মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

Upokontha Sahitya Patrika Bengali megazine-09/02/2021

 

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 09/02/2021


**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 09/02/2021, মঙ্গলবার
               সময় :- রাত 09. 45 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

It's Chocolate Day Today!
~ Raja Debroy & Panchali Deb

On the lover's head, a big load.
He has to get an expensive one of good label,
else love will be blowed.
He justifies "Kids eat chocolate",
but his girl is stubborn.
Further he says, "You will spoil
your beautiful teeth".
Oh! Don't worry, she replies "I have a strong
toothpaste, all the cavity will perish from keith"
Ok, I will purchase one, but let us share.
This is how we will show, we care.
The chocolate purchased with the intention
that they both ate. Alas ! She did checkmate.
She announced "I kept three fourth for myself!"
"I can show I care, but not with
my lover's gift as it is very rare."





শীত যায় যায় করছে..তাই..
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

শীত যায় যায় করছে তাই..
আমার তো ভীষন ভালো লাগছে৷
শীতকালে কৃষাণ  রমণীদের কষ্ট
আজও  আমি  ভুলি নাই৷
ভোরবেলা উঠে গোয়ালঘর পরিস্কার,উঠোন ঝাড় দেওয়া,,
বাসন মাজা সবই করতে হয়,
অথচ তাঁদের জীবন আলেখ্য কেন সাহিত্যর পাতায় নয়?
কত ধানে কত  থাকে  পাতান
কত হয় চাল?
অট্টলিকার সব  নারী জানে কি সেই হিসাব?
পাড়া গ্রামে নারীরা কঠিন  পরিশ্রম দ্ধারা ,
সুন্দর করে তোলে ,
প্রতিটি  সকাল৷





মনের ভাবনা
       গল্প
কলমে ,,অনাদি মুখার্জি

আজ 9ই ফেব্রুয়ারি এই দিনটার জন্য  ক্যালেন্ডারে দাগ দিয়ে রেখেছে ! আজ তো চকলেট ডে সেই উপলক্ষে ফ্রিজ থেকে ডাইরি মিল্কটা বের করে রাখলো ! আকাশ এখন অফিসে যাবে, তার আগে তার হাতে এই ডাইরি মিল্কটা দিয়ে হ‍্যাপি চকলেট ডে উইশ করবে ! আকাশ সব কিছু গুছিয়ে অফিস যাবার জন্য বের হয়,তখন দিয়া তার হাতে চকলেট দিতে যায় তা দেখে আকাশ বললো এখন আমার সময় নেই তোমার কথা শোনার এখন অফিস চললাম !
আকাশের এত  ব্যাস্ততা দেখে দিয়া ভাবলো আকাশ এখন অনেক পাল্টে গেছে ,সব সময় কিছু বললেই কাজের অজুহাত দেখিয়ে চলে যায় ! কিন্তু একদিন এই আকাশ তাকে পাবার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা তার জন্য সময় বের করতো ! সেই দিনের কথা গুলো মনে করলে দিয়ার চোখের জল আসে !
একদিন দিয়ার কলেজ ছুটির পর সেই বাড়ি ফিরছিলো তখন রাস্তায় মধ্যেই আকাশ কে  দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ,আকাশ কে দেখে দিয়া বললো কার জন্য দাঁড়িয়ে আছো তুমি ! আকাশ উফ তোমাকে দেখার জন্যই একঘন্টা ধরে অপেক্ষা করছি ! দিয়া হাসতে হাসতে বললো আমাকে তোমার প্রেমের জালে ফাসাতে গেলে সময় তো দিতে হবে তার সাথে   কিছু খরচ করতে হবে ! সেই কথা শুনে আকাশ বললো তোমাকে একটু দেখতে পাবার জন্য আমি  সারাদিন অপেক্ষা করতে রাজি ! দিয়া বললো আচছা তবে এখন চলোতো বাবু আমাকে ফুচকা খাওয়াতে নিয়ে চল ,আকাশ বললো ওকে ইয়ার চলো ! ফুচকা খেতে খেতে আকাশ দিয়াকে বললো কাল একটু পার্কের মধ্যেই দেখা করো ,দিয়া বললো কেনো ? আরে এসোই না এলে বুঝতে পারবে ! পরের দিন ঠিক কথা মতোন দিয়া অনেকক্ষণ ,কিছু বাদে আকাশ কে দেখে দিয়া বললো আমার সাথে কথা বলতে গেলে তোমাকে পাংচুয়াল হতে হবে বুঝলে ,আকাশ ঘাড় হেলিয়ে বললো ওকে ম্যাডাম ,কিন্তু আজ একটু দেরি হলো কেনো জানো ? তোমায় মনের মধ্যেই এই দিন টা সারাজীবন মনে থাকে এই জন্যই ! দিয়া বললো কেনো আজ কি বিশেষ দিন, যে মনে রাখতে হবে ? আকাশ তখন তার হাতে থাকা বড়ো একটা ক‍্যাডবেরি দিয়ার হাতে দিয়ে বললো হ‍্যাপি চকলেট ডে ,আজ চকলেট দিবস এই দিনে তোমার প্রিয় জিনিস তোমার হাতে দিয়ে তোমার মুখের মিষ্টি হাসি দেখতে চাই ! দিয়া তার  ভ্রু নাচিয়ে হুম বলে তার ভেতরটা একটা সাধারণ দিনটা ও কেমন যেনো স্পেশাল হয়ে গেলো ! তখন দিয়া চকলেট ভেঙে একটু মুখে দিয়ে আকাশের মুখে গুজে বলে  থ্যাংকস বলে এই দিনের কথা আমি কোনোদিন ভুলবো না ! তার পর থেকে আকাশ প্রতি বছর এই দিনটি তে দিয়া কে অনেক ধরনের চকলেট উপহার দেয় !দিয়াও খুব ভালো বাসে চকলেট খেতে তাই তো সেই এই দিনটা মনে রেখেছে !
আকাশের সাথে দিয়া বিয়ে হয়ছে পাঁচ বছর , আর এই দিনটি দিয়া ও আকাশ পালন করে আসছে কিন্তু আজ এখন আর সময় নেই আকাশের কেন এমন হলো হঠাৎ মা বলে একটা শব্দ কানের মধ্যেই আসতে দিয়া চমকে উঠে পিছনে তাকায় দেখে তার একমাত্র মেয়ে ঝিলিক কে !
রাতে অফিস থেকে এসে সোজা আকাশ তার বেডরুমে চলে গেল ,খানিক বাদে দিয়া আকাশের বেডরুমে এসে দেখে আকাশ তার ল‍্যাপটপে সামনে বসে তার কাজের রিপোর্ট লিখছে ,দিয়া তখন আকাশের সামনে চকলেট টা রাখে ,সেই চকলেট দেখে আকাশ বলে ,তুমি কি করছো বলতো আর এত চকলেট তুমি খাচছো কেন ? তুমি জানো তোমার বেবি হবার পর তোমার ওজন বেড়েছে তাই তোমার চকলেট খাওয়া বারণ ! এই চকলেট খেলে তুমি মোটা হয়ে যাবে ! যাও এখন সামনে থেকে ,দিয়া বললো আজ চকলেট ডে হ‍্যাপি চকলেট ডে আকাশ ! দিয়ার মুখ থেকে ঐ কথা শোনার পর আকাশ বললো আরে তুমি একটা বাচ্চা মেয়ে মতোন কেন করো ! উফ তোমাকে নিয়ে আর পারি না দেখছো তো আমি এখন ব্যাস্ত  প্লিজ তুমি আমাকে ডিসটার্ব করো না !
আকাশের মুখে এই কথা শোনার পর দিয়া অভিমানে চোখের জল নিয়ে তার বেডরুমে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো ! কিছু বাদে আকাশ এলো শোবার ঘরের এসে দেখে দিয়া তখন ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে ,তা দেখে আকাশ দিয়ার পাশে বসে বললো আরে তোমার কি হয়েছে ,এমন কেনো করছো ! তখন দিয়া বলে উঠলো যাও তোমার ল‍্যাপটপে কাছে থাকো ,সব সময় কাজ নিয়ে থাকো ,আমাকে তো আর ভালো লাগে না তোমার ,কিছুই মনে নেই সব ভুলে গেছো ! দিয়ার মুখে এই কথা শুনে আকাশ বললো সব মনে আছে কিছু ভুলে যায়নি ! এই দিনটা তে তোমাকে চকলেট দিতাম আর হ‍্যাপি চকলেট ডে বলতাম ! বলে তো তোমাকে আমি পেলাম আমার জীবনে ,আর তুমি ও আমাকে সব কিছু উজাড় করে দিলে , তোমার জন্যই আজ আমি মেয়ের বাবা হলাম ,কিন্তু কি জানো তুমি আর আমার মেয়ে আসার পর   আর কিছু চাই না , এই নিয়ে সুখে থাকতে চাই! এর মধ্যেই যা আছে তা কোনো চকলেট অথবা রোজ ডে আর মানায় না ! কই দাও তো চকলেট বলে দিয়ার হাত থেকে চকলেট নিয়ে ঝিলিক কে উঠাতে লাগলো আকাশ ! ঝিলিক উঠে বলে কি হলো পাপা ,আকাশ তখন তার মেয়ে কে চকলেট দিয়ে বললো হ‍্যাপি চকলেট ডে সোনা ! থ্যাংক কিউ পাপা বলে ঝিলিক ! তখন দিয়া উঠে রান্না ঘরে দিকে পা বাড়াতে আকাশ খপ করে দিয়ার হাত ধরে বলে এসো কাছে ! দিয়া সামনে আসতে আকাশ তার পকেট থেকে একটা বড়ো ক‍্যাডবেরি বার করে দিয়া হাতে চকলেট দিয়ে বলে হ‍্যাপি চকলেট ডে ইয়ার ! দিয়া তখন তার হাত থেকে চকলেট নিয়ে ভেঙে আকাশের দুই গালে মাখিয়ে বলে খুব শয়তান তুমি ! তাদের মেয়ে ঝিলিক  কে জড়িয়ে ধরে দিয়া বলে হ‍্যাপি চকলেট ডে আকাশ সত্যি তুমি খুব ভালো !



গোয়ালে গাড়া গয়না
অঞ্জলি দে নন্দী, মম

আমি চৈতন্যবাটী গ্রামের নন্দী বাড়ীর মেয়ে ছিলাম। আমাদের গোয়ালের এক কোণে কয়লা ঢালা থাকতো। তা ভেঙ্গে আঁচ দেওয়ার জন্য একটি বড় পাথর এই ঢালা কয়লার গা ঘেঁষে রাখা থাকতো। একটি লোহার হাতুড়ি দিয়ে ওই পাথরের ওপরে বড় কয়লার চাঁই রেখে ঘা মেরে মেরে মেরে ভেঙে, একটি বেতের ঝুড়িতে করে বয়ে রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে মাটির উনুনে আঁচ দেওয়া হত।

এই কয়লার নীচে মাটির মেঝে শাবল দিয়ে খুঁড়ে তার মধ্যে একটি পেতোলের বাক্সে সোনার গয়না রেখে, তা তালা দিয়ে বন্ধ করে, গেড়ে রাখা গত। কয়েক শো ভোরি সোনার গয়না। মণিও। সোনার মোহোর। রজত অলংকার, মুদ্রা ও বাসন।

আমার মনে পড়ে আজ, টিনের চালের নীচে এতো অমূল্য সম্পদ.......





বাংলা আমার মাতৃভাষা
       বিপ্লব গোস্বামী

বাংলা আমার মাতৃভাষা
বাংলা আমার চির আশা।
বাংলা আমার সব ভরসা
বাংলা আমার জীবন সরসা।

বাংলায় আমার জন্ম তাই
পৃথিবীর রূপ দেখিতে না চাই।
বাংলায় দেখি প্রথম সবিতা
তাই লিখি বাংলায় কবিতা।

যে ভাষার রাখতে মান
ঊনিশ একুশ নিলো প্রাণ।
এপারে ঊনিশে ওপারে একুশে
তাইতো বাংলার মান  সর্ব দিশে




কবিতা---
    অটুট বন্ধন
কলমে-শান্তি দাস

মায়ের কোল ছেড়ে একদিন এসেছিলাম তোমার হয়ে,
তোমার হাত ধরে তোমার ছোট্ট কুটির মাঝে।
প্রথম জীবনটা কেটেছিল মোদের আনন্দে উল্লাসে,
আজ ও মনে পড়ে সেই বিরহে বেদনার দিনগুলো।
সংসারের দায়িত্ব পালন ঝড়ের গতিবেগে  প্রতিমুহূর্ত,
বুঝতেই পারতাম না দিন শেষে বছর পেরিয়ে যেত।
হাসি, ঠাট্টা,সুখ দুঃখ সবগুলোই ছিল এর মাঝে,
ছেলে,মেয়ে নিয়ে সুখে দুঃখে পেরিয়ে গেল অনেক বছর।
প্রত্যেকে এখন তারা তাদের নিজের দায়িত্বে,
হারিয়ে গেল সেই দিনগুলো আজ বার্ধক্যের দোড়ে।
এখন তো ছেলেমেয়ে মা বাবাকে বোঝা মনে করে,
ছেলেমেয়ে নিজের দায়িত্বে বাবা মাকে ভুলে আছে।
জীবনে চলার পথে আমরা একে অপরে নির্ভর করে,
জীবন চলার পথে নিত্য সঙ্গী রূপে হৃদয়ের বন্ধনে।
স্বামী,স্ত্রীর বন্ধন রয়ে যাবে চিরতরে অটুট বন্ধনে,
একে অপরের হাত রেখে চলব শেষ নিঃশ্বাসে।
এই দুটি মনের বন্ধন এই যে অটুট বন্ধনে আবদ্ধ,
একে অপরের সুখে দুঃখে দুজনে থাকবো চিরকাল।
সাতপাকে বাঁধা পড়ে দুটি মনে,এক হয়ে চলবো একসাথে,
এই বন্ধন যে চিরদিনের জন্য রয়ে যায় অটুট বন্ধনে।





কবিতা -       
        রাঙা   অস্তরাগে
     কবি -   পিনাকী  মুখার্জী
        
                  সকাল  সাঁঝ  পূব পশ্চিম ,
                    রন্ধন  , তারই  ইন্ধনে  !!
                নিজের  ঘরে  মনটা  ফেলে ,
                    পথেই  রসদ  সন্ধানে  !!

               জীবনের  বোঝা  কাঁধে  তুলে ,
                     মেঘের   সারি   হয়ে  !!
                 ভরবে  দুচোখ , ছোট্ট  ঝর্ণা ,
                      উঠলে  নেচে - গেয়ে  !!
      
                 বর্ষার  ভাগে  রঙিন  স্বপ্ন ,
                   আমার  ধূসর  কালো  !!
               শরৎ  শীতে  ফেরিওয়ালা , কাঁধে
                       মস্ত   পেঁজা  তুলো    !!

                  বদলের  নামে  ব্যাপন  শুধু ,
                   একজোট  ওরা  অনুযোগে  !!
                মন ক্যানভাস , তারই  আভাস
                   পশ্চিমে ,  রাঙা  অস্তরাগে  !!
                ****************************



কবিতা
ডাকছে যখন রাজপথ
কলমে-মিনতি গোস্বামী

সব ভুলে, দেদার মশগুলে, মাতন যখন এই সভায়
সেই ঠেকে,চোখ রেখে, পৃথিবী নত হয়েছে লজ্জায়,
মাটি ভুলে, আলপথ তুলে, মাটির বুকে চলছে লড়াই
খাবার খুঁটে,বুক ঠুকে, বাঁচছে  দেখি কিছু চড়াই।

ঘামে বোনা, রক্তে গোণা,শ্রমে হচ্ছে নতুন মিনার
শ্রমিক ধুঁকে, যাচ্ছে ফুঁকে, দেখতে পায়না দিশা বাঁচার।

লাঙ্গল আছে,কাস্তে আছে, বিপ্লব দেয় নতুন দিশা
লড়িয়ে জান, গেলে প্রাণ, আসবে হাতে বাঁচার ভিসা,
এগিয়ে চলো, শ্লোগান তোলো,ডাকছে কুয়াশা ঢাকা রাজপথ
দেখতে চাইলে, আনতে চাইলে, সাতটি ঘোড়ার সেই সূর্যরথ।



  ধর্ষক
ঐশিকী সিংহ

সমাজের কথা ভাবলেও অাজ
কাঁটা দিয়ে ওঠে গায়ে,
রাস্তার কিছু কুকুর,শেয়াল
নিষ্পাপ মেয়েকে ছিঁড়ে খায়।

যেই হাতে নিজের বোনের
চোখের জল তোরা মোছাস,
সেই হাতে অন্যের বোনের
সন্মান তোরা ঘোচাস।

এক মেয়েকে হত্যা করে
শূন্য করিস মায়ের বুক,
সেই আনন্দেই মেতে উঠিস
আর তাতেই পাস সুখ।

মা-বোনেরা আতঙ্কে থাকে
ভয় পায় বারো-মাস,
ওই মানুষরূপী পিশাচগুলো
সমাজকে করছে ক্রমশ গ্রাস।

সব পুরুষরাই ধর্ষক নয়
বাড়িতে বাবা আমারও আছে,
কুকুর গুলো যাতে মানুষ হয়
প্রার্থনা করি ভগবানের কাছে।।




ওদের গ্রামে শীতের আমেজ
আব্দুল রাহাজ

রাহুল রতন শফিক রা বসবাস করত এক সুন্দর সবুজে রাঙানো এক মনোরম পরিবেশের মধ্যে। গ্রামটি চিত্রা নদীর পাড়ে পতিত আছে সেই আদি দিগন্তের কাল ধরে। শীতের সময় ওদের গ্রামের পরিবেশ যেন অন্য রূপে ফুটে ওঠে চারিদিকে । চিত্রা নদীর পূর্ব পাশে পরিযায়ী পাখিরা দল বেঁধে থাকে শীতের দিনগুলোতে। বেশ আনন্দ করে কাটে ওখানকার মানুষের প্রান্তিক হলেও পারস্পরিক মেলবন্ধন ছিল চোখে পড়ার মতো। শীতের সময় ওদের গ্রামে মাঠ গুলোতে‌ সবজি সরিষা হতো ধান হত এই সময়ে গ্রামের মানুষ কৃষি কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকত সেইসাথে পরিবেশ ফুটে উঠত এক অন্য রূপে। ওরা অবাক চোখে দেখত এই প্রকৃতির লীলাখেলা সত্যিই ওদের গ্রামের শীতের আমেজে পরিবেশ ফুটে উঠত সূর্যের  দ্বীপ্ত রাশির মত। ওদের গ্রামের শীতের দিনের সৌন্দর্যতা মানুষের মুখে যে চওড়া হাসি এসব দেখে প্রকৃতি মা বেশ প্রত্যক্ষ করতো আজীবন ধরে শীতের হিমেল বাতাসে ওদের গ্রামের মেলা বেশ জমে উঠত নানা রঙে সম্প্রীতির মেলবন্ধন সবমিলিয়ে শীতের আমেজ ওদের গ্রামের পরিবেশকে যেরকম বৈচিত্র্যের মতো  ফুটিয়ে তুলতো ঠিক তেমনি প্রান্তিক মানুষগুলোর চোখে মুখে একটা শান্তির ছায়া দেখতে পাওয়া যেত মুখে চওড়া হাসি ফুটে উঠত। এইভাবে ওরা শীতের দিন গুলো উপভোগ করে আসছে চিরবসন্তের হাত ধরে।





      সবুজ ঘোড়া
বদরুদ্দোজা শেখু

এক দঙ্গল সবুজ ঘোড়া যাচ্ছে ছুটে' পাহাড়-পুরে
নৈঃশব্দ্যের ধুলোর মতো ভৌতিকতা বাজছে ক্ষুরে
জমাট সবুজ ভঙ্গিলতার নিবিড় তরাই উপত্যকায়
রূপকথার এক পক্ষিরাজের  লাফ শোনা যায় হাওয়ার পাখায়
ছুটছে দূরে দুঃসাহসী ধূসর ধূমল শৃঙ্গশ্রেণী
টেক্কা দেওয়া ফুল্ল কেশর কৃষ্ণ মেঘের মুক্ত বেণী
দূরে কোথাও দুর্বিনীত দেমাক -ভরা বেহেড মাতাল
ধমক খেয়ে থমকে' আছে চক্রবালের সমান্তরাল
রুক্ষ চূড়াও গ্রাস করবার করছে ভীষণ গোঁয়ার্তুমি,
কোথাও বেঘোর ঘুমিয়ে আছে পেয়ে চিরোল চারণভূমি ,
পাহাড়গুলোও ডিঙোয় পাহাড় দৃশ্য বটে দেখার মতো
মুলুক-জোড়া তালুকটি তার খেয়ালিপনার মজ্জাগত,
মধ্যপথে বিরুদ্ধ যেই টগবগিয়ে ছোটার নেশা--
খণ্ড শিলার ঢিবির খোঁচে দাঁত খিঁচিয়ে হাঁকছে হ্রেষা ।
পিঠের উপর শহরগুলোর নকশীকাঁথার পালান চ'ড়ে
রূপ -সওয়ারী মানুষগুলো যাচ্ছে বিভোর বল্গা ধ'রে
দৃশ্যরাজির, দারুণ পুলক-রোমাঞ্চিত আকাশ-চেপে',
স্বভাব-ভীরু দিগবালিকা সান্ধ্য শিখায় উঠছে কেঁপে
অস্পষ্ট দিগ্বলয়ে,পৃথিবীটাই ওলটপালট
করার নেশায় উচ্ছ্বসিত অশ্বগুলো ঘোর একজোট ।
ওলটপালট হচ্ছে অবাক মগ্ন মনের সূপ্ত শিথিল
সমতলের অভিজ্ঞতার জাড্য-প্রবণ বধির ফসিল,
উন্মোচিত হচ্ছে ক্রমেই নতুন থেকে নতুনতরো
দিগন্ত যার বিচিত্রতায় বসুন্ধরা যে কতো বড়ো !
অন্ধকারের কালো পিঠে উথলে'-ওঠা শিলার
ঢেলায়
চাঁদতারাদের লেপ্টে থাকার নৈসর্গিক নীরব খেলায়
অঙ্কিত এক ঐশীস্তর ভারসাম্যের শুদ্ধ চুমো,
দূর নীলিমায় ভর করেছে অভ্রভেদী ভেলার ডুমো ।
মধ্যযামে উধাও মায়ার দিগভ্রান্ত তেপান্তরে
ভয়ার্ত ঘোর হাঁকলো হ্রেষা অমানিশার রুক্ষ ঝড়ে,
শীতের শহর চূড়ার চড়াই পেরিয়েই সে পড়লো বুঝি
মুখ থুবড়ে ' ,থমকে ' গণি অনিশ্চিত আয়ুর পুঁজি !
হাতড়ে' বেড়াই মগ্ন মনে ঘুমন্ত ঘোর দৃশ্যের সংলাপ ;
মনের ঘোড়া সবুজ ঘোড়া আকাশে দ্যায় আকাশে দ্যায় লাফ ।।



সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

Upokontha sahitya patrika web Bengali megazine- 08/02/2021, Monday

 Upokontha sahitya patrika web Bengali megazine- 08/02/2021, Monday

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 08/02/2021


**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 08/02/2021, সোমবার
               সময় :- রাত 07. 45 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

Propose Day
Panchali Deb & Raja Debroy

Today is 'Propose Day',
Boss! But what do I propose,
friendship or love?
Proposal means 'love proposal'
or a refined, secret urge?
If I offer love today,
what will I do on the 14th?
Things perplex me but
still I am on full charge.
Will I go empty handed or
propose with chocolates and rose?
But, yesterday was rose day and
tomorrow chocolate day!
Will this days lose their significance
if with these things I propose?
The more I think about these,
I get stuck in the maze,
and I am doubtful if ever
someone can clear this haze?



সোনার শিক্ষা
বিপ্লব গোস্বামী

বর্ণ  শিখে ছোট্ট সোনা
মায়ের কাছে বসে ;
বাবার কাছে সংখ‍্যা শিখে
সোনা অঙ্ক কষে ।

আমার কাছে বসে সোনা
শিখে মজার ছড়া ;
বাবার কাছে গিয়ে শিখে
শতকিয়ার পড়া।

মায়ের কাছে জানে সোনা
কোথায় কোন দেশ,
বাবার কাছে শিক্ষা পায়
যত সৎ উপদেশ।





স্মৃতির_পাতায়
     শান্তি_দাস

আজও ভেসে উঠে মনের কোনে স্মৃতির আবহনে,
স্মৃতির পাতায় রাখা আছে মনের জাগরণে।
কত সুন্দর সেই দিনগুলো ইচ্ছে জাগে ফিরে যেতে,
সেই ফেলে আসা ছোটবেলা,খেলা আর খেলা মেতে থাকা।

সেই স্মৃতি গুলো ছোট বেলার অকপটে ছবি আঁকা,
সকাল হলে বর্ষার জমানো জলে কাদামাটি মাখা,
বৃষ্টি ভিজে ভিজে আম গাছের তলায় কুঁড়িয়ে আম খাওয়া,
কচু পাতার ছাতা নিয়ে ঘুরাঘুরি করা জল ছিটিয়ে দেওয়া।

ঝরা আমগুলো কুঁড়িয়ে,গামছায়  করে হতো আনা,
বন্ধুরা সবাই মিলে আম কুঁচিয়ে ভর্তা মাখা সবার জানা।
বড় ইচ্ছে জাগে,সেই দিন গুলো ফিরে পেতে,
সেই দিনগুলো রান্নাবাটি খেলায়  থাকতাম মেতে।

মাটি দিয়ে ভাত রান্না আর গাছ থেকে সবজি পাতালতা,
কি আনন্দ কি আনন্দ ছুটে বেড়াতাম যেথা সেথা।
সন্ধ্যা হলেই মায়ের বকুনি পড়তে বসতে হবে জোর,
সারাদিনের ক্লান্তি পড়তে বসলেই  চোখে ঘুমের ঘোর।

অতীত কিন্তু নয়কো মোর বর্তমানকে ভুলে থাকা,
অতীত আমার স্বপ্ন মধুর স্মৃতির আবেগ জাগা।
নিজের ছবি দেখি যখন ভাবতে লাগে মনে ব্যথা,
পুরনো সেই দিনগুলো স্মৃতির পাতায় গাঁথা।





দিন চলে যায়....
চিত্তরঞ্জন দেবডূতি
(টাইগার হিল  থেকে)

দার্জিলিং জেলায় টাইগার হিলে...
অনেকের  মতো  আমার  হয়  আসা,
কথা বলে গল্প করে দিন চলে যায়—
মানুষের প্রতি মানুষের বাড়ে আরো ভালোবাসা৷
ঘড়ির কাঁটাকে থামতে দেখি নি কখনো আমি,
সাগর পাড়ের কবি বান্ধবী মধুমিতা,
আজো কি বসে বসে সাগরের ঢেউ গোনো  তুমি?
দিন তো ঠিকই  চলে  যায় !
কালো চুলে ধরে পাক সাদা কেন হয়?
উত্তর তো জানা আছে সবার!
সবাই আসে আবার চলে যায়,
কিছু দিনের এই নাট্যশালায়—
কেউ বুঝি  কারো নয়?
দিন শেষে সবাই যে যাঁর মতো ফিরে যায় ঘরে,
কত সুন্দর এই টাইগার হিল,তবু সে একা থাকে পড়ে!





বর্তমান সময়ে হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব
(প্রবন্ধ)
আব্দুল রাহাজ

আজ আমরা বর্তমান সময়ে আধুনিকতার মায়াজালে জড়িয়ে পড়েছি এই সুন্দর পৃথিবী ধরা তলে। কোথাও যেন শিশুমন সবুজ পৃথিবীর মায়া কে উপভোগ না করে জড়িয়ে পড়ছে আধুনিকতার মায়াজালের মধ্যে। শহরাঞ্চলে এর প্রভাব বেশি আস্তে আস্তে দেখা যায় গ্রাম বাংলার সুন্দর পরিবেশে এর গ্রাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ‌‌। একবার সুজন অনেক বছর বাদেই মামার বাড়িতে গেছে গ্রীষ্মের ছুটিতে ইস্কুল বন্ধ সুজন বেশ ভালো ছাত্র গ্রামের সব বন্ধুরা আর কেউ খেলাধুলা করে না কেউ আর নদীর পাড়ে বসে গল্প করে না কাউকে ডাকতে গেলে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু সুজন কয়েক বছর আগের কথা চিন্তা করলে সুজনের মনটা বেশ আনন্দে ভরে উঠত। দক্ষিণ পাশের ওই মাঠে ফুটবল ক্রিকেট খেলায় ভরপুর হয়ে থাকতো‌ সারাদিন নদী পারে কতইনা খেলা করেছে ওরা এখন আর সেসব কিছুই হয় না। আস্তে আস্তে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে ওরা এবার ছুটিতে তাই সুজন মামার বাড়িতে যাবে। রাজগঞ্জের ঘাট থেকে কালু মাঝি নৌকায় উঠে  মামার বাড়িতে গেল সেখানকার পরিবেশ অপরূপ মায়া দৃশ্য এ সজ্জিত বেশ ভালো লাগে সুজনের । কিন্তু সেই হৈ হুল্লোড় আর নেই কনক নদীর পাড়ে বসে সুজন একা একা বসে ভাবে সত্যিই আধুনিকোত্তর মায়াজাল বিস্তার করছে অতি দ্রুত ছেলেবেলার শৈশব আর নেই হয়ে যাচ্ছে সূর্যের নিস্তেজ আলোর মতো কোথাও যেন মিলিয়ে যাচ্ছে। সুজন এসব কথা ভাবতে ভাবতে মামার  বাড়ি থেকে ফিরে এসে প্রকৃতির কল্পনায় বাকি সময়টা কাটিয়ে দিত ছাদে বসে কিংবা নদীর পাড়ে বসে। সুজন ভেবেছিল আর বোধ হয় তেলি পাড়ার মাঠে ফুটবল খেলা হবে না নদীতে আর সেই হইচই করে স্নান হবে না। শৈশব পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ঘর বন্দী হয়ে যাচ্ছে যা খুবই হতাশ এবং কালো অন্ধকার ডেকে আনছে শিশুমনের সামনে।





কবিতা
শিরোনাম-তুরুপের তাস
কলমে-মিনতি গোস্বামী

বেকারি বাড়ছে, হতাশা বাড়ছে, ধুঁকে ধুঁকে মরে জনগণ
ঢোল পিটে, ঢাক পিটে , মঞ্চে ফানুস ওড়াচ্ছে উন্নয়ন
খাদ‍্যে লাইন, স্বাস্হ্যে লাইন,লাইন হাঁটছে সোজা চিতায়
কেউ জানেনা, কেউ বোঝেনা,কার ঘাড়ে বর্তায় দায়।

ভোট এলে দলে দলে, নেতারা. হয় মুসকিল আসান
পরের নষ্টে, থাকে কষ্টে, কেঁদে কেঁদে বুক ভাসান।

ভোটে জিতে, যাবে মেতে,কালো টাকার কাম ধান্দায়
আর্জি নিয়ে,চটি খুইয়ে, পাবেনা আর সেই বান্দায়,
ভাবতে হবে, বোঝাতে হবে, হাতে পেলে তুরুপের তাস
নেইতো খোকা,ন ইতো বোকা, মাটির মাঝে আমাদের বাস।






  চোখ
অনিন্দ্য পাল

পাপকে দেখা যায় না,
নিজের বা পরের
চোখকেও কি চেনা যায় পরিচিত রং
আর  ছন্নছাড়া মেঘের দিকে না তাকালে?

পাপী খানিকটা খরগোশের মত
আড়াল গুলো আরো একটু বুদ্ধিমান হতে পারতো
অথবা নিজেরাই হেসে উঠতে পারতো
খরগোশের মত উদ্বিগ্ন নিশ্চিন্ততায়
তারপর পাপ এবং পাপী আবার ভোরবেলা!
পাপ
পাপী
এবং চোখ
যতদূর চোখ যায় দৃষ্টি টপকে যায় জিহ্বার পাঁচিল
কোন শব্দ আর এগোয় না রেটিনার দিকে
ওরা বুঝে যায় পাপ নয়
পাপী নয়,
আসলে সমস্ত নরক লুকিয়ে আছে
চোখের অনন্তশয্যায়...






Rose and thorn
©Mom
I pray to God, Hey! Dear!
Bless me, bless! Bless! Bless!
Kindly gift me a new birth
As a lovely rose
On this earth.
But he send me as thorn of rose.
So, i become fear,
Not love, yes....Yes....Yes...
I take place very near of rose.
Yes, too near!
Yet, i am not rose.
Then I complain against my God.
Why did you do it?
You have no blessing on me, dear!
Then he says,
You are too dear of rose.
Because you save her always.
Then I believe that God is ever good.
He will do good, does good and did good.
Yes, he can, could.






নারীর প্রত্যুক্তি
✍  এমাজদ্দিন সেখ

অতি উত্তম কবি ;  বলেছেন যখন সংস্কৃতির কথা !
কীআর করা ! ছাড়ান দিলাম ; 
বরং শ্রেয় চুপটি করে থাকা !
কিন্তু , যদি সব ভগিনী একযোগে কয় বিদ্রোহের গাথা ! 

:-- সংস্কৃতি মানে কি ডোবার জল ,
অচলায়তনের বদ্ধ দরজা ,
কুপমণ্ডক হয়ে সাগর মাপা ?
সেও তো স্রোতস্বীনি পদ্মা মেঘনা মুক্ত ধারা ---- 
স্থানু হলে কেনই বা গর্ব এতো , পাল্লাদিয়ে ভার্সিটি গড়া ?
সেই তো গোয়ালের ঝি ;  রান্না ঘর আর আঁতুর ঘর !
তার বাইরে জগৎ সভা পুরুষ সিংহ রাজের কাছাড় !!

কেনই বা তবে মিছে শ্রম , আধুনিকতার গান গাওয়া ?
লোক দেখানো ভরন !!! 
মুক্তি যুদ্ধে , স্বদেশি যুগে কেন আশ করা ; 
ভগিনী , রমণীরে সঙ্গ পাওয়া ?? 
জগৎ সভায় এগোতে হলে চাই-ই চাই নারীরও সমান কাঁধ মিলিয়ে অগ্র পানে হাঁটা ;
বেশের দোহাই পেরে , খোঁচা দিয়ে কেন বিদ্যজন হয় পথের কাঁটা ??
যদি তিনি বঙ্গ সংস্কৃতির অগ্রণী বীর ভ্রাতা !!
যদি , বাংলা ও বাঙালি রমণীর শাড়িহীনতা হয় অপসংস্কৃতি ; 
তবে বস্তা বন্দি ,শাসন ফন্দি ,
খাঁচার চিড়িয়া দেখার ঔদ্ধত্ত্ব ও পুরুষ সিংহের অপরাধ , এ বিধান দুষ্কৃতী !! 
ধর্ম কি এতোই ঠুনকো !! 
বেশ  ভুষার স্পর্শকাতরতায়  ফাটবে ফানুস ,
ভাঙবে মাটির হাঁড়ি ???
বিধান শুধুই নারীর বেলা ?
পুরুষের বেলা "ব্র্যাভো" !!
শাড়ি -  চুড়ি-  বোরখায় ঢাকা মানেই আহা কী পরেশগাড় , লাবণ্য ছুড়ি ! 
পুরুষ কেন লুঙ্গি ছাড়া , বেশ হারা ?
প্যান্ট ,ব্লেজার আর সানগ্লাসে রক, মেহেফিলে বসে ভাঙছে অবলা বোনের মাথায় হাজার সামন্ত যুগ বিধানের হাতুড়ি ???





প্রবন্ধ
  মহাশ্বেতা দেবী
    -  অগ্নিমিত্র

  মহাশ্বেতা দেবী বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র । ১৯২৬ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি । স্বামী বিজন ভট্টাচার্য ছিলেন খ্যাতনামা নাট্যব্যক্তিত্ব । বাবা মণীশ ঘটক কল্লোল যুগের নামকরা সাহিত্যিক । কাকা ঋত্বিক ঘটক সুবিখ্যাত নির্দেশক । একমাত্র পুত্র নবারুণ ভট্টাচার্যও বিখ্যাত কবি ও ঔপন্যাসিক ।  মহাশ্বেতা ভট্টাচার্য অনেক ভালো ভালো গল্প ও উপন্যাস উপহার দিয়েছেন বাঙালি তথা ভারতীয় পাঠককে , যেমন হাজার চুরাশির মা, রুদালি,  অরণ্যের অধিকার ইত্যাদি । সমাজের বঞ্চিত, নিপীড়িত শ্রেণীর কথা তাঁর কলমে উঠে এসেছে বারবার । লিখেছেন সাঁওতালী ও আদিবাসী মানুষদের জীবনগাথা। লিখেছেন শিশুদের জন্যও। বাংলা সাহিত্যের এক স্তম্ভ ছিলেন ইনি।
  এই সুমহান ব্যক্তিত্ব ভূষিত হয়েছেন জ্ঞানপীঠ ও ম্যাগসাইসাই পুরস্কারে । ২০১৬ সালে ওনার প্রয়াণ হয়।
আজ ১৪ই জানুয়ারি মহাশ্বেতা দেবীর উদ্দেশ্যে অকুন্ঠ শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।।

রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 07/02/2021

  

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 07/02/2021


**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 07/02/2021, রবিবার
               সময় :- রাত 06. 45 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


গোলাপের অনুভূতি
         গল্প
কলমে.......... অনাদি মুখার্জি

লাল গোলাপ হলো নাকি সৌন্দর্য ও প্রেমের প্রতিক ! বহু  গল্পের মধ্যেই নাকি বার বার ঘুরে ফিরে আসে সেই রক্ত গোলাপে কথা !  সময়ের সাথে সাথে প্রেমের ধরন বদলে গেলেও কিন্তু প্রেম নিবেদনের ভাষা হিসাবে লাল গোলাপের আবেদন চিরন্তন ! তাই তো আজ শুভ সেই লাল গোলাপ কিনে তার প্রিয় সাথি রিয়া হাতে দিয়ে তার মনের কথা বলবে ! রিয়ার সাথে তার অনেক দিনের সম্পর্ক ,সেই সম্পর্ক আসতে আসতে কত গভীর চলে গেছে তবুও তারা দুই জনে মুখে কিছু বলেনি ! লাল গোলাপ যদি ভালোবাসা প্রতিক হয় তবে এই লাল গোলাপ দিয়ে রিয়ার মনের কথা জানতে হবে তার সাথে শুভ ও তার ভালোবাসার কথা জানাবে ! প্রেম হলো এমন একটা জিনিস যা চোখের ভাষায় মনের অনুভূতি গুলো বুঝে নিতে হয় এই সব অনুভূতি গুলো মুখে বলা যায় না !  সত্যিই তাদের ভালোবাসা ছিল এক অন্য ধরনের কিন্তু কি ভাবে সেই ভালোবাসা তাদের কে জড়িয়ে ফেললো এক অন‍্য অনুভূতি ছোঁয়ায় ! আজ খুব মনে পড়ে সেই দিনের কথা !
শুভ তখন কলেজের পড়ে ,একদিন কলেজের লাইব্রেরি তে বই আনতে গিয়েছিল শুভ ,সেই খানে রিয়ার সাথে তার দেখা ! প্রথমে রিয়ার বলে উঠলো আপনি কি এই কলেজের নতুন ? রিয়ার মুখে এই কথা শুনে শুভ বললো কি যে বলেন আমি নতুন কেন ? আপনি মনে হয় নতুন ! রিয়া বলে উঠলো না আমি নতুন নয় কিন্তু আপনাকে তো আগে দেখেনি ! শুভ বললো দেখবেন কি করে চোখে তো চশমা লাগিয়ে থাকলে ! রিয়া তখন তার চোখের চশমা খুলে বললো কিন্তু আমি আপনাকে চিনি আপনি তো সোমার দাদা তাই না ! শুভ অবাক হয়ে বললো আপনি সোমার বনধু ! হুম রিয়া বলে তার হাতে একটা বই দিয়ে বললো এই বইটা জন‍্যই আপনি লাইব্রেরী তে এসেছেন তাই না ! কি আশ্চর্য এই বইটা জন্য আমার আসা কি করে জানলেন শুভ জানতে চাইলো তখন ,রিয়া হেসে বললো আমি সব কিছুই বুঝতে পারি বলে রিয়া চলে গেলো ! তারপর থেকে তারা কলেজের দেখা হলে কথা হতো ,টিফিনের ফাঁকে একসাথে ফুচকা খেতো বা কখনো মাঠে বসে গল্প করে সময় কাটাতো ! একসময় শুভর কলেজের শিক্ষা শেষ করে সেই একটা ভালো কোম্পানি তে চাকরি পেলো ! সেই খানেও রিয়া কে দেখতে পেয়ে বলে আরে তুমি রিয়া ! রিয়া বলে হুম এই কোম্পানি তো আমার বাবার ,তাই আমি আছি বুঝেছো ! একদিন শুভর মায়ের অবস্থা খুবই খারাপ হলো ,শুভর তার মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাজে গেল তখন ডাক্তার বললো তোমার মায়ের হার্টের অবস্থা ভালো নেই এখুনি অপারেশন দরকার ! এই অপারেশন করতে  প্রায় লাখ টাকা লাগবে ! সেই সময় রিয়া তার কাছেই ছিল সব শুনে রিয়া বললো বেশি চিন্তা করো না আমি আছি যা টাকা লাগবে আমি দেব ! শুভর মায়ের অপারেশন হবার পরেও রিয়া সব সময় তার মায়ের দেখাশোনা করতে লাগলো ! শুভর মা ভালো হয়ে উঠলো এই সব দেখে একদিন শুভ রিয়াকে বললো সত্যিই তুমি যা করেছো তা কল্পনা করা যায় না ,তোমার টাকা টা কি ভাবে শোধ করবো তা ভাবছি ! রিয়া তখন তার মুখে উপর হাত টা চেপে ধরে বললো এই সব থাক না ! আমার খুব ভালো লেগেছে তোমাকে তাই তোমার কষ্ট দেখে আমি করলাম সব ! তখন শুভ রিয়ার হাত টা টেনে নিজের হাতের ওপর রেখে বললো তোমার কাছ থেকে টাকা নেওয়া টা আমার ভুল ছিল না কারন আমি ও তোমাকে খুবই ভালোবাসি ! তাই দেখো বিধাতা মানুষ কে কিছু সমস্যায় ফেলে দেয় আর যে মানুষ টা তার পাশে থেকে সব সমস‍্যা সমাধান করে দেয় আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় আমি জানি তুমি ও আমাকে সেই রকম ভাবে ভালোবাসো কিন্তু আমরা কেউ কাউকে বুঝতে দিইনি ! আমার জীবনের তোমার ভালোবাসা কতটা তা আজ বুঝলাম ভাবেনি কোনোদিন তোমার কাছে এত ভালোবাসা পাবো ! আজ তোমাকে একটা কথা বলতে চাই যা কোনোদিন তোমাকে বলতে পারেনি ! যেদিন তোমাকে আমি প্রথম দেখেছি সেই দিন মনের মধ্যেই একটা অনুভূতি পেয়েছি আজ তোমাকে বলে দিতে চাই ! রিয়ার তখন শুভর হাত খানি ছেড়ে বললো তোমার মুখ থেকে এই কথা গুলো শুনে আমার মন খুব আনন্দ হচছে কিন্তু এই ভাবে শুনতে চাই না ! আমার ইচছে এক গুচ্ছ লাল গোলাপ এনে দিয়ে আমাকে বলো শুভ বলে রিয়া চলে গেলো ! রিয়ার মুখে এই কথা শোনার পর ভাবলো আজ রোজ ডে ভালো দিন তাই সেই মনের আনন্দে এক গুচ্ছ লাল গোলাপ এনে রিয়ার হাতে দিয়ে বলবে আমি তোমাকে ভালোবাসি রিয়া !
কিছুক্ষণের মধ্যেই শুভ বাজার থেকে এসে রিয়া দিকে তাকিয়ে বললো দেখো তোমার জন্য কি এনেছি ! রিয়ার হাতে লাল গোলাপ দিয়ে বললো হ‍্যাপি রোজ ডে ,
রিয়া এক হাতে লাল গোলাপ নিয়ে অন্য হাতে শুভর হাত ধরে ধরে রইলো তার চোখে উপর চোখ রেখে !  একে অন‍্যের মাঝে হারিয়ে গেলো ! অনেক ক্ষণ পর বললো রিয়া সত্যিই গোলাপ ফুলের কি গুণ আমার অনুভূতি গুলো এই ফুলের মাঝে আছে , তখন শুভ এক হাতে গোলাপ নিয়ে অন্য হাত দিয়ে রিয়াকে জড়িয়ে ধরে বললো তুমি তো আমার গোলাপ তাই তো আমার সব অনুভূতি প্রকাশ গুলো তোমার কাছে ধরা পড়ে !



Rose Day
~ Raja Debroy & Panchali Deb

Today is 'Rose Day',
Ample of roses bloom!
Today the price is much high,
Traders are  happy,
feels like they would reach the sky!
Gifting a flower today makes you cool!
Should the colour of the flower be red?
If I give another colour,
would I look like a fool?
Why pay today?
Is it just to be a part of this mad race?
No sense in it I am telling you,it has no base!
I don't wanna ruin the suprise.
Everyone has lost their intellect!
We are running like a fools,
doing whatever we want,
without analyzing the fact!
Honestly, these days are wrong,
This month actually makes us drool
and believe me it isn't cool
as we become the greatest 'Fools'!



মানুষ  সবাই  নেই  তো  মানুষ......
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি
(দার্জিলিং  জেলা  থেকে)

মানুষ  সবাই  তবু অমানুষ  আজও  কিছু আছে,
চোখের  সামনে  তাই  তো  দেখি—
কিছু মানুষ  নামছে  কত  নিচে,
পশু? তারা  তো  অনেক  ভালো,
করে না এতো রকমের শয়তানি!
আমাদের  চারপাশে  ভালো  মানুষের  পাশে
কত  শয়তান  আছে,
তা  আমরা  অনেকে  তো  জানি৷
ঐসব  শয়তান  না  থাকলে  আরো  সুন্দর হতো আমাদের এই  দেশ  খানি৷





শিরোনাম- কৃষক বন্ধু
কলমে-মিনতি গোস্বামী

ঘর ছেড়ে, সংসার ছেড়ে, আজ রাজপথে বসে ওরা
তোষামোদী জনগণ,সুখী মন , কতদিন চুপ থাকবে তোমরা?
পেটের ক্ষুধা, মনের সুধা, সব মেটাই ওদের দানে
ভাই বলে, বন্ধু বলে,মেলাইনা ওদের প্রাণ প্রাণে।

ওরা জানে, ওরা মানে , ওদের দেশ ওদের মাটি
দেহের চেয়ে, প্রাণের চেয়ে, ফসল মায়ের মত খাঁটি।

লোভ নয়, লালসা নয়, ওরা চায় ফলাতে ফসল
ঘাম দিয়ে, রক্ত দিয়ে, পেতে চায় মাটির দখল।
জীবন নিয়ে, পরিবার নিয়ে , লড়ছে তাই শেষ লড়াই
বোধ জাগিয়ে,বিবেক জাগিয়ে, ওদের সঙ্গে থাকো সবাই।





ক্ষমা করো মা
             বিপ্লব গোস্বামী

  যে পতাকার জন‍্য হাসতে হাসতে
  সীমান্তে সেনা জীবন করে দান,
যে পতাকার জন‍্য স্বাধীনতা সংগ্ৰামে
  শত শহীদ করেছে আত্ম বলিদান।
হায় ! আজ সেই পতাকার অপমান !!

  হায় ! আজ সেই পতাকার অপমান !!
আজ কৃষক বেশে , বীর শহীদের দেশে,
শত শয়তানের উত্থান, পাকিস্থানী প্রেতাত্মা
দেশদ্রোহী সব বলছে জয় খালিস্থান !!
ক্ষমা করো মা ! আজ তব ঘোর অপমান !!

  ক্ষমা করো মা ! আজ তব ঘোর অপমান
আর নয় সহন , এবার পাল্টাতে হবে ধরন,
   হতে হতে কঠোর , করতে মিরজাফর দূর।
দিতে হবে ফাঁসি , ফোটাতে মায়ের হাসি,
সবাই মিলে গাইব ভারত মায়ের জয়গান।

সবাই মিলে গাইব ভারত মায়ের জয়গান
   যে দেশের সৌরভে ,বীরত্বের গৌরবে
মুগ্ধ বিশ্ববাসী, সে মায়েরে বড় ভালোবাসি।
   কখনো সইব না সে মায়ের অপমান
   সদা গাইব ভারত মায়ের  জয়গান।




নতুন প্রভাতের আলো
     আব্দুল রাহাজ

রোহিত শামীম তনুশ্রী মোহাম্মদ ওরা সবাই সেদিন চিত্রা নদীর পাড়ে খেলা করছিল। পূর্ব আকাশে সূর্য তার নিস্তেজ আলো ভূমিতে পড়ছে যে সূর্যের আলো সারাদিনটা বৈচিত্র্য নিয়ে ফুটে উঠেছিল চারিদিকে সে এখন নিস্তেজ হয়ে পড়েছে তাই না শামীম এটা বলেছিল তনুশ্রী হ্যাঁ তাইতো। কিন্তু দেখ সকালের নতুন প্রভাতের আলো বেশ সুন্দর লাগে আমাদের তাই না কি অদ্ভুত এই পৃথিবী ধরাতল ওরা এসব আলোচনা করছিল। হঠাৎ দূর থেকে সূর্যের অন্তিম আলোর নিচ দিয়ে রাখাল বালক বাঁশি বাজিয়ে গরুর পাল নিয়ে যাচ্ছে বাড়ির দিকে ওদিকে পাখিগুলো দূর আকাশে উড়ে যায় তার বাসস্থান এর দিকে কি দৃশ্য দেখলো আজ। ওদিকে মাগরিবের আজান হচ্ছে শামিম মোহাম্মদ দৌড়ে ছুটে গেল মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরল সন্ধ্যেবেলায় সবার সাথে দেখা পন্ডিতমশাইয়ের বাড়িতে ওরা এবার পড়াশোনা করবে।  শীতের ভাবটা যেন আসতে শুরু করেছে এবারে আগে থেকেই ওরা সেটা বারবার প্রত্যক্ষ করছে । চারিদিকে যেন নতুন নতুন ভাব ফুটে উঠেছে এসব নিয়ে ওরা কথা বলছিল নিজেদের মধ্যে তারপর পণ্ডিতমশাই এসে ওদের ইতিহাস-ভূগোল গণিত পড়িয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। শামিমার মোহাম্মদ ঠিক করে ফজরের নামাজের পর প্রভাতের নতুন আলো দেখবে চিত্রা নদীর পাড়ে গিয়ে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলো তারপর আস্তে আস্তে সূর্যের আলো ফুটে উঠল চারিদিকে যেন উজ্জ্বল হয়ে উঠলো সবকিছু তার রশ্মিতে এটা দেখে বেশ আনন্দ পেয়েছিল সে দিন। নতুন প্রভাতের আলো দেখে ওরা শপথ নিয়েছিল নতুন কিছু করার সেদিন থেকে এইভাবে ওরা নতুন প্রভাতের আলো উপভোগ করতে করতে কোথাও যেন তারা জীবনের শেষ সায়াহ্নে উপস্থিত হয়েছিল আস্তে আস্তে পড়াও যেন এই পৃথিবী ধরা তলে সূর্যের আলোর মত হারিয়ে গেল।





সত্য কথার শক্তি
ঐশিকী সিংহ

শুনতে তিতে হলেও
কথাগুলো হয় খাঁটি,
সত্যকে খুঁজতে গেলে
বাঁধতে হয় অনেক আঁটি-ঘাঁটি।

সব দেখে শুনেও
রাখতে হয় মুখ বন্ধ,
সমাজের কাছে অভিনয় করতে হয়
যেনো আমি একেবারে অন্ধ।

সবই দেখি সবই বুঝি
সবাই তাই পট্টি পরায় চোখে,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে
সবাই আঙুল তুলবে তোকে।

মুখের ওপর সত্য বল
বাচাল বলবে তোকে,
যদি নিই মিথ্যে আশ্রয়
সমাজ তুলে ধরবে আমাকে।।






   বড় খোকা
শ্রীকান্ত মালাকার

বয়সের ভারে জীর্ণ আমি
শীর্ণ এই শরীল।
কন্ঠের জোরও কমেছে আমার তাড়া মারলেও পালাই না বিড়িল।

পাঁচ সন্তানের মা আমি
তবে ভীষণই বোকা।
আমার দায়িত্ব নিয়েছে সব
একমাত্র বড় খোকা।

বাছা আমার বড়ই ভালো
পেয়েছে বহু কষ্ট।
সংসারের প্রতি যে দূঢ় টান
দেখা যায় তা স্পষ্ট।

খুব ছোটতেই অভাবী সংসারের
নিয়েছিল খোকা ভার।
ভাইরা সব ধনী হয়ে গেল
পারলোনা শুধু ও আর।

জমানো টাকা খরচ করে
দিয়েছিল বোনটার বিয়ে।
বাপের নামে কিনেছিল বলে
ভাগ দিল ঝামেলায় না গিয়ে।

জ্যেষ্ঠ পুত্র হওয়া সত্ত্বেও
বঞ্চিত ছিল আমার আদর।
ছেঁড়া শোইটার পরছে নিজে
কিনেছে নতুন আমার চাদর।

বড় খোকা মোর সোজাসাপ্টা
করতে পারেনা অভিনয়।
আমার নামের সব নিয়েছে
আদরের ছোট ছেলে চিন্ময়।

সেজো ছেলে তো ঘরজামাই
পেয়েছে শ্বশুরের সম্পত্তি।
আলিশান ঘরে আমাকে রাখতে
বৌমার খুব আপত্তি।

মেজো ছেলে ফ্লাট বাসি
একমাত্র চাকরি করে সেই।
টাকার লোভে এসেছিল ছুটে  বাপের সম্পত্তি ভাগ হল যেই।

বড় খোকা মোর ভীষণ ভালো
এখনো করে বাপের শেখানো কাজ।
শাসন-ভালবাসায় বেঁধে রেখেছে আমায়
ওর মধ্যেই বাবাকে দেখছি আজ।।







পাহাড়ের উল বােনা নারী
     বদরুদ্দোজা শেখু

মহিলাটি বুনছিলো উল,
কাঁটা আর ক্ষিপ্র আঙুল
ফুটিয়ে তুলছিলো ফুল
ভিড়ের শহরে মশগুল
                  মনের সড়ক জুড়ে রূপের মোড়ক

গুলমােহরের মতো ফুল্ল বিপুল
লাবণিতে চাহনির সব
রঙটুকু ছেয়েছিলো বিভাের নীরব
আত্মমগ্ন অবয়ব
                আকাশের নীল জুড়ে ভেসে যাওয়া বক ;

শখ নয়, চক খড়ি চক নয়, সম্মােহন নয়,
চারিপাশে ব্যস্ততার বিরক্ত বিষয়
যেন তার অধিগম্য নয় কিছু, ক্রেতার দঙ্গল
পাশ দিয়ে চলে যায়, সুখী বেনােজল
পাহাড়ের ঢলে যেন দাঁড়ায় না ; বানায় সে নেপথ্যচারিণী
পরিচ্ছদ বিপণির সানুদেশে সৃজন-মুখর বিকি-কিনি ।




কৃষকদের কথা
মহীতোষ গায়েন

আদৌ কি তারা কৃষক ছিল
যারা লাঠি,তরোয়াল হাতে,
লালকেল্লায় যে তাণ্ডব হলো
গেল আন্দোলন ভিন্ন খাতে।

কৃষকদের দাবি সঙ্গত ছিল
সেটা বিলক্ষণ জানি সবাই,
নেতাদের দোষে বেসামাল
পথ ইজ্জত গেল জবাই।

জাতীয় পতাকার অবমাননা
তোমাদের উচিত ছিল না ভাই,
দেশের সম্মান ও দশের সম্মান
হোক রক্ষিত সেটাই সবাই চাই।

কৃষক তুমি তরোয়াল ছেড়ে
ধরো লাঙ্গল,কোদাল,কাস্তে,
দাবি পূরণে পথেই নামো
আন্দোলন করো বাঁচতে।




প্রাপ্তি
বাপন দেব লাড়ু

বুকের মধ্যে জমে উঠেছে,
একটুকরো বিষাদ...
ঐ দূর ছায়াঘেরা ঝাউগাছ  সমুদ্র সৈকত থেকে
নিঃশব্দে আমি দাঁড় টেনে যাই আকাশ-ঘাটে...

নীলিমায় সময় ভেসে যায়,
তট টুকুই শুধু জেগে থাকে একা,
ঠিক যতটুকু জেগে ছিলে তুমি...

এ যেন এক নিঃসীম সময়ের মাঝে ডুবে থাকা;
সারাদিন হাত পা লাফালাফি করলেও,
মাথা এখনো মেনে নিতে পারেনি,
কতটুকু পেতে গিয়ে হারালাম কতটা?



প্রবন্ধ 
আজকের দিনে যুব সমাজ যেখানে দাঁড়িয়ে
কলমে ডঃ রমলা মুখার্জী

যুব সমাজ হল জাতির ভবিষ্যৎ, দেশের আশা-ভরসার কেন্দ্রস্থল; কারণ জাতীয় জীবনে যে কোন গুরুত্বপূর্ণ কর্মে, যে কোন আপদে-বিপদে যুবসমাজ অগ্রণী এবং সাহসী ভূমিকা পালন করে। কিন্তু বর্তমানে আর্থসামাজিক পরিবেশের কারণে আমাদের দেশে  বেশ কিছু যুবক আজ সন্ত্রাস ও হত্যার মত অপরাধমূলক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছে। তাদের মধ্যে আজ নৈরাজ্য, অবক্ষয়, হতাশা, ব্যর্থতা ও আশাভঙ্গের আর্তনাদ প্রায়ই শোনা যাচ্ছে। বৃহত্তর যুবসমাজের মঙ্গলের কথা ভেবে এই অবক্ষয় থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সচেতন যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের ভুলে গেলে চলবে না জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্মরণীয় অবদান রাখা তাদের কর্তব্য।
আজকের যুগে যুবক-যুবতীরা বেকারত্বের হতাশায় ক্লান্ত। অথচ যুবক-যুবতীরাই হচ্ছে দেশ ও জাতির প্রাণশক্তি। যুবসমাজকে বাদ দিয়ে জাতীয় জীবনে উন্নতি ও অগ্রগতির কথা ভাবাই যায় না।  এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে সমাজে শুধু যে হতাশা বাড়ছে তা নয়, বরং নানাবিধ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দ্বারাও সমাজের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও যুব শক্তিকে আত্মকর্মসংস্থানে উদ্ধুদ্ব করে তুলতে হবে, নতুবা বিদেশী সামগ্রীর প্রতি নির্ভরশীলতা থেকে আজকের যুবসমাজকে মুক্ত করা যাবে না।
     যুব সমাজই হল দেশের সচেতন নাগরিক। তাই জাতি গঠনে তাদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। যৌবনই হল মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ কর্মসাধনের আদর্শ সময়। এ সময় যে কোন ত্যাগ স্বীকারে ব্রতী হওয়া সম্ভব কারণ এই সময়ে মানুষের কর্মে উদ্দীপনা থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই জীবনের যাবতীয় দায়িত্ব নেওয়ার আদর্শ সময় হল যুবক বয়েস। আমাদের দেশ বহু দিক থেকে পিছিয়ে আছে। অজ্ঞতা ও কুসংস্কার আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাসা বেঁধেছে। এই করুণ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এবং রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, ধর্মনীতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য যুবসমাজ নেতৃস্থানীয় ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। আগামী দিনের দক্ষ কর্মকর্তা ও দক্ষকর্মী হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার জন্য জীবনে তাদের ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে হবে। জাতীয় নানা সমস্যা ও সম্ভবনার সাথে একাত্ম হওয়ার মধ্যে দিয়েই যুবসমাজ জাতিগঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।






   ঘুমন্ত ঈশ্বর 
      সৌম্য ঘোষ

  এখন আমি ফুলের ভাষা, পাখিদের ভাষা,
  সমস্ত রাতের নক্ষত্রদের ভাষা বুঝতে পারি ।
  মানুষের  স্বজ্ঞায় গাঢ় মুগ্ধতায় দেখেছি --
  বহু ঈশ্বরের জন্ম,
  ঈশ্বরের মৃত্যুও  দেখেছি সামনে ।

   'কে  ঈশ্বর ?   ছিল কি কেউ ?'

  একসময় সবাই ছিল মানুষ
  ঈশ্বরের আবির্ভাব তারপর…...

  নিজেকে কষ্ট দেওয়ার আগে,
  নিজেকে নষ্ট করার আগে,
  বোঝেনি মানুষ সেকথা ।
  শ্মশানের দীর্ঘ শূন্যতায়......
  কবরের দীর্ঘ অপেক্ষায়........
   যোগ- বিয়োগগুলো  বোঝে ।

   বহুকাল ধরে, গাঢ় শূন্যতার মাঝে ,
   এখন বোঝা যায়........
    আলো ও অন্ধকারে ঘুমন্ত ঈশ্বরকে ।।





      যেমন   খুশি  সাজো
          পিনাকী মুখার্জী

             মেঘের   মাঝে  মুখের  ছবি ,
               চোখে  রূপকথারই  খোঁজ  !!
             ভাঙাগড়া , ভোল  বদল দেখে ,
                চোখ  কপালে  হররোজ  !!

                রাম  চলেছে  ধনুক হাতে
                     করতে  রাবণ  বধ  !!
            এবার  হবেই  ইচ্ছেপূরণ , যুঝে
                 আশা ,  জীবন  মূল্যবোধ  !!

              আশার  বাদল ,  ফানুস  হয়ে  ,
                 হাওয়ায়  খানিক   দূরে  !!
                রাবণ  ভিখারী ,  সাধুর  বেশে ,
                     যখন  যেরূপ  ধরে   !!

                  রাক্ষস  আর  বাঁদর  গুলো
                        দেদার  ছুটে  মরে  !!
                   রামায়ণ  দুষ্টু  মেঘের  দলে   ,
                        বদল   দুচোখ   ভরে  !!






                জীবন
     হামিদুল ইসলাম
              

সূর্যের উত্তাপে পুড়ে যায় মন
রোদ এসে ভীড় জমায়
        মাস্তুলের উপর
পাগল হাওয়া হয়ে যায় পর ।।

নৌকো ছেড়ে দিই সমুদ্র বরাবর
অথৈ জলে পুনর্জন্ম নেয়
            আশার ফুল
প্রতিদিন ভরে ওঠে মনের উপকূল  ।।

নৌকোর ছইয়ে ব‍্যস্ত জীবন
জীবনকে ভেঙে দেখি বারবার
            অবচেতন মন
রাতের আঁধারে খুলে দেয় দুনয়ন ।।






'নিয়ম করে সবাই ফিরে আসে'
       আমিরুল ইসলাম

নিয়ম করে সূর্যটা ঠিক আজকেও
পূবের দুটো পাহাড়ের বুক চিরে, রক্তরাঙা-
গাঢ়, লাল-হলুদ আকাশের বুকে গা-ভাসিয়েছে।
বিশ্রামহীন ক'টা কাক সদ্য সকালে আজকেও
চৌরাস্তার মোড়ে দেবদারু গাছের নিচে -
প্রাণহীন ডাস্টবিনটিতে হামলা করেছে।

প্রকৃতির নিয়ম মেনে আজকেও ঘাসের ওপর,
মটরশুঁটির ডগায়, অগণিত শিশির জমে
সবুজকে- আরো গাঢ় সবুজ তাজা করে তুলেছে।
নিয়ম করে আজকেও ভুখাপেটে প্রজাপতির লুকোচুরি শিউলি,বেলি, সরিষার ফুলে ফুলে।
নিয়ম করে সূর্যটাও ধীরে ধীরে উপর থেকে -
আরো উপরে অবিরত উঠেই যাচ্ছে।

নিয়ম করে পৃথিবীতে সূর্যের আলো
প্রদীপের মতো আজকেও অক্ষত অচ্ছুত।
নিয়ম করে সবই চলছে চারপাশে,
নিয়ম করে সবাই ফিরে আসে রোজ,
সন্ধার আকাশ মেঘাচ্ছন্নতা কাটিয়ে তারাদের বুকে সাজিয়ে তার সৌন্দর্যে ঠিক ফিরে আসে সময়ে।
বেগানা,মুসাফিরও ঠিক সময় ফিরে তার অস্থির গৃহে
কেবল তুমিই এলে না।
                     ******সমাপ্ত*****

সোমবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২১

Upokontha Sahitya Patrika -11/01/2021

Upokontha Sahitya Patrika -11/01/2021

 Upokontha Sahitya Patrika -11/01/2021


উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 11/01/2021

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 11/01/2021, রবিবার
               সময় :- রাত 09 টা. 30 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

              আরশিনগর
           হামিদুল ইসলাম
              

কি থেকে হঠাৎ কী হয়
      জানি না কিছু
বন্ধুরা একে একে ছুটি নেয়
    ছায়ারা ছোটে পিছু ।।

স্মৃতিগুলো মনের গভীরে থেকে থেকে
                ইতিহাস
    ওরা কাঁদায়, দুঃখ দেয়
     দেয় জীবনের পূর্বাভাস।।

হঠাৎ কোনোদিন দেখি
  আর এক নতুন বন্ধু
রাস্তা মাপে স্বর্গে যাবার
বন্ধু আমার করুণার সিন্ধু।।

জলে বাঁধি খেলাঘর
ডুবে যায় হৃদয় সাগর
বন্ধুরা একে একে বাড়ি আসে
ভরে ওঠে আরশিনগর  ।।


                 সংশয়
         হামিদুল ইসলাম
           

হারিয়ে যাচ্ছি গভীর রাতে
অন্ধকার চারদিক
ধারপাশে কেউ নেই
আজ পুতুল খেলা বাকি পড়ে থাক    নির্জনেই ।।

জীবন পুতুল খেলা
খেলছি সারা জীবন
তুমি আমার চোখ বাঁচিয়ে চলো
সারা জীবন আমিও খেলি, তুমিও খেলো  ।।

তবু আমার সন্দিগ্ধ মন
তোমাকে ফাঁসায়
মান অভিমানের পালায় আমি হেরে যাই নিত‍্য
যখন তোমার বুকের মাঝে থাকে না ভালোবাসার চিত্ত ।।




পৌষ সংক্রান্তি
বিপ্লব গোস্বামী

সংক্রান্তি এলে আনন্দে ভাসে
ঈশানবাংলার গ্ৰাম ;
মহানন্দে সব গিন্নী করেন
পিঠে-পুলি ধুমধাম।
বাংলার প্রতি আঙ্গিনা সাজে
রঙিন আলপনায় ;
কিশোরী মনে নাড়া দেয়
শতেক কল্পনায়।
ঊষা কালে স্নান সেরে
মেড়ামেরি দাহন ;
নববস্ত্র পরিধান করে
গুরুজন বন্দন।
বেলা বাড়লে শুরু হয়
নগর পরিক্রমা ;
রসাল সুরে মেতে উঠেন
যত সব রমা।
তিল,গুড়,সন্দেশ,মিষ্টি
ছানা,দুধ,দই ;
রকমারি সব পিঠে-পুলি
মুড়ি,চিড়া,খই।
মাছ,মাংস,পিঠা,মিষ্টি
হরেক প্রকার ভোজন ;
বিকেল হলে হাটে বসে
বাউলের ভজন।




বদলে গেছে
বিপ্লব গোস্বামী

আধুনিকতায় গ্ৰাস করেছে
বদলে গেছে দেশ,
বদলে গেছে আদব-কায়দা
বদলে গেছে বেশ।
বদলে গেছে শহর-নগর
বদলে গেছে গ্ৰাম,
বদলে গেছে জাত-পরিচয়
বদলে গেছে নাম।
অবনী এখন অব্নি হয়েছে
কৃষ্ণ হয়েছে কৃষ,
কর্ণ এখন করণ হয়েছে
তৃষ্ণা হয়েছে তৃষ।
মনসা এখন মন্সা হয়েছে
মানসী হয়ছে মান্সি,
রোবিয়া এখন রোব্বি হয়েছে
তানিসা হয়েছে তান্সি।
সম্ভাষণের রীতি হারিয়েগেছে
বদলে গেছে ধরণ,
নমস্কার এখন হারিয়েগেছে
হেন্ডসিপে হয় বরণ।




বিবর্ণ ক্যানভাস
ডাঃ তারক মজুমদার

সাদা কালোয় দ্বন্ধে বিভোর
উপোশী যত মন
স্বপ্ন যতই খান খান
অটুট থাকবেই  পণ।

জীবন নদীর বাঁকে আজ
কত কী যে ঘটে
স্বচ্ছ পোশাক  কালিমা লিপ্ত
অনেকেই শুধু চটে।

মন যদি হয় আনমনা
বিবর্ণ  ক্যানভাস
অশ্রুসিক্ত নয়নে জোটে
শুধুই উপহাস।






ইচ্ছেরা
    শাশ্বতী দাস

ইচ্ছে ছিল হারিয়ে যাব
নীল সাগরের দেশে,
যেখানেতে সফেন ঢেউ
নীল দিগন্তে মেশে!
তোর বুকেতে মাথা রেখে
দেখবো নীল চাঁদ,
নীল জোছনায় ভেসে যাব
দুজনে একসাথ।
আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নগুলো
সাজিয়ে নীল রঙে
ভাসিয়ে দেব মেঘের ভেলায়
তোর ঠিকানা লিখে।
তুই যে আমার  নরম রোদের
উষ্ণ গরম ছোঁয়া,
তোর পরশে তৃপ্ত আমি
আমার সকল পাওয়া।।




দল
উমর ফারুক

সব দল দুর্বল একটিও
শক্ত নয় কখনোই, যে চুরি
করে তার ভয় সব সময় বলে
দল বদলের হিড়িক পড়েছে।
কিছু দল দুর্বল নয়
আমি তাদের দলে নেই যে দলে
ঘুম হয় হারাম, শত পাহারাদার
দুশমন পাখির চোখ করে।
সেই দলে বেঁচে থাকি
বাঁচার মত বাঁচি
যারা আমাকে কাছে চায়
ডানেও  দেখি বামেও দেখি
যেখানে দলে দলে  কুন্দল
সেখানে দল করা হয়ে ওঠেনা।
স্বদেশী মার্কা কিছু দল
দেশপ্রেমের দোহায় দিয়ে
স্বার্থ সিদ্ধিতে দেয় ডুব ;
তারা সত্যের দিকেও যায়না
মিথ্যার দিকেও নয়,
স্বার্থ রক্ষার দিকে ছুটে অবিরাম!



মা
©মম

মহাসাগররূপী গর্ভে
আমি ছিলাম নিমজ্জিতা যখন,
নোনা জলে ভিজে দেহে তখন,
করতাম অনুভব-তাঁর হৃদ স্পন্দন।
যাঁর দেহ রস শুষে নিয়ে
বর্ধিতা হত আমার অপূর্ণা, ক্ষুদ্রা অবয়ব,
তাঁর সম্পূর্ণা, পরিপূর্ণা ধরে।
      এ তো এক চিরাটুট বন্ধন।
              নিজের প্রকৃত পরিচয় যার
মাতৃত্ব দিয়ে।
        যে আমার উপস্থিতীতে
নিজেকে ভরত নারীত্বের গর্বে,
সে ই তো যুগ যুগ ধরে
প্রাণ প্রবাহ ধারিণী মা।
এই তো আদি সাধনা, তপস্যা-
সন্তানের জন্ম দিয়ে
                সফল হয় যা।
        সকল সৃষ্ট জীবনই তার-
                হ্যাঁ মা'র কাছে চির ঋণী;
          অনন্ত প্রাকৃতিক রীতিতে।
পার্থিব বংশ বিস্তার করার স্থিতিতে,
              যে অশেষ হয়ে
       আপন ইচ্ছায় কষ্ট সয়ে
জগৎকে দেয় সন্তান উপহার,
         ঐচ্ছিক জাগতিক নীতিতে।
যাঁর সন্তানই একমাত্র চাওয়া।
তাই তো মা অবশ্যই উপাস্যা।
"মা", শান্তির একটাই মন্ত্র।
কারণ, মা'র জন্যই পাওয়া
                       সকল শরীর তন্ত্র-যন্ত্র।
সকল সৃষ্টির মা'ই নমস্যা।





স্মৃতির_পাতায়
শান্তি_দাস

আজও ভেসে উঠে মনের কোনে স্মৃতির আবহনে,
স্মৃতির পাতায় রাখা আছে মনের জাগরণে।
কত সুন্দর সেই দিনগুলো ইচ্ছে জাগে ফিরে যেতে,
সেই ফেলে আসা ছোটবেলা,খেলা আর খেলা মেতে থাকা।

সেই স্মৃতি গুলো ছোট বেলার অকপটে ছবি আঁকা,
সকাল হলে বর্ষার জমানো জলে কাদামাটি মাখা,
বৃষ্টি ভিজে ভিজে আম গাছের তলায় কুঁড়িয়ে আম খাওয়া,
কচু পাতার ছাতা নিয়ে ঘুরাঘুরি করা জল ছিটিয়ে দেওয়া।

ঝরা আমগুলো কুঁড়িয়ে,গামছায়  করে হতো আনা,
বন্ধুরা সবাই মিলে আম কুঁচিয়ে ভর্তা মাখা সবার জানা।
বড় ইচ্ছে জাগে,সেই দিন গুলো ফিরে পেতে,
সেই দিনগুলো রান্নাবাটি খেলায়  থাকতাম মেতে।

মাটি দিয়ে ভাত রান্না আর গাছ থেকে সবজি পাতালতা,
কি আনন্দ কি আনন্দ ছুটে বেড়াতাম যেথা সেথা।
সন্ধ্যা হলেই মায়ের বকুনি পড়তে বসতে হবে জোর,
সারাদিনের ক্লান্তি পড়তে বসলেই  চোখে ঘুমের ঘোর।

অতীত কিন্তু নয়কো মোর বর্তমানকে ভুলে থাকা,
অতীত আমার স্বপ্ন মধুর স্মৃতির আবেগ জাগা।
নিজের ছবি দেখি যখন ভাবতে লাগে মনে ব্যথা,
পুরনো সেই দিনগুলো স্মৃতির পাতায় গাঁথা।





দুই মেয়ে
সুস্মিতা দে

খুকি তুই  উঠে পড়
ফুলের থালা সাজা পর পর।
ঘোড়া পিঠে চড়ে পড়।
আমি যাবো গাই চড়াতে খাবার  থালা আছে সাজানো আছে  পর পর।
পড়া লেখা করে বড়ো হবে দুই মেয়ে  পড় পড়।
মাথা ঠান্ডা তে একটি  হলো শ্বশুর বাড়ির পর।
বুদ্ধিমতি বুদ্ধি করে শ্বশুর বাড়ি হলো নয় মোটেই পর। জীবনের পথে চলতে গেলে বুঝতে পারছি না কে আপন আর কেউ হলো সত্যি পড়।






ওরা স্বাধীন 
আব্দুল রাহাজ

একটা ছোট্ট বনের মধ্যে বাস করে ওরা  প্রকৃতির মায়ের কোলে বেশ সুখে-শান্তিতে পরস্পরের মেলবন্ধন নিয়ে বসবাস করে ‌। বনের ফলমূল কাঠ প্রধান স্তম্ভ ওদের কাছে এইভাবে ওরা যুগের পর যুগ বাস করে সেই
ছোট্ট বনের ভেতরে। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে নদী আঁখি প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে সে হেলিয়ে দুলিয়ে চির দিগন্তের পথ ধরে বয়ে চলেছে। বেশ মনমুগ্ধকর পরিবেশে ওরা বসবাস করে। ছোট্ট বন ছিল ওদের কাছে এক সুন্দর মায়াময় পৃথিবী ওরা ওদের পার্বণে প্রকৃতি মাকে স্মরণ করে প্রকৃতি মা ওদের সহায় হয় ওরা যেন কোথাও স্বাধীন এই মহাবিশ্বে। সত্যিই অবাক লাগে বনের পশু পাখি সবাই যেন ওদের সাথে পরস্পরের বন্ধু প্রান্তিক হলেও দুবেলা দুটো ভাত খেতে না পারলেও স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে সবুজ মায়ের কোলে এক পরিবেশে সত্যিই অসাধারণ ওরা স্বাধীন ওরা স্বাধীন এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না আর সূর্যের উজ্জল দীপ্ত রাশির মত ওরা যেন প্রকৃতির মায়ের কোলে  নক্ষত্রের মতো বেঁচে আছে  আজীবন।

রবিবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২১

Upokontha sahitya patrika-09/01/2021

Upokontha sahitya patrika-09/01/2021

 Upokontha sahitya patrika -09/01/2021

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 09/01/2021

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 09/01/2021, শনিবার
               সময় :- রাত 09 টা. 30 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


ছবিতা-৮
ডাঃ তারক মজুমদার

মুখের ভাষায়
   থাকলে আগুন
       সব কিছু ছারখার
            বিদায় নেয় ফাগুন । ।




তিনিই সব
বিপ্লব গোস্বামী

তিনি সূর্য হতেও অতি পুরাতন
তিনি বিকশিত কুঁড়ি অপেক্ষাও নূতন।
তিনিই আনাদির আদি প্রভু,তিনিই সম্পূর্ণ
তিনি অনাচারী-অত‍্যাচারীর দর্প করেন চূর্ণ।
তিনি রক্ষা করেন ভবের প্রতি জীব
প্রলয় ধ্বংশে নিজেই তিনি শিব।
আলো দানিতে তিনি নিজে দিবাকর
জ‍্যোৎস্না বিলাতে তিনিই সুধাকর।
স্বর্গ শাসিতে তিনিই তো বাসব
কৌরব নাশিতে তিনিই পাণ্ডব।
তিনি অনাদির আদি ভোলা-পশুপতি
তিনিই ধনের স্বামী কুবের ধনপতি।
জ্ঞান বিলাতে তিনিই বৃহস্পতি
শক্র নাশিতে তিনিই সেনাপতি।
জ্ঞানে-বিজ্ঞানে তিনি সীমাহীন সাগর
সর্ব মন্ত্রের সার তিনিই একাক্ষর।
তিনি বারিবাহি গঙ্গা পবিত্র নির্মল
তিনিই বাঁধার প্রাচীর বিন্ধ‍্য-হিমাচল।
তিনিই উপাস‍্য স্বামী সর্ব দেবগণে
তিনিই  সুধা রক্ষক সমুদ্র মন্থনে।
তিনিই  গন্ধর্ব ,তিনিই চিত্ররথ
পশু মধ‍্যে তিনিই শ্রষ্ঠ ঐরাবত।
তিনিই বরুণ ,তিনিই জলাধিপতি
তিনিই প্রহ্লাদ ,তিনিই সুকৃতী।
রারণ বধিতে তিনি রাম দশরথি
তিনিই এনেছেন মর্ত‍্যে গঙ্গা-ভাগীরথি।
তিনি গঙ্গা ,তিনিই গায়ত্রী ,তিনিই সাবিত্রী
তিনিই শ্রী,বাণী,স্মৃতি,মেধা,ক্ষমা,ধৃতি।




কবিতা :-
     পথভোলা
    শান্তি দাস

জীবন একটা নাট্যমঞ্চ অভিনয় করে চলা,
এই অভিনয় যে মোদের নিত্য দিনের খেলা।
মনে হয় পথ হারিয়ে যাই কোথাও চলে,
পথভোলা পথিক হয়ে দূরে আরও দুরে।
প্রশান্তি জাগা মনে কোন এক ভবের সন্ধানে,
যেখানে নেই জোট ঝামেলা নেই কোন অনুসন্ধানে।
উদাসী মন ছন্নছাড়া পথভোলা সুরের বাঁধন,
চোখ জুড়ানো মন ভরিয়ে অজানা পথে বহু সাধন।
নতুন পথের সন্ধান পেতে পথের বাঁকে বাঁকে,
মনের মধ্যে পাইনা জবাব পাই না তার কোন মানে।
পথভোলা পথিক হয়ে জীবন পথের খোঁজে,
জীবনের নাট্যমঞ্চে ধর্ম পালন ক নিজেকে বুঝে।
জীবন পথের পথিক হয়ে কাঁধে দায়দায়িত্ব তোলা,
যতই বলি না কেন আমি যে এক পথিক পথভোলা।




বিশে বিষক্ষয়
তাপসী প্রামাণিক

বিশ সালে করে বিষক্ষয়
একুশে  দিলাম পা
জীবন- মরণ বাজী রেখে
পিছনে ফিরব না।

অনিশ্চয়তার অন্ধকারেই
বিশ সাল ছিল ভরা
তিক্ত বিষাক্ত অভিজ্ঞতায়
কেঁপে উঠেছে ধরা।

একুশে ফিরুক সুখ-স্বস্তি
মিটুক মনের আশা
পৃথিবী হোক দূষণ-মুক্ত
শান্তি -ভালোবাসা।

নতুন বছরের নতুন স্বপ্ন
করব না আর ভয়
আঁধার ঘুচে আলোয় ফেরা
মানুষের হোক জয়।

              *****



                  নীরাকে
           হামিদুল ইসলাম
             

নীরাকে ভালোবেসেছিলাম
ভুলে গেছে ও সে কথা
দুঃখের দিনে আমার আঁধারে কাটে রাত
বন্ধু জানিয়ে দেয় বিদায় ব‍্যথা  ।।

বন্ধুই ছিলো নীরা
তার আপাদমস্তক গড়ায় দুপুরের রৌদ্র
বাসি ফুলগুলো ঝরে পড়ে প্রতিদিন
আমার দুচোখে সমুদ্র  ।।

নীরার হাত ছিলো আমার হাতের উপর
নীরাকে বরাবর দেখেছি উত্তপ্ত ঘুড়ি
মনের মালিন‍্য ধুয়ে দিতো সে
যখন তার রুপোলী ঠোঁটে ভালোবাসার ছড়াছড়ি ।।




গ্যালিলিও
©মম

পরম সত্য যা বিজ্ঞান তা।
অকারণ তবুও মৃত্যু বরণ।
অতি মূল্যবান প্রাণ হরণ।
আজ তাকে করি স্মরণ।
হায়! সত্যই কী আছে বিধাতা?
সত্যই কী পূজ্য তার শ্রী চরণ?
বিজ্ঞান কী প্রমান করতে পারে, সিধা তা?
আবিষ্কারকের হল মরণ।
এ কেমন বিচারের ধরণ?
কত অত্যাচার সহ্য করা।
কত নির্যাতন সহ্য করা।
কেন? এ ই কী সত্যের প্রাপ্য? হায়!
আজ বিজ্ঞান সঠিক উত্তর চায়;
কী পেল সে, বল তো, ওহে জগৎ!
ভুল তো ছিল না তার পথ।
ভুল তো ছিলে তুমি, হে বিশ্ব!
হায় গো ভুল-শূল!
আর কেউ ছিল না অজ্ঞ, তব সমতুল।
চিনতে তাই পারো নি তাকে,
সে ছিল সত্যের শিষ্য,
তুমি অন্যায়ের পথে শেষ করলে যাকে।
তবুও তার পৃথিবী আজও ঘুরেই চলে
সূর্যের চারিদিকে নিজের সম্পর্ক বলে।
শুধু তার জীবন থেমে গেল, সত্য বলার ফলে।
মিথ্যে অশ্রু জলে
ভাসলো সুকর্ম তার।
সত্য শুধুই করল হাহাকার।

শনিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২১

Upokontha Web Megazine-08/01/2021

 Upokontha Web Megazine-08/01/2021

গোলাপ
     বিপ্লব গোস্বামী

একটা বজ্র কীট গোলাপটাকে
কেটে টুকরো টুকরো করে দিলো।
তুব গোলাপ হারায়নি গৌরব
টুকরো পাপড়িতে পুষ্পের সৌরভ।
সেতো গোলাপ,ফুলের রাণী
ছন্দমাখা পদ‍্য,নবিসের বাণী।





এক লাইনের কবিতা :
( শেষের দুইটি ব্যতীত)

বিন্দু বিসর্গ
  সৌম্য ঘোষ

১) ‌ বাঁশি তার ভাষা লেখে হাওয়ায় , গোপনে..

২) কেউ তো আসে না , তবু আমি কার জন্য অপেক্ষায় থাকি....

৩) মানুষ ছদ্মবেশে ভীষণ শ্বাপদ

৪) একটি আশ্চর্য বই লিখে রাখে আমার গোপন যাপন

৫) জল রহস্যের দিকে যত দেখি, ততই ভেসেছি গভীরে

৬) তোমাকে প্রদক্ষিণ করি, আর তুমি প্রিয় হয়ে ওঠো

৭) ছায়া পড়ছে মানে জেনে রেখো রোদ্দুর রয়েছে

৮) মায়ের আঁচলের মতো শান্তি

৯) ছিঁড়ে ফেলো অন্তহীন মায়া তন্তুজাল,
     একবার তোমার কাছে আসতে চাই।।

১০) গাঢ় আঁধারের খাঁজে রয়েছি আটকে
       কোথাও তো হয় 'ভোর'
      কোথাও না কোথাও আলো থাকবে,
       কেননা অন্ধকারে ছবি আঁকা যায় না।।




রমনী জীবন
সুস্মিতা দে

পুকুর পাড়ে সেচের
জলে ফসল ফলাতে
কৃষক রমনীরা
হাঁটু জলে কতো
কাজ করে ধান বোনে
ধান ঘরে তুলে
রাখে ।

বাসনে বাসনে
ঠোকাঠুকি
করে পায়ে পা
দিয়ে ঝগড়া শুরু
করে হাসা হাসি
করে রোজ নামচা
চলে।

ছোট ছোট ছেলে
মেয়েদের ছিপে মাছ
কিছু ওঠে ।বেশি কার
কার কম এই নিয়ে
হাতাহাতি চলে জন্মের
মতো আড়ি ভাব
আদান প্রদান চলে

শান্তো হবে বাচ্ছারা
কবে রমনীরা গালগল্প
করে কেউ যদি বলে ?
ছেলে আমার ভালো ?
অপর রমনীরা গলা
বাজি করে মেয়ে
আমার  বড়ো লক্ষী
ঘরের সব কাজ সাড়ে ।

রোজ নানা কথার
খেলা চলে নামচা
শেষ হলে খুশি মনে
ঘরে ফেরে সব গাঁয়ের
বধূ ।একটি ছন্দে জীবনে
সহজ সরলতার মাঝে
স্বল্প শান্তিতে ঘরের বাঁধন

আমার মদনটি গ্রামের
সোনার টুকরো ছেলে
বলে দম্ভ করে মায়েরা
নিজেদের মধ্যে মুখে
মুখে তুমুল ঝগড়া
শুরু করে ।

এই হলো রোজ নামচা।
রমনীদের রোজ পুকুর
ঘাটে চলে। তা না
হলে সাড়া দিন মাথা ধরে।



প্রবন্ধ
শীতের ভ্রমণ, পিকনিক ও বাঙালি
  - অগ্নিমিত্র

  বাঙালি মানেই ভ্রমণ ও পিকনিক। এমনিতে আমরা  অলস; কাজেটাজে তেমন মন নেই । কোনরকমে কাজকর্ম শেষ করে বা না করে বাঙালি ছুটিছাটা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে শীতের ভ্রমণ ও পিকনিকে । শীতে আবহাওয়া একটু শীতল বা মনোরম থাকে, তাই দিনের বেলায় কাছেপিঠে বেড়াতে বা পিকনিক করতে বাঙালি খুব পছন্দ করে । এই পিকনিকে অনেক সময়ে তারা রান্নার সরঞ্জাম নিজেরাই নিয়ে যায়, আবার অনেক সময়ে রান্না করে বেঁধেছেঁদে নিয়ে যায় ও আনন্দ সহকারে খায় । এতটাই ভ্রমণপিপাসু বাঙালি ।
  শীতের ভ্রমণ মানে আবার বকখালি বা মন্দারমণি , বা পুরুলিয়ার মতো জায়গা । বা দেওঘর, মধুপুর । অনেক দুঃসাহসী বাঙালি আবার শীতে পাহাড়ে ছোটে । তাতে দুই লাভ, বরফ দেখতে পাওয়া যেতে পারে আর ভিড়ও একটু কম থাকে ।
  এখন অতিমারী, লকডাউন ও যানবাহনের অপ্রতুলতার কারণে বাঙালির এই শীতের ভ্রমণ ও চড়ুইভাতির অভ্যাস একটু হলেও বন্ধ হয়েছে, তবে এখনও অনেকে বাইক বা নিজের গাড়ি নিয়েই এদিকে সেদিকে বেরিয়ে পড়ছেন । ক্ষীরাই, গনগনি, ব্যারাকপুরে জহরকুঞ্জ,  মুকুটমণিপুর ইত্যাদি ।
  তবে একটা কথা, কোথাও বেড়াতে বা পিকনিক করতে গিয়ে আমরা সেসব জায়গায় বর্জ্য পদার্থ ফেলি ও খুব নোংরা করি । এবিষয়ে আমাদের বিশেষ সুনাম বা বদনাম আছে । এই কাজগুলো বন্ধ করতে হবে ।  আর আগে বাড়ি বা অফিসের আবশ্যক কাজ, তার পর ভ্রমণ । এই কথা মাথায় রাখা উচিত ।।




ভাঙ্গা গড়া
শান্তি দাস

পৃথিবীর বুকে জন্মিলে মরিতে হয়,
তবুও ভাঙ্গা গড়া নিয়ে নেই কোন ভয়।
ধ্বংসের মধ্যেই নিহিত আছে সৃষ্টির বীজ ,
ধ্বংস হলেই তো সৃষ্টির জন্য প্রস্তুত নিজ নিজ।
পৃথিবীতে চলছে আবর্তন চক্রের মাধ্যমে,
সৃষ্টি কর্তার সৃষ্টি আছি আমরা আছি তার সান্নিধ্যে।
সৃষ্টি তো চিরস্থায়ী নয় ভাঙ্গা গড়ার খেলা,
একদিকে সৃষ্টি একদিকে ধ্বংস এটাই প্রকৃতির লীলা।
ধ্বংস আছে তাই তো নতুনের সৃষ্টি হয়,
একদিকে মৃত্যু অন্যদিকে জন্ম তাতে ক্ষয় নয়।
মানব জাতির এই রঙ্গমঞ্চের খেলা যুগযুগান্তর,
তাই তো এই ভাঙ্গা আর গড়া চলছে অন্তর অন্তর।
জীবন পরিচালিত পথে কত ঝড়ঝঞ্জা আসে,
বিপর্যয় মোকাবিলা করতে একে অপরের পাশে।
মানব জাতি শ্রেষ্ঠ জীব পুরাতন বিদায়ে নতুনের আহবানে,
তাই পৃথিবীর ঘুর্নাবর্তে নিত্য নুতুনের জাগরনে।





সেই রাত
আব্দুল রাহাজ

দিনটা ছিল শুরুতেই রোদ ঝলমলে সবাই যে যার কাজে চলে গেছে বেলা বাড়তেই সূর্যের উজ্জ্বল রশ্মি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল পাখিদের কুজনে সবুজের ঘনঘটায় পরিবেশ পেল এক অনন্য রূপ। গ্রামের ছেলে মেয়েরা দুটো নদী পেরিয়ে ইস্কুলে বেরিয়েছে ওদের সাথে আছে রহিম আলী শেখ মাস্টারদার মেয়ে চন্দ্রিমা গল্প করতে করতে কানু মাঝির নৌকায় উঠে ধলেশ্বরী ও চূর্ণী নদী পার হয়ে স্কুলে পৌঁছালো ওদের স্কুল বেশ ভালোভাবেই স্কুলে কাটিয়ে বাড়ি ফিরবে হাত ধরাধরি করে। ওরা সবাই নদী ঘাটে এসে দেখল আকাশে কালো মেঘ মাঝিরা কেউ নদীতে নৌকার পারাপার করছে না সেজন্য ওরা ঠিক করল পায়ে হেঁটে পলাশ বনের মধ্য দিয়ে বাড়ি চলে যাবে এখনো সন্ধ্যা হতে ঢের দেরী কিন্তু এদিকে ঝড় বাতাস বইছে ওরা বনের মধ্যে একটা পুরো বাড়িতে আশ্রয় নিল। শেখ বলল আজকে আর বাড়ি যাওয়া হবে না হয়তো এখানেই থাকতে হবে মাস্টারদার মেয়ে চন্দ্রিমা বলল এটাতো হানাবাড়ি কি হবে সবাই প্রভুর ডাকতে ডাকতে এক জায়গায় বসে পরলো। ঝমঝম করে বৃষ্টি হচ্ছে সেইসাথে ঝড়ো হাওয়া ওরা ক্ষুধায় কাতরাচ্ছে দেখলো সামনে একটি কলা গাছ আছে সেখানে বেশ একটা পাকা কলার কাঁদি গাছে ঝুলছে সেটা গাছ থেকে নামিয়ে রাতের খাবারটা শেষ করলো । তারপর দেখল একটা বিকট আওয়াজ আসছে পূর্ব দিক থেকে তারপর ওরা সবাই এক জায়গায় জড়ো হয়ে কাঁপতে লাগলো শেখ দেখল একটা মাটির সুরঙ্গ আছে চল ওখানে গিয়ে আশ্রয় নিই ওরা আস্তে আস্তে সেখানে আশ্রয় নিল। সত্যিই ওরা সেদিন ভূতের বিকট আওয়াজ শুনে ছিল ওই বাড়ি থেকে এখনো ভোর হতে ঢের দেরি ওরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে রহিম শুধু জেগে আছে রহিম দেখল ভুতের চেহারাটি আস্তে আস্তে সুড়ঙ্গের ভেতরে ঢুকে কাঁপতে লাগলো। এদিকে ফজরের আজান ভেসে আসে কানে রহিম তড়িঘড়ি নামাজ পড়লো তারপর ওখান থেকে ওরা বেরিয়ে পড়ল বনের ভিতর দিয়ে ভিতরে দিয়ে ওরে যে যার বাড়ি চলে গেল। ওদের বাবা-মা ওদের দেখে বেশ খুশী হয়েছিল তারপর বিকাল বেলায় ওরা নদীর পাড়ে বসে সেই সব কথা আলোচনা করছিল চন্দ্রিমা বলল ওই রাত আমাদের কাছে এক ভয়ঙ্কর রাত কি বলিস তোরা ওরা বলল হ্যাঁ হ্যাঁ।






                 কষ্ট
         হামিদুল ইসলাম
            

আমাকে কষ্ট দিতে চাইছো ?
দাও
আমি কষ্ট সইতে এসেছি
আমি তোমার কষ্টের ভাগ নিতে এসেছি
তোমার কষ্ট গলায় বেঁধে
আমি সুদূর সাগরে ডুব দিতে চাই  ।।

আমাকে কাঁদাও
আমাকে হাসাও
আমি কাঁদতে চাই সারা জীবন
তোমার জন‍্যে আকাশ ফাটিয়ে চিৎকার করতে চাই
আমি বলতে চাই
আমাকে আরো কষ্ট দাও  ।।

আমাকে আগুনে পোড়াও
আমি চিতা হতে চাই
পুড়ে যেতে চাই গভীর দুঃখে
আমার ছাইগুলো উড়ুক পৃথিবীময়
আঁধারে ঢাকুক আকাশ
আমি আকাশের সীমানা পেরিয়ে তোমার কাছে ফিরে আসবোই ।।





  পরকীয়ার মসকরা
   ডঃ রমলা মুখার্জী


পরকীয়া হল মহতি প্রেম
      যদি না পড় ধরা,
তাই তো খুব রিস্ক এই
      পরকীয়া প্রেম করা।
জেনেশুনেও অবুঝ চোখ
   পরের দ্রব্যে চায়-
পরকীয়ার কর্মে হায় রে
  নাকানি-চোবানি খায়।
তবুও উপরি পরকীয়া
     ভীষণ নাকি মিষ্টি-
যদিও লোকের দৃষ্টিতে তা
  ন্যাস্টি, অনাসৃষ্টি।
রাধাকৃষ্ণের পরকীয়ার
     অমর প্রেমের গানে-
পরকীয়ার প্রেমিক ছোটে
     ভরা কোটালের বাণে।