Upokontha sahitya patrika web megazine-13/02/2021
এই বেশ ভালো আছি
চিত্তরঞ্জন দেবভূতি
এই বেশ ভালো আছি এই নীল আকাশের নিচে,
মুক্ত বাতাস,জল,মাটি আর আলো,
চোখের সামনের এই পথ বহুদূর চলে গেছে,
আর কতশত স্মৃতি জড়িয়ে আছে৷
যা আমার আজও সমান লাগে ভালো৷
খাল বিল নদী আর পুকুরের জলে,
রহিম,করিম চাচারা আজও মাছ ধরে,
সবার ঘরে বিদ্যুৎ নেই,
তাতে কি?সন্ধ্যার সাথে সাথে ঘরে ভরে ওঠে লন্ঠনের আলো৷
চকিদার কবে থেকে নেই গ্রামে?
আগের মতো প্রেমের চিঠি আসে নাকো আর
রঙ্গীন খামে৷
১০—১২টা বাচ্ছা মানুষ করা?
এখনকার দিনে শুনে, যেন জ্বর চলে আসে অনেকের,
ছোট্ট সংসার,হাসিখুশী জীবন,সুখে মন থাক ভরা৷
আমরা এই বেশ ভালো আছি,দিন চলে যায়,জীবন যৌবন ও তাই কি—না?
ভাবলে অনেক কিছু,অনেকে তো বেঁছে আছে ,নানা কারনে ঘরে বউ আনতে মানা?
পৃথিবীটা এমন বটে,
শুধু টাকা দিয়ে সুখ যায় কি কেনা?
কবিতা :
"ভালবাসা এক ঠিকানা"
সুরজিৎ পাল
ভালোবাসার তরে অপেক্ষা রত
এক কুঁড়ি,
প্রস্ফুটিত হয়েছিল মালির লালিমা লিপ্ত স্পর্শে।
সুরভিত সেই দিন, চিহ্নিত ভ্যালেন্টাইন,
সপ্তাহ জুড়ে পাই, খবরের পাতায়।
৫০% ছাড়,লোভায় স্বর্ণকার,
দেখায় পেন্ডেন্টের বাহার।
ডাচ গোলাপের মান,বিশ্বে মহান,
হাতে লোয়ে প্রাণ ছুটিয়া জান,
রোচিয়া মুখে মিষ্টি গান।
বেলুন রূপী হৃদয়,ফুলিয়া রয়,
ব্যাথিত হয়,বাতাস হলে নির্গমন।
খুঁজে দেখি প্রায়,শার্শিতে তোমায়,
চন্দ্রমুখীর ন্যায়,মৃগনয়নী্রে দেখায়।
২০-র বিদায়,২১-শের চলায়,
স্পর্শ সে দেয় ভালবাসার দোলায়।
কাঙ্ক্ষিত পূর্ণিমারে পাই , পিনহোল ক্যামেরায়,
নয়ন মেলে বাসস্টপের কোনায়।
পাল্টেযাই চিন্তাধারায়,
ছুটছি দেখ ভাই,যেথা স্বর্ণকার রয়।
তীর বিদ্ধ হৃদয়,পেন্ডেন্ট্ খুঁজে পায়,
অপেক্ষায় রয় ১৪-ই ফেব্রুয়ারীর আশায়,
ডাচ গোলাপের সুবাসিত সুশোভিত
সোভায়।
Embrace the day today!
~ Raja Debroy & Panchali Deb
Let the bond of the heart be
stronger. 'Jadu Ki Jhappi',
The mind is fresh and happiee!
Today you pretend to be a little
cute pug. Enjoy any one of these six!
Beer Hug, Polite Hug, One Way Hug,
Intimate Hug, Buddy Hug and Back Hug.
But hug people you know,
If you are a stranger, you may be in danger!
The embrace strengthens the relationship,
The mind of a loved one can be easily won!
'Jadu Ki Jhappi' is very much needed,
to let the heart skip.
Nice and sweet conversation with
embrace makes the relationship stronger,
Embrace Bindas, and be the hug monger!
সময় বড়োই বলবান
বিপ্লব গোস্বামী
সময় বড়োই বলবান
সময়ের ফেরে রাজা হয়ে দীন
হারিয়ে বৈভব , হয়ে অতি হীন।
পথে পথে ভিক্ষা চান !
সময় বড়োই বলবান
সময়ের ফেরে ভিখারী হয় আমীর
হয় যশ-ঐশ্বর্যধারী টাকার কুমির।
সবে করে তার জয়গান।
সময় বড়োই বলবান
সময়ের ফেরে মানী হয়ে অপমান
হারিয়ে মর্যাদা,হারিয়ে মান-সম্মান।
প্রতি পদে লজ্জা পান।
সময় বড়োই বলবান
সময়ের ফেরে মহাবীর -মহারথী
হয়ে পরাজিত ঘটে অতি দুর্গতি।
বেঘোরে হারান প্রাণ।
সময় বড়োই বলবান
সময়ের ফেরে সত্যবাদীর সত্য নাশে
মিথ্যুক-প্রতারক হন সময়ের পরিহাসে।
ঈমানদার হারান জবান।
ভালবাসার দিন
অশোক কুমার রায়
টাটকা গোলাপ মারেন ছুঁড়ে
চন্ডী চরণ রায় ।
চুপটি করে পড়লো গোলাপ
চম্পা রানির গায় ।
চম্পা রানির অবাক দৃষ্টি
মনটা দুরু দুরু !
ঠাম্মা হলেম এ বয়সেও
প্রেমটা হল শুরু !
মুচকি হেসে ভালবেসে
গোলাপ নিল তুলে ।
ভালবাসার দিনটাই এমন
সব কিছু যায় ভুলে !
কবিতা
শিরোনাম-অনুভব
কলমে- মিনতি গোস্বামী
জমানো কিছু অনুভব, সকালের
শিশিরের মত
সূর্যের আলোয় মিলিয়ে যায়
দিন ফিরি করি যাযাবরের
কখনো তাকে মেলে ধরা হলনা।
তার হাত ধরে হাঁটিনি শহরে
বসিনি কোনদিন ভিক্টোরিয়ার মাঠে
হারাইনি কখনো সোনাঝুরির হাটে
নিরালায় তবু মগ্ন থাকি অনুভবের ঠাটে।
অনুভব নয় মুখোশধারী দানব
তার উষ্ণতায় থাকে সৃজন
অনুভবের বারান্দায় চিরকাল
শোনা যায় সৃষ্টিশীল মানুষের কুজন।
#কবিতা__রক্তাক্ত_মাতৃভূমি
#কলমে__শান্তি_দাস
এদেশ সকল দেশ সেরা গর্বে ভরা আমার মাতৃভূমি,
সুজলা সুফলা এদেশ আমার শষ্য শ্যামলা ভূমি।
স্বদেশ আমার স্বদেশ আমার সবকিছুতেই বিশ্ব সেরা,
আমার গর্বে ভরা ভালোবাসা আমার সোনার বাংলা।
স্বাধীনতা আনতে কত মহাপ্রাণ দিয়েছে বলিদান,
ভারতের মাঝে তবুও রয়ে গেছে একতার ঐকতান।
যে ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি আমার
মাতৃভাষা,
মায়ের এই ভাষা বিশ্ব খ্যাতি মোদের বাংলা ভাষা।
এই ভাষাতে কথা বলবো আমার জন্মগত অধিকার,
এই মাতৃভাষার অধিকারে, রক্ত প্লাবনের রাজপথ।
কত শহীদদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি এই অধিকার,
যাদের জন্য আজ দেশের জয় পরাজয় করেছিল শপথ।
আজ ও আছে কত শত্রু দেশকে করবে ছিন্নভিন্ন,
তারা করছে ষড়যন্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে দেশকে করবে অভিন্ন।
আছে কত বীর সন্তান দেশরক্ষায় নিয়োজিত,
মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে নিজেই শহীদ রক্তের দানে।
ভারত রীর সন্তান, বীর পুরুষ তোমায় নমস্কার,
দেশরক্ষায় নিয়োজিত তোমারা বাঁচাও লক্ষ মানুষের প্রাণ।
তোমাদের রক্তের বিনিময়ে আজ মোদের অহংকার,
আমরা দেবো জীবন বলিদান ভারত মাতার প্রিয় সন্তান।
আজ কিস ডে
©মম
ভোরে উঠে
শক্তি বাড়াচ্ছি মাঠে ছুটে।
এমন সময় দেখি,
আশ্চর্য, এ কী?
সাপ ও ব্যাঙ খাচ্ছে চুমি, মাঠের পাশে।
ওঃ গ্রেট কলিযুগ, তুমি!
তাই তো সাপ ও ব্যাঙ
একে অপরকে ভালোবাসে।
ওরা ভোরে মজা করে খায় শুধুই চুমি...
ধন্য তুমি ভারত ভূমি।
দেখে ওদের পীড়িতি
আমি নাচি, ড্যাঙ ড্যাঙ্গা ড্যাঙ ড্যাং...
ওঃ কী ঐশ্বরিক প্রীতি!
সত্যই আজ কিস ডে।
২০২১, ১৩ই ফেব্রুয়ারি, স্যাটারডে।
সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের ভালোবাসা
(ছোট গল্প )
আব্দুল রাহাজ
বাবা-মা এ যেন এক অমূল্য সম্পদ এই পৃথিবীর ধরা তলে সেই বাবা-মা আগলে ধরে রাখে আজীবন। এই সুন্দর প্রকৃতির কোলে বাবা-মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা হয়ে আসছে আজীবন সময়ের সাথে সাথে সবই পরিবর্তন হয় পালাবদল হয় বহু জিনিসের কিন্তু পরিবর্তন হয় না বাবা মায়ের ভালোবাসা এটা যেন সময়কে হার মানায়। একবার পড়ন্ত বিকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিল সৌমেন পিকলু রেজাউল তমাল রা গ্রামের শেষে কয়েকটা পরিবারের বসবাস তার কাছেই আছে সুন্দর অপরূপ দৃশ্য সেখানে মানুষজন বিকাল বেলায় ফুরফুর বাতাসে মনটা হালকা করতে যায়। তমালের একটা দৃশ্য চোখে পড়ে একটা ছোট্ট মাটির দেওয়াল আর বিচালি দিয়ে ছাওয়া ঘরের সামনে তিনটি ছোট ছোট বাচ্চা খেলা করছে ও তার বাবা-মা দিনের শেষে কাজ থেকে ফিরে সন্তানদের নিয়ে বেশ মজা করছে একজন বলে উঠল বাবা তুমি কি আমাদের জন্য খাবার আনোনি তখন বাবা অল্প কিছু খাবার তাদের মুখে তুলে দেয় নিজে না খেয়ে তোমালের এই দৃশ্য দেখে অনুধাবন করে প্রতিটি বাবা-মায়ের ভালোবাসা সন্তানদের প্রতি নিঃস্বার্থ হয়ে থাকে। এদিকে সূর্যের অন্তিম আলো হলুদ বর্ণের আভায় পূর্ব আকাশে ডুব দিচ্ছে এই সময় ডাক পড়ল এই তমাল চলে আয় একসাথে বাড়ি যায় আসছি বলে ওদের সাথে চলে যায় বাড়ির উদ্দেশ্যে। খাবার পেয়ে ছেলে-মেয়ের গুলো যে আনন্দ হাসি সেটাই বড় পাওনা ছিল ওদের বাবা মায়ের কাছে। এরকম শত শত বাবা-মা তাদের ছেলে মেয়েকে ছোট থেকে আগলে রেখে করে বড় করে তোলে নিঃস্বার্থভাবে তাদের এই ভালোবাসা আর কারো সাথে তুলনা করা যায় না। সত্যি তাদের এই ভালোবাসা এই পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে আর অন্যান্য সম্পর্কের থেকে সূর্যের উজ্জ্বল রশ্মির মত দীপ্ত রাশির মতো ফুটে উঠছে বৈচিত্র্যের মত। একবার শীতের দিনে গ্রাম বাংলার পরিবেশ এক অপরূপ সাজে সেজে ওঠে সবার সামনে প্রান্তিক মানুষগুলো কষ্ট পায় ছেলে মেয়ে গুলোকে নিয়ে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে ঘরের মধ্যে থাকে। কেউ সাহায্য করে তো খুব ভালো কিন্তু বাবা-মা শত বাধা পেরিয়ে ও শীতের হিমেল বাতাস উপেক্ষা করেও ওরা ছেলেমেয়েগুলোকে একটু ভালো বস্ত্র তুলে দেয় নিজেদের কষ্ট উপেক্ষা করে সত্যিই তাদের এই ভালোবাসা হয়ে আসছে সেই চির দিগন্তের পথ ধরে যা আজও বহমান আছে মানব জাতির মাঝে যা থাকবে আজীবন। তবুও বাবা-মা কোথাও যেন লাঞ্ছিত বঞ্চিত বর্তমান সময়ে যা মানব জাতির কাছে অত্যন্ত লজ্জাজনক। যে বাবা-মা ছোট থেকে বড় করে তোলে বৃহত্তর সমাজে সন্তানকে প্রবেশ করায় সেই সন্তান যদি কষ্ট দেয় সত্যি খুব খারাপ লাগে। সত্যি বাবা-মায়ের সন্তানের প্রতি ভালোবাসা এক অনন্য স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে আজীবন যা কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না।
চমৎকার আয়োজন । বেশ বৈচিত্র্যময়
উত্তরমুছুন