শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 11/12/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 11/12/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 11/12/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 11/12/2020, শুক্রবার
               সময় :- রাত 09 টা. 40 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


The new Winter
Anjali De Nandi, Mom


The new winter arrivals in nature.
At dawn, the fog covers us.
On the day, the Sun is not strong.
At night the coldness is appeared.
Now I can't take bath under cool water.
I enjoy under soft sun light and heat.
Then many puppies are playing with me.
And their black mummy,
Watches them with motherly responsibility.
It's her natural hearty duty.
Mom and babies relation is great beauty.
The winter is baby now as season in nature.
My city -
It is very famous.
Here the winter will grow up.
Also the puppies.





বহু সম্পর্ক


ডাঃ তারক মজুমদার

বহু সম্পর্ক  যায় ভেঙে


দোষী  সমান সমান


বহু সম্পর্ক  পায় প্রাণ  ফিরে


আছে বহু প্রমাণ ---।

বহু সম্পর্ক  ওষ্ঠাগত প্রাণ


আপন কর্মফল


বহু সম্পর্কে  খুশির জোয়ার


বাড়ছে মন বল---।

বহু সম্পর্ক  খায় যে হোঁচট


আমরা সবাই জানি


বহু সম্পর্ক ভো কাট্টা ঘুড়ি


আমরা সবাই মানি---।

বহু সম্পর্ক  কত সুরক্ষিত


আন্তরিকতায় পূর্ণ  মন


বহু সম্পর্ক  যায় হয়ে অমর


চির সবুজ থাকে দুটি জীবন।







এ ভোরে


উমর ফারুক

এ ভোরে মোরগ ডাকা হয়


এ ভোরে উমের আমেজ নাই


এ ভোরে খেকশিয়াল ও হাঁটে


এ ভোরে ঘুম টা কে ভাঙায়?


এ ভোরে লেপের নীচে মাথা


এ ভোরে মাথার উপর বালিশ


এ ভোরে ঘ্রাণ নাকে ,ঠোঁট চেপে


সুরভী গোলাপ শ্যামল চাপার।


মৃদু বয় বাতাস সবুজ ঘাসে


শিশিরে ভিজছে বেড়াল পা


হেঁটে যায় কয়েক গুটি পায়ে


জেগেছে জনম দুখি মা।


ওমা তুই এত্ত ভোরে জাগিস?


আমি কি করব বুঝিনা তো


ভোরের আশ মেটে রঙের হল


ঊষা টা আজকেও উঠেনি তো!


ওমা তুই হাতটা কিসে রাখিস


কনকনে শীত কি লাগে নাকো


আমি তো উম ধরাতে লেপে


তবুও আমায় কেন না ডাকো?








কবিতা
রাঙামাটির পথ
শান্তি দাস

শস্য শ্যামলা সবুজে ঘেরা অপরূপ রূপে ভরা প্রকৃতি,
প্রকতি যেন হাসছে ফুঁটে উঠা মনে আঁকা ছবি।
চারিদিকে সবুজে ভরা দৃশ্য সে যেন নতুন পাওয়া,
গ্রামের দুধারে সবুজে ঘেরা মাঝে মেটো পথে আসা যাওয়া।

এই রাঙ্গামাটির পথ হারিয়ে যায় কোথায় তার শেষ,
প্রকৃতির এই সৌন্দর্য মন হারিয়ে যায় লাগে বড় বেশ।
মাঝে মাঝে দেখা দীঘির জলে শাপলা শালুকে ভরা,
চারিদিকে প্রকৃতি যেন সৌন্দর্যের রূপে ঘেরা।

সকালে রাঙ্গামাটির পথ থাকে নীরব নিস্তব্ধতায়,
কৃষকেরা গরুর পাল নিয়ে মেটো পথে দিয়ে যায়।
সকালে ধুলোবালি কম নীরবে চলছে সকলে,
সারাদিন ধরে চলে পথে আনাগোনা লোকসমাগমে।

পল্লী গায়ের বধূ কলসি কাঁখে হেলেদুলে জল আনতে যায়,
কৃষক ভাইয়েরা অশ্রু জড়ানো চোখে স্বপ্ন এঁকে বেড়ায়।
বিকেলে কৃষক গরু নিয়ে ফেরার পথে মেটো পথ ধুলায় ধূসরিত,
ব্যথা বেদনা ভুলে ফসল যখন ঘরে তুলতে মন পুলকিত।







                   পাথর
     হামিদুল ইসলাম
               

জন্ম জন্মান্তরে
তোমাকে দেখি বিকেলের দরবারে
নৈঃশব্দে ইতিহাসের পাঠ নিই
চোখের পলকে মনের মাঠ পুড়ে হয় ছারখার।।

তোমার কাছে ফিরে আসি
গোপনে ভালোবাসি
পৃথিবীর রহস‍্য উদ্ধার করি
জীবন ঝরাপাতা  ।।

তোমাকে চাই
কিন্তু কোথায় পাই
আমার মনের ভাষা বোঝে না তো কেউ
বাসি লগ্নে আমি যেনো কাঙাল  ।।

পরকে আপন করি
পাথরে শানাই তরবারি
ঘরে ঘরে বিপ্লবের মন্ত্র কারা দিয়ে যায়
এখন যুদ্ধের কাড়া নাকাড়া  ।।

ভোঁতা অস্ত্র শক্ত করি আগুনে
বিপ্লব আসুক এই ফাগুনে
এসো এই বুর্জোয়া শক্তিকে সরাই
জলে ভাসুক পাথর  ।।





নতুন দিল্লি ষ্টেশনে নেমে
     বদরুদ্দোজা শেখু

দু'ঘন্টা দেরী ক'রে দুপুর নাগাদ
পৌঁছলাম নতুন দিল্লি ষ্টেশনে, আড়ষ্ট অবসাদ
ঝেড়েঝুড়ে নামলাম ব্যাগ স্যুটকেস
নিয়ে, ধীরে সুস্থে পিছু যাওয়া পুরনো অভ্যেস ।
একনজরে দেখছি যে দিল্লি নগর---
রাজ পথে নেমে গেছে রেল -চত্বর
ব্যস্ত স্রোতের মতো মানুষের ভিড়ে
নানা যানবাহনের নকশী নিবিড়ে
যাত্রী ধরছে লাল কুর্তার কুলি
আশপাশ থেকে এলো ভিক্ষার ঝুলি ,
ছুটে এলো অটো ভ্যান ট্যাক্সি দালাল
ঠিকা দরে দিলো কতো বিপরীত চাল
এমন-কি ব্যাগ ধ'রে টেনে নিতে চায়
নবাগত যাত্রীরা বড়ো অসহায়
বোঁচকাবুঁচকি সহ কোনোক্রমে দ্রুত
অদূরের রাজপথে হন  দ্রবীভূত।
বোঝা দায় কা'র কী যে কমিশন আছে--
হোটেলের নামধাম আওড়ায় কাছে
এসে কিছু লোক , দূর থেকে কিছু লোক
জনতার প্রতি হানে ঈগলের চোখ ,
পাঞ্জাবি-পাজামায় পাগড়ি ও দাড়ি-
ওয়ালা শিখ লোক দু'টো পার্ক করা গাড়ি
ঠেস দিয়ে হাতে খৈনি ছিলিম ডলে
একমনে, ডাকাতের মতো চোখ জ্বলে ;
ড্রাইভার বুঝি কিবা সন্ত্রাসবাদী
ইমতাম দৃষ্টিতে অর্থ বিবাদী।
একটি মারুতি লাল অতি আধুনিক
এসে ছেড়ে দিয়ে গেল রূপের বণিক
মহিলাকে, ফ্যাসানের দুরন্ত তাল
তুলে হেঁটে গেল পাশ দিয়ে উত্তাল
ঢেউ-তোলা ঊর্বশী-আগুনের আঁচ
চোখ দু'টো ব'নে গেল শো-কেসের কাঁচ,
ঝলসানো দুপুরের নির্মম ধার
হীরের ছোঁয়ায় যেন হলো চুরমার
পিছু ধায় অসংখ্য পুরুষের চোখ
ক'লজে নিঙড়ে নেয় রূপের আরক
  বাতাসে বাজছে তার গমনের সুর,
এ ক্ষেত্রে কে-বা নয় পথের কুকুর ?

বিস্তৃত সীমানার বামপাশে বাস
ডান পাশে ছোট যান ছুটে হুসহাস
মাঝখানে ইটের রেলিং- ঘেরা লন
তাতে কিছু ফুলগাছ রচে আবেদন,
যানে ধায় জনস্রোত নগরীর বুকে
রৌদ্রে ধুঁকছি পোড়া পেট্রোল শুঁকে।
শব্দের ফুলঝুরি শুনি চৌদিকে
প্রধানতঃ অগম্য ভাষার নিরীখে
বুঝলাম বাঙালীর শতাংশ কম।
বন্ধুরা এগোবার নিলো উদ্যম।
আমার আকুল চোখে চলমান রীল
অগণিত দৃশ্যের ছবির মিছিল
কতোকিছু অভিনব দেখবার আছে,
দূরের পৃথিবী এলো দুয়ারের কাছে,
সাগরে অবগাহন হবে  নিশ্চয়
মনের বিকাশ হবে , খুলবে হৃদয়।
পাবো কি সাক্ষাৎ তার ? যে আমার হবে
উদার হৃদয়-রানী মনে অনুভবে ?
কর্মযোগের সাথে এই ভাগ্যযোগ
জুটবে কি আদৌ আশু নিয়তি-অমোঘ ??




বসন্ত গিয়েছে চলে
- ইউসুফ মোল্লা

মানুষ হারিয়েছে তার বিবেক,
বন্ধক দিয়েছে তার জ্ঞান,
অসহায়কে করেছে নিঃস্ব,
হারিয়েছে নিজের সন্মান।

সময়ে আসে না ফুল,
হারিয়েছে গুণ তার ফল।
বসন্ত গিয়েছে চলে,
দারুচিনি দ্বীপ হয়েছে তার সম্বল।

গলেছে বরফ এসেছে করোনা,
বন্ধ হয়েছে সকল কারখানা।
অচিন পাখি এসেছে ফিরে,
কোকিল ডেকেছে বসন্তের আনাগোনা।

              ___________




চলে যাওয়া এখন কত সহজ
       অনিন্দ্য পাল
=============================
চলে যাওয়া কত সহজ হয়ে গেছে, নবনীতা।

একের পর এক প্রিয়-অপ্রিয়, চেনা-অচেনা
মানুষগুলো হেঁটে চলে গেল, চলে যায় শব্দহীন
চলে গেছে আরও কত ভালোবাসা, তখন বুঝিনি
হলুদ পাতার স্মৃতিগন্ধে মনে পড়ে, সেই সব দিন।

সেই আলোর বেলা, সেই সব ধূসর সন্ধ্যাতলায়
যারা হেঁটেছিল পাশাপাশি, তারা পেরিয়ে চলে যায়
রাস্তাটা কি কমে এল, নবনীতা?

এখন চল বেড়েছে, সবাই বলছে "যাচ্ছি"
মন খারাপের ডিঙি দাঁড়হীন বেয়ে ভেসে গেল
কতদিন শুনিনি, " এবার তবে আসি"

চলে যাওয়া এখন বেশ সহজ, নবনীতা
সব চেনা গাছগুলো কেমন শুকিয়ে আসছে,
দেখো, কে কোথায়? কোন রোদ্দুর নেই
চাঁদের আলোতেও ক্লান্ত বিষন্নতা, তবু
লতায়-পাতায় আটকে বেঁচে আছি, নবনীতা

যতটুকু আছি, নেই আরো বেশী, সবুজ বন্ধুতা।





দুই বন্ধুর গল্প
আব্দুল রাহাজ

একটা ছোট গ্রাম নামটি তার অতুলপুর সেখানে থাকতো রাহী আর শাহী দুজনে খুব ভালো বন্ধু সেই ছোটবেলা থেকে। রাহী প্রভাবশালী খুব বড় ঘরের ছেলে আর শাহী এক গরিব চাষির ছেলে দুজনের বাড়ি একেবারে পাশাপাশি রাহীদের বাড়ি ইট পাথর দিয়ে তৈরি করা আর শাহীদের বাড়ি ঘরের বিচালি আর মাটির দেওয়াল দিয়ে ছাওয়া শাহীর বাবা-মা রাহীদের এর বাড়িতে কাজ করে সেখান থেকে বন্ধুত্ব হয়। রাহী আর শাহী তারপর গ্রামের পাঠশালায় দুজনের পড়া খেলাধুলা মধুমতি নদীর তীরে ওদের দুজনের খেলাধুলা গ্রামের আর পাঁচটা ছেলের সঙ্গে বিন্দু মাসি দের আম বাগানে গিয়ে আমপাড়া নৌকা নিয়ে ঘুরতে যাওয়া শৈশব বাল্যকাল এভাবেই কেটে যেত। ওদের দিন আস্তে আস্তে সময়ের সাথে সাথে সব যেন এলোমেলো হয়ে গেল এদিকে গ্রামের পাঠশালা শেষ হলো রাহী চলে গেল শহরে পড়তে আর গরিব চাষির ছেলে শাহী ও গ্রাম থেকে দু কিলোমিটার দূরে হাইস্কুলের পড়ল। কিছুদিনের মধ্যে সাহীর বাবা মারা গেল পড়াশোনা ইতি নেমে এলো শাহীর তারপর আস্তে আস্তে কোথাও যেন সেই সব দিনগুলো কেটে গেল অনেকটা বছর। শাহী এখন মাঠে চাষ করে বড় চাষী হয়ে গেছে অন্যদিকে রাহীর আর কোন খবর নেই একবার ওর বাবার সাথে দেখা হল শাহী বলল রাহী কেমন আছে কাকু বললো আছে ভালো শহরে আছে কবে আসবে জানিনা রাহী আর শাহিল আর কোন দিন দেখা হলো না আস্তে আস্তে কোথাও যেন বয়সটা সে জীবনে এসে গেল শাহী। শাহী ভাবতে লাগলো একবার যদি দেখতে পেতাম ওর সাথে তাহলে এ জীবনটা ধন্য হয়ে যেত কিন্ত সেটা আর হলো না সেদিন ভোররাত শাহী চলে গেল চিরঘুমের দেশে কিন্তু শাহীর আর দেখা হলো না রাহী‌র সাথে।এই ভাবে ওদের বন্ধুত্বের গল্পটা শেষ হয় সূর্যের আলোর মতো কোথাও যেন মিলিয়ে যায়।


1 টি মন্তব্য: