উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 10/02/2021
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:- 10/02/2021, বুধবার
সময় :- রাত 09. 05 মি:
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
Teddy Day
~ Panchali Deb & Raja Debroy
The Day is special, it's all about Teddies.
Cute, little, colourful, soft buddies!
Former president of the United States,
Theodore Roosevelt, went hunting one day.
But unfortunately, could not get his prey.
But finally a black bear was caught.
He had an innocent look.
So, Mr. President could not take a shot.
The story of his kindnesss was widespread.
Though the actual teddy of this day was black, not red.
An animated story was published on this incidence.
It touched the heart of a toy company owner,
and he grabbed a large audience.
Hence, the gift became very popular,
one gives or gets it from their lover.
টেডি ডে
~ রাজা দেবরায়
আজ ডে টেডি,
অনেকেই টেডি বিয়ার কিনতে রেডি!
রং-বেরংয়ের মিষ্টি ভল্লুক দেখতে ভালো,
এই দিবসের আসল ভল্লুক ছিলো কালো।
একদা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট,
নাম থিওডোর রুজভেল্ট।
একদিন করতে যান ভল্লুক শিকার,
কিন্তু হায় শিকারে হলেন বেকার!
তবে অবশেষে আনা হলো কালো ভল্লুক,
যার ছিলো একদম বাচ্চা লুক!
রুজভেল্ট করলোনা তাকে গুলি,
ছড়িয়ে পড়লো তার মানবিক গুণাবলী।
একদিন এই কাহিনীর প্রকাশ কার্টুনে,
এক খেলনা কোম্পানির ধরলো মনে।
তারপর বানালো প্রথম টেডি বিয়ার,
ছড়িয়ে পড়লো দিকে দিকে এর প্রচার।
বর্তমানে টেডি বিয়ার দারুণ জনপ্রিয়,
উপহার হিসেবে পায় 'প্রিয়া' অথবা 'প্রিয়'!
বাস্তব সত্য
বিপ্লব গোস্বামী
নিজের দোষ কেউ দেখেনা
পরের দোষে বিচারপতি ;
নিজের স্বার্থ কেউ ছাড়ে না
পরকে বলে কিপ্টে অতি।
নিজের দোষ ঢাকতে সবাই
উকিল হয়ে যুক্তি দেখায়,
পরের দোষের নেইতো ক্ষমা
সাত পুরুষের মন্দ গায়।
নিজের ছেলে শান্তশিষ্ট
নিজের মেয়ে লক্ষ্মীমতী ;
পরের ছেলে বকাটে-বেকার
পরের মেয়ে নষ্টা-অসতী।
পরের জাত-বংশ হীন-নীচ
নিজের জাত-বংশ উত্তম ;
নিজের স্তর-মর্যাদা অতি উঁচু
বাকিরা সব নিকৃষ্ট অধম।
উপলব্ধি
ডা:নরেন্দ্র নাথ নস্কর
যে দিন গুলো চলে যায়,
সে গুলো হয়ত আর পুনরায় ফিরে আসে না।
কিন্তু তার রেশ, তার ছাপ নতুন দিনের পথ দেখায়।
পুরানোকে কেই বা মনে রাখে?
অকৃতজ্ঞের মত পুরানোকে ভুলে গেলে, পদে পদে বাধা পেতে হয়।
পুরানোর অভিজ্ঞতা, তার দেখানো পথে এগিয়ে গেলে অনেক দুর পৌঁছান যায়।
না হলে বারে বারে নতুন করে শুরু করতে হয়।
নতুনের জন্য পুরানোকে পথ ছাড়তেই হয়।
সবাই এক দিন পুরানো হবে।
তাদেরও নতুনকে পথ ছেড়ে দিতে হবে।
এই যাওয়া আসার খেলায় প্রকৃতি চলছে।
তাই প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে, কোন কিছুই চির স্থায়ী নয়।
যেমন জীবন, যৌবন, ধন, মান, যশ, পদ, প্রাপ্তি ইত্যাদি সমস্তকে ছেড়ে যেতে হয়।
যারা এই সমস্তকে মানুষের সেবায় উৎসর্গ করেন তাদের উপলব্ধি অনেক আগেই হয়েছে।
তাদের পদচিহ্ন দীর্ঘস্থায়ী হয়।
যারা পারেনা তাদের কষ্ট পেতে হয় ছেড়ে যেতে। বৃথা এগুলোর মোহে পড়ে অনেকে যাতনা পায়।
প্রথম থেকে ছাড়তে শিখলে, দিতে শিখলে মনে অনেক শান্তি পাওয়া যায়।
যারা আঁকড়ে ধরে মোহাচ্ছন্ন থাকে, তারা দিতে পারেনা বা ছাড়তেও পরে না, শুধু কি হবে এই আশংকায় দিন কাটায়।
দেখা গেছে জ্ঞান ও অনেক ক্ষেত্রে ধন বরং দান করলে বৃদ্ধি পায়।
ঈশ্বর একজনকে দিয়েছেন ভালো মানুষদের ও যাদের নেই তাদের দেবার জন্য, জমাবার জন্য নয়।
নিজেদের প্রয়োজন মিঠে গেলে, যাদের সত্যি প্রয়োজন তাদের দিলে মানসিক, শারীরিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক ভাবে সুস্থ ও আনন্দে থাকা যায়।
NB:এগুলো উপলব্ধি প্রসূত কথা।
কোন বই পড়ে লেখা নয়।
দিক_বালিকা
শান্তি_দাস
বিধাতার দান দিয়েছে নারীর অঙ্গে শোভা,
নারীরা যে চিরকাল অত্যাচারীত হয়ে ও থাকে বোবা।
চিরদিন বঞ্চিত হয়ে পেয়েছে শুধু শোষন আর শাসন,
তবে সবাই নিশ্চিত যুগের বদলে হবে সমাজের বদল।
এই পৃথিবীতে ভরে গেছে পিশাচের দল নেই নিরাপত্তা,
বড় আশা নিয়ে আছে দিক বালিকা সুন্দর হবে পৃথিবীটা।
রূপের মাধুর্যে দিকে দিকে শুধু লোভ লালসার স্বীকার,
জ্বলে পুড়ে যায় চেতনা বিবেকের অন্ধত্বের বিকার।
এতটা তো চায়নি বালিকা ব্যথা আর মানুষের মুখে বিহ্বলতা,
চেয়েছিল আরো কিছু কম এতো শোভা এতো স্বাধীনতা।
আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়ে দেখেছিল রূপের বাহার,
আঘাত ও ব্যথা বেদনা ঘিরে আছে মনের মাঝে বিরাট পাহাড়।
কত কথা কাঁটা হয়ে বুকের মাঝে আছে বিঁধে,
কত অভিমান কত জ্বালা পোষে আছে এই হৃদয়ে।
দেখে যাও এসো প্রিয় কত সাধ এই জীবন দোড়ে,
কত আশা ছিল জীবনে সব শেষ ভরে গেল হাহাকারে।
অতটুকু চায়নি বালিকা শুধু চেয়েছিল একটু ভালোবাসুক,
বসে থাকা সবটা দুপুর চেয়েছিল মা বাবা তার বেদনা দেখুক।
অত হৈ রৈ অত সমাগম বুকের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য খনি দিক এখনি,
ভালোবাসার অদূরে চেয়েছিল কম শুধু চেয়েছিল একটি পুরুষের মুখে বলুক রমনী।
ওদের সেই ছাগল
আব্দুল রাহাজ
রঞ্জন দের অনেকগুলি ছাগল ছিল ওদের সাথে বেশ বন্ধুত্ব ছিল। ওদের মধ্যে একটি ছাগলের নাম ছিল পুটি পাশেই ছিল রেলওয়ে স্টেশন সেখানে ঘুরে ঘুরে বেড়াত বাড়িতে আসত সেই সন্ধ্যার শেষে। রেলওয়ে স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম থাকে যাত্রীদের সাথে ও বেশ বন্ধুত্ব হয়েছে ছাগলের। একবার ওদের গ্রামের সরেন কলেজে যাবে বলে স্টেশনে বসে ছিল সে দেখে ছাগলের এক অদ্ভুত কাণ্ড অল্প বয়সী মেয়ে ঝাল মুড়ি নিয়ে খেতে খেতে গল্প করছে মেয়েটি ঝাল মুড়ির ঠোঙা টি পাশে রাখতেই কখন যে আপন মনে ছাগল সেটি নিয়ে খেয়ে ফেলল পরে মেয়েটি খেতে গিয়ে টের পায় সমস্ত যাত্রীগণ অবাক চোখে তাকিয়ে দেখে ছাগলের কান্ড। স্টেশনের যাত্রীরা বেশ অবাক হয়ে যেত ছাগলকে দেখে তারপরে খেতে দিত বিস্কুট কলা এইভাবে সারা দিন কাটতো স্টেশনে থেকে। রঞ্জন দের যখন খুব অভাব ছিল ঠিক তখন এই ছাগল গুলো পুষে ছিল ওর বাবা-মা তা আজ বেশ বড় হয়েছে বিভিন্ন দিক থেকে বেশ পঞ্চমুখ হয়েছে রঞ্জন রা । এইভাবে ছাগলগুলো নিয়ে যাবে সুখে-শান্তিতে বসবাস করে করছে আজীবন ধরে।
মুর্শিদাবাদ
উমর ফারুক
এ জেলা বঞ্চিত হয় শিক্ষা থেকে
যুগের পর যুগ কেটে যায়
ব্রিটিশ থেকেই শেখা হলো ,
স্বাধীন হয়ে কি বা লাভ প্রশ্ন তুলে ছাত্র তে।
এখানে চাই যে নিতে সব লুটে
'জ্বালাও ঘরে শিক্ষা বাতি,
নেভাও যত অজ্ঞতা'—
এ ভাষন একটুও নয় কার্যকর!
শিক্ষা ছাড়াই ওই আসন
যে আসন আসীন ছিলেন অজ্ঞ সে লোক
শিক্ষা হীন ও মুখ্য যে—
নবাব যেদিন ছাড়ল এ দেশ
ব্রিটিশ সেদিন উল্লাসে গায়
বিদেশি গান বাজছে কানে বাংলাতে।
ক্ষমতা করে সমর্পিত বাংলারই এক
মোল্লাকে যে করল তা নিঃশেষ।
এ জেলা সেই থেকে পেল গোল্লা
শুধু ভোট বাড়াতে চাইছে যে।
শাসক যে হোক বাড়িয়ে দু হাত
ভিক্ষা করে দ্বারে দ্বারে
দেই যে মুখের ফুলঝুড়ি তার
শুনবে কে ?
যে গড়বে হেথায় ভার্সিটি
রাস্তা হবে পাকা কাঁচা মাটির
এ ভাই এই জেলা ভাই বড্ড বেশি
বঞ্চিত হয় যুগ হতে যুগ যুগ হতে।
ধোঁকা ছাড়া পাইনা কিছু
পোড়ায় ওরা শিক্ষাকে!
0 comments: