সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 09/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 09/11/2020

Upokonthasahityapatrika.com

*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-09/11/2020, সোমবারবার
               সময় :- রাত 8 টা. 15 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

       কবিতা -  
        ঘুম   ভাঙেনি   
                পিনাকী  মুখার্জী     
          
               হৃদয়  হতে লোলুপ লাভা
                   পোড়ায়  ফুসফুস  !!
            ফল্গুধারা  বইছে আগুন , যেন
                        জ্বলন্ত  তুষ  !!

            ফুসফুসে লেগেছে আগুন উঠছে
                        কালো  ধোঁয়া  !!
             ভাঙেনি ঘুম ওঠেনি ওরা এমনি
                        অবাক  শোয়া  !!

                  মত্ত  নদী অথৈ সাগর
                       ঊষর মরুভূমি  !!
             শরৎ আকাশ ফাগুন বাতাস
                       চাতক  মৌসুমী  !!

             তুমি  দিয়েছো পাহাড়  বুঝিনি
                   ওটাই  তোমার স্বরূপ  !!
              তুমি  অনিয়ত  সকলে ব্যাপ্ত
                   তাইতো  তুমি  বিরূপ  !!




এক


ভাগ্যশ্রী রায়

একই আকাশ


তবু পরবাস


একই নদী


বাঁধ ভাঙ যদি


একই খেয়াল


খানিক আড়াল


একই মন


হাজার শমন


একই ক্ষত


বিষের মত


একই পথ


চেনা শপথ।





ওরা বন্ধু
     আব্দুল রাহাজ

অপরাহ্ণে খেলতে গেলাম ওই মাঠে
প্রথমবারের মতো
হয়ে গেল সব বন্ধুগুলো হল কতসত সব আনন্দ।
দেখতে দেখতে কেটে যায় ওদের সাথে কয়েকটা বছর তারপর কে কোথায় পুকুরপাড়ের আম গাছ তলায় যে খেলাটা হতো হারু দাদুর বাগান থেকে যে আম পাড়া হত সেসব যেন আর হয় না সময়ের তালে তাল মিলিয়ে যেন আমরাই হারিয়ে যায় সময় যেন তরতর করে এগিয়ে চলে ওই বন্ধুদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না সেরা মুহূর্ত গুলো যেন কোথাও সূর্যের দুর্বল রশ্মির মত হারিয়ে যায় কোথায় ওরা বন্ধু ওরা বন্ধু তোরা আমার বন্ধু।





ঈশ্বরের কষ্ট
      সুস্মিতা দে

মেঘবালিকা কি হয়েছে মা ?
আজ মন করেছে মা আমি আকাশের সাথে ভাসবো মা,
আমার বুকে বেদনা জমেছে

সব বন্ধু দের সাথে আমার ভাব নেই মা ,আমার অন্তরের কথা মুখে বলেছি কোন সাড়া নেই কেন মা? হৃদয় জুড়ে  হাসে না মধুর হাসি অতীতের কথা , আজ কেন তা শুকিয়ে গেছে মা

সহসা ঝনানা বাজে কতো পায়েলিয়া কাদের ?
কথা শেষ না বৃষ্টি ধারায় ধুইয়ে দিল সব মলিনতা ।মিলেমিশে একাকার নদীর জল করছে টলমল আকাশে রামধনু আঁকা রঙ দেখতে গিয়ে সবাই বৃষ্টিতে ভেজে অসময়ে বৃষ্টি ঋতুর নয় স্বয়ং  ঈশ্বর দিয়েছে ঐশ্বরিক বৃষ্টির আশীর্বাদ ।

করো বিশ্ববাসীর বৃষ্টি তে
গায়ে রামধনু মেখেছে মিশে গেছে মানবের বন্ধু একটি রঙের একাত্মের বন্ধন ।

প্রনাম করি ঈশ্বর দিয়েছে আল্লা দিয়েছে প্রভু দিচ্ছে প্রকৃতি আনন্দে আত্মহারা আজ অন্ধকার হারিয়ে আলো  জ্বলে ওঠে ।
অন্তরের কষ্ট ঈশ্বর শোনে  বোঝেন শাস্তি দিতে সে নিজে অনেক বেশী কষ্ট পায়।

শব্দহীন শব্দ সাড়া পাচ্ছি সুন্দর ছবি আঁকেন মানব হৃদয় জুড়ে জড়িয়ে নাও হৃদয়ে হৃদয়ে ঐশ্বরিকবৃষ্টি ।

ধুয়ে যাবে যতো জমানো আমাদের সকলের পাপ

মা করোনা মুক্ত  হবে?  সংকেত পাচ্ছি  হবে ,পাপের শেষ হলেই হবে।জন্ম নেবে পাপহীন বিশ্বসমাজের স্বজনের বাস।

সময় ধরে  হৃদয়ের ধন সম্পদ ভক্তি ভালোবাসা মানবিক বিবেক বৈরাগ্যের হৃদয়ের রাখি বন্ধন হলে ,প্রভু আসবেন আবার ।

  ঈশ্বর কাঁদছে আমার সন্তানদের মনে ভাব বন্ধন শুরু হলেই। হৃদয় আত্মার সাথে অনুভূতি সাড়াতে হৃদয়ের উথলিছে বারি স্বয়ং ঈশ্বর মঙ্গলময় করুণাময়ী মা কাঁদছে আমাদের অসাড় অস্তিত্বে  , সুন্দর মানুষ হবো উবে যাবে ,করোনা এক মুহূর্তের মাঝে , সর্বশক্তিমান প্রভু  তোমার চরনে শতো কোটি প্রনাম। অবসান হবে জ্বরা জালা যন্ত্রণা ,আসবে  প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা আশীর্বাদে সাড়া অনুভব হলো হৃদয়ের শুভ অঙ্কুর জন্মাবে? মা বল ।







প্রবন্ধ
বিষয় :  অণুকাব্য
""""""""""""""""""""""""""""""""""
সৌম্য ঘোষ
"""""""""""""""""""""""""""""""""""

                    সাহিত্য যে কোন জাতির অভিব্যাক্তি। জাতির আর্তি উঠে আসে সাহিত্যের লিপিতে।বীরত্ব,প্রেম-প্রীতি,দেশমাতৃকার প্রতি ভালবাসা সাহিত্যই বহন করে যুগ যুগ ধরে।বাংলা সাহিত্য বা কাব্য চর্চা শুরু হয় ১২৫০ খ্রীঃ হতে। যার চর্চা আজও  চলছে সময়ের সাথে ।
বাংলা কাব্যকুলে অণুকবিতা বেশ কিছুটা স্থান নিয়ে বসে আছে।প্রাচীন কাব্য চর্যাপদ থেকে আজ পর্যন্ত এমন কোন কবি নেই যে অণুকবিতার চর্চা করেন নি!

                 ইংরেজ কাব্যে ”জিয়োফ্রি চসার” থেকে অারাম্ভ করে ক্যাথি সং পর্যন্ত অনু কবিতা চর্চা করেছেন।পৃথিবীর সব দেশেই অনু কবিতার চর্চা রয়েছে। যেমন অয়ারল্যান্ড, ফ্রান্সে লেমিরিক, জাপানে হাইকু, তানকা, আরবে লতিফা, ঊর্দ্দূতে চার লাইনের লতিফা অণুগীতি কবিতার চর্চা রয়েছে। আমরা লতিফা নামে হিন্দিতেও লতিফার চর্চা দেখতে পাই।

                                 অণুকবিতা
সাধারণতঃ১/২/৩/৪/৫/৬/৭/৮/পঙক্তিতেও হয়ে থাকে। যদিও অনেকেই  মনে করেন অণুকবিতা লেখা খুব সহজ আসলে অত সহজ নয়। দক্ষতার সংগে এই কবিতা লিখতে হয়। একটি কবিতা বিশ লাইনে কবি তাঁর কল্পজগৎ সৃষ্টি করেন, কবির সেই কল্পজগৎ মাত্র কয়েকটি পঙক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে হবে। একমাত্র  দক্ষ কবি ছাড়া অণুকবিতা লেখা অসম্ভব।
পূর্ণাঙ্গ কোনো অণুকবিতার গ্রন্থ আছে কিনা আমার জানা নেই ।
  আমাদের বাংলা কাব্যজগতে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত ।  কবি শঙ্খ ঘোষ  থেকে  নির্মলেন্দু গুণ প্রভৃতি অণুকবিতা লিখেছেন। তাঁদের শ্রেষ্ঠ কবিতার রচনাবলীর শেষ কয়েকটি পাতা জুড়ে এই অণুকবিতা রয়েছে বিভিন্ন নামে।যেমনঃ কণিকা, ক্ষনিকা, গোধুলীয়া, ফুল ফুলিয়া, পাতা ঝরা ইত্যাদি নামে। ২-৮পঙক্তিতে।





  রত্নেশ্বর
        বদরুদ্দোজা শেখু


দু'জন কেন ? কোন্ মহিলা ? ঘুরতো সাথে সাথে ?
সব জা'গাতেই বেলেল্লাপন' ? মস্তি আমার সাথে !

লে মর্ জ্বালা ! বেফাঁস প্রশ্ন ! জবাব কিছু আছে ?
সরল কথায় গন্ধ শুঁকে, খেমটাই সে নাচে !
হতবুদ্ধি হাসছি আমি হাসছি অনেক কাল,
রত্নেশ্বর মহিলা হলো !  হাসছে মহাকাল ।

বলবো কা'কে ? শুনলেই তো ? অবিশ্বাসের প্রেত
কোথায় যেন মজ্জা চাটে,ঘাঁটায় রাতবিরেত।

---যা চ্চলে যা ! যা খুশী তাই ভাবতে পারিস তুই ,
স্বতঃসিদ্ধ সঙ্গীসাথীর স্ত্রী-পুরুষ থুই
অপ্রাসঙ্গিক , নবীশ-কালের ছত্রে ছত্রে ছায়া
রত্নেশ্বর দাঁড়িয়ে  আছে দুঁহুঁর প্রতিচ্ছায়া ।।




                 স্বপ্ন
          হামিদুল ইসলাম
            

জলের গভীরে নামি
তোমার জন‍্যে তুলে আনি শাপলা ফুল
পাখিদের সকাল
গানে গানে ছাপিয়ে যায় মনের দুকূল  ।।

হৃদয় আজ আনন্দে আত্মহারা
হারিয়ে যায় আকাশ
পাহাড়ের দেশে ফিরে আসি একদিন
যুঁই মল্লিকায় ভরা বাতাস   ।।

তোমাকে শুঁকে দেখি
গায়ে যুঁই মল্লিকার আস্বাদ
ভালোবাসা তুলে রাখি জামার পকেটে
স্বপ্নগুলো নিখাদ   ।।

জলেভরা আরশিনগর
জলের মাঝে দুর্বৃত্তের বাস
আশাগুলো ডুবে যায়
তবু পেয়ে যাই জীবনের আশ্বাস  ।।

জীবন কোমলতায় পূর্ণ প্রতি পদে পদে
জীবনকে করি যাচাই
স্বপ্ন আছে তাই জীবন বেঁচে আছে
স্বপ্নগুলো কেবল মন ছুঁয়ে যায়  ।।




প্রেমর জন্যে
        আসরাফ আলী সেখ

কথা দিয়ে ছিলে প্রেম করবে দু'জনে  মিলে ,

সাক্ষী ছিলো অনেকে
সার সার দাঁড়িয়ে ,

আলোক বর্ষ ‌দূরে দূর
প্রেম ফুরিয়ে হল চুর ,

ছিনিয়ে নিয়েছে আকাশ বাতাস , ছায়াতে , তুমি ও
কি অপহরণ দলে ?

না না এ হতে পারে না !
আমি কথা রাখিনি ঠিক ই ,,
তবে তুমি কোথায় ?

আমার আজও মনে
পড়ে , কানে বাজে ,
আমার মনে আলোক
বর্ষের দূরে দূরে ;

প্রেম হবে বলে !!



ভোর ৭
       উমর ফারুক

খুঁজে ফিরে এক স্বর
ঝিঁঝিঁদের গান
চাঁদ পৃথিবীর কাছে টেনে আনে দিন
তারাটি দেখা গেছে জলের ভিতর।
আমি চাইনি তারা বলুক কথা;
ভোরের নীরবতা ভেঙে !
ছোট্ট কোকিল আর আধ খাওয়া মাথা
খুঁজে ফিরে তার স্বর
বন্দিনী ও বহুদূরে সোরগোল
গায়ে ঝিঁঝির পোশাক।
শুভ সকালের সমীকরণ
সংকীর্ণ হয়ে গেল ওপারের কুয়াশায়
ভোরের নীরবতায় কর্কশ কাক ডাকে
যায় ডুবে নির্বাক হয় হতাশায় ।





নাচ ময়ুরী
       জুয়েল রূহানী

মন ময়ুরী পেখম মেলে
হৃদ যমুনায় নাচে,
মনের প্রয়োজনে যেন-
স্বর্গ রানী কাছে।

রং বাহরী ডানা মেলে
হৃদয়ে ঝড় তুলে,
তা-ধীন, তা-ধীন নাচ ময়ুরী
মনের অতল মূলে।

মন ময়ুরীর রঙ্গীন পাখা
দেখতে খুব রূপরাসি,
ভূবন মাঝে স্বপ্নে যেন-
স্বর্গ রানীর হাসি!

মন ময়ুরীর ছন্দে নানান
কল্প তরুর ছাঁয়া,
শাখায় শাখায় নাচ ময়ুরী
ছড়িয়ে সব মায়া।



শরতাগম
        সত্যব্রত চৌধুরী

বিদায় লভিলা বরষা রাণী,
কাঁদিল কত সে মোরা জানি  ।
কাঁদিল ঝরিল অশ্রু - ধারা ,
মথিল  ভাসিল  বসুন্ধরা ।।

কাঁদিয়া হাসিল কী অপরূপ !
হাসিয়া ধরিল শরতের রূপ ।
হাসিয়া ভাসিল মেঘের ভেলায় ,
কাশফুল বেশে কী অবলীলায় ।।

শিউলির বাসে উদ্বেলিত হিয়া ,
উদিল সবুজ পাথার ভেদিয়া ।
অমল হাসিতে ধরাও যে হাসে,
সবুজের ঢেউ ধানক্ষেতে ভাসে  ।।

সবুজের মাঝে কৃষকের হাসি ,
সুরেলা বাজে রাখালের বাঁশি ।
শরৎ শিশুর মধু কলতান ,
গগনে গগনে আগমনী গান ।।



অবুঝ মন
       স্বরাজ পরামানিক

আশার তরীর এক ভাগে
হিমশৈলের ধাক্কা লাগে।
হৃদয়ে বিদগ্ধ ব্যথার ভারে
নিরাশার সন্ধে আমার পৃথিবীতে নামে।

কষ্টেরা কাঁদে; চাপা গোঙানির সুরে
ভরে যায় আকাশ বাতাসের রন্ধ্র।
মন যার ভাঙ্গে সেই বোঝে
ভাঙ্গা কাচ জোড়ার কষ্ট।

তবু মন শোধরায় না!
আবার বাইতে চায় রঙিন তরী,
চলার নামই তো জীবন
সংগ্রাম করিতেই মরি।

জানিনা এ অবুঝ মন কবে
ভাবিবে নিজের ভালো সবে,
জানিনা এ রাতের ভোর কবে
নাকি আবারও চূর্ণ হবে?





মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১
শয়তান ও ভগবান

শয়তান
দল বাঁধলেই
রক্তাক্ত হয় জনপদ
মূহুর্তেই জীবিতরা হয় শব
সাধারণ মানুষের কন্ঠ হয় রোধ
ভালো মানুষ সাজার মহড়ায় দিই খিল।

নিজের অজান্তে নিজের পিঠেই বসাই খ   কিল
হারাতে বাধ‍্য হ ই  নিজের বোধ
প্রতিবাদে কখনো করিনা কলরব
দলছুট আমরাই বদ
অস্ত্র শানালেই
ভগবান।

(২)

আসছে শীত

শীত
আসছে কুয়াশার
হিমেল চাদর ঢেকে
শিশির ঝড়ছে টুপটুপ
চলছে খেলা চারিদিকে চুপচুপ
শীত এলেই জমবে মাঠে মাঠে মেলা।

মিঠে রোদ্দুর পিঠে গড়িয়ে যাবে বেলা
শাল সোয়েটারে খুলবে বাজারের  রূপ
খামারে  সোনালী ধানের স্তুপ
নতুন গুড় মেখে
পিঠে খাওয়ার
রীত ।




👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 











রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 08/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 08/11/2020

*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-08/11/2020, রবিবার
               সময় :- রাত 7 টা. 15 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

প্রবন্ধ
লোকসংস্কৃতির প্রসার ও বৈদ্যুতিন মাধ্যম
  -  অগ্নিমিত্র

লোকসংস্কৃতি সবার চোখের সামনে তুলে ধরতে ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমগুলি আগে খুবই সচেষ্ট ছিল। বিশেষ করে দূরদর্শন ও তার বিভিন্ন  আঞ্চলিক চ্যানেলগুলি । আগে আমরা ছোটবেলায় দেখতাম টিভিতে বাউল গান, পল্লিগীতি, টুসু, ভাদু ইত্যাদি। তার জন্য আলাদা সময় নির্ধারিত থাকতো । ডিডি নর্থ ইস্ট ও অন্যান্য চ্যানেলেও সম্প্রসারিত হতো উত্তর পূর্বাঞ্চলের  নানা লোকগীতি ও লোকনৃত্য, যেমন বিহু, হর্নবিল ফেস্টিভ্যাল ইত্যাদি । সাগ্রহে লোকে তা দেখতোও।
  এখনো সেসব অনুষ্ঠান  হয়তো হয়, তবে দূরদর্শনই তো কেউ আর তেমন দেখে না। কেবল্ টিভির কল্যাণে শুধু সিরিয়াল, ডোরেমন, মোটু পাৎলু  ও অসংখ্য দক্ষিণী সিনেমা, হিন্দিতে ডাবিং করে দেখানো হচ্ছে। তবে ইউটিউবে খুঁজলে এখনো এরকম আঞ্চলিক সংস্কৃতিমূলক অনুষ্ঠান বোধহয় পাওয়া যাবে । বা ফেসবুকে পাওয়া যেতে পারে । মানে লোকসংস্কৃতি লোকের সামনে তুলে ধরতে বৈদ্যুতিন মাধ্যমগুলি খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে একটু নিঃস্বার্থ
হয়েই তা করতে হবে । কেবল্ হলে টিআরপি-র মোহ একটু ছাড়তে হবে ।।






খোলা মনে
      অশোক কুমার রায়

ভিক্টোরিয়া অথবা নিকোপার্কের কামিনীর ঘন ছায়ায়--
এখন জঙ্গল ।
ঠোঁটের মিলন সুখে
গাছের পাতা নড়ে না ।
আড়ালে তোমাকে দেখিনি কত দিন !
কত দিন কামিনী বাহারি গাছগুলি
প্রেমের  সুগন্ধি পায়নি ।
ঝালমুড়ি চুরমুর মাখামাখি প্রেম ,
কফি-হাউজ , গরম কাপে হাত রেখে--
তোমাকে দেখতে চাই খোলা মনে !
তুমি আমি না-হয় সাবান-জলে
ধুয়ে নেব শতাব্দির কলঙ্ককে ।
তবুও নড়ে উঠুক ছায়া-ঘন--
কামিনী গাছের ঝোপগুলি !





নাম বিহীন
        মিলন পুরকাইত

হে বন্ধু ভুলে থাকা কি তোদের ধর্ম
পিছে পেলে সব জড়তা।
মনে পড়ে কি এমন স্মৃতি
যা তোদের চোখ কে ঝাঁপসা করে তুলে
তবু্ও তোরা থাক সুখে
আমি গাই তোদের গীতি
ও বন্ধু..... ও বন্ধু।

সকালের শালিক  কিনবা দোয়েল ডাকে নাই
আহা!!ডেকেছিলাম তুই আমি সে
মনে পড়ে কি হে বন্ধু। হে বন্ধু হে।
ঝুপড়ি ঝাড় থেকে উঠে আসা বাঘও
থামাতে পারেনি আমাদের
অথবা ভিন্ন কৌশলে পেলতে ফান্দে,
যথাযথ পরিশোধ নিয়েছিলাম
লক্ষ্য করে দেখলাম সেই ফান্দে পড়ে
নিজেই কাঁন্দে।
নিধারুন নির্মম বাস্তবতা
বন্ধু থেকে প্রেমিকা বড়
আহা! বন্ধু থেকে প্রেমিক বড়??
নিসন্দেহে প্রশ্ন জাগে
স্তব্ধ শরীর আস্তা।

নাই কথা বড়ই ব্যস্ততা
ভুলে যাই বন্ধু নাকি
বই চাই।
বই পরম বন্ধু হাজার বইও ভাল
তার চেয়ে  ভাল বন্ধু
একটাই হাজার লাইব্রেরীর সমতুল্য।
কেমন বন্ধু খুঁজি? 
ঠিক তেমন একটা
যেমনটা লাইব্রেরী হবে
সোজাসুজি।




চিত্তরঞ্জন  দেবভূতিএর দুটি কবিতা

১)
শীত জাঁকিয়ে আসছে...
        চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

শীত জাঁকিয়ে আসছে বলে শরীর গরম রাখার,
সব কৌশল রপ্ত করতে হবে,
মাথার উপরে সূর্যদেব আছে বলে,
আমরা তার অপেক্ষায় থাকি,
আমাদের দার্জিলিং —এ
শীীত  লাগতে শুরু হয়েছে সবে ৷

প্রচন্ড শীতে ফি বছর কত লোক যায় মারা!
পাহাড় থেকে সাগর পাড়ে অনেকে কাজে যায়,
সবাই আর ঘরে ফেরে না তাঁরা৷

অনেক বছর বাদে এই
বছরের শীত,
হাড় কাঁপিয়ে দিতে পারে,
তাই বয়স্ক ও শিশুদের
যত্ন করে রাখতে হবে ঘরে৷
—————————————————

২)
ভালোবাসা পবিত্র হলে ভালো
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

পবিত্র ভালোবাসার মতো কিছু নেই,
এই পাহাড়ের দেশ থেকে সাগর পাড়ের বান্ধবী,
আমি ভালোবাসি তোমাকেই৷

আমি শরীর চাই না,চাই শুধু মন,
পবিত্র ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে খুশী থাকতে
চাই এখন৷

ভোগের পরে ভোগ করে লোভ আরও
বেশী জাগে,
তাই ভোগকে জানিয়েছি
গুডবাই,
সবার কাছে পবিত্র ভালোবাসা টুকু দিতে ও
পেতে চাই৷
জেনেছি জীবনে এই পবিত্র ভালোবাসার মতো
আর কিছু নাই,
এই জন্য তোমাকে আরও বেশী ভালো লাগে৷





একটি নৌকা
        সুস্মিতা দে

একটি  কাগজের নৌকা 
চাই ।

বানিয়ে দেবে কাকা তাই তো তার কাছে যাই

তুমি কি জানো তার কাজ? আমার মা কে বলে যেমন মেয়ে তেমনি তার ছা

। রান্না বাটি   খেলবেনা   পুতুল নিয়ে খেলবেনা মাথায় আসে কি করে সবাই  কে জ্বালিয়ে মাথা গরম করবে সবার আগে সেই  টা তাতে তার সখ ।

গতিক ভালো না আর কদিন  পড়ে ধারী মেয়ের বিয়ে হবেনা   কি করবি নৌকা  উড়োজাহাজ বানিয়ে কাকা কে মান দেয়  না বলে জব্দ করবে  বাড়ির সবকটি কে বলে কিনা এটি হবে বিদ্যালয়?

কাকা রোজ  কতো  টাকা আনে মারে খাল কাকীকে মারবো আমি কাকাকে দেবো দূর করে বাড়ির থেকে রাজা  সাজার সখ। 

সবাই জানে তার কান্ডখানা মানুষ আসে আমাদের  বাড়িতে আসে তারা সব বিপ্লবী  কাকাকে নিয়ে গেছে দেশের  শত্রু বিভীষন। পাপের শাস্তি নিতেই হবে সময় থাকতে নিজেকে শুধরাও তা না হলে বিদায় নাও।
আমি পড়াবো দেশ গড়ছি আর গড়বো আমার শপথ।
কষ্টের পরিশ্রম ফল যায় না তার মার ।





     অশরীরী
         পিনাকী মুখার্জী
  
                কর্পূর ঐ মুঠোয় ভরে
              আগলে রাখতে চাওয়া  !!
                শরীর ফেলে অশরীরী
                 অমনি  হল  হাওয়া  !!

           বেশ  তো ছিল ক্ষণিক আগে
               আর   না খুঁজে পাই  !!
           মেঘের  মাঝে  মনের  খোঁজে
                    অভাব  পূরণ  তাই  !!

              ফুলেল  বুকে  ফুলের  সুবাস
                   সে ও তো অশরীরী  !!
               মরণ  পরেও  সেই  পরিচয়
                    সেই  গন্ধ  মনোহারী  !!

                বাঁশির  বুকে যে সুর বসে
                    তার  তো মরণ নাই  !!
               অশরীরী সে ও  পরিচয়
                    শুধু  সুরের  মূর্ছনাই  !!        




মন ছুঁয়ে.....
          গোপাল বিশ্বাস

হাত দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
মন দিয়ে ছোঁব
একে একে যোগ করে
তোমাকে আমি করে নেব  l

ফুল দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
প্রেম দিয়ে ছোঁব
ঘরের মানুষ বের হয়ে গেলে
রাত জেগে রব  l

হাত দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
হৃদয় দিয়ে ছোঁব
তোমার ঘরের বদ্ধ দরজা টা
এবার খুলে দেব  l

সুখ দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
দুঃখ দিয়ে ছোঁব
সবিতা কখনোই ডুবে যায় না
আমরাই তো ডুব দিয়ে যাব  l

হাত দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
প্রেম দিয়ে ছোঁব
হৃদয়ের গভীর ডাক এলে
তোমাকে আমি করে নেব  l





নীলিমায় নীল
           জুয়েল রূহানী

শিমুল গাছ ভরে গেছে আজ
আকাশ হয়েছে নীল,
শুভ্র মেঘের প্রতিচ্ছবি-
হেসে উঠে খিল খিল!

সবুজ পাতার আচ্ছাদনে-
ভরেছে গাছের ডাল,
হৃদয় ছোঁয়া এ রুপ যেন-
রয়ে যায় চিরকাল।




এক আদিবাসী নারী ছোট গল্প
          আব্দুল রাহাজ

একটা ছোট বনের পাশ দিয়ে মেঠোপথ বয়ে গিয়েছে কিছুদূর যেতেই ছোট ছোট বাড়ি খড় দিয়ে ছাওয়া ও মাটির দেওয়াল  পথের ধার দিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে আছে ওগুলো আদিবাসী প্রান্তিক মানুষের ঘর এই অঞ্চলটি আদিবাসী অধ্যুষিত। ওরা বহুকাল ধরে এখানে বসবাস করছে ওদের একমাত্র ভরসা ওই ছোট্ট বন আঁখি দিন যায় দিন আসে ওরা সুখে-শান্তিতে বসবাস করে একটা মজার ব্যাপার হল ওখানে পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি থাকে বেশিরভাগ সময় পুরুষেরা গভীর বনে গিয়ে কাঠ কাটতে চলে যায় বাড়ি ফিরে এক সপ্তাহ কোনদিন একমাস পর কোন দিন বা দুমাস পর এইভাবে ওদের সারাবছর দিনটা কাটে। একটা আদিবাসী মহিলা ছিল নাম কি তার ঊষা মান্ডি বয়স পঞ্চাশ  এর কাছাকাছি দেখতে একটু পরিষ্কার লম্বা ওখানকার বসতি দের মধ্যে তিনি একটু অল্প শিক্ষিত কারণ তিনি এসেছেন অন্য দেশান্তর সেখানে ছেলেমেয়েদের বিনা পয়সায় পড়াতেন অনেকের আবার সাহায্য করতেন কাজে বিপদের দিনে পাশে থাকতেন এই ঊষা মান্ডি গ্রামের প্রতিটি মানুষের জন্য প্রভুর কাছে প্রার্থনা করতেন। এই প্রান্তিক মানুষগুলোকে তিনি প্রতিনিয়ত আগলে ধরে রেখেছেন একবার এই আদিবাসী গ্রামে কয়েকজন অন্য দেশান্তরে দস্যুরা হানা দিয়েছে এই প্রান্তিক মানুষগুলোর কাছ থেকে তাদের সারা জীবনের স্বল্প সামর্থ্য উপার্জন তারা হরণ করতে চেয়েছিল  সেই অসামান্য মহিলাটি বীরত্বের পরিচয় দেখিয়ে তাদের এই গ্রামটি কে রক্ষা করেছিল। একবার শীতের শুরুতে পাশ দিয়ে বয়ে চলা বসুন্ধরা নদীর তীরে গ্রামের সবাইকে নিয়ে বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল হই হই রই রই ব্যাপার মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে ছোটদের আনন্দ সচ্ছলতার মধ্য দিয়ে প্রান্তিক মানুষগুলোর মুখে হাসি দেখে ঊষা মান্ডির খুব ভালো লাগতো আস্তে আস্তে তারা বনভোজন সমাপ্ত করল শীতের হিমেল বাতাসে সেদিন ওদের আনন্দ ছিল সূর্যের উজ্জ্বল রাশির মত রুপ-লাবণ্যে ফুটে উঠত এইভাবে এই আদিবাসী মহিলাটি নারী শক্তির বিরত্ব দেখিয়ে এই গ্রামকে রক্ষা করতেন ছেলেমেয়েদেরকে প্রকৃত শিক্ষা দিতেন গ্রামটির নারীদেরকে এই পৃথিবীর এই পরিবেশের বিভিন্ন ইতিহাস বিভিন্ন গল্প ও তাদের নিরাপত্তা সম্পর্কে সজাগ করতেন ধারণা দিতেন এইভাবে এই ছোট্ট আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলটি ঊষা মান্ডি এই অসামান্য মহিলা গ্রামটিকে রক্ষা করতেন। এইভাবে তারা সুখে-শান্তিতে বসবাস করতেন আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষ গুলো। এই প্রান্তিক মানুষ গুলো তাদের নারী শক্তির যে পরিচয় তা ফুটিয়ে তুলেছিল এক অনন্য মাত্রায় অনন্য দিশা যা জীবন বজায় ছিল প্রতিটি পদে পদে তারা একসাথে মিলেমিশে আজীবন ওই ছোট্ট অঞ্চলে পারস্পারিক মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে আজীবন বসবাস করত।





         মহাবীর কর্ণ
              হামিদুল ইসলাম
             

মানুষ এখন মানুষ নামের কলঙ্ক
পৃথিবীতে এখন প্রতিদিন
খুন জখম রাহাজানি
মল্লযুদ্ধ
নিস্তার নেই কারো 
মা বোনেরা ধর্ষিতা প্রকাশ‍্য দিবালোকে  ।।

যেদিকে চাই
দেখি, নারীদেহ ছিঁড়ে খাচ্ছে
হায়নার দল
কবন্ধ দেয়াল
বিবেকহীন
দস‍্যু সেজে ছিনতাই করে মানবিক মুখ  ।।

ফিরে আসি বাড়ি
উঠোনে পড়ে আছে আমার দিদি
রক্তাক্ত শরীর
নখের আঁচড়ে শতছিন্ন গোলাপ
খেয়ে গেছে সমস্ত পাপড়িগুলো
শুষে নিয়েছে সমস্ত অবয়ব  ।।

মাথার ভেতর
জীবন্ত কোষগুলো কিলবিল করছে তখনো
খেতে চায় লালসার শরীর
অস্থি রক্ত মাংস
পীত বসনে দাঁড়িয়ে থাকে তখনো মহাবীর কর্ণ 
আদতে মহাবীর কর্ণ এখন দর্শক মাত্র  ।।




    অস্থির সময়
          স্বরাজ পরামানিক

অরাজকতায় স্বরাজের শেষ।
নাশকতায় আজ পূর্ণ স্বদেশ,
বিচার কথা কয় না।

নিশাচর ঘোরে অলি- গলি - ঘুঁজি।
দুর্বলদের ঘর ফিরি খুঁজি,
জোনাকির আলো জ্বলে না।

বিষাক্ত থুতু পড়ে থাকে ফাঁকে।
ভাইরাসরা বাসা বাঁধে তাতে,
নিরাময় কাছে আসে না।

ধোয়ায় ধোঁয়ায় ভরে অম্বর,
পিষ্ঠ পাঁজরে ঘোরে যন্তর,
সময় বয়ে চলে না।

পৃথিবীর গতি ছুটে চলে বাঁকে,
পুতুলের দল নাচে ফাঁকে ফাঁকে,
ক্লান্তির ক্ষমা মেলে না।



মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
টান

চলে
যাবো আমি
যেতেতো হবে একদিন
তবু যাবার আগে একবার
জেনে যেতে চাই আসল সত‍্যিটা
তুমি সত্যি আমাকে একান্তে পেতে চেয়েছিলে?

হাতে হাত রেখে নিজের বলে মেনেছিলেন?
মনে পড়ে নদীতীরের  হেমন্ত সন্ধ‍্যেটা !
ভয় পেয়েছো কোনদিন  হারাবার!
জানি‌ মানোনা ঋণ
এসব অন্তর্যামী
বলে ।

(২)

পরিহাস

রাষ্ট্রের
নির্মম পরিহাসে
কিছু মানুষ বিলিয়নার
বাকিদের পিঠে দারিদ্র্যের কষাঘাত
নুন ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত
ধর্মের আফিম  খেয়ে থাকে তারা অচেতন।

তারাই দেশের মজুর পায় নামমাত্র বেতন
শরীর ছাড়া কিছু নেই সঞ্চিত
মাথা তুললেই জোটে বেত্রাঘাত
তারাই গড়ে মিনার
মরে ত্রাসে
পাপের।





আঁধিয়ার
       অশোক কুমার পাইক

দুঃসহ আঁধিয়ার শেষ হতে কত আর বাকি
বিশাল পৃথিবীর রূপ জড় আঁধারে ঢাকি,
দিগ্ দিগন্ত জুড়ে কত মানুষের রূপ
আলোর সন্ধানে উঁকি মারে বোবা নিঃশ্চুপ l

সূর্য বিদায়ে ধীর পায়ে সেই আঁধিয়ার
কালো রূপ ধারণ করে কুন্তল আকার,
তখনি ব্যস্ত ইঙ্গিতে কারা ডাক দেয় --
চেনা অচেনা ভীড়ে বিস্ময়ের রূপ নেয় l

পৃথিবীর কোথা হতে ভেসে আসে আঁধিয়ার,
কেউ কী রহস্য ভেদ করেছে কভু তার ?
সৃষ্টির উল্লাসে চলে পরিবেশ প্রকৃতি
সূর্য উঠলে আলো, আঁধারে কালো আকৃতি l

যার কোনো বর্ণ নেই শুধু কালোর রূপ
অথচ তার কীর্তি গুণ অতি অপরূপ,
গাঢ় আঁধার, জুড়ায় সূর্যাতাপের দাহ
শ্রান্ত মানবের সেই শয়নের সুরাহ l

জীব কুল, প্রাণী কুল, সর্ব কুল আঁধারে,
ঘুমন্ত শিষ্টাচার সেই রজনী সম্ভারে l



শৈশবের_অনুভূতি
      শান্তি__দাস

জীবন চলার পথে বাঁকে বাঁকে,
কত অভিজ্ঞতা আমাদের মনে আঁকে।
স্মৃতি পটে বার বার মনে সাড়া জাগে,
বিস্মৃতি হতে চাই তবুও স্মৃতিতে সাজে।
অচেনা নয় সেই চেনা পথ ধরে জীবনে চলা,
স্মৃতির মেঠো পথ ধরে কুয়াশায় ঝাপসা হয়ে যাওয়া আবছা ছেলেবেলা।
চুপ কথার মনের গহীনে সেই স্মৃতি ছেলেবেলায়,
চুপ কথার মনের গহীনে সেইসব স্মৃতি আঁকি নিরালায়,
মৃতির বাতায়নে ফিরে পাই চির চেনা পথ,
স্কুল ছুটির দিন কেটে যেতো খেলার বন্ধুদের সাথে।
বাবা মায়ের বকুনি সবকিছু এড়িয়ে চলতাম আপন মনে,
বন্ধুদের সাথে প্রতিমুহূর্তে খুনসুটি আর আনন্দে।
ছেলেবেলার স্মৃতি চাইলে ও যায় না ভোলা,
অনুভবে ফিরে পাই  সেই বন্ধুদের স্পর্শের দোলা।
যদি ফিরে পেতাম সুধা মাখা হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি,
একদিনের জন্য যদি ধরা পেতাম এই মধ্যাহ্ন গগনের রীতি।
যদি ফিরে পেতাম ঘুমিয়ে থাকা ছেলেবেলার ভালোবাসা,
মনে পড়ে সেই নানা রঙের দিনগুলো ছিল কত আশা।


👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 








শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 07/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 07/11/2020

*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-07/11/2020, শনিবার
               সময় :- রাত 7 টা. 15 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


          অবাধ্য
                   অভিষিক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়

                কারাগারে যদি রাখতে চাও
                   ভূমিকম্প হয়ে যাবো ;
                  খাঁচায় যদি পুরতে চাও
                     তরল হয়ে যাবো ;
                তরল ফুটিয়ে শেষ করবে ?
                     বাস্প হয়ে যাবো ;
                  বাস্প হয়ে বর্ষায় কখনো
                     নদী হয়ে ঝরে যাবো ;
                 নদীকে এবার বাঁধতে যাবে ?
                    খরস্রোতা হয়ে যাবো ;
                 খরস্রোতায় ফেলবে পাথর ?
                      পাথর ভেঙে দেবো ।

                       


       কবিতার সাম্রাজ্য
               হামিদুল ইসলাম
                  

কবিতার সাম্রাজে ঘুরে বেড়াই
সাম্রাবাদী ভাবনাগুলো ঘুরে বেড়ায়  রাতের ছায়ায়
মন থেকে তাড়াই বুনো মোষ
ইতস্তত বিক্ষিপ্ত জীবন
ভাবনাগুলো মরিয়া হয়ে পেছনে পেছনে ছোটে
বুটের আঘাতে ভাবনাগুলো সরাই  ।।

জীবন জীবিকার প্রশ্ন
সাম্রাজ‍্যবাদী দুনিয়া প্রতিদিন করে চক্রান্ত
গরিব মানুষ জোট বাঁধে
ভাঙতে চায় সাম্রাজ‍্যবাদী শাসনের যাঁতাকল
একঘেঁয়ে জীবন
হারিয়ে যায় পতিত জমিনের জীবাশ্মের কঠিনতায়  ।।

কার জন‍্যে কে আসে
কার জন‍্যে বাঁধি সাধের চিলেকোঠা ঘর
নৈঋতে ঝড়
ঈশানে ঝড়
চকিতে বিদ‍্যুৎ খেলে যায় মনের ভেতর
এ জন্মের দাসখত লিখে দিই তার হাতের চেটোয়   ।।

ইতিহাস কভু মিথ‍্যে বলে না
দুর্বোধ‍্য ভাবনাগুলো মন থেকে ছুড়ে ফেলি জলের তলায়  ।।




হতাশা
     গোপাল বিশ্বাস

অন্যের কেমন সহজেই সব হয়ে যায়
আমার হয় না
বাস্তু ভিটে ঢুকে পড়ে সাপ
অনিশ্চিত পথে পা বাড়াই প্রতিদিন
কখনো ক্রাইম করতে ইচ্ছে করে
মদ খেতে ইচ্ছে করে
মন্ত্রীকে গুলি করতে ইচ্ছে করে  l
কুকুরেরা কেন আমার পথেই ঘেউ ঘেউ
---পাগল
কারা কেড়ে নেয় জমানো ফসল ?

অন্যের কেমন সহজেই সব হয়ে যায়
আমার হয় না
যোগ্য অযোগ্য নিত্যির পাল্লায়
ক্রমশঃ স্পষ্ট রাজনীতির চিতা বাঘ
নদীর তীরের বালি মুখ ঘুরে বসে
অধিকার গুলো দিগন্তরেখার পেছনে
কি যেন বলা বলি করে  l
আসছে নির্বাচনে আমি প্রার্থী হবোই
পঞ্চায়েতে ?  বিধান সভায় ?
নাকি পাগলা গারদে ?

অন্যের কেমন সহজেই হয়ে যায়
আমার হয় না
রহস্য হাতের খেলা
বনে বনে ঘুরে কিরাত শালা
মিথ্যে গুরু দক্ষিনা কেটে লয়
একলব্যের আঙুল
দেওয়ালে পিঠ টেকে গেলেও,
বার বার একই ভুল  l

আমি হেটে যাবো ঝড়ো সমুদ্রে
গিরি পাথরে খুঁজে নেবো
অঙ্কুরিত তৃণলতার বীজ
জ্বালাবো হতাশার বুকে আগুন ,
এ  ভাবেই পুড়ে এক একটা ফাগুন  l
অন্যের কেমন সহজেই সব হয়ে যায়
আমার হয় না
কারণ পাগল তো পথে  পথেই ঘুরে   l






অন্ধকার থেকে আলোতে         
             সুস্মিতা দে 

আমরা  অন্ধকারের যাত্রী  প্রভু আলোর পথ দেখাও
আবার অন্ধকার  থেকে আলোর সন্ধানে ।
অন্ধকারের নিশানা বলে যেতে  হবে যে তোমাকে আমার সাথে  আলোয়। রামকৃষ্ণ দেব বলেন  স্বামীজি কে ।
তিনি শিকাগো থেকে থেকে 
বিবেকানন্দ আসেন রামকৃষ্ণ দেব আশীর্বাদ করে বলেন  নরেন যাবে লোকশিক্ষা প্রচারের দায়িত্ব তোর দেশ থেকে দেশান্তরে ভারত তখন কাঁদছে গেলেন তিনি শিকাগো তে পেলেন তিনি  কতো ভক্তির সাথে ভক্তরা। স্বামীজির আহ্বানে সাড়া দিয়ে আনলেন আমাদের দেশ ভারতবর্ষ আবদ্ধ হলো শ্রেষ্ঠ সম্মানের আসনে।
তিনি কন্যাকুমারী শেষ প্রান্তে  টিলাতে বসে তপস্যা করেন।
কাজী নজরুল ইসলামের মতো বিদ্রোহী কবি তার গান তার প্রানের সাড়া তার লেখা আমার প্রাণ আনন্দে এই মহান মানুষ কে  জানতে পারে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাইকেল মধুসূদন দত্ত আমি কি পারি লিখতে শব্দহীন  শব্দ মুখে আসে না আমার  অন্তরের কবি আমার অন্তর্যামী ।
তাইতো বেকুব করলি তোরা এক জাতিকে  একশো খান।জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত জালিয়াত খেলছো জুয়া।
অন্ধ কারের আলো জ্বলে ওঠে তার পথের অবিশ্রান্ত পরিশ্রম দিয়ে  কাজ করেছিলেন । আমরা তখন ঘুমিয়ে ছিলাম  আজ চলো আমরা জাগি কাজ করি।
গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার  মা দুই ধারে দুই জলের ধারা মেঘনা যমুনা ।
ভারত আমাদের ভারতবর্ষ  মিলেমিশে  একাকার হয়ে যায় আগের মতো রাখি বন্ধন হোক আমাদের একটি দেশ আমরা মানবিকতার মানুষ ।
আর অন্ধকার  নেই। আলো জ্বলে ওঠে ।
রবীন্দ্রনাথ বিবেকানন্দ বীর সুভাষের মহান দেশ নাহিকো ভাবনা নাহিকো  চিন্তা  হৃদয়ে নাহিকো  ভয়ের লেশ।। রামকৃষ্ণ দেব ঠাকুর গির্জা মসজিদ মন্দিরে যেতেন। মানুষের মন একটি  ধর্ম একটি কর্ম  আমাদের  মানবিকতা।
জাগো বন্ধু  আমরা একতার বন্ধন সৃষ্টি করি একটি  ধর্ম একটি  প্রান।  একটি কর্ম  মানুষের প্রীতি শুভেচ্ছা ভালো বাসা পরস্পরের প্রতি ।।
আর দেরি না। চলো কাজ করি। অন্ধকারে মধ্যে আলো থাকে পদ্মফুল পাঁকে থাকে । শিল্পীর মনোবল মনোনিবেশ হাতুরী ঠুকে ঠুকে শিল্পীর কলা মূর্তি অতিরিক্ত পাথর কেটে  ছবি  টি তোলে ।
তার ভিত্তিতে ঐতিহাসিক নিদর্শন দেয় ঐতিহ্য কোন যুগের ইতিহাস বহন করে চলে ইসলামিক না প্রাগ ঐতিহাসিক না  আধুনিকতার ছোঁয়া আছে।
কাজ করি । কর্ম ধর্ম মানুষের মুখোশ্রী ।
মুখোশ ভেদাভেদ করে  সব কিছুর পতন  আনে।



মাতা-পিতা         
        সুশান্ত মজুমদার

মাতা পিতার তুলনা ভাই
বৃথা কেনো করো,
কোরান পুরাণ হাদিস তুমি
যত্ন করে পড়ো।

পিতা হলেন জন্ম দাতা
মাতা গর্ভে ধরে,
প্রসব ব‍্যথা সহ‍্য করে
আনে ভুবন পরে।

পিতা মাতার আদর স্নেহে
জীবন ধীরে গড়ে,
পিতা মাতার অভাব হলে
জীবন থমকে পড়ে !

সন্তান যখন থাকে সবাই
বোঝে না তার মর্ম,
পিতা মাতাই পরম আপন
সেবা করাই ধর্ম।

তুমি যদি করো সেবা
সন্তান করবে লালন,
বৃদ্ধাশ্রমে হবে না ঠাঁই
গৃহেই হবে পালন।



ভালোবাসার আরেক নাম...
               শাশ্বতী দাস

  রঙিন মোড়কে মোড়ানো ভালোবাসা
       আর মুখোশ ঢাকা মুখ,
  জড়িয়ে আছে জীবন পরতে
         আলতা রাঙানো সুখ!
      প্রতিশ্রুতি আর প্রতিহিংসা ---
       ভালোবাসারই আরেক নাম,
      জড়িয়ে থাকে একে অপরকে
          সুখ সায়রে করে স্নান।
       "আমার বাড়ি যাইও বন্ধু"
          ভালোবাসার নিমন্ত্রণ!
       ভোগ করবো শরীরটা তোর
          ওতেই যে সব আকর্ষণ!!




বর্তমান সময়ে শিশুদের অবস্থা
        আব্দুল রাহাজ

আজ আমরা উন্নতশীল দেশের মানুষ আধুনিক মায়াজাল আমাদের দেশে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে । সাথে সাথে মানুষের পরিবর্তন হচ্ছে মানুষের আরাম ভোগ বিলাসিতা বেড়েই চলেছে সমাজে শিশুরা কোথাও যেন লাঞ্ছিত বঞ্চিত কারণ হিসেবে বলা যায় দারিদ্রতাকে ঘোচাতে অল্প শিক্ষিত মানুষের ঘরে হতদরিদ্র মানুষের ঘরের ছেলেমেয়েরা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকলেও ওরা যেন কোথাও ছোট বয়স থেকেই কাজের জগতে ঢুকে পড়ছে তাহলে কী সমাজের উচ্চবিত্ত প্রভাবশালী ছেলেমেয়েদের প্রভাব বেশি  এইসব মধ্যবিত্ত নিম্নমধ্যবিত্ত হতদরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা অল্প বয়স থেকেই কাজের জগতে প্রবেশ করছে হলে কোথাও যেন তারা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোথাও স্বাধীনভাবে খেলাধুলা করতে পারছে না ফলে তাদের বিভিন্ন বিকাশে বাধা প্রাপ্ত হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের গ্রামের শেষ মাথায় ইটভাটা ছিল একদিন বিকাল বেলায় ঘুরতে গিয়ে দেখলাম এক করুণ দৃশ্য গোটাকয়েক পরিবার ইটভাটা সংলগ্ন জায়গায় থাকে সেখানে তাদের ছেলেমেয়েরা সবাই বাবা মায়ের সাথে ইটভাটায় কাজ করছে আমি একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম তোমার নাম কি বলল আহাম্মেদ ও আচ্ছা কোথায় পড়াশোনা করো একটু হেসে বলল পড়াশোনা পড়াশোনা করি না তো এই বলে দৌড়ে চলে গেল আরেকটু ভিতরে চলে গেলাম ছোট ছেলেমেয়েরা তারা বাবা মায়ের হাতের কাজে ব্যস্ত তখন প্রায় সন্ধ্যা গ্রামের প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ে যখন বই নিয়ে বসে তখন ওরা উনুনের ধারে বসে একটু খাবার জন্য বসে থাকে এইসব দৃশ্য দেখে বাড়ি ফিরলাম এমন যদি হয় তাহলে জানিনা সমাজে আরো কত শিশু এরকম অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে যেখানে তাদের স্বাধীনভাবে আনন্দের ছেলে পরিবেশে বাঁচার কথা একটু শিক্ষা গ্রহণ করবেন হাসিমুখে সবার সাথে মিলে মিশে থাকবে কিন্তু সেটা ওরা উপভোগ করতে পারছেনা এইভাবে ওরা দারিদ্রতাকে জয় করার জন্য ছোট থেকেই নিজেদের প্রতিভা স্বপ্নকে কোথাও যেন বিসর্জন দিয়ে ওরা শিশুশ্রমিকের পদে নাম লিখিয়েছে সত্যি শিশুদের এই করুন অবস্থা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এক অকাল কালো ঘনীভূত দৃশ্য দেখতে চলেছে।





বিবেক হরণ
         অনাদি মুখার্জি

দেখিলাম সেই দিন রাস্তার মধোই,
বয়স্ক বৃদ্ধ পিছলে গেলো পা পড়ে!
দেহ তার কঙ্কাল সাড় ছিলো ছিন্ন বস্ত্র পরে,
বয়সে ভারে মলিন বদন বল নেই তার চরণে !
শহরের ঘুরে ঘুরে সেই বৃদ্ধ ভিক্ষে করে মুষ্টি চাল,
এক বাবুসাহেবের ধাক্কায় পড়ে দশা হল এই হাল !
কাদাজলে পড়ে গেল তার কষ্টের চাল গুলি ,
কান্না চোখে জল নিয়ে চালগুলো তুলে ভরে ঝুলি !
তার এই কষ্ট দেখে আমার মন করিলো আঘাত ,
সেই গরিব বলিয়া আজ নেই তার কোনো  সন্মান!
ছিলাম আমি তখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে,
তখনই ছুটে গেলাম তাকে তুলিতে ,
আমাকে দেখে পথচারী রা শুধু হাসে !
তাকে ধরিয়া তুলিলে বুঝি যাবে আমার জাত ,
ছিলো এক শিক্ষক বাড়ালো না আমার সাথে হাত !
বলি হাইয়ে সমাজ  আজকে তোদের চোখে একি হাল !
ধন দিতে পারে শুধু ক্ষণিকে সম্মান,
গরিবের পাশে থাকিলে পাবে তার চিরতরে সন্মান !
টাকা আছে বলে আজ  গর্ব করেছে যারা ,
জীবনের মূল্য কি বোঝেনা যে তারা !
অর্থ হলো আজকের এই  অনর্থ মূলত কারন ,
এই  অর্থ  করছে তাদের বিবেক হরণ !





মায়ের  রূপ
        গণেশ দেবরায়

ঢ্যাম কুরাকুর্  ঢ্যাম কুরাকুর
বাজল ঢাকের বোল্
দেবী পক্ষের সূচনাতে
আগমনীর রোল্।

মা যে এলো সবার মাঝে
আনন্দ সব দিকে
খুশির আমেজ ছড়িয়ে দিয়ে
চারদিনে সব ফিকে।

এলো গেল লক্ষী ঠাকুর
আলপনা আর নাড়ু
চলে গেল দেবী পক্ষ
অজানা নেই কারু।

বসে আছি প্রদীপ নিয়ে
দীপাবলির জন্যে
কোথায় মা শ্যামা রূপে
খুঁজছি হয়ে হন্যে।






মানবের ঠাই
            জুয়েল রূহানী

মানব মহান মুখের কথায়
ভিতরে তার শয়তান রূপ,
মুখের বুলিতে কারবে মন
মুখোশ না করে উন্মোচন!

বুঝা বড় দায় মানব রূপ
সাধুর ভিতরে চোর নিশ্চুপ,
কখনও বা সাধারনে-
অসাধারন গুনের স্তুপ!

মানব মনে শয়তান কভূ
বসবাস করে ছলনায়,
মানবে ফুটিয়ে তোলে-
চিত্র নানান উন্মাদনায়!

মানব মনের ঠাই ফেরেশতায়
কখনও বা ঠাই শয়তানে,
মানবের ঠাই মানব মনে-
দোযক কিংবা স্বর্গপানে।






কসৌলি ঘুরে
          বদরুদ্দোজা শেখু

একদা সন্ধ্যায় দল বেঁধে কসৌলি ঘুরে এলাম
*টি-ভি-আর সেন্টারের পিছনে অদূরে বাঁধানো বেঞ্চিতে বসলাম
দক্ষিণে দূরে মাঙ্কি পয়েন্ট, আরো দূরে কালকা পিঞ্জোর,
বিন্দু বিন্দু ঘরবাড়ি , সমতল ভূমির শহর,
হাড়হিম হুহু শব্দের বাতাস, উপত্যকার কন্দরে
রক্তিম অস্তায়মান সূর্য অপরূপ, ক্রমশঃ ধূমোল প্রহরে
আচ্ছন্ন অনুভূতি রোমাঞ্চ-বিহ্বল , পাহাড়-শ্রেণীর বর্ণাঢ্য বিস্তার
ভয়াল চমকপ্রদ আদিম সুন্দর, উপলদ্ধির দুর্লভ সমাহার ।
দু-চারজন পথিক কিংবা দু-একটা ঝকঝকে গাড়ি
  সামনে দিয়ে   থেকে থেকে দেখা যাচ্ছে যেতে, মনে হয় ওরা সুখী ভারী।
ভাবতে ভাবতে স্থানু অভিভূত, ক্রমশঃই প্রশংসার অকুণ্ঠ নিবিড়
সৌজন্যে সন্তুষ্ট আমি, তুচ্ছ কূপমণ্ডুক জীবনের নীড়
নিয়তির দাক্ষিণ্যে মূহ্যমান চমৎকৃত , সরকারী চাকুরির প্রারম্ভিক
চকচকে নোটের প্রাপ্তিতে যেমন আবেগ-বিহ্বল বেকার যুবক , ঠিক
ততোধিক দৃষ্টির আনন্দ আর অলৌকিক গান
আমার স্নায়ুর রন্ধ্রে , দেখা হলো   অপরূপ ঈশ্বরের সৃষ্টির বাগান ।।




সুখ সন্ধান
       সত্যব্রত চৌধুরী

সুখের খোঁজে যাস নি মিছে ,
সুখ যে ধায় তোরই পিছে ।
দুখের ব্যাথা হৃদয়ে বাজে ,
দুখের মাঝেই সুখ যে আছে ।
দুখ হল যে ভাই কষ্টি পাথর ,
পরখ করে তোর হাড়-পাঁজর ।
সুখ জেনো এক শীশ-মহল ,
সুখের সন্ধানে জীবন বিফল ।
দুখকে সইতে পারে যে জন ,
সুখ যে হয় ভাই তারই বাহন ।
সুখের তরে কাঙাল যে জন ,
দুখ তাড়া করে তারই পিছন ।
দুখেতে হতাশ হয়ো না ভাই ,
সুখের আগম দুখের দ্বারাই ।।





মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা

(১)
আমার প্রিয়জন

এই
সাজানো সংসার
আমার প্রিয় মানুষজন
খুনসুটির প্রিয় খেলার সাথীরা
এর মাঝে দাঁড়িয়েই চিনেছি আমিকে
এদের উঠোনেই চলবে আমার চিরায়ত যাপন ।

এই পাহাড়- নদী - অরণ‍্য এরাও আপন
এদের সান্নিধ্যেই খুঁজে পেয়েছি অক্ষরকে
এদের বুকে বন্ধনহীন পাখিরা
এখানেই পাখি মন
খুঁটবে খাবার
খ ই।

(২)

পিছুটান

হাসুন
গোছানো হয়েছে
আমার নিজস্ব লটবহর
উঠোনে ঝরা শিউলি ফুল
দীর্ঘশ্বাস ফেলছে দেয়ালের প্রিয় ছবি
হাত দিয়ে আগলাচ্ছে চেনা দরজার পাল্লা।

তবুও জানি থেমে যাবে বিদায়ের হাল্লা 
নতুন কবিতা লিখবে স্বভাব কবি
ভেঙে যাবে সব ভুল
মাঝিতো গুনছে প্রহর
ডাক দিয়েছে
আসুন।



কবিতা-
      নৈতিকতা
          শান্তি দাস

পৃথিবী আজ গিয়েছে ভরে,অনিয়মের বাহুডোর--
সবাই নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে আছে।
যেথায় সেথায় রাখতে নিজের দখল,
নিজের স্বার্থ রক্ষা,করতে সবাই মরিয়া।

শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো নৈতিকতা বোধ,
শিক্ষায় শিক্ষিত হলাম যদি কেন নয় সুশিক্ষা।
শিক্ষকরা সুশিক্ষা দেয় নৈতিকতা নিস্ঠার শিক্ষা,
আদর্শ মানুষ রূপে গড়ে তুলবে এটাই জাতির প্রত্যাশা।

আদর্শবাদী শিক্ষক সমাজ আলোকিত করে,
মানব জীবনের উন্নয়ন ,মানব কল্যাণ,নির্ণায়ক নৈতিকতা।
অফিস, আদালত, সমাজে হয় না ঠিক মতো কাজ,
নিজের প্রাপ্য বুঝে পায় না কেউ,হতে হয় হয়রানি।

মানব জাতি উন্নত,নৈতিকতা সম্পন্ন জীব,
মানুষ হয়ে যদি না থাকে নৈতিকতা মূল্যবোধ।
তাই তো সুশিক্ষায় শিক্ষা নিয়ে করো সত্যের পথ অনুসরণ,
নৈতিকতার মধ্যেই লুকিয়ে আছে সততা,মহত্ত্ব ন্যায়পরায়ণতা।

আদর্শবাদী মানুষ হয় সততা অবলম্বনে,
লোভ লালসা উচ্চাভিলাষ থাকলে জীবন হয়না সুখ।
বিবেচনাহীন জৈবিক কামনা  অসৎ পথে চালিত করে,
এর ফলেই দেশ ও সমাজ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলে।




👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 







শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 06/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 06/11/2020



*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-06/11/2020, শুক্রবার
               সময় :- রাত 7 টা. 15 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


   বাক্স  রহস্য
        পিনাকী মুখার্জী
  
             আগুন  দামের আগুন
             নিয়ে ,  তৈরী  জতুগৃহ  !!
              পেঁয়াজ  রসুন  উচ্ছে
             বেগুন ,  সাজায়  চক্রব্যূহ  !!
      
                   রোধ  করে  কন্ঠ ,
                যখন  চড়া  দামে  !!
                 পরোয়ানা  নিয়ে  যম
             দেবতাই  ,  কেবল   সর্বনামে  !!
     
            বঞ্চনারই  আঁতুড়ঘরে ,  জন্ম
                   শুধুই  নাম  বদল  !!
             দিবাস্বপ্নে  , আকাশ -কুসুম
             স্বপ্নগুলোর   বেশ  বদল  !!

                  মাঞ্জা লাটাই টানছে
                কখন  ছাড়ছে কোথায়  !!
                স্বপ্নগুলোর স্বপ্ন  উড়ান
               ভোকাট্টা  নীল  অজানায়  !!





সব ছেড়ে চলে যেতে হয়....তাই
        চিত্তরঞ্জন দেবভূতি

তারপর সময় হলে,সব ছেড়ে চলে যেতে হবে,
এই চরম সত্যকে উপেক্ষা করতে পেরেছে,
কে আর কবে?
আসুন তাই মিলেমিশে থাকি,
সারা দেশ জুরে সত্য ন্যায় ভালোবাসার,
আলপনা আঁকি৷
মানুষ হয়ে মানুষকে আমরা কেউ কাউকে,
না যেন দিই ফাঁকি৷



অণুকাব্য
        মৃদু হাসি
               জুয়েল রুহানী

"দু'টি ঠোটের মৃদু কম্পনে
কপোলে টলক স্বর্গীয় রুপে
মুচকি হাসির বিচিত্রতায়-
পতিত হৃদয় সুখের কূপে"


পান্ডুলিপি
        সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

বুদ্ধদেব বসুর পান্ডুলিপিটা
নোংরা স্যাঁতসেঁতে আঙুল গুলো চটকেছে
তবু সূর্য ওঠেনি, বিস্ফোরণ ঘটেনি-- সেসময়।

ভেবেছিলাম-- ওটা অতীত।
এখন উন্নত কম্পিউটারের শরীর।
আমার পান্ডুলিপি কে মিটিমিটি
চোখে দেখবে না,। হলদে লোভী চোখ দু'টোও
বলবে না-- 'এ লেখা আপনার কেউ পড়বে? '

অথচ বছরের পর বছর ধরে
লেখা গুলো আমার কি সত্যিই রোগাক্রান্ত!?
আমি কি একটা আস্ত গাধা?

ঘুম আসে না। লেখার ওপর বিতৃষ্ণা জাগে
বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন চলে নিরন্তর
মনের গভীরে।

সান্ত্বনা ও জোটে। কিন্তু স্বর্গ চ্যুত প্রকাশকের
মনে দেবত্ব পক্ষপাত দুষ্ট হয়ে থাবা বসায়

জানিনা, অবাক হব এরপর
         নাকি
    তৃষ্ণায় চাতক হব!!!




ভোর ৩
       উমর ফারুক

স্থিতিশীল আকাশের চাঁদ
প্রাকাণ্ড এক আলো
বিচূর্ণ চাহনির প্রান্তরে হাঁটে।
আযানের  প্রতিধ্বনি
ঘুম ভাঙানো মোরগের ডাকে
মৃত্যুর পরোয়ানা প্রত্যাহার
আলো জ্বলে উঠে
অন্যের দ্যুতি হয়ে।
কোকিলের গুঞ্জন বরিষণ
ভোরের বাতাস
উষ্ণ হৃদয় কে হিম করে।
প্রতিধ্বনির স্বনিত এক কোন থেকে
উন্মোচিত হবে অনুজ্জ্বল নক্ষত্র।





শান্তি চাই
        আব্দুল রহিম

প্রতিবন্ধকতার লালসা ছাড়িয়ে,
জেগে উঠুক সমাজ, জেগে উঠুক মানবতা,
ধর্ম নয়, জন্ম নয়, বর্ণ নয়, কর্মের হোক জয়,
চোখের কোণে সাজুক নব নব পৃথিবী।।

সভ‍্যতার বর্বরতা, কর্কশ, হিংস্রতা কাটিয়ে,
স্বপ্ন জাগুক রাশি রাশি,
বিদ্বেষ নয়,
মানুষ মানুষকে বলুক ভালোবাসি
মিথ‍্যা নয় সত‍্যের হোক জয়,।।

সবার উপর মানব ধর্ম,
তাহার উপর কিছু নাই,
এ কথা মানে যে জন যে মন
সেই শুধু জানে
পৃথিবীতেই স্বর্গ,পৃথিবীতেই নরক  ।।

মৃত্যু মানে সব শেষ,
তবে কেন এত জাতি -ধর্ম -বর্ণ বৈষম্য
জাতি -ধর্ম -বর্ণ নির্বিশেষে চামড়া কেটে দেখ,
শুধু পাবি  তাজা রক্ত মাংস ।।

যুদ্ধ নয়,শান্তি চাই।।





প্রবন্ধ
পুস্তকের প্রচ্ছদ ও বই পড়ার ইচ্ছে
         অগ্নিমিত্র

  জ্ঞানী লোকেরা বলে গিয়েছিলেন-'Don't Judge a book by its cover '। সত্যিকারের যারা বইপোকা, তারা প্রচ্ছদ ভালো হলো বা না হলো, তার ধার ধারেন না। সেখানে বইয়ের content বা লেখার গুণগত মানই মুখ্য বিষয়  । তা হলেও, একটি পুস্তকের প্রচ্ছদ অনেক সময়েই যদি ভালো হয়, তবে তা পাঠককে সেই পুস্তকটি পড়তে প্রলুব্ধ করবে। আর যদি তা তেমন চিত্তাকর্ষক না হয়, তবে পাঠকের মনে একটু বিতৃষ্ণা জাগে বইকি । মানে আগে দর্শন ধারি, পিছে গুণ বিচারি!.. অর্থাৎ কোন একটি পুস্তকের প্রচ্ছদ অনেক সময়েই  সেই পুস্তকের ভাগ্য নির্ণয় করে থাকে! তাই প্রচ্ছদ ভালো ভাবে বানানোর জন্য প্রকাশকেরা অনেক সময়ে  আর্টিস্টদের দ্বারস্থ হন । যেমন, প্রথম জীবনে সত্যজিত রায় এভাবেই প্রচ্ছদ ডিজাইন করতেন । তবে সব মনোযোগ যদি কেবল প্রচ্ছদেই চলে যায়, আর বইয়ের লেখা বা লেখাগুলি তেমন ভালো না হয়,  তবে আবার মুশকিল ।।




জিজ্ঞাসা
      সুশান্ত মজুমদার

বৈচিত্রময়  মানব জাতি
ধরা ধামে শ্রেষ্ঠ,
জ্ঞান বুদ্ধি, প্রেম প্রীতি
আদর্শে তাহা স্পষ্ট।

বলিতেছে মুখে আত্মসুখে 
মোরা সেরা জাতি,
নিজের ঢাক নিজে বাজিয়ে
আনন্দেতে মাতি।

অন্তরিক্ষে বাঁধিয়া ঘর
হাওয়ায় ভাসাইয়া গাড়ি,
চাঁদের দেশে চরণ রাখিয়া
মঙ্গলে দিয়াছে পাড়ি।

বুদ্ধির পাহাড় ডিঙাইয়া তবু
বন্দি ঘরের মাঝে,
জিজ্ঞাসি মনে আজি কি আর
কোনো অহং সাজে ?





        ভালোবাসা
                  হামিদুল ইসলাম
                     

জীবনটা কষ্টে কেটে যায়
এমন ভাঙাচোরা ভালোবাসা
কেউ কোনোদিন ভালোবাসে নি আমায়
তবু জীবনটা কষ্টে কেটে যায়   ।।

সারারাত তার জন‍্যে করি অপেক্ষা
সে আসে
আমার পাশ ঘেসে শোয়
উলোট পালোট শরীর সর্বদাই  ।।

সারারাত স্বপ্ন দেখি
উজানে উন্মত্ত ঘোড়া ছোটে
নদীতে হাঁটুজল
পেরিয়ে যাই আলোছায়া ঘরদোর  ।।

আর কতোদিন এভাবে কাটাই জীবন
এমন ভেঙেচুরে ভালোবাসা তার
মনের গভীরে
যেনো একফোঁটা ক্লান্তি নেই  ।।

প্রতিদিন তার সুপ্ত ভালোবাসা
দিঘীর জলের মতো আমাকে জড়িয়ে ধরে
পালাবার পথ খুঁজে পাই না
কোথায় পালাই  ।।

আসলে পালাতে চাই না আমি
এমন ভেঙেচুরে ভালোবাসা আর কোথায় পাই  ।।





এখন আমি যা
অজ্ঞলি দে নন্দী,মম

গত কয়েক দিন ধরে আমার দেহ কোরোনা ভাইরাস আক্রান্ত। বন্ধ রুমে শয্যাশায়ী। বুকের ভেতর এক অদ্ভুত শব্দ সদা সর্বদাই বেরিয়ে আসছে। চোখে ঝাপসা দেখছি। কানে সাফ শুনছি না। কথাও আটকে যাচ্ছে। নড়াচড়া করার ইচ্ছা ও শক্তি কোনোটাই নেই। মুঠো করে আমার জীবনসঙ্গী আমাকে ঔষধ সেবন করাচ্ছে। ওআরএস মিশিয়ে জল ঢালছে। প্রতিটি মুহূর্ত যেন যুদ্ধ করছে। কোন অপ্রয়োজনীয় কথা নেই। নিখুঁত সেবা। সমস্ত কাজের মধ্যে যেন এক সুনিশ্চিত অপ্রকাশিত প্রতিজ্ঞা যে ..... আমার পত্নীকে শীঘ্রই বিছানা ছেড়ে দাঁড় করাতে হবে.....মাঝে মাঝেই দূর থেকে দেখছে। আমি দেখছি....এক অলৌকিক দৃষ্টি তার লক্ষ্যে। এর আগে এই লুক কখনও দেখিনি। তেমন করে প্রেম ভালোবাসা এতো বেশি করে কখনওই আন্দাজ করতে চেষ্টা করিনি। সংসার সামলাতে সামলাতে কখন যে সময় দরিয়া পার হয়ে এসেছি। কত তুফান একাই মোকাবিলা করার মত শক্তিও ধরেছি। আজ হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছি। বয়স স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে কতটা প্রভাব ফেলে রেখে গেছে তা কোনদিন ভাবিনি ও। তা যাক আজ বোধ হয় একটু কাঁচের হৃদয় দোয়াত ধোবার সময় এসেছে। নিজে হাতে রান্না করে ও চিকেন স্টিউ একটি বোলে নিয়ে চামচে করে একটু একটু একটু করে চুইয়ে চুইয়ে চুইয়ে ও আমার মুখে দিচ্ছে। ফিরে গেলাম পিছনে। সমুদ্র মন্থনে এই প্রেমামৃত পান করেই তো দেবতা মৃত্যু জয় করেছিল। হ্যাঁ, এরই নাম তো সম্বন্ধের সুধা স্বাদ। আমি নিশ্চিত যে আমি অমরত্ব লাভ করছি। সব ছিল যা ছিল না তাও পেলাম। দরদর করে পসিনা ছুটছে। তবুও কত্তার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত হচ্ছে। ......সবটুকু খেতেই হবে......সামান্য একটু সুপ তা খেতে যে কত সময় নিলুম। ওর কিন্তু কোন বিরক্ত লাগছে না। পুরোটাই ফিনিশ করিয়ে মুখটা সাফ করালো। মৃদু হেসে বলল, " তোমার সাদা অপরাজিতায় আজ টোটাল ন'টা ফুল ফুটেছে। " আমি ওঠার চেষ্টা করছি। মাথাটা ভোঁ ভোঁ ভোঁ করে ঘুরছে। ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ করে আবার কাশ্ছি। তবুও উঠলাম। ও ব্যালকনির ডোরটা খুলল। উঁকি দিয়ে দেখলাম। ফুলগুলো ও যেন ঠিক ওর মতোই এক অলৌকিক দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে.....ওদের কাছে জানতে চাইলে কী ভুল হবে? আমি বেঁচে থাকবো অমর জীবন নিয়ে তোমাদেরই তরে গো। এ জীবন ঈশ্বরের অস্তিত্ব রক্ষায় নয়। তোমাদের আন্তরিকতার প্রবল বেগে। কি সত্যি তো! .....




এক ছিল জঙ্গল
         আব্দুল রাহাজ

হরিহর হরিহর পিছন দিয়ে ডাকতে  লাগলো হাবুল কী হয়েছে তোর ডাকছিস কেন রে
জানো জানো আমাদের জঙ্গলে বাঘের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে
তাই নাকি।
এতো বেজায় মুশকিল হলো
হাবুল বললো কী মজা ‌মজা
এবার ‌জঙ্গলের নাম ছড়িয়ে পড়বে চারিদিকে।
সবার কাছে ছড়িয়ে ‌পড়লো জঙ্গলের কথা‌
সবাই খুশি আবার কেউ বেজায় ভয় পেয়ে ‌ঘরের মধ্যে লুকিয়ে আছে।
এ সেই আমাদের জঙ্গল
যা মনেছিল সবার কাছে।





জীবনের মানে
             হরিপদ রায়

    বাড়ি ফেরার উচ্ছাসটা নিমেষে দমে গেল। গ্রামে ঢোকার রাস্তায় বা‌শের ব্যারিকেড। হাতে লাঠি নিয়ে গ্রামের ছেলেরা 'মার মার' শব্দে এগিয়ে আসছে। উচ্চস্বরে তারা বলে ওঠে-  'চলে যা গ্রামে ঢুকবি না'।
   প্রলয় হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে থাকে। ছেলেগুলি তার  চেনা, অনেকের সঙ্গে ছোট থেকে বড় হয়েছে সে।
  - কেন গায়ে ঢুকবো না?
  - না তুই ঢুকবি না, করোনা নিয়ে ফিরেছিস।
কি করে বোঝায়, যে সে রীতিমত সওয়াব টেস্ট করে এসেছে। রিপোর্ট নেগেটিভ।

শ্রান্ত ক্লান্ত দেহ, মন যেন ক্রমশ অবসন্ন।গাঁয়ে ঢোকার বৃথা চেষ্টা না করে পথের মধ্যেই বসে থাকে। বাড়িতে বৃদ্ধা মা ও স্ত্রী-পুত্রের সংসার। সংসারে অনটন, কাজ নেই। পাশের গ্রামে দিলওয়ার ওর ছোটবেলাকার বন্ধু। সংসারের অভাবের  জন্য প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পার হওয়াটা সম্ভব হয়নি। সীমান্তে মাল এপার ওপার করে ভালই কামিয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই বর্ডার কড়া। কাজেই দিলওয়ার নতুন ব্যবসা ফেঁদেছে। ভিন রাজ্যের কারখানায় লোক সাপ্লাই দিলে মেলে তার কমিশন। কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে, চাকরির চেষ্টা করেছে প্রলয়, কিন্তু হয়নি। সেখানেও চলছে কারবার ডোনেশন। তাই সেই ছোটবেলার বন্ধু দিলওয়ারের শরণাপন্ন প্রলয়। কথা শুনে চমকে ওঠে। শেষে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের  সঙ্গে প্রলয় পাড়ি দেয় ভিন রাজ্যে। ভালোই চলছিল। কিন্তু বাদ সাধে করোনা। কারখানা বন্ধ, বাড়ি ফেরার কোনো ব্যবস্থা নেই। অবশেষে ট্রেনের দরজা ঠেলে উঠিয়ে দেয় দিল্লির এক পুলিশ। ট্রেন থেকে নামতেই পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ধরে নিয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আটকে রাখে, জেনো জেলখানার কয়েদি। সেখান থেকে প্রলয় ভাবে, কয়েদিদের প্রতিও জেলখানার দারোগাদের মমত্ববোধ আছে। কিন্তু এদের তাও নেই। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে অনেক উচ্ছ্বাস নিয়ে গাঁয়ের পথে এগোচ্ছিল প্রলয়। ভাবতে ভাবতে সন্ধ্যা হয়ে আসে। রাতের অন্ধকারে ঘুরপথে বাড়ি ফেরে। কিন্তু ভাবনা ও বাস্তব যে কতটা ব্যবধান তা হাড়ে হাড়ে টের পায় প্রলয়। তার স্ত্রী  কুপি হাতে নিয়ে বেরিয়ে এসে বলে,' কি দরকার ছিল করোনা নিয়ে বাড়ি ফেরা'!
   হঠাৎ এক দমকা বাতাসে কুপির আলো নিভে যায়। অন্ধকারে বাড়ি থেকে দূরে একদিন গাছ তলায় বসে থাকে সে। অন্ধকারে কখন ঝিমুনি এসেছে বুঝতে পারেনি। হঠাৎ লন্ডনের আলো, তাকিয়ে দেখে সামনে আনোয়ার। তার হাতে ত্রিপাল। বলে এই গাছ তলায় ত্রিপালের তলায় কদিন থাকতেই হবে। নইলে নিস্তার নেই। গাছ তলাতেই ত্রিপল দিয়ে ঘর বেধে দেয় আনোয়ার।  প্রলয়ের মনে চলছে তখন মহাপ্রলয়।   ত্রিপালের নিচে শুয়ে সে জীবনের মানেটা কি ,তা নতুন করে ভাবতে থাকে।






মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)

বটগাছ

বাবা
মানে বটগাছ
সবাই বলে শুনেছি
আমি পাইনি বটগাছের ছায়া
জানি শুধু মা ফলন্ত আমগাছ
তার চোখে দেখেছি ফল বাঁচানোর আঁচ ।

মা ছাড়া আমি জল ছাড়া মাছ
মায়ের যত্নেই আমার মানবিক ছাঁচ
সেখানেই পেয়েছি স্নেহ মায়া
আমি শুধু জেনেছি
মায়ের ধাঁচ
সেবা।

(২)

আমাদের লেখা

আমাদের
লেখায় আমরা
নিজের কথা লিখছি
লিখছি বিনুনি প্রেমের কথা
অলৌকিক,ভূত,প্রেত সব লিখছি
লিখছিনা শুধু আমাদের রাষ্ট্র , মানুষের কথা ।

লেখকের আজ এসব নিয়ে নেই মাথাব্যথা
প্রেমের কাব্য লিখে পুরষ্কার পাচ্ছি
ভূত, প্রেতেও মিলছে চোথা
রাষ্ট্রদ্রোহিতা এড়িয়ে বাঁচছি
বুদ্ধিজীবী লেখকেরা
সমাজের।





দেশ বন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্মরণে
             নরেন্দ্র নাথ নস্কর

মানুষ দেখি অনেক,
সত্যি বন্ধু কোথায় পাই?
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন,
তার তুলনা নাই।

অগাদ খ্যাতি,প্রতিপত্তি হাতের মুঠোয় ছিল,
নি:শব্দে,অন্তরালে
দেশকে বিতরিল।

কত দরিদ্র,কত অচ্চুৎ
গোপনে পেয়েছে দান;
কেহ জানে না,ভগবান জানে
কত তার পরিমান।

দেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে
নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে;
দেশবন্ধু হয়েছেন তিনি,
প্রণাম হে মহান হিয়ে।

এত মহৎ  প্রাণ গেছেন'
মানুষকে ভালবেসে;
আত্ম ত্যাগের আদর্শ তিনি ,
পৃথিবীর দেশে দেশে।

আবার এস এই প্রজন্মে,
হে মৃত্যুহীন প্রাণ;
এই বাংলা ফিরে পায় যেন'
তার হৃত সম্মান।



👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 










বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 05/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 05/11/2020



*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-05/11/2020, বৃহস্পতিবার
               সময় :- রাত 8 টা. 05 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

অন্তর দহন
                বিপ্লব গোস্বামী

কি করে এ জ্বালা আমি করব সহন ?
হিয়া মাঝে ব‍্যথাকীট করছে দহন।
বিশ্বাসের অকাল মৃত‍্যু হয়েছে যেদিন
অন্তরেতে ব‍্যথাকীট প্রবেশে সেদিন।
দারুণ বিষের জ্বালায় হিয়া পুড়ে ছাই
অশান্ত চিত্ত মাঝে শান্তি কোথা পাই ?
যে স্মৃতি আমি চাই যেতে ভুলে
এমন নিঠুর স্মৃতি আসো কেন ফিরে ?
এসো না,এসো না তুমি মম কল্প-লোকে
নতুন পৃথিবী মাঝে থাকো তুমি সুখে।
সুখে থাকো ভালো থাকো তোমার সখা সনে
নীলকণ্ঠ কবি তুমি রেখো না মনে।



একমুঠো রোদ্দুর
           এমাজদ্দিন সেখ

কালো কুয়াশায় পুরো আকাশটা ছেয়ে আছে l
নিটোল আঁধারে দিশেহারা ;  ছটফট করছে অব্যক্ত বেদনায় ;--- 
বাংলা - ভারত - বিশ্বের সিংহ ভাগ মানুষ ঝিমোচ্ছে সে আঁধারে ;--- 
সেই আঁধারেই গুটি কয়েক হাসে কুটি কুটি ;
আলো-আঁধারীয় নির্বিঘ্নে মানুষের শ্রম -  রক্ত নিচ্ছে লুটি ! 
এই অশুভ মেঘ আঁধার তন্দ্রা তাদেরই সৃষ্টি  l
একমুঠো রোদ্দুর জন্য হাপিত্যিস করছে মানুষ ;---
একমুঠো রোদ্দুর দেবে কুয়াশা মুক্ত এক ঝলমলে আকাশ  ;..
একমুঠো রোদ্দুর আনন্দে কোটি কন্ঠ একতানে গাইবে জীবনের গান ! 
একমুঠো রোদ্দুর আবেশে আট- আশির হৃদয়ে জাগাবে প্রেম ! 
একমুঠো রোদ্দুর সৌরভে কিশোর - যুবক ভুলে যাবে বাবার কাছে হাত পাতা ;---
একমুঠো রোদ্দুর হরষে প্রেমিক-প্রেমিকার আবার নিয়ম করে কাছে আসা ;---
একমুঠো রোদ্দুর আলোতে চাষী-মজুর-জেলে-মুচি তুলবে মাথা !
একমুঠো রোদ্দুর তীব্র আলোকে পুলিশ-কেরানি ভুলেযাবে  হাত পাতা !
একমুঠো রোদ্দুর মিষ্ঠতায় কবি সৃজিবে অমর কাব্য গাথা ! 
একমুঠো রোদ্দুর শুভ্রতায় নারী বেড়ি,পর্দা ছুঁড়ে এক সাথে মেলাবে পা ! 
একমুঠো রোদ্দুর ঝলকে চির তরে মুছে যাবে  মধ্যম গ্রাম -হাথরাস  লজ্জা l 
একমুঠো রোদ্দুর ছোঁয়ায় বন্ধ হবে  দুঃখী মায়ের বুক বিদীর্ণ কান্না ! 
একমুঠো রোদ্দুর বন্যায় ধুয়ে যাবে জাত জালিয়াত ফেতনার বর্বরতা ! 
একমুঠো রোদ্দুর রোশনাই এক আসনে মিলবে ব্রাহ্মণ-চাঁড়াল-ডোম-মোল্লা-মাঁঝি ;--- 
এই ঘোর আঁধারে আমার  চাই একমুঠো রোদ্দুর আজই !
একমুঠো রোদ্দুর চাই ;মনের , বিবেকের ,মনুষ্যত্বের ;ঘুচাবে হৃদয়ের বিভাবরী !!



আমি আজও ভালোবাসি......
                চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

পদ্ম আর গোলাপ আমি আজও সমান ভালোবাসি,
যেমন ভালো লাগে হিন্দু মুসলমানের মিলেমিশে থাকা,খাওয়া দাওয়া আর মিষ্টি মধুর হাসি৷
সবাই মানুষ,সবার রক্ত?সেটাও তো দেখি লাল,
যেখানে হিংসা,সেখানে হানাহানি, আমরা কেন চাইবো এমন  কাল?






অভিন্ন
     সুস্মিতা দে

উমা  রূপে কালির রূপে উমা। তারা অভিন্ন। নামেই তারা ভিন্ন ।
সেই  স্রষ্টার সেই সৃষ্টি  সেই মহাদেব সেই  সৃজন ছন্দে  নাচে আনন্দে নাচে সেই নটরাজ সেই।
এক সৃষ্টিকর্তার অভিন্ন রূপের বিরাজমান। সেই আল্লা সেই  প্রভু  সেই তো এক ঈশ্বর সেই যীশু ।
এক মায়ের কোলে রবি শশী দোলে দোলে
সৃষ্টির নিয়মে এক খালি চাঁদ  নীল আকাশে নিঝুম রাতে একলা হাসে ।
সেই  অমাবস্যার তমসালগ্ন শেষ হলে সেই একই রূপোলি ঈদের চাঁদে আমরা আনন্দে মাতি ।
সচ্ছ হয় নয় সেই কলঙ্কিত চাঁদ পূর্ণিমা রাতে সোনালী  রূপের  আলো কিরনে স্বচ্ছ আলোর কিরনে জলে। জোয়ার হাসে প্রকৃতি নিজের নিয়মে চলে আসবে সব রূপের ঋতু ।

আজ হেমন্ত  তাকে  স্বাগতম জানাই সে পাতাগুলো ঝড়িয়ে যাবে নতুন পাতা তবেই আসবে।

শীতের আমেজ  বেশ লাগছে গায়ে হালকা গরম জামা রাখো । করোনা ভাইরাস শেষ  হোক ঈশ্বর  তুমি  আশীর্বাদ  করো।



কবিতা  
       নীলকন্ঠী
ডঃ রমলা মুখার্জী

একটা দারুণ স্বপ্ন সেদিন দেখি শারদ প্রাতে,
ত্রিশূলের বদলে মা ভ্যক্সিন নিয়ে হাতে।
করোনাসুর বধ করে অভয়া করোনামর্দিনী-
সত্যি হোক স্বপ্ন মাগো, বাঁচাও জগত্তারিণী।
তুমি মাগো অগতির গতি, তুমিই বিপত্তারিণী-
তুমিই গৌরী, কাত্যায়নী, শ্যামা,শঙ্কাহরণী।
পাপী-তাপী, অধম জনেরে করে দাও মাগো ক্ষমা-
বিশ্বের বিষ শোষণ করে হও নীলকন্ঠী উমা।
নীল পদ্মে পুজবো তোমায়, দেবো অপরাজিতা -
দয়া কর মা, করোনা ভাইরসকে কর তুমি পরাজিতা।




আমাদের গ্ৰামের মাঠ
        আব্দুল রাহাজ

আমাদের গ্ৰাম সবুজে শ্যামলায় ভরা
পূর্বের দিকে তাকালে শুধু দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ।
ভালো লাগে পরিবেশ ভালো লাগে ফুরফুরে হাওয়া ।
পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বিদ্যাধরী নদী সবুজের ‌মাঝে নদী‌ বয়ে চলে নিজের তালে তালে
দেখতে ভালো লাগে সবাইকে।
ওপাড়ার কালু থেকে এপাড়ার করিম দাদুরা সারাদিন কাটিয়ে দেয়  মাঠে নিজ নিজ কাজের
মধ্য দিয়ে।
সত্যি ধান‌ সরিষার সময় প্রকৃতির সবুজ শ্যামলায় ভরে ওঠে।





শীতের  শহরে
          বদরুদ্দোজা শেখু

গ্রীষ্মের শিমলা শহর
ঘুরে এলাম একদা দলবদ্ধ
আমরা সবাই, পূঞ্জীভূত সবুজের নিবিড়ে নিবদ্ধ
মহাকালের কোনো এক অনাদি প্রহর
মনে হলো দিনরাত্রির নীরব পর্যায়ক্রমিক
ছন্দের  আবর্ত ভেঙে সাজাচ্ছে রূপের এক অপূর্ব মোহন
নিসর্গ শহর ঘিরে, আনন্দের চেয়ে সমধিক
বিস্ময় জাগায় দীর্ঘ দেওদার বৃক্ষশোভা লতাপাতা পাহাড়িয়া শহর-বিন্যাস,
আকাশে বাতাস তোলে সবুজের তীব্র জলোচ্ছ্বাস
ক্ষণে ক্ষণে, কুয়াশায় আন্দোলিত সবুজে শীতের আস্তরণ ।

ওই শীতের শহর দেখে  সকলেই মুগ্ধ হয়
কমবেশি, কেউ কেউ যান
গ্রীষ্মকালে পেতে হৃত স্বাস্থ্যের টনিক , বর্ণময়
অবসর কাটানোর আদর্শ শহর বটে স্বপ্ন অফুরান
দৃশ্যরাজির সম্ভারে । স্মৃতি-মনোহর
রহস্য আমার চোখে অভিনব চূড়ার বসতে একদিন
কাটানোর অভিজ্ঞতা , আনন্দের সেই গ্রন্থিহীন
সময়কে যাবে না তো কখনো ফেরানো আর ডেকে পরস্পর ।।






ভালোবাসা
          অলোক রায়

জানি তুই ভালোবাসি শব্দটাই শুনতে চাস।
আসলে শব্দটি এতোটাই সস্তা যে বললে নিজেকেই সস্তা মনে হয়।
যে কেউই এটা বলে দেয়,
এই দাবি প্রমাণ করতে যে,
সে ভালোবাসে।
কিন্তু, ভালোবাসা তো একটা শব্দতেই নির্ধারিত হতে পারেনা।
এটি একটি ঐশ্বরিক অনুভূতি।
আমি তা সস্তা ভাবে বিকোতে চাইনি কখনোই।
তবে পরিস্থিতি  সবকিছুই করতে বাধ্য করে।
আমি প্রকাশ না করে ভালোবাসির মানুষ টাকে আকড়ে রাখতে চাই,
এমন ভাবে যাতে তাকে কখনোই  শাব্দিক ভালোবাসি এটা  বলার প্রয়োজন না পড়ে,
শুধু সে জানুক আমি তাকে ভালোটা বাসি ভালোবাসি।
আর এটা কোন সম্পর্কের দায়বদ্ধতায় সীমাবদ্ধতার ভিত্তি তে নয়।
শুধুই ভালোবাসি এই ভিত্তিতে।
যেখানে শুধু ত্যাগ থাকবে আপন ছন্দময়তায়।






       ভালোবাসার নদী
                   হামিদুল ইসলাম

সেদিনগুলো আর নেই
ছিলো একদিন
যেদিন ছিলো
ভালোবাসা  প্রেম
আমরা ছিলাম প্রেম পুজারী  ।।

আমাদের বিশ্বাস এখনো অটুট
এই বিশ্বাসে বেঁচে আছে গাছ
নদী
নল খাগড়া
সমুদ্র সৈকত  ।।

আমরা ভাগ‍্যবান
আমাদের কপালে লেখা ইতিহাস
সে ইতিহাস নির্মেঘ
চেয়ে দেখি জলোচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে
প্রাণ  ।।

মরিয়া জীবন
ফিরে পাই হাতে
চেপে ধরি প্রিয়ার হাত
ভালোবাসার নদী
বুকেতে গভীর রাত  ।।




কবিতা :
     তোমার কথা!
             বিশ্বজিৎ কর

তোমার কথায় আকাশ দেখি -
স্বচ্ছতার ক্যানভাসে,
তোমার কথায় ভালবাসা -
চাঁদের আলোয় ভাসে!
তোমার আদুরে গলার কথা-
জীবনকে নিয়ে হাসে,
তোমার কথায় কথা থাকে -
নিবিড়তার উচ্ছ্বাসে!
তোমার কথা শুনতে চাই -
মিলনের আলাপনে,
তোমার কথা স্মৃতি হবে -
বিচ্ছেদের সন্ধিক্ষণে!



প্রেমের খোঁজে
           তাপসী প্রামাণিক

প্রেম শুধু একটি ছোট্ট কথা
কিন্তু ভীষণ দামী
মণিমাণিক্য পাবার আশায়
হই তার অনুগামী।

ডুবুরি সেজে খুঁজতে গিয়ে
অনেক গভীরে যাই,
পাইনা তার মনের হদিশ
কোথাও যে প্রেম নাই।

মরীচিকার মতো যে প্রেম
অধরা স্বপ্নই বটে
ঠিকানা খুঁজে পাই না তবু
বদনাম কত রটে!

নাই বা পেলাম তারে আমি
খুঁজব চিরদিনই,
মনের মানুষ হয়ে এসো গো
থাকব চির-ঋণী।



আত্মঘাতী
         অনিন্দ্য পাল

নিজেকে খেয়ে চলেছি নিজে
ধ্বংস করেছি নিজেকে, করছিও
তবু শুনলাম কানাকানি
সব ধ্বংস-স্তূপ একদিন ফুল হয়ে যায়

আমার ছন্নছাড়া শেষ উৎসবের শিকড়ে
রেখেছি তাই এক টুকরো জন্ম-মাটি...




          হিয়ার আনন্দ
            সৌম্য ঘোষ
     
আমার সকল কবিতা যখন তোমার চেতনা স্পর্শ করে
আমার সমস্ত উপলব্ধি যখন তোমার
হৃদয়কে ছোঁয়, আমার সমস্ত ভাবনা
যখন তোমার বোধিতে নিমজ্জিত,
তখন প্রাণের গভীর থেকে
মোহনমন্ত্র উচ্চারিত হয় ।
জানি না কেন মোহন বাঁশির সুর
এতোবার ধ্বনিত হয় আমার নীরব হিয়ায় !
বারবার কেন ঘুরে ঘুরে আসে !

অর্ফিয়াসের বাঁশরী কিংবা পিনাকপাণির ডমরু
রণিত হয় ভিতরে,
বুকের মধ্যে যন্ত্রণাক্ত আকাশ,
আমার আকাশ যেন অমলিন হয়ে যায়
যেন ক্ষুধাতুর
শিশুটির হাতে এক থালা গরম ভাত.....

আমি
মুগ্ধমূর্খ চোখে কেবল তাকিয়ে থাকি  ।।




মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
মেয়ে মানুষ

আমি
মেয়ে মানুষ
সবাই ভাবে মুখ‍্যু
আমার মাথায় বুদ্ধি নেই
তাই সহ‍্য করি সংসারের অত‍্যাচার
একুশ শতকেও মেনে নিচ্ছি পারিবারিক নির্যাতন।

তোমরা আসলে বোঝোনি কোনদিন নারীর মন
নারী চায় একটা নিজের সংসার
সহ‍্য তাই ঝড়ঝাপটার খেই
মানে তাই দুখ‍্যু
হয়না ফানুস
কামী।

(২)

নদী ও নারী

নারীকে
কেউ ভাবে
নারী একটা নদী
বয়ে চলা তার ধরন
নারীকে কেউ আবার ভাবে অরণ‍্য
যে অরণ‍্য শুধু মানুষের সেবায় লাগে।

কেউ ভাবেনা নদীর বুকেও নারী জাগে
সময়ে সেও দেখায়না ধ্বংসে কার্পণ্য
শীৎকারকে অরণ্য করেনা বরণ
নারীই নদী যদি
রাখো খেতাবে
নারীকে।




আমার মৃত্যুর পর
         অশোক কুমার পাইক

আমার মৃত্যুর পর হয়তো থেমে যাবে
দিকে দিকে ক্ষয়িষ্ণুর উদ্দাম নৃত্য,
বিষণ্ণ কালো ছায়া রাত্রির বন্ধন,
হয়তো সভ্য হবে চির শত্রুর কৃত্য l

কোমল মনের কোঠরে গুজব গুঞ্জন
যদিবা গ্রামনগরের ভিড়ে সায়ক মারে,
'বুদ্ধের অহিংসার চেতনার সে বাণী'
মোর মৃত্যুর পর ছড়াবে বিশ্বদ্বারে l

হয়তো সেদিন থামবে 'রক্তের পিপাসা ',
মিথ্যা খুনোখুনি, হানাহানি ও কলরব,
বহু চেতনার কুহুতানে মূখরিত হবে
'রক্তবাসরে চির শত্রুর উৎসব l'

হয়তো সেদিন বৈরীর হিংসা কানাকানি
শেষ হবে উন্মাদ তিক্ত অহংবোধ -
খুঁজবে মানুষ 'সত্যযুগের সন্ধান '
শান্তি নীরবতার সেই 'ভ্রাতৃত্ববোধ l'

হয়তো সেদিন থাকবেনা অন্তরজ্বালা,
সত্যসাধনায় জাগবে শত্রুকুল,
শেষ হবে রক্তরসের জীবন্ত ক্ষুধা -
ভাবনায় শোধরাবে বদ্ধ মনের ভুল l

হয়তো বা আবার দস্যুতার প্রবৃত্তি
'রত্নাকর নাম - কবি বাল্মীকি হবে ',
দগ্ধ হৃদয়ে ধ্যান গম্ভীর সাধনায়
হয়তো 'অমর মহাকাব্য 'রচিবে ভবে l




সান্ত্বনা
ভাগ্যশ্রী রায়

প্রদীপ টাকে বিশ্বাস
করেছিলো শিখা
মৃত্যুর আগে কখনো
ছাড়বে না একা।
ভেঙে পড়ার আগে
শেষ সান্ত্বনাটুকু
মুছে বুজুক চোখ
অন্তরালে থেকে
কেউ বুঝি বলে
ছিলো নিশ্চুপে
ওর ভালো হোক।





👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন)