মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 30 জুন 2020



             "উপকণ্ঠ 30শে জুন সংখ্যা "
               "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                    (ওয়েব ম্যাগাজিন)

        প্রকাশ কাল:-30/06/2020, মঙ্গলবার
                    সময় :- সন্ধ্যা 6 টা


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং

প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-

                  ১) ইমরান খাঁন

                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-

গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর

থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর

সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত


মুঠোফোন:- 9593043577


🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷


উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে

Click Here


উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে

Click Here


🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷



        Let me stay
Siddhartha Singha
Let me stay as it is now.

may the touchstone be mixed up with the pebbles by wayside
may not the flute on my lip catch the tune of Hamlyne
may I not get the three boons offered by the king of ghosts

Let me stay as it is now.

don't dangle ripe apple before me anymore.





বাঁশি
রঞ্জনা রায়

 ভাঙাচোরা তাকে তুলে রেখেছি লাল বাঁশিটি
 অবগাহনের স্নিগ্ধ সুর ঘুমিয়ে আছে অন্তরে
 মন্দ্রিত ঝাউ পাতায় শিরশিরে রোমন্থন
 বাঁশি তুমি বেজে ওঠো ঝড়ো নিঃশ্বাসে
 ভাঙনমুখি নোনতা জীবন - সাগর তীরে।
#
 অগ্রন্থিত মুক্তোর মতো কয়েকটি অভিসার
 মন পাখি উড়ে যায় - বর্ষার নিপুণ সঙ্গত
  বাঁশি সাবধানী হয় সম্পর্কের বিহান বেলায়
 এলোমেলো মেঘ ছুঁয়ে উধাও সাপুড়ে মন
 সংকেতহীন নিধুবনে হেমন্তের ঘন বিষন্নতা।
#
 জীবনের মঞ্চ ঘরে শ্যাম সাজে যে পুরুষ
 সেই পুরুষই বাঁশি ফেলে খোঁজে রজ্জু বন্ধন ।





'যোগ্য' এবং 'অযোগ্য' !
(গত পর্বের শেষাংশ)
        রাজা দেবরায়

আবার এরকমও দেখা গেছে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে আসা অষ্টম শ্রেণী পাঠরত এক ছাত্র তার থেকে ছোট ক্লাসে খুব ভালো টিউশনি করছেন । অনেক বড় বড় প্রাইভেট টিউটরও হয়তো সেভাবে পড়াতে পারছেন না । ফলে পুরো ব্যাপারটাই আপেক্ষিক ।

আবার এরকমও হতে পারে, টেট পাশ করা শ্রদ্ধেয় শিক্ষক শিক্ষাগত যোগ্যতায় বলীয়ান হয়েও হয়তো পড়ানোর ব্যাপারটা সেরকমভাবে রপ্ত করতে পারেননি । হয়তো এরকমও হতে পারে, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার নিরিখে শিক্ষাগত যোগ্যতায় সেরকম বলীয়ান না হয়েও খুব ভালো পড়াতে ও বোঝাতে পারছেন । ফলে সবটাই আপেক্ষিক । 'যোগ্য' বা 'অযোগ্য' নির্ধারণ করা খুবই একপেশে ব্যাপার হয়ে যেতে পারে ।

আবার কোনো শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের হাত ধরে হাজার হাজার ছাত্র সমাজে প্রতিষ্ঠিত হলেও ঐ শ্রদ্ধেয় শিক্ষক হয়তো কুসংস্কারে নিমজ্জিত অথবা হয়তো ব্যাঙ্কের কাজ পারেন না অথবা এপ্লিকেশন লিখতে পারেন না । তখন 'যোগ্য' অথবা 'অযোগ্য' কথাটা আপেক্ষিক হয়ে যায় ।

তাই কোনো শ্রদ্ধেয় শিক্ষক 'যোগ্য' নাকি 'অযোগ্য' বলাটা খুবই টাফ ! আমাদের উচিত সব শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদেরই সম্মান করা । এবং তাতেই সমাজের মঙ্গল ।

শেষ করার আগে পড়া বোঝানোর ব্যাপারে শুধু এটাই বলবো -

আপনি কী বলছেন, তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ আপনি কীভাবে বলছেন, তার থেকেও অধিক গুরুত্বপূর্ণ আপনি যাদের বলছেন তারা কীভাবে নিচ্ছেন !!!



নিস্তেজ সূর্য
         আব্দুল রাহাজ

সারাদিন উজ্জ্বল কিরনে
ফুটিয়ে ছো প্রকৃতির, সৌন্দর্য।
তোমার আলোয় উপকার হয়েছে
কত শত মানুষের।
এই শীতের আবহে
তোমার আলোর তাপে
মানুষ পায় আরাম।
এ। কাজ যেন তুমি এই
সুন্দর পৃথিবীর ছায়া তলে করে আসছো চিরকাল।
তোমার এই বিচ্ছুরিত আলোয় যেন প্রকৃতি
ফিরে পায় তার মনোরম সৌন্দর্য পায়।
বেলা শেষে তোমার নিস্তেজ আলো ভরিয়ে দেয় সবুজে ভরা গ্ৰামবাংলার আসল সৌন্দর্য। পশ্চিম আকাশের হলুদ বর্ণ আলো যখন বিচ্ছুরিত হয় তখন মনে হয়
কোনো রূপকথার দেশ।
এইভাবে তুমি আদি দিগন্তের পথ ধরে
পালন করে আসছো।




  খনন
শোভা মন্ডল

সে অনক কালের কথা,
বুকের গহন অতলে,
গচ্ছিত ছিল কিছু ধন.... বহু যুগ পর, খনন, শুধু খনন নিরন্তর.,. দেহমন ক্লান্ত যখন, উদাস নয়ন, স্বপ্নের মত আলোর ফুলকি জাগালো শিহরণ।

কে যেন ডাকলো ওই, ব্যাকুল নয়ন, আমারই হারানো মানিক সে, বেঁচে আছে এখনো বেঁচে আছে!! আমারই বুকের সে গচ্ছিত ধন ।
,
চোখে এলো জল, প্রাণ পেল বল যায়নিভেসে আমার, স্বপ্ন ফসল। ওরে মানিক ! আয়, উঠে আয়, তুই যে আমার প্রাণের অধিক প্রিয়, প্রানভোমরা আমার!

কি আনন্দ, কি আনন্দ!
হিরে মুক্ত নয় তো বা সে নুড়ি পাথর হয়তো হবে, তবুও, সে আমার বহুমূল্য রত্ন ধন ।
কারণ ..... নুড়ি পাথরের অন্দর মহলে, শিবের অধিষ্ঠান ।






অনুকবিতা

কবিতার নাম: বিস্ময়
রোজিনা খাতুন

শব্দেরা আজ নিঃশব্দ,
উত্তরেরা আজ নিরুত্তর;
প্রশ্নেরা উঁকি দিয়ে যায়,
নতুন কিছুর অপেক্ষায়।
নতুনেরা পুরাতন খোঁজে,
পুরাতনেরা মুখ ঢেকে যায়!
বিস্ময় আজ তুঙ্গে,
অবিশ্বাসের সঙ্গে!
তবে কি আজ শেষ পরাজয়,
নাকি হবে নতুন কিছুর জয়!



বিরহিনীর কান্না
বিপ্লব গোস্বামী

বিরহিনীর কান্না আষাঢ় ধারা হয়ে
অবিরাম ঝরঝর ঝড় ঝরে ;
মেঘে গুমোট ধরা মনাকাশ মাঝে
তবু রঙ্গিন আভা উঁকি মারে।
ভারাক্লান্ত মনে বিরহিনী বসে আছে
চাতকের মতো পথ পানে চেয়ে ;
হয়তো অসিবে সে শেষ বারের মতো
সেই সুরেলা কন্ঠে গান গেয়ে।




"সৃষ্টি তোঁমার"
জুয়েল রুহানী।

বিকেল বেলার মিষ্টি রোদে
দৃষ্টিনিপাত বাদ-বিবাদে,
মনোনিবেশ মানবে না হার
সকল কিছুর প্রতিবাদে!

মন হারানো মায়বী রূপ
সৃষ্টি প্রভূর নিপূন হাতে,
দৃষ্টি নাহি সরানো যায়-
বিশ্ব নিখিল ধরনীতে!

প্রভূর রাহে শুকুর-গুজার
তাঁহার দেয়া নেয়ামতে,
না জানি কী আছে ঘেরা-
সৃষ্টি তোঁমার ঐ নাজাতে?





                     " প্রেম "
           
               হামিদুল ইসলাম।
       

প্রভাতের সূর্য
চারদিকে ছড়িয়ে দিয়েছে আবির
শিশিরে তোমার দুপা
হালকা জমিনে তোমার পায়ের ছোঁয়ায় দেখি প্রেম
সংসার কথা বিনিময় ।।

তোমার চুলে শিশিরের চুম্বন
ভেজা পায়েতে মাটি
নির্মেঘ আকাশ
হাঁটি হাঁটি পা পা
তুমি এখন সূর্যের মতো চিরযৌবনা   
   ।।

সূর্য ইতিহাস
ভোরের হাওয়া আর কুয়াশার জলচ্ছবি
কবিরা কবিতা লেখেন কতো কথকতা সাজিয়ে
জীবন ইতর বিশেষ
এ জীবনে তুমি আমি পারাবত প্রিয়া ।।

শান্ত নদী
কুলকুল সংগীতে মুখরিত মহুয়া বন
এখানে হারিয়ে যাবার নেই কোনো মানা
প্রতিদিন এখানে
মহুয়া ফুলের মতো ঝরে পড়ে প্রেম 
   ।।

এসো প্রেম কুড়োই ।






 তোমায় মনে পড়ে
        রুহুল আমিন
তোমার কি মনে পড়ে
সেই প্রথম দেখার দিন
আমার হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল
তীব্র কালবৈশাখীর মতো
তোমার মনের অসমাপ্ত কথার
বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল স্বরস্বতী পূজার দিন
সমস্ত আকাশ মেঘলা হয়ে ওঠে
অন্ধকার গ্রাস করে পৃথিবীকে
দূরন্ত বাস্তবতার মাঝেও
আমি তোমাকে খুঁজে বেড়াই
জীবনের বিষ্ময় সূচক শব্দ
পাড়ি দিতে দেয়নি সাত সমুদ্র।



কেউ নয় কারো প্রতি
বিমান প্রামানিক
জানি গো আমি আসবে তুমি
           আর কতক্ষণ আমি
ঠিক সবার মাঝে রঙিন সাজে
         হয়তো আমি একাকী ।
ঐ যে দুরে গানের সুরে
        কি মিষ্টি মধুর গলা!
জানো কি তুমি এই মোর ভুমি
        এই পথেই মোর চলা।       
এসো এসো ওগো এবার জাগো
      রঙের রঙিন লীলা খেলা
এসো একটিবার দেখিবে তোমার
       অপেক্ষায় কাটে কত বেলা।
একটু খানি কথা দেয় মনে ব্যথা
         নয়তো কি আর করি
যাচ্ছে তো যাক যদি না থাক
       আর নয় বেশি জোরাজুরি ।
এসেছো যে তুমি! কাঁপে তাই ভুমি
        বলার আর নেই কিছু বাকি
জগৎ জুড়ে শুধু না পেলাম কিছু
       শেষে রইল পড়ে এই মাটি।
সবাই যেন তোমায় দেখতে নাহি পাই
    জীবনে চলার আলো ছায়া পথে
পায়ের শব্দেতে মাটি কেঁপে ওঠে
      কি আর করি বলো তাতে?
দিন চলমান নিশির অবসান
          কেউ নয় কারো প্রতি
আর কত কাল একি দিনকাল
        শুধুই চাই অপরের ক্ষতি।
কর জোড়ে প্রার্থনা নাকি শুধুই বন্দনা
      তোমার আসার অপেক্ষায়
আজ তবে কেন নয় কেউ ধন্য
     সবার কাটে সময় আশায় আশায়।
 
         







সৌম্য ঘোষের দু'টি কবিতা :--

        সংলাপ -১

সম্পাদক আমাকে বলেছিলো জঙ্গলে নিয়ে যাবে ।
সুন্দরবনের নদী ঘেরা অরণ্যে
জঙ্গলের গভীরে নিয়ে যাবে ।

সেখানে ম্যানগ্রোভ আর সুন্দরী গাছের
আলিঙ্গনে প্রকৃতি লাস্যময়ী !

সেখানে রাত্রি হয় , ক্ষয়হীন অন্ধকারে
সেখানে ভোর হয় , নিশি ডাকে
চরাভূমিতে জোনাকিরা জ্বলে ।।

   
      সংলাপ ২

চুঁচুড়া শহরে অনেকদিন হয়ে গেল ।
ডাচেদের গোরস্থান , আর্মেনিয়ান চার্চ
রবীন্দ্র ভবন , গুস্তাভাস দুর্গের স্মৃতিমাখা গর্ব
একদিন সব অনুভূতি নষ্ট হয়ে যাবে ।


মৃত মানুষের স্মৃতি ও বিষণ্ণতা নিয়ে
আমাদের চারপাশ জুড়ে কুয়াশার আস্তরণ ।।





ক্রাইসিস
ডাঃ তারক মজুমদার

হৃদয়ে কেউ যণ্ত্রনার পেরেক গেঁথে দিলে
খুব কষ্টে আমি স্নাত হই ঘামে---
নিঃশব্দে রক্ত ক্ষরণ---।

কষ্ট যত গভীরতা পায়,দুচোখ দিয়ে জল
তত বেড়িয়ে আসে ।

একদিন সমস্ত মানুষের যন্ত্রণায়
বিচলিত হবে পৃথিবী ---।

সেদিন হার্ডওয়ারের দোকানে
পেরেকের বড্ড ক্রাইসিস হবে-----।





সোমবার, ২৯ জুন, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 28 & 29/06/2020

  
         "উপকণ্ঠ 28 & 29শে জুন সংখ্যা "
          "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)
        প্রকাশ কাল:-29/06/2020, সোমবার
                    সময় :- সন্ধ্যা 6 টা

সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত

মুঠোফোন:- 9593043577

🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here



পরিবেশ বিপর্যয় দূষণ
প্রবন্ধ
আব্দুল রাহাজ
সেই শিল্প বিপ্লবের পর থেকে পরিবেশ কোথাও যেন দূষণের স্বীকার হয়েছে। শিল্প বিপ্লবের পর থেকে দিন দিন বাড়ছে কল-কারখানা নগরায়ন জনসংখ্যা বর্তমানে  বিশালাকারের প্রভাব বিস্তার করেছে সারা বিশ্বে ।এর প্রভাব দেখা যায় পরিবেশের উপর। বর্তমানে পরিবেশের ভারসাম্য নিম্ন পর্যায়ে অবস্থান করছে পরিবেশের অবস্থার জন্য কোথাও যেন আমরা মানুষকে  দায়ী করা যায় কারন মানুষ হয়ে গেছে আরাম বিলাসী ভোগবিলাসী।  প্রাকৃতিক পরিবেশ কোন অঞ্চলকে তার শোভা দ্বারা  আচ্ছাদন করে রাখে। বর্তমান যুগ আধুনিক যুগ  উন্নত দেশগুলিতে পরিবেশ দূষণ বা বিপর্যয় বেশি হারে দেখা দিচ্ছে। তেমনি করে দেখা যাচ্ছে যেসব দেশ উন্নতিশীল হচ্ছে সেসব দেশে বিভিন্ন কারণে পরিবেশ দূষণ ও বিপর্যয় হচ্ছে। বলা যেতে পারে বিশ্বের উন্নতির সাথে সাথে পরিবেশ যেন সুবা হারিয়ে ফেলেছে। আমরা জানি প্রাচীন সভ্যতা গুলি ধ্বংসের মূল কারণ পরিবেশ ও তার সম্পদের অপব্যবহার। মালি মায়া সিন্ধু সভ্যতা ইত্যাদি প্রাচীন সভ্যতা গুলি এই কারণে ধ্বংস হয়েছে। এত উদাহরন দেওয়া যায় কোন একটি অঞ্চলের বা দেশে বিশাল অঞ্চল জুড়ে রয়েছে জীব-বৈচিত্র্য জীব বৈচিত্র্যকে কেন্দ্র করে সেই অঞ্চলের অর্থনীতি অন্যান্য কার্যকলাপ করা হয় তাহলে সেই দেশ বনাঞ্চল অর্থনীতির পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি লাভ করেছে উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ভারত। কিন্তু বর্তমানে আমরা দেখতে পাচ্ছি জীব-বৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে অবস্থান করছে।দেখা যাচ্ছে সেই অঞ্চল বা দেশ পিছিয়ে পড়ছে অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে এবং পরিবেশ দূষণ ও বিপর্যয় সেই অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে। এখানে উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ যেখানে বেশিরভাগ মানুষ অপুষ্টির শিকার হয়েছে। পরিবেশ দূষণ যতই বাড়ছে ততই পৃথিবীর বার্ষিক উষ্ণতা বাড়ছে যার জেরে দেখা দিচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। এর ফলে দেখা যায় সমুদ্র জলের উষ্ণতা বৃদ্ধি জলের উচ্চচাপ। একটা সমীক্ষায় জানা যায় জানা যায় 2050 সালে পৃথিবীর বার্ষিক উষ্ণতার এইভাবে বাড়তে থাকলে ইংল্যান্ড বাংলাদেশের কিছু উপকূলীয় অঞ্চল এবং সুন্দরবনের কিছু অংশ জলের তলায় চলে যাবে। বর্তমান সময়ে পরিবেশের এবং সারা বিশ্বের এই অবস্থার জন্য দায়ী করা মানুষকে। পরিবেশ দূষণের ফলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস  বিভিন্ন দূষণের অত্যধিক বৃদ্ধি অরণ্য ধ্বংস যেটা পরিবেশের কাছে ছিল সংকটের মুখে কৃষি ক্ষেত্রে অভাব দেখা যাচ্ছে। আধুনিক যুগ এমন এক উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে কীটনাশক দেওয়া হচ্ছে জৈব সারের বদলে। এভাবে বর্তমানে পরিবেশ দূষণ ও বিপর্যয় এক ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে যার ফলে বিশ্ব উষ্ণায়ন পরিবেশ দূষণ দেখা দিচ্ছে।বর্তমান পরিবেশ দূষণ বিপর্যয় বিষয় নিয়ে  ১৯৭২সাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের এ বিষয়ে তথ্য নিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ এর  বিভিন্ন সংস্থায় এ বিষয়ে এগিয়ে এসেছে বর্তমান ভারত সরকার পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কিছুটা সুরাহা মিললেও পরিবেশ বিপর্যয় আরো এগিয়ে যাচ্ছে যার জন্য অনেকাংশে মানুষকে দায়ী করা হচ্ছে। মানুষকে সচেতন করতে হলে বিভিন্ন প্রচার লিফলেট গণমাধ্যম টিভি রেডিও প্রকৃতিকে এগিয়ে আসতে হবে যা বর্তমানে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এর ফল স্বরূপ কিছু সুরাহা মিললেও কোথাও সমাজের মানুষ তা বুঝতে পারছেনা তাই সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে  জীব বৈচিত্র্য কে রক্ষা করতে হবে এভাবে পরিবেশ বিপর্যয় কে রক্ষা করে নতুন করে সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে যার শোভা যেন পৃথিবীতে আচ্ছাদন বা আবৃত করে রাখে।
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵

'যোগ্য' এবং 'অযোগ্য' !
            রাজা দেবরায়
প্রথমেই বলে রাখা ভালো 'যোগ্য' ও 'অযোগ্য' কথাটা আপেক্ষিক । কেননা (ইদানীং দেখা যাচ্ছে তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিরা 'কেননা' শব্দের পরিবর্তে 'কেনকি' ব্যবহার করছেন, যা খুবই আপাত দৃষ্টিতে 'দুঃখজনক' ! কেননা 'কেনকি' বলে কোনো আভিধানিক শব্দ আপাতত নেই । হিন্দী 'কিউকি' থেকে 'কেনকি' এসছে । কিন্তু আদতে এরকম কোনো শব্দ নেই । তাই দেখুন তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিগণ 'অযোগ্য'র মতো এই শব্দ ব্যবহার করছেন !) আমার কাছে কেউ 'অযোগ্য' হলেও দেখা যেতে পারে আপনার কাছে ঐ একই ব্যক্তি যেকোন দৃষ্টিভঙ্গিতে বা কর্মক্ষেত্রে 'যোগ্য' । আবার উল্টোটাও হতে পারে ।

শ্রদ্ধেয় শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের বোঝান বা পড়ান । সব শিক্ষার্থী সবটুকু বুঝতে পারেন না । কেউ কেউ বিষয়টা বুঝতে পারেন, কেউ কেউ মোটামুটি বুঝতে পারেন, কেউ কেউ অল্পকিছু বুঝতে পারেন, আবার কেউ কেউ একদমই বুঝতে পারেন না । ফলে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের মূল্যায়ন যদি করা হয়, তবে সেটা 'যোগ্য' বা 'অযোগ্য' দুটোই ফলাফল আসতে পারে । আবার সামগ্রিকভাবে, বুঝেছেন কতজন সেই হিসেবে 'যোগ্য' অথবা 'অযোগ্য' নির্ধারিত হতে পারে । আবার ধারাবাহিক সমীক্ষার ফলাফলে আরেকরকম ফলাফল আসতে পারে । তাছাড়া এরকমও হতে পারে, ঐ শ্রদ্ধেয় শিক্ষক যেভাবে বোঝান ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঠিক সেভাবে নিতে পারছেন না, অথচ ঐ শ্রদ্ধেয় শিক্ষক গুণগত মানেরই পাঠদান করছেন । হয়তো দেখা যেতে পারে, ঐ শ্রদ্ধেয় শিক্ষককে অন্য বিদ্যালয়ে বদলি করার পরে দেখা গেলো ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই খুব ভালো বুঝতে পারছেন । তাই বিষয়টা খুবই আপেক্ষিক । চট করেই 'যোগ্য' অথবা 'অযোগ্য' তকমা লাগিয়ে দেওয়া অনুচিত ।

(শেষ অংশ আগামী পর্বে)
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵


        I will not enter
     Siddhartha Singha


I will not enter this lane or that.

let there lie a compound surrounded by mango leaves
let there be an ogre guarding pots of gold coins
let there lie an instant road reaching the very door.

I will not enter this lane or that.

one or half fruit of phalsa or one or two flower of grass is sufficient for me.
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵


Death
          Sabir Ahmed

 I'm Death ; I've no father,no mother.             
Time is my messenger ; I've only Creator.
I'm solitary ; I'm melancholy ; I'm cruel.
I've no mercy ; no love, never I fail.
I'm black ; I'm perilous ; I've no mirth.
My name is Death...black-death
I know none ; I understand none.
I do not abdicate the life of anyone.
I'm made like charcoal with hidden fire.
Death for everyone as Soul for hunger.
No second,no hour,no century, no minute
No day,no year,no month,no week,no night.
I'm countless millennium-                  
where there's birth, there I am.
I'm ferocious and wild for sinners…..
I show my peace only for God's servants.
Al-Munkar and al-Nakeer'll approach.
When you'll be tombed and left to stretch.
I'm melancholy ; I'm black.
Present anywhere I am Death, only ache.  

🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
       Beautyless Nature 
          By Subhankar Das
O nature you are beautiful, you are graceful ;
But your beauty is very fleeting ;
Fill yourself up with a combination of seven seasons ;
But you can't hold the sweetness of your form ;
You are colourless, you are pale, you are motionless ;
But my friend is much more beautiful than you ;
My friend's beauty is eternal ;
My friend's beauty never fades ;
My friend is always young ;
O nature always drop your ribs in seven seasons ;
What do you know, my friend ?
In seven seasons my friend flew the 'dali' of her own beauty.
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
কালো রাত 
রাজকুমার ঘোষ

  বিশু প্রতিবাদ করেছিল শুধু, পরিণামে তার পরিণতি যে পর্যায়ে পৌছল তাতে ওর নিজের প্রতি ঘেন্না ধরে গেছে। অস্ফুট স্বরে নিজেকেই গালমন্দ করে - 'ঘাট হয়েছে, প্রতিবাদ করে পিছনে আছোলা বাঁশ নিতে হচ্ছে।'  
আসলে হয়েছে কি, বিশু ওর পাড়ার রকে আড্ডা দিচ্ছিল। ঐ সময় রমা সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎই দেখে একটা ষন্ডামার্কা লোক রমার হাতটা ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। বিশু এটা দেখে কোনোকিছু না ভেবে লোকটাকে উদুম পিটিয়েছে। পিটুনি খেয়ে লোকটা হতভম্ব, যাওয়ার আগে বিশুকে - 'খুব ভুল করলি, নেড়াতলার কেলোপাঁচু আমি। লোকে আমায় যম ভাবে, আর তুই কিনা_____'।   
এই রমা বিশুর পেছনে ঘুরঘুর করে। বিশু পাত্তা দেয়না। কিন্তু রমাও নাছোড়বান্দা। রমা জানায় লোকটা ওর দাদা, ঝামেলা হয়েছিল ওর দাদার সাথে, তাই ওকে নিতে এসেছিল। এটা শুনে বিশুর চক্ষু চড়কগাছ। একটা উটকো ঝামেলায় নিজেকে জড়ালো। রমার ওপর সে চটে গিয়ে যাতা বলে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিল।    
সামনেই দেওয়ালী, বিশু পাড়ার পুজো নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। এদিক কেলোপাঁচুর হুমকি দেওয়ালীর কালো রাতেই সে বিশুকে জবাই করবে। দেওয়ালীর দিন রাতের আকাশ আলোর রোশনাই, অসংখ্য বাজি পটকায় আকাশ বাতাস মুখরিত কিন্তু বিশুর মনে কালো রাতের হাতছানি। সে যথেষ্ট টেনশনে,কেলোপাঁচুর হুমকিতে বেশ বিচলিত। যথারীতি সেই সন্ধিক্ষণে অপারেশন বিশু, কেলোপাঁচু সদলবলে হাজির। বিশু পাড়ার পুজো মণ্ডপেই ছিল। কেলোপাঁচু ওর কলার ধরে বড় রাস্তার পাশে মাঠে নিয়ে এলো। দু-তিনজন সঙ্গী বিশুর ওপর চড়াও হলো। কেলোপাঁচু ওর খোকা (চাকু) নিয়ে বিশুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্যত হবে কি, কোত্থেকে রমা এসে বিশুকে জড়িয়ে ধরে 'দাদা প্লীজ, আমি ওকে ভালোবাসি রে, সেদিন ভুল করে তোকে মারধর করেছে। ও জানেনা তুই আমার দাদা' । কেলোপাঁচু ওর বোনকে ভীষণ ভালোবাসে। শুধু বললো 'ছি ছি একি করছি আমি__ এ পল্টন লোক পালিয়ে চল এখান থেকে' । কেলোপাঁচু তার দলবল নিয়ে চলে গেল। 
যার প্রতি বিশুর এতো অনীহা সেই রমাকে ও আরো জড়িয়ে ধরলো। রমার গালে ঠোঁটে অনেক চুমুতে ভরিয়ে দিলো। বিশু রমাকে বললো, 'এই কালো রাত শুধু তোমার আর আমার'।
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵


ফেরার টানে
রাজু মণ্ডল
আকাশ তখন মেঘলা, ছেলেটা বেরিয়েছে প্রাতে
 শহুরে রাস্তায় বৃষ্টি নেমেছে দুই পাশের উঁচু বাড়ি থেকে।
কাদাহীন পথে ছাতা মাথায় এগিয়েছে পেটের টানে,
 মহানগরের শপিংমল আর যানজটের ভিড়ে,
 হারিয়ে ফেলেছে নিজেকে সে অজানা মন্ত্রমুগ্ধে।
 ভোরের বাতাসে শুধু কালো ধোঁয়া সবুজহীন দিগন্ত,
 হাঁপিয়ে উঠেছে হৃদয় তার, হয়েছে দমবন্ধ।
দিয়েছে উঁকি জানালা দিয়ে ব্যস্ত কাজের ফাঁকে,
 কখনো তার একলা মনে মেঘদূত এসেছে ফিরে।
 কাজ শেষে সে এগিয়েছে তার রাঙা পথের দিকে,
 সবুজের হাতছানি বারেবারে উতলা করেছে তাকে।
 নেমেছে সন্ধ্যে ফিরেছে সে ঘরে ভিটেমাটির টানে।
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵

অন্য পাতায় 
সমীরণ বেরা 

একদিন নিশ্চিত ঝরে যাব 
একদিন নিশ্চিত মিশে যাব
পুরানো চির পুরাতন চেনা শরীর
অন্য রূপ নেবে হয়তো রূপাতীত বিকাশে,
যদি সাধারণ পাতার মত ভেবে নাও তবে মাটি হব নিশ্চয়।
কিম্বা অগ্নি শিখায় প্রজ্বলিত হতেও পারি 
পাথর কুচির মত অন্য পত্র হলে জেগে থাকবে সৃষ্টি প্রত্যয় ।

এক সত্ত্বা থেকে একাধিক সৃষ্টির পথ-নূতন জীবন
যদি কাল বৈশাখি উড়িয়ে নিয়ে যায় তবে অন্য কোথাও 
আমি, আমার সৃষ্টি এই সব কিছু খুঁজে দেখো ডায়েরির পাতায় ।
সব পাতা পাল্টালেও এই পাতা গুলো অবিকৃতই থাকবে
এখানে খুঁজে দেখো আমায়; কেমন ছিলাম আমি!
অথবা ভাবী কালে অন্য আমির রূপরেখা ।

🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵

জীবন সূচনার তমসুক   
বাপন দেব লাড়ু
তুমি যতদূর ভাবতে পারো ভবিষ্যৎ, 
ঠিক ততদূর না গেলে বাকী থেকে যায়  
  জীবনের শেষ আলিঙ্গন। 
সেখানে অব্যক্ত বার্তাগুলো ছড়িয়ে দেয় কবিতা। 
বিরামহীন বৃষ্টি আঁকে তোমার ভাবনার 'গ্রাফ্'।
ফিরে আসার শেষ চিহ্নটুকু যদি সমাধিস্ত হয়, 
ঠিক কাছাকাছি কোনো জমাট বাঁধা জলের দেশে ;
তুমি প্লিজ বলে দিও আমার অবস্থান 
  তোমার নিজস্ব পৃথিবী থেকে।
কোনো এক মৃতের ঘরে,
 আমাদের এই ভালোবাসার ব্যবচ্ছেদ হোক্, 
এ আমার বাসনা নয়। 
তাই দুরে থাকাই ভালো!
শুধু চাই তোমার ঘুমের দেশের পাখি, 
নিশীথ ফুলের পাপড়ির মতো, 
  ফুটে উঠুক স্বপ্নগুলো,
লেখা হোক্ সময়ের স্বাক্ষ্যে
             জীবন সূচনার তমসুক ;
কি হবে নৈতিক ভালোবেসে?
সরীসৃপের মতো এগিয়ে, 
 না পাওয়ার বঞ্চনায় বেঁচে থেকে? 
🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾
কবিতা- 
সম্পর্কের পরিবর্তন
 রুহুল আমিন
নক্ষত্রের আলোতে আজ আলপনা
নীল সমুদ্রের ওই প্রান্তে জনাকির আলোতে
ঝাপসা অন্ধকারে তোমায় খুঁজেছি
ঝিনুকের মাঝে রন্তের মূল্য অপরিসীম
নিহত উজ্জ্বল আলোতে সম্পর্ক বেঁধেছি
ক্লান্ত রাত যে চোখে ঘুম আনে
সে ঘুম সভ্যতার থেকে দূরে রেখে
তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি
অন্তিম আকাঙ্ক্ষা বুকে নিয়ে
গভীর হৃদয়ে বাতি জ্বেলেছি
বায়না ধরলে সম্পর্ক পরিবর্তনের
সে কি এতোই সোজা তোমার কাছে?
আলো আঁধারির বাস্তবতার মাঝে
তোমার সিঁথির রং যায় মুছে
ঠোঁটের কোনের হাসি কান্নাতে মেশে
সম্পর্ক কি ছেলেখেলা?
পাকে পাকে তোমার পথ চলার সম্মুখে
ক্ষীন সুখের স্বপ্ন দেখি
আজ থেকে তুমি নও সে বনলতা
যে আমার প্রিয় মানুষ ছিল।
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
কবিতা
 সব কুড়িতে ফোটে না ফুল  
শোভা মন্ডল
সব কুড়িতে ফোটে না ফুল, কিছু কুড়ি, অকালে ঝরে যায়, কিছু কিতে(kite) কাটে, কিছু ফুল ফোটে। 
যারা ফোটে মালির বাগিচায়,
তারা শুধু সোহাগ কুড়ায় 
। এই সোহাগী ফুলেরা বোঝে না কখনো কীটের দংশনের কি যে জালা, বোঝে না কখনো ঝরে পড়ার অবহেলা।
কেবল আপন আহ্লাদে, সুখ সাগরে ভাষায় প্রমোদের ভেলা। উদ্দাম আনন্দে ওঠে দুলে, ঝরে পড়া কিট এ কাটা কুড়ি গুলি পড়ে থাকে কুলে ।
অথচ, ওরা একই বৃন্তে ছিল একদিন ।
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵

                    " বিশ্বাস "
            
             হামিদুল ইসলাম।
         
কবিতার সাথে 
প্রতিদিন রাত্রি যাপন 
কবিতায় রাখি প্রাণ ।।

কবিতা আসে 
কলমের ঠোঁটে 
ধন‍্য করে জীবন ।।

হে কবিতা 
তোমাকে ভালোবাসি
তুমি হৃদয়ে হৃদয় ।।

তুমি আছো 
আমি আছি 
আমাদের প্রেম অক্ষয় ।।

প্রেমের দরজা 
খুলে রাখি আসমানে 
তুমি আসো নিত‍্য ।।

কলমের ঠোঁটে 
তোমার জন্ম 
তুমি ভরিয়ে তোলো আশার চিত্ত ।।

দিনে রাতে তুমি আসো 
তাই তুমি হয়ে ওঠো 
জীবন ইতিহাস ।।

তুমি আছো 
যুগে যুগে 
তাই হৃদয়ে রাখি বিশ্বাস ।

🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵

অনুকবিতা মধুর স্মৃতি 
কলমে ডঃ রমলা মুখার্জী
মধুর স্মৃতি আঁকড়ে ধরে কাটে আমার বেলা-
সুর হারিয়ে গানের ভেলায় ফুরালো সব খেলা।
আমার ছিল স্তাবক অঢেল, কন্ঠ-ভরা সুর......
সেই সুরেতে আমার আমি আল্হাদে ভরপুর।
পুরানো সেই সুরগুলি মনের মধ্যে রোজ-
মারণ রোগে বেসুরো আমায় কেউ করে না খোঁজ।

🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
কবিতা:-
    উপকণ্ঠ
           জুয়েল রূহানী


আমার মনের উঠোন জুড়ে
কাব্য মুঠো দিলেম ছুড়ে,
উপকন্ঠ ম্যাগাজিনে-
কাব্য লিখি হৃদয় খুঁড়ে।

স্বপ্ন সাজাই ভোরের আলোয়
কাব্য, ছড়া, উপন্যাসে,
সূর্য ওঠার সাথে সাথে-
উপকন্ঠে স্বপ্ন ভাসে।

দেশের সীমা-পরিসীমা,
সব পেড়িয়ে সব ছাড়িয়ে,
উপকন্ঠ ম্যাগাজিনে-
লেখার নেশায় যাই হারিয়ে।

উঠোন জুড়ে স্বপ্ন মুঠো,
ছড়িয়ে দেই কাব্য লিখে,
উপকন্ঠ ম্যাগাজিনের -
সুবাস যাবে চতুর্দিকে!
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵

 বৃষ্টিধারায় এসো

শ‍্যামাপ্রসাদ সরকার 

তুমি বৃষ্টি ভালবাসতে বলে
চোখের জলের বদলা নিতাম বেশী!
আমার চিরকাল রোদ ঝলমলে দিন পছন্দ,
তাই দেখে তেতে উঠতাম অনুরাগের অভাবে।

তোমার ছিল মনখারাপের দখলদারি,
চোখের কোণে মৌসিনরাম পুষে রাখতে শিখেছ,
আমার তীব্র মরুভূমির বুকে ঝরে পড়ার আগেই
অবশ‍্য তাকে শুকিয়ে যেতে হত! আমার মন রাখতে...

তোমার বুকে নদীও ছিল একটা,
বর্ষার জল পেয়ে তা পুষ্ট হত ক্ষণে ক্ষণে,
দুটি হাতে নিংড়ে তাকে চরার মত শুকনো করেই
তবে বলতাম, এসব ছেলেমানুষী এবার বন্ধ কর তো...!

তুমি আবেগে, আনন্দে, বিবাদে সবেতেই,
বৃষ্টি ঝরাতে পারতে, কি অলৌকিক ধারা
তোমার ভিতর থেকে বয়ে যেত পাগলাঝোরা হয়ে...

বর্ষাকাল আসলে এখন তোমায় খুব মনে পড়ে,
সবদিক ছাপিয়ে উপচানো যুবতী মেয়েদের
মধ‍্যে যে একটা বর্ষাকাল থেকেই যায়...
সেটা তুমি চলে যাওয়ার পর এতগুলো বছর লাগলো বুঝতে...

সেই বর্ষাকালের জলে ভিজতেও জানতে হয়,
রাগমোচনের আলাপ থেকে বিস্তারে যেতে হয়,
আর চোখের জলের ফোঁটাগুলো করতল পেতে
লোভীর মত ধরে রাখতে হয়,ভালবাসতে হয়....

আজ যখন অজস্র বর্ষায় ভিজে শুকনো হতে যাই...
তখন বুঝতে পারি, ভিজে যাওয়া মুহূর্তগুলোকে
জোর করে শুকিয়ে ফেললে খরা নেমে আসে,

হ‍্যাঁ, মাটির বুক ফেটে জন্ম নেয় অনুর্বর খরা!

🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
কবিতা
প্রবাদ 
 - অগ্নিমিত্র ( ডঃ সায়ন ভট্টাচার্য)

গাছেতে কাঁঠাল আর গোঁফে দিস তেল,..
ধরব মাছ, ছোঁব না জল তো ..,
নেড়া হলে গাছটার নাম ও যে বেল ;
যাব কেন আমি তুই বল্ তো ?!..
চোরের মায়েদের বড় গলা জানি ,
তাই সাবধানের নেই মার যে !
ঠ্যাঁটারাম তুই মহা চালাক মানি
সফল হবি না তাও কার্যে!
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে জানিস?!
নাকি আজকাল প্রবাদটা ভুলেছিস?..
তাই যতই বেমক্কা আঘাত হানিস 
একদিন দেখবি কান মুলেছিস ।
এ কবিতা শুধু তোর জন্য নয়
আছে তোর মতো আরো পাপিষ্ঠ ,
অতি চালাকের গলা দুর্ভাগা হয় ...
সিদ্ধ হবে না তো অভীষ্ট !!
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
"মানুষের জন্য"
        বিমান প্রামাণিক 
মানুষ আজ অসহায় 
মানুষ যখন, পাশে দাঁড়াও,
মানুষ আজ ক্ষুধার জ্বালায় 
যেটুকু সামর্থ্য হাত বাড়াও। 
মানুষ আজ একলা 
সঙ্গ দিয়ে সাহস জোগাও, 
মানুষ আজ কর্মহীন 
তার চেতনা জাগাও। 
মানুষ ভুলেছে প্রতিবাদ 
এক জোটের ডাক দাও, 
প্রতিবাদে সামিল হয়ে
 নায্য অধিকার ফিরে পাও। 
মানুষই ফাঁদ পেতেছে
তাই কাঁচি হাতে এগিয়ে এসো
মানুষই করছে চুরি
বিনা দোষে শাস্তি পাচ্ছো। 
যার আছে যত ধন 
ভর্তি তাতে বাড়ির গোলা,
তারই বাড়ির পাশের জন
অনাহারে থাকে দুই বেলা।
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵

©Sk Asad Ahamed 
Editor, উপকণ্ঠ
Gangpura, Sagareswar, Ramnagar, 
Purba Medinipur
Date:- 29/06/2020