সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২১

Upokontha Sahitya Patrika -11/01/2021

Upokontha Sahitya Patrika -11/01/2021

 Upokontha Sahitya Patrika -11/01/2021


উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 11/01/2021

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 11/01/2021, রবিবার
               সময় :- রাত 09 টা. 30 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

              আরশিনগর
           হামিদুল ইসলাম
              

কি থেকে হঠাৎ কী হয়
      জানি না কিছু
বন্ধুরা একে একে ছুটি নেয়
    ছায়ারা ছোটে পিছু ।।

স্মৃতিগুলো মনের গভীরে থেকে থেকে
                ইতিহাস
    ওরা কাঁদায়, দুঃখ দেয়
     দেয় জীবনের পূর্বাভাস।।

হঠাৎ কোনোদিন দেখি
  আর এক নতুন বন্ধু
রাস্তা মাপে স্বর্গে যাবার
বন্ধু আমার করুণার সিন্ধু।।

জলে বাঁধি খেলাঘর
ডুবে যায় হৃদয় সাগর
বন্ধুরা একে একে বাড়ি আসে
ভরে ওঠে আরশিনগর  ।।


                 সংশয়
         হামিদুল ইসলাম
           

হারিয়ে যাচ্ছি গভীর রাতে
অন্ধকার চারদিক
ধারপাশে কেউ নেই
আজ পুতুল খেলা বাকি পড়ে থাক    নির্জনেই ।।

জীবন পুতুল খেলা
খেলছি সারা জীবন
তুমি আমার চোখ বাঁচিয়ে চলো
সারা জীবন আমিও খেলি, তুমিও খেলো  ।।

তবু আমার সন্দিগ্ধ মন
তোমাকে ফাঁসায়
মান অভিমানের পালায় আমি হেরে যাই নিত‍্য
যখন তোমার বুকের মাঝে থাকে না ভালোবাসার চিত্ত ।।




পৌষ সংক্রান্তি
বিপ্লব গোস্বামী

সংক্রান্তি এলে আনন্দে ভাসে
ঈশানবাংলার গ্ৰাম ;
মহানন্দে সব গিন্নী করেন
পিঠে-পুলি ধুমধাম।
বাংলার প্রতি আঙ্গিনা সাজে
রঙিন আলপনায় ;
কিশোরী মনে নাড়া দেয়
শতেক কল্পনায়।
ঊষা কালে স্নান সেরে
মেড়ামেরি দাহন ;
নববস্ত্র পরিধান করে
গুরুজন বন্দন।
বেলা বাড়লে শুরু হয়
নগর পরিক্রমা ;
রসাল সুরে মেতে উঠেন
যত সব রমা।
তিল,গুড়,সন্দেশ,মিষ্টি
ছানা,দুধ,দই ;
রকমারি সব পিঠে-পুলি
মুড়ি,চিড়া,খই।
মাছ,মাংস,পিঠা,মিষ্টি
হরেক প্রকার ভোজন ;
বিকেল হলে হাটে বসে
বাউলের ভজন।




বদলে গেছে
বিপ্লব গোস্বামী

আধুনিকতায় গ্ৰাস করেছে
বদলে গেছে দেশ,
বদলে গেছে আদব-কায়দা
বদলে গেছে বেশ।
বদলে গেছে শহর-নগর
বদলে গেছে গ্ৰাম,
বদলে গেছে জাত-পরিচয়
বদলে গেছে নাম।
অবনী এখন অব্নি হয়েছে
কৃষ্ণ হয়েছে কৃষ,
কর্ণ এখন করণ হয়েছে
তৃষ্ণা হয়েছে তৃষ।
মনসা এখন মন্সা হয়েছে
মানসী হয়ছে মান্সি,
রোবিয়া এখন রোব্বি হয়েছে
তানিসা হয়েছে তান্সি।
সম্ভাষণের রীতি হারিয়েগেছে
বদলে গেছে ধরণ,
নমস্কার এখন হারিয়েগেছে
হেন্ডসিপে হয় বরণ।




বিবর্ণ ক্যানভাস
ডাঃ তারক মজুমদার

সাদা কালোয় দ্বন্ধে বিভোর
উপোশী যত মন
স্বপ্ন যতই খান খান
অটুট থাকবেই  পণ।

জীবন নদীর বাঁকে আজ
কত কী যে ঘটে
স্বচ্ছ পোশাক  কালিমা লিপ্ত
অনেকেই শুধু চটে।

মন যদি হয় আনমনা
বিবর্ণ  ক্যানভাস
অশ্রুসিক্ত নয়নে জোটে
শুধুই উপহাস।






ইচ্ছেরা
    শাশ্বতী দাস

ইচ্ছে ছিল হারিয়ে যাব
নীল সাগরের দেশে,
যেখানেতে সফেন ঢেউ
নীল দিগন্তে মেশে!
তোর বুকেতে মাথা রেখে
দেখবো নীল চাঁদ,
নীল জোছনায় ভেসে যাব
দুজনে একসাথ।
আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নগুলো
সাজিয়ে নীল রঙে
ভাসিয়ে দেব মেঘের ভেলায়
তোর ঠিকানা লিখে।
তুই যে আমার  নরম রোদের
উষ্ণ গরম ছোঁয়া,
তোর পরশে তৃপ্ত আমি
আমার সকল পাওয়া।।




দল
উমর ফারুক

সব দল দুর্বল একটিও
শক্ত নয় কখনোই, যে চুরি
করে তার ভয় সব সময় বলে
দল বদলের হিড়িক পড়েছে।
কিছু দল দুর্বল নয়
আমি তাদের দলে নেই যে দলে
ঘুম হয় হারাম, শত পাহারাদার
দুশমন পাখির চোখ করে।
সেই দলে বেঁচে থাকি
বাঁচার মত বাঁচি
যারা আমাকে কাছে চায়
ডানেও  দেখি বামেও দেখি
যেখানে দলে দলে  কুন্দল
সেখানে দল করা হয়ে ওঠেনা।
স্বদেশী মার্কা কিছু দল
দেশপ্রেমের দোহায় দিয়ে
স্বার্থ সিদ্ধিতে দেয় ডুব ;
তারা সত্যের দিকেও যায়না
মিথ্যার দিকেও নয়,
স্বার্থ রক্ষার দিকে ছুটে অবিরাম!



মা
©মম

মহাসাগররূপী গর্ভে
আমি ছিলাম নিমজ্জিতা যখন,
নোনা জলে ভিজে দেহে তখন,
করতাম অনুভব-তাঁর হৃদ স্পন্দন।
যাঁর দেহ রস শুষে নিয়ে
বর্ধিতা হত আমার অপূর্ণা, ক্ষুদ্রা অবয়ব,
তাঁর সম্পূর্ণা, পরিপূর্ণা ধরে।
      এ তো এক চিরাটুট বন্ধন।
              নিজের প্রকৃত পরিচয় যার
মাতৃত্ব দিয়ে।
        যে আমার উপস্থিতীতে
নিজেকে ভরত নারীত্বের গর্বে,
সে ই তো যুগ যুগ ধরে
প্রাণ প্রবাহ ধারিণী মা।
এই তো আদি সাধনা, তপস্যা-
সন্তানের জন্ম দিয়ে
                সফল হয় যা।
        সকল সৃষ্ট জীবনই তার-
                হ্যাঁ মা'র কাছে চির ঋণী;
          অনন্ত প্রাকৃতিক রীতিতে।
পার্থিব বংশ বিস্তার করার স্থিতিতে,
              যে অশেষ হয়ে
       আপন ইচ্ছায় কষ্ট সয়ে
জগৎকে দেয় সন্তান উপহার,
         ঐচ্ছিক জাগতিক নীতিতে।
যাঁর সন্তানই একমাত্র চাওয়া।
তাই তো মা অবশ্যই উপাস্যা।
"মা", শান্তির একটাই মন্ত্র।
কারণ, মা'র জন্যই পাওয়া
                       সকল শরীর তন্ত্র-যন্ত্র।
সকল সৃষ্টির মা'ই নমস্যা।





স্মৃতির_পাতায়
শান্তি_দাস

আজও ভেসে উঠে মনের কোনে স্মৃতির আবহনে,
স্মৃতির পাতায় রাখা আছে মনের জাগরণে।
কত সুন্দর সেই দিনগুলো ইচ্ছে জাগে ফিরে যেতে,
সেই ফেলে আসা ছোটবেলা,খেলা আর খেলা মেতে থাকা।

সেই স্মৃতি গুলো ছোট বেলার অকপটে ছবি আঁকা,
সকাল হলে বর্ষার জমানো জলে কাদামাটি মাখা,
বৃষ্টি ভিজে ভিজে আম গাছের তলায় কুঁড়িয়ে আম খাওয়া,
কচু পাতার ছাতা নিয়ে ঘুরাঘুরি করা জল ছিটিয়ে দেওয়া।

ঝরা আমগুলো কুঁড়িয়ে,গামছায়  করে হতো আনা,
বন্ধুরা সবাই মিলে আম কুঁচিয়ে ভর্তা মাখা সবার জানা।
বড় ইচ্ছে জাগে,সেই দিন গুলো ফিরে পেতে,
সেই দিনগুলো রান্নাবাটি খেলায়  থাকতাম মেতে।

মাটি দিয়ে ভাত রান্না আর গাছ থেকে সবজি পাতালতা,
কি আনন্দ কি আনন্দ ছুটে বেড়াতাম যেথা সেথা।
সন্ধ্যা হলেই মায়ের বকুনি পড়তে বসতে হবে জোর,
সারাদিনের ক্লান্তি পড়তে বসলেই  চোখে ঘুমের ঘোর।

অতীত কিন্তু নয়কো মোর বর্তমানকে ভুলে থাকা,
অতীত আমার স্বপ্ন মধুর স্মৃতির আবেগ জাগা।
নিজের ছবি দেখি যখন ভাবতে লাগে মনে ব্যথা,
পুরনো সেই দিনগুলো স্মৃতির পাতায় গাঁথা।





দুই মেয়ে
সুস্মিতা দে

খুকি তুই  উঠে পড়
ফুলের থালা সাজা পর পর।
ঘোড়া পিঠে চড়ে পড়।
আমি যাবো গাই চড়াতে খাবার  থালা আছে সাজানো আছে  পর পর।
পড়া লেখা করে বড়ো হবে দুই মেয়ে  পড় পড়।
মাথা ঠান্ডা তে একটি  হলো শ্বশুর বাড়ির পর।
বুদ্ধিমতি বুদ্ধি করে শ্বশুর বাড়ি হলো নয় মোটেই পর। জীবনের পথে চলতে গেলে বুঝতে পারছি না কে আপন আর কেউ হলো সত্যি পড়।






ওরা স্বাধীন 
আব্দুল রাহাজ

একটা ছোট্ট বনের মধ্যে বাস করে ওরা  প্রকৃতির মায়ের কোলে বেশ সুখে-শান্তিতে পরস্পরের মেলবন্ধন নিয়ে বসবাস করে ‌। বনের ফলমূল কাঠ প্রধান স্তম্ভ ওদের কাছে এইভাবে ওরা যুগের পর যুগ বাস করে সেই
ছোট্ট বনের ভেতরে। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে নদী আঁখি প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে সে হেলিয়ে দুলিয়ে চির দিগন্তের পথ ধরে বয়ে চলেছে। বেশ মনমুগ্ধকর পরিবেশে ওরা বসবাস করে। ছোট্ট বন ছিল ওদের কাছে এক সুন্দর মায়াময় পৃথিবী ওরা ওদের পার্বণে প্রকৃতি মাকে স্মরণ করে প্রকৃতি মা ওদের সহায় হয় ওরা যেন কোথাও স্বাধীন এই মহাবিশ্বে। সত্যিই অবাক লাগে বনের পশু পাখি সবাই যেন ওদের সাথে পরস্পরের বন্ধু প্রান্তিক হলেও দুবেলা দুটো ভাত খেতে না পারলেও স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে সবুজ মায়ের কোলে এক পরিবেশে সত্যিই অসাধারণ ওরা স্বাধীন ওরা স্বাধীন এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না আর সূর্যের উজ্জল দীপ্ত রাশির মত ওরা যেন প্রকৃতির মায়ের কোলে  নক্ষত্রের মতো বেঁচে আছে  আজীবন।

রবিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২১

Upokontha sahitya patrika-09/01/2021

Upokontha sahitya patrika-09/01/2021

 Upokontha sahitya patrika -09/01/2021

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 09/01/2021

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 09/01/2021, শনিবার
               সময় :- রাত 09 টা. 30 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


ছবিতা-৮
ডাঃ তারক মজুমদার

মুখের ভাষায়
   থাকলে আগুন
       সব কিছু ছারখার
            বিদায় নেয় ফাগুন । ।




তিনিই সব
বিপ্লব গোস্বামী

তিনি সূর্য হতেও অতি পুরাতন
তিনি বিকশিত কুঁড়ি অপেক্ষাও নূতন।
তিনিই আনাদির আদি প্রভু,তিনিই সম্পূর্ণ
তিনি অনাচারী-অত‍্যাচারীর দর্প করেন চূর্ণ।
তিনি রক্ষা করেন ভবের প্রতি জীব
প্রলয় ধ্বংশে নিজেই তিনি শিব।
আলো দানিতে তিনি নিজে দিবাকর
জ‍্যোৎস্না বিলাতে তিনিই সুধাকর।
স্বর্গ শাসিতে তিনিই তো বাসব
কৌরব নাশিতে তিনিই পাণ্ডব।
তিনি অনাদির আদি ভোলা-পশুপতি
তিনিই ধনের স্বামী কুবের ধনপতি।
জ্ঞান বিলাতে তিনিই বৃহস্পতি
শক্র নাশিতে তিনিই সেনাপতি।
জ্ঞানে-বিজ্ঞানে তিনি সীমাহীন সাগর
সর্ব মন্ত্রের সার তিনিই একাক্ষর।
তিনি বারিবাহি গঙ্গা পবিত্র নির্মল
তিনিই বাঁধার প্রাচীর বিন্ধ‍্য-হিমাচল।
তিনিই উপাস‍্য স্বামী সর্ব দেবগণে
তিনিই  সুধা রক্ষক সমুদ্র মন্থনে।
তিনিই  গন্ধর্ব ,তিনিই চিত্ররথ
পশু মধ‍্যে তিনিই শ্রষ্ঠ ঐরাবত।
তিনিই বরুণ ,তিনিই জলাধিপতি
তিনিই প্রহ্লাদ ,তিনিই সুকৃতী।
রারণ বধিতে তিনি রাম দশরথি
তিনিই এনেছেন মর্ত‍্যে গঙ্গা-ভাগীরথি।
তিনি গঙ্গা ,তিনিই গায়ত্রী ,তিনিই সাবিত্রী
তিনিই শ্রী,বাণী,স্মৃতি,মেধা,ক্ষমা,ধৃতি।




কবিতা :-
     পথভোলা
    শান্তি দাস

জীবন একটা নাট্যমঞ্চ অভিনয় করে চলা,
এই অভিনয় যে মোদের নিত্য দিনের খেলা।
মনে হয় পথ হারিয়ে যাই কোথাও চলে,
পথভোলা পথিক হয়ে দূরে আরও দুরে।
প্রশান্তি জাগা মনে কোন এক ভবের সন্ধানে,
যেখানে নেই জোট ঝামেলা নেই কোন অনুসন্ধানে।
উদাসী মন ছন্নছাড়া পথভোলা সুরের বাঁধন,
চোখ জুড়ানো মন ভরিয়ে অজানা পথে বহু সাধন।
নতুন পথের সন্ধান পেতে পথের বাঁকে বাঁকে,
মনের মধ্যে পাইনা জবাব পাই না তার কোন মানে।
পথভোলা পথিক হয়ে জীবন পথের খোঁজে,
জীবনের নাট্যমঞ্চে ধর্ম পালন ক নিজেকে বুঝে।
জীবন পথের পথিক হয়ে কাঁধে দায়দায়িত্ব তোলা,
যতই বলি না কেন আমি যে এক পথিক পথভোলা।




বিশে বিষক্ষয়
তাপসী প্রামাণিক

বিশ সালে করে বিষক্ষয়
একুশে  দিলাম পা
জীবন- মরণ বাজী রেখে
পিছনে ফিরব না।

অনিশ্চয়তার অন্ধকারেই
বিশ সাল ছিল ভরা
তিক্ত বিষাক্ত অভিজ্ঞতায়
কেঁপে উঠেছে ধরা।

একুশে ফিরুক সুখ-স্বস্তি
মিটুক মনের আশা
পৃথিবী হোক দূষণ-মুক্ত
শান্তি -ভালোবাসা।

নতুন বছরের নতুন স্বপ্ন
করব না আর ভয়
আঁধার ঘুচে আলোয় ফেরা
মানুষের হোক জয়।

              *****



                  নীরাকে
           হামিদুল ইসলাম
             

নীরাকে ভালোবেসেছিলাম
ভুলে গেছে ও সে কথা
দুঃখের দিনে আমার আঁধারে কাটে রাত
বন্ধু জানিয়ে দেয় বিদায় ব‍্যথা  ।।

বন্ধুই ছিলো নীরা
তার আপাদমস্তক গড়ায় দুপুরের রৌদ্র
বাসি ফুলগুলো ঝরে পড়ে প্রতিদিন
আমার দুচোখে সমুদ্র  ।।

নীরার হাত ছিলো আমার হাতের উপর
নীরাকে বরাবর দেখেছি উত্তপ্ত ঘুড়ি
মনের মালিন‍্য ধুয়ে দিতো সে
যখন তার রুপোলী ঠোঁটে ভালোবাসার ছড়াছড়ি ।।




গ্যালিলিও
©মম

পরম সত্য যা বিজ্ঞান তা।
অকারণ তবুও মৃত্যু বরণ।
অতি মূল্যবান প্রাণ হরণ।
আজ তাকে করি স্মরণ।
হায়! সত্যই কী আছে বিধাতা?
সত্যই কী পূজ্য তার শ্রী চরণ?
বিজ্ঞান কী প্রমান করতে পারে, সিধা তা?
আবিষ্কারকের হল মরণ।
এ কেমন বিচারের ধরণ?
কত অত্যাচার সহ্য করা।
কত নির্যাতন সহ্য করা।
কেন? এ ই কী সত্যের প্রাপ্য? হায়!
আজ বিজ্ঞান সঠিক উত্তর চায়;
কী পেল সে, বল তো, ওহে জগৎ!
ভুল তো ছিল না তার পথ।
ভুল তো ছিলে তুমি, হে বিশ্ব!
হায় গো ভুল-শূল!
আর কেউ ছিল না অজ্ঞ, তব সমতুল।
চিনতে তাই পারো নি তাকে,
সে ছিল সত্যের শিষ্য,
তুমি অন্যায়ের পথে শেষ করলে যাকে।
তবুও তার পৃথিবী আজও ঘুরেই চলে
সূর্যের চারিদিকে নিজের সম্পর্ক বলে।
শুধু তার জীবন থেমে গেল, সত্য বলার ফলে।
মিথ্যে অশ্রু জলে
ভাসলো সুকর্ম তার।
সত্য শুধুই করল হাহাকার।

শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২১

Upokontha Web Megazine-08/01/2021

 Upokontha Web Megazine-08/01/2021

গোলাপ
     বিপ্লব গোস্বামী

একটা বজ্র কীট গোলাপটাকে
কেটে টুকরো টুকরো করে দিলো।
তুব গোলাপ হারায়নি গৌরব
টুকরো পাপড়িতে পুষ্পের সৌরভ।
সেতো গোলাপ,ফুলের রাণী
ছন্দমাখা পদ‍্য,নবিসের বাণী।





এক লাইনের কবিতা :
( শেষের দুইটি ব্যতীত)

বিন্দু বিসর্গ
  সৌম্য ঘোষ

১) ‌ বাঁশি তার ভাষা লেখে হাওয়ায় , গোপনে..

২) কেউ তো আসে না , তবু আমি কার জন্য অপেক্ষায় থাকি....

৩) মানুষ ছদ্মবেশে ভীষণ শ্বাপদ

৪) একটি আশ্চর্য বই লিখে রাখে আমার গোপন যাপন

৫) জল রহস্যের দিকে যত দেখি, ততই ভেসেছি গভীরে

৬) তোমাকে প্রদক্ষিণ করি, আর তুমি প্রিয় হয়ে ওঠো

৭) ছায়া পড়ছে মানে জেনে রেখো রোদ্দুর রয়েছে

৮) মায়ের আঁচলের মতো শান্তি

৯) ছিঁড়ে ফেলো অন্তহীন মায়া তন্তুজাল,
     একবার তোমার কাছে আসতে চাই।।

১০) গাঢ় আঁধারের খাঁজে রয়েছি আটকে
       কোথাও তো হয় 'ভোর'
      কোথাও না কোথাও আলো থাকবে,
       কেননা অন্ধকারে ছবি আঁকা যায় না।।




রমনী জীবন
সুস্মিতা দে

পুকুর পাড়ে সেচের
জলে ফসল ফলাতে
কৃষক রমনীরা
হাঁটু জলে কতো
কাজ করে ধান বোনে
ধান ঘরে তুলে
রাখে ।

বাসনে বাসনে
ঠোকাঠুকি
করে পায়ে পা
দিয়ে ঝগড়া শুরু
করে হাসা হাসি
করে রোজ নামচা
চলে।

ছোট ছোট ছেলে
মেয়েদের ছিপে মাছ
কিছু ওঠে ।বেশি কার
কার কম এই নিয়ে
হাতাহাতি চলে জন্মের
মতো আড়ি ভাব
আদান প্রদান চলে

শান্তো হবে বাচ্ছারা
কবে রমনীরা গালগল্প
করে কেউ যদি বলে ?
ছেলে আমার ভালো ?
অপর রমনীরা গলা
বাজি করে মেয়ে
আমার  বড়ো লক্ষী
ঘরের সব কাজ সাড়ে ।

রোজ নানা কথার
খেলা চলে নামচা
শেষ হলে খুশি মনে
ঘরে ফেরে সব গাঁয়ের
বধূ ।একটি ছন্দে জীবনে
সহজ সরলতার মাঝে
স্বল্প শান্তিতে ঘরের বাঁধন

আমার মদনটি গ্রামের
সোনার টুকরো ছেলে
বলে দম্ভ করে মায়েরা
নিজেদের মধ্যে মুখে
মুখে তুমুল ঝগড়া
শুরু করে ।

এই হলো রোজ নামচা।
রমনীদের রোজ পুকুর
ঘাটে চলে। তা না
হলে সাড়া দিন মাথা ধরে।



প্রবন্ধ
শীতের ভ্রমণ, পিকনিক ও বাঙালি
  - অগ্নিমিত্র

  বাঙালি মানেই ভ্রমণ ও পিকনিক। এমনিতে আমরা  অলস; কাজেটাজে তেমন মন নেই । কোনরকমে কাজকর্ম শেষ করে বা না করে বাঙালি ছুটিছাটা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে শীতের ভ্রমণ ও পিকনিকে । শীতে আবহাওয়া একটু শীতল বা মনোরম থাকে, তাই দিনের বেলায় কাছেপিঠে বেড়াতে বা পিকনিক করতে বাঙালি খুব পছন্দ করে । এই পিকনিকে অনেক সময়ে তারা রান্নার সরঞ্জাম নিজেরাই নিয়ে যায়, আবার অনেক সময়ে রান্না করে বেঁধেছেঁদে নিয়ে যায় ও আনন্দ সহকারে খায় । এতটাই ভ্রমণপিপাসু বাঙালি ।
  শীতের ভ্রমণ মানে আবার বকখালি বা মন্দারমণি , বা পুরুলিয়ার মতো জায়গা । বা দেওঘর, মধুপুর । অনেক দুঃসাহসী বাঙালি আবার শীতে পাহাড়ে ছোটে । তাতে দুই লাভ, বরফ দেখতে পাওয়া যেতে পারে আর ভিড়ও একটু কম থাকে ।
  এখন অতিমারী, লকডাউন ও যানবাহনের অপ্রতুলতার কারণে বাঙালির এই শীতের ভ্রমণ ও চড়ুইভাতির অভ্যাস একটু হলেও বন্ধ হয়েছে, তবে এখনও অনেকে বাইক বা নিজের গাড়ি নিয়েই এদিকে সেদিকে বেরিয়ে পড়ছেন । ক্ষীরাই, গনগনি, ব্যারাকপুরে জহরকুঞ্জ,  মুকুটমণিপুর ইত্যাদি ।
  তবে একটা কথা, কোথাও বেড়াতে বা পিকনিক করতে গিয়ে আমরা সেসব জায়গায় বর্জ্য পদার্থ ফেলি ও খুব নোংরা করি । এবিষয়ে আমাদের বিশেষ সুনাম বা বদনাম আছে । এই কাজগুলো বন্ধ করতে হবে ।  আর আগে বাড়ি বা অফিসের আবশ্যক কাজ, তার পর ভ্রমণ । এই কথা মাথায় রাখা উচিত ।।




ভাঙ্গা গড়া
শান্তি দাস

পৃথিবীর বুকে জন্মিলে মরিতে হয়,
তবুও ভাঙ্গা গড়া নিয়ে নেই কোন ভয়।
ধ্বংসের মধ্যেই নিহিত আছে সৃষ্টির বীজ ,
ধ্বংস হলেই তো সৃষ্টির জন্য প্রস্তুত নিজ নিজ।
পৃথিবীতে চলছে আবর্তন চক্রের মাধ্যমে,
সৃষ্টি কর্তার সৃষ্টি আছি আমরা আছি তার সান্নিধ্যে।
সৃষ্টি তো চিরস্থায়ী নয় ভাঙ্গা গড়ার খেলা,
একদিকে সৃষ্টি একদিকে ধ্বংস এটাই প্রকৃতির লীলা।
ধ্বংস আছে তাই তো নতুনের সৃষ্টি হয়,
একদিকে মৃত্যু অন্যদিকে জন্ম তাতে ক্ষয় নয়।
মানব জাতির এই রঙ্গমঞ্চের খেলা যুগযুগান্তর,
তাই তো এই ভাঙ্গা আর গড়া চলছে অন্তর অন্তর।
জীবন পরিচালিত পথে কত ঝড়ঝঞ্জা আসে,
বিপর্যয় মোকাবিলা করতে একে অপরের পাশে।
মানব জাতি শ্রেষ্ঠ জীব পুরাতন বিদায়ে নতুনের আহবানে,
তাই পৃথিবীর ঘুর্নাবর্তে নিত্য নুতুনের জাগরনে।





সেই রাত
আব্দুল রাহাজ

দিনটা ছিল শুরুতেই রোদ ঝলমলে সবাই যে যার কাজে চলে গেছে বেলা বাড়তেই সূর্যের উজ্জ্বল রশ্মি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল পাখিদের কুজনে সবুজের ঘনঘটায় পরিবেশ পেল এক অনন্য রূপ। গ্রামের ছেলে মেয়েরা দুটো নদী পেরিয়ে ইস্কুলে বেরিয়েছে ওদের সাথে আছে রহিম আলী শেখ মাস্টারদার মেয়ে চন্দ্রিমা গল্প করতে করতে কানু মাঝির নৌকায় উঠে ধলেশ্বরী ও চূর্ণী নদী পার হয়ে স্কুলে পৌঁছালো ওদের স্কুল বেশ ভালোভাবেই স্কুলে কাটিয়ে বাড়ি ফিরবে হাত ধরাধরি করে। ওরা সবাই নদী ঘাটে এসে দেখল আকাশে কালো মেঘ মাঝিরা কেউ নদীতে নৌকার পারাপার করছে না সেজন্য ওরা ঠিক করল পায়ে হেঁটে পলাশ বনের মধ্য দিয়ে বাড়ি চলে যাবে এখনো সন্ধ্যা হতে ঢের দেরী কিন্তু এদিকে ঝড় বাতাস বইছে ওরা বনের মধ্যে একটা পুরো বাড়িতে আশ্রয় নিল। শেখ বলল আজকে আর বাড়ি যাওয়া হবে না হয়তো এখানেই থাকতে হবে মাস্টারদার মেয়ে চন্দ্রিমা বলল এটাতো হানাবাড়ি কি হবে সবাই প্রভুর ডাকতে ডাকতে এক জায়গায় বসে পরলো। ঝমঝম করে বৃষ্টি হচ্ছে সেইসাথে ঝড়ো হাওয়া ওরা ক্ষুধায় কাতরাচ্ছে দেখলো সামনে একটি কলা গাছ আছে সেখানে বেশ একটা পাকা কলার কাঁদি গাছে ঝুলছে সেটা গাছ থেকে নামিয়ে রাতের খাবারটা শেষ করলো । তারপর দেখল একটা বিকট আওয়াজ আসছে পূর্ব দিক থেকে তারপর ওরা সবাই এক জায়গায় জড়ো হয়ে কাঁপতে লাগলো শেখ দেখল একটা মাটির সুরঙ্গ আছে চল ওখানে গিয়ে আশ্রয় নিই ওরা আস্তে আস্তে সেখানে আশ্রয় নিল। সত্যিই ওরা সেদিন ভূতের বিকট আওয়াজ শুনে ছিল ওই বাড়ি থেকে এখনো ভোর হতে ঢের দেরি ওরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে রহিম শুধু জেগে আছে রহিম দেখল ভুতের চেহারাটি আস্তে আস্তে সুড়ঙ্গের ভেতরে ঢুকে কাঁপতে লাগলো। এদিকে ফজরের আজান ভেসে আসে কানে রহিম তড়িঘড়ি নামাজ পড়লো তারপর ওখান থেকে ওরা বেরিয়ে পড়ল বনের ভিতর দিয়ে ভিতরে দিয়ে ওরে যে যার বাড়ি চলে গেল। ওদের বাবা-মা ওদের দেখে বেশ খুশী হয়েছিল তারপর বিকাল বেলায় ওরা নদীর পাড়ে বসে সেই সব কথা আলোচনা করছিল চন্দ্রিমা বলল ওই রাত আমাদের কাছে এক ভয়ঙ্কর রাত কি বলিস তোরা ওরা বলল হ্যাঁ হ্যাঁ।






                 কষ্ট
         হামিদুল ইসলাম
            

আমাকে কষ্ট দিতে চাইছো ?
দাও
আমি কষ্ট সইতে এসেছি
আমি তোমার কষ্টের ভাগ নিতে এসেছি
তোমার কষ্ট গলায় বেঁধে
আমি সুদূর সাগরে ডুব দিতে চাই  ।।

আমাকে কাঁদাও
আমাকে হাসাও
আমি কাঁদতে চাই সারা জীবন
তোমার জন‍্যে আকাশ ফাটিয়ে চিৎকার করতে চাই
আমি বলতে চাই
আমাকে আরো কষ্ট দাও  ।।

আমাকে আগুনে পোড়াও
আমি চিতা হতে চাই
পুড়ে যেতে চাই গভীর দুঃখে
আমার ছাইগুলো উড়ুক পৃথিবীময়
আঁধারে ঢাকুক আকাশ
আমি আকাশের সীমানা পেরিয়ে তোমার কাছে ফিরে আসবোই ।।





  পরকীয়ার মসকরা
   ডঃ রমলা মুখার্জী


পরকীয়া হল মহতি প্রেম
      যদি না পড় ধরা,
তাই তো খুব রিস্ক এই
      পরকীয়া প্রেম করা।
জেনেশুনেও অবুঝ চোখ
   পরের দ্রব্যে চায়-
পরকীয়ার কর্মে হায় রে
  নাকানি-চোবানি খায়।
তবুও উপরি পরকীয়া
     ভীষণ নাকি মিষ্টি-
যদিও লোকের দৃষ্টিতে তা
  ন্যাস্টি, অনাসৃষ্টি।
রাধাকৃষ্ণের পরকীয়ার
     অমর প্রেমের গানে-
পরকীয়ার প্রেমিক ছোটে
     ভরা কোটালের বাণে।

বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২১

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 07/01/2021

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 07/01/2021

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 07/01/2021


   বিষয়: প্রবন্ধ
     শীতের সকাল ও ফেলুদা
      অগ্নিমিত্র ( ডাঃ সায়ন ভট্টাচার্য )

   শীতের সকালে আড়মোড়া ভেঙে উঠি । আর উঠে যদি সামনে পাই এক কাপ ধোঁয়া ওঠা কফি আর ফেলুদার কোনো গল্পের বই, তবে তো আর কথাই নেই। সোনায় সোহাগা হয়ে যায় তখন একেবারে । শীতসকালের মিঠে রোদে বসে সেই বই পড়তে তখন খুব ভালো লাগে।
  বাঙালি বরাবরই গোয়েন্দা গল্পের খুব ভক্ত । আর তার হৃদয়ে তাই বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন ব্যোমকেশ বক্সী ও ফেলুদার মতো চরিত্র ।
সত্তরের দশকে ফেলুদার যাত্রাপথ শুরু। তার পর থেকেই মধ্যবিত্ত বাঙালির প্রিয়তম গোয়েন্দা চরিত্র এই ফেলুদা বা প্রদোষ মিত্র । বাদশাহী আংটি, নয়ন রহস্য, টিনটোরেটোর যীশু, বোসপুকুরে খুনখারাবি  প্রভৃতি ফেলুদার সব গল্পই বাঙালি পাঠকের খুব প্রিয় । তার চেহারা, তার বুদ্ধিমত্তা, আর তোপসে লেখার কায়দা, সবই বাঙালি পাঠকের মনকে খুব আকর্ষণ করে । সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট তারিণীখুড়ো বা প্রফেসর শঙ্কুও খুব জনপ্রিয়, তবে এতটা নয়। এই মুঠোফোনের জমানাতেও সেই জনপ্রিয়তায় একটুকু ভাঁটা পড়েনি।
  শীত শীত করা সকালে ফেলুদার বই ছাড়া আরো একটা জিনিস খুব প্রিয়, আর তা হলো টিভিতে ফেলুদার সিনেমা দেখা । আজও 'সোনার কেল্লা' বা 'জয় বাবা ফেলুনাথ ' টিভির পর্দায় প্রচারিত  হলে বাঙালির আর কিছু চাই না। ফেলুদা আর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় যেন একাত্ম হয়ে গিয়েছেন বাঙালির হৃদয়ে । যতবারই দেখা হোক না কেন, এই ছবিগুলো কখনো পুরনো হয় না ।।





সুখের_স্বপ্ন
      শান্তি_দাস

নিত্য দিনের কর্মযজ্ঞ সকাল থেকে শুরু,
নতুন দিনের নতুন আশা সেই কামনা করি।
কত স্বপ্ন আজ গেল তো কাল জুটবে বেশি,
তাই তো পুরাতনের মাঝে নতুনকে আমরা খুঁজি।

ঘুমিয়ে পড়লে স্বপ্ন দেখি ভাঙলো ঘুম সেই জগতেই আছি,
স্বপ্নে আঁকা জীবন নিয়ে কতো চিত্র আঁকি।
নিত্য নতুন স্বপ্ন নিয়ে সময়ের পথে চলি,
এইভাবে চলছে ঘূর্ণাবর্তে বছর বারো মাস।

স্বপ্ন নিয়ে জীবন গড়া তাই মোদের সঙ্গী,
সেই স্বপ্ন কিন্তু দিয়ে যায় শুধু আশ্বাস।
পুরনো স্মৃতি রাখবো না মনে নতুন পথে চলবো,
স্বপ্ন নিয়ে চলবো আমরা এই করবো প্রতিজ্ঞা।

অতীতের ব্যাথা বেদনা মুঁছে দিয়ে স্বপ্ন সফল করবো,
জাগবো নতুন প্রভাতের আলোয় নতুন করে বাঁচার।
কত সুখের স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় দুঃখের মাঝে,
সুখের স্বপ্ন তো মানুষের মনে আনন্দের প্লাবন।

মানুষের জীবনে শুধু স্বপ্নের তরী বয়ে চলে,
তাই তো জীবন বাঁচতে শেখায় চরম বাস্তবতায়।
সুখের স্বপ্নগুলি মাঝে মাঝে সুখ দিয়ে যায়,
স্বপ্ন দেখায় সফল হলে মনের কষ্টের দিন চলে যায়।





   এ এক অন্য কিছু
     তৃণা মুখার্জী

সভ্যতার মারপ্যাঁচে, ভন্ড মানুষের দল তীব্র থেকে তীব্রতর।
কোলাহলের আওয়াজে একটাও কথা স্পষ্ট নয়।
কে কি বলছে তা বোঝা দায় ।
আসল-নকল মিলেমিশে একাকার।
কঠিন বাস্তবের ভূমিতে হাস্যকর ভালো থাকার লড়াই ।
উদ্ধারের পথে ঢালু জমিতে , বিষবৃক্ষ।
এক একটা টোপ ভয়ঙ্কর, নির্মম ।
কি?
কেন?
কার?
কখন?
সময়ের নৃশংসতা।
অপেক্ষার প্রখরতা।
আবেগের বন্দিদশা।




                     ঘোর
            হামিদুল ইসলাম
               

নৈরাজ্যের পালে আগুন
আকাশ অন্ধকার
গগন জোড়া মেঘ দেখি
ভালোবাসা বিস্তার ।।

কে কার জন‍্যে
তবু বুকে রাখি ভরসা
নৈঃশব্দে ভরে ওঠে প্রাণ
জীবনের তারুণ‍্যে কেবল হতাশা ।।

জীবন গভীর সংকটে
তবু পথ চলি একা
বৃষ্টি ঝরা রাতের আকাশ
এতো কাছে তুমি তবু তোমার সাথে হয় না দেখা ।।

হে বৃষ্টি ছেড়ে যাও
ফিরে আসুক সূর্য ওঠা ভোর
ভোরের আলোয় পৃথিবী উদ্ভাসিত হোক
কেটে যাক বিদীর্ণ মনের ঘোর ।।




কাটমানি
মহীতোষ গায়েন

কাটমানি কাটমানি কাটমানি ভাই
ভালো পদ,নেতা হতে কাটমানি চাই,
কাটমানি কাটমানি কাটমানি দিন
কাটমানি ছাড়া মানুষ মর্যাদাহীন।

দাদা খায় কাটমানি দিদি কম কিসে
কাটমানি মরে সেই কাটমানি বিষে!
মামা নেয় কাটমানি মামি ধরে গান
কাটমানি বাবু খান কাটমানি পান।

চাকরিতে কাটমানি নেন বড়বাবু
কাটমানি ভাইরাসে জনগণ কাবু,
কাটমানি সিণ্ডিকেট কাটমানি বাড়ি
কাটমানি প্রেম শেষে চলে যায় ছাড়ি।

কাটমানি কাটমানি কাটমানি যাদু
কাটমানি নিয়ে ঘোরে কাটমানি দাদু,
কাটমানি ভালোবাসে কাটমানি সুখ
কাটমানি নিয়ে ঘোরে কাটমানি মুখ।

কাটমানি খেয়ে নিয়ে সুখে ধরায় জ্বালা
কাটমানি শয়তান সব তাড়াতাড়ি পালা,
কাটমানি পুড়িয়ে দিয়ে করো ছারখার
কাটমানি রাজারা সব হোক পগারপার।




    মনের যন্ত্রণা
    অনাদি মুখার্জি

সীমাহীন মনের যন্ত্রণা নিয়ে আজ বেঁচে আছি
শুধু তোমার পথ চেয়ে ,
তোমাকে না পাওয়া যে কত যন্ত্রণা তা তুমি বুঝবে না
বোঝার চেষ্টা করোনি!
মনে পড়ে তোমার সেই দিনের কথা ?
আমি কলেজের গেটে দাঁড়িয়ে ছিলাম
তুমি ও সেই দিন ছিলে দাঁড়িয়ে !
কেউ ছিল না আমাদের আশেপাশে ,
শুধুমাত্র আমরা  দাঁড়িয়ে ছিলাম দুই জনে !
আমরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম ,
হঠাৎ করে মুচকি হাসি হেসে ছিলাম আমি !
মনের অজান্তেই আমার হাত দুটো ধরে বলেছিলে তুমি ,
মরত যদি না আসে তোমার সাথে ঘর পাতবো প্রিয় আমি !
আমি যে তোমায় সেই দিন জীবনের থেকেও বিশ্বাস করেছিলাম !
তখন আমি বলেছিলাম আমি কি তোমার উপযুক্ত ?
তুমি বলেছিলে, অন্য কেউ যদি আমার সঙ্গী হয় ,
সেই শুধু দেহ পাবে তোমার মন নয় !
আজ কই তুমি তো এলে না আমি তোমার আশায় রয় ,
কোথায় তোমার আজ হৃদয়ে ভালোবাসা কথা ?
যদি কখনো হারিয়ে যায় না ফেরার দেশে,
আমার মনের কথা কি পড়বে তোমার মনে ?
যদি কখনো শোনো আমার চলে যাওয়া কথা ,
তোমার হৃদয়ে জাগাবে এত টুকু ব্যাথা !                   
আমি চলে গেলে তুমি বিদায় দিও হাসি মুখে ,
আমার জন্য এক ফোঁটা অশ্রু ফেলবে তোমার চোখে !
তবে আমার বুকের যন্ত্রণা একটু শান্তি পাবে !






আজব  দুনিয়া
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

আজব দুনিয়ায়  আজব  মানুষ কিছু   আছে,
ফেসবুকে হলো  পরিচয়,
তাঁরা  এসব কি  চায় আমার  কাছে?
আমার তো  দুইকাল  চলে  গিয়েছে  কবে!
এখন  আর  প্রেম  প্রেম  খেলার  অভিনয়  কি  করে হবে?

আজব  দুনিয়ার   অনেক নরনারী  তবে কি খুশী  নয়?
যাঁর  যেমন  জীবন  কাটুক  তবু   মানবতার  হোক  জয়৷
বন্ধুরা  আমার  স্রেফ  বন্ধু  হয়ে  থাকো,
তার  চেয়ে  বেশী কিছু  দাবী  করো  নাকো৷
———————————————



তোমায় আর  দেখিনি
     সঞ্জয় গোস্বামী

তোমার একটি কথায় মনে গোলাপ ফুটে,
     তোমার নিরবতায় মনে বাদল ছুটে,
       তুমি সেই রূপকথার রাজকন্যা,
                 মনে স্বপ্ন জাগাও।
       তুমি, জানিনা কোন ফুলের সৌরভ,
                সারাক্ষন গন্ধ ছড়াও,
          তুমি পূর্ণিমার ঝলমল চাঁদনি,
                  আগে আর দেখিনি,
                       আর দেখিনি।








গ্রাম বাংলার পরিবেশের বিকালের দৃশ্য
        আব্দুল রাহাজ

সেদিন রোহিত অনিমা তনিমা শেখ সবাই ওদের গ্রামে পশ্চিম দিকে বিস্তীর্ণ মাঠ আছে সেখানে ঘুরতে বেরিয়েছে ।এমনি ওদের গ্রাম চারপাশ থেকে সবুজ গাছপালা ঢাকা আর আছে মাছ চাষের বড় বড় ভেড়ি গ্রাম বাংলার পরিবেশ সত্যি মনোরম কিন্তু বিকেলের দৃশ্য এখন অন্যরূপে সবার সামনে ফুটে উঠে চারিদিকের ঠান্ডা হাওয়া ফাঁকা জায়গায় ফুরফুরে হাওয়া অনেকে মনটাকে শান্ত করে ওরা সেদিন বিকালে এই দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিল কারণ ওরা অনেক দিন বাদেই গ্রামে এসেছে শহরে পড়াশোনা করে তাই গ্রাম বাংলার পরিবেশ থেকে অনেকটাই ওরা বিচ্ছিন্ন হয়ে ছিল অনেকদিন তারপর বিকালের এই দৃশ্য দেখে ওদের মনটা ভরে উঠলো। রাখালছেলে সন্ধ্যা নামার আগেই ছাগলের পাল নিয়ে যায় বাড়িতে পাখিগুলো ভেড়ির জলের উপর কুঞ্চির গায়ে কি সুন্দর বসে আছে সত্যিই যেন এক মনোরম দৃশ্য তারপর সারা মাঠ সরিষার হলুদ গাছে চারিদিকে যেন মনোরম হয়ে উঠেছে। সন্ধ্যা নেমে আসছে সূর্যের নিস্তেজ আলো পুব আকাশে হলুদ বর্ণের মত এই দৃশ্য যেন অনন্য করে তুলছে ওদের সামনে ‌ সত্যিই প্রকৃতির সৌন্দর্য এক অনন্য এক অনন্য ওদের কাছে হয়েছিল। সেদিন ওদের মনটা বিকালের এই দৃশ্য দেখে ভরে গিয়েছিল ‌। সত্যি গ্রামবাংলার এই মনোরম দৃশ্য আর কোথাও পাওয়া যায় না এক কথায় অতুলনীয় যা জীবন চিরঞ্জিত নায়ক হয়ে থাকবে সবার মনে।





সৈকত গোস্বামী এর গুচ্ছ কবিতা

১) নিম্নচাপের আঁধার কেটে
     সূর্যসোনা রোদ
     বরফগলা বসন্তে আজ
      আমার জীবনবোধ

২)
সাঁতার কাঁটা কালো জলে
স্রোতের বিপরীত
কালো স্রোতের ওপর পারে
ধূসর অনিশ্চিত

৩)
থমকে থাকা শ্যাওলা সবুজ
প্রবহমান কাল
প্রবাহহীন পদ্ম - শালুক
নীলচে সাদা লাল




অণুগল্প
             খুনি      ||    জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

পরিযায়ী শ্রমিক লবের মনখারাপের শেষ নেই।সদ্য কোয়ারান্টিন সেন্টার থেকে
ফিরেছে সে।কোভিড-১৯ টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় সবাই স্বস্তি পেলেও
তার মন ভালো নেই।সহ-শ্রমিক সত্য আসে তাকে সান্ত্বনা দেয় কিন্তু সে শান্তি পায় না।
লব বলে,'' বাড়িতে এত অভাব,কাউকে কিছু দিতে পারি না।মজুরির টাকা সব
শেষ।বাবা-মা,বৌ-মেয়ের বোঝা হয়ে গেলুম! ''
সত্য উত্তর দেয়,''কিছু তো করার নাই।ধৈর্য ধরে থাক,দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে।
মনখারাপ করিস না''
লব গুম হয়ে থাকে,মুখে হাসি নেই।আরও দুটো দিন এভাবেই কেটে গেল।বাবার
হাঁপানির টান বেড়েছে,ওষুধ শেষ,ডাক্তারবাবু বসছেন না,মায়ের ছানি অপারেশন
করানো হয়নি.....কী যে হবে? পরিবারের একমাত্র রোজগেরে লবের কাজ নেই,
টাকাও নেই ...... ভাবতে ভাবতে অন্ধকারে সে যেন তলিয়ে যায়।এরপর সে চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে,ফিনাইলের বোতলে যেটুকু অবশিষ্ট ছিল সেটা গলায় ঢেলে
ঢলে পড়ে লব।তারপর হাসপাতাল,ডাক্তারবাবু,সাবানজল,ওষুধ আর কত কী
যে চলেছে তার কিছুই সে জানে না।জ্ঞান ফিরেই অশ্রুভেজা মেয়ের মুখ,তারপর
মা আর বৌয়ের মুখ দেখে দুঃখে তার বুক ফেটে যায়।এরপর যখন সে শুনলো
তার ফিনাইল খাওয়ার খবর শুনে তার বাবার  হার্ট-অ্যাটাক হয়ে গ্যাছে,বাঁচেন
কী না ঠিক নেই,তখন নিজেকে তার খুনি মনে হয়।
সে চিৎকার করে বলে,''আমি খুনি,আমি খুনি,বাবাকে আমি মেরে ফেললাম!! ''




My Heart is Inside the Cage
      By Sabir Ahmed
 
I have a cage ,the cage has bony bars.
Inside the bars there is a heart.
Inside the heart there is a governor
Who is very buoyant, very subtle,
Governs my life,
Governs my pulse of feelings,
Who governs my brain
How the sun governs the sunflowers,
How the wind governs the waves.

I have a cage,inside the cage
There is a pumping machine
Looks like a banana flower.
It has many pipes and tubes and wires
Vena cava, arteries, pulmonaries, nodes
Through which the hidden words
Flow to the brain,transfer to the tongue
And whisper with the pupils
With the tear glands, tear-ducts.



হিকনিক
মাথুর দাস

শীত এলে করে সব
দল বেঁধে পিকনিক,
মাঠে ঘাটে ময়দানে
জঙ্গলে নানা দিক ।

কেউ যায় কাছে দূরে
নদীতে বা পাহাড়ে,
বালুচরে গানে সুরে
মেতে ওঠে বাহারে ।

আর যদি রাঁধি বাড়ি
ঘরে, হোম-পিকনিক,
দল বেঁধে হই চই
হয়ে যায়  'হিকনিক' ।




কবিতা
  গোলাপ কাঁটা
সুস্মিতা দে

নতূন বছর এসেছে বন্ধু
মধুমাস নীলাকাশ।
কচি ঘাস ফড়িং মল্লার রাগে তুমি জড়ানো কন্যা সুন্দরী, চিনি তোমায় চিনি।

কবিতাতে তুই কাঁটা ভরা গোলাপ থাক ,শুভলগ্নে
মালা বদল সাড় গোলাপের মালাতে  তুই রূপে রূপাঞ্জলি ।

কন্যা কে বিদায় দিতে হবে যগুদাদা আসে বলে গোলাপি আজ শ্বশুর বাড়ি যাবে না
কেন?  ওর বয়স ষোলো 

জমিদার বাবু আসেন বলেন যগু তোর বোন  কবিতা লিখুক   আর  দুই  বছর গোলাপি লিখবে  কতো কবিতা 

গ্রামের মানুষের আবদার এখন লেখার সময় এখন কন্যা বিদায় নয়
আরো বছর তিনেক বাদে হবে ।গোলাপি কাঁটা তে নিজেকে জড়িয়ে নিলো।




তুমি ভালোবাসো তাই
বিপ্লব গোস্বামী

তুমি ভালোবাসো তাই
ছন্দগুলো খোঁজে পাই।
তুমি ভালোবাসো তাই
আজো পদ‍্য লিখে যাই‌।
তুমি ভালোবাসো তাই
কবি সভায় হ‍লো ঠাঁই।
তুমি ভালোবাসো তাই
প্রতি রাতে গান গাই।
তুমি ভালোবাসো তাই
উত্তরণের পথে ধাই।




A success fruit
©Mom
I am a complete fruit.
I love my mother-plant's root.
Because according to the nature's rule
For the root, now I am successful.
Though it is not seen from outside
Yet no plant can stay without it.
And so also I am not on it.
Yes, I can't to hide
It's contribution in my success.
Every fruit and it's plant's address
Yes, it is the root,
By which a plant can stand
On the land
And donate it's fruit.



উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক সাহিত্য পত্রিকা:

চিত্রকল্প
সৌম্য ঘোষ

এখানে আকাশ কথা বলে,
ময়ূরেরা ইচ্ছামত ঘরে ফেরে 
পেখমমেলে নাচে
দেবদত্তের তীর এখানে আসে না
বনভূমির পাতায় পাতায় ভরা থাকে
বসন্তের গান
কল্লোলিত নদীতে মাছেরা খেলা করে
শিকারির জাল এখানে পাতে না
এখনো এখানে আকাশ কথা বলে।
নীরব চৈতন্যের সুর ওঠে রূপকথার
উপভাষায়
এখনো বৃষ্টি নামে
ভরন্ত শস্যক্ষেত্রে।।





ইংরাজি নববর্ষের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা সকল বন্ধুদের......
 
                     মুজদা
                    দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়

দিনগুলো সব নুড়ি পাথর
পথ করেছে নতুনের
বিথান তার বেশবাস
বিজল্প বিমোক্ত মরণের

মুজদা আসবে রসমুন্ডির
সৌমনস্যের স্তনন
স্যন্দিত হবে আনন্দ
জড়িমার মরণ

চলবে জীবন সবুজ খামে
প্রাণের রোচ্য লীঢ়
চলুক জীবন প্রাণের বুলে
বিহান আসবেই স্থির