উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 31/10/2020
*********************************
আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
100% ইনকাম ও Real payment
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-31/10/2020, শনিবার
সময় :- রাত 8 টা.
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
Necessary
Sohini Shabnam
People fall in love easily
with them who listen to them.
Nowadays people are so uselessly busy,
Wandering in social media and standing online without knowing
for what they are standing.
They don't like to talk much
As they think everybody is going to mock at him and his suffering.
But some time coincidentally or rather fortunately special person came in life who is willing to hear all of your stuffs without hesitating for a single moment.
May be they like how you talk
Or like you entirely.
Whenever a dejected person finds this kind of friend,
They just want to hold that person for lifetime and the first opinion come to their mind is to propose him.
BUT
Reality is much harder than you think.
Situation changes and that same person become busy and not has least time to listen to you.
Then the relationship become toxic.
SO
It is better to be friends.
That person who takes cares of you earlier may be come back to you one day.
What you can do is to wait for him
BECAUSE
Some people are like sticks to support you whenever you need.
And make you so self sufficient that you can live your life so strongly and bravely without him.
It is not betrayal,it is the part of teaching from where you learn how to be yourself.
It is our necessary to have that friend and believe me surely there is someone for you.
Keep patience.if there is no one like that then it implies you are already sufficient for yourself baby.
বিভাগ
হাইকু কবিতা
শংকর হালদার
০১।
শিশিরে মুক্তো
দুর্বার শিরোপরে
তব হাসিতে ।
০২।
মুক্তির স্বাধ
মরণে নয় ওগো
অনুকম্পায় ।
০৩।
সবুজে প্রাণ
প্রাণের মাঝে ঢেউ
ঢেউতে শুদ্ধি ।
০৪।
দৃষ্টিতে ক্ষত
বিষময় বিবেক
চলনে ভয় ।
০৫।
অদুরে তুমি
স্বপন মনে হয়
হারানো ভয় ।
দার্জিলিং—কোলকাতা
চিত্তরঞ্জন দেবভূতি
সবুজ চাদরে ঢাকা এই দার্জিলিং জেলা থেকে
ফারাক্কা হয়ে গঙ্গা পেরিয়ে পলাশীর প্রান্তরের পাশ দিয়ে কংক্রিটের মহানগরী কোলকাতা যতো বার গেছি,
ইংরেজ আমলের বাংলার এই রাজধানী দেখে মুগ্ধ হয়েছি৷
কতো ধর্মের কত কর্মের কত বর্ণের লোক !
"কারো পকেট ভরা,কারো পকেট ফাঁকা"
আবার হচ্ছে কত চিকিৎসা,যাঁর যেমন আছে রোগ৷
কত নেতা,মন্ত্রী, লাল বাতির গাড়ী, ভিক্টোরিয়া, ইডেন গার্ডেন, যাদুঘর আর চিড়িয়াখানা,
মঠ, মন্দির, গীর্জা,
মসজিদ, শিয়ালদা—হাওড়া লক্ষ লক্ষ মানুষের আনাগোনা!
অট্টলিকার সারির কাছে কত বস্তি বাড়ী আছে!
অবাক কান্ড কোলকাতায় ট্রেন চলে মাটির উপরে আর নিচে৷
জলে জাহাজ আকাশে বিমান!
কত জনের জন্য কত রকমের থাকে ফরমান,
রাতের বেলা লাগে দিনের মতো,
লড়াই করে বাঁচেন মানুষ—
জীবনের পথ চলে, খেলাধুলা, নাটক— কবিতা, গল্প, উপন্যাস, বইমেলা, কত কান্ভ,
এমন সুন্দর মহানগরী কম দেখা যায়,
লোকজন তো এই কথা বলে৷
বাহন
আভা সরকার মন্ডল
প্যাঁচাদের ঘরে ঘরে চলছে কলরব
লক্ষ্মী মায়ের কাছটি থেকে এসেছে তলব ।
সেজেগুজে পূর্ণিমাতে আনতে যাবে মাকে
লক্ষ্মী প্যাঁচা এই দিনেরই অপেক্ষাতে থাকে ।
তদারকি সারে তারা থেকে দূরে দূরে
সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনেই দেখে সব যে ঘুরে ঘুরে ।
হরেক-রকম আলপনাতে ঘর-বারান্দা সাজে
নিয়ম নিষ্ঠা ভরা থাকে প্রতি খাঁজে খাঁজে ।
মায়ের কাছেই বসে তারা মাপে মতিগতি
জেনেই সেটা, ভক্ত করে তার-ও যে আরতি ।
বাবা স্বয়ং মহাদেব যার মাতা দশভূজা
বাহন হয়ে তাঁরই প্যাঁচা ধরাতে পায় পূজা ।
আরশির ব্যাথা
এমাজদ্দিন সেখ
যদি গাছ হতে পারতাম !!
মরা পাতা ঝড়ে যেত , উদাসীন থাকতাম l
যদি সদা বাহার হতাম ; ---
সদাই নবীন পুষ্পে- পল্লবে মাতোয়ারা প্রাণ !!
যদি, পাতা ঝড়া হতাম :----
ফি-বছর বসন্তে নব সাজে পল্লবিত বিকশিত জীবন !!
ক্যাকটাস হলেও কাঁটার আড়ালে সবুজ সতেজ রোইতাম ---
যেমন সহস্র কাঁটা বিন্যাসের গহীনে ...
রস সম্পৃক্ত ফণীমনসা ;---
গভীর মাটি - পাথর থেকে সংগ্রহ করে প্রাণ রস ll
আমি কেন চূর্ন কাঁচ - মানব প্রাণ ?
কেন আছড়ে ভাঙলে সুন্দর হৃদ আরশিটাকে ?
সে আরশিয় দেখো স্বরূপ কায়া বারে বারে ---
রূপ যদি না হয় গো প্রিয় আবার ভাঙ তারে !
রূপই যদি হয় গো কালো !
আরশির কী দোষ বলো ?
তোমার অপেক্ষায় রয়
অনাদি মুখার্জি
প্রিয়া আজ তুমি চলে গেছো বহু দূরে,
জানিনা তোমার মন বেঁধেছে আজ কোন সুরে !
একবার ও কি মনে পড়ে না আমার মনের কথা,
তোমার কথা ভেবে এই হৃদয়ে জাগে শুধু ব্যাথা !
সারাদিন সারারাত আজো আছি জেগে,
কিছুতেই ঘুম আসে না আমার এই দুই চোখেতে !
তুমি বলেছিলে আবার আমাদের দেখা হবে ,
নদীর পাড়ে বসে আমি ভাবি নীরবে !
আজ খুব মনে পড়ে তোমার ঐ গোলাপি ঠোঁট,
ঐ ঠোঁটের ছোঁয়া পেয়ে ভিজেছিল আমার মন !
তোমার ঐ শ্যাম্পু করা ভেজা চুলের গন্ধ,
যে গন্ধে আমি পেয়েছি জীবনের চলার ছন্দ !
কি এমন অভিমান হয়েছে বলো গো সাথি,
তোমার সাথে এমন ভাবে থাকতে চাই মোর সখি !
এখনো কি তুমি জোৎস্নার দেখো প্রতি রাতে,
যে ভাবে আগে দেখতাম আমি তুমি এক সাথে !
বৃষ্টি এলে তোমার কথা বেশী মনে পড়ে ,
কলেজের ফেরার সময় ভিজে ছিলাম এক সাথে !
তোমায় ছাড়া হৃদয়ের উঠান শূন্য মনে হয়,
ফিরে আসবে জানি বলে আজো আছি তোমার অপেক্ষায় !
অনুভূতির ছোঁয়া
নির্মল সরকার
সকল জীবন তোমার জন্য
কে তুমি ? ওগো প্রাণময় ..!
পথহারা যেন আমি ব্যকুল হৃদয় ।
কেমনে বলো, আপনারে শুধাই ।
আমার একটু ভালোবাসা -
তাও যদি মরে যায় !
তুমি নিষ্ঠুর না অবুঝ তা জানা নাই !
তুমি অনন্ত সুন্দর -
পবন বাহিত মনোরম দৃশ্য
হার মানে অপরূপ পৃথিবীময় ! ।
চলাচল
সৌরভ পুরকাইত
হিমেল হাওয়ার মতো
আমার কানের কাছে এসে
কী কথা যে বলো তুমি
কী যে কথা বলো ভালোবেসে।
শীতের দুপুর ঘেরা রোদ আসে
রাঙা আঙিনায়
মৃত সমাজের মতো
নীরবতা ঘেরে দুই পায়।
আমাদের চলাচল
শতকের আস্তরণ ঠেলে
কখনো মলিন হয়
জেগে ওঠে
নীলিমার
নীল বুক ঠেলে।
আদিগন্ত এ কি কথা
নাকি শুধু জলধির ঢেউ
বুক চিরে কথা কয়
নাকি বয়
বাতাসেতে কেউ।।
ছেলে ভোলানো
সুস্মিতা দে
বাজে বেদনার কান্নার সুর
সন্তান খাইনি আজ তিন চাড় দিন। আঁচে হাঁড়ি বসিয়ে মা বলে ভাত সেদ্ধ হয়নি আর একটু সবুর কর মায়ের খোকা ,
পুরোটা মিথ্যা গল্প বাচ্ছা কে সান্ত্বনা দিতে এই পথ মাতা অনুসরণ করে। হাঁড়ি তে ভাত নেই অথচ ভাতের মিছে আশা সন্তান কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পড়লে ক্রন্দন ধ্বনি মার কানে আসবে না ক্ষুধার্ত মা তাই ভাবে ?
মা একটু ঘুমিয়ে যাবে।
আর কতো কাল কাঙালিনী জননীরা পেটে ক্ষুধা নিয়ে তন্দ্রাবিহীন রাত কাটাবে কে জানে?
আঁধার রাতে এক খালি রুপালী আলোর ঈদের চাঁদ উঠেছে , ঐ দেখ খোকা মা ডাকে? খোকা কি? ঘুমিয়ে গেছে ,সাড়া নাই মা ভয়ে চমকে উঠে । না না না খোকা ঠিক আছে পিট পিট করে চেয়ে মা কে দেখে?
বাবা-মা
আব্দুল রাহাজ
আমাদের বাবা-মা শ্রেষ্ঠ জগত সভায় শ্রেষ্ঠ প্রতীক
নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসে তারাই এটাই হলো আমাদের বাবা-মা।
সুখ দুঃখ ভুলে হাসি ফোটায় ছেলেমেয়েদের দুবেলা দুমুঠো অন্ন তুলে দেয় মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারাই আমাদের বাবা-মা। সত্যিই তাদের অবদান কারো সাথে তুলনা নয় তারাই শ্রেষ্ঠ তারায় মহান এই শ্রেষ্ঠ জগত সভায়।
কিছু অমানুষ ছেলে মেয়ে বাবা মাকে কষ্ট দেয় গায়ে হাত তোলে হে মানবজাতি তাদের বিরুদ্ধে তোমরা গর্জে ওঠো বাবা-মা সত্যিই আমাদের নয়নের মনি তারা না থাকলে হয়তো এই পৃথিবীর মায়া মুখ আমরা দেখতে পেতাম না তাদের উপর অত্যাচার বর্তমান সময়ে বহুপঠিত হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোন প্রতিবাদ
নেই।
তাই বলি আমাদের বাবা মাকে শ্রদ্ধা করি ভালোবাসি তাদেরকে সাহায্য করি তারাই আমাদের ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক আমাদের বাবা-মা আমাদের বাবা-মা।
হাহাকার
মোঃআলিউল হক
পাঁচ শো বছর নত শিরে
খোদার দ্বারে লুটি
আজ সেথা নাইকো নিশান
ইট পাটকেল খুঁটি
উপন্যাসের নায়ক হলো
ভক্তের কান্ডার
রাম তুমি জাগিয়ে দিলে
রহিমের হাহাকার!
দীর্ঘ কাল ধ'রে যেথা
শির নত হলো
হায় আফশোস পেশি বলে
তাই কেড়ে নিলো!
এই কি তোমার সত্য নিষ্ঠা ?
মহা ফ্যাসাদের গুরু !
ইতিহাস ছাড়বেনা ফের
কুরুক্ষেত্র শুরু!
কামরাঙা মন
হামিদুল ইসলাম
ছন্দের যাদুকর পান্থজনের সখা
মনের মাধুরী মিশিয়ে দুচোখ ভরে দেখে নেয়
সাদা জলের পিপাসা
তাকে চিনি
বড়ো বাজার থেকে সে কিনে এনেছিলো ভালোবাসা
আর টুকরো টুকরো মেঘ ।
মেঘেরা কোমল হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো
ভালোবাসা নেমেছিলো
কাঁচের পিঞ্জরে
তাকে দেখে বড়ো মায়া হতো আমার
একদিন স্বপ্নে দেখি সে আমার বাসর ঘরে
কুটি কুটি করে কেটে ফেলেছে ভালোবাসার নৈঃশব্দ্য হাহাকার ।
আমার দুচোখের জলে
আমি স্নান করি প্রতিদিন
কাঁচের পিঞ্জরা ভেঙে ফেলি দুহাতের মুঠোয়
মুক্ত করি কপট ভালোবাসা
ডালিয়া ফুলের ঘ্রাণ তার স্তনের বোঁটায়
মেঘের মতো ঈষৎ নীল তার কামরাঙা মন ।
পদচিহ্ন
উমর ফারুক
এক বুক কেঁপে উঠে
ধরিত্রীর বায়ুতে কম্পমান হৃদয়
অনুপস্থিতি আবার উপস্থিত থাকবে
চিড় ধরিয়ে বিধৃত হয়ে চলে
তুমি যেথা যাও বদলে!
পাঁচের পদচিহ্ন এক বা দুই নিবে
কোন চাঁদের আহরিত
আলোয় উজ্জ্বল হবে বক্ষ।
পথের রেখাচিত্র জতির্ময় করে না
জ্যামিতিক নকশা প্রণয়ন করো,
পদচিহ্ন হৃদয় হীনতার তালে
ছুরিকা হাতে প্রস্তুত!
পানিপথের চতুর্থ যুদ্ধ
মহীতোষ গায়েন
অনাবিল জোৎস্নালোকে পড়ে থাকা মৃতদেহ সারি
সৎকার হয়নি,অতৃপ্ত আত্মারা সব অদৃশ্য ইতিহাসে,
যাদের সৎকার করার কথা ছিল তারা যুদ্ধ থেকে
ফেরেনি,অতৃপ্ত আত্মারা আততায়ীর খোঁজে গেছে।
আততায়ীরা নির্বিঘ্নে ঘুমিয়ে পড়েছে,রাত গাঢ় হয়,
অতৃপ্ত আত্মা নিরিবিলি নির্ঘুম ঘোরে,সময়ের খেয়া
বেয়ে চলে যায় সব সাক্ষী,সব আত্মা একজোট হয়ে প্রস্তুত,এবার একটা যুদ্ধ বাধবে,পতনের প্রতিশোধে।
এতদিন যারা সুকৌশলে কেটেছে যাবতীয় লাভের
ফসল,তাদের গোডাউন এবার লুটে নেবে প্রেতাত্মার দল,যে সব আততায়ীরা গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরেছে,
ডিঙিয়েছে লাশের পর লাশ,তাদের পোস্টমর্টেম হবে।
পরাজিত আত্মারা নবরূপে বিবর্তনের পথে,এখনো
পানিপথের প্রান্তরে মারাঠদের অতৃপ্ত আত্মরা ঘোরে,
আত্মারা এবার আববদালিদের বাগানে যুদ্ধে নামবে-
সব পথ একাকার পানিপথে,চতুর্থ যুদ্ধের ডঙ্কা বাজে।
কুতুবমিনারের পাদদেশে
বদরুদ্দোজা শেখু
কুতুবমিনার সামনে দণ্ডায়মান ,ইতস্ততঃ
ভাঙাচুরা ইমারত , ভগ্নস্তূপ ,পাথরের চাঁই
অথবা বিধ্বস্ত কেল্লা কোনোকালের সাক্ষীর মতো
প'ড়ে আছে চারিপাশে প্রাণহীন বিপন্ন দশায় ।
পাদদেশে ইতস্ততঃ গুণমুগ্ধ মানুষের ভিড় ,
ভ্রমণ-বিলাসী কেউ , ভ্রমণকে স্মৃতির মাধবী
ক'রে রাখার প্রয়াসে ব্যস্ত কেউ তুলে রাখে ছবি ,
কীর্তির ভৌতিকতায় উচ্চকিত স্নায়ুর নিবিড় ।
চৌহদ্দির চারিপাশে লতাগুল্ম আগাছায় গাছে
পরাস্ত সত্ত্বার কিছু হৃদয়ের লজ্জা ঢেকে আছে ,
ইচ্ছা নাই পিছনে হাঁটার , তবু সপাটে সাবেকী
শাহী খানদানির খোল-নলচে পিছু ফিরে দেখি ,
ঘুরে ফিরে মিনারের পাদদেশে এসে দাঁড়ালাম
বুঝিনি কতোটা ঠিক ইতিহাস মাড়িয়ে এলাম ।
মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
কোজাগরী
ধনের
দেবী লক্ষীদেবী
লক্ষীলাভে কোজাগরী জাগরণ
জগতের ঐশ্বর্য তোমারি দান
ধূপদীপ আলপনাতে ঘর হলে আলো
তুমি করো মঙ্গল সবার হয় ভালো।
এবার দেখো ঘরের লক্ষীর মুখ কালো
রোজগারপাতি বন্ধ নিভে গেছে আলো
রেখো তাদের ঘরের মান
পেতেছে তারাও আসন
দেখো ছবি
ঘরের।
(২)
নবী দিবস
বিশ্বনবী
দিবস হচ্ছে
এবার লক্ষীপুজোর দিনে
কেউ লক্ষী কেউ নবী
আরাধনা সব জগতের মঙ্গল কামনায়
যে যার আরাধ্যেই পাবে পথের ঠিকানা।
ভিন্ন পথে হাঁটতে নেই কোন মানা
লক্ষীলাভ হয় যেমন লক্ষী আরাধনায়
বিশ্বনবীর পথে জোটে সব ই
লক্ষী নবীর ঋণে
জগতের পাল্টাচ্ছে
ছবি।
বিষয় : অনু কবিতা
করোনা
সত্যব্রত চৌধুরী
দুরু-দুরু করে বুক
আতঙ্কে শুকায় মুখ
'করোনা' আসিল যে দ্বারে ,
অদৃশ্য শত্রুর সনে
লড়াই যে অঞ্জানে
হার-জিত কে বলিতে পারে !!
অসাম্য
ডঃ রমলা মুখার্জী
লক্ষ্মী-প্রতিমা পূজিতা হন
ধুমধাম সহকারে,
অবৈতনিক বাড়ির লক্ষ্মী
দিন-রাত খেটে মরে।
লক্ষ্মী পূজায় ফল-মিষ্টি
অঢেল উপাচার-
ঘরের লক্ষ্মী দাসী-বাঁদী
কেবল অত্যাচার।
মাটির লক্ষ্মীী পুজোয় হাজার
লোকের নিমন্ত্রণ-
অভাবী ঘরে আনাদরে মেয়ে
অনাহারে মরণ।
মাটির লক্ষ্মী, মানবী লক্ষী
দুয়ের এই অসাম্য,
দূর কর মাগো, আনো সাম্য,
সব মানবীরই কাম্য।
মনে পড়ে স্মৃতি
অশোক কুমার পাইক
মনে পড়ে আজ কাচের বয়ামে
জোনাকি ধরার খেলা,
মনে পড়ে সেই ফড়িং ধরার
নিত্য দুপুর বেলা !
মনে পড়ে আজ বাবুই পাখির
বাসা ভাঙা ডিম চুরি,
চেয়ে থাকি সেই শূন্য আকাশে
সাথীরা উড়াই ঘুড়ি !
মনে পড়ে সেই বটের তলায়
গল্প আসর চলা,
দল বেঁধে শুনি পাড়ার ছেলেরা
দাদুর গল্প বলা !
মনে পড়ে আজ উঠানে মাদুর
বিছাই গরম কালে,
মনে পড়ে সেই বড়োর শাসন
লুকাই মায়ের কোলে !
মনে পড়ে সেই সকাল বেলায়
শ্যাওলার ফুল তোলা,
মনে আছে পাঠশালা পলায়নে
গুরু দিতো কান মলা !
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে
কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন)