শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 04/12/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 04/12/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 04/12/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 04/12/2020, শুক্রবার
               সময় :- রাত 8 টা. 30 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


               তোমার জন‍্যে 

             হামিদুল ইসলাম

                


তোমার জন‍্যে তুলে আনি 

পদ্মফুল

ফুলে ভ্রূণের সঞ্চার 

বিকশিত জীবন 

প্রতিটি পাপড়ি রাঙা পদ্মবীজে  ।।

তোমার জন‍্যে তুলে আনি মুক্তো

ধা চকচকে 

প্রতিটি মুক্তোয় জীবন 

প্রেম

ভালোবাসার দুগ্ধবতী ধানক্ষেত  ।।

তোমার জন‍্যে ভালোবাসা আগলে রাখি

ভালোবাসা গড়ে 

স্বপ্নের তাজমহল 

তোমার খোঁপায় গুঁজে দিই পদ্মফুল আর মুক্তো 

জীবন এখানে তবু অসহায়  ।।

তোমাকে ভুলতে চাই 

পারি না কিছুতেই 

প্রেম এসে দাঁড়িয়ে থাকে ঘরের দরজায় 

বাহুবলী আক্ষেপে ভাঙি ধানসিঁড়ি 

সিঁড়ির কার্নিসে তোমাকে বারবার পেয়ে যাই  ।।







খাঁচায় বন্দি  আমার প্রেম
অনাদি মুখার্জি

আমাদের প্রেম কোনো এক খাঁচায় আছে  বন্দি,
তার নাম অভিমান কিছুতেই ভুলতে পারছিনা সেই দিন।
এখনও আমি তোমায় খুঁজি ঐ নীল আকাশে আড়ালে,
আমাকে ছেড়ে যদি চলে যাবে তবে কেনো এসেছিলে !
আজ তুমি যেথায় থাকো ভালো থেকো এই করি কামনা,
আমার অভিমান পাথরের খাঁয়াচ পায় কত বেদনা !
বসন্তের বাতাস কতদিন কাঁদবে আর কোকিলার সুর বিণে,
হৃদয় দিয়ে তৈরী সেই লাল গোলাপের নিবেদনে !
আজোও বেঁচে আছি শুধু তোমার প্রেমের স্মৃতিতে ,
তোমার চোখের ক্যানভাসে আমার মনে ছবি আঁকে !
তোমাকে নিয়ে সুখের ঘর বাঁধর সাধ ছিল গোপনে,
তাই তিলে তিলে প্রাসাদ গড়েছি কুয়াশার অন্তরালে ,
প্রভাতে সমিকরণ থমকে দাঁড়ায় তোমার ঐ হাসিতে ,
আমাদের মিলন ঘটুক চিরকাল অভিমানের খাঁচা যাবে খুলে !






লক্ষ  লক্ষ  মানুষ  খাদ্য চায়....
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

দেশে  দেশে  ক্ষুধিত  মানুষ  সবার  আগে  অন্ন  চায়,
লক্ষ  লক্ষ   মানুষের  ঘরে  খাদ্য  নেই,
সেদিকে  চোখ  আর  কাদের  কখন  যায়?

পাহাড়  থেকে  সাগর  অবধি  কতশত ক্ষুধিত  নরনারী,
ভদ্র  লোকের  পোষাক  পড়ে, বড়  কোনো  পদে  থেকে,
তাঁরা  ছলেবলে আর কৌশলে  সরকারী  টাকা  করে  না  চুরি!
গরীব  শ্রমিক  মজুরদের  শোষণ  করে,  করছে  বাবুগিরি ও বাহাদুরী,
কথায়  কথায়  আমরা  যাঁরা  ভয়  ও  ভক্তিতে 
প্রনাম  করি,
তাঁদের  ভূমিকা  কেমন  আজ?
ভাবলে  পড়ে  অবাক  হই,
মানুষের  পাশে  দাঁড়াতে  না  পারলে,তবে  আমরা  তেমন  মানুষ—ই  নই!

রাষ্ট্রনায়কদের  বিশ্বজুরে  চোখ  খুলে  যাক,
দেশে  দেশে  ক্ষুধিত  মানুষ  ঘরে  ঘরে  সবাই  বাঁচার  মতো  খাদ্য  পাক৷





ঘুম আসেনা
উমর ফারুক

ঘুম আসেনা শীত কাটে না
দিনের বেলা  বেজায় ঘুম
রাতের বেলা লাগে ধুম
বেড়াল ছানা দিচ্ছে হানা
ইঁদুর ধরে খুব ঝপাঝপ
শিশির ঝরে টপ টপা টপ
ভূত তাড়াতে হাতটা মুখে 
ভয় পেতে গায় ভগ্ন সুরে
গান গুলো তাই ছন্দ ছুঁড়ে।
যেথায় ঘুমোই বালিশ চাপা
শীত নিবারনে বাড়ছে কাঁপা
জানালা খুলে বাতাস ভারী
ঝুলছে একি লম্বা দাড়ি!
সাদা চুলের মুঠটি খোল
বলছে কেহ আস্তে চলো।
শীত বুড়া এক পাকা দাড়ির
লোকটি নাকি মেঘের বাড়ির ।
তাই দেখে মোর ঘুম কি আসে
একলা মাথায় পদ্য ভাসে
আগুন জ্বালো উম হতে চাই
ঘুম টা আসুক মানুষ তো সে!





আমরাও মানুষ
বিপ্লব গোস্বামী

নাইবা আমরা  ডিগ্ৰিধারী
নাইবা তোদের মতো লক্ষপতি,
তবুও আমরা মানুষ ভাই
তোদের বাবা কাকারই জাতি।
হয়তো কারো পিতা পুত্র
নয়তো কারো মামা কাকা
না হয় হয়তো কারো জ্ঞাতি।

হয়তো মোদের তোদের মতো
মান খ‍্যাতি যশ নাই,
তবু মাথার ঘাম পায়ে ফেলে
তোদের অন্ন যোগাই ভাই।
তোদের মুখের গ্ৰাস যোগাতে
বড় তৃপ্তি লাগে ভাই,
তবু ভদ্র লোকের সভ‍্য সভায়
নেইতো মোদের ঠাঁই।




ওরা‌ আসছে
    আব্দুল রাহাজ

ওহে বামি রুহি  ওরা
আসছে ওরা আসছে
অন্য দেশান্তর থেকে
সবকিছু জয় নিয়ে যাবে রে ।
চল চল চল মোরা ঐক্য
গড়ি
ঐক্য ছাড়া আমাদের সম্বল নাই
তাই ঐক্য চাই ‌ঐক্য চাই
ঐক্য ছাড়া ‌মোদের কিছু নাই।
সব ভেদাভেদ ভুলে আয় ওদের আটকায়
নাইলে পড়ে ভিটেমাটি‌ হাতছাড়া হবে রে ভাই।








বাজার
  বদরুদ্দোজা শেখু


ওইখানে অনেকদিন সন্ধ্যায় দাঁড়িয়েছি
বিচিত্র নরনারী কৌতুহলে দেখেছি খ

দেখেছি পরিচ্ছদ রূপ  রঙ ডিজাইন
আর্থিক ডামাডোলে কত সব শৌখিন

প্যান্ট শার্ট শেমিজের ছাঁটফাঁট ঢিলেঢোলা
ম্যাক্সি মিডির ঢলে বুক পেট ঊরু খোলা

এলোমেলো সাজগোজে মাখনের মতো দেহ
বড়ো বেশী কামাতুর ----- চোখে বাজে সন্দেহ ,

পানীয়ের স্টলে ওরা বড়ো বেশী উচ্ছ্বল
কথ্য ইংরেজীতে করে কূট কোলাহল ।

পথচারীদের পানে হানে তির্যক শ্লেষ ,
বাজার যেন ওদের অবাধ উপনিবেশ ।

ভাড়া-দেওয়া গ্রণ্থের দোকানে ওদের ভিড়
জেমস্ হ্যাডলী চেজ ক্রেজটা ইত্যাদির ।

অদ্ভুত ব'নে গেছে অনভ্যস্ত চোখ
যা ইচ্ছে বই মেলে যত অশ্লীল হোক ,

আড়াল কাম-কলার যেন তা প্রকট ঢেউ
চোখে চোখে ঘুরে চাপা যৌন-ক্ষুধার ফেউ ।

কেউ কি দাঁড়িয়ে ঠায় আলো-আঁধারির মোড়ে ?
অচেনা মনের খোঁজে অজানা ভিড়ের দৌড়ে ?

বাজার হাউজ খাস সাঁঝ রাতেই সরগরমছ
ইচ্ছের মোচ্ছব হবে অবাধ কমসেকম  ।

কেউ কি দাঁড়িয়ে ঠায় আলো-আঁধারির মোড়ে ?
অচেনা মনের খোঁজে অজানা ভিড়ের তোড়ে ?




প্রথম প্রেম
সমীরণ বেরা

তুমি চেয়েছিলে বলেই আমি
ভালোবেসে ছিলাম অন্ধের মত
তখন আকাশ দেখিনি
ছুঁয়ে দেখিনি চাঁদের আলো।

কত অন্ধকার কেটে তবে চাঁদ আসে
ভুলে বসেছিলাম অমাবস্যা বলে কাকে!
চারদিক আলো শুধু আলোয় ভাসে
এখন কারা যেন মুচকি হাসে।

কত হৃদ স্পন্দন ওঠা নামার পর
ভিজে ওষ্ঠ নিবিড় শরীর তোমার
তাই বলে কি সহজে ছোঁয়া যায়?

কত বার ভেবে ভেবে সারা রাত
তোমাকে ছোঁওয়া হল না আর
মাঝ দুপুরে ঘুম ভেঙে যায়
ভেঙে যাওয়া প্রথম প্রেম - কী দুর্নিবার!!

তোমার চোখে আর কালো চুলের আঁধারে
আমি নিজেকে হারিয়ে
তুমিময় পৃথিবীর শিকড় টানে সব একাকার
নিজেকে রিক্ত বিধ্বস্ত বলে মনে হয়
তখন শুধু দুটি আঁখি জেগে থাকে
এক দিন দেখা হবে নিশ্চয়।




প্রবন্ধ
ভালো গল্প লিখতে গেলে
   - অগ্নিমিত্র

সার্থক গল্প লিখতে গেলে আগে ভালো গল্পের বইয়ের পাঠক হতে হবে। ছোটবেলা থেকেই যদি গল্পের বই পড়ার অভ্যাসটা থাকে তবে তো আরো ভালো। আর লেখা অভ্যাস করতে হবে শুরু থেকেই। বিদ্যালয়ে রচনা বা ভাবসম্প্রসারণ , এগুলো লিখতে গেলে তো আমাদের মৌলিক লেখার একটু অনুশীলন হয়ই। সেটাই আরো মন থেকে ভালোবেসে করতে হবে ।
  লেখককে ধৈর্যশীল হতে হবে । প্রথমে দু তিনটি লেখা হয়তো ভালো হবে না । বন্ধু বা মা-বাবা- দিদাকে পড়ে শোনানো যায়। তাঁরা যা উপদেশ দেবেন লেখা আরো উন্নত করার জন্য, সেগুলো মেনে চলা যেতে পারে । তবে তাঁরা এবিষয়ে নিরুৎসাহ করলে মুশকিল !.. তাই বাড়িতে সাহিত্যের পরিবেশ থাকলে খুব ভালো হয়। তাহলে গল্প লেখকের কাজ খানিকটা সহজ হয়ে যায় ।
  গল্প লেখা খুব সোজা কাজ নয়। বানান, ব্যাকরণ, এগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হয়। লিখনশৈলী তৈরী হবে সময়ের সাথে সাথে, লিখতে লিখতে ।
  একেকজন এক এক রকম গল্প লিখতে পারঙ্গম; যেমন কেউ উপন্যাস ভালো লেখেন । কেউ আবার ছোটগল্প ও অনুগল্প ভালো লেখেন। সেই দিকেই আরো এগিয়ে যেতে হবে । নিজের কোন দিকে ঝোঁক আছে বা কোনটা ভালো লিখতে পারছেন সেটা লিখতে লিখতেই বুঝতে পারা যায় ।..
  লিখতে শুরু করার পর পাঠক কী চাইছেন বা কীরকম পরিণতি আশা করছেন, সেটাও একটু আঁচ করা দরকার । লেখা তবে আরো মনোগ্রাহী হবে। পাঠক যেন বিরক্ত না হয়ে পড়ে । তবে সব সময়ে পাঠকের মন যুগিয়েই লিখতে হবে এমন কোন কথা নেই।।..





মর্যাদা
অঞ্জলি দে নন্দী, মম

বউ থাকতে বৌয়ের মর্যাদা দিন।
কাটবে তবেই বার্ধক্যে সুখে দিন।
আপনার আজকের অবহেলা
বার্ধক্যে সিক্ত করবে সারা বেলা।
আপনার করা আজকের অপমান
তখন জীবনে আনবে অনুতাপের লোকসান।
পুরুষ তো আপনি বটেই
তার সাথে মনুষ্যত্বেরও অধিকারী।
এ হেন নিচতা আপনাকে শোভা পায় না মোটেই।
আপনার মা, বোন, স্ত্রী, কন্যা -
সকলেই নয় কি জাতে একই সে নারী?
তারা কী নয় সত্যই অগ্রগণ‍্যা ?
পত্নীকে করুন যথাযথ সম্মান!
তাতেই বাড়বে আপনার আপন মান।
এ-ই প্রাপ্য তারই।
তার হার আপনার নিজের হারই।
তার জয় আপনারই জয়।
প্রসারিত করুন তার প্রতি হৃদয়!





সেই কবি মেয়েকে ...
     অনিন্দ্য পাল
=========================
তোমার কথা শুনে শব্দরা নিরিবিলি শান্ত
কলমকে বানিয়েছ বাধ্য অনুচর
বাস্তব মিশে গেছে অধিবাস্তবের গুহামুখে
তোমার চোখে চাঁদ, ঠোঁটে কবিতা-প্রহর ...

নিরাশ্রয় মন পংক্তি খুঁজে খুঁজে ঘর পায়
সর্বস্ব রেখে দেয় যতি চিহ্নের আড়ালে
কখনো সখনো উঁকি দিয়ে মগ্ন বিধুরতা
কবিতা ছুঁয়ে থাকি, মধ্যযাম পেরোলে...

ডুবুরি হই যদি কোন দিন কোন কালে
সমুদ্র বুদবুদে ডুব দিয়ে পৌঁছাবো কবিতার দেশে
শব্দের জালে সঁপে দেবো তোমার দোয়াতে
দেখো, কিভাবে কবিতা কবিতায় শর্তহীন মেশে।






0 comments: