"উপকণ্ঠ 09 আগষ্ট সংখ্যা "
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-09/08/2020,রবিবার
সময় :- সকাল 10 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত সেক আসাদ আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প.... আজ তৃতীয় অংশ প্রকাশিত হল
নিজের পরিচয়
সেক আসাদ আহমেদ
বিষয় :- নিবন্ধ
অবসর
সৌম্য ঘোষ
জীবন মানেই গতিময়। স্থিতি নয়। জীবন একটা গতির নাম। মানব জীবন সংক্ষিপ্ত হলেও গতির হিসাবে মানুষকে কয়েকটি পর্যায় অতিক্রম করতে হয় ।মানুষের জীবন হলো এক অপার সজীব শক্তি । গতিময় জীবনে মানুষ প্রথমে শিশু। শৈশব অবস্থা উত্তীর্ণ হলেই আসে ছাত্র জীবন। তারপর কর্মজীবন এবং শেষে আসে অবসর। অর্থাৎ বার্ধক্য । স্থিতি ও গতি দুই মিলে চলে বলেই তার জীবন প্রাণবন্ত গতিশীল । যদি শুধু স্থিতি থাকতো ,তাহলে মানুষ জড়পদার্থ হয়ে যেত। কর্মমুখর এই পৃথিবী থেকে মানুষের অবলুপ্তি হতো ।
একটা সময় আসে মানুষের জীবনে যখন কর্মজীবন থেকে অবসর নিতে হয় ।আবার এই অবসর মানেই একেবারে স্থিতি নয় ।পেশাগত অবসর । গতিময় জীবনে হঠাৎ স্থিতি মানে মরণ । কোন কারণে কর্মময় ব্যক্তি যদি তার গতিশীলতা হারিয়ে ফেলে তবে বিষন্নতা তাকে গ্রাস করে ফেলে । বিষন্নতা , দুশ্চিন্তা থেকেও মারাত্মক ক্ষতিকর । স্রোত বন্ধ হয়ে গেলে নদী তার গতিশীলতা হারায় তেমনি গতিশীলতা হারিয়ে গেলে মানুষ বিষন্ন হয়। ফলে বার্ধক্যের আগেই বার্ধক্য চলে আসে।
মানব জীবন প্রকৃতির মতোই গতিশীল । আবার মানুষ প্রকৃতির অংশ ।।
স্মৃতির ক্যানভাসে বৃষ্টি
আব্দুল রাহাজ
আমি তখন স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি সেইদিন ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয় বাড়ি থেকে বাবা কোনরকমে স্কুলে পৌঁছে দিলেন স্কুলে গিয়ে দেখলাম আমাদের ক্লাসে গোটা কয়েক জন এসেছে ওরা দেখলাম যা দেখলাম নৌকা বানাচ্ছে আমি একটা কাগজের নৌকা বানিয়ে ছিলাম সবাই মিলে সেদিন জানালা দিয়ে জমা জলে ছেড়ে দিতে কি সুন্দরভাবে পড়েছিল গেল আমরা তো খুব আনন্দ করছিলাম সেদিন আমার অনেক বন্ধু হয়েছিল শনিবার ছিল বলে স্কুল তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে গেল তখন ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ছে আমি স্কুল থেকে একা বাড়িতে আসতে আসতে দেখিআমাদের গ্রামে হারু কাকা মাঠে শরীরটা খেলছে ওদের খেলা দেখে আমিও জামা খুলে নেমে পড়লাম ও কি খেলা যা মজা হয়েছিল কাদা-জলে লাফানো কা দলা পাকিয়ে ছড়াছড়ি খেলা বেশ মজা হয়েছিল ওদের সাথে হইহই করে বাড়িতে আসি পাড়ার ছেলেদের সাথে তখন দেখি বাবা বাড়ির সামনে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আমি তো ভয়ে একেবারে আরষ্ট হয়ে যাচ্ছিলাম তারপর বাবা একটু হেসে বলল আরে এরকম বৃষ্টির দিনে হতেই পারে।আমি আর বাবা একসাথে বাড়ির উঠানে কিছুক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজে নরেন যাদের পুকুরে স্নান এ গিয়েছিলাম তারপর দেখলাম বাবা আমার এক দিনে সাঁতার কাটা শিখিয়ে দিয়েছে আমি তো খুব আনন্দ পেয়েছিলাম সেই দিন তারপর দিন যায় দিন আসে বৃষ্টির দিনগুলোতে ওই দিনটার কথা মনে পড়ে যায় খুব স্মৃতির ক্যানভাসে আমার চিরজীবন সজ্জিত থাকবে।
মনের ভাষা বাংলা
সত্যজিৎ মজুমদার
বাংলা আমার প্রাণের ভাষা
আমার অহংকার।
বাংলা আমার মায়ের ভাষা
সুন্দর চমৎকার।
এই ভাষাতেই বাংলার বাউল
একতারাটি ধরে,
মধুর সুরে বাউল গান গায়
হৃদয় ওঠে ভরে।
বাংলা আমার প্রাণের ভাষা
আমার অহংকার।
বাংলা মোদের মেটায় আশা
ভরসা সবাকার।
এই ভাষাতেই গান গেয়ে ভাই
চাষীরা করে চাষ,
রোদে পুড়ে জলে ভিজে ঘাম
ঝরায় বারোমাস।
বাংলা আমার মুখের ভাষা
ভারি চমৎকার।
বাংলা আমার প্রাণের ভাষা
আমার অহংকার।
এই ভাষাতেই মধুর সুরে
বাজে বাঁশের বাশি,
বাংলা আমার হদয়ের গান
শুনতে ভালবাসি।
বাংলা আমার মায়ের আঁচল
গলার কণ্ঠহার।
বাংলা আমার প্রাণের ভাষা
আমার অহংকার।
ভালো লাগে
বিপ্লব গোস্বামী
ভালো লাগে ভোর বেলার পাখি
যখন করে মিষ্টি ডাকা-ডাকি।
ভালো লাগে প্রভাতে ফোটা ফুল
বাযু লেগে যখন দেয় দোল।
ভালো লাগে রিম-ঝিম বৃষ্টি
ভিজতে তাতে বড় লাগে মিষ্টি।
ভালো লাগে ফুলের উদ্যান
অলি তাতে করে যখন গান।
ভালো লাগে সূর্য ডোবা ক্ষণ
পাখি সব নীড়ে ফিরে যখন।
ভালো লাগে তারা ভরা রাতি
চাঁদ মামা থাকে যখন সাথী।
কবিতা :
ভাবনার দর্পণে!
বিশ্বজিৎ কর
আমার দিন যায়-
অনাগত ভবিষ্যতের আতঙ্কে!
শিহরিত হই বর্তমানের অগ্ন্যুৎপাতে,
জানালা খুলে আকাশ দেখি-
ভয়াবহতার কালো মেঘ উঁকি দেয় মায়াবী রাতে!
ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকে শঙ্কার অনুরণন,
মা স্বপ্নে আসে,অভয় দেয়-
"খোকা,ভাবিস না রে"!
নৈশরক্ষীর সংকেতে ঘুম ভাঙ্গে, লড়াই শুরু হয়-
বাঁচবার,টিঁকে থাকার!
ভুলে গেছি
হামিদুল ইসলাম
কবে লিখবে তুমি আমার কবিতা
আমার কবিতা মানে পাণ্ডুলিপি
সে পাণ্ডুলিপিতে আমি বেঁচে থাকি
আজ আমার মৃত্যু উৎসব ।।
ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে আমার মৃত্যু মাচা
ফুলের সুগন্ধ চারদিক
আমি চলে যাচ্ছি
কেবল কাঁন্নার রোল ।।
ণিজন্ত ক্রিয়ায় গতি আনি
জ্যামিতিক পরিচিতি হারিয়ে ফেলেছি কতোযুগ আগে
আমার সমাধিতে মাটি দিয়ো চাপা
পাণ্ডুলিপির গন্ধ ভাসুক আকাশে বাতাসে ।।
বৃত্ত
রঞ্জনা রায়
সবাই কি সাজতে পারে আপোষের মালায়
আলোর লোভে অনেক অসম্মানের ঢোক গিলে
বৃত্তের আলোয় যারা থাকে
বৃত্ত থেকে তারা দূরে চলে যায়
হলুদ আলোয় ভরা ঝরা পাতার দেশে।
নিজস্বতার উজ্জ্বল প্রদীপ হোক সাবধানী মন।
কবিতা
সময়ের কথা
মিনতি গোস্বামী
কঠিন সময় বয়ে আনে রোজ দুখের খবর
জানিনা কবে শেষ হবে এই ক্লান্তির প্রহর
শেষ হয়ে যাবে সৃষ্টি লয় হবে ধরা!
পৃথিবী আবার মরুভূমি হবে থাকবে শুধু খরা?
প্রেমতো এখনো যায়নি মরে ডুব সাঁতারে ভাসে
ভালোবাসার স্পর্শ পেলেই সে বুক চিতিয়ে হাসে
বর্ষা এলেই কদম হাসে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
আনন্দ
সত্যব্রত ধর
ছেলেমানুষী লজ্জায় প্রশ্নের
উত্তরগুলো বেপাত্তা।
ঘৃণায় মাখা শরীর বেয়ে
চুঁইয়ে পরে শান্ত কন্ঠস্বর।
গম্ভীর ক্ষোভের শিকার শেষে
অবহেলিত মনের বারান্দা।
ঠান্ডা গুছিয়ে দাঁড়াতেই রোমান্টিক
হাসি আনন্দ বয়ে আনে।
কবিতাঃ পথিক
জুয়েল রুহানী
পথিক তুমি কোথা যাও একা
একটু দাড়াও ভাই,
আমিও পথিক কোথায় যাবো
পথের সীমা নাই!
পথ হেটে হেটে ক্লান্ত যখন
হেথা বসে তাই,
প্রহর গুনি যদি কোন এক
পথিকেরে পাই।
অবশেষে পথিকের বেশে
তুমি এলে ভাই,
পথিকেরে এই সঙ্গী কর-
আর কিছু না চাই।
একতরফা প্রেম
আব্দুল রহিম
এ চোখ বার বার তোকে দেখতে চাই,তাই আমি ছুটে যাই ,কিন্তু ভালোবাসার জন্য না,
হৃদয়ের শুকনো কাঠের চিতায় আগুন জ্বলাবার জন্য,সত্য বলছি আমি তোকে ভালোবাসিনা,....
ঘৃণা করি,ঘৃণা করি,
তবু আমি তোর শকুন রাঙা চোখ দুটি'তে মরি।।
এ মন চাইনা আবার ফিরে পেতে মিথ্যা তোর অহংকারী মায়াবী শরীর,কেননা তোর রক্তে বিষ,
তোর চোখের চাহনিতে আগুন, তোর মিষ্টি কথায়
শুধু রাজনীতি,তোর গোলাপ মাখা ঠোঁটে মৃত্যুর ফাঁদ,আমি আজ বরবাদ,তবু কেন এ মন আজও
তোর জন্য'ই উন্মাদ ।।
তুই অহংকারী পূর্ণিমার চাঁদ,আমি না হয় অমাবস্যার অভিশপ্ত রাত,তবু হৃদয় থেকে চেয়েছি সব সময় দেবো তোর সাথ,কিন্তু কোথায় আমার যোগ্যতা,
তুই চাঁদ,আমি বামন,তবু তোকে আজও একতরফা ভালোবাসিরে,তাই আজও নীরবে খুঁজি তোরে।।
হৃদয়ে মাঝে অহংকারী গোলাপের পাপড়ি গুলো কবে ঝরে ঝরে হৃদয়টাকে দিয়েছে ডাস্টবিন করে,
তবু আজও মনে পড়ে মিষ্টি সুরে তোকে ডাকা সে নাম
তোর শ্যাম্পু করা চুলের সুগন্ধতা, ভুরু কুঁচকানো মুচকি হাসি,স্কুলের ড্রেসে মিশে থাকা তোর নিষ্পাপ বাল্যবেলা,কিন্তু কি করা যায় তুই কি আর আগের মতো আছিস।।
আমি তোকে ভালোবাসিনা কিন্তু তোর জন্য আজও যোগ্যতা খুঁজে বেড়ায়,তাই লিখি দু পাতা কবিতা,
যখন হৃদয়ের জ্বলা আগুনে ধোঁয়াশায় ভরে,তখন আমি আসি তোকে দেখতে,আমি একতরফা আজও ভালোবাসি তোকে,সব সময় আমি আছি তোর সুখ দুখে কিন্তু আমি তোকে ঘৃণা করি,তুই অহংকারী, তুই স্বার্থপর,তবু আমি তোকে একতরফা ভালোবাসিরে।।
ফুলের পাপড়ির সাথে তোর মিষ্টি নাম পাপি ভেসে গেছে,কিন্তু তোর অহংকারী কথা গুলো আজও আমাকে কুকুরের মতো ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে।।
বিদ্রোহী রূপ
মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ
আয়রে তোরা আয় হিন্দু ও মুসলমান
কামারের হাত কড়া হাতে নিয়ে আয়।
এক রক্তে গড়া মোরা
একই দেশের বাসিন্দা।
সবাই মিলে করবো মোরা
এই বাংলার গনতন্ত্রের রক্ষা।
বাংলার মাটি তোমার কাছে কাদি
দেখে রেখো দেখে রেখো
এই বাংলার মানুষেকে তুমি।
আমি আজ আছি তো কাল নেই
কিন্তু পৃথিবীর নিশ্বাস যতদিন
বাংলার মাটি তুমি থাকবে ততোদিন।
দেখে রেখো দেখে রেখো
এই বাংলার মানুষকে তুমি।।
নিয়াই বের করে,ওই মুখোশ ধারিদের
দে বের করে এদেশ থেকে
সুন্দর দেশের ধংস্বার্থের
মানুষরুপী শয়তান-গুলোকে।।
কাব্য ও কবিতায়
সেক নুরুল হুদা
আমার নিজস্ব কবিতায় সাজাবো কাব্য বাগান
যেখানে মরমী গানের সুরে আসে বিপ্লব,
যেখানে পুঁজিবাদের দ্বারে ছুয়ে যায় সংগ্রাম
আমৃত্যু কাল।
আমার প্রেম বাসরের স্বপ্ন, অভিমান
যেখানে জন্ম নিয়েছে কুশ আর লব;
যেখানে আদা শহুরের প্রতিটি গ্রাম
জ্যোৎস্না-রাতের কাঙাল।
আমার সুসংহত কাব্য অভিযান
যেখানে তামিল সাহিত্য পেল "কুরাল" পল্লব;
যেখানে প্রাকৃতির রূপ-রস-গন্ধ-নাম
থাকবে অনন্ত কাল।
তোর আলোয়
শংকর হালদার
গোধূলি আকাশ নিয়ে ক্রমশ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছি
রামধনু আলোয় তোর শরীর জুড়ে ,এক অসম্ভব ব্যাপন
প্রতিফলিত অগ্নি স্রোত নিয়ে হারিয়ে ফেলছি নিজেকে
মোহনার আড় চোখে ব্যাতিব্যস্ত হৃদয় ...
মাশুল দিতে হয় প্রতি পলে পলে,
তবুও মেলে ধরেছি নিজেকে আকাশ গঙ্গায়-
তোর রশ্মি ছটায় আলোকিত হব বলে ।
😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা"
লেখা পাঠান :- 01 Aug 2020 থেকে 13 Aug 2020 এর মধ্যে
যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা"
লেখক তালিকা প্রকাশিত হবে 14 Aug 2020
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 15 Aug 2020
প্রচারে :- সম্পাদক, উপকণ্ঠ
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-09/08/2020,রবিবার
সময় :- সকাল 10 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত সেক আসাদ আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প.... আজ তৃতীয় অংশ প্রকাশিত হল
নিজের পরিচয়
সেক আসাদ আহমেদ
তৃতীয় অংশ
এভাবে দুদিন কেটে গেল, তিন দিনের সময় কেউ যেন দরজায় টোক্কা দিচ্ছে।
প্রত্যেক দিন সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে ওঠে, কিন্তু ক'দিন কিছু কাজ না থাকায় একটু দেরি করে উঠছে সে। তাই আজও ঘুমিয়ে ছিল।
সাহেব মনে হয় ফিরে এসেছেন ।
তার মনে ভয় জাগল, আজ বকাঝকা শুনতেই হবে । ভয়ে ভয়ে দরজা খুলতেই — সামনে উর্দি পরা কয়েকজন লোক।
অবাক হয়ে খালেক প্রশ্ন করল — তুমরা কারা? সঠিক বাংলা ও জানে না সে।
কিছুটা হিন্দি ও বাংলা মিশিয়ে কথা বলে। এককথায় যাকে বলে খট্টা বাংলা । অথবা আধো বাংলা ও বলতে পারেন।
— আমরা পুলিশ
পুলিশ! পুলিশ বলে নাম শুনেছে কিন্তু কখনও স্বচক্ষে এত কাছে দেখেনি। তাছাড়া পুলিশের ভয় মা দেখাতো। তাই ভয়টা যে আরও বেশি বেড়ে গেল।
আবার কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল — কায় এসেছে?
একজন উর্দি পরা লোক বললেন — তুই খুন করেছিস।
অন্য একজন উর্দি পরা লোক হাতে লোহার বেড়ি পরিয়ে দিল।
খুন !!! সেটা আবার কী?
জীবনে এই প্রথম খুন কথাটি শুনল খালেক। খুনের মানে কী তার জানা নেই, অথচ সে নাকি খুন করেছে।
আবার উর্দি পরা লোকটি বললেন— হুম, মানুষ মেরে আবার ন্যাকা সাজা হচ্ছে। চল ব্যাটা নীচে চল — দেখাচ্ছি তোকে।
এমন সময় বাড়ির নীচু তলায় হইচই -এর আওয়াজ শোনা গেল। উর্দি পরা লোকেরা তাকে নীচে নিয়ে এল।
একটি মানুষের লাশ, ৪০-৪৫ বয়সী হবে। পচা দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। নীচু তলার গুদাম ঘর থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে।
এমন একজন পুলিশ খাটের তলা থেকে রক্তে রাঙানো ছুরি বের করল।
খালেক অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল... কী অবিশ্বাস্য কান্ড ঘটে যাচ্ছে তার চোখের সামনে, অথচ সে কিছুই করেনি।
তার মাথায় যেন বাজ পড়ল, বন্ বন্ করে মাথা ঘুরতে লাগল। হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ধপ করে মাটিতে পড়ে গেল ।
তারপর কিছুই মনে নেই তার...
চলবে.....
প্রত্যেক দিন সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে ওঠে, কিন্তু ক'দিন কিছু কাজ না থাকায় একটু দেরি করে উঠছে সে। তাই আজও ঘুমিয়ে ছিল।
সাহেব মনে হয় ফিরে এসেছেন ।
তার মনে ভয় জাগল, আজ বকাঝকা শুনতেই হবে । ভয়ে ভয়ে দরজা খুলতেই — সামনে উর্দি পরা কয়েকজন লোক।
অবাক হয়ে খালেক প্রশ্ন করল — তুমরা কারা? সঠিক বাংলা ও জানে না সে।
কিছুটা হিন্দি ও বাংলা মিশিয়ে কথা বলে। এককথায় যাকে বলে খট্টা বাংলা । অথবা আধো বাংলা ও বলতে পারেন।
— আমরা পুলিশ
পুলিশ! পুলিশ বলে নাম শুনেছে কিন্তু কখনও স্বচক্ষে এত কাছে দেখেনি। তাছাড়া পুলিশের ভয় মা দেখাতো। তাই ভয়টা যে আরও বেশি বেড়ে গেল।
আবার কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল — কায় এসেছে?
একজন উর্দি পরা লোক বললেন — তুই খুন করেছিস।
অন্য একজন উর্দি পরা লোক হাতে লোহার বেড়ি পরিয়ে দিল।
খুন !!! সেটা আবার কী?
জীবনে এই প্রথম খুন কথাটি শুনল খালেক। খুনের মানে কী তার জানা নেই, অথচ সে নাকি খুন করেছে।
আবার উর্দি পরা লোকটি বললেন— হুম, মানুষ মেরে আবার ন্যাকা সাজা হচ্ছে। চল ব্যাটা নীচে চল — দেখাচ্ছি তোকে।
এমন সময় বাড়ির নীচু তলায় হইচই -এর আওয়াজ শোনা গেল। উর্দি পরা লোকেরা তাকে নীচে নিয়ে এল।
একটি মানুষের লাশ, ৪০-৪৫ বয়সী হবে। পচা দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। নীচু তলার গুদাম ঘর থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে।
এমন একজন পুলিশ খাটের তলা থেকে রক্তে রাঙানো ছুরি বের করল।
খালেক অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল... কী অবিশ্বাস্য কান্ড ঘটে যাচ্ছে তার চোখের সামনে, অথচ সে কিছুই করেনি।
তার মাথায় যেন বাজ পড়ল, বন্ বন্ করে মাথা ঘুরতে লাগল। হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ধপ করে মাটিতে পড়ে গেল ।
তারপর কিছুই মনে নেই তার...
চলবে.....
বিষয় :- নিবন্ধ
অবসর
সৌম্য ঘোষ
জীবন মানেই গতিময়। স্থিতি নয়। জীবন একটা গতির নাম। মানব জীবন সংক্ষিপ্ত হলেও গতির হিসাবে মানুষকে কয়েকটি পর্যায় অতিক্রম করতে হয় ।মানুষের জীবন হলো এক অপার সজীব শক্তি । গতিময় জীবনে মানুষ প্রথমে শিশু। শৈশব অবস্থা উত্তীর্ণ হলেই আসে ছাত্র জীবন। তারপর কর্মজীবন এবং শেষে আসে অবসর। অর্থাৎ বার্ধক্য । স্থিতি ও গতি দুই মিলে চলে বলেই তার জীবন প্রাণবন্ত গতিশীল । যদি শুধু স্থিতি থাকতো ,তাহলে মানুষ জড়পদার্থ হয়ে যেত। কর্মমুখর এই পৃথিবী থেকে মানুষের অবলুপ্তি হতো ।
একটা সময় আসে মানুষের জীবনে যখন কর্মজীবন থেকে অবসর নিতে হয় ।আবার এই অবসর মানেই একেবারে স্থিতি নয় ।পেশাগত অবসর । গতিময় জীবনে হঠাৎ স্থিতি মানে মরণ । কোন কারণে কর্মময় ব্যক্তি যদি তার গতিশীলতা হারিয়ে ফেলে তবে বিষন্নতা তাকে গ্রাস করে ফেলে । বিষন্নতা , দুশ্চিন্তা থেকেও মারাত্মক ক্ষতিকর । স্রোত বন্ধ হয়ে গেলে নদী তার গতিশীলতা হারায় তেমনি গতিশীলতা হারিয়ে গেলে মানুষ বিষন্ন হয়। ফলে বার্ধক্যের আগেই বার্ধক্য চলে আসে।
মানব জীবন প্রকৃতির মতোই গতিশীল । আবার মানুষ প্রকৃতির অংশ ।।
স্মৃতির ক্যানভাসে বৃষ্টি
আব্দুল রাহাজ
আমি তখন স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি সেইদিন ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয় বাড়ি থেকে বাবা কোনরকমে স্কুলে পৌঁছে দিলেন স্কুলে গিয়ে দেখলাম আমাদের ক্লাসে গোটা কয়েক জন এসেছে ওরা দেখলাম যা দেখলাম নৌকা বানাচ্ছে আমি একটা কাগজের নৌকা বানিয়ে ছিলাম সবাই মিলে সেদিন জানালা দিয়ে জমা জলে ছেড়ে দিতে কি সুন্দরভাবে পড়েছিল গেল আমরা তো খুব আনন্দ করছিলাম সেদিন আমার অনেক বন্ধু হয়েছিল শনিবার ছিল বলে স্কুল তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে গেল তখন ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ছে আমি স্কুল থেকে একা বাড়িতে আসতে আসতে দেখিআমাদের গ্রামে হারু কাকা মাঠে শরীরটা খেলছে ওদের খেলা দেখে আমিও জামা খুলে নেমে পড়লাম ও কি খেলা যা মজা হয়েছিল কাদা-জলে লাফানো কা দলা পাকিয়ে ছড়াছড়ি খেলা বেশ মজা হয়েছিল ওদের সাথে হইহই করে বাড়িতে আসি পাড়ার ছেলেদের সাথে তখন দেখি বাবা বাড়ির সামনে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আমি তো ভয়ে একেবারে আরষ্ট হয়ে যাচ্ছিলাম তারপর বাবা একটু হেসে বলল আরে এরকম বৃষ্টির দিনে হতেই পারে।আমি আর বাবা একসাথে বাড়ির উঠানে কিছুক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজে নরেন যাদের পুকুরে স্নান এ গিয়েছিলাম তারপর দেখলাম বাবা আমার এক দিনে সাঁতার কাটা শিখিয়ে দিয়েছে আমি তো খুব আনন্দ পেয়েছিলাম সেই দিন তারপর দিন যায় দিন আসে বৃষ্টির দিনগুলোতে ওই দিনটার কথা মনে পড়ে যায় খুব স্মৃতির ক্যানভাসে আমার চিরজীবন সজ্জিত থাকবে।
মনের ভাষা বাংলা
সত্যজিৎ মজুমদার
বাংলা আমার প্রাণের ভাষা
আমার অহংকার।
বাংলা আমার মায়ের ভাষা
সুন্দর চমৎকার।
এই ভাষাতেই বাংলার বাউল
একতারাটি ধরে,
মধুর সুরে বাউল গান গায়
হৃদয় ওঠে ভরে।
বাংলা আমার প্রাণের ভাষা
আমার অহংকার।
বাংলা মোদের মেটায় আশা
ভরসা সবাকার।
এই ভাষাতেই গান গেয়ে ভাই
চাষীরা করে চাষ,
রোদে পুড়ে জলে ভিজে ঘাম
ঝরায় বারোমাস।
বাংলা আমার মুখের ভাষা
ভারি চমৎকার।
বাংলা আমার প্রাণের ভাষা
আমার অহংকার।
এই ভাষাতেই মধুর সুরে
বাজে বাঁশের বাশি,
বাংলা আমার হদয়ের গান
শুনতে ভালবাসি।
বাংলা আমার মায়ের আঁচল
গলার কণ্ঠহার।
বাংলা আমার প্রাণের ভাষা
আমার অহংকার।
ভালো লাগে
বিপ্লব গোস্বামী
ভালো লাগে ভোর বেলার পাখি
যখন করে মিষ্টি ডাকা-ডাকি।
ভালো লাগে প্রভাতে ফোটা ফুল
বাযু লেগে যখন দেয় দোল।
ভালো লাগে রিম-ঝিম বৃষ্টি
ভিজতে তাতে বড় লাগে মিষ্টি।
ভালো লাগে ফুলের উদ্যান
অলি তাতে করে যখন গান।
ভালো লাগে সূর্য ডোবা ক্ষণ
পাখি সব নীড়ে ফিরে যখন।
ভালো লাগে তারা ভরা রাতি
চাঁদ মামা থাকে যখন সাথী।
কবিতা :
ভাবনার দর্পণে!
বিশ্বজিৎ কর
আমার দিন যায়-
অনাগত ভবিষ্যতের আতঙ্কে!
শিহরিত হই বর্তমানের অগ্ন্যুৎপাতে,
জানালা খুলে আকাশ দেখি-
ভয়াবহতার কালো মেঘ উঁকি দেয় মায়াবী রাতে!
ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকে শঙ্কার অনুরণন,
মা স্বপ্নে আসে,অভয় দেয়-
"খোকা,ভাবিস না রে"!
নৈশরক্ষীর সংকেতে ঘুম ভাঙ্গে, লড়াই শুরু হয়-
বাঁচবার,টিঁকে থাকার!
ভুলে গেছি
হামিদুল ইসলাম
কবে লিখবে তুমি আমার কবিতা
আমার কবিতা মানে পাণ্ডুলিপি
সে পাণ্ডুলিপিতে আমি বেঁচে থাকি
আজ আমার মৃত্যু উৎসব ।।
ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে আমার মৃত্যু মাচা
ফুলের সুগন্ধ চারদিক
আমি চলে যাচ্ছি
কেবল কাঁন্নার রোল ।।
ণিজন্ত ক্রিয়ায় গতি আনি
জ্যামিতিক পরিচিতি হারিয়ে ফেলেছি কতোযুগ আগে
আমার সমাধিতে মাটি দিয়ো চাপা
পাণ্ডুলিপির গন্ধ ভাসুক আকাশে বাতাসে ।।
বৃত্ত
রঞ্জনা রায়
সবাই কি সাজতে পারে আপোষের মালায়
আলোর লোভে অনেক অসম্মানের ঢোক গিলে
বৃত্তের আলোয় যারা থাকে
বৃত্ত থেকে তারা দূরে চলে যায়
হলুদ আলোয় ভরা ঝরা পাতার দেশে।
নিজস্বতার উজ্জ্বল প্রদীপ হোক সাবধানী মন।
কবিতা
সময়ের কথা
মিনতি গোস্বামী
কঠিন সময় বয়ে আনে রোজ দুখের খবর
জানিনা কবে শেষ হবে এই ক্লান্তির প্রহর
শেষ হয়ে যাবে সৃষ্টি লয় হবে ধরা!
পৃথিবী আবার মরুভূমি হবে থাকবে শুধু খরা?
প্রেমতো এখনো যায়নি মরে ডুব সাঁতারে ভাসে
ভালোবাসার স্পর্শ পেলেই সে বুক চিতিয়ে হাসে
বর্ষা এলেই কদম হাসে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
আনন্দ
সত্যব্রত ধর
ছেলেমানুষী লজ্জায় প্রশ্নের
উত্তরগুলো বেপাত্তা।
ঘৃণায় মাখা শরীর বেয়ে
চুঁইয়ে পরে শান্ত কন্ঠস্বর।
গম্ভীর ক্ষোভের শিকার শেষে
অবহেলিত মনের বারান্দা।
ঠান্ডা গুছিয়ে দাঁড়াতেই রোমান্টিক
হাসি আনন্দ বয়ে আনে।
কবিতাঃ পথিক
জুয়েল রুহানী
পথিক তুমি কোথা যাও একা
একটু দাড়াও ভাই,
আমিও পথিক কোথায় যাবো
পথের সীমা নাই!
পথ হেটে হেটে ক্লান্ত যখন
হেথা বসে তাই,
প্রহর গুনি যদি কোন এক
পথিকেরে পাই।
অবশেষে পথিকের বেশে
তুমি এলে ভাই,
পথিকেরে এই সঙ্গী কর-
আর কিছু না চাই।
একতরফা প্রেম
আব্দুল রহিম
এ চোখ বার বার তোকে দেখতে চাই,তাই আমি ছুটে যাই ,কিন্তু ভালোবাসার জন্য না,
হৃদয়ের শুকনো কাঠের চিতায় আগুন জ্বলাবার জন্য,সত্য বলছি আমি তোকে ভালোবাসিনা,....
ঘৃণা করি,ঘৃণা করি,
তবু আমি তোর শকুন রাঙা চোখ দুটি'তে মরি।।
এ মন চাইনা আবার ফিরে পেতে মিথ্যা তোর অহংকারী মায়াবী শরীর,কেননা তোর রক্তে বিষ,
তোর চোখের চাহনিতে আগুন, তোর মিষ্টি কথায়
শুধু রাজনীতি,তোর গোলাপ মাখা ঠোঁটে মৃত্যুর ফাঁদ,আমি আজ বরবাদ,তবু কেন এ মন আজও
তোর জন্য'ই উন্মাদ ।।
তুই অহংকারী পূর্ণিমার চাঁদ,আমি না হয় অমাবস্যার অভিশপ্ত রাত,তবু হৃদয় থেকে চেয়েছি সব সময় দেবো তোর সাথ,কিন্তু কোথায় আমার যোগ্যতা,
তুই চাঁদ,আমি বামন,তবু তোকে আজও একতরফা ভালোবাসিরে,তাই আজও নীরবে খুঁজি তোরে।।
হৃদয়ে মাঝে অহংকারী গোলাপের পাপড়ি গুলো কবে ঝরে ঝরে হৃদয়টাকে দিয়েছে ডাস্টবিন করে,
তবু আজও মনে পড়ে মিষ্টি সুরে তোকে ডাকা সে নাম
তোর শ্যাম্পু করা চুলের সুগন্ধতা, ভুরু কুঁচকানো মুচকি হাসি,স্কুলের ড্রেসে মিশে থাকা তোর নিষ্পাপ বাল্যবেলা,কিন্তু কি করা যায় তুই কি আর আগের মতো আছিস।।
আমি তোকে ভালোবাসিনা কিন্তু তোর জন্য আজও যোগ্যতা খুঁজে বেড়ায়,তাই লিখি দু পাতা কবিতা,
যখন হৃদয়ের জ্বলা আগুনে ধোঁয়াশায় ভরে,তখন আমি আসি তোকে দেখতে,আমি একতরফা আজও ভালোবাসি তোকে,সব সময় আমি আছি তোর সুখ দুখে কিন্তু আমি তোকে ঘৃণা করি,তুই অহংকারী, তুই স্বার্থপর,তবু আমি তোকে একতরফা ভালোবাসিরে।।
ফুলের পাপড়ির সাথে তোর মিষ্টি নাম পাপি ভেসে গেছে,কিন্তু তোর অহংকারী কথা গুলো আজও আমাকে কুকুরের মতো ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে।।
বিদ্রোহী রূপ
মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ
আয়রে তোরা আয় হিন্দু ও মুসলমান
কামারের হাত কড়া হাতে নিয়ে আয়।
এক রক্তে গড়া মোরা
একই দেশের বাসিন্দা।
সবাই মিলে করবো মোরা
এই বাংলার গনতন্ত্রের রক্ষা।
বাংলার মাটি তোমার কাছে কাদি
দেখে রেখো দেখে রেখো
এই বাংলার মানুষেকে তুমি।
আমি আজ আছি তো কাল নেই
কিন্তু পৃথিবীর নিশ্বাস যতদিন
বাংলার মাটি তুমি থাকবে ততোদিন।
দেখে রেখো দেখে রেখো
এই বাংলার মানুষকে তুমি।।
নিয়াই বের করে,ওই মুখোশ ধারিদের
দে বের করে এদেশ থেকে
সুন্দর দেশের ধংস্বার্থের
মানুষরুপী শয়তান-গুলোকে।।
কাব্য ও কবিতায়
সেক নুরুল হুদা
আমার নিজস্ব কবিতায় সাজাবো কাব্য বাগান
যেখানে মরমী গানের সুরে আসে বিপ্লব,
যেখানে পুঁজিবাদের দ্বারে ছুয়ে যায় সংগ্রাম
আমৃত্যু কাল।
আমার প্রেম বাসরের স্বপ্ন, অভিমান
যেখানে জন্ম নিয়েছে কুশ আর লব;
যেখানে আদা শহুরের প্রতিটি গ্রাম
জ্যোৎস্না-রাতের কাঙাল।
আমার সুসংহত কাব্য অভিযান
যেখানে তামিল সাহিত্য পেল "কুরাল" পল্লব;
যেখানে প্রাকৃতির রূপ-রস-গন্ধ-নাম
থাকবে অনন্ত কাল।
তোর আলোয়
শংকর হালদার
গোধূলি আকাশ নিয়ে ক্রমশ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছি
রামধনু আলোয় তোর শরীর জুড়ে ,এক অসম্ভব ব্যাপন
প্রতিফলিত অগ্নি স্রোত নিয়ে হারিয়ে ফেলছি নিজেকে
মোহনার আড় চোখে ব্যাতিব্যস্ত হৃদয় ...
মাশুল দিতে হয় প্রতি পলে পলে,
তবুও মেলে ধরেছি নিজেকে আকাশ গঙ্গায়-
তোর রশ্মি ছটায় আলোকিত হব বলে ।
😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা"
লেখা পাঠান :- 01 Aug 2020 থেকে 13 Aug 2020 এর মধ্যে
যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা"
লেখক তালিকা প্রকাশিত হবে 14 Aug 2020
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 15 Aug 2020
প্রচারে :- সম্পাদক, উপকণ্ঠ
0 comments: