বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 10/12/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 10/12/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 10/12/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 10/12/2020, বৃহস্পতিবার
               সময় :- রাত 08 টা. 10 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


যৌবন
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

হে যৌবন সুন্দর, শোনোনি কি আহবান ঝরার
দিন ফুরালে প্রয়োজন থাকবে না আর
সর্বস্ব শেষ হবে সবাই যা করেছে চয়ন
মিলাবে শৈশবের মধুর আলাপন
তবে কিসের লাগি সাজাও অঙ্গ প'রে আভরণ
তার চেয়ে ত্যাগ কর যাত্রা পথে যা ছিল আপন।।

কাননে কতফুল ফোটে অনাদরে
কত মালা গাঁথা হয় কত যে যায় ঝরে
তাই আজ সার্থক করো মানব জীবন
রামধনুর ছটায় জাগুক নিরাসক্ত মন
ভয় নয়, ক্ষেদ নয় হে সুন্দর তোমার
নিরালায় কর বসে সাধনা অপার।।

যে হৃদতন্ত্রে আছে প্রেম করুণা
তারে সাজাও ধরা মাঝে করো দেখাশোনা
সার্থক কর তোমার মাতৃবন্দনা
উচ্চশিরে করে যাও অনন্ত বন্দনা
যেখানে নিবন্ত চুল্লি নিবে যায় বাতাসে
মঙ্গল দীপ জ্বালাও সেথা নিত্য অবকাশে।।





বিস্ময়কর_জীবন
শান্তি_দাস

জন্মেছি আমরা পৃথিবীর বুকে সৃষ্টির এই সৃষ্টিতে,
বিধির বিধান সব নতুন নতুন ঘটে দৃষ্টিতে।
কয়দিনের জীবন রঙ্গমঞ্চের এই অভিনয় করে যাওয়া,
ক্ষনস্থায়ী জীবনে সুখ দুঃখ ভালোবাসা পাওয়া।

বিস্ময়কর জীবনে কতকিছু ঘটে যায় মানব সংসারে,
জন্মমৃত্যুর এই বিধান অতি বিস্ময়কর ভাবনার তরে।
কোথা থেকে এসেছি কোথায় শেষ ঠিকানা,
সবটাই বিস্ময় জাগে জীবন উৎপত্তির কোথায় সীমানা।

এই আকাআকাশ বাতাস গ্রহ নক্ষত্র তারার সমাবেশ,
কত যান্ত্রিক শক্তি এই পৃথিবীর মাঝে ভাবনার রেশ।
বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কার সবকিছু লাগে আশ্চর্যজনক,
মানব জীবনে জানার কত জানা অজানার বাহক।

আমাদের বেঁচে থাকা এই মাটির উপর বিস্ময়কর লাগে,
প্রকৃতির শ্বাস প্রশ্বাসের ভারসাম্য রক্ষা অবাক লাগে।
জীবনের তো একটু ও বিশ্বাস নেই বাঁচার তরে,
দাঁড়িয়ে আছি এই জগৎ সংসারে সৃষ্টির লয়ে।

পৃথিবীতে অমর কেহ নহে সবার বিদায় নিতে হয়,
যে সবচেয়ে আপন ভুলে থাকার শক্তি তাতে ও নেই ভয়।
জীবনের রঙ্গমঞ্চে নতুন নতুন আবিস্কার অতি বিস্ময়কর,
এই নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে আছে মতান্তর।






     একান্ত   আপন
        পিনাকী  মুখার্জী

               রোজ  নাড়াচাড়া হয় না ,
           পড়ে  থাকে এক কোণে  !!
           তাইতো  জমেছে  ধুলোর পরত ,
              তারে  সরানো একাকী ক্ষণে  !!

              জেতার  নেশায়  ছুটে ,  খাতায়
                  জমা  হলে  কিছু  ব্যথা  !!
               সে  ছাড়া  কাকেই  শোনাবো ,
               সেই   সুখ - দুঃখের  কথা  !!

           জীবনের  জয়গান  , ঝকঝকে শান ,
              যার  ধারালো  তেজের  প্রকাশ  !!
                 উপেক্ষিত , সেই  ধুলো মাখা
              বন্ধুর  , স্নেহেই  তার  বিকাশ  !!

                   তাই  তো  ধুলো  সরিয়ে ,
              তারেই  নিজ  প্রয়োজনে খুঁজি  !!
                   যেখানে তার  শীতল  ছায়া ,
                সেখানে  শান্তিতে  চোখ বুজি !!






  হারবি না বন্ধু 
      সুস্মিতা দে

নিজের মনে কাঁদছে তবে
অপরের মন কাঁদাতে নেই
নিজের মন না যদি বোঝে
অপরের মনে বোঝা
        বাড়াতে নেই

মন দিয়ে মন পাবে তা সে
মিছে নিছক আপন যন্ত্রণা ।
  নয়ন মেলে দেখতে কষ্ট হলে
  নয়ন অন্ধ করে নাও বলা
            সহজ তবে কঠিন ।

     হৃদয় অন্ধ করতে চাইলে
       প্রানে হা হা কার করে ।
         জগৎে ক কি ?
        কিছুর অভাব আছে?
     
      আছে বিরাট শূন্যের অভাব
      হৃদয় যদি অবসাদে ভরে।
     অবসাদকে বড়ো মানুষের ভয়।
      ভালো থেকো বন্ধু ভালো রেখো
       মানুষ মানুষের কাছে এই তো চায়।

          একটু বন্ধুত্ব , নয় অবহেলা।
         আর বেশি কিছু নয় তা না দিতে
        পারো তবে দিও না আঘাত ।
         রেখো অনুরোধ ।

   



আমার জন্ম দিনের  কবিতা
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

আজকে  আমার  জন্মদিন   ৫৮  বছর  পূর্ণ  হলো,
কাছে আর  দূরের  বন্ধুদেল  ভালোবাসা  পেয়ে এই  জীবন  ভরে  গেল৷
মায়ের  কোলে  এসে  কালক্রমে  পৃথিবী  কিছুটা  হলো  চেনা,
এখন  সংসারে  যেন  আমি  অনেকটা  পুরানো,
কর্মব্যস্ত  থাকি,তবু  মাঝে  মাঝে  যেন  মৃত্যুর  দিনগোনা,
আগে  যাঁরা  এসেছিল আজ  অনেকে  আর  নেই,
স্বর্গীয়  মা  বাবা আমার  আজ  জন্ম  দিনে বারবার  মনে  পড়ে  তোমাদেরকেই৷
স্ত্রী,পুত্র,কন্যা, সবাই  আমার  আছে,
মৃত্যুর  পরোয়ানা  আসলে  সবাইকে  রেখে  চলে  যেতে  হয়,
মহাশূণ্যতার  কাছে৷

জীবন  মানেই
অনিশ্চিত,আজ  আছি  কাল নাও  ঠাকতে  পারি,
সবার  সাথে  ভাব  করে  তাই ভালো  থাকতে  চাই,
কারো  সাথে  আর  দিব  আড়  আড়ি?








রাজধানী
      বদরুদ্দোজা শেখু

রাজধানী এক্সপ্রেস ঢুকলো রাজধানী ।
চোখ জুড়ে নগরীর নব্য হাতছানি
মন জুড়ে মোহনার মগ্ন কানাকানি ।

ছুটে এলো একদল ভাড়াটে চালক
ধরতে পেরেছে ঠিক আনকোরা লোক ,
মানুষ কী ক'রে পায় শকুনের চোখ ?

আগন্তুক হিন্দিতে বড়ো  নড়বড়া
এ শহরে হলো তার-ই প্রথম মহড়া
বাঙ্ময় হৃদয়ের হলো হাতকড়া ।

চড়া রোদ, ধরা গলা, জার্ণির ক্লেদ
সরল স্বপ্নের সাথে হলো বিচ্ছেদ,
এখানে মানতে হবে কতো কী নিষেধ !

এখানে রহস্য আছে যন্তরমন্তর 
রামলীলা ময়দান সুস্থ গণতন্ত্রর 
প্রতিবাদের মঞ্চ ,প্রপঞ্চে কুরঙ্গ  
বিরোধীদেরকে মেরে করে ছত্রভঙ্গ ,
গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক
দিয়ে যান নেতাগুলো , নেপথ্যের ছক
নানা দর কষাকষি যুদ্ধ না শান্তি
কোনটা যে সমাধান ছড়ায় বিভ্রান্তি
কাশ্মীর কী যে প্যাঁচ গাল-ভরা দোস্তি
সীমান্তে লাগাতর বারুদের কুস্তি
উপত্যকার জনজীবন ভয়ানক স্তব্ধ
ধরপাকড় কারফিউ করবে কি জব্দ ?
সংসদে লেগে আছে কাদা ছোঁড়াছুড়ি
প্রকৃত বিতর্ক নাই ,শুধু গলাজোরি ,
অধিবেশনের দিন ক্রমসঙ্কুচিত--
এহেন গণতন্ত্র পেয়ে আমরা গর্বিত !
কমবেশি সব রাজনৈতিক দলই
ব্যবহার করে পেশীশক্তি বাহুবলী,
আইন বিচার আছে ,তবু সুবিচার
পায়না দুর্বল-শ্রেণী , জয় ক্ষমতার ।
চারিপাশে কানাঘুষো এন-আর-সি জুজু 
সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গুজু
দ্যায় অনায়াসে সংসদে , ত্রাসে কাঁপে দেশ
নাগরিক দুর্গতির দায় দুঃখ ক্লেশ
নিজভূমে পরবাসী হওয়ার আশঙ্কা,
সমস্ত নস্যাৎ করে বিজয়ীর ডঙ্কা
লঙ্কা-কাণ্ড বাধে দেশে , দেঁতো হাসি হাসে
রাজধানী, মহতের বাণী বানে ভাসে !!





কবিতা
     জরাহীন ধরা
  ডঃ রমলা মুখার্জী

বুকের মাঝে জমাট কালো,
    ভয় ভাবনার নেই শেষ...
কান্না চেপে হেসে বলি
    ভালোই আছি এই বেশ।
জানি চাঁদের নরম জোছনা
    মুছে দেবে সব কালো,
দেখবো সেদিন জরাহীন ধরা,
    অমা শেষে শত আলো।
সেই আলোতে নাচবে অলি
     কল-তানে শত পাখি-
মানুষ আবার মানুষের হাতে
    বেঁধে দেবে ফুল-রাখি।
সুন্দর সেই বন্দরে যত
    নর নারী ভয় হারা-
ফুলের মিঠে সুগন্ধ মেখে
    ভোরে হাসে শুকতারা।





শীতের দিনে গ্রামবাংলার পরিবেশে শিয়ালের ডাক
আব্দুল রাহাজ

শেখদের গ্রামের পূর্বদিকে একটা বন ছিল চারিদিকে দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ শীতের দিনে ওদের গ্রামে একটা মজার ব্যাপার হল প্রচুর শিয়ালের ডাক শোনা যেত ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ভয়ে বাইরে বের হতো না কেউ রাত্রে আর। সেদিন শেখ ও তার বাবা মাঠের থেকে কাজ করে বাড়ি আসতে একটু রাত হয়ে গেল ঠিক সেই সময় শিয়ালের ডাক আরম্ভ হলো ওরা‌ আসছিল বনের পাশ  দিয়ে বাড়িতে আসছিল শীতের দিন আস্তে আস্তে কুয়াশা পড়লো শেখের বাবা বলল তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে  চল শীতে গা হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে রে বাবার কথা শুনে একটু জোরে জোরে হাঁটলো শিয়ালের ডাক শুনে সেক একটু সাহস করে বনের দিকে একটু ফিরে তাকালো অনেকগুলি শেয়াল একসাথে ডাকছে সেজন্য এতো জোরে নামাজের সময় হয়ে গেছে আজান শোনা যাচ্ছে তা ওদের ডাক থামেনি ওর আস্তে আস্তে বাড়ি চলে এলো ঘটনা ওর বন্ধুদের সাথে সকালবেলা উঠে বলল রহিম ভয় লাগেনি সেগুলো নানা কিসের ভয় শীতের কুয়াশা মোড়া তাদের এই গ্রামের শিয়ালের ডাক সুপ্রাচীন যা আজও চলে আসছে ‌। কোথায় যেন ওরা শিয়ালের ডাক শুনে অভ্যস্ত শীতের দিনেও ওদের কষ্টের সেখরা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করত সাহায্য করতে গেলে নাকি কামড় খেতে হতো। একদিন বহু বছর আগে রহিমের দাদু লিয়াকৎ আলী মিয়া শিয়ালের সাহায্য করতে গিয়ে শিয়ালের কামড় খেয়ে চির বিদায় নিয়েছিল এই পৃথিবী থেকে সেই থেকে চিৎকার ওয়ালা আর কেউ সাহায্য করে না সেই কথা শুনে সবাই হা হয়ে গেল তারপর তারপর দিন যায় বছর যায় কোথাও যেন শিয়াল দের ডাক আস্তে আস্তে ওদের কানে কমতে লাগলো শেখ একদিন হঠাৎই অবাক হয়ে গেল তাহলে কি শীতের দিনে আর শেয়ালের ডাক পাবনা এই ভাবনায় ভাবুক হয়ে সে চলে গেল শহরে কিন্তু তাদের গ্রামের এইযে শিয়ালের ডাক শীতের দিনে কুয়াশায় মোড়া অদ্ভুত পরিবেশে তাদের আর্তনাদ তার মনে থাকবে আজীবন।




             পথ
   হামিদুল ইসলাম
               
হাঠাৎ ঝড় গাছের লতা পাতায়
দোদুল্যমানতা মানুষের রক্তে মজ্জায়
আতঙ্কে গুটিয়ে রাখে জমিন
কোনোদিন হয় না চাষ  ।।

সাত পুরুষের বাস এই ভিটেয়
ধানসিঁড়ি ভাঙে প্রতিদিন
নিরন্তর দাঁড়িয়ে থাকি
কেটে যায় সময়   ।।

তোমার সাথে সাক্ষাৎ এই জমিনে
শিশিরে ভেজা ঘাস
রাতের আঁধার ঘনিয়ে আসে প্রতিদিন
ভয়ে কুঁকড়ে যায় পিঠ  ।।

তবু নিরন্তর পথচলা এখনো
পথ চলি একা
রিক্ত অরণ‍্য
প্রতিদিন ধুয়ে যায় স্বর্গ মর্ত পাতাল  ।।

স্বর্গে পা রাখি আমরা দুজন
ছোট্ট একটি সেতু
পেরিয়ে যাই ভালোবাসার স্বর্গ মর্ত পাতাল
সারারাত জোছনায় ভরা আমাদের আকাশ ।।





তাই তো সবাই
অঞ্জলি দে নন্দী, মম

চাষী করে চাষ।
ওরে ও বিশ্ব!
তাই তো খেতে পাস;
দেখ দেখি গিয়ে চাষীর ঘরে!
জীবন কাটায় ওরা ক্যামন করে।
কত করুন, দৈন্যের সে দৃশ্য!
সমাজে শ্রম দান করে
ওরা তো নিঃস্ব।
ওরে ও স্বার্থপর জনগণ!
এবার ওদের ভালোবাস!
উদার কর তোদের মন!
ওরাই বাঁচার আসল ধন।
ওই এক ছিলেন ত্রেতা যুগে, মহা চাষী,
নাম ছিল যাঁর শ্রী জনক, রাজর্ষী।
জীবন যাপন করতেন যিনি ক্ষেত কর্ষী।
মা শ্রী লক্ষ্মী দেবী দিলেন ধরা
যাঁর লাঙ্গলের ফলায় আসি,
কন্যারূপে করলেন তিনি পালন তাঁরে।
তাঁর চাষে হল ধন্য এ ধরা।
মাতা শ্রী জানকী নামে চিনি যাঁরে।
আবার ওই যে হলধর শ্রী বলরাম।
দ্বাপর যুগে যিনি করতেন চাষ।
এই মহান ভারতেই ছিল তাঁর বাস।
কৃষি কার্যের সাথে জোড়া তাঁর নাম।





মানুষ হওয়ার অধিকার চাই
      আমিরুল ইসলাম

মানুষের ভিড়ে মানুষ খুঁজি,
মানুষ কোথাও নাইরে ভাই
মুখের উপর মুখোশ, বুঝি -
মুখোশের তলে মানুষ নাই!
আইন আদালত সম অধিকার,
অধিকার চিনি কেমনে ভাই?
ধোনিরা পাচ্ছে ন্যায় বিচার
গরীবের ঘাড়ে চাপিয়ে অন্যায়;
আইন যদি মানুষেরই হয়..!
তবে মানুষ হওয়ার অধিকার চাই।
পৃথিবীটা যদি মানুষেরই হয়..!
তবে মানুষ হওয়ার অধিকার চাই
       
কৃষক মজুর খেটেই মরে
ঘরে দুবেলার তার অন্ন নাই,
জমি ফসলের দাম বেচলে ঝরে,
কেনার সময় আকাশ ছোয়ায়।
নিজ জিনিসের বাজার দরও
নিজেই যদি করতে না পাই,
ন্যায় অধিকার কেন ক্ষুণ্ণ কর?
অধিকার মোদের পূর্ণ চাই।
সমধিকার যদি মানুষেরই হয়
তবে মানুষ হওয়ার অধিকার চাই।
পৃথিবীটা যদি মানুষেরই হয়..!
তবে মানুষ হওয়ার অধিকার চাই   

শিক্ষা সংস্কৃতি সবার জন্য
ভুল ত্রুটি কোথাও নাই,
ডোনেশন দিলে কথা ভিন্ন--
শিক্ষার মর্যাদা নর্দমায়।
শিক্ষকতাও নিত্যদিনের কাজ
যে টাকা দেই সেই পাই;
টাকা'তেই কথা বলে আজ
গরীবের ছেলে তাই শিক্ষক নাই।
শিক্ষকতা যদি শিক্ষিত'র হয়
তবে শিক্ষিত'র তালিকায় নামটি চাই।
পৃথিবীটা যদি মানুষেরই হয়..!
তবে মানুষ হওয়ার অধিকার চাই
         ________সমাপ্ত_______




সুদুরের পথিক
নরেন্দ্রনাথ নস্কর

হেমন্তের পূর্ণিমা রাতে যখন খোলা চুলে তুমি আকাশের দিকে তাকিয়ে থাক,
তখন অবাক হয়ে দেখি আর ভাবি, কোন বিদেশিনী তুমি।
তখন ভুলে যাই যে তুমি আমার কাছের কেহ।
কোন সুদুর দেশের রাজকন্যার মত যেন এক রাজপ্রাসাদের ছাদে তুমি একা,
আমিও একা।
জোতস্না ভরা মোহময়ী সেই রাতে মনে হচ্ছিল,
চেনা দিয়েও তুমি ধরা দাও না।
তোমার কালো কেশ রাশি,
তোমার মায়াময় মুখ মণ্ডল,
তোমার অদৃশ্যপূর্ব দৃষ্টি,
তোমার নীরব ভাষার জিজ্ঞাসা,
সমস্ত যেন অচেনা কোন পথিকের।
যে পথিক পথ হারিয়ে  আমার ছোট্ট কুঠিরে আশ্রয় নিয়েছে।
যার গন্তব্য সুদুর কোন দেশে।
আমার এই কুঠির যেন তোমার পান্থনিবাস।
নেব
কিছুদিন থেকে আবার সে সুদূরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে।
সেই যাত্রায় তুমি কি আমাকে সাথে নেবে?
আমিও সেই সুদূর পথের পথিক হতে চাই।


২টি মন্তব্য:

  1. খুব সুন্দর হয়েছে । সুন্দর বৈচিত্র্যময়

    উত্তরমুছুন
  2. উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কবিতাটি(মানুষ হওয়ার অধিকার চাই) স্থান দেওয়ার জন্য।
    বাকি কবি দিদি,দাদা,ভাইদের লেখাগুলি পড়লাম খুব সুন্দর

    উত্তরমুছুন