উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 03/12/2020
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 03/12/2020
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:- 03/12/2020, বৃহস্পতিবার
সময় :- রাত 9 টা. 30 মি:
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
অভিমানের সুদূর
ডঃ রমলা মুখার্জী
তুমি যেদিন বৃষ্টি হয়ে ঝরবে পাথর বুকে,
আমার কষ্ট-কাঁটায় সেদিন ফুল ফুটবে সুখে।
বিরহের অসহ ব্যথায় থাকবো এলোচুলে..
তুমি এলে বাঁধবো বেণী সব অভিমান ভুলে ।
ভালোবাসার আকাশ হয়ে ঘিরবে শাড়ির নীলে-
মন-ময়ূরী নাচবে সুখে হৃদয়-মঞ্জিলে।
নদীর বুকে জোয়ার হয়ে রক্তে আনবে বান....
আবার আমি নতুন সুরে বাঁধবো নতুন তান।
এখন তোমার মনের মাঝে পাহাড় অভিমান.....
ঝর্ণা হয়ে ঝরবে যখন নিশীথ আঁধার ম্লান।
অভিমানের গহন ঠেলে আসবে প্রেমের বন্যা....
রূপ সাগরে ডুব সাঁতারে মুছবো দুজন কান্না।
কান্না শেষে ভালোবেসে বাঁধবো দুজন ঘর-
এসো মম প্রিয়তম আর কোরো না পর।
দাও শান্তি, যা কিছু ভ্রান্তি করো ওগো মাপ-
অভিমান জমে জমে বাড়ছে মনস্তাপ।
মনের খবর পেয়ে তুমি এলে অবশেষে -
অঘ্রাণের হিমেল হাওয়ায় অভিমানেরা ভাসে।
ভাসতে ভাসতে অভিমান যায় যে সুদূর...
তোমার গানে বইল প্রাণে গত প্রেমের সুর।
ক্ষুদিরাম
সুস্মিতা দে
হে মোদের মানব জীবন
ধন্য করো হে ধন্য ।
মানুষের আত্মাতে
একই প্রভু
বিবেকের যত্নে সুন্দর
একই মন।
আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হোক
একই হৃদয়
নাহি ভয় নাই লাজ
হে মহাজীবন হে মহামরন
প্রনমি তোমারে সবার একই
জীবন একই মরন রাখিও
তোমার সাথে যাত্রাপথে
স্মৃতিতে থাক একাত্মের সুর।
হাওয়াতে স্নেহের পরশ
বাতাসে সুবাস প্রীতি গন্ধ
ভরা চির সবুজ শস্য ভরা
হোক বসুন্ধরা।
আমরা সবাই মানুষ ,
কেটে যাক যতো জ্বরা
মলিন বিরূপ ,শান্তির বারিধারা
ঝড়ুক। প্রনমি তোমারি চরন।
নেবো তোমারি স্মরন দয়া
কৃপা করুন মোদের পরিবেশে
তবো ছায়া রহিবে মোদের
মাথার উপর।
1889 সালে জন্ম গ্রহণ
করেন। ক্ষুদিরাম বসু স্বদেশি আন্দোলনে সারা বাংলা চঞ্চল হয়ে বৈপ্লবিক আন্দোলনে 10হাজার লোকের অগ্রভাগে ছিলেন
তার দুই ভাই চলে যাবার পড়ে এক মুঠো ক্ষুদের বিনিময়ে তাকে প্রথম কন্যা র কাছে সে মানুষ হয়
তার মাতা পিতা চলে যায় । মেদিনীপুর জেলা কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন।।
অষ্টম শ্রেণী তে সাড়া বাংলা চঞ্চল হয়ে বৈপ্লবিক আন্দোলনে মেদিনীপুর জেগে উঠেছে ।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের সোনার বাংলা নাটকের
প্রচার পত্র বিলি করে গ্রেফতার করে পরে ছেলের পরিচয় মুক্তি পান
তার বোমা ছোড়াতে ব্যারিস্টার কেনেডি তার পত্নী মারা যান
তার পড়ে ধরা পড়েছেন 1মে তার বিচার প্রাণদণ্ড আদেশ হয় 1908 সালে ফাঁসি হয় প্রফুল্ল মনে
মঞ্চে 19 বছর বয়সে মৃত্যু
তার মৃত্যুর পড়ে এক বার বিদায় দে মা গান রচিত হয়। বাংলার পথে আজ এই গান বাজে শহীদ ক্ষুদিরাম স্মরনে। আজ জন্মদিন অনেক শত বছর পার হলেও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম কে স্মরণ করি শ্রদ্ধা র সাথে 🙏🙏🙏🙏🙏🙏
মুখ আয়নার মতো......
চিত্তরঞ্জন দেবভূতি
মানুষের মুখ আয়নার মতো,সত্যি কি না বলো?
এটা জেনে এই পৃথিবীর .মানুষেরা নিজেকে সামলে চলো৷
ইট মারলে পাটকেল মারার মতো ঘটনা ঘটে,
আবার নমস্কার করলে প্রতি নমস্কার জোটে৷
ফুল দিলে ফুল পাওয়া যায়,
ভালোবাসা দিলে পাবে ভালোবাসা,
মানব জীবন এমন যে একবারে মেটে না সব আশা৷
প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়।
শান্তি দাস
প্রতিবন্ধী ওরাও মানুষ সমাজের একজন,
ওরা ও জন্মেছে মানবকুলে কারো প্রিয়জন।
তুচ্ছ নাহি করো ওদের শিক্ষার দ্বার খোলে দাও,
ওদের অবহেলা না করে কাছে টেনে নাও।
প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মেছে সমাজ দায়িত্ব নেবে,
তবে কেন বোঝা হবে সবার ভালোবাসা পাবে।
আধুনিক যুগে ওদের শিক্ষার অনেক সুযোগ,
প্রতিবন্ধী হয়েছে বলে দুরে ঠেলে না দিয়ে শিক্ষায় করো নিয়োগ।
ওদের জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা আছে,
কেন ওরা বোঝা হবে নিয়ে যেতে হবে শিক্ষার কাছে।
প্রতিবন্ধী দুর্বল নয় শিক্ষা পেলে ওরা অনেক এগিয়ে,
অবহেলা না করে ওদের মনে দাও শিক্ষার আলো জাগিয়ে।
অন্ধ শিশুদের ও এখন শিক্ষার ব্যবস্থা আছে,
অন্ধ শিশু জন্ম হলে বোঝা যেন না হয় বাবা মায়ের কাছে।
হাত না থাকিলে পা দিয়ে ও লেখাপড়া করে,
অন্ধ শিশুদের ও নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে,
তাই তো সমাজে নয় ওরা বোঝা সবার কাছে ভালোবাসায় আছে।
আমি সে-ই সবিতা
অঞ্জলি দে নন্দী, মম
আমি জ্বলছি।
অনন্তকাল ধরে।
সে-ই আমিই বলছি,
আমার তাপেই সব কিছু পড়ে।
হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ, আমায় কেন্দ্র করে
সব গ্রহই ঘোরে।
আমার তরে
আমার জোরে
ধরা সৃষ্টি করে।
আবার আমার অগ্নিতেই সব কিছু যায়
জ্বলেপুড়ে মরে।
আমার বলে
সবাই নয়ন মেলে চায়।
আমার জন্য
সময় সামনের দিকে এগিয়ে চলে।
আমার শক্তি চির অনন্য।
আমি সবিতা।
আমি চির উজ্জ্বল কবিতা।
রাখাল ছেলে
আব্দুল রাহাজ
ওই দূরে যায় গোরুর পাল নিয়ে
ওই যে রাখাল ছেলে
সে যাবে অন্য দেশান্তরের তেপান্তরের মাঠে
ওই যে সেই রাখাল ছেলে।
সারাদিন কাটাবে মাঠে মাঠে
সময় পেলে গাছের নীচে
বাজাবে বাঁশি
এই ভাবে দিন যায়
রাখাল ছেলেটির।
বেলা যখন শেষ
সূর্যের অন্তিম পর্বে
যখন বাড়ি ফেরে তখন
তার বাঁশির সুর প্রকৃতিকে করে তোলে অনন্য মাধুর্য
ও রে সেই রাখাল ছেলে।
দিকদর্শী
অনিন্দ্য পাল
কোন দিকে যাব, যেতে হবে কোন দিকে?
এখন এসব প্রশ্ন উপচে পড়া শহুরে জল
সবাই জানে
অথচ কেউ জানে না
সঠিক বলতে পারে না কেউ ঠিক কোনখানে
বর্ণচাকতি ঠিকঠাক সাদা
কোন জানালার পাশে দিনে এবং
রাতেও
ঘাসের রঙ জীবন্ত সবুজই থাকে
কেউ তর্জনী তুলে দেখাতে পারে না
চুম্বক-শলাকার মত
কোন দিকে গেলে পাব সেই দৈব কাঁটাঝোপ
যার ছায়ায় আমার বীজেরা সব গাছ হবে
মহীরুহ হোক বা না হোক...
কাস্তে
হামিদুল ইসলাম
এসো কাস্তেটাকে
শান দিই
ওরা আমাদের শোষন করে
এসো প্রতিশোধ নিই ।।
শোষন বঞ্চনার ইতিহাস
ওরা জিইয়ে রাখে
এ শোষনের কারবার ভাঙবোই
ওরা প্রতিদিন আমাদের রক্ত মাখে ।।
কাস্তে দিয়ে ওদের বিষদাঁত
ভাঙবো ভাঙবোই
সাক্ষী ইতিহাস
আমরা পরিবর্তন আনবো আনবোই ।।
এসো ঐক্য গড়ি
ঐক্যবদ্ধভাবেই ছিনিয়ে নেবো অধিকার
কাস্তেটাকে আবার শানিয়ে নিই
এ কাস্তে দিয়েই ওদের গলা কাটবো আরো একবার ।।
মন পোড়ে মনে পড়ে
সমীরণ বেরা
সোনালী ধান মাটির 'পরে শুয়ে আছে
বৃদ্ধের মত জরা ক্লিষ্ট নয়; পূর্ণতার ভারে,
দূর দিগন্ত ব্যাপী সোনালী ধান ডাকে
সেই আহ্বান পূর্ণ থেকে পূর্ণতার দিকে।
সুবিস্তৃত নীলকাশের বুকে রক্তিম আভায়
আমার মনে রঙ লাগে পেরিয়ে আসা শ্যামলিমায়,
এত উদার আর উদাসী প্রকৃতির মাঝে
তুমি থাকলে বেশ ভালো হত ।
তাই এবার একটা অপূর্ণ ঘট মাটি পেতে এসেছি।
আমরা কেউই পূর্ণ নয়।
পূর্ণতার দিকে এগিয়ে চলি বৃত্তের মাঝে,
অচেনা বৃত্ত ছুঁই কেউ কেউ শামুখের মত
গাঙ চিল দূর আকাশ থেকে দেখে হাসে।
জীবন আর জীবিকার দিনলিপিরও একটা বৃত্ত আছে
দুই বৃত্ত সমাপনে একটা আপেক্ষিক মুক্তি
তবু তুমি মুক্তির কথা বলে কাছে টানো
আমি বারবার ছুটে আসি তোমার কাছে।
দূর থেকে আরো দূরে নক্ষত্রের প্রান্ত সীমা
কিম্বা আলোকবর্ষ দূরে
মহাশূন্যে জাগতিক সব হিসেব পাল্টে যায়
দিনান্তের সূর্য ডুবছে আবার রক্তিম আভায়
তোমায় মনে পড়ে গেল সন্ধ্যার রক্তরাগে।
অবাধ্য
রণিত বন্দ্যোপাধ্যায়
যখন সেদিন আমি
একলা ছুটে চলেছিলাম গভীরে,
কেউ তখন বাধা দিয়ে বলেনি-
"ওরে, যাস না রে, ফিরে আয়,
এখনও সবাই বসে আছে,
শুধু তোরই অপেক্ষায় । "
ডাকলেই কি শুনতে পেতাম আমি?
নাকি আদৌ তারা কেউ ডাকেনি?
ডাকেনি নাকি ডাকতে চায়নি?
হয়তো তারা ভেবেছিলো,-
আমি ভীতু, আমি নিজেই ফিরে আসবো;
নাকি কেউ ভেবেছিলো-অন্যরকম-
"একজনকে তো এগিয়ে যেতেই হয়।"
কষ্টকে বুকে নিয়ে,
কান্নাকে সুখ ভেবে,
এগিয়ে চলেছি ক্ষণে ক্ষণে,
থমকে দাড়িয়েছি প্রতি পদে,
দেখছি চারপাশের মানুষ-জনকে
স্তব্ধ এক পাষাণ হয়ে;
অসহ্য সে জ্বালা সে বুকে ধরে রেখেছে।।
অতুল বলছিলাম, অতুলচন্দ্র মাইতি.. রনিতবাবু, খুব ভালো লিখেছেন.. চালিয়ে যান মশাই
উত্তরমুছুন