শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 07/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 07/11/2020

*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-07/11/2020, শনিবার
               সময় :- রাত 7 টা. 15 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


          অবাধ্য
                   অভিষিক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়

                কারাগারে যদি রাখতে চাও
                   ভূমিকম্প হয়ে যাবো ;
                  খাঁচায় যদি পুরতে চাও
                     তরল হয়ে যাবো ;
                তরল ফুটিয়ে শেষ করবে ?
                     বাস্প হয়ে যাবো ;
                  বাস্প হয়ে বর্ষায় কখনো
                     নদী হয়ে ঝরে যাবো ;
                 নদীকে এবার বাঁধতে যাবে ?
                    খরস্রোতা হয়ে যাবো ;
                 খরস্রোতায় ফেলবে পাথর ?
                      পাথর ভেঙে দেবো ।

                       


       কবিতার সাম্রাজ্য
               হামিদুল ইসলাম
                  

কবিতার সাম্রাজে ঘুরে বেড়াই
সাম্রাবাদী ভাবনাগুলো ঘুরে বেড়ায়  রাতের ছায়ায়
মন থেকে তাড়াই বুনো মোষ
ইতস্তত বিক্ষিপ্ত জীবন
ভাবনাগুলো মরিয়া হয়ে পেছনে পেছনে ছোটে
বুটের আঘাতে ভাবনাগুলো সরাই  ।।

জীবন জীবিকার প্রশ্ন
সাম্রাজ‍্যবাদী দুনিয়া প্রতিদিন করে চক্রান্ত
গরিব মানুষ জোট বাঁধে
ভাঙতে চায় সাম্রাজ‍্যবাদী শাসনের যাঁতাকল
একঘেঁয়ে জীবন
হারিয়ে যায় পতিত জমিনের জীবাশ্মের কঠিনতায়  ।।

কার জন‍্যে কে আসে
কার জন‍্যে বাঁধি সাধের চিলেকোঠা ঘর
নৈঋতে ঝড়
ঈশানে ঝড়
চকিতে বিদ‍্যুৎ খেলে যায় মনের ভেতর
এ জন্মের দাসখত লিখে দিই তার হাতের চেটোয়   ।।

ইতিহাস কভু মিথ‍্যে বলে না
দুর্বোধ‍্য ভাবনাগুলো মন থেকে ছুড়ে ফেলি জলের তলায়  ।।




হতাশা
     গোপাল বিশ্বাস

অন্যের কেমন সহজেই সব হয়ে যায়
আমার হয় না
বাস্তু ভিটে ঢুকে পড়ে সাপ
অনিশ্চিত পথে পা বাড়াই প্রতিদিন
কখনো ক্রাইম করতে ইচ্ছে করে
মদ খেতে ইচ্ছে করে
মন্ত্রীকে গুলি করতে ইচ্ছে করে  l
কুকুরেরা কেন আমার পথেই ঘেউ ঘেউ
---পাগল
কারা কেড়ে নেয় জমানো ফসল ?

অন্যের কেমন সহজেই সব হয়ে যায়
আমার হয় না
যোগ্য অযোগ্য নিত্যির পাল্লায়
ক্রমশঃ স্পষ্ট রাজনীতির চিতা বাঘ
নদীর তীরের বালি মুখ ঘুরে বসে
অধিকার গুলো দিগন্তরেখার পেছনে
কি যেন বলা বলি করে  l
আসছে নির্বাচনে আমি প্রার্থী হবোই
পঞ্চায়েতে ?  বিধান সভায় ?
নাকি পাগলা গারদে ?

অন্যের কেমন সহজেই হয়ে যায়
আমার হয় না
রহস্য হাতের খেলা
বনে বনে ঘুরে কিরাত শালা
মিথ্যে গুরু দক্ষিনা কেটে লয়
একলব্যের আঙুল
দেওয়ালে পিঠ টেকে গেলেও,
বার বার একই ভুল  l

আমি হেটে যাবো ঝড়ো সমুদ্রে
গিরি পাথরে খুঁজে নেবো
অঙ্কুরিত তৃণলতার বীজ
জ্বালাবো হতাশার বুকে আগুন ,
এ  ভাবেই পুড়ে এক একটা ফাগুন  l
অন্যের কেমন সহজেই সব হয়ে যায়
আমার হয় না
কারণ পাগল তো পথে  পথেই ঘুরে   l






অন্ধকার থেকে আলোতে         
             সুস্মিতা দে 

আমরা  অন্ধকারের যাত্রী  প্রভু আলোর পথ দেখাও
আবার অন্ধকার  থেকে আলোর সন্ধানে ।
অন্ধকারের নিশানা বলে যেতে  হবে যে তোমাকে আমার সাথে  আলোয়। রামকৃষ্ণ দেব বলেন  স্বামীজি কে ।
তিনি শিকাগো থেকে থেকে 
বিবেকানন্দ আসেন রামকৃষ্ণ দেব আশীর্বাদ করে বলেন  নরেন যাবে লোকশিক্ষা প্রচারের দায়িত্ব তোর দেশ থেকে দেশান্তরে ভারত তখন কাঁদছে গেলেন তিনি শিকাগো তে পেলেন তিনি  কতো ভক্তির সাথে ভক্তরা। স্বামীজির আহ্বানে সাড়া দিয়ে আনলেন আমাদের দেশ ভারতবর্ষ আবদ্ধ হলো শ্রেষ্ঠ সম্মানের আসনে।
তিনি কন্যাকুমারী শেষ প্রান্তে  টিলাতে বসে তপস্যা করেন।
কাজী নজরুল ইসলামের মতো বিদ্রোহী কবি তার গান তার প্রানের সাড়া তার লেখা আমার প্রাণ আনন্দে এই মহান মানুষ কে  জানতে পারে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাইকেল মধুসূদন দত্ত আমি কি পারি লিখতে শব্দহীন  শব্দ মুখে আসে না আমার  অন্তরের কবি আমার অন্তর্যামী ।
তাইতো বেকুব করলি তোরা এক জাতিকে  একশো খান।জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত জালিয়াত খেলছো জুয়া।
অন্ধ কারের আলো জ্বলে ওঠে তার পথের অবিশ্রান্ত পরিশ্রম দিয়ে  কাজ করেছিলেন । আমরা তখন ঘুমিয়ে ছিলাম  আজ চলো আমরা জাগি কাজ করি।
গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার  মা দুই ধারে দুই জলের ধারা মেঘনা যমুনা ।
ভারত আমাদের ভারতবর্ষ  মিলেমিশে  একাকার হয়ে যায় আগের মতো রাখি বন্ধন হোক আমাদের একটি দেশ আমরা মানবিকতার মানুষ ।
আর অন্ধকার  নেই। আলো জ্বলে ওঠে ।
রবীন্দ্রনাথ বিবেকানন্দ বীর সুভাষের মহান দেশ নাহিকো ভাবনা নাহিকো  চিন্তা  হৃদয়ে নাহিকো  ভয়ের লেশ।। রামকৃষ্ণ দেব ঠাকুর গির্জা মসজিদ মন্দিরে যেতেন। মানুষের মন একটি  ধর্ম একটি কর্ম  আমাদের  মানবিকতা।
জাগো বন্ধু  আমরা একতার বন্ধন সৃষ্টি করি একটি  ধর্ম একটি  প্রান।  একটি কর্ম  মানুষের প্রীতি শুভেচ্ছা ভালো বাসা পরস্পরের প্রতি ।।
আর দেরি না। চলো কাজ করি। অন্ধকারে মধ্যে আলো থাকে পদ্মফুল পাঁকে থাকে । শিল্পীর মনোবল মনোনিবেশ হাতুরী ঠুকে ঠুকে শিল্পীর কলা মূর্তি অতিরিক্ত পাথর কেটে  ছবি  টি তোলে ।
তার ভিত্তিতে ঐতিহাসিক নিদর্শন দেয় ঐতিহ্য কোন যুগের ইতিহাস বহন করে চলে ইসলামিক না প্রাগ ঐতিহাসিক না  আধুনিকতার ছোঁয়া আছে।
কাজ করি । কর্ম ধর্ম মানুষের মুখোশ্রী ।
মুখোশ ভেদাভেদ করে  সব কিছুর পতন  আনে।



মাতা-পিতা         
        সুশান্ত মজুমদার

মাতা পিতার তুলনা ভাই
বৃথা কেনো করো,
কোরান পুরাণ হাদিস তুমি
যত্ন করে পড়ো।

পিতা হলেন জন্ম দাতা
মাতা গর্ভে ধরে,
প্রসব ব‍্যথা সহ‍্য করে
আনে ভুবন পরে।

পিতা মাতার আদর স্নেহে
জীবন ধীরে গড়ে,
পিতা মাতার অভাব হলে
জীবন থমকে পড়ে !

সন্তান যখন থাকে সবাই
বোঝে না তার মর্ম,
পিতা মাতাই পরম আপন
সেবা করাই ধর্ম।

তুমি যদি করো সেবা
সন্তান করবে লালন,
বৃদ্ধাশ্রমে হবে না ঠাঁই
গৃহেই হবে পালন।



ভালোবাসার আরেক নাম...
               শাশ্বতী দাস

  রঙিন মোড়কে মোড়ানো ভালোবাসা
       আর মুখোশ ঢাকা মুখ,
  জড়িয়ে আছে জীবন পরতে
         আলতা রাঙানো সুখ!
      প্রতিশ্রুতি আর প্রতিহিংসা ---
       ভালোবাসারই আরেক নাম,
      জড়িয়ে থাকে একে অপরকে
          সুখ সায়রে করে স্নান।
       "আমার বাড়ি যাইও বন্ধু"
          ভালোবাসার নিমন্ত্রণ!
       ভোগ করবো শরীরটা তোর
          ওতেই যে সব আকর্ষণ!!




বর্তমান সময়ে শিশুদের অবস্থা
        আব্দুল রাহাজ

আজ আমরা উন্নতশীল দেশের মানুষ আধুনিক মায়াজাল আমাদের দেশে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে । সাথে সাথে মানুষের পরিবর্তন হচ্ছে মানুষের আরাম ভোগ বিলাসিতা বেড়েই চলেছে সমাজে শিশুরা কোথাও যেন লাঞ্ছিত বঞ্চিত কারণ হিসেবে বলা যায় দারিদ্রতাকে ঘোচাতে অল্প শিক্ষিত মানুষের ঘরে হতদরিদ্র মানুষের ঘরের ছেলেমেয়েরা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকলেও ওরা যেন কোথাও ছোট বয়স থেকেই কাজের জগতে ঢুকে পড়ছে তাহলে কী সমাজের উচ্চবিত্ত প্রভাবশালী ছেলেমেয়েদের প্রভাব বেশি  এইসব মধ্যবিত্ত নিম্নমধ্যবিত্ত হতদরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা অল্প বয়স থেকেই কাজের জগতে প্রবেশ করছে হলে কোথাও যেন তারা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোথাও স্বাধীনভাবে খেলাধুলা করতে পারছে না ফলে তাদের বিভিন্ন বিকাশে বাধা প্রাপ্ত হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের গ্রামের শেষ মাথায় ইটভাটা ছিল একদিন বিকাল বেলায় ঘুরতে গিয়ে দেখলাম এক করুণ দৃশ্য গোটাকয়েক পরিবার ইটভাটা সংলগ্ন জায়গায় থাকে সেখানে তাদের ছেলেমেয়েরা সবাই বাবা মায়ের সাথে ইটভাটায় কাজ করছে আমি একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম তোমার নাম কি বলল আহাম্মেদ ও আচ্ছা কোথায় পড়াশোনা করো একটু হেসে বলল পড়াশোনা পড়াশোনা করি না তো এই বলে দৌড়ে চলে গেল আরেকটু ভিতরে চলে গেলাম ছোট ছেলেমেয়েরা তারা বাবা মায়ের হাতের কাজে ব্যস্ত তখন প্রায় সন্ধ্যা গ্রামের প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ে যখন বই নিয়ে বসে তখন ওরা উনুনের ধারে বসে একটু খাবার জন্য বসে থাকে এইসব দৃশ্য দেখে বাড়ি ফিরলাম এমন যদি হয় তাহলে জানিনা সমাজে আরো কত শিশু এরকম অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে যেখানে তাদের স্বাধীনভাবে আনন্দের ছেলে পরিবেশে বাঁচার কথা একটু শিক্ষা গ্রহণ করবেন হাসিমুখে সবার সাথে মিলে মিশে থাকবে কিন্তু সেটা ওরা উপভোগ করতে পারছেনা এইভাবে ওরা দারিদ্রতাকে জয় করার জন্য ছোট থেকেই নিজেদের প্রতিভা স্বপ্নকে কোথাও যেন বিসর্জন দিয়ে ওরা শিশুশ্রমিকের পদে নাম লিখিয়েছে সত্যি শিশুদের এই করুন অবস্থা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এক অকাল কালো ঘনীভূত দৃশ্য দেখতে চলেছে।





বিবেক হরণ
         অনাদি মুখার্জি

দেখিলাম সেই দিন রাস্তার মধোই,
বয়স্ক বৃদ্ধ পিছলে গেলো পা পড়ে!
দেহ তার কঙ্কাল সাড় ছিলো ছিন্ন বস্ত্র পরে,
বয়সে ভারে মলিন বদন বল নেই তার চরণে !
শহরের ঘুরে ঘুরে সেই বৃদ্ধ ভিক্ষে করে মুষ্টি চাল,
এক বাবুসাহেবের ধাক্কায় পড়ে দশা হল এই হাল !
কাদাজলে পড়ে গেল তার কষ্টের চাল গুলি ,
কান্না চোখে জল নিয়ে চালগুলো তুলে ভরে ঝুলি !
তার এই কষ্ট দেখে আমার মন করিলো আঘাত ,
সেই গরিব বলিয়া আজ নেই তার কোনো  সন্মান!
ছিলাম আমি তখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে,
তখনই ছুটে গেলাম তাকে তুলিতে ,
আমাকে দেখে পথচারী রা শুধু হাসে !
তাকে ধরিয়া তুলিলে বুঝি যাবে আমার জাত ,
ছিলো এক শিক্ষক বাড়ালো না আমার সাথে হাত !
বলি হাইয়ে সমাজ  আজকে তোদের চোখে একি হাল !
ধন দিতে পারে শুধু ক্ষণিকে সম্মান,
গরিবের পাশে থাকিলে পাবে তার চিরতরে সন্মান !
টাকা আছে বলে আজ  গর্ব করেছে যারা ,
জীবনের মূল্য কি বোঝেনা যে তারা !
অর্থ হলো আজকের এই  অনর্থ মূলত কারন ,
এই  অর্থ  করছে তাদের বিবেক হরণ !





মায়ের  রূপ
        গণেশ দেবরায়

ঢ্যাম কুরাকুর্  ঢ্যাম কুরাকুর
বাজল ঢাকের বোল্
দেবী পক্ষের সূচনাতে
আগমনীর রোল্।

মা যে এলো সবার মাঝে
আনন্দ সব দিকে
খুশির আমেজ ছড়িয়ে দিয়ে
চারদিনে সব ফিকে।

এলো গেল লক্ষী ঠাকুর
আলপনা আর নাড়ু
চলে গেল দেবী পক্ষ
অজানা নেই কারু।

বসে আছি প্রদীপ নিয়ে
দীপাবলির জন্যে
কোথায় মা শ্যামা রূপে
খুঁজছি হয়ে হন্যে।






মানবের ঠাই
            জুয়েল রূহানী

মানব মহান মুখের কথায়
ভিতরে তার শয়তান রূপ,
মুখের বুলিতে কারবে মন
মুখোশ না করে উন্মোচন!

বুঝা বড় দায় মানব রূপ
সাধুর ভিতরে চোর নিশ্চুপ,
কখনও বা সাধারনে-
অসাধারন গুনের স্তুপ!

মানব মনে শয়তান কভূ
বসবাস করে ছলনায়,
মানবে ফুটিয়ে তোলে-
চিত্র নানান উন্মাদনায়!

মানব মনের ঠাই ফেরেশতায়
কখনও বা ঠাই শয়তানে,
মানবের ঠাই মানব মনে-
দোযক কিংবা স্বর্গপানে।






কসৌলি ঘুরে
          বদরুদ্দোজা শেখু

একদা সন্ধ্যায় দল বেঁধে কসৌলি ঘুরে এলাম
*টি-ভি-আর সেন্টারের পিছনে অদূরে বাঁধানো বেঞ্চিতে বসলাম
দক্ষিণে দূরে মাঙ্কি পয়েন্ট, আরো দূরে কালকা পিঞ্জোর,
বিন্দু বিন্দু ঘরবাড়ি , সমতল ভূমির শহর,
হাড়হিম হুহু শব্দের বাতাস, উপত্যকার কন্দরে
রক্তিম অস্তায়মান সূর্য অপরূপ, ক্রমশঃ ধূমোল প্রহরে
আচ্ছন্ন অনুভূতি রোমাঞ্চ-বিহ্বল , পাহাড়-শ্রেণীর বর্ণাঢ্য বিস্তার
ভয়াল চমকপ্রদ আদিম সুন্দর, উপলদ্ধির দুর্লভ সমাহার ।
দু-চারজন পথিক কিংবা দু-একটা ঝকঝকে গাড়ি
  সামনে দিয়ে   থেকে থেকে দেখা যাচ্ছে যেতে, মনে হয় ওরা সুখী ভারী।
ভাবতে ভাবতে স্থানু অভিভূত, ক্রমশঃই প্রশংসার অকুণ্ঠ নিবিড়
সৌজন্যে সন্তুষ্ট আমি, তুচ্ছ কূপমণ্ডুক জীবনের নীড়
নিয়তির দাক্ষিণ্যে মূহ্যমান চমৎকৃত , সরকারী চাকুরির প্রারম্ভিক
চকচকে নোটের প্রাপ্তিতে যেমন আবেগ-বিহ্বল বেকার যুবক , ঠিক
ততোধিক দৃষ্টির আনন্দ আর অলৌকিক গান
আমার স্নায়ুর রন্ধ্রে , দেখা হলো   অপরূপ ঈশ্বরের সৃষ্টির বাগান ।।




সুখ সন্ধান
       সত্যব্রত চৌধুরী

সুখের খোঁজে যাস নি মিছে ,
সুখ যে ধায় তোরই পিছে ।
দুখের ব্যাথা হৃদয়ে বাজে ,
দুখের মাঝেই সুখ যে আছে ।
দুখ হল যে ভাই কষ্টি পাথর ,
পরখ করে তোর হাড়-পাঁজর ।
সুখ জেনো এক শীশ-মহল ,
সুখের সন্ধানে জীবন বিফল ।
দুখকে সইতে পারে যে জন ,
সুখ যে হয় ভাই তারই বাহন ।
সুখের তরে কাঙাল যে জন ,
দুখ তাড়া করে তারই পিছন ।
দুখেতে হতাশ হয়ো না ভাই ,
সুখের আগম দুখের দ্বারাই ।।





মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা

(১)
আমার প্রিয়জন

এই
সাজানো সংসার
আমার প্রিয় মানুষজন
খুনসুটির প্রিয় খেলার সাথীরা
এর মাঝে দাঁড়িয়েই চিনেছি আমিকে
এদের উঠোনেই চলবে আমার চিরায়ত যাপন ।

এই পাহাড়- নদী - অরণ‍্য এরাও আপন
এদের সান্নিধ্যেই খুঁজে পেয়েছি অক্ষরকে
এদের বুকে বন্ধনহীন পাখিরা
এখানেই পাখি মন
খুঁটবে খাবার
খ ই।

(২)

পিছুটান

হাসুন
গোছানো হয়েছে
আমার নিজস্ব লটবহর
উঠোনে ঝরা শিউলি ফুল
দীর্ঘশ্বাস ফেলছে দেয়ালের প্রিয় ছবি
হাত দিয়ে আগলাচ্ছে চেনা দরজার পাল্লা।

তবুও জানি থেমে যাবে বিদায়ের হাল্লা 
নতুন কবিতা লিখবে স্বভাব কবি
ভেঙে যাবে সব ভুল
মাঝিতো গুনছে প্রহর
ডাক দিয়েছে
আসুন।



কবিতা-
      নৈতিকতা
          শান্তি দাস

পৃথিবী আজ গিয়েছে ভরে,অনিয়মের বাহুডোর--
সবাই নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে আছে।
যেথায় সেথায় রাখতে নিজের দখল,
নিজের স্বার্থ রক্ষা,করতে সবাই মরিয়া।

শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো নৈতিকতা বোধ,
শিক্ষায় শিক্ষিত হলাম যদি কেন নয় সুশিক্ষা।
শিক্ষকরা সুশিক্ষা দেয় নৈতিকতা নিস্ঠার শিক্ষা,
আদর্শ মানুষ রূপে গড়ে তুলবে এটাই জাতির প্রত্যাশা।

আদর্শবাদী শিক্ষক সমাজ আলোকিত করে,
মানব জীবনের উন্নয়ন ,মানব কল্যাণ,নির্ণায়ক নৈতিকতা।
অফিস, আদালত, সমাজে হয় না ঠিক মতো কাজ,
নিজের প্রাপ্য বুঝে পায় না কেউ,হতে হয় হয়রানি।

মানব জাতি উন্নত,নৈতিকতা সম্পন্ন জীব,
মানুষ হয়ে যদি না থাকে নৈতিকতা মূল্যবোধ।
তাই তো সুশিক্ষায় শিক্ষা নিয়ে করো সত্যের পথ অনুসরণ,
নৈতিকতার মধ্যেই লুকিয়ে আছে সততা,মহত্ত্ব ন্যায়পরায়ণতা।

আদর্শবাদী মানুষ হয় সততা অবলম্বনে,
লোভ লালসা উচ্চাভিলাষ থাকলে জীবন হয়না সুখ।
বিবেচনাহীন জৈবিক কামনা  অসৎ পথে চালিত করে,
এর ফলেই দেশ ও সমাজ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলে।




👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 







২টি মন্তব্য: