মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 08/12/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 08/12/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 08/12/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 08/12/2020, মঙ্গলবার
               সময় :- রাত 7 টা. 30 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


তুমি না বাসলেভালো
           বিপ্লব গোস্বামী

তুমি না বাসলেভালো , জানতাম না
       ভালোবাসা কারে কয়।
তুমি না আসলে কাছে , বুঝতাম না
         প্রেম কি করে হয়।

তুমি না ধরলে হাতে , জানতাম না
           বন্ধু কারে কয়।
তুমি না থাকলে পাশে , বুঝতাম না
        জীবন এত মধুময়।

তুমি না গেলে দূরে,  জানতাম না
           বিরহ কারে হয়।
তুমি না করলে হেলা , বুঝতাম না
         প্রেম যে বেদনানাময়।




The mom bird
© Anjali Denandee, Mom

The mom bird.
She lays on her eggs for next generation,
With motherly meditation power,
Hatchs for many days, nights, hours...
She loves to  new creation.
She works hard and hard.....
At day time, she builds nest,
Feeds babies and also
Protects them under own chest.
Fights by beaks and clows against foe
Who is attacking her children.
The criminal storm destroy her nest
Again and again.......
But she built again and again......
She does not know,
Yes, does not know the rest.
She is maker of home.
Yes, she is mom.
In the creature, she is the best.





                   বিপাশা
            হামিদুল ইসলাম
              
হাজারো হাতে
মিলিয়ে দিয়েছি হাত
তুমি আসো বন্ধু আমার
আজ ছুঁয়ে দেখি জোছনা রাত  ।।

তোমার আশায় পথ চলি
একা একা
পথের মাঝে পথ
পথেই তোমার সাথে দেখা  ।।

গভীর নিদাঘে
তোমাকে ফিরে পাই
অশথ গাছ হাতছানি দিয়ে ডাকে
ছায়ায় ছায়ায় তোমার প্রেম পুড়ে হয় ছাই  ।।

পথকে ডাকি
পিঠের ছালে দাসত্বের বোঝা
তুমি কতো কাছে তবু কতো দূর
তবু তোমাকেই কেবল খোঁজা  ।।

তুমি আমার বন্ধু
আমার ভালোবাসা 
তুমি আছো আমি আছি
তবু কেনো মাঝে মাঝে শুকিয়ে যায় নদী বিপাশা  ??




টুকরো ছবিতা-১৯
ডাঃ তারক মজুমদার

টপ টু বটম সব ব্যাটারাই
পাতে বা হাত,
ইচ্ছা পূরণ না করলেই
তুমি কুপোকাত  ।





শ্রীকান্ত মালাকার এর দুটি কবিতা

পারাপার
শ্রীকান্ত মালাকার

রাতের জ্যোৎস্না শেষে,
দিনের আলোয় মেশে।
বহু অভিনয়ের পরে,
ক্ষমা চাও কাছে এসে।

দিন যায় রাত আসে,
ভাগচাষী জমি চাষে,
মানুষের অন্তিম লগ্নে,
অন্ধকার নেমে আসে।

মাছ নাচে জলে,
শ্বাস ছাড়া কি প্রাণী চলে?
প্রদীপ শুধু জ্বলে রাতে,
শত্রু আছে বিভিন্ন ছলে।

মন ভাঙ্গা কবিতা লিখে কবি,
প্রেমিকের বুকে কত ছবি;
সকল এবার হবে পার,
নৌকার হালে আছে যে নবী।।



তবু ব্যর্থতা
শ্রীকান্ত মালাকার

ক্লান্ত সময়,অক্লান্ত পরিশ্রম,
কি করে বানাবো প্রভু,তোমার আশ্রম।
শরীর রক্ত ফুটন্ত আগুন,
তোমাকে দেখার ইচ্ছে দ্বিগুণ।
অবুঝ মন ,সবুজ বন, এখনো আছে।
মীরা কেন আজ কানহার কাছে।

বিষাক্ত মন, নীলাভ দেহ,
প্রকৃত প্রেম করে কেহ।
মন্দির তো আছেই, ঠাকুর বেদীতে।
সুখ আছে ,তবু দেখা যায় কাঁদিতে।
দুর্বল তারুণ্য, হোঁচট খাচ্ছে জীবন।
খেলা শেষে, টিকে আছে মরণ।।




এখানে  কুমীর  নেই
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

এখানে  চারদিকে  চা  বাগান  আছে,
আর  চিতাবাঘ  করে  খেলা,
কেউ  ভুলেও  যায়  না  তাদের  কাছে,
প্রকৃতির  রূপ  দেখে  কেটে  যায়  বেলা৷
সাগর  এখান  থেকে  অনেক  দূরে,
আশেপাশে  কুমীর  নেই,
মাঝি নৌকা  লঞ্চ এসবের দেখা  পাওয়া  ভার,
বরফ  মেঘলা  আকাশ  কুয়াশা,
খুব  সুন্দর লাগে,সবটা  লিখে  শেষ  হবে  নাতো  তার৷




নি:সংশয়ী তুমি
সমীরণ বেরা

প্রতিদিন আমি এক অচেনা সমুদ্র থেকে
ফিরে আসি উদ্বেলিত ঢেউয়ের মত
অনুভবের কাল মাত্রায় সমুদ্র সফেন
নিজেকে কখনো মনে হয় যেন
অস্তপারের পাখির ঘরে ফেরার মত
আবার এক নূতন দিন যাপনের প্রস্তুতি।

জীবন কখনো কখনো ধোঁয়াশা
তবু কোথাও বেঁচে থাকে এক চিলতে আশা
আমি ভুলে গেছি পরাগ মেখে ফুল হতে
দূর আকাশে ওড়া চিলের ডানায় রোদ মেখে
মন এখন ডুব দেয় অতীত গহীন দেশে
সেখানে তুমি নও আমি আমার মুখোমুখি।

হারিয়ে যাওয়া শৈশব বা যৌবনের উদ্দামতা
আজ মনে হয় এসব কি একান্ত আমারই ছিল?
তা তো নয়, তুমি তো জড়িয়ে ছিলে!
এখনো রাতের অন্ধকারে কোপাই তীরে
বাউল গানের সুরে নিবু নিবু তারা ভাসে
নদী ভরা ঢেউয়ে মিছে শুধু হাল বাই?
কি বলো তুমি? মিছে কিছু নয় মিছে কিছু নয়
তোমার থাকা এবং না থাকা দুটোই সত্যি- নি:সংশয়।




কোনটা সত্যি?
নরেন্দ্র নাথ নস্কর

তোমার সুন্দর মুখ কি আদৌ সত্যি সুন্দর?
নাকি মুখোশ?

তোমার হৃদয় কি আদৌ কোমল ?
নাকি পাথর ও নিষ্ঠুর ?

তোমার ভালবাসা কি সত্যি  কাউকে ভালবাসে?
নাকি ভালোবাসার অভিনয় করে?

তোমার কালো কেশ কি সত্যি রূপ  চড়ায়?
নাকি কালিমা দেয়?

তোমার হাতের স্পর্শ কি সত্যি কাউকে আনন্দ দেয়?
নাকি আনন্দের আড়ালে দু:খ ডেকে আনে?

তোমার রূপ কী আদৌ আলো দেয়?
নাকি অন্ধকার করে?

তোমার ভালোবাসায় কি প্রেম আছে ?
নাকি প্রেম হরণ করে ?

তুমি যা বল সেগুলো কি সত্য?
নাকি সত্যের আড়ালে অসত্য ?

কে বলে দেবে?




চুরি বাঁচাও
মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ

ছুটছাট কারনে কেনো করি,দলাদলী আর তান্ডব।
সমাজ কুলোসিত হয়,বুঝেও বঝোনা সব।
নিজে নিজেরাই মাতি রক্তের হুলি খেলায়
পিতৃ মাতৃর গর্ভে দেখো,অন্তরে অশ্রুজল।
এই ভেবে,এই ভেবে গাধার দলেরা বুঝবে কবে।
দেশ চুরির উৎপাদ বাড়ছে যে দেশে
এ খবর ক'জন নেয়,ক'জনই বা জানে!
স্বপ্নের বাসভবন করবে চুরি অন্যজন।
মানুষ নয় ওরা,মানুষ নামে নরপিচাস
এতে নেই মাথা ব‍্যাথা,নেই কি নয়নে জল?
নেশার ঘোর কাটবে কবে,কবে হবে উওাপ
আগুন জ্বালাও অন্তরে অগ্নিকুন্ঠে।

মুশারি ছিদ্র থাকলে,প্রবেশ করে শসা।
রক্ত চুসে নিলে,তবেই হয় বেঘুমের হুঁশ।
জানতে,তবু হয়নি ক্ষমতা তোমার সারা।
তাইতো নিলো চুসে, এক ফোটা রক্তের কনা।
দেশ আজ হচ্ছে,মুশারির মতো
কি হবে পরে,একবার ভেবে দ‍্যাখো।
সমস্ত ছিদ্রটাকে মারো তালি
বাঁচাও স্বপ্নের দেশ মাতৃ ভূমি।
চাল চোরের পিছনে দিতে গিয়ে সময়
দেখো দেশ চুরি করছে,গড়ছে সন্ত্রাস।
আর নয়,আর নয় গর্জে ওঠো সব
মাতৃভূমির রক্ষার জন‍্য,করো তীব্র প্রতিবাদ।
তাতে,দিতে হয় দেবো আত্মবলিদান
তবু মাতৃভূমিকে হারাতে দেবোনা প্রান।।






দ্রষ্টব্য
বদরুদ্দোজা শেখু

শরীর পুড়ছে ভীষণ গরমে শরীর পুড়ছে
বন্ধুরা তবু দ্রষ্টব্যের প্রত্ন খুঁড়ছে
দারুণ দু'বেলা উত্তেজনার সকল দিবস ,
মনটা আমার তাদের সঙ্গে সুদূরে উড়ছে ,
গা ঝেড়ে ওঠার মন করতেই শরীর বেবশ ।

বলে ঘরকুনো আমাকে নবীশি মহল-শুদ্ধ ।
তাই বিরুদ্ধ সময়ের সাথে করবো যুদ্ধ
বলতেই , ওরা ভীষণ শব্দে ধরলো খড়্গ ---
একি ভালো ছেলে হচ্ছে হঠাৎ এমন লুদ্ধ !
ফাঁকি দিয়ে ওরা স্বর্গ খুঁজছে নগর-বর্গ ।

কেউ সতীর্থ সঙ্গিনী -সহ সুখের গন্ধ
খাচ্ছে আড়াল কামের কাঙাল কাতর অন্ধ -
মাছির মতন উড়ছে বেতাল ওদের মধ্যে ,
ভিনদেশিনীর মন যোগাচ্ছে বেহায়া ছন্দ ।
মাতাল রাত্রে গল্প শুনছি লোলুপ গদ্যে ।

সখ্যতা-হারা হাঁটছি যখন খুঁজছি সঙ্গ
চক্ষে আমার যুবতী নারীর নধর অঙ্গ
ঢেউ তোলে শুধু , ধু-ধু  সংযম হয় বিপন্ন।
স্বপ্নে খুঁজছি বন্য নিবিড় গোপন রঙ্গ
হাঁটছি নগরে নীল বিহঙ্গ দেখার জন্য ।

শরীর পুড়ছে ভীষণ গরমে শরীর পুড়ছে
বন্ধুরা তাজা দ্রষ্টব্যের প্রত্ন খুঁড়ছে
উত্তেজনায় আহত দুষ্ট কামুক রক্ত
দেখার জিনিস ওই একটাই নগরে ঘুরছে
মুখোমুখি তার দাঁড়াতেই একি , শরীর শক্ত !

ভক্তরা বলে, এ অবরুদ্ধ বধির উষ্ণ
আদিম ইচ্ছা , রক্ত-লোলুপ জঙ্ঘা শিশ্ন--
পুরুষ-নারীর মুক্ত-সঙ্গম সরল যুক্তি ;
গহন জঘন গুহার ফাটল করছে প্রশ্ন ---
পাবো কি তাতেই রক্তে আমার বিরল মুক্তি ?

ভীষণ গরমে শরীর পুড়ছে মিথ্যা-সত্যে
হইনি লিপ্ত কোনো গর্হিত কর্মে কথ্যে
মোহন দৃশ্যে ভাঙছি গড়ছি প্রেমের মূর্ত্তি ,
বংশ -তৃষ্ণা ডাকছে নিত্য দার-অপত্যে
ঢাকছে চিত্ত নগ্ন নতজানু ফতুর ফূর্ত্তি ।

উদর-পূর্তির আসব খুঁজতেই জীবন যাচ্ছে
সহজ স্বপ্ন রূঢ় বাস্তবে ধাক্কা খাচ্ছে
খুঁড়ছি তবুও সরল দৃশ্যে বিরল প্রত্ন ----
মগ্ন চক্ষে নগ্ন লক্ষ্মীর লক্ষ্য নাচছে ,
জ্বলছে এ-কোন্  আঁধার গুহায় প্রেমের রত্ন ?





শ্রমিক ও তার দুঃখেরা
- ইউসুফ মোল্লা

আমার কান্নাগুলো মিশে গেছে ময়দার সাথে,
তাই একটুও নুন কম হয়নি।
রুটিটা চেয়েছিলাম চাঁদের মতো হোক,
কড়ায় পড়তেই একেবারে জ্বলে উঠল সূর্যের মতো।
তেল-হাতের ছাপ রয়ে গেল তার পিঠের উপর।
একে একে খদ্দর এলো,
সমস্ত দোকান ভরে গেল।
তাকে খুবলে খুবলে একেবারে নিঃশেষ করে দিল!
আমার কান্নাগুলো মিশে গেল,
একটুও নুন কম হয়নি।

                __________




শূন্য থেকে
      অনিন্দ্য পাল
==================
পৃথিবী! পৃথিবী! পৃথিবী!
পৃথিবী?
কোথায়?
মাটি! মাটি! মাটি!
মাটি?
কোথায়?
কী খুঁজছি?
কাকে?
নিজেকে?
কে?
কেন?
যদি বিয়োগ করে দিই 'আমি'
আমার খাতা ভর্তি
শূন্য!
শূন্য?
সেও তো আছে
তারও আছে
'আমি!'
নিজেকে তাই হঠাৎ মনে হয়
শূন্য!
আর ঠিক তার পরেই দেখতে পাই
পৃথিবী
মাটি
আদর
মৃত্যু
জন্ম
এবং সব রূপকথারা এসে একে একে
চুমু দিয়ে যায়
আমার শূন্যের কপালে ...





.......অবাক
আব্দুল হান্নান

পৃথিবীটা আজ বড়ই ক্লান্ত
চারি দিকে সত্য উদভ্রান্ত
মানব নামে দানব ব্যস্ত।

আত্ম শুদ্ধি মেটাতে তৃষ্ণা
নিরীহের কত দেয় যন্ত্রণা
সহজে তারা যাবে না অস্ত।

যত দিন থাকবে তাদের  শ্বাস
তত দিন করে যাবে গ্রাস
নোয়াবেনা মাথা কোনো মতে।

বিরাম হীন এই চেষ্টায়
জেগে থাকবে তেষ্টায়
ভাসবেনা শৃঙ্খলতার স্রোতে।

ভোগ বিলাসের স্বাক্ষর
রেখে যাবে নির্মম অক্ষর
তপস্যার অর্জিত ধনে।

দুদ্দান্ত দুবোর্ধ বিস্ময়
এক দিন সব হবে ক্ষয়
মাসুল দেবে উত্তর সূরীঋণে।

এ সব কথা ভাববার
অবকাশ নেই একবার
মানবতার চিত্তে বসে।

জীবনের মাপ নিয়ে যারা
দেয়নি কখনও নাড়াচাড়া
তাদের ক্ষমা নেই ইতিহাসে।।





মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
১। শিরোনাম- সময়

একটা
একটা করে
দিন কেটে যায়
ভেসে যাই সময়ের স্রোতে
ডুবে যায় কত লালিত স্বপ্ন
মূল‍্যবান দিনগুলো ক্রমশ হয়ে যায় গুরুত্বহীন।

জীবন আসলে গোঁজামিলে কাটিয়ে যাওয়া দিন
একদিন মূল‍্যহীন হয় সব যত্ন
বসত ভরে বিষাক্ত ক্ষতে
সময় আয়ু খায়
পাতা ঝরে
শেষটা।

২। শিরোনাম- আমার কৃষক ভাইয়েরা

শীতের
কনকনে ঠান্ডায়
আমার কৃষক ভাইয়েরা
খোলা রাস্তায় নিয়েছে ঠাঁই
মুখের অন্ন নিয়ে মুনাফা নয়
তারা চায় ফসলের কালা কানুন বাতিল।

আজ যারা এর বিপক্ষে সবাই কাতিল
তারা দেশের পক্ষে বিপজ্জনক ভয়
আজ তাদের ও হিসেব চাই
দল বাঁধুক চাঁইয়েরা
হবেনা রাস্তায়
হেরফের।




কবিতা 
      শান্ত হেমন্ত
কলমে    ডঃ রমলা মুখার্জী

সুন্দর শান্ত মিষ্টি হেমন্ত
     আসে শরতের পরে-
   নূতন ধান্য, শুভ নবান্ন
       বাংলার ঘরে ঘরে।

    গ্রামের পথে চাষীর সাথে
       নতুন ধানের গন্ধ ,
  হেমন্ত নামে যাবই গ্রামে
       শহরে প্রাণ বন্ধ।

    সবুজে ভরা প্রান্তরে মাঠে
   শিশিরে ভিজবো সকালে-
নরম শীতের মাখবো পরশ
         হেমন্তিকার বিকেলে।




পেন্সিল
   শান্তি দাস

জীবন তৈরীর প্রথম আঁকা জোঁকা,
অক্ষর শুরুতে লাগে স্লেট পেন্সিল।
কি অদ্ভুত ছোট বেলা যত ভুল সব যায় মুছে,
লিখতে ভুল মুছে দিয়ে লিখো বারবার।
অক্ষরে কর শব্দ তৈরি তাতে অনেক ভুল,
রাবার দিয়ে মুছে ফেলো,শুদ্ধ কর বারবার।
বাক্য তৈরি ভুল হলে কর সংশোধন,
বাবার দিয়ে মুছে শূন্য স্থানে কর পুরন।
ছোটবেলা যত ভুল সব মুছে ফেলা যায়,
কলম ধরতেই ভুল হলেই কেটে দেওয়া হয়।
কলমের লেখা ভুলে মুছে দেওয়া সম্ভব নয়।
সেই ভুলে কাটাকাটি,মুছে সংশোধন নয়,
হয় না শূন্য স্থান পুরণ জীবনে আনে সংশয়।
ছোটবেলা ছিল ভালো সবতেই সংশোধন হয়।
বড় হতেই কোন ভুল মুছে শূন্য স্থান পুরণ নয়।





       দেহদান
         পিনাকী  মুখার্জী
     

            খেলার  মাঝে বেড়ে ওঠা ,
          সবুজ মাঠ টাটকা বাতাস  !!
          নীল  আকাশের কেবল ভাসে  ,
           ধোঁয়ায়  ঢাকা   দূর  আভাস  !!
         
       চারিদিকে সমাধির জঙ্গল , ফেরারী
              সবুজ স্বপ্ন , নীল আকাশ  !!
          আগামীর  অঙ্গীকারের পোড়া গন্ধ ,
            চোখে  সিঁদুরে মেঘের পূর্বাভাস !!

                 চিমনি ভাটায় পোড়া ইঁট ,
            পোড়া  লাল  সভ্যতার  পাঁজর !!
                  একেই বলে মায়ের মন ,
                আগলে রাখা মা'র আদর  !!

                  রং  বার্নিশে সেজে ওঠা
                যত  ঝাঁ চকচকে  সমাধি  !!
                জীবন সেতো পরের জন্য
              তুলে  রাখা ,  দেহদান অবধি  !!



মানুষগুলো আজ ও প্রান্তিক
   আব্দুল রাহাজ

ওহে ওই মানুষ গুলো ‌আজ ও প্রান্তিক
নদীর ধারে শীত বর্ষা গ্ৰীস্মে কত কষ্ট করে থাকে ওরা ।

দুবেলা দুমুঠো ভাত খাওয়ার আশায় ছেলেমেয়েরা ‌ঘোরে‌ প্রভাবশালী ‌ ব্যক্তির দুয়ারে দুয়ারে।
ওদের সাহায্য করার মতো কেউ‌ নেই
ওরা হয়ে‌ যাচ্ছে
চরম‌ অসহায় ।
ওরা আজ ও উন্নত‌‌ এই মায়াজালে  ওরা প্রান্তিক‌ প্রান্তিক‌।




৬টি মন্তব্য:

  1. চমৎকার কিছু লেখা পড়লাম পাঠে একরাস মুগ্ধতা
    রেখে গেলাম পরের লেখার অপেক্ষায়।

    উত্তরমুছুন
  2. চমৎকার আয়োজন । যথেষ্ট বৈচিত্র্যময়

    উত্তরমুছুন
  3. সকল কবি বন্ধুরা আসুন সবাই মিলে একে অন‍্যের কবিতা পড়ি এবং গঠন মূলক মন্তব‍্য করি।আপনাদের সবার সহযোগিতায় এই পএিকা একদিন সূর্যের ন‍্যায় আলোক রশি ছড়াবে আর সেই দিন সুন্দর জীবন উপোভোগ করতে পারবেন।

    উত্তরমুছুন
  4. Khub bhalo lagchhye.sokoler lekha e bhalo laglo.asadharan uddyog.sokoler Mongol kamona kori.dr.tarak majumdar.editor-sahitya darpan

    উত্তরমুছুন