উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 08/11/2020
*********************************
আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
100% ইনকাম ও Real payment
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-08/11/2020, রবিবার
সময় :- রাত 7 টা. 15 মি:
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
প্রবন্ধ
লোকসংস্কৃতির প্রসার ও বৈদ্যুতিন মাধ্যম
- অগ্নিমিত্র
লোকসংস্কৃতি সবার চোখের সামনে তুলে ধরতে ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমগুলি আগে খুবই সচেষ্ট ছিল। বিশেষ করে দূরদর্শন ও তার বিভিন্ন আঞ্চলিক চ্যানেলগুলি । আগে আমরা ছোটবেলায় দেখতাম টিভিতে বাউল গান, পল্লিগীতি, টুসু, ভাদু ইত্যাদি। তার জন্য আলাদা সময় নির্ধারিত থাকতো । ডিডি নর্থ ইস্ট ও অন্যান্য চ্যানেলেও সম্প্রসারিত হতো উত্তর পূর্বাঞ্চলের নানা লোকগীতি ও লোকনৃত্য, যেমন বিহু, হর্নবিল ফেস্টিভ্যাল ইত্যাদি । সাগ্রহে লোকে তা দেখতোও।
এখনো সেসব অনুষ্ঠান হয়তো হয়, তবে দূরদর্শনই তো কেউ আর তেমন দেখে না। কেবল্ টিভির কল্যাণে শুধু সিরিয়াল, ডোরেমন, মোটু পাৎলু ও অসংখ্য দক্ষিণী সিনেমা, হিন্দিতে ডাবিং করে দেখানো হচ্ছে। তবে ইউটিউবে খুঁজলে এখনো এরকম আঞ্চলিক সংস্কৃতিমূলক অনুষ্ঠান বোধহয় পাওয়া যাবে । বা ফেসবুকে পাওয়া যেতে পারে । মানে লোকসংস্কৃতি লোকের সামনে তুলে ধরতে বৈদ্যুতিন মাধ্যমগুলি খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে একটু নিঃস্বার্থ
হয়েই তা করতে হবে । কেবল্ হলে টিআরপি-র মোহ একটু ছাড়তে হবে ।।
খোলা মনে
অশোক কুমার রায়
ভিক্টোরিয়া অথবা নিকোপার্কের কামিনীর ঘন ছায়ায়--
এখন জঙ্গল ।
ঠোঁটের মিলন সুখে
গাছের পাতা নড়ে না ।
আড়ালে তোমাকে দেখিনি কত দিন !
কত দিন কামিনী বাহারি গাছগুলি
প্রেমের সুগন্ধি পায়নি ।
ঝালমুড়ি চুরমুর মাখামাখি প্রেম ,
কফি-হাউজ , গরম কাপে হাত রেখে--
তোমাকে দেখতে চাই খোলা মনে !
তুমি আমি না-হয় সাবান-জলে
ধুয়ে নেব শতাব্দির কলঙ্ককে ।
তবুও নড়ে উঠুক ছায়া-ঘন--
কামিনী গাছের ঝোপগুলি !
নাম বিহীন
মিলন পুরকাইত
হে বন্ধু ভুলে থাকা কি তোদের ধর্ম
পিছে পেলে সব জড়তা।
মনে পড়ে কি এমন স্মৃতি
যা তোদের চোখ কে ঝাঁপসা করে তুলে
তবু্ও তোরা থাক সুখে
আমি গাই তোদের গীতি
ও বন্ধু..... ও বন্ধু।
সকালের শালিক কিনবা দোয়েল ডাকে নাই
আহা!!ডেকেছিলাম তুই আমি সে
মনে পড়ে কি হে বন্ধু। হে বন্ধু হে।
ঝুপড়ি ঝাড় থেকে উঠে আসা বাঘও
থামাতে পারেনি আমাদের
অথবা ভিন্ন কৌশলে পেলতে ফান্দে,
যথাযথ পরিশোধ নিয়েছিলাম
লক্ষ্য করে দেখলাম সেই ফান্দে পড়ে
নিজেই কাঁন্দে।
নিধারুন নির্মম বাস্তবতা
বন্ধু থেকে প্রেমিকা বড়
আহা! বন্ধু থেকে প্রেমিক বড়??
নিসন্দেহে প্রশ্ন জাগে
স্তব্ধ শরীর আস্তা।
নাই কথা বড়ই ব্যস্ততা
ভুলে যাই বন্ধু নাকি
বই চাই।
বই পরম বন্ধু হাজার বইও ভাল
তার চেয়ে ভাল বন্ধু
একটাই হাজার লাইব্রেরীর সমতুল্য।
কেমন বন্ধু খুঁজি?
ঠিক তেমন একটা
যেমনটা লাইব্রেরী হবে
সোজাসুজি।
চিত্তরঞ্জন দেবভূতিএর দুটি কবিতা
১)
শীত জাঁকিয়ে আসছে...
চিত্তরঞ্জন দেবভূতি
শীত জাঁকিয়ে আসছে বলে শরীর গরম রাখার,
সব কৌশল রপ্ত করতে হবে,
মাথার উপরে সূর্যদেব আছে বলে,
আমরা তার অপেক্ষায় থাকি,
আমাদের দার্জিলিং —এ
শীীত লাগতে শুরু হয়েছে সবে ৷
প্রচন্ড শীতে ফি বছর কত লোক যায় মারা!
পাহাড় থেকে সাগর পাড়ে অনেকে কাজে যায়,
সবাই আর ঘরে ফেরে না তাঁরা৷
অনেক বছর বাদে এই
বছরের শীত,
হাড় কাঁপিয়ে দিতে পারে,
তাই বয়স্ক ও শিশুদের
যত্ন করে রাখতে হবে ঘরে৷
—————————————————
২)
ভালোবাসা পবিত্র হলে ভালো
চিত্তরঞ্জন দেবভূতি
পবিত্র ভালোবাসার মতো কিছু নেই,
এই পাহাড়ের দেশ থেকে সাগর পাড়ের বান্ধবী,
আমি ভালোবাসি তোমাকেই৷
আমি শরীর চাই না,চাই শুধু মন,
পবিত্র ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে খুশী থাকতে
চাই এখন৷
ভোগের পরে ভোগ করে লোভ আরও
বেশী জাগে,
তাই ভোগকে জানিয়েছি
গুডবাই,
সবার কাছে পবিত্র ভালোবাসা টুকু দিতে ও
পেতে চাই৷
জেনেছি জীবনে এই পবিত্র ভালোবাসার মতো
আর কিছু নাই,
এই জন্য তোমাকে আরও বেশী ভালো লাগে৷
একটি নৌকা
সুস্মিতা দে
একটি কাগজের নৌকা
চাই ।
বানিয়ে দেবে কাকা তাই তো তার কাছে যাই
তুমি কি জানো তার কাজ? আমার মা কে বলে যেমন মেয়ে তেমনি তার ছা
। রান্না বাটি খেলবেনা পুতুল নিয়ে খেলবেনা মাথায় আসে কি করে সবাই কে জ্বালিয়ে মাথা গরম করবে সবার আগে সেই টা তাতে তার সখ ।
গতিক ভালো না আর কদিন পড়ে ধারী মেয়ের বিয়ে হবেনা কি করবি নৌকা উড়োজাহাজ বানিয়ে কাকা কে মান দেয় না বলে জব্দ করবে বাড়ির সবকটি কে বলে কিনা এটি হবে বিদ্যালয়?
কাকা রোজ কতো টাকা আনে মারে খাল কাকীকে মারবো আমি কাকাকে দেবো দূর করে বাড়ির থেকে রাজা সাজার সখ।
সবাই জানে তার কান্ডখানা মানুষ আসে আমাদের বাড়িতে আসে তারা সব বিপ্লবী কাকাকে নিয়ে গেছে দেশের শত্রু বিভীষন। পাপের শাস্তি নিতেই হবে সময় থাকতে নিজেকে শুধরাও তা না হলে বিদায় নাও।
আমি পড়াবো দেশ গড়ছি আর গড়বো আমার শপথ।
কষ্টের পরিশ্রম ফল যায় না তার মার ।
অশরীরী
পিনাকী মুখার্জী
কর্পূর ঐ মুঠোয় ভরে
আগলে রাখতে চাওয়া !!
শরীর ফেলে অশরীরী
অমনি হল হাওয়া !!
বেশ তো ছিল ক্ষণিক আগে
আর না খুঁজে পাই !!
মেঘের মাঝে মনের খোঁজে
অভাব পূরণ তাই !!
ফুলেল বুকে ফুলের সুবাস
সে ও তো অশরীরী !!
মরণ পরেও সেই পরিচয়
সেই গন্ধ মনোহারী !!
বাঁশির বুকে যে সুর বসে
তার তো মরণ নাই !!
অশরীরী সে ও পরিচয়
শুধু সুরের মূর্ছনাই !!
মন ছুঁয়ে.....
গোপাল বিশ্বাস
হাত দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
মন দিয়ে ছোঁব
একে একে যোগ করে
তোমাকে আমি করে নেব l
ফুল দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
প্রেম দিয়ে ছোঁব
ঘরের মানুষ বের হয়ে গেলে
রাত জেগে রব l
হাত দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
হৃদয় দিয়ে ছোঁব
তোমার ঘরের বদ্ধ দরজা টা
এবার খুলে দেব l
সুখ দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
দুঃখ দিয়ে ছোঁব
সবিতা কখনোই ডুবে যায় না
আমরাই তো ডুব দিয়ে যাব l
হাত দিয়ে ছোঁব না তোমাকে
প্রেম দিয়ে ছোঁব
হৃদয়ের গভীর ডাক এলে
তোমাকে আমি করে নেব l
নীলিমায় নীল
জুয়েল রূহানী
শিমুল গাছ ভরে গেছে আজ
আকাশ হয়েছে নীল,
শুভ্র মেঘের প্রতিচ্ছবি-
হেসে উঠে খিল খিল!
সবুজ পাতার আচ্ছাদনে-
ভরেছে গাছের ডাল,
হৃদয় ছোঁয়া এ রুপ যেন-
রয়ে যায় চিরকাল।
এক আদিবাসী নারী ছোট গল্প
আব্দুল রাহাজ
একটা ছোট বনের পাশ দিয়ে মেঠোপথ বয়ে গিয়েছে কিছুদূর যেতেই ছোট ছোট বাড়ি খড় দিয়ে ছাওয়া ও মাটির দেওয়াল পথের ধার দিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে আছে ওগুলো আদিবাসী প্রান্তিক মানুষের ঘর এই অঞ্চলটি আদিবাসী অধ্যুষিত। ওরা বহুকাল ধরে এখানে বসবাস করছে ওদের একমাত্র ভরসা ওই ছোট্ট বন আঁখি দিন যায় দিন আসে ওরা সুখে-শান্তিতে বসবাস করে একটা মজার ব্যাপার হল ওখানে পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি থাকে বেশিরভাগ সময় পুরুষেরা গভীর বনে গিয়ে কাঠ কাটতে চলে যায় বাড়ি ফিরে এক সপ্তাহ কোনদিন একমাস পর কোন দিন বা দুমাস পর এইভাবে ওদের সারাবছর দিনটা কাটে। একটা আদিবাসী মহিলা ছিল নাম কি তার ঊষা মান্ডি বয়স পঞ্চাশ এর কাছাকাছি দেখতে একটু পরিষ্কার লম্বা ওখানকার বসতি দের মধ্যে তিনি একটু অল্প শিক্ষিত কারণ তিনি এসেছেন অন্য দেশান্তর সেখানে ছেলেমেয়েদের বিনা পয়সায় পড়াতেন অনেকের আবার সাহায্য করতেন কাজে বিপদের দিনে পাশে থাকতেন এই ঊষা মান্ডি গ্রামের প্রতিটি মানুষের জন্য প্রভুর কাছে প্রার্থনা করতেন। এই প্রান্তিক মানুষগুলোকে তিনি প্রতিনিয়ত আগলে ধরে রেখেছেন একবার এই আদিবাসী গ্রামে কয়েকজন অন্য দেশান্তরে দস্যুরা হানা দিয়েছে এই প্রান্তিক মানুষগুলোর কাছ থেকে তাদের সারা জীবনের স্বল্প সামর্থ্য উপার্জন তারা হরণ করতে চেয়েছিল সেই অসামান্য মহিলাটি বীরত্বের পরিচয় দেখিয়ে তাদের এই গ্রামটি কে রক্ষা করেছিল। একবার শীতের শুরুতে পাশ দিয়ে বয়ে চলা বসুন্ধরা নদীর তীরে গ্রামের সবাইকে নিয়ে বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল হই হই রই রই ব্যাপার মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে ছোটদের আনন্দ সচ্ছলতার মধ্য দিয়ে প্রান্তিক মানুষগুলোর মুখে হাসি দেখে ঊষা মান্ডির খুব ভালো লাগতো আস্তে আস্তে তারা বনভোজন সমাপ্ত করল শীতের হিমেল বাতাসে সেদিন ওদের আনন্দ ছিল সূর্যের উজ্জ্বল রাশির মত রুপ-লাবণ্যে ফুটে উঠত এইভাবে এই আদিবাসী মহিলাটি নারী শক্তির বিরত্ব দেখিয়ে এই গ্রামকে রক্ষা করতেন ছেলেমেয়েদেরকে প্রকৃত শিক্ষা দিতেন গ্রামটির নারীদেরকে এই পৃথিবীর এই পরিবেশের বিভিন্ন ইতিহাস বিভিন্ন গল্প ও তাদের নিরাপত্তা সম্পর্কে সজাগ করতেন ধারণা দিতেন এইভাবে এই ছোট্ট আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলটি ঊষা মান্ডি এই অসামান্য মহিলা গ্রামটিকে রক্ষা করতেন। এইভাবে তারা সুখে-শান্তিতে বসবাস করতেন আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষ গুলো। এই প্রান্তিক মানুষ গুলো তাদের নারী শক্তির যে পরিচয় তা ফুটিয়ে তুলেছিল এক অনন্য মাত্রায় অনন্য দিশা যা জীবন বজায় ছিল প্রতিটি পদে পদে তারা একসাথে মিলেমিশে আজীবন ওই ছোট্ট অঞ্চলে পারস্পারিক মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে আজীবন বসবাস করত।
মহাবীর কর্ণ
হামিদুল ইসলাম
মানুষ এখন মানুষ নামের কলঙ্ক
পৃথিবীতে এখন প্রতিদিন
খুন জখম রাহাজানি
মল্লযুদ্ধ
নিস্তার নেই কারো
মা বোনেরা ধর্ষিতা প্রকাশ্য দিবালোকে ।।
যেদিকে চাই
দেখি, নারীদেহ ছিঁড়ে খাচ্ছে
হায়নার দল
কবন্ধ দেয়াল
বিবেকহীন
দস্যু সেজে ছিনতাই করে মানবিক মুখ ।।
ফিরে আসি বাড়ি
উঠোনে পড়ে আছে আমার দিদি
রক্তাক্ত শরীর
নখের আঁচড়ে শতছিন্ন গোলাপ
খেয়ে গেছে সমস্ত পাপড়িগুলো
শুষে নিয়েছে সমস্ত অবয়ব ।।
মাথার ভেতর
জীবন্ত কোষগুলো কিলবিল করছে তখনো
খেতে চায় লালসার শরীর
অস্থি রক্ত মাংস
পীত বসনে দাঁড়িয়ে থাকে তখনো মহাবীর কর্ণ
আদতে মহাবীর কর্ণ এখন দর্শক মাত্র ।।
অস্থির সময়
স্বরাজ পরামানিক
অরাজকতায় স্বরাজের শেষ।
নাশকতায় আজ পূর্ণ স্বদেশ,
বিচার কথা কয় না।
নিশাচর ঘোরে অলি- গলি - ঘুঁজি।
দুর্বলদের ঘর ফিরি খুঁজি,
জোনাকির আলো জ্বলে না।
বিষাক্ত থুতু পড়ে থাকে ফাঁকে।
ভাইরাসরা বাসা বাঁধে তাতে,
নিরাময় কাছে আসে না।
ধোয়ায় ধোঁয়ায় ভরে অম্বর,
পিষ্ঠ পাঁজরে ঘোরে যন্তর,
সময় বয়ে চলে না।
পৃথিবীর গতি ছুটে চলে বাঁকে,
পুতুলের দল নাচে ফাঁকে ফাঁকে,
ক্লান্তির ক্ষমা মেলে না।
মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
টান
চলে
যাবো আমি
যেতেতো হবে একদিন
তবু যাবার আগে একবার
জেনে যেতে চাই আসল সত্যিটা
তুমি সত্যি আমাকে একান্তে পেতে চেয়েছিলে?
হাতে হাত রেখে নিজের বলে মেনেছিলেন?
মনে পড়ে নদীতীরের হেমন্ত সন্ধ্যেটা !
ভয় পেয়েছো কোনদিন হারাবার!
জানি মানোনা ঋণ
এসব অন্তর্যামী
বলে ।
(২)
পরিহাস
রাষ্ট্রের
নির্মম পরিহাসে
কিছু মানুষ বিলিয়নার
বাকিদের পিঠে দারিদ্র্যের কষাঘাত
নুন ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত
ধর্মের আফিম খেয়ে থাকে তারা অচেতন।
তারাই দেশের মজুর পায় নামমাত্র বেতন
শরীর ছাড়া কিছু নেই সঞ্চিত
মাথা তুললেই জোটে বেত্রাঘাত
তারাই গড়ে মিনার
মরে ত্রাসে
পাপের।
আঁধিয়ার
অশোক কুমার পাইক
দুঃসহ আঁধিয়ার শেষ হতে কত আর বাকি
বিশাল পৃথিবীর রূপ জড় আঁধারে ঢাকি,
দিগ্ দিগন্ত জুড়ে কত মানুষের রূপ
আলোর সন্ধানে উঁকি মারে বোবা নিঃশ্চুপ l
সূর্য বিদায়ে ধীর পায়ে সেই আঁধিয়ার
কালো রূপ ধারণ করে কুন্তল আকার,
তখনি ব্যস্ত ইঙ্গিতে কারা ডাক দেয় --
চেনা অচেনা ভীড়ে বিস্ময়ের রূপ নেয় l
পৃথিবীর কোথা হতে ভেসে আসে আঁধিয়ার,
কেউ কী রহস্য ভেদ করেছে কভু তার ?
সৃষ্টির উল্লাসে চলে পরিবেশ প্রকৃতি
সূর্য উঠলে আলো, আঁধারে কালো আকৃতি l
যার কোনো বর্ণ নেই শুধু কালোর রূপ
অথচ তার কীর্তি গুণ অতি অপরূপ,
গাঢ় আঁধার, জুড়ায় সূর্যাতাপের দাহ
শ্রান্ত মানবের সেই শয়নের সুরাহ l
জীব কুল, প্রাণী কুল, সর্ব কুল আঁধারে,
ঘুমন্ত শিষ্টাচার সেই রজনী সম্ভারে l
শৈশবের_অনুভূতি
শান্তি__দাস
জীবন চলার পথে বাঁকে বাঁকে,
কত অভিজ্ঞতা আমাদের মনে আঁকে।
স্মৃতি পটে বার বার মনে সাড়া জাগে,
বিস্মৃতি হতে চাই তবুও স্মৃতিতে সাজে।
অচেনা নয় সেই চেনা পথ ধরে জীবনে চলা,
স্মৃতির মেঠো পথ ধরে কুয়াশায় ঝাপসা হয়ে যাওয়া আবছা ছেলেবেলা।
চুপ কথার মনের গহীনে সেই স্মৃতি ছেলেবেলায়,
চুপ কথার মনের গহীনে সেইসব স্মৃতি আঁকি নিরালায়,
মৃতির বাতায়নে ফিরে পাই চির চেনা পথ,
স্কুল ছুটির দিন কেটে যেতো খেলার বন্ধুদের সাথে।
বাবা মায়ের বকুনি সবকিছু এড়িয়ে চলতাম আপন মনে,
বন্ধুদের সাথে প্রতিমুহূর্তে খুনসুটি আর আনন্দে।
ছেলেবেলার স্মৃতি চাইলে ও যায় না ভোলা,
অনুভবে ফিরে পাই সেই বন্ধুদের স্পর্শের দোলা।
যদি ফিরে পেতাম সুধা মাখা হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি,
একদিনের জন্য যদি ধরা পেতাম এই মধ্যাহ্ন গগনের রীতি।
যদি ফিরে পেতাম ঘুমিয়ে থাকা ছেলেবেলার ভালোবাসা,
মনে পড়ে সেই নানা রঙের দিনগুলো ছিল কত আশা।
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে
কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন)
0 comments: