মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 30 জুন 2020



             "উপকণ্ঠ 30শে জুন সংখ্যা "
               "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                    (ওয়েব ম্যাগাজিন)

        প্রকাশ কাল:-30/06/2020, মঙ্গলবার
                    সময় :- সন্ধ্যা 6 টা


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং

প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-

                  ১) ইমরান খাঁন

                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-

গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর

থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর

সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত


মুঠোফোন:- 9593043577


🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷


উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে

Click Here


উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে

Click Here


🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷



        Let me stay
Siddhartha Singha
Let me stay as it is now.

may the touchstone be mixed up with the pebbles by wayside
may not the flute on my lip catch the tune of Hamlyne
may I not get the three boons offered by the king of ghosts

Let me stay as it is now.

don't dangle ripe apple before me anymore.





বাঁশি
রঞ্জনা রায়

 ভাঙাচোরা তাকে তুলে রেখেছি লাল বাঁশিটি
 অবগাহনের স্নিগ্ধ সুর ঘুমিয়ে আছে অন্তরে
 মন্দ্রিত ঝাউ পাতায় শিরশিরে রোমন্থন
 বাঁশি তুমি বেজে ওঠো ঝড়ো নিঃশ্বাসে
 ভাঙনমুখি নোনতা জীবন - সাগর তীরে।
#
 অগ্রন্থিত মুক্তোর মতো কয়েকটি অভিসার
 মন পাখি উড়ে যায় - বর্ষার নিপুণ সঙ্গত
  বাঁশি সাবধানী হয় সম্পর্কের বিহান বেলায়
 এলোমেলো মেঘ ছুঁয়ে উধাও সাপুড়ে মন
 সংকেতহীন নিধুবনে হেমন্তের ঘন বিষন্নতা।
#
 জীবনের মঞ্চ ঘরে শ্যাম সাজে যে পুরুষ
 সেই পুরুষই বাঁশি ফেলে খোঁজে রজ্জু বন্ধন ।





'যোগ্য' এবং 'অযোগ্য' !
(গত পর্বের শেষাংশ)
        রাজা দেবরায়

আবার এরকমও দেখা গেছে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে আসা অষ্টম শ্রেণী পাঠরত এক ছাত্র তার থেকে ছোট ক্লাসে খুব ভালো টিউশনি করছেন । অনেক বড় বড় প্রাইভেট টিউটরও হয়তো সেভাবে পড়াতে পারছেন না । ফলে পুরো ব্যাপারটাই আপেক্ষিক ।

আবার এরকমও হতে পারে, টেট পাশ করা শ্রদ্ধেয় শিক্ষক শিক্ষাগত যোগ্যতায় বলীয়ান হয়েও হয়তো পড়ানোর ব্যাপারটা সেরকমভাবে রপ্ত করতে পারেননি । হয়তো এরকমও হতে পারে, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার নিরিখে শিক্ষাগত যোগ্যতায় সেরকম বলীয়ান না হয়েও খুব ভালো পড়াতে ও বোঝাতে পারছেন । ফলে সবটাই আপেক্ষিক । 'যোগ্য' বা 'অযোগ্য' নির্ধারণ করা খুবই একপেশে ব্যাপার হয়ে যেতে পারে ।

আবার কোনো শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের হাত ধরে হাজার হাজার ছাত্র সমাজে প্রতিষ্ঠিত হলেও ঐ শ্রদ্ধেয় শিক্ষক হয়তো কুসংস্কারে নিমজ্জিত অথবা হয়তো ব্যাঙ্কের কাজ পারেন না অথবা এপ্লিকেশন লিখতে পারেন না । তখন 'যোগ্য' অথবা 'অযোগ্য' কথাটা আপেক্ষিক হয়ে যায় ।

তাই কোনো শ্রদ্ধেয় শিক্ষক 'যোগ্য' নাকি 'অযোগ্য' বলাটা খুবই টাফ ! আমাদের উচিত সব শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদেরই সম্মান করা । এবং তাতেই সমাজের মঙ্গল ।

শেষ করার আগে পড়া বোঝানোর ব্যাপারে শুধু এটাই বলবো -

আপনি কী বলছেন, তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ আপনি কীভাবে বলছেন, তার থেকেও অধিক গুরুত্বপূর্ণ আপনি যাদের বলছেন তারা কীভাবে নিচ্ছেন !!!



নিস্তেজ সূর্য
         আব্দুল রাহাজ

সারাদিন উজ্জ্বল কিরনে
ফুটিয়ে ছো প্রকৃতির, সৌন্দর্য।
তোমার আলোয় উপকার হয়েছে
কত শত মানুষের।
এই শীতের আবহে
তোমার আলোর তাপে
মানুষ পায় আরাম।
এ। কাজ যেন তুমি এই
সুন্দর পৃথিবীর ছায়া তলে করে আসছো চিরকাল।
তোমার এই বিচ্ছুরিত আলোয় যেন প্রকৃতি
ফিরে পায় তার মনোরম সৌন্দর্য পায়।
বেলা শেষে তোমার নিস্তেজ আলো ভরিয়ে দেয় সবুজে ভরা গ্ৰামবাংলার আসল সৌন্দর্য। পশ্চিম আকাশের হলুদ বর্ণ আলো যখন বিচ্ছুরিত হয় তখন মনে হয়
কোনো রূপকথার দেশ।
এইভাবে তুমি আদি দিগন্তের পথ ধরে
পালন করে আসছো।




  খনন
শোভা মন্ডল

সে অনক কালের কথা,
বুকের গহন অতলে,
গচ্ছিত ছিল কিছু ধন.... বহু যুগ পর, খনন, শুধু খনন নিরন্তর.,. দেহমন ক্লান্ত যখন, উদাস নয়ন, স্বপ্নের মত আলোর ফুলকি জাগালো শিহরণ।

কে যেন ডাকলো ওই, ব্যাকুল নয়ন, আমারই হারানো মানিক সে, বেঁচে আছে এখনো বেঁচে আছে!! আমারই বুকের সে গচ্ছিত ধন ।
,
চোখে এলো জল, প্রাণ পেল বল যায়নিভেসে আমার, স্বপ্ন ফসল। ওরে মানিক ! আয়, উঠে আয়, তুই যে আমার প্রাণের অধিক প্রিয়, প্রানভোমরা আমার!

কি আনন্দ, কি আনন্দ!
হিরে মুক্ত নয় তো বা সে নুড়ি পাথর হয়তো হবে, তবুও, সে আমার বহুমূল্য রত্ন ধন ।
কারণ ..... নুড়ি পাথরের অন্দর মহলে, শিবের অধিষ্ঠান ।






অনুকবিতা

কবিতার নাম: বিস্ময়
রোজিনা খাতুন

শব্দেরা আজ নিঃশব্দ,
উত্তরেরা আজ নিরুত্তর;
প্রশ্নেরা উঁকি দিয়ে যায়,
নতুন কিছুর অপেক্ষায়।
নতুনেরা পুরাতন খোঁজে,
পুরাতনেরা মুখ ঢেকে যায়!
বিস্ময় আজ তুঙ্গে,
অবিশ্বাসের সঙ্গে!
তবে কি আজ শেষ পরাজয়,
নাকি হবে নতুন কিছুর জয়!



বিরহিনীর কান্না
বিপ্লব গোস্বামী

বিরহিনীর কান্না আষাঢ় ধারা হয়ে
অবিরাম ঝরঝর ঝড় ঝরে ;
মেঘে গুমোট ধরা মনাকাশ মাঝে
তবু রঙ্গিন আভা উঁকি মারে।
ভারাক্লান্ত মনে বিরহিনী বসে আছে
চাতকের মতো পথ পানে চেয়ে ;
হয়তো অসিবে সে শেষ বারের মতো
সেই সুরেলা কন্ঠে গান গেয়ে।




"সৃষ্টি তোঁমার"
জুয়েল রুহানী।

বিকেল বেলার মিষ্টি রোদে
দৃষ্টিনিপাত বাদ-বিবাদে,
মনোনিবেশ মানবে না হার
সকল কিছুর প্রতিবাদে!

মন হারানো মায়বী রূপ
সৃষ্টি প্রভূর নিপূন হাতে,
দৃষ্টি নাহি সরানো যায়-
বিশ্ব নিখিল ধরনীতে!

প্রভূর রাহে শুকুর-গুজার
তাঁহার দেয়া নেয়ামতে,
না জানি কী আছে ঘেরা-
সৃষ্টি তোঁমার ঐ নাজাতে?





                     " প্রেম "
           
               হামিদুল ইসলাম।
       

প্রভাতের সূর্য
চারদিকে ছড়িয়ে দিয়েছে আবির
শিশিরে তোমার দুপা
হালকা জমিনে তোমার পায়ের ছোঁয়ায় দেখি প্রেম
সংসার কথা বিনিময় ।।

তোমার চুলে শিশিরের চুম্বন
ভেজা পায়েতে মাটি
নির্মেঘ আকাশ
হাঁটি হাঁটি পা পা
তুমি এখন সূর্যের মতো চিরযৌবনা   
   ।।

সূর্য ইতিহাস
ভোরের হাওয়া আর কুয়াশার জলচ্ছবি
কবিরা কবিতা লেখেন কতো কথকতা সাজিয়ে
জীবন ইতর বিশেষ
এ জীবনে তুমি আমি পারাবত প্রিয়া ।।

শান্ত নদী
কুলকুল সংগীতে মুখরিত মহুয়া বন
এখানে হারিয়ে যাবার নেই কোনো মানা
প্রতিদিন এখানে
মহুয়া ফুলের মতো ঝরে পড়ে প্রেম 
   ।।

এসো প্রেম কুড়োই ।






 তোমায় মনে পড়ে
        রুহুল আমিন
তোমার কি মনে পড়ে
সেই প্রথম দেখার দিন
আমার হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল
তীব্র কালবৈশাখীর মতো
তোমার মনের অসমাপ্ত কথার
বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল স্বরস্বতী পূজার দিন
সমস্ত আকাশ মেঘলা হয়ে ওঠে
অন্ধকার গ্রাস করে পৃথিবীকে
দূরন্ত বাস্তবতার মাঝেও
আমি তোমাকে খুঁজে বেড়াই
জীবনের বিষ্ময় সূচক শব্দ
পাড়ি দিতে দেয়নি সাত সমুদ্র।



কেউ নয় কারো প্রতি
বিমান প্রামানিক
জানি গো আমি আসবে তুমি
           আর কতক্ষণ আমি
ঠিক সবার মাঝে রঙিন সাজে
         হয়তো আমি একাকী ।
ঐ যে দুরে গানের সুরে
        কি মিষ্টি মধুর গলা!
জানো কি তুমি এই মোর ভুমি
        এই পথেই মোর চলা।       
এসো এসো ওগো এবার জাগো
      রঙের রঙিন লীলা খেলা
এসো একটিবার দেখিবে তোমার
       অপেক্ষায় কাটে কত বেলা।
একটু খানি কথা দেয় মনে ব্যথা
         নয়তো কি আর করি
যাচ্ছে তো যাক যদি না থাক
       আর নয় বেশি জোরাজুরি ।
এসেছো যে তুমি! কাঁপে তাই ভুমি
        বলার আর নেই কিছু বাকি
জগৎ জুড়ে শুধু না পেলাম কিছু
       শেষে রইল পড়ে এই মাটি।
সবাই যেন তোমায় দেখতে নাহি পাই
    জীবনে চলার আলো ছায়া পথে
পায়ের শব্দেতে মাটি কেঁপে ওঠে
      কি আর করি বলো তাতে?
দিন চলমান নিশির অবসান
          কেউ নয় কারো প্রতি
আর কত কাল একি দিনকাল
        শুধুই চাই অপরের ক্ষতি।
কর জোড়ে প্রার্থনা নাকি শুধুই বন্দনা
      তোমার আসার অপেক্ষায়
আজ তবে কেন নয় কেউ ধন্য
     সবার কাটে সময় আশায় আশায়।
 
         







সৌম্য ঘোষের দু'টি কবিতা :--

        সংলাপ -১

সম্পাদক আমাকে বলেছিলো জঙ্গলে নিয়ে যাবে ।
সুন্দরবনের নদী ঘেরা অরণ্যে
জঙ্গলের গভীরে নিয়ে যাবে ।

সেখানে ম্যানগ্রোভ আর সুন্দরী গাছের
আলিঙ্গনে প্রকৃতি লাস্যময়ী !

সেখানে রাত্রি হয় , ক্ষয়হীন অন্ধকারে
সেখানে ভোর হয় , নিশি ডাকে
চরাভূমিতে জোনাকিরা জ্বলে ।।

   
      সংলাপ ২

চুঁচুড়া শহরে অনেকদিন হয়ে গেল ।
ডাচেদের গোরস্থান , আর্মেনিয়ান চার্চ
রবীন্দ্র ভবন , গুস্তাভাস দুর্গের স্মৃতিমাখা গর্ব
একদিন সব অনুভূতি নষ্ট হয়ে যাবে ।


মৃত মানুষের স্মৃতি ও বিষণ্ণতা নিয়ে
আমাদের চারপাশ জুড়ে কুয়াশার আস্তরণ ।।





ক্রাইসিস
ডাঃ তারক মজুমদার

হৃদয়ে কেউ যণ্ত্রনার পেরেক গেঁথে দিলে
খুব কষ্টে আমি স্নাত হই ঘামে---
নিঃশব্দে রক্ত ক্ষরণ---।

কষ্ট যত গভীরতা পায়,দুচোখ দিয়ে জল
তত বেড়িয়ে আসে ।

একদিন সমস্ত মানুষের যন্ত্রণায়
বিচলিত হবে পৃথিবী ---।

সেদিন হার্ডওয়ারের দোকানে
পেরেকের বড্ড ক্রাইসিস হবে-----।





0 comments: