শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 11/12/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 11/12/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 11/12/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 11/12/2020, শুক্রবার
               সময় :- রাত 09 টা. 40 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


The new Winter
Anjali De Nandi, Mom


The new winter arrivals in nature.
At dawn, the fog covers us.
On the day, the Sun is not strong.
At night the coldness is appeared.
Now I can't take bath under cool water.
I enjoy under soft sun light and heat.
Then many puppies are playing with me.
And their black mummy,
Watches them with motherly responsibility.
It's her natural hearty duty.
Mom and babies relation is great beauty.
The winter is baby now as season in nature.
My city -
It is very famous.
Here the winter will grow up.
Also the puppies.





বহু সম্পর্ক


ডাঃ তারক মজুমদার

বহু সম্পর্ক  যায় ভেঙে


দোষী  সমান সমান


বহু সম্পর্ক  পায় প্রাণ  ফিরে


আছে বহু প্রমাণ ---।

বহু সম্পর্ক  ওষ্ঠাগত প্রাণ


আপন কর্মফল


বহু সম্পর্কে  খুশির জোয়ার


বাড়ছে মন বল---।

বহু সম্পর্ক  খায় যে হোঁচট


আমরা সবাই জানি


বহু সম্পর্ক ভো কাট্টা ঘুড়ি


আমরা সবাই মানি---।

বহু সম্পর্ক  কত সুরক্ষিত


আন্তরিকতায় পূর্ণ  মন


বহু সম্পর্ক  যায় হয়ে অমর


চির সবুজ থাকে দুটি জীবন।







এ ভোরে


উমর ফারুক

এ ভোরে মোরগ ডাকা হয়


এ ভোরে উমের আমেজ নাই


এ ভোরে খেকশিয়াল ও হাঁটে


এ ভোরে ঘুম টা কে ভাঙায়?


এ ভোরে লেপের নীচে মাথা


এ ভোরে মাথার উপর বালিশ


এ ভোরে ঘ্রাণ নাকে ,ঠোঁট চেপে


সুরভী গোলাপ শ্যামল চাপার।


মৃদু বয় বাতাস সবুজ ঘাসে


শিশিরে ভিজছে বেড়াল পা


হেঁটে যায় কয়েক গুটি পায়ে


জেগেছে জনম দুখি মা।


ওমা তুই এত্ত ভোরে জাগিস?


আমি কি করব বুঝিনা তো


ভোরের আশ মেটে রঙের হল


ঊষা টা আজকেও উঠেনি তো!


ওমা তুই হাতটা কিসে রাখিস


কনকনে শীত কি লাগে নাকো


আমি তো উম ধরাতে লেপে


তবুও আমায় কেন না ডাকো?








কবিতা
রাঙামাটির পথ
শান্তি দাস

শস্য শ্যামলা সবুজে ঘেরা অপরূপ রূপে ভরা প্রকৃতি,
প্রকতি যেন হাসছে ফুঁটে উঠা মনে আঁকা ছবি।
চারিদিকে সবুজে ভরা দৃশ্য সে যেন নতুন পাওয়া,
গ্রামের দুধারে সবুজে ঘেরা মাঝে মেটো পথে আসা যাওয়া।

এই রাঙ্গামাটির পথ হারিয়ে যায় কোথায় তার শেষ,
প্রকৃতির এই সৌন্দর্য মন হারিয়ে যায় লাগে বড় বেশ।
মাঝে মাঝে দেখা দীঘির জলে শাপলা শালুকে ভরা,
চারিদিকে প্রকৃতি যেন সৌন্দর্যের রূপে ঘেরা।

সকালে রাঙ্গামাটির পথ থাকে নীরব নিস্তব্ধতায়,
কৃষকেরা গরুর পাল নিয়ে মেটো পথে দিয়ে যায়।
সকালে ধুলোবালি কম নীরবে চলছে সকলে,
সারাদিন ধরে চলে পথে আনাগোনা লোকসমাগমে।

পল্লী গায়ের বধূ কলসি কাঁখে হেলেদুলে জল আনতে যায়,
কৃষক ভাইয়েরা অশ্রু জড়ানো চোখে স্বপ্ন এঁকে বেড়ায়।
বিকেলে কৃষক গরু নিয়ে ফেরার পথে মেটো পথ ধুলায় ধূসরিত,
ব্যথা বেদনা ভুলে ফসল যখন ঘরে তুলতে মন পুলকিত।







                   পাথর
     হামিদুল ইসলাম
               

জন্ম জন্মান্তরে
তোমাকে দেখি বিকেলের দরবারে
নৈঃশব্দে ইতিহাসের পাঠ নিই
চোখের পলকে মনের মাঠ পুড়ে হয় ছারখার।।

তোমার কাছে ফিরে আসি
গোপনে ভালোবাসি
পৃথিবীর রহস‍্য উদ্ধার করি
জীবন ঝরাপাতা  ।।

তোমাকে চাই
কিন্তু কোথায় পাই
আমার মনের ভাষা বোঝে না তো কেউ
বাসি লগ্নে আমি যেনো কাঙাল  ।।

পরকে আপন করি
পাথরে শানাই তরবারি
ঘরে ঘরে বিপ্লবের মন্ত্র কারা দিয়ে যায়
এখন যুদ্ধের কাড়া নাকাড়া  ।।

ভোঁতা অস্ত্র শক্ত করি আগুনে
বিপ্লব আসুক এই ফাগুনে
এসো এই বুর্জোয়া শক্তিকে সরাই
জলে ভাসুক পাথর  ।।





নতুন দিল্লি ষ্টেশনে নেমে
     বদরুদ্দোজা শেখু

দু'ঘন্টা দেরী ক'রে দুপুর নাগাদ
পৌঁছলাম নতুন দিল্লি ষ্টেশনে, আড়ষ্ট অবসাদ
ঝেড়েঝুড়ে নামলাম ব্যাগ স্যুটকেস
নিয়ে, ধীরে সুস্থে পিছু যাওয়া পুরনো অভ্যেস ।
একনজরে দেখছি যে দিল্লি নগর---
রাজ পথে নেমে গেছে রেল -চত্বর
ব্যস্ত স্রোতের মতো মানুষের ভিড়ে
নানা যানবাহনের নকশী নিবিড়ে
যাত্রী ধরছে লাল কুর্তার কুলি
আশপাশ থেকে এলো ভিক্ষার ঝুলি ,
ছুটে এলো অটো ভ্যান ট্যাক্সি দালাল
ঠিকা দরে দিলো কতো বিপরীত চাল
এমন-কি ব্যাগ ধ'রে টেনে নিতে চায়
নবাগত যাত্রীরা বড়ো অসহায়
বোঁচকাবুঁচকি সহ কোনোক্রমে দ্রুত
অদূরের রাজপথে হন  দ্রবীভূত।
বোঝা দায় কা'র কী যে কমিশন আছে--
হোটেলের নামধাম আওড়ায় কাছে
এসে কিছু লোক , দূর থেকে কিছু লোক
জনতার প্রতি হানে ঈগলের চোখ ,
পাঞ্জাবি-পাজামায় পাগড়ি ও দাড়ি-
ওয়ালা শিখ লোক দু'টো পার্ক করা গাড়ি
ঠেস দিয়ে হাতে খৈনি ছিলিম ডলে
একমনে, ডাকাতের মতো চোখ জ্বলে ;
ড্রাইভার বুঝি কিবা সন্ত্রাসবাদী
ইমতাম দৃষ্টিতে অর্থ বিবাদী।
একটি মারুতি লাল অতি আধুনিক
এসে ছেড়ে দিয়ে গেল রূপের বণিক
মহিলাকে, ফ্যাসানের দুরন্ত তাল
তুলে হেঁটে গেল পাশ দিয়ে উত্তাল
ঢেউ-তোলা ঊর্বশী-আগুনের আঁচ
চোখ দু'টো ব'নে গেল শো-কেসের কাঁচ,
ঝলসানো দুপুরের নির্মম ধার
হীরের ছোঁয়ায় যেন হলো চুরমার
পিছু ধায় অসংখ্য পুরুষের চোখ
ক'লজে নিঙড়ে নেয় রূপের আরক
  বাতাসে বাজছে তার গমনের সুর,
এ ক্ষেত্রে কে-বা নয় পথের কুকুর ?

বিস্তৃত সীমানার বামপাশে বাস
ডান পাশে ছোট যান ছুটে হুসহাস
মাঝখানে ইটের রেলিং- ঘেরা লন
তাতে কিছু ফুলগাছ রচে আবেদন,
যানে ধায় জনস্রোত নগরীর বুকে
রৌদ্রে ধুঁকছি পোড়া পেট্রোল শুঁকে।
শব্দের ফুলঝুরি শুনি চৌদিকে
প্রধানতঃ অগম্য ভাষার নিরীখে
বুঝলাম বাঙালীর শতাংশ কম।
বন্ধুরা এগোবার নিলো উদ্যম।
আমার আকুল চোখে চলমান রীল
অগণিত দৃশ্যের ছবির মিছিল
কতোকিছু অভিনব দেখবার আছে,
দূরের পৃথিবী এলো দুয়ারের কাছে,
সাগরে অবগাহন হবে  নিশ্চয়
মনের বিকাশ হবে , খুলবে হৃদয়।
পাবো কি সাক্ষাৎ তার ? যে আমার হবে
উদার হৃদয়-রানী মনে অনুভবে ?
কর্মযোগের সাথে এই ভাগ্যযোগ
জুটবে কি আদৌ আশু নিয়তি-অমোঘ ??




বসন্ত গিয়েছে চলে
- ইউসুফ মোল্লা

মানুষ হারিয়েছে তার বিবেক,
বন্ধক দিয়েছে তার জ্ঞান,
অসহায়কে করেছে নিঃস্ব,
হারিয়েছে নিজের সন্মান।

সময়ে আসে না ফুল,
হারিয়েছে গুণ তার ফল।
বসন্ত গিয়েছে চলে,
দারুচিনি দ্বীপ হয়েছে তার সম্বল।

গলেছে বরফ এসেছে করোনা,
বন্ধ হয়েছে সকল কারখানা।
অচিন পাখি এসেছে ফিরে,
কোকিল ডেকেছে বসন্তের আনাগোনা।

              ___________




চলে যাওয়া এখন কত সহজ
       অনিন্দ্য পাল
=============================
চলে যাওয়া কত সহজ হয়ে গেছে, নবনীতা।

একের পর এক প্রিয়-অপ্রিয়, চেনা-অচেনা
মানুষগুলো হেঁটে চলে গেল, চলে যায় শব্দহীন
চলে গেছে আরও কত ভালোবাসা, তখন বুঝিনি
হলুদ পাতার স্মৃতিগন্ধে মনে পড়ে, সেই সব দিন।

সেই আলোর বেলা, সেই সব ধূসর সন্ধ্যাতলায়
যারা হেঁটেছিল পাশাপাশি, তারা পেরিয়ে চলে যায়
রাস্তাটা কি কমে এল, নবনীতা?

এখন চল বেড়েছে, সবাই বলছে "যাচ্ছি"
মন খারাপের ডিঙি দাঁড়হীন বেয়ে ভেসে গেল
কতদিন শুনিনি, " এবার তবে আসি"

চলে যাওয়া এখন বেশ সহজ, নবনীতা
সব চেনা গাছগুলো কেমন শুকিয়ে আসছে,
দেখো, কে কোথায়? কোন রোদ্দুর নেই
চাঁদের আলোতেও ক্লান্ত বিষন্নতা, তবু
লতায়-পাতায় আটকে বেঁচে আছি, নবনীতা

যতটুকু আছি, নেই আরো বেশী, সবুজ বন্ধুতা।





দুই বন্ধুর গল্প
আব্দুল রাহাজ

একটা ছোট গ্রাম নামটি তার অতুলপুর সেখানে থাকতো রাহী আর শাহী দুজনে খুব ভালো বন্ধু সেই ছোটবেলা থেকে। রাহী প্রভাবশালী খুব বড় ঘরের ছেলে আর শাহী এক গরিব চাষির ছেলে দুজনের বাড়ি একেবারে পাশাপাশি রাহীদের বাড়ি ইট পাথর দিয়ে তৈরি করা আর শাহীদের বাড়ি ঘরের বিচালি আর মাটির দেওয়াল দিয়ে ছাওয়া শাহীর বাবা-মা রাহীদের এর বাড়িতে কাজ করে সেখান থেকে বন্ধুত্ব হয়। রাহী আর শাহী তারপর গ্রামের পাঠশালায় দুজনের পড়া খেলাধুলা মধুমতি নদীর তীরে ওদের দুজনের খেলাধুলা গ্রামের আর পাঁচটা ছেলের সঙ্গে বিন্দু মাসি দের আম বাগানে গিয়ে আমপাড়া নৌকা নিয়ে ঘুরতে যাওয়া শৈশব বাল্যকাল এভাবেই কেটে যেত। ওদের দিন আস্তে আস্তে সময়ের সাথে সাথে সব যেন এলোমেলো হয়ে গেল এদিকে গ্রামের পাঠশালা শেষ হলো রাহী চলে গেল শহরে পড়তে আর গরিব চাষির ছেলে শাহী ও গ্রাম থেকে দু কিলোমিটার দূরে হাইস্কুলের পড়ল। কিছুদিনের মধ্যে সাহীর বাবা মারা গেল পড়াশোনা ইতি নেমে এলো শাহীর তারপর আস্তে আস্তে কোথাও যেন সেই সব দিনগুলো কেটে গেল অনেকটা বছর। শাহী এখন মাঠে চাষ করে বড় চাষী হয়ে গেছে অন্যদিকে রাহীর আর কোন খবর নেই একবার ওর বাবার সাথে দেখা হল শাহী বলল রাহী কেমন আছে কাকু বললো আছে ভালো শহরে আছে কবে আসবে জানিনা রাহী আর শাহিল আর কোন দিন দেখা হলো না আস্তে আস্তে কোথাও যেন বয়সটা সে জীবনে এসে গেল শাহী। শাহী ভাবতে লাগলো একবার যদি দেখতে পেতাম ওর সাথে তাহলে এ জীবনটা ধন্য হয়ে যেত কিন্ত সেটা আর হলো না সেদিন ভোররাত শাহী চলে গেল চিরঘুমের দেশে কিন্তু শাহীর আর দেখা হলো না রাহী‌র সাথে।এই ভাবে ওদের বন্ধুত্বের গল্পটা শেষ হয় সূর্যের আলোর মতো কোথাও যেন মিলিয়ে যায়।


বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 10/12/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 10/12/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 10/12/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 10/12/2020, বৃহস্পতিবার
               সময় :- রাত 08 টা. 10 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


যৌবন
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

হে যৌবন সুন্দর, শোনোনি কি আহবান ঝরার
দিন ফুরালে প্রয়োজন থাকবে না আর
সর্বস্ব শেষ হবে সবাই যা করেছে চয়ন
মিলাবে শৈশবের মধুর আলাপন
তবে কিসের লাগি সাজাও অঙ্গ প'রে আভরণ
তার চেয়ে ত্যাগ কর যাত্রা পথে যা ছিল আপন।।

কাননে কতফুল ফোটে অনাদরে
কত মালা গাঁথা হয় কত যে যায় ঝরে
তাই আজ সার্থক করো মানব জীবন
রামধনুর ছটায় জাগুক নিরাসক্ত মন
ভয় নয়, ক্ষেদ নয় হে সুন্দর তোমার
নিরালায় কর বসে সাধনা অপার।।

যে হৃদতন্ত্রে আছে প্রেম করুণা
তারে সাজাও ধরা মাঝে করো দেখাশোনা
সার্থক কর তোমার মাতৃবন্দনা
উচ্চশিরে করে যাও অনন্ত বন্দনা
যেখানে নিবন্ত চুল্লি নিবে যায় বাতাসে
মঙ্গল দীপ জ্বালাও সেথা নিত্য অবকাশে।।





বিস্ময়কর_জীবন
শান্তি_দাস

জন্মেছি আমরা পৃথিবীর বুকে সৃষ্টির এই সৃষ্টিতে,
বিধির বিধান সব নতুন নতুন ঘটে দৃষ্টিতে।
কয়দিনের জীবন রঙ্গমঞ্চের এই অভিনয় করে যাওয়া,
ক্ষনস্থায়ী জীবনে সুখ দুঃখ ভালোবাসা পাওয়া।

বিস্ময়কর জীবনে কতকিছু ঘটে যায় মানব সংসারে,
জন্মমৃত্যুর এই বিধান অতি বিস্ময়কর ভাবনার তরে।
কোথা থেকে এসেছি কোথায় শেষ ঠিকানা,
সবটাই বিস্ময় জাগে জীবন উৎপত্তির কোথায় সীমানা।

এই আকাআকাশ বাতাস গ্রহ নক্ষত্র তারার সমাবেশ,
কত যান্ত্রিক শক্তি এই পৃথিবীর মাঝে ভাবনার রেশ।
বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কার সবকিছু লাগে আশ্চর্যজনক,
মানব জীবনে জানার কত জানা অজানার বাহক।

আমাদের বেঁচে থাকা এই মাটির উপর বিস্ময়কর লাগে,
প্রকৃতির শ্বাস প্রশ্বাসের ভারসাম্য রক্ষা অবাক লাগে।
জীবনের তো একটু ও বিশ্বাস নেই বাঁচার তরে,
দাঁড়িয়ে আছি এই জগৎ সংসারে সৃষ্টির লয়ে।

পৃথিবীতে অমর কেহ নহে সবার বিদায় নিতে হয়,
যে সবচেয়ে আপন ভুলে থাকার শক্তি তাতে ও নেই ভয়।
জীবনের রঙ্গমঞ্চে নতুন নতুন আবিস্কার অতি বিস্ময়কর,
এই নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে আছে মতান্তর।






     একান্ত   আপন
        পিনাকী  মুখার্জী

               রোজ  নাড়াচাড়া হয় না ,
           পড়ে  থাকে এক কোণে  !!
           তাইতো  জমেছে  ধুলোর পরত ,
              তারে  সরানো একাকী ক্ষণে  !!

              জেতার  নেশায়  ছুটে ,  খাতায়
                  জমা  হলে  কিছু  ব্যথা  !!
               সে  ছাড়া  কাকেই  শোনাবো ,
               সেই   সুখ - দুঃখের  কথা  !!

           জীবনের  জয়গান  , ঝকঝকে শান ,
              যার  ধারালো  তেজের  প্রকাশ  !!
                 উপেক্ষিত , সেই  ধুলো মাখা
              বন্ধুর  , স্নেহেই  তার  বিকাশ  !!

                   তাই  তো  ধুলো  সরিয়ে ,
              তারেই  নিজ  প্রয়োজনে খুঁজি  !!
                   যেখানে তার  শীতল  ছায়া ,
                সেখানে  শান্তিতে  চোখ বুজি !!






  হারবি না বন্ধু 
      সুস্মিতা দে

নিজের মনে কাঁদছে তবে
অপরের মন কাঁদাতে নেই
নিজের মন না যদি বোঝে
অপরের মনে বোঝা
        বাড়াতে নেই

মন দিয়ে মন পাবে তা সে
মিছে নিছক আপন যন্ত্রণা ।
  নয়ন মেলে দেখতে কষ্ট হলে
  নয়ন অন্ধ করে নাও বলা
            সহজ তবে কঠিন ।

     হৃদয় অন্ধ করতে চাইলে
       প্রানে হা হা কার করে ।
         জগৎে ক কি ?
        কিছুর অভাব আছে?
     
      আছে বিরাট শূন্যের অভাব
      হৃদয় যদি অবসাদে ভরে।
     অবসাদকে বড়ো মানুষের ভয়।
      ভালো থেকো বন্ধু ভালো রেখো
       মানুষ মানুষের কাছে এই তো চায়।

          একটু বন্ধুত্ব , নয় অবহেলা।
         আর বেশি কিছু নয় তা না দিতে
        পারো তবে দিও না আঘাত ।
         রেখো অনুরোধ ।

   



আমার জন্ম দিনের  কবিতা
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

আজকে  আমার  জন্মদিন   ৫৮  বছর  পূর্ণ  হলো,
কাছে আর  দূরের  বন্ধুদেল  ভালোবাসা  পেয়ে এই  জীবন  ভরে  গেল৷
মায়ের  কোলে  এসে  কালক্রমে  পৃথিবী  কিছুটা  হলো  চেনা,
এখন  সংসারে  যেন  আমি  অনেকটা  পুরানো,
কর্মব্যস্ত  থাকি,তবু  মাঝে  মাঝে  যেন  মৃত্যুর  দিনগোনা,
আগে  যাঁরা  এসেছিল আজ  অনেকে  আর  নেই,
স্বর্গীয়  মা  বাবা আমার  আজ  জন্ম  দিনে বারবার  মনে  পড়ে  তোমাদেরকেই৷
স্ত্রী,পুত্র,কন্যা, সবাই  আমার  আছে,
মৃত্যুর  পরোয়ানা  আসলে  সবাইকে  রেখে  চলে  যেতে  হয়,
মহাশূণ্যতার  কাছে৷

জীবন  মানেই
অনিশ্চিত,আজ  আছি  কাল নাও  ঠাকতে  পারি,
সবার  সাথে  ভাব  করে  তাই ভালো  থাকতে  চাই,
কারো  সাথে  আর  দিব  আড়  আড়ি?








রাজধানী
      বদরুদ্দোজা শেখু

রাজধানী এক্সপ্রেস ঢুকলো রাজধানী ।
চোখ জুড়ে নগরীর নব্য হাতছানি
মন জুড়ে মোহনার মগ্ন কানাকানি ।

ছুটে এলো একদল ভাড়াটে চালক
ধরতে পেরেছে ঠিক আনকোরা লোক ,
মানুষ কী ক'রে পায় শকুনের চোখ ?

আগন্তুক হিন্দিতে বড়ো  নড়বড়া
এ শহরে হলো তার-ই প্রথম মহড়া
বাঙ্ময় হৃদয়ের হলো হাতকড়া ।

চড়া রোদ, ধরা গলা, জার্ণির ক্লেদ
সরল স্বপ্নের সাথে হলো বিচ্ছেদ,
এখানে মানতে হবে কতো কী নিষেধ !

এখানে রহস্য আছে যন্তরমন্তর 
রামলীলা ময়দান সুস্থ গণতন্ত্রর 
প্রতিবাদের মঞ্চ ,প্রপঞ্চে কুরঙ্গ  
বিরোধীদেরকে মেরে করে ছত্রভঙ্গ ,
গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক
দিয়ে যান নেতাগুলো , নেপথ্যের ছক
নানা দর কষাকষি যুদ্ধ না শান্তি
কোনটা যে সমাধান ছড়ায় বিভ্রান্তি
কাশ্মীর কী যে প্যাঁচ গাল-ভরা দোস্তি
সীমান্তে লাগাতর বারুদের কুস্তি
উপত্যকার জনজীবন ভয়ানক স্তব্ধ
ধরপাকড় কারফিউ করবে কি জব্দ ?
সংসদে লেগে আছে কাদা ছোঁড়াছুড়ি
প্রকৃত বিতর্ক নাই ,শুধু গলাজোরি ,
অধিবেশনের দিন ক্রমসঙ্কুচিত--
এহেন গণতন্ত্র পেয়ে আমরা গর্বিত !
কমবেশি সব রাজনৈতিক দলই
ব্যবহার করে পেশীশক্তি বাহুবলী,
আইন বিচার আছে ,তবু সুবিচার
পায়না দুর্বল-শ্রেণী , জয় ক্ষমতার ।
চারিপাশে কানাঘুষো এন-আর-সি জুজু 
সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গুজু
দ্যায় অনায়াসে সংসদে , ত্রাসে কাঁপে দেশ
নাগরিক দুর্গতির দায় দুঃখ ক্লেশ
নিজভূমে পরবাসী হওয়ার আশঙ্কা,
সমস্ত নস্যাৎ করে বিজয়ীর ডঙ্কা
লঙ্কা-কাণ্ড বাধে দেশে , দেঁতো হাসি হাসে
রাজধানী, মহতের বাণী বানে ভাসে !!





কবিতা
     জরাহীন ধরা
  ডঃ রমলা মুখার্জী

বুকের মাঝে জমাট কালো,
    ভয় ভাবনার নেই শেষ...
কান্না চেপে হেসে বলি
    ভালোই আছি এই বেশ।
জানি চাঁদের নরম জোছনা
    মুছে দেবে সব কালো,
দেখবো সেদিন জরাহীন ধরা,
    অমা শেষে শত আলো।
সেই আলোতে নাচবে অলি
     কল-তানে শত পাখি-
মানুষ আবার মানুষের হাতে
    বেঁধে দেবে ফুল-রাখি।
সুন্দর সেই বন্দরে যত
    নর নারী ভয় হারা-
ফুলের মিঠে সুগন্ধ মেখে
    ভোরে হাসে শুকতারা।





শীতের দিনে গ্রামবাংলার পরিবেশে শিয়ালের ডাক
আব্দুল রাহাজ

শেখদের গ্রামের পূর্বদিকে একটা বন ছিল চারিদিকে দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ শীতের দিনে ওদের গ্রামে একটা মজার ব্যাপার হল প্রচুর শিয়ালের ডাক শোনা যেত ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ভয়ে বাইরে বের হতো না কেউ রাত্রে আর। সেদিন শেখ ও তার বাবা মাঠের থেকে কাজ করে বাড়ি আসতে একটু রাত হয়ে গেল ঠিক সেই সময় শিয়ালের ডাক আরম্ভ হলো ওরা‌ আসছিল বনের পাশ  দিয়ে বাড়িতে আসছিল শীতের দিন আস্তে আস্তে কুয়াশা পড়লো শেখের বাবা বলল তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে  চল শীতে গা হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে রে বাবার কথা শুনে একটু জোরে জোরে হাঁটলো শিয়ালের ডাক শুনে সেক একটু সাহস করে বনের দিকে একটু ফিরে তাকালো অনেকগুলি শেয়াল একসাথে ডাকছে সেজন্য এতো জোরে নামাজের সময় হয়ে গেছে আজান শোনা যাচ্ছে তা ওদের ডাক থামেনি ওর আস্তে আস্তে বাড়ি চলে এলো ঘটনা ওর বন্ধুদের সাথে সকালবেলা উঠে বলল রহিম ভয় লাগেনি সেগুলো নানা কিসের ভয় শীতের কুয়াশা মোড়া তাদের এই গ্রামের শিয়ালের ডাক সুপ্রাচীন যা আজও চলে আসছে ‌। কোথায় যেন ওরা শিয়ালের ডাক শুনে অভ্যস্ত শীতের দিনেও ওদের কষ্টের সেখরা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করত সাহায্য করতে গেলে নাকি কামড় খেতে হতো। একদিন বহু বছর আগে রহিমের দাদু লিয়াকৎ আলী মিয়া শিয়ালের সাহায্য করতে গিয়ে শিয়ালের কামড় খেয়ে চির বিদায় নিয়েছিল এই পৃথিবী থেকে সেই থেকে চিৎকার ওয়ালা আর কেউ সাহায্য করে না সেই কথা শুনে সবাই হা হয়ে গেল তারপর তারপর দিন যায় বছর যায় কোথাও যেন শিয়াল দের ডাক আস্তে আস্তে ওদের কানে কমতে লাগলো শেখ একদিন হঠাৎই অবাক হয়ে গেল তাহলে কি শীতের দিনে আর শেয়ালের ডাক পাবনা এই ভাবনায় ভাবুক হয়ে সে চলে গেল শহরে কিন্তু তাদের গ্রামের এইযে শিয়ালের ডাক শীতের দিনে কুয়াশায় মোড়া অদ্ভুত পরিবেশে তাদের আর্তনাদ তার মনে থাকবে আজীবন।




             পথ
   হামিদুল ইসলাম
               
হাঠাৎ ঝড় গাছের লতা পাতায়
দোদুল্যমানতা মানুষের রক্তে মজ্জায়
আতঙ্কে গুটিয়ে রাখে জমিন
কোনোদিন হয় না চাষ  ।।

সাত পুরুষের বাস এই ভিটেয়
ধানসিঁড়ি ভাঙে প্রতিদিন
নিরন্তর দাঁড়িয়ে থাকি
কেটে যায় সময়   ।।

তোমার সাথে সাক্ষাৎ এই জমিনে
শিশিরে ভেজা ঘাস
রাতের আঁধার ঘনিয়ে আসে প্রতিদিন
ভয়ে কুঁকড়ে যায় পিঠ  ।।

তবু নিরন্তর পথচলা এখনো
পথ চলি একা
রিক্ত অরণ‍্য
প্রতিদিন ধুয়ে যায় স্বর্গ মর্ত পাতাল  ।।

স্বর্গে পা রাখি আমরা দুজন
ছোট্ট একটি সেতু
পেরিয়ে যাই ভালোবাসার স্বর্গ মর্ত পাতাল
সারারাত জোছনায় ভরা আমাদের আকাশ ।।





তাই তো সবাই
অঞ্জলি দে নন্দী, মম

চাষী করে চাষ।
ওরে ও বিশ্ব!
তাই তো খেতে পাস;
দেখ দেখি গিয়ে চাষীর ঘরে!
জীবন কাটায় ওরা ক্যামন করে।
কত করুন, দৈন্যের সে দৃশ্য!
সমাজে শ্রম দান করে
ওরা তো নিঃস্ব।
ওরে ও স্বার্থপর জনগণ!
এবার ওদের ভালোবাস!
উদার কর তোদের মন!
ওরাই বাঁচার আসল ধন।
ওই এক ছিলেন ত্রেতা যুগে, মহা চাষী,
নাম ছিল যাঁর শ্রী জনক, রাজর্ষী।
জীবন যাপন করতেন যিনি ক্ষেত কর্ষী।
মা শ্রী লক্ষ্মী দেবী দিলেন ধরা
যাঁর লাঙ্গলের ফলায় আসি,
কন্যারূপে করলেন তিনি পালন তাঁরে।
তাঁর চাষে হল ধন্য এ ধরা।
মাতা শ্রী জানকী নামে চিনি যাঁরে।
আবার ওই যে হলধর শ্রী বলরাম।
দ্বাপর যুগে যিনি করতেন চাষ।
এই মহান ভারতেই ছিল তাঁর বাস।
কৃষি কার্যের সাথে জোড়া তাঁর নাম।





মানুষ হওয়ার অধিকার চাই
      আমিরুল ইসলাম

মানুষের ভিড়ে মানুষ খুঁজি,
মানুষ কোথাও নাইরে ভাই
মুখের উপর মুখোশ, বুঝি -
মুখোশের তলে মানুষ নাই!
আইন আদালত সম অধিকার,
অধিকার চিনি কেমনে ভাই?
ধোনিরা পাচ্ছে ন্যায় বিচার
গরীবের ঘাড়ে চাপিয়ে অন্যায়;
আইন যদি মানুষেরই হয়..!
তবে মানুষ হওয়ার অধিকার চাই।
পৃথিবীটা যদি মানুষেরই হয়..!
তবে মানুষ হওয়ার অধিকার চাই
       
কৃষক মজুর খেটেই মরে
ঘরে দুবেলার তার অন্ন নাই,
জমি ফসলের দাম বেচলে ঝরে,
কেনার সময় আকাশ ছোয়ায়।
নিজ জিনিসের বাজার দরও
নিজেই যদি করতে না পাই,
ন্যায় অধিকার কেন ক্ষুণ্ণ কর?
অধিকার মোদের পূর্ণ চাই।
সমধিকার যদি মানুষেরই হয়
তবে মানুষ হওয়ার অধিকার চাই।
পৃথিবীটা যদি মানুষেরই হয়..!
তবে মানুষ হওয়ার অধিকার চাই   

শিক্ষা সংস্কৃতি সবার জন্য
ভুল ত্রুটি কোথাও নাই,
ডোনেশন দিলে কথা ভিন্ন--
শিক্ষার মর্যাদা নর্দমায়।
শিক্ষকতাও নিত্যদিনের কাজ
যে টাকা দেই সেই পাই;
টাকা'তেই কথা বলে আজ
গরীবের ছেলে তাই শিক্ষক নাই।
শিক্ষকতা যদি শিক্ষিত'র হয়
তবে শিক্ষিত'র তালিকায় নামটি চাই।
পৃথিবীটা যদি মানুষেরই হয়..!
তবে মানুষ হওয়ার অধিকার চাই
         ________সমাপ্ত_______




সুদুরের পথিক
নরেন্দ্রনাথ নস্কর

হেমন্তের পূর্ণিমা রাতে যখন খোলা চুলে তুমি আকাশের দিকে তাকিয়ে থাক,
তখন অবাক হয়ে দেখি আর ভাবি, কোন বিদেশিনী তুমি।
তখন ভুলে যাই যে তুমি আমার কাছের কেহ।
কোন সুদুর দেশের রাজকন্যার মত যেন এক রাজপ্রাসাদের ছাদে তুমি একা,
আমিও একা।
জোতস্না ভরা মোহময়ী সেই রাতে মনে হচ্ছিল,
চেনা দিয়েও তুমি ধরা দাও না।
তোমার কালো কেশ রাশি,
তোমার মায়াময় মুখ মণ্ডল,
তোমার অদৃশ্যপূর্ব দৃষ্টি,
তোমার নীরব ভাষার জিজ্ঞাসা,
সমস্ত যেন অচেনা কোন পথিকের।
যে পথিক পথ হারিয়ে  আমার ছোট্ট কুঠিরে আশ্রয় নিয়েছে।
যার গন্তব্য সুদুর কোন দেশে।
আমার এই কুঠির যেন তোমার পান্থনিবাস।
নেব
কিছুদিন থেকে আবার সে সুদূরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে।
সেই যাত্রায় তুমি কি আমাকে সাথে নেবে?
আমিও সেই সুদূর পথের পথিক হতে চাই।


বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 09/12/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 09/12/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 09/12/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 09/12/2020, বুধবার
               সময় :- রাত 9 টা. 30 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒



দাগ
আব্দুল হান্নান

যখন শরীরের কোনো জায়গায়
আঘাত বা ক্ষত হয় -- তা
চিকিৎসার পরিচর্চায় সেরে যায়
অল্প বা বেশ কিছু দাগ থাকে
সে দাগে ব্যথা বা যন্ত্রণা
অনুভব হয় না..অনুভব হয়।

মনে যখন আঘাত লাগে
সে আঘাত চিকিৎসার কোনো
পরিচর্চার মধ্যে সারে না..
সাময়িক কিছু সমস্যা হলেও
বাস্তবে চির দিন থাকে না...থাকে
মনের মনিকোঠায় সে দাগ চির দিন...যা
সময়ে সময়ে গলে

বরফের মত কোনো জনসমুদ্রে
অথবা নিভৃতে নির্জনে শুধুই
নিমর্ম উপহাস নিয়ে....।।





জীবন অভিব্যক্তি-৩
ডাঃ তারক মজুমদার

স্বার্থসিদ্ধি হলে তোমার
নাও ফিরিয়ে মুখ
নানা অছিলায়---।

আবেগ এখন মূল্যহীন  জানি
বেঁচে থাকাটাই আশ্চর্য
কৃত্রিম  মুখোশ দৌরাত্মে---।

শুধু স্বার্থ ,শুধু স্বার্থ
মুঠোভরা জীবন আর প্রতারক মন
পারেনা করতে স্পর্শ
সাগরের গভীরতা----।




   অবহেলা
মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ

চক্ষুর সম্মুখে দেখেছি ট্রেনে
প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে ভিক্ষা করতে।
গায়ছে গান মধুমাখা সুরে
কতক মানুষ দিচ্ছে দু-এক টাকা করে।
খোদা এ তোমার কেমন লীলাখেলা
মানুষ হয়েও অন‍্যের থেকে কেন আলাদা।
বুট শুট পরা বাবুর কাছে হাত পাতিলো
টাকা দিলই না তাকে ঠেলে ফেলে দিল।
ভিক্ষুকটি মাটিতে পড়ে কাঁদদে লাগলো
একজন ফেরিওয়ালা ট্রেনে তুললো।
আহারে বেচারা কতইনা দুঃখ কষ্ট পেল।
এই গোটা দৃশ্য দেখতে দেখতে
ট্রেন এসে থামলো ক‍্যানিং স্ট্রেশনে।
যাইবার সময় ভিক্ষুক উচ্চসরে বললেন
বুঝলেন বাবু,বুঝবে সেদিন,আসিবে যেদিন
আমারই জায়গাই যে।
খোদার খেলা খোদায় জানে
কখন কি করিবেন তিনি।
এই বলে অদৃশ্য হলো ট্রেন থেকে
আর সজাগ করলেন মানবজাতির মনকে।






রজনী অতীত হলে..
    শান্তি দাস

সকালের সূর্য উদিত হয় রজনী অতীত হলে,
পাখির ডাকে জাগে সবাই ভোর হয়েছে বলে।
ভোরের সূর্যোদয় জানান দেয় নতুন প্রভাতের আলো,
রজনী অতীত হলো দুর হলো আঁধার রাতের কালো।

কুয়াশার আবরন ভেদ করে উঁকি দেয় প্রভাত রবি হাসে,
রোদের মাঝে মুক্তা শিশির বিন্দু গেলো এবা মিশে।
জনমানবহীন জনপথে শুরু হয় মানুষের পদচারণা,
নতুন দিনের নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে্য নামে জনতা।

নতুন স্বপ্নের বাস্তবায়নে পথচলা শুরু করে স্বপ্নচারী,
নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবার স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করে অভিযাত্রী।
এইভাবেই তো শুরু রজনী অতীত হয়ে সুন্দর সকালের,
দিনের পর দিন চলছে এমনভাবে একটি নতুন সকালে।

রাতের নিরবতা ভেদ করে কুয়াশার চাদরে ঢাকা কৃষকদের আঙ্গিনায়,
পুর্ব দিগন্তে এখনো আসেনি প্রভাতের আলো কৃষক চলছে নিজ ভঙ্গিমায়।
কৃষকেরা ছুটছে মাঠে নতুন ফসল বুনবে আশায়,
রজনী অতীত হলো যে যার কাজে লাগে নিজ ভালোবাসায়।





          মিছিলে হাঁটুন
      হামিদুল ইসলাম
                   

মিছিলে হাঁটুন
দাবী সনদটা হাতে নিন
আসুন প্রতিবাদ করি  ।।

মিছিলে হাঁটুন
কৃষি বিল বাতিল করুন
আসুন এই স্লোগান তুলি  ।।

মিছিলে হাঁটুন
আজ অবরুদ্ধ নগরী
এগিয়ে চলুন  ।।

মিছিলে হাঁটুন
পুলিশের বুটে ভয় কি সে
পুলিশের বুট ভাঙছি, ভাঙবোই  ।।

মিছিলে হাঁটুন
ওদের টিয়ার গ‍্যাস আর জল কামান
আজ গুড়িয়ে দেবো, দেবোই  ।।

মিছিলে হাঁটুন
আসুন দাবীগুলো উসুল করে নিই
কৃষিবিল আগুন জ্বালিয়ে পুড়ুন  ।।

মিছিলে হাঁটুন
রাষ্ট্রশক্তিকে হুঁশিয়ারি দিন
কৃষিবিল প্রত‍্যাহার করুন  ।।





গ্রহণ করুন
সুস্মিতা দে

আজ নব আনন্দে হবে
যাত্রাপালা ? মায়েরা শিশু
কোল বসে আছে কবিদের
পানে চেয়ে ।শুরু হলো কবির
লড়াই হাসছে সবাই জীবন
সুন্দর আঁকেন গ্রামের মানুষ ।

কবির লড়াই তুঙ্গে যখন সরল
গ্রামবাসী ভয়ে ঈশ্বর কে প্রার্থনা
করে তর্ক নহে পেয়েছি তোমার
কৃপা হে জগন্নাথ । যেমন রাখো
থাকি খুশি শুধু বড় ভয় রোগে
কে কেন এতো করে কৃপা
করো নাথ।

জ্বালা যন্ত্রণা তোমার কৃপাতে
হোক নীরোগ। সকলের জীবন
বড় দুসঃহ আজ মানব জন্মে
কেন এতো রোগের শিকার?
কাঁদে অহরহ রাতদিন ।
আনন্দ মনে যা দিয়েছো প্রভু
নিয়েছি ভালোবাসে সব ।
রোগ ছাড়া নেই কোন তর্কের
অবকাশ ?

    




প্রবন্ধ
ভক্তি আন্দোলন ও সুরদাস
  - অগ্নিমিত্র

  ভক্তি আন্দোলন পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতকের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সমাজ ব্যবস্থা , জীবনযাত্রা ও সাহিত্যে আমূল রদবদল ঘটল এই আন্দোলনের মাধ্যমে। এলেন মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য, নিত্যানন্দ, গুরু নানক, কবীর প্রমুখ। বাংলায় এলেন অনেক মহাকবি । অন্ধ কুসংস্কারের বেড়াজাল ভেঙে মানুষ মানুষ হতে শিখলো। সহজিয়া ধর্ম জনপ্রিয় হলো। ভেদাভেদ , ছুঁতমার্গ ভুলে, ধর্মের বাধা ভুলে গিয়ে ভক্তি ও প্রেমই হলো মুখ্য উপজীব্য!..বৈষ্ণব ধর্মের প্রসার ঘটলো। আউল- বাউল সবাই এলেন। প্রচলিত হলো সব ধর্মের মিলনস্বরূপ সত্যনারায়ণ ও সত্যপীরের পূজা।  সবাই বুঝলো, মানুষকে প্রেম করলেই ঈশ্বরের অধিক নিকট পৌঁছনো যায়। ঘৃণা করে লাভ নেই।
  এই প্রেক্ষাপটে আবির্ভাব ঘটল মহাকবি ও গায়ক সুরদাসের। সহজ ব্রজভাষা ও অবধী ভাষায় তিনি ভক্তি ও প্রেমের কবিতা বাঁধতেন ও গাইতেন। জন্মান্ধ, তাও এত প্রতিভাধর ও প্রেমরসে বিলীন অদ্ভুত এক ব্যক্তিত্ব এই সুরদাস।
  আগ্রার কাছে এক গ্রামে ষোড়শ শতকে জন্মগ্রহণ করেন সুরদাস । পিতার নাম রামদাস। জন্মান্ধ হবার কারণে পরিবারের সবার অপ্রিয় ছিলেন তিনি। তাই তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। যমুনা নদীর তীরে গান গেয়ে ভিক্ষা করে কোনরকমে তিনি দিনাতিপাত করতে থাকেন। পরে সাধু বল্লভাচার্যের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন । সুরদাস রচনা করেন সুরসাগর ও সুর সারাবলীর মতো গ্রন্থ । মূলতঃ শ্রীকৃষ্ণ- রাধার প্রেম ও কৃষ্ণ ও গোপিকাদের লীলা নিয়ে কাব্য রচনা করতেন তিনি। তাঁর কবিতা ও গান যুগের পর যুগ ধরে হিন্দি ভক্তি সাহিত্যকে প্রভাবিত করে। এমনকি গুরু গ্রন্থ সাহেবেও তাঁর লেখা উদ্ধৃত আছে।।




ভুবন দের গ্রামে শীতের মেলা
      আব্দুল রাহাজ

চারিদিকে বেশ শীতের আমেজ সকাল হলেই কুয়াশায় মোড়া এক পরিবেশ দেখতে পায় প্রকৃতি মা সেরকম ভুবন দের গ্রামে শীতের আমেজ এবার বেশ পড়েছে ‌। ওদের গ্রামে তেপান্তরের মাঠে শীতের মেলা হয় গ্রামের মানুষেরা শীতের বিভিন্ন সবজি নিয়ে বসেন আরো নানারকম মুখরোচক খাবার অনুষ্ঠান হয় আশেপাশের গ্রামের লোকও আসে দেখতে গ্রামের মানুষগুলো প্রান্তিক হলেও ওরা বেশ সুখে শান্তিতে বসবাস করে। এবারের মেলায় বেশ ভিড় চোখে পড়েছে শীতের খাবার থেকে শুরু করে নানা রকমের খাবার ভরপুর হয়ে ওঠা ভুবনের গ্রামের মেলা আমোদপ্রমোদ হয়েছিল এবারের শীতের আমেজে। এক সপ্তাহ ধরে চলে ওদের এই গ্রামের মেলা মাত্র কুড়ি বছরে পড়ল ভুবনের গ্রামের এই মেলা শোনা যায় ভুবন দের গ্রামের জমিদার জগৎশেঠ তিনি এই মেলার উদ্বোধন করেন যা হোক ভুবন রা এবার কয়েকজন বন্ধু মিলে সবজি নিয়ে বসেছে যা বিক্রি হবে তা দিয়ে লাস্টে দিনরাত জিলাপি পাপড় ভাজা খাবে ও তাদের কি আনন্দ আস্তে আস্তে মেলার সেই দিন এসে গেল কুয়াশায় মোড়া শীতের আমেজে শীতের মেলায় ভুবনের তার বন্ধুরা কথামতো জিলাপি পাপড় ভাজা নিয়ে ওরা বসে গেল যাত্রাপালার মাঠে হো হো করে হেসে উঠছে যাত্রা দেখে মাঝে মাঝে জিলাপি আর পাপড় ভাজা স্বাদ নিচ্ছে এভাবে উপভোগ করেছিল সে বছর। এবছর একটা ঘটনা ঘটেছিল মেলার তৃতীয় দিনে ঠান্ডা পড়েছে সেদিন সবাই রংবে রঙের পোশাক পড়ে এসেছে রাত বাড়তেই মানুষের চোখ ভীড় চোখে পড়ল বেশ একটা ছেলে তার বাবাকে বলছে বাবা বাবা আমি ওই খেলনা গাড়িটা কিনব কিন্তু প্রান্তিক দরিদ্র মানুষ বলে কিছু কিনে দিতে পারেনি তাকে সামান্য পাঁচ টাকার জিলাপি কিনে তাড়াতাড়ি করে বাড়ি নিয়ে গেল ভুবন এসব দেখে খুব মায়া লাগলো পরের দিন মেলা থেকে একটা গাড়ি নিয়ে গিয়ে ছেলেটির হাতে দিয়ে বলল যাও খেলা করো এই ঘটনাটা ভুবন স্বচক্ষে দেখে তার এই কাজ নিজে চোখে করে মেলাকে এক অন্যরকম চোখে দেখত ভুবন। এইভাবে ভুবন দের গ্রামের মেলা শীতের দিনে বেশ জমে উঠতো।





তোর অপেক্ষায়
সমীরণ বেরা

এখন শরীর পোড়ে না আর
মন বরাবর।
অস্তাচলের সূর্য কখনো ভালো করে দেখেছ কি?
জ্বালাময়ী সূর্য নিস্তেজ হয়ে পড়লে
লাল আভার মাঝে একটা কালো বিন্দু
তুই চলে গেলেও থাকবি ওই বিন্দুর মত।
তোকে কিছুতেই মুছতে পারছি না
ভালো আছিস তো তুই?

আমি এখন যাযাবরের মত
বোহেমিয়ান তো চিরকালের তাই,
তোর এখন ভরা গৃহস্থালি
আমার চারপাশে অনেক সবুজ
তুই একটু সবুজ ছোঁয়া নিতে পারিস?

গণ্ডীবদ্ধ জীবনের প্রান্তসীমা পেরিয়ে
নতুন নতুন দিগ্বলয়; কোন এক অজানা দেশের মত
সেখানকার রাতের অন্ধকারে তোর চুলের ভিতর
আমার চেতনায় জোনাকিরা আলো দেয়।

এক রহস্য ভরা অন্য পৃথিবী যেখানে তুই আর আমি।
নেভা আলো বার বার জ্বলে ওঠে সৌদামিনীর মত
তুই আর নিজে থেকে জাগবি কবে?
আমি পূর্ণিমা চাঁদের অপেক্ষায় বসে আছি।




বৃষ্টিপতন
মহীতোষ গায়েন

সব আগুন নিভিয়ে দেবে বৃষ্টি
বৃষ্টি তুমি আগুন চিনে নাও,
জলের শব্দে ঘুম ভেঙে যায়
ঘুমহীন রাত বৃষ্টি এনে দাও।

ভোরের আকাশ হাত বাড়ায়
হাতছানিতে হৃদয় দিশাহীন,
সূর্য ওঠে পাখিরা গান গায়
মনের নদী আজও গতিদীন।

দুপুর গড়ায় বিকেল চলে আসে
গোধূলি বেলায় বিষাদ সুর ভাসে,
মনের আগুন জ্বলছে দাউদাউ
বৃষ্টি কোথায়,আনলো না তো কেউ।

রাত এসে যায় চাঁদের আলো পড়ে
একলা বাউল হারিয়ে ফেলে পথ...
দেহ মনে অস্থিরতা হঠাৎ আসে বৃষ্টি
আগুন নেভে,নেভে বিষাদ এবং অনাসৃষ্টি।







আমার নাজানা উপকথা

অঞ্জলি দেনন্দী, মম


আমার জীবনের কথা,

কইতে পাই ব্যাথা।

জীবনটা কেটে গেল অযথা।

সবই কী হল বৃথা?

পর্বত - ঢালে পুঁতে দিলাম,

প্রেমের ঝুনো-নারকোল।

অঙ্কুরই বের হল না, 

তার থেকে!

কতকাল যে অপেক্ষায় ছিলাম, ...

ধৈর্য্যকে আঁকড়ে রেখে!

গাছই যখন হল না, 

তার ফল কী করে পাবো, আর?

প্রেমের অসফল অভিজ্ঞতাকে চিনে নিলাম।

ভালোবাসার তুফানে, আবার,

পেতে চাইলাম, মহাসাগরের ঢেউয়ের দোল।

বাঁধলো গোল।

ডুবে, তলিয়ে গেলাম, অতলে।

প্রবল ভালোবাসার উথাল পাথাল বলে।

প্রেম, ভালোবাসা,

বারবার,

শেষ করল মোর আশা।

অবশেষে, আমার প্রেম, ভালোবাসা,

কবিতায় পেলো, চিরসফল ভাষা...

বাঁধলো সেথায় অশেষ বাসা.......

এখন মোর সফল প্রেম, ভালোবাসা,

শুধুই অদম্য অনন্ত হাঁসা.......





মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 08/12/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 08/12/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 08/12/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 08/12/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 08/12/2020, মঙ্গলবার
               সময় :- রাত 7 টা. 30 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


তুমি না বাসলেভালো
           বিপ্লব গোস্বামী

তুমি না বাসলেভালো , জানতাম না
       ভালোবাসা কারে কয়।
তুমি না আসলে কাছে , বুঝতাম না
         প্রেম কি করে হয়।

তুমি না ধরলে হাতে , জানতাম না
           বন্ধু কারে কয়।
তুমি না থাকলে পাশে , বুঝতাম না
        জীবন এত মধুময়।

তুমি না গেলে দূরে,  জানতাম না
           বিরহ কারে হয়।
তুমি না করলে হেলা , বুঝতাম না
         প্রেম যে বেদনানাময়।




The mom bird
© Anjali Denandee, Mom

The mom bird.
She lays on her eggs for next generation,
With motherly meditation power,
Hatchs for many days, nights, hours...
She loves to  new creation.
She works hard and hard.....
At day time, she builds nest,
Feeds babies and also
Protects them under own chest.
Fights by beaks and clows against foe
Who is attacking her children.
The criminal storm destroy her nest
Again and again.......
But she built again and again......
She does not know,
Yes, does not know the rest.
She is maker of home.
Yes, she is mom.
In the creature, she is the best.





                   বিপাশা
            হামিদুল ইসলাম
              
হাজারো হাতে
মিলিয়ে দিয়েছি হাত
তুমি আসো বন্ধু আমার
আজ ছুঁয়ে দেখি জোছনা রাত  ।।

তোমার আশায় পথ চলি
একা একা
পথের মাঝে পথ
পথেই তোমার সাথে দেখা  ।।

গভীর নিদাঘে
তোমাকে ফিরে পাই
অশথ গাছ হাতছানি দিয়ে ডাকে
ছায়ায় ছায়ায় তোমার প্রেম পুড়ে হয় ছাই  ।।

পথকে ডাকি
পিঠের ছালে দাসত্বের বোঝা
তুমি কতো কাছে তবু কতো দূর
তবু তোমাকেই কেবল খোঁজা  ।।

তুমি আমার বন্ধু
আমার ভালোবাসা 
তুমি আছো আমি আছি
তবু কেনো মাঝে মাঝে শুকিয়ে যায় নদী বিপাশা  ??




টুকরো ছবিতা-১৯
ডাঃ তারক মজুমদার

টপ টু বটম সব ব্যাটারাই
পাতে বা হাত,
ইচ্ছা পূরণ না করলেই
তুমি কুপোকাত  ।





শ্রীকান্ত মালাকার এর দুটি কবিতা

পারাপার
শ্রীকান্ত মালাকার

রাতের জ্যোৎস্না শেষে,
দিনের আলোয় মেশে।
বহু অভিনয়ের পরে,
ক্ষমা চাও কাছে এসে।

দিন যায় রাত আসে,
ভাগচাষী জমি চাষে,
মানুষের অন্তিম লগ্নে,
অন্ধকার নেমে আসে।

মাছ নাচে জলে,
শ্বাস ছাড়া কি প্রাণী চলে?
প্রদীপ শুধু জ্বলে রাতে,
শত্রু আছে বিভিন্ন ছলে।

মন ভাঙ্গা কবিতা লিখে কবি,
প্রেমিকের বুকে কত ছবি;
সকল এবার হবে পার,
নৌকার হালে আছে যে নবী।।



তবু ব্যর্থতা
শ্রীকান্ত মালাকার

ক্লান্ত সময়,অক্লান্ত পরিশ্রম,
কি করে বানাবো প্রভু,তোমার আশ্রম।
শরীর রক্ত ফুটন্ত আগুন,
তোমাকে দেখার ইচ্ছে দ্বিগুণ।
অবুঝ মন ,সবুজ বন, এখনো আছে।
মীরা কেন আজ কানহার কাছে।

বিষাক্ত মন, নীলাভ দেহ,
প্রকৃত প্রেম করে কেহ।
মন্দির তো আছেই, ঠাকুর বেদীতে।
সুখ আছে ,তবু দেখা যায় কাঁদিতে।
দুর্বল তারুণ্য, হোঁচট খাচ্ছে জীবন।
খেলা শেষে, টিকে আছে মরণ।।




এখানে  কুমীর  নেই
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

এখানে  চারদিকে  চা  বাগান  আছে,
আর  চিতাবাঘ  করে  খেলা,
কেউ  ভুলেও  যায়  না  তাদের  কাছে,
প্রকৃতির  রূপ  দেখে  কেটে  যায়  বেলা৷
সাগর  এখান  থেকে  অনেক  দূরে,
আশেপাশে  কুমীর  নেই,
মাঝি নৌকা  লঞ্চ এসবের দেখা  পাওয়া  ভার,
বরফ  মেঘলা  আকাশ  কুয়াশা,
খুব  সুন্দর লাগে,সবটা  লিখে  শেষ  হবে  নাতো  তার৷




নি:সংশয়ী তুমি
সমীরণ বেরা

প্রতিদিন আমি এক অচেনা সমুদ্র থেকে
ফিরে আসি উদ্বেলিত ঢেউয়ের মত
অনুভবের কাল মাত্রায় সমুদ্র সফেন
নিজেকে কখনো মনে হয় যেন
অস্তপারের পাখির ঘরে ফেরার মত
আবার এক নূতন দিন যাপনের প্রস্তুতি।

জীবন কখনো কখনো ধোঁয়াশা
তবু কোথাও বেঁচে থাকে এক চিলতে আশা
আমি ভুলে গেছি পরাগ মেখে ফুল হতে
দূর আকাশে ওড়া চিলের ডানায় রোদ মেখে
মন এখন ডুব দেয় অতীত গহীন দেশে
সেখানে তুমি নও আমি আমার মুখোমুখি।

হারিয়ে যাওয়া শৈশব বা যৌবনের উদ্দামতা
আজ মনে হয় এসব কি একান্ত আমারই ছিল?
তা তো নয়, তুমি তো জড়িয়ে ছিলে!
এখনো রাতের অন্ধকারে কোপাই তীরে
বাউল গানের সুরে নিবু নিবু তারা ভাসে
নদী ভরা ঢেউয়ে মিছে শুধু হাল বাই?
কি বলো তুমি? মিছে কিছু নয় মিছে কিছু নয়
তোমার থাকা এবং না থাকা দুটোই সত্যি- নি:সংশয়।




কোনটা সত্যি?
নরেন্দ্র নাথ নস্কর

তোমার সুন্দর মুখ কি আদৌ সত্যি সুন্দর?
নাকি মুখোশ?

তোমার হৃদয় কি আদৌ কোমল ?
নাকি পাথর ও নিষ্ঠুর ?

তোমার ভালবাসা কি সত্যি  কাউকে ভালবাসে?
নাকি ভালোবাসার অভিনয় করে?

তোমার কালো কেশ কি সত্যি রূপ  চড়ায়?
নাকি কালিমা দেয়?

তোমার হাতের স্পর্শ কি সত্যি কাউকে আনন্দ দেয়?
নাকি আনন্দের আড়ালে দু:খ ডেকে আনে?

তোমার রূপ কী আদৌ আলো দেয়?
নাকি অন্ধকার করে?

তোমার ভালোবাসায় কি প্রেম আছে ?
নাকি প্রেম হরণ করে ?

তুমি যা বল সেগুলো কি সত্য?
নাকি সত্যের আড়ালে অসত্য ?

কে বলে দেবে?




চুরি বাঁচাও
মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ

ছুটছাট কারনে কেনো করি,দলাদলী আর তান্ডব।
সমাজ কুলোসিত হয়,বুঝেও বঝোনা সব।
নিজে নিজেরাই মাতি রক্তের হুলি খেলায়
পিতৃ মাতৃর গর্ভে দেখো,অন্তরে অশ্রুজল।
এই ভেবে,এই ভেবে গাধার দলেরা বুঝবে কবে।
দেশ চুরির উৎপাদ বাড়ছে যে দেশে
এ খবর ক'জন নেয়,ক'জনই বা জানে!
স্বপ্নের বাসভবন করবে চুরি অন্যজন।
মানুষ নয় ওরা,মানুষ নামে নরপিচাস
এতে নেই মাথা ব‍্যাথা,নেই কি নয়নে জল?
নেশার ঘোর কাটবে কবে,কবে হবে উওাপ
আগুন জ্বালাও অন্তরে অগ্নিকুন্ঠে।

মুশারি ছিদ্র থাকলে,প্রবেশ করে শসা।
রক্ত চুসে নিলে,তবেই হয় বেঘুমের হুঁশ।
জানতে,তবু হয়নি ক্ষমতা তোমার সারা।
তাইতো নিলো চুসে, এক ফোটা রক্তের কনা।
দেশ আজ হচ্ছে,মুশারির মতো
কি হবে পরে,একবার ভেবে দ‍্যাখো।
সমস্ত ছিদ্রটাকে মারো তালি
বাঁচাও স্বপ্নের দেশ মাতৃ ভূমি।
চাল চোরের পিছনে দিতে গিয়ে সময়
দেখো দেশ চুরি করছে,গড়ছে সন্ত্রাস।
আর নয়,আর নয় গর্জে ওঠো সব
মাতৃভূমির রক্ষার জন‍্য,করো তীব্র প্রতিবাদ।
তাতে,দিতে হয় দেবো আত্মবলিদান
তবু মাতৃভূমিকে হারাতে দেবোনা প্রান।।






দ্রষ্টব্য
বদরুদ্দোজা শেখু

শরীর পুড়ছে ভীষণ গরমে শরীর পুড়ছে
বন্ধুরা তবু দ্রষ্টব্যের প্রত্ন খুঁড়ছে
দারুণ দু'বেলা উত্তেজনার সকল দিবস ,
মনটা আমার তাদের সঙ্গে সুদূরে উড়ছে ,
গা ঝেড়ে ওঠার মন করতেই শরীর বেবশ ।

বলে ঘরকুনো আমাকে নবীশি মহল-শুদ্ধ ।
তাই বিরুদ্ধ সময়ের সাথে করবো যুদ্ধ
বলতেই , ওরা ভীষণ শব্দে ধরলো খড়্গ ---
একি ভালো ছেলে হচ্ছে হঠাৎ এমন লুদ্ধ !
ফাঁকি দিয়ে ওরা স্বর্গ খুঁজছে নগর-বর্গ ।

কেউ সতীর্থ সঙ্গিনী -সহ সুখের গন্ধ
খাচ্ছে আড়াল কামের কাঙাল কাতর অন্ধ -
মাছির মতন উড়ছে বেতাল ওদের মধ্যে ,
ভিনদেশিনীর মন যোগাচ্ছে বেহায়া ছন্দ ।
মাতাল রাত্রে গল্প শুনছি লোলুপ গদ্যে ।

সখ্যতা-হারা হাঁটছি যখন খুঁজছি সঙ্গ
চক্ষে আমার যুবতী নারীর নধর অঙ্গ
ঢেউ তোলে শুধু , ধু-ধু  সংযম হয় বিপন্ন।
স্বপ্নে খুঁজছি বন্য নিবিড় গোপন রঙ্গ
হাঁটছি নগরে নীল বিহঙ্গ দেখার জন্য ।

শরীর পুড়ছে ভীষণ গরমে শরীর পুড়ছে
বন্ধুরা তাজা দ্রষ্টব্যের প্রত্ন খুঁড়ছে
উত্তেজনায় আহত দুষ্ট কামুক রক্ত
দেখার জিনিস ওই একটাই নগরে ঘুরছে
মুখোমুখি তার দাঁড়াতেই একি , শরীর শক্ত !

ভক্তরা বলে, এ অবরুদ্ধ বধির উষ্ণ
আদিম ইচ্ছা , রক্ত-লোলুপ জঙ্ঘা শিশ্ন--
পুরুষ-নারীর মুক্ত-সঙ্গম সরল যুক্তি ;
গহন জঘন গুহার ফাটল করছে প্রশ্ন ---
পাবো কি তাতেই রক্তে আমার বিরল মুক্তি ?

ভীষণ গরমে শরীর পুড়ছে মিথ্যা-সত্যে
হইনি লিপ্ত কোনো গর্হিত কর্মে কথ্যে
মোহন দৃশ্যে ভাঙছি গড়ছি প্রেমের মূর্ত্তি ,
বংশ -তৃষ্ণা ডাকছে নিত্য দার-অপত্যে
ঢাকছে চিত্ত নগ্ন নতজানু ফতুর ফূর্ত্তি ।

উদর-পূর্তির আসব খুঁজতেই জীবন যাচ্ছে
সহজ স্বপ্ন রূঢ় বাস্তবে ধাক্কা খাচ্ছে
খুঁড়ছি তবুও সরল দৃশ্যে বিরল প্রত্ন ----
মগ্ন চক্ষে নগ্ন লক্ষ্মীর লক্ষ্য নাচছে ,
জ্বলছে এ-কোন্  আঁধার গুহায় প্রেমের রত্ন ?





শ্রমিক ও তার দুঃখেরা
- ইউসুফ মোল্লা

আমার কান্নাগুলো মিশে গেছে ময়দার সাথে,
তাই একটুও নুন কম হয়নি।
রুটিটা চেয়েছিলাম চাঁদের মতো হোক,
কড়ায় পড়তেই একেবারে জ্বলে উঠল সূর্যের মতো।
তেল-হাতের ছাপ রয়ে গেল তার পিঠের উপর।
একে একে খদ্দর এলো,
সমস্ত দোকান ভরে গেল।
তাকে খুবলে খুবলে একেবারে নিঃশেষ করে দিল!
আমার কান্নাগুলো মিশে গেল,
একটুও নুন কম হয়নি।

                __________




শূন্য থেকে
      অনিন্দ্য পাল
==================
পৃথিবী! পৃথিবী! পৃথিবী!
পৃথিবী?
কোথায়?
মাটি! মাটি! মাটি!
মাটি?
কোথায়?
কী খুঁজছি?
কাকে?
নিজেকে?
কে?
কেন?
যদি বিয়োগ করে দিই 'আমি'
আমার খাতা ভর্তি
শূন্য!
শূন্য?
সেও তো আছে
তারও আছে
'আমি!'
নিজেকে তাই হঠাৎ মনে হয়
শূন্য!
আর ঠিক তার পরেই দেখতে পাই
পৃথিবী
মাটি
আদর
মৃত্যু
জন্ম
এবং সব রূপকথারা এসে একে একে
চুমু দিয়ে যায়
আমার শূন্যের কপালে ...





.......অবাক
আব্দুল হান্নান

পৃথিবীটা আজ বড়ই ক্লান্ত
চারি দিকে সত্য উদভ্রান্ত
মানব নামে দানব ব্যস্ত।

আত্ম শুদ্ধি মেটাতে তৃষ্ণা
নিরীহের কত দেয় যন্ত্রণা
সহজে তারা যাবে না অস্ত।

যত দিন থাকবে তাদের  শ্বাস
তত দিন করে যাবে গ্রাস
নোয়াবেনা মাথা কোনো মতে।

বিরাম হীন এই চেষ্টায়
জেগে থাকবে তেষ্টায়
ভাসবেনা শৃঙ্খলতার স্রোতে।

ভোগ বিলাসের স্বাক্ষর
রেখে যাবে নির্মম অক্ষর
তপস্যার অর্জিত ধনে।

দুদ্দান্ত দুবোর্ধ বিস্ময়
এক দিন সব হবে ক্ষয়
মাসুল দেবে উত্তর সূরীঋণে।

এ সব কথা ভাববার
অবকাশ নেই একবার
মানবতার চিত্তে বসে।

জীবনের মাপ নিয়ে যারা
দেয়নি কখনও নাড়াচাড়া
তাদের ক্ষমা নেই ইতিহাসে।।





মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
১। শিরোনাম- সময়

একটা
একটা করে
দিন কেটে যায়
ভেসে যাই সময়ের স্রোতে
ডুবে যায় কত লালিত স্বপ্ন
মূল‍্যবান দিনগুলো ক্রমশ হয়ে যায় গুরুত্বহীন।

জীবন আসলে গোঁজামিলে কাটিয়ে যাওয়া দিন
একদিন মূল‍্যহীন হয় সব যত্ন
বসত ভরে বিষাক্ত ক্ষতে
সময় আয়ু খায়
পাতা ঝরে
শেষটা।

২। শিরোনাম- আমার কৃষক ভাইয়েরা

শীতের
কনকনে ঠান্ডায়
আমার কৃষক ভাইয়েরা
খোলা রাস্তায় নিয়েছে ঠাঁই
মুখের অন্ন নিয়ে মুনাফা নয়
তারা চায় ফসলের কালা কানুন বাতিল।

আজ যারা এর বিপক্ষে সবাই কাতিল
তারা দেশের পক্ষে বিপজ্জনক ভয়
আজ তাদের ও হিসেব চাই
দল বাঁধুক চাঁইয়েরা
হবেনা রাস্তায়
হেরফের।




কবিতা 
      শান্ত হেমন্ত
কলমে    ডঃ রমলা মুখার্জী

সুন্দর শান্ত মিষ্টি হেমন্ত
     আসে শরতের পরে-
   নূতন ধান্য, শুভ নবান্ন
       বাংলার ঘরে ঘরে।

    গ্রামের পথে চাষীর সাথে
       নতুন ধানের গন্ধ ,
  হেমন্ত নামে যাবই গ্রামে
       শহরে প্রাণ বন্ধ।

    সবুজে ভরা প্রান্তরে মাঠে
   শিশিরে ভিজবো সকালে-
নরম শীতের মাখবো পরশ
         হেমন্তিকার বিকেলে।




পেন্সিল
   শান্তি দাস

জীবন তৈরীর প্রথম আঁকা জোঁকা,
অক্ষর শুরুতে লাগে স্লেট পেন্সিল।
কি অদ্ভুত ছোট বেলা যত ভুল সব যায় মুছে,
লিখতে ভুল মুছে দিয়ে লিখো বারবার।
অক্ষরে কর শব্দ তৈরি তাতে অনেক ভুল,
রাবার দিয়ে মুছে ফেলো,শুদ্ধ কর বারবার।
বাক্য তৈরি ভুল হলে কর সংশোধন,
বাবার দিয়ে মুছে শূন্য স্থানে কর পুরন।
ছোটবেলা যত ভুল সব মুছে ফেলা যায়,
কলম ধরতেই ভুল হলেই কেটে দেওয়া হয়।
কলমের লেখা ভুলে মুছে দেওয়া সম্ভব নয়।
সেই ভুলে কাটাকাটি,মুছে সংশোধন নয়,
হয় না শূন্য স্থান পুরণ জীবনে আনে সংশয়।
ছোটবেলা ছিল ভালো সবতেই সংশোধন হয়।
বড় হতেই কোন ভুল মুছে শূন্য স্থান পুরণ নয়।





       দেহদান
         পিনাকী  মুখার্জী
     

            খেলার  মাঝে বেড়ে ওঠা ,
          সবুজ মাঠ টাটকা বাতাস  !!
          নীল  আকাশের কেবল ভাসে  ,
           ধোঁয়ায়  ঢাকা   দূর  আভাস  !!
         
       চারিদিকে সমাধির জঙ্গল , ফেরারী
              সবুজ স্বপ্ন , নীল আকাশ  !!
          আগামীর  অঙ্গীকারের পোড়া গন্ধ ,
            চোখে  সিঁদুরে মেঘের পূর্বাভাস !!

                 চিমনি ভাটায় পোড়া ইঁট ,
            পোড়া  লাল  সভ্যতার  পাঁজর !!
                  একেই বলে মায়ের মন ,
                আগলে রাখা মা'র আদর  !!

                  রং  বার্নিশে সেজে ওঠা
                যত  ঝাঁ চকচকে  সমাধি  !!
                জীবন সেতো পরের জন্য
              তুলে  রাখা ,  দেহদান অবধি  !!



মানুষগুলো আজ ও প্রান্তিক
   আব্দুল রাহাজ

ওহে ওই মানুষ গুলো ‌আজ ও প্রান্তিক
নদীর ধারে শীত বর্ষা গ্ৰীস্মে কত কষ্ট করে থাকে ওরা ।

দুবেলা দুমুঠো ভাত খাওয়ার আশায় ছেলেমেয়েরা ‌ঘোরে‌ প্রভাবশালী ‌ ব্যক্তির দুয়ারে দুয়ারে।
ওদের সাহায্য করার মতো কেউ‌ নেই
ওরা হয়ে‌ যাচ্ছে
চরম‌ অসহায় ।
ওরা আজ ও উন্নত‌‌ এই মায়াজালে  ওরা প্রান্তিক‌ প্রান্তিক‌।




শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 04/12/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 04/12/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 04/12/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 04/12/2020, শুক্রবার
               সময় :- রাত 8 টা. 30 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


               তোমার জন‍্যে 

             হামিদুল ইসলাম

                


তোমার জন‍্যে তুলে আনি 

পদ্মফুল

ফুলে ভ্রূণের সঞ্চার 

বিকশিত জীবন 

প্রতিটি পাপড়ি রাঙা পদ্মবীজে  ।।

তোমার জন‍্যে তুলে আনি মুক্তো

ধা চকচকে 

প্রতিটি মুক্তোয় জীবন 

প্রেম

ভালোবাসার দুগ্ধবতী ধানক্ষেত  ।।

তোমার জন‍্যে ভালোবাসা আগলে রাখি

ভালোবাসা গড়ে 

স্বপ্নের তাজমহল 

তোমার খোঁপায় গুঁজে দিই পদ্মফুল আর মুক্তো 

জীবন এখানে তবু অসহায়  ।।

তোমাকে ভুলতে চাই 

পারি না কিছুতেই 

প্রেম এসে দাঁড়িয়ে থাকে ঘরের দরজায় 

বাহুবলী আক্ষেপে ভাঙি ধানসিঁড়ি 

সিঁড়ির কার্নিসে তোমাকে বারবার পেয়ে যাই  ।।







খাঁচায় বন্দি  আমার প্রেম
অনাদি মুখার্জি

আমাদের প্রেম কোনো এক খাঁচায় আছে  বন্দি,
তার নাম অভিমান কিছুতেই ভুলতে পারছিনা সেই দিন।
এখনও আমি তোমায় খুঁজি ঐ নীল আকাশে আড়ালে,
আমাকে ছেড়ে যদি চলে যাবে তবে কেনো এসেছিলে !
আজ তুমি যেথায় থাকো ভালো থেকো এই করি কামনা,
আমার অভিমান পাথরের খাঁয়াচ পায় কত বেদনা !
বসন্তের বাতাস কতদিন কাঁদবে আর কোকিলার সুর বিণে,
হৃদয় দিয়ে তৈরী সেই লাল গোলাপের নিবেদনে !
আজোও বেঁচে আছি শুধু তোমার প্রেমের স্মৃতিতে ,
তোমার চোখের ক্যানভাসে আমার মনে ছবি আঁকে !
তোমাকে নিয়ে সুখের ঘর বাঁধর সাধ ছিল গোপনে,
তাই তিলে তিলে প্রাসাদ গড়েছি কুয়াশার অন্তরালে ,
প্রভাতে সমিকরণ থমকে দাঁড়ায় তোমার ঐ হাসিতে ,
আমাদের মিলন ঘটুক চিরকাল অভিমানের খাঁচা যাবে খুলে !






লক্ষ  লক্ষ  মানুষ  খাদ্য চায়....
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

দেশে  দেশে  ক্ষুধিত  মানুষ  সবার  আগে  অন্ন  চায়,
লক্ষ  লক্ষ   মানুষের  ঘরে  খাদ্য  নেই,
সেদিকে  চোখ  আর  কাদের  কখন  যায়?

পাহাড়  থেকে  সাগর  অবধি  কতশত ক্ষুধিত  নরনারী,
ভদ্র  লোকের  পোষাক  পড়ে, বড়  কোনো  পদে  থেকে,
তাঁরা  ছলেবলে আর কৌশলে  সরকারী  টাকা  করে  না  চুরি!
গরীব  শ্রমিক  মজুরদের  শোষণ  করে,  করছে  বাবুগিরি ও বাহাদুরী,
কথায়  কথায়  আমরা  যাঁরা  ভয়  ও  ভক্তিতে 
প্রনাম  করি,
তাঁদের  ভূমিকা  কেমন  আজ?
ভাবলে  পড়ে  অবাক  হই,
মানুষের  পাশে  দাঁড়াতে  না  পারলে,তবে  আমরা  তেমন  মানুষ—ই  নই!

রাষ্ট্রনায়কদের  বিশ্বজুরে  চোখ  খুলে  যাক,
দেশে  দেশে  ক্ষুধিত  মানুষ  ঘরে  ঘরে  সবাই  বাঁচার  মতো  খাদ্য  পাক৷





ঘুম আসেনা
উমর ফারুক

ঘুম আসেনা শীত কাটে না
দিনের বেলা  বেজায় ঘুম
রাতের বেলা লাগে ধুম
বেড়াল ছানা দিচ্ছে হানা
ইঁদুর ধরে খুব ঝপাঝপ
শিশির ঝরে টপ টপা টপ
ভূত তাড়াতে হাতটা মুখে 
ভয় পেতে গায় ভগ্ন সুরে
গান গুলো তাই ছন্দ ছুঁড়ে।
যেথায় ঘুমোই বালিশ চাপা
শীত নিবারনে বাড়ছে কাঁপা
জানালা খুলে বাতাস ভারী
ঝুলছে একি লম্বা দাড়ি!
সাদা চুলের মুঠটি খোল
বলছে কেহ আস্তে চলো।
শীত বুড়া এক পাকা দাড়ির
লোকটি নাকি মেঘের বাড়ির ।
তাই দেখে মোর ঘুম কি আসে
একলা মাথায় পদ্য ভাসে
আগুন জ্বালো উম হতে চাই
ঘুম টা আসুক মানুষ তো সে!





আমরাও মানুষ
বিপ্লব গোস্বামী

নাইবা আমরা  ডিগ্ৰিধারী
নাইবা তোদের মতো লক্ষপতি,
তবুও আমরা মানুষ ভাই
তোদের বাবা কাকারই জাতি।
হয়তো কারো পিতা পুত্র
নয়তো কারো মামা কাকা
না হয় হয়তো কারো জ্ঞাতি।

হয়তো মোদের তোদের মতো
মান খ‍্যাতি যশ নাই,
তবু মাথার ঘাম পায়ে ফেলে
তোদের অন্ন যোগাই ভাই।
তোদের মুখের গ্ৰাস যোগাতে
বড় তৃপ্তি লাগে ভাই,
তবু ভদ্র লোকের সভ‍্য সভায়
নেইতো মোদের ঠাঁই।




ওরা‌ আসছে
    আব্দুল রাহাজ

ওহে বামি রুহি  ওরা
আসছে ওরা আসছে
অন্য দেশান্তর থেকে
সবকিছু জয় নিয়ে যাবে রে ।
চল চল চল মোরা ঐক্য
গড়ি
ঐক্য ছাড়া আমাদের সম্বল নাই
তাই ঐক্য চাই ‌ঐক্য চাই
ঐক্য ছাড়া ‌মোদের কিছু নাই।
সব ভেদাভেদ ভুলে আয় ওদের আটকায়
নাইলে পড়ে ভিটেমাটি‌ হাতছাড়া হবে রে ভাই।








বাজার
  বদরুদ্দোজা শেখু


ওইখানে অনেকদিন সন্ধ্যায় দাঁড়িয়েছি
বিচিত্র নরনারী কৌতুহলে দেখেছি খ

দেখেছি পরিচ্ছদ রূপ  রঙ ডিজাইন
আর্থিক ডামাডোলে কত সব শৌখিন

প্যান্ট শার্ট শেমিজের ছাঁটফাঁট ঢিলেঢোলা
ম্যাক্সি মিডির ঢলে বুক পেট ঊরু খোলা

এলোমেলো সাজগোজে মাখনের মতো দেহ
বড়ো বেশী কামাতুর ----- চোখে বাজে সন্দেহ ,

পানীয়ের স্টলে ওরা বড়ো বেশী উচ্ছ্বল
কথ্য ইংরেজীতে করে কূট কোলাহল ।

পথচারীদের পানে হানে তির্যক শ্লেষ ,
বাজার যেন ওদের অবাধ উপনিবেশ ।

ভাড়া-দেওয়া গ্রণ্থের দোকানে ওদের ভিড়
জেমস্ হ্যাডলী চেজ ক্রেজটা ইত্যাদির ।

অদ্ভুত ব'নে গেছে অনভ্যস্ত চোখ
যা ইচ্ছে বই মেলে যত অশ্লীল হোক ,

আড়াল কাম-কলার যেন তা প্রকট ঢেউ
চোখে চোখে ঘুরে চাপা যৌন-ক্ষুধার ফেউ ।

কেউ কি দাঁড়িয়ে ঠায় আলো-আঁধারির মোড়ে ?
অচেনা মনের খোঁজে অজানা ভিড়ের দৌড়ে ?

বাজার হাউজ খাস সাঁঝ রাতেই সরগরমছ
ইচ্ছের মোচ্ছব হবে অবাধ কমসেকম  ।

কেউ কি দাঁড়িয়ে ঠায় আলো-আঁধারির মোড়ে ?
অচেনা মনের খোঁজে অজানা ভিড়ের তোড়ে ?




প্রথম প্রেম
সমীরণ বেরা

তুমি চেয়েছিলে বলেই আমি
ভালোবেসে ছিলাম অন্ধের মত
তখন আকাশ দেখিনি
ছুঁয়ে দেখিনি চাঁদের আলো।

কত অন্ধকার কেটে তবে চাঁদ আসে
ভুলে বসেছিলাম অমাবস্যা বলে কাকে!
চারদিক আলো শুধু আলোয় ভাসে
এখন কারা যেন মুচকি হাসে।

কত হৃদ স্পন্দন ওঠা নামার পর
ভিজে ওষ্ঠ নিবিড় শরীর তোমার
তাই বলে কি সহজে ছোঁয়া যায়?

কত বার ভেবে ভেবে সারা রাত
তোমাকে ছোঁওয়া হল না আর
মাঝ দুপুরে ঘুম ভেঙে যায়
ভেঙে যাওয়া প্রথম প্রেম - কী দুর্নিবার!!

তোমার চোখে আর কালো চুলের আঁধারে
আমি নিজেকে হারিয়ে
তুমিময় পৃথিবীর শিকড় টানে সব একাকার
নিজেকে রিক্ত বিধ্বস্ত বলে মনে হয়
তখন শুধু দুটি আঁখি জেগে থাকে
এক দিন দেখা হবে নিশ্চয়।




প্রবন্ধ
ভালো গল্প লিখতে গেলে
   - অগ্নিমিত্র

সার্থক গল্প লিখতে গেলে আগে ভালো গল্পের বইয়ের পাঠক হতে হবে। ছোটবেলা থেকেই যদি গল্পের বই পড়ার অভ্যাসটা থাকে তবে তো আরো ভালো। আর লেখা অভ্যাস করতে হবে শুরু থেকেই। বিদ্যালয়ে রচনা বা ভাবসম্প্রসারণ , এগুলো লিখতে গেলে তো আমাদের মৌলিক লেখার একটু অনুশীলন হয়ই। সেটাই আরো মন থেকে ভালোবেসে করতে হবে ।
  লেখককে ধৈর্যশীল হতে হবে । প্রথমে দু তিনটি লেখা হয়তো ভালো হবে না । বন্ধু বা মা-বাবা- দিদাকে পড়ে শোনানো যায়। তাঁরা যা উপদেশ দেবেন লেখা আরো উন্নত করার জন্য, সেগুলো মেনে চলা যেতে পারে । তবে তাঁরা এবিষয়ে নিরুৎসাহ করলে মুশকিল !.. তাই বাড়িতে সাহিত্যের পরিবেশ থাকলে খুব ভালো হয়। তাহলে গল্প লেখকের কাজ খানিকটা সহজ হয়ে যায় ।
  গল্প লেখা খুব সোজা কাজ নয়। বানান, ব্যাকরণ, এগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হয়। লিখনশৈলী তৈরী হবে সময়ের সাথে সাথে, লিখতে লিখতে ।
  একেকজন এক এক রকম গল্প লিখতে পারঙ্গম; যেমন কেউ উপন্যাস ভালো লেখেন । কেউ আবার ছোটগল্প ও অনুগল্প ভালো লেখেন। সেই দিকেই আরো এগিয়ে যেতে হবে । নিজের কোন দিকে ঝোঁক আছে বা কোনটা ভালো লিখতে পারছেন সেটা লিখতে লিখতেই বুঝতে পারা যায় ।..
  লিখতে শুরু করার পর পাঠক কী চাইছেন বা কীরকম পরিণতি আশা করছেন, সেটাও একটু আঁচ করা দরকার । লেখা তবে আরো মনোগ্রাহী হবে। পাঠক যেন বিরক্ত না হয়ে পড়ে । তবে সব সময়ে পাঠকের মন যুগিয়েই লিখতে হবে এমন কোন কথা নেই।।..





মর্যাদা
অঞ্জলি দে নন্দী, মম

বউ থাকতে বৌয়ের মর্যাদা দিন।
কাটবে তবেই বার্ধক্যে সুখে দিন।
আপনার আজকের অবহেলা
বার্ধক্যে সিক্ত করবে সারা বেলা।
আপনার করা আজকের অপমান
তখন জীবনে আনবে অনুতাপের লোকসান।
পুরুষ তো আপনি বটেই
তার সাথে মনুষ্যত্বেরও অধিকারী।
এ হেন নিচতা আপনাকে শোভা পায় না মোটেই।
আপনার মা, বোন, স্ত্রী, কন্যা -
সকলেই নয় কি জাতে একই সে নারী?
তারা কী নয় সত্যই অগ্রগণ‍্যা ?
পত্নীকে করুন যথাযথ সম্মান!
তাতেই বাড়বে আপনার আপন মান।
এ-ই প্রাপ্য তারই।
তার হার আপনার নিজের হারই।
তার জয় আপনারই জয়।
প্রসারিত করুন তার প্রতি হৃদয়!





সেই কবি মেয়েকে ...
     অনিন্দ্য পাল
=========================
তোমার কথা শুনে শব্দরা নিরিবিলি শান্ত
কলমকে বানিয়েছ বাধ্য অনুচর
বাস্তব মিশে গেছে অধিবাস্তবের গুহামুখে
তোমার চোখে চাঁদ, ঠোঁটে কবিতা-প্রহর ...

নিরাশ্রয় মন পংক্তি খুঁজে খুঁজে ঘর পায়
সর্বস্ব রেখে দেয় যতি চিহ্নের আড়ালে
কখনো সখনো উঁকি দিয়ে মগ্ন বিধুরতা
কবিতা ছুঁয়ে থাকি, মধ্যযাম পেরোলে...

ডুবুরি হই যদি কোন দিন কোন কালে
সমুদ্র বুদবুদে ডুব দিয়ে পৌঁছাবো কবিতার দেশে
শব্দের জালে সঁপে দেবো তোমার দোয়াতে
দেখো, কিভাবে কবিতা কবিতায় শর্তহীন মেশে।






বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 03/12/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 03/12/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 03/12/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 03/12/2020, বৃহস্পতিবার
               সময় :- রাত 9 টা. 30 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒



অভিমানের সুদূর
    ডঃ রমলা মুখার্জী

তুমি যেদিন বৃষ্টি হয়ে ঝরবে পাথর বুকে,
আমার কষ্ট-কাঁটায় সেদিন ফুল ফুটবে সুখে।
বিরহের অসহ ব্যথায় থাকবো এলোচুলে..
তুমি এলে বাঁধবো বেণী সব অভিমান ভুলে ।
ভালোবাসার আকাশ হয়ে ঘিরবে শাড়ির নীলে-
মন-ময়ূরী নাচবে সুখে হৃদয়-মঞ্জিলে।
নদীর বুকে জোয়ার হয়ে রক্তে আনবে বান....
আবার আমি নতুন সুরে বাঁধবো নতুন তান।
এখন তোমার মনের মাঝে পাহাড় অভিমান.....
ঝর্ণা হয়ে ঝরবে যখন নিশীথ আঁধার ম্লান।
অভিমানের গহন ঠেলে আসবে প্রেমের বন্যা....
রূপ সাগরে ডুব সাঁতারে মুছবো দুজন কান্না।
কান্না শেষে ভালোবেসে বাঁধবো দুজন ঘর-
এসো মম প্রিয়তম আর কোরো না পর।
দাও শান্তি, যা কিছু ভ্রান্তি করো ওগো মাপ-
অভিমান জমে জমে বাড়ছে মনস্তাপ।
মনের খবর পেয়ে তুমি এলে অবশেষে -
অঘ্রাণের হিমেল হাওয়ায় অভিমানেরা ভাসে।
ভাসতে ভাসতে অভিমান যায় যে সুদূর...
তোমার গানে বইল প্রাণে গত প্রেমের সুর।










ক্ষুদিরাম
     সুস্মিতা দে

হে মোদের মানব জীবন
ধন্য করো হে ধন্য ।
মানুষের আত্মাতে
একই প্রভু
বিবেকের যত্নে সুন্দর
একই মন।
আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হোক
একই হৃদয়
নাহি ভয় নাই লাজ

হে  মহাজীবন হে মহামরন
প্রনমি তোমারে সবার একই
জীবন একই মরন রাখিও
তোমার সাথে যাত্রাপথে
স্মৃতিতে থাক একাত্মের সুর।

হাওয়াতে স্নেহের পরশ
বাতাসে  সুবাস প্রীতি গন্ধ
ভরা চির সবুজ শস্য ভরা
হোক বসুন্ধরা।

আমরা সবাই মানুষ ,
কেটে যাক যতো জ্বরা
মলিন বিরূপ ,শান্তির বারিধারা
ঝড়ুক। প্রনমি তোমারি চরন।
নেবো তোমারি স্মরন দয়া
কৃপা করুন মোদের পরিবেশে
তবো ছায়া রহিবে  মোদের
             মাথার উপর।


 
1889 সালে জন্ম গ্রহণ
করেন। ক্ষুদিরাম  বসু স্বদেশি আন্দোলনে সারা বাংলা চঞ্চল হয়ে বৈপ্লবিক আন্দোলনে 10হাজার লোকের অগ্রভাগে ছিলেন

তার দুই ভাই চলে যাবার পড়ে এক মুঠো  ক্ষুদের বিনিময়ে তাকে প্রথম কন্যা র কাছে  সে মানুষ হয়
তার মাতা পিতা চলে যায় । মেদিনীপুর জেলা কলেজিয়েট স্কুলে  ভর্তি হন।।
অষ্টম শ্রেণী তে সাড়া বাংলা চঞ্চল হয়ে বৈপ্লবিক আন্দোলনে  মেদিনীপুর জেগে উঠেছে ।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের   সোনার বাংলা নাটকের
প্রচার পত্র বিলি করে গ্রেফতার করে  পরে ছেলের  পরিচয় মুক্তি পান
তার বোমা ছোড়াতে ব্যারিস্টার কেনেডি তার পত্নী  মারা যান
তার পড়ে  ধরা পড়েছেন  1মে তার বিচার  প্রাণদণ্ড আদেশ হয়  1908  সালে ফাঁসি হয় প্রফুল্ল মনে
মঞ্চে  19 বছর বয়সে মৃত্যু 
তার মৃত্যুর পড়ে এক বার বিদায় দে মা গান রচিত হয়। বাংলার পথে  আজ এই গান বাজে শহীদ ক্ষুদিরাম স্মরনে। আজ জন্মদিন অনেক  শত বছর  পার হলেও  বিপ্লবী  ক্ষুদিরাম কে স্মরণ করি  শ্রদ্ধা র সাথে 🙏🙏🙏🙏🙏🙏







মুখ  আয়নার  মতো......
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

মানুষের  মুখ  আয়নার  মতো,সত্যি  কি না বলো?
এটা  জেনে  এই  পৃথিবীর .মানুষেরা  নিজেকে  সামলে  চলো৷
ইট  মারলে  পাটকেল  মারার  মতো  ঘটনা  ঘটে,
আবার  নমস্কার  করলে  প্রতি  নমস্কার  জোটে৷

ফুল  দিলে  ফুল  পাওয়া  যায়,
ভালোবাসা  দিলে  পাবে  ভালোবাসা,
মানব  জীবন  এমন  যে   একবারে  মেটে  না  সব  আশা৷





প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়।
        শান্তি দাস

প্রতিবন্ধী ওরাও মানুষ সমাজের একজন,
ওরা ও জন্মেছে মানবকুলে কারো প্রিয়জন।
তুচ্ছ নাহি করো ওদের শিক্ষার দ্বার খোলে দাও,
ওদের অবহেলা না করে কাছে টেনে নাও।

প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মেছে সমাজ দায়িত্ব নেবে,
তবে কেন বোঝা হবে সবার ভালোবাসা পাবে।
আধুনিক যুগে ওদের শিক্ষার অনেক সুযোগ,
প্রতিবন্ধী হয়েছে বলে দুরে ঠেলে না দিয়ে শিক্ষায় করো নিয়োগ।

ওদের জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা আছে,
কেন ওরা বোঝা হবে নিয়ে যেতে হবে শিক্ষার কাছে।
প্রতিবন্ধী দুর্বল নয় শিক্ষা পেলে ওরা অনেক এগিয়ে,
অবহেলা না করে ওদের মনে দাও শিক্ষার আলো জাগিয়ে।

অন্ধ শিশুদের ও এখন শিক্ষার ব্যবস্থা আছে,
অন্ধ শিশু জন্ম হলে বোঝা যেন না হয় বাবা মায়ের কাছে।
হাত না থাকিলে পা দিয়ে ও লেখাপড়া করে,
অন্ধ শিশুদের ও নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে,
তাই তো সমাজে নয় ওরা বোঝা সবার কাছে ভালোবাসায় আছে।








আমি সে-ই সবিতা
অঞ্জলি দে নন্দী, মম

আমি জ্বলছি।
অনন্তকাল ধরে।
সে-ই আমিই বলছি,
আমার তাপেই সব কিছু পড়ে।
হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ, আমায় কেন্দ্র করে
সব গ্রহই ঘোরে।
আমার তরে
আমার জোরে
ধরা সৃষ্টি করে।
আবার আমার অগ্নিতেই সব কিছু যায়
জ্বলেপুড়ে মরে।
আমার বলে
সবাই নয়ন মেলে চায়।
আমার জন্য
সময় সামনের দিকে এগিয়ে চলে।
আমার শক্তি চির অনন্য।
আমি সবিতা।
আমি চির উজ্জ্বল কবিতা।









রাখাল ছেলে
  আব্দুল রাহাজ

ওই দূরে যায় গোরুর পাল নিয়ে
ওই যে রাখাল ছেলে
সে যাবে অন্য ‌দেশান্তরের তেপান্তরের মাঠে
ওই যে সেই রাখাল ছেলে।
সারাদিন ‌কাটাবে মাঠে মাঠে
সময় পেলে গাছের নীচে
বাজাবে বাঁশি
এই ভাবে দিন ‌যায়
রাখাল ছেলেটির।
বেলা যখন শেষ
সূর্যের অন্তিম পর্বে
যখন বাড়ি ফেরে তখন
তার বাঁশির সুর প্রকৃতিকে করে তোলে অনন্য মাধুর্য
ও রে সেই রাখাল ‌ছেলে।







দিকদর্শী
    অনিন্দ্য পাল

কোন দিকে যাব, যেতে হবে কোন দিকে?
এখন এসব প্রশ্ন উপচে পড়া শহুরে জল
সবাই জানে
অথচ কেউ জানে না
সঠিক বলতে পারে না কেউ ঠিক কোনখানে
বর্ণচাকতি ঠিকঠাক সাদা
কোন জানালার পাশে দিনে এবং
রাতেও
ঘাসের রঙ জীবন্ত সবুজই থাকে
কেউ তর্জনী তুলে দেখাতে পারে না
চুম্বক-শলাকার মত
কোন দিকে গেলে পাব সেই দৈব কাঁটাঝোপ
যার ছায়ায় আমার বীজেরা সব গাছ হবে

মহীরুহ হোক বা না হোক...








                 কাস্তে
      হামিদুল ইসলাম
            

এসো কাস্তেটাকে
শান দিই
ওরা আমাদের শোষন করে
এসো প্রতিশোধ নিই ।।

শোষন বঞ্চনার ইতিহাস
ওরা জিইয়ে রাখে
এ শোষনের কারবার ভাঙবোই
ওরা প্রতিদিন আমাদের রক্ত মাখে ।।

কাস্তে দিয়ে ওদের বিষদাঁত
ভাঙবো ভাঙবোই
সাক্ষী ইতিহাস
আমরা পরিবর্তন আনবো আনবোই  ।।

এসো ঐক্য গড়ি
ঐক্যবদ্ধভাবেই ছিনিয়ে নেবো অধিকার
কাস্তেটাকে আবার শানিয়ে নিই
এ কাস্তে দিয়েই ওদের গলা কাটবো আরো একবার  ।।






মন পোড়ে মনে পড়ে
সমীরণ বেরা

সোনালী ধান মাটির 'পরে শুয়ে আছে
বৃদ্ধের মত জরা ক্লিষ্ট নয়; পূর্ণতার ভারে,
দূর দিগন্ত ব্যাপী সোনালী ধান ডাকে
সেই আহ্বান পূর্ণ থেকে পূর্ণতার দিকে।
সুবিস্তৃত নীলকাশের বুকে রক্তিম আভায়
আমার মনে রঙ লাগে পেরিয়ে আসা শ্যামলিমায়,
এত উদার আর উদাসী প্রকৃতির মাঝে
তুমি থাকলে বেশ ভালো হত ।
তাই এবার একটা অপূর্ণ ঘট মাটি পেতে এসেছি।

আমরা কেউই পূর্ণ নয়।
পূর্ণতার দিকে এগিয়ে চলি বৃত্তের মাঝে,
অচেনা বৃত্ত ছুঁই কেউ কেউ শামুখের মত
গাঙ চিল দূর আকাশ থেকে দেখে হাসে।
জীবন আর জীবিকার দিনলিপিরও একটা বৃত্ত আছে
দুই বৃত্ত সমাপনে একটা আপেক্ষিক মুক্তি
তবু তুমি মুক্তির কথা বলে কাছে টানো
আমি বারবার ছুটে আসি তোমার কাছে।

দূর থেকে আরো দূরে নক্ষত্রের প্রান্ত সীমা
কিম্বা আলোকবর্ষ দূরে
মহাশূন্যে জাগতিক সব হিসেব পাল্টে যায়
দিনান্তের সূর্য ডুবছে আবার রক্তিম আভায়
তোমায় মনে পড়ে গেল সন্ধ্যার রক্তরাগে।








অবাধ্য

রণিত বন্দ্যোপাধ্যায় 


যখন সেদিন আমি 

একলা ছুটে চলেছিলাম গভীরে,

কেউ তখন বাধা দিয়ে বলেনি-

"ওরে, যাস না রে, ফিরে আয়,

এখনও সবাই বসে আছে,

শুধু তোরই অপেক্ষায় । "


ডাকলেই কি শুনতে পেতাম আমি?

নাকি আদৌ তারা কেউ ডাকেনি?

ডাকেনি নাকি ডাকতে চায়নি?

হয়তো তারা ভেবেছিলো,-

আমি ভীতু, আমি নিজেই ফিরে আসবো;

নাকি কেউ ভেবেছিলো-অন্যরকম-

"একজনকে তো এগিয়ে যেতেই হয়।"


কষ্টকে বুকে নিয়ে,

কান্নাকে সুখ ভেবে,

এগিয়ে চলেছি ক্ষণে ক্ষণে,

থমকে দাড়িয়েছি প্রতি পদে,

দেখছি চারপাশের মানুষ-জনকে

স্তব্ধ এক পাষাণ হয়ে;

অসহ্য সে জ্বালা সে বুকে ধরে রেখেছে।।