ,
জীবনের সব কাজের হিসাব খাতায় লিখে যায় !
এই ভাবনাই আমার জীবন শেষ হয়ে যায় ,
সব হিসাভ লেখা আছে ঐ বিধাতার খাতায় !
তাই আমি ভাবি এক মনে,
আমাদের জীবন টা খেলাঘর যে !





নীড় ভাঙে
      সুস্মিতা দে

দরজাতে দরজাতে বেদনার ছবি। আর শিশু মন কতো  সংগ্রাম করবে। বিশ্বজুড়ে  সাধারন মানুষের  মনে আজ জাগছে দেখা দাও  প্রভু  তোমার  চরনে আমাদের  প্রনাম  নমস্কার ।
বনমূয়রী মেতে ওঠে  আকাশের মেঘে?  শ্রাবণের কালো মেঘ মল্লার তুমি ভৈরবী গান গাইতে থাকো , উদাসীন বাউল এলোমেলো হয়ে যায়। কোথায় কোথায় একতারা  নিয়ে তানসেনের সুরে ঐক্যতান সুর ধরে  দিনে রাতে আপন মনে ঘুরে চলে।    আমার মেয়ে দুষ্টু না সে পাতাগুলো পরিষ্কার করে  কতো ভাঙা নীড়ের  মতো চোখ তুলে আমাকে বলে।

আমায় জায়গা দে না নীড় ভেঙে গাছের কোন পাতা নেই  অবসাদে বাঁচতে চায়না ।
পাখির মা সন্তানের কষ্ট  সহ্য করতে না পেরে  ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে পিক পিক করে ডাকে।
  ছানা গুলো কি
ঝোড়ো হাওয়ায় এদিকে  সেদিক হয়ে যাবে  চিন্তা করিস না ।
  মা মা বলবি না  মা ভালোবাসা কি পাপ?।
দে তোর পাখি ছানাদের নরম কাপড়ে জড়িয়ে ঠাকুরের ঘরে রাখি।
রামকৃষ্ণ দেব ঠাকুরের উক্তিটি ছিল স্বামীজির কাছে  বহুরূপে সম্মুখে ছাড়ি কোথা  খুঁজিছো  জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিচ্ছে ঈশ্বর । আমি তো  তাই করছি মা ? পাখিরা জীব না ? তাই বুঝি? আমাদের মতো  ওদের প্রান আছে ? বল মা? ।
আমি তোকে শিশুদের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আরো অনেক রূপকথার বই কিনে  দেবো ।






👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 






1 টি মন্তব্য: