রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 20/09/2020
 Upokontha Sahitya Patrika web Megazine- 20/09/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 20/09/2020


                     " উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"

   (ওয়েব ম্যাগাজিন)
  উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 20/09/2020
প্রকাশ কাল:-20/09/2020, রবিবার
   সময় :- সন্ধ্যা- 6টা

সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577





লিমেরিক
           সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

আশ্বিন মাসেও মেঘলা আকাশ, নিম্নচাপে বৃষ্টি
বিশ সালেই জীবনে বিষ, একি অনাসৃষ্টি
বাঁধ ভেঙে ভাসছে গ্রাম
সব্জি বাজারে আগুন দাম
ভাবছি মনে এবার বুঝি, ধ্বংস হবে সৃষ্টি।






বিভাগ-হাইকু কবিতা
শংকর হালদার 
০১।
ইচ্ছে'রা জাগে
বসন্তে পাখি হতে
হবে কি তুমি?
০২।
দাদুরি ডাক 
গর্জনে বর্ষা নামে
সবুজে ধরা ।
০৩ ।
চাঁদের হাসি
সব প্রাণের মায়া
পূর্ণিমা জুড়ে ।
০৪।
বৃক্ষ শাখায়
গণ আন্দোলন-এ
কাঁদে পক্ষীরা ।
০৫।
ঝিনুক বুকে
জমা মুক্ত অতীত
গোপন মায়া ।
০৬।
সুখের দিশা
খোঁজে নর ও নারী
কাতর প্রাণে ।
০৭।
ঈশানে মেঘ
গুঁড়িয়ে ফেলে আয়ু
শত আবেগে ।
০৮ ।
দক্ষিণ বায় 
এক চিলতে হাসি
আনল প্রাণে।
০৯।
আশ্বিনে ঝড় 
রেখা আঁকে পিঞ্জরে
ভয়াল আর্তে ।
১০।
পুষ্প মুকুল
তব কিরণে হাসে 
সুবাস দিতে ।






সময় বয়ে চলেছে 
              অনাদি মুখার্জি

টিক টিক করে সময় বয়ে চলেছে ,
কখন যে সময় একটু থমকে দাঁড়াবে ! 
সেই কি কোনোদিন ও থামবে ?
আমরা তো সবাই চলার পথে থমকে দাঁড়ায়,
সময় তোমার জন্য আমার বড়োই কষ্ট হয়  !
তুমি কেনো থামোনা একটু ক্ষণ ?
সময়ে তালে তাল মিলিয়ে আমাদের হয় সকাল বিকাল।,
সব কিছু কাজ হয়ে শেষে মিলে অবকাশ !
কিন্তু কোনো অবকাশ শুধু নেই যে তার "
সময় বয়ে যায় তার নিজের মতোন তাই !
সময়ে পিছে ছুটে ছুটে আমি যে  ক্লান্ত হয় ,
আমরা সবাই সময়ে তালে  প্রতিদিনের জীবনের পথ শুরু হয় !
আজ আমরা সবাই ছুটে চলি সময় তোমার পিছে পিছে ,
তবু কেন তুমি থমকে দাঁড়ায় না একটু সুখের মাঝে ?






    কাচের  স্বর্গ  
              পিনাকী মুখার্জী
     
              দেবতা  হবেন  ক্ষুন্ন 
          চুন  পান  থেকে হলে  ভিন্ন !!
           সাজো সাজো অহোরাত্র
            প্রভু  তাতেই  সুপ্রসন্ন !!

             সুখের দিশা  হাতড়াই
          হেথা নাই  বুঝি হোথা ঠাঁই !!
            জ্বলজ্বল  শুধু  রোশনাই
            মরীচিকা ভ্রমে ছুটে যাই !!

          বাড়ছে তাপ বাড়ছে অভাব ,
                গ্রীন হাউস প্রভাব !!
           স্বর্গ  ভাঙছে  মুছছে আকাশ
        বহু  তলে-তলে নেইতো প্রকাশ !!

               উল্টো  আশায়  যারে ,
               করি  যতন  সমাদরে  !!
            কাচের  স্বর্গে  আশার  ছাই ,
               ভাসানে  ভার সমতাই  !!








ছাত্রদলের শপথ
           বিপ্লব গোস্বামী

আমরা যত ছাত্র বীণাপাণির শিষ‍্য
সত‍্য নিষ্ঠায় ব্রতী মোরা বদলে দিব বিশ্ব।
মোদের কণ্ঠে উঠবে গান
বিশ্ব বিজয় মন্ত্র মহান।
মোদের তেজে জ্বলবে রবি
ন‍্যায় ভারত আলোর ছবি।
মোদের কলম লিখে যাবে অন‍্যায়ের প্রতিবাদ
মোদের তেজে মুছবে ধরার বিশ্রী যত অপবাদ।
আমরা যত ছাত্র বীণাপাণীর শিষ‍্য
ন‍্যায় মন্ত্র দীক্ষা নিয়া স্বচ্ছ করব বিশ্ব।










কবিতা : মা,আমার মা!
                      বিশ্বজিৎ কর

আমি সকাল দেখি মায়ের চোখে...... 
আমি বর্ণ পরিচয়'-এ মা'কে দেখি,শ্লেট-পেনসিলের ক্যানভাসে!
আমি অঙ্ক করি মায়ের খাতায়, হাতের কড়া গুনে! 
আমি পরীক্ষায় বসি আজও,মায়ের গন্ধ নিয়ে! 
আমি ভালবাসা শিখেছি, মায়ের কোমল শাসনে! 
আমি অন্তিম-ক্ষণের অপেক্ষায়, মায়ের চিতার তাপে!








     ক্ষিধের জ্বালা 
                 হামিদুল ইসলাম
                    
এখানে আকাশ ভারি হয়ে আসে 
প্রতিদিন আসে ঝড়
বৃষ্টি নেই একফোঁটা 
মাটি ফাটে লাঙলের ফলায়   ।।

খরায় ফাটে মেদিনী
আকাশে ওড়ে অভূক্ত চিল 
স্বর্গের পথ খোলা 
মৃত‍্যু নেই অভাগীদের   ।।

অভাগীরা ক'দিনই বা বেঁচে থাকে 
ভূখাপেটারা গোণে 
মুহূর্ত 
প্রতিদিন   ।।

শুকনো পথ 
পেরিয়ে আসে ওরা 
জীবনের খরা কাটে না জীবনভর
কেবল ক্ষিধের জ্বালায় দিন পার করা  ।।






কবিতা 
      শারদ প্রাতে
                  মিনতি গোস্বামী

নিকানো উঠোনে ঝরেছে শিউলি
শিশির স্নাত ভোররাতে
ঘরে ঘরে মঙ্গল শঙ্খ 
মহালয়ার পুণ‍্যপ্রাতে ।
নদীর চরে কাশের মেলা 
পদ্ম  ফুটেছে জলাশয়ে  
পূজো পূজো. গন্ধ এবার
ফিরবে সবাই  দেবালয়ে।

নীল আকাশে      রাশি রাশি

পেঁজা তুলোর মেঘ 
শরৎ এসেই মনে জাগায় 
উৎসবের আবেগ ।

অভয়দায়িনী মা আমাদের 
সবার     করে ভালো
অন্ধকার বিনাশ করে 
জ্বলবে  মঙ্গল আলো ।







মেহনতি মানুষ
        সাফরিদ সেখ

একদিন তাকে দেখছি।অনামিকা।
হাজার কলরবের মধ্যে উথিত হস্ত,
'মেহনতি মানুষের জয় হোক'
কিন্তু সেই জয় আমরা আজও পেলাম না।

দলিত তাদের আশা, মূল্যবোধ,জীবন
হিংস্র এক শক্তি করিছে গ্রাস সর্বত্রই।
রক্ত অশ্রুতে মিশে যে করে মেহনত,
তাদেরই তো নেই কোনো ইমারত।

রক্তে রঞ্জিত লাল পতাকা আজ কোথায়!
হয়তো লাল মাটিতে মিশে গেছে,কিংবা
রক্ত শূন্য ফ্যাকাসে হয়ে গেছে,বদলে গেছে।
আজ ওই মেয়েটির ভীষণ দরকার মোদের।

যে লাল মাটিতে দাঁড়িয়ে গলা উঠিয়ে বলবে--
'মেহনতি মানুষ দীর্ঘজীবী হোক'








আযানের সুর 
        আব্দুল রাহাজ

ওই দূর থেকে আসে ভেসে
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সুর সেটা হলো আজানের সুর।
দলে দলে কাঁধে কাঁধ মিলে নামাজে যাই সবাই
আজানের সুর যেন মনেপ্রাণে গেঁথে যায়।
মনে করিয়ে দেয় পরকালের কথা
ওইযে আজানের সুর
তুমি তো এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুর।
তোমার আওয়াজে থাকেনা কেউ ঘরে বেরিয়ে আসে তোমার দিকে ওই মসজিদের ঘরে।
সত্যি তোমার সুর অতুলনীয় অতুলনীয়
যা প্রতিটি মানুষকে মনের আঙিনায় নাড়া দিয়ে তোলে
তুমি সেই আজানের সুর
তুমি শ্রেষ্ঠ শ্রেষ্ঠ তুমি সেই আজানের সুর।








প্রবন্ধ

বাংলা সাহিত্য , সিরিয়াল ও ওয়েব সিরিজ 
- অগ্নিমিত্র 

   এমনিতে ওয়েব সিরিজ বস্তুটি আমার তেমন পছন্দের বিষয় নয়। তবে সিরিয়াল আমি দেখি। বিশেষ করে ভালো গল্পভিত্তিক বাংলা সিরিয়াল হলে তো দেখতে খুব ভালোই লাগবে। সেক্ষেত্রে আমার প্রথম পছন্দ হলো  ' ব্যোমকেশ বক্সী' ও ' ফেলুদা '। পরশুরামের গল্পও যদি ওয়েব সিরিজ বা সিরিয়াল হয় তবে ভালো লাগবে। এই গল্পগুলো এত সুন্দর ও প্রাঞ্জল করে লেখা যে একটু পরিশ্রম করলেই দুর্দান্ত ওয়েব সিরিজ বা সিরিয়াল হবে। ' প্রথম আলো'ও করা যেও পারে। অথবা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোনো উপন্যাস । অথবা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ' রাজসিংহ'। সাহিত্যগুণে ভরপুর  হওয়াতে এগুলি থেকে  দারুণ সিরিয়াল বা ওয়েব সিরিজ হবে।   এর মধ্যে ' ব্যোমকেশ বক্সী' সিরিয়াল হয়েছে। তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল সেটি । আবার হলে আবার  দেখবো। ' পরশুরামের গল্প'-ও আগে সিরিয়াল হয়েছে। খুব মনোগ্রাহী ছিল।  আর সাবটাইটেল বা ডাবিং থাকলে  সারা দেশের লোক এগুলি দেখবে বলেই আমার বিশ্বাস । ব্যাপারটা ভালোই হবে। তবে ইচ্ছেমতো গল্পকে যেন বেশি দোমড়ানো মোচড়ানো না হয় । তাহলে সবই মাটি ।।












যৌবনের  আত্মকথা  
                  এমাজদ্দিন সেখ

কাল ছিল মাছ ভাত , আজ পাতে সবজি নাই ;  
কাল হবে চালের অভাব ,কে চাল ধার দেয় ? 
রেশনে দেয় দু'কেজি চাল ,ভিক্ষা দিয়ে কেশর নাচায় ; 
জোয়ান মানুষ ভিক্ষার চাল খেতে সম্মানে লাগে না আজ !
ইউনিভার্সিটির বড় ডিগ্রি নিয়ে হন্যে হয়ে ঘুরে ;  
কাজ নাই ,শুধুই ছাঁটাই খোলো চপের দোকান !  
কে খাবে চপ ? মুড়িও নাই ; পুঁজি আলুই নষ্ট হয় ! 

ছাত্র যখন ভার্সিটিতে অনেক বন্ধু জুটেছিল ;.... 
প্রেমিকা হাতটি ধোরে নদীর ঘাটে গান শুনিয়েছিল  l  
এক আকাশ স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে চেয়ে ছিল ! ...

আজ প্রেয়সীর খোঁজ নাই , ফোন করলে পলায়ন  সুযোগ খোঁজে ; . ... 
গ্রামের জ্যাঠা-  কাকা দেয় চাকরির খবর বয়ে এনে ; 
টাকা দিয়ে কিনেছে নাকি, পাশের কোন গ্রামে ; .... 
শুষ্ক মুখে শুনে বাবা দীর্ঘস্বাসে ফেলফেলিয়ে থাকে ! 
যত দাদা -কাকা -মামা -  আন্টি ,  পড়শী  ও জ্ঞাতিতে 
দেখা হলেই জিগায় ,"  কীরে , চাকরি বকরীর কি কিছু হলো ?"  
সেই ডরেতে কর্মহীন বীর পুরুষ ঘর কোণেতে থাকে ! 
মানব বোঝা হয়েছে ঢেড় , মানব সম্পদ হয়নি দেশে ; 
রাজনীতিক সভা সমিতিয় হয় বিবেক বর্জিত মানব কায়ার চাষ !  
সেই স্রোতে লাল-  সবুজ -  গেরুয়া -  তেরেঙ্গায় তরুণ প্রাণের বাস !  
মানির মান তিনিই রাখেন মান ও জ্ঞান আছে যার ; 
সভা এমনই হোক , যেথা জাগ্রত বিবেক করে গুণ ও সত্যের কদর  l 
ভোট বৈতরণী কোন্দল সার সভা ত্যাগিতে হবে ;  
জ্ঞান ও গুণের চেতন ও বিকাশে নতুন সকাল হবে ...
আজও জাগ্রত বিবেক নতুনের পথ পানে চেয়ে ....

       





0 comments: