"উপকন্ঠ বিশ্ব শরণার্থী দিবস সংখ্যা"
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-20/06/2020, শনিবার
সময় :- সন্ধ্যা 7 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
আজকে উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিনে যারা কলম ধরেছেন✒✒✒✒👇👇👇👇👇
বিশ্ব শরনার্থী দিবস
"উপকন্ঠ শরণার্থী সংখ্যা"
ছোটোগল্প
আশ্রয়
✍✍✍ সেখ সাবির মোল্লা।
"ওরা কারা মা যারা আমার দিদিকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গেল"-ভোরের আবছা আলোয় ১০ বছরের শিশু ঘুমমাখা চোখে আতঙ্কিত মুখে মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো।
"ওরা আমাদের মতোই আল্লাহর সৃষ্টি মানুষ বাবু"বলতে বলতে মায়ের চোখ দুটো চিকচিক করে উঠলো।ছেলেদের মিথ্যা শেখাতে নেই,কোনদিন মিথ্যাও বলেনি তবুও আজ কেন বলতে হলো জানেনা।কিছুক্ষণ আগে তার আব্বাকে,দিদিকে হারিয়েছে চিরকালের মতো,যাদের জন্য দশ বছর বয়সেই এতিম হয়ে যাবে তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্টি মানুষ বলাটা কি ঠিক হলো।
"তাহলে মা ওরা কেন আমাদের ঘর জ্বালিয়ে দিল,দিদিকে টেনে নিয়ে কোথায় গেল,ওদের হাতের অস্ত্রে টসটস করে রক্ত গড়াচ্ছিল কেন"।
নাহ এর কোন উত্তর নেই সত্যিটাই বলতে হবে।
"ওরা আমাদেরকে এই দেশে থাকতে দেবে না বাবু।তাই ওরা আমাদেরকে হত্যা করছে নৃশংস ধারালো অস্ত্র দিয়ে"।কিন্তু ছোট শিশু একদিন তার মায়ের মুখে গল্প শুনেছে ৬০০ বছর ধরে পূর্বপুরুষেরা এই মাটির সাথে জড়িয়ে আছে।আরো কত বছর থাকলে এই মাটি তাদের হবে।
মাকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করে ছোট্ট শিশু।
"জানি না বাবা,কেন এমন করছে ওরা"
"মা,আব্বাকে ওরা ছুড়ি দিয়ে গলাটা কেটে নাচ করছিল ,আমিও কাটবো গলা ওদের।
মায়ের চোখে তখন সূর্যের আলোতে চিকচিক করছে।ছেলেটা কি শেষ পর্যন্ত খুনী হবে।আকাশের দিকে একবার মুখ তুলে তাকালো।
ফিরবে না আর তার স্বামী,মাথার অলঙ্কার একমাত্র আদরিণী,আপনজন।
দুহাত দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলো তার শেষ বাঁচার সম্বলকে।
"না বাবু ,আল্লাহ ওদেরকে মাফ করবে না কোনোদিন।আল্লাহর গজব ওদেরকে শেষ করে দেবে"।
মা, তখন তাহলে আবার দিদিকে,আব্বাকে,আমার বন্ধুকে ফিরে পাবো ,আমি আবার তোমার কোলে মাথা রেখে শোব,তুমি আমায় গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেবে।আব্বা আবার আমার জন্য কত খেলনা কিনে আনবে বলো মা।কত আনন্দ হবে তখন।
নির্বাক মুখে চোখ দিয়ে গলগল করে পানি ঝরছে।মা তার সন্তানের আর ভুল ভাঙালো না।এই বিশ্বাস নিয়েই,আশা নিয়েই বাঁচুক বাবু।
হঠাৎ একটা উন্মাদ শব্দ ভেসে আসছে দূর থেকে।পাখিরাও আতঙ্কে কিচিরমিচির করছে।এতক্ষণের নীরবতার অভিমান ভেঙে ক্ষেপে উঠলো সদ্য প্রভাত।
লাল কাপড়ের দস্যুরা আসছে এই দিকেই,শব্দটা স্পষ্ট হচ্ছে আরো।
সকালের সূর্যটাকেও মেঘ চাপা দিয়ে দিল,বৃষ্টি আর বজ্রপাতের মধ্যেই মা কোলের শিশুকে চলে যেত বললো।
"চলে যা বাবু,ছুটে পালা"।
"তুমি যাবে না মা"।
তোকে বেঁচে থাকতে হবে বাবা,এখান থেকে নদী ঘাট ত্রিশ মিনিট ।সেখানে থেকে বাংলাদেশে চলে যা কেউ মারবে না আর।ওরা তোকে একটা থাকার জায়গা দেবে।
রুদ্ধশ্বাসে ছুট দিল বাবু।
অনেকটা যাওয়ার পর পিছনে ফিরে তাকালো।কয়েকজন দস্যু মিলে ছিড়ে খাচ্ছে তার মাকে।উন্মাদ অট্টহাসিতে চাপা পড়েছে বজ্রের শব্দ।মায়ের মুখটা আকাশের সাথে সখ্যতা করেছে যেন।তারপর সেই দস্যুরা নিথর নিস্প্রান উলঙ্গ দেহকে ছুড়ে ফেললো নাফ নদীতে।মনের অন্দরে ওর একটা ভাবনাই ঘোরাফেরা করছে ---
"আল্লাহর গজবে আবার ফিরে পাবো সকলকে,আবার ফিরে পাবো"।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
ওরা শরণার্থী
ছোট গল্প
✍✍✍ আব্দুল রাহাজ
ভুটিয়া ইয়াছিন বাটুল ওদের গ্রাম টা ছিল পূর্ববঙ্গে তাদের খুবই আনন্দে দিন কাটতো সুখে শান্তিতে বসবাস করত এদিকে দেশে লেগেছে ঘোর যুদ্ধ গ্রামের পর গ্রাম যুদ্ধের হাত থেকে বাঁচতে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ওরা তখনও খবর পাইনি প্রত্যন্ত প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাস করত গ্রামের এক সিধু মাস্টার বললেন হে গ্রামবাসী তোমরা কি গ্রাম ছেড়ে যাবে না পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে তোমরা কি মৃত্যুবরণ করবে আর বেশি দেরি করো না চলে যাও চলে যাও নইলে ওদের হাতে আমরা অত্যাচারিত লাঞ্চিত বঞ্চিত হব মা বোনদের ইজ্জত লুটিয়ে নেবে ওরা তখন গ্রামের লোক হাতের কাছে যা ছিল তাই নিয়ে লাইন দিয়ে চলল কেউ কেউ চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে পিছন ফিরে তাকায় নিজের জন্মভুমিকে ছেড়ে তারা পাড়ি দিচ্ছে এক অন্য দেশান্তরে। তখন ভুটিয়া ইয়াসিন আর বাটুলরা একসাথে লাইন দিয়ে বাবা মার হাত ধরে চলে যাচ্ছে ওরা জানে না ওদের সামনের দিনগুলো কি অবস্থা হবে কিন্তু তাদের সেই ছেলেবেলার স্মৃতি শৈশবের আম বাগান নদীগুলো তাদের দিকে চেয়ে থাকবে তারপর ওরা বুঝতে পারল ওরা আর দেশের মানুষ নেই হয়ে গেছে শরণার্থী ওদের এখন পেট চলবে কেউ সাহায্য করলে। ওরা তো নিজের জন্মভিটা নিজের দেশের ভূমিকে ছেড়ে দিয়েছে ওরা এখন সবার কাছে বিশ্ব মায়ের কাছে শরণার্থী শরণার্থী। এই মানুষগুলো দুঃখ কষ্ট অধিকার কেউ বোঝেনা ওরা হয়ে যায় সমাজের অন্তরালের এক ছায়া যা তাদের কাছে বড় কষ্টের দুঃখের। ওরা যে শরণার্থী উদ্বাস্তু এসব নিয়ে আজও পরিচিত হয়ে আছে সবার কাছে।
"ওরা শরণার্থী শরণার্থী ওদেরকে তোমরা অবহেলা কোরোনা ওরাও তো মানুষ ওরা ওদের সবাই সাহায্য করো সাহায্য করো পাশে দাঁড়াও লাঞ্ছিত বঞ্চিত অত্যাচারিত
করোনা ওরা বড়ই কষ্টে দুঃখে দিন কাটাচ্ছে "
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
নিবন্ধ
শরণার্থী
✍✍✍ অগ্নিমিত্র ( ডঃ সায়ন ভট্টাচার্য)
শরণার্থী । ছিন্নমূল । উদ্বাস্তু । রিফিউজি।
চারটে কথা, মানে একই; বা মোটামুটি এক।
কেউ তাদের পছন্দ করে না । কেউ ভাবে না, কোন পরিস্থিতিতে তারা নিজেদের দেশ ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছে । সবাই ঘৃণা ভরে তাদের দিকে তাকায় ।
অনেক সময়ে তাদেরকে বন্ধ করে রাখা হয় ' ঘেট্টো ' বা ক্যাম্পে। অনেক সময়েই সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে মিশতে দেওয়া হয় না ।
আমাদের দেশের স্বাধীনতা এসেছিল পার্টিশন ও রক্তক্ষয়ী দাঙ্গার বিনিময়ে । এর বিশেষ প্রভাব পড়েছিল পাঞ্জাব ও বাংলায় । অনেক অনেক শরণার্থী এপারে চলে এসেছিলেন প্রাণের দায়ে।
সারা বিশ্বেও এক চিত্র । সিরিয়ার মহাসংঘর্ষে অনেক পরিবার যেভাবে পেরেছে তুর্কি বা গ্রিসে বা অন্যান্য দেশে চলে গিয়েছে । আজও সমুদ্রের জলে ভেসে আসা সেই শিশুটির দেহের ছবি চোখের সামনে ভাসে ।
শুধু আইন দিয়ে বা তর্ক করে শরণার্থীদের যথার্থ পুনর্বাসন হবে না । একটু মানবিকতারও প্রয়োজন । মনে রাখতে হবে, শরণার্থী ও অনুপ্রবেশকারী এক নয়।।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
I beg your pardon
✍✍✍ Siddhartha Singha
Let him stay as he wishes.
do not tell him---paint not that colour but this one here
what you are looking at here and there?Make haste
keep your eyes not in the sky but in the pages of books
Let him stay as he wishes.
I beg your pardon, don't make the boy a puppet in your hand.
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
One day
✍✍✍ Debnath Santra
One day the spring's sun rose,
One day the moon was so close;
One day many flowers bloomed,
One day scent of love was all-around;
One day the sky was full of blues,
One day the clouds were like fairies ;
One day the birds sang a lot
One day nature breathing was too hot.
That day I again woke up
That day l felt my first love
That day I wanted to live
That day I wanted to keep;
That day is still in my eyes
Because you smiled as you wish.
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
Pain of Pen
(Rectified poem)
✍✍✍ Sabir Ahmed
From age to age I am tired.
I am cheerless,I am sad.
Of uncounted people -
I am busy writing history.
Of Georges I am the mandatory.
Makes me use to judge the fate of life,
I am in pain.
An innocent is to be hanged when.
Without no reason,
From pocket to pocket I am confined
Of a wise and an erudite.
To write the white and black side
Of a groom and bride.
Wordlessly I write so many poetries
Of failure, love between lovers.
I am obliged to make dishonest deeds,
Sometimes from a saint into a thief,
Or from a thief into a saint's needs.
To achieve a goal -
Woe of a higher degree holder's life,
The ungot pain,depression of defeat,
Creates a commotion in my breast.
So I have been writing since ancient,
The history of a few thousand years,
Novel,drama and all genres.
By me the landlords capture,
The lands of the illiterate and the beggar.
While writing I feel thirsty,
Leave me-
Nobody makes out my entreaty.
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
কবিতা
বদলা চাই
✍✍✍ বিপ্লব গোস্বামী
দেশের হিতে শক্র হাতে
শহীদ হলো বীর জোওয়ান।
বীরের জাতী বীর লড়াইয়ে
করে গেলো জান বলিদান।
বদলা চাই,বদলা চাই
বদলা চাই এ বলিদানের।
সুদ আসলে বদলা চাই
বীর শহীদের আত্মদানের।
বদলা চাই,বদলা চাই
বদলা চাই সারা দেশ।
অমনি করে আর কত কাল
সৈন্য সইবে দুঃখ ক্লেশ।
বাজাও রণ ভেরী
ধর অস্ত্র সৈন্য দল।
ঝাপিয়ে পড়ো শক্র নাশো
আমরা কেবল চাই বদল।
রণ ঝংকারে ঘন হুংকারে
জেগে উঠো বীর জোওয়ান।
অসুর রাজ্যের অসুর নাশো
করে দাও কবর স্থান।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
চিন্তামনীর প্রেম
✍✍✍ রাজকুমার ঘোষ
ক্লাসের মাঝে চিন্তামনী
হঠাৎ দিলো চমক .. .
বান্ধবীর হাতটি ধরে,
জোটে স্যারের ধমক।
লাভ লেটার নিয়ে হাতে
ধরালো যখন তাকে.. .
সপাটে এক থাপ্পর খেয়ে,
দিদি ডাকতে থাকে।
দ্বিতীয় প্রেমে চিন্তামনী,
ভীষণ খেলো ধোঁকা...
আশার আলো নিভলো শেষে,
পকেট যখন ফাঁকা ।
অবশেষে প্রেমের ফাঁদে,
পটলো একটি মেয়ে.. .
সুযোগ বুঝেই তড়িঘড়ি,
করে ফেল্লো বিয়ে।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
মৃত্যু মিছিল
✍✍✍ ডঃ রমলা মুখার্জী
সোনার দেশে মারণ অসুখ বাড়িয়ে দিল লক্ষ বেকার....
অতিমারীর করাল থাবা ক্রমেই নিচ্ছে ভয়াল আকার।
দুর্ভিক্ষ দুয়ারে হাসে, মানুষ চোখের জলে ভাসে-
আতঙ্ক আর মৃত্যুভয়ে পৃথিবী আজ মরছে ত্রাসে।
"কোলাহল তো বারণ হল", কথা তো নয় কানে কানে-
মৃত্যু মিছিলে স্তব্ধ মানুষ, করোনার মারণ বানে।
রেস্তরাঁ আর হোটেলওয়ালার কপালেতে ভীষণ শনি,
বাহির দ্বার রুদ্ধ আজ, রুদ্ধ যত বিকিকিনি।
ছোট বড় ব্যবসা-পত্তর, সর্বস্তরেই সর্বনাশ -
এখন পেটের প্রবল ক্ষুধা ঘাড়ে ফেলছে দীর্ঘশ্বাস।
যে মেয়েটা মাজতো বাসন, ছেলেটা ধুতো চায়ের কাপ,
দিন আনি দিন খাই-এর ঘরে নিরন্নের অভিশাপ।
বস্ত্রবিপনী, প্রসাধনীর নেই তো কোনো কেনাকাটাই,
কারখানায় বন্ধ তালা, শ্রমিক জবাই, কর্মছাঁটাই।
ক্লান্ত শ্রমিক ফিরছে ঘরে দূরের পথে রাস্তা হেঁটে.....
শ্রান্ত পথিক নিদ্রা-কাতর, মালের গাড়ি মাড়িয়ে ছোটে।
সাংস্কৃতির মৌনব্রত, কলাকুশলী, শিল্পী মরে-
দুর্ভিক্ষ নেমে আসে একে একে সবার ঘরে।
মারণ রোগ ছাড়ে না তো ধনী কিংবা গরীবজনে,
শিশু হারায় মাকে তার, বোঝে না তাই আঁচল টানে।
টোটো, অটো, ট্যাক্সি চালক ঘরে বসে মাথায় হাত -
বাস, ট্রাক, আকাশ, জল সব যানই উল্টে কাৎ।
পর্যটন শিল্পগুলির জানি না কি তার ভবিষ্যৎ,
মানুষ প্রাণে বাঁচলে তবেই পাড়ি দেবে দূরের পথ।
অতিমারী আর অনাহারে ভরছে যখন সকল ঘর-
মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা, উঠল কিনা প্রবল ঝড়।
সেই ঘূর্ণির ঘনঘটায় ক্ষেতের সব ফসল নষ্ট -
সোনার বাংলা ভেসে গেল, নামল সেথা চরম কষ্ট।
সুন্দরবনের সোঁদরী ডুবল, জলের তলায় গ্রামকে গ্রাম-
পাড়ভাঙা নোনা জলের তোড়ে ধ্বংস মাঠ, নগর ধাম।
ধ্বংসস্তুপের মাঝেও আশা কখন দেবে কেউ খাবার -
অপেক্ষাতেই কাটছে দিন, রাত্রিটাও হচ্ছে কাবার।
প্রকৃতির প্রলয় রঙ্গে বঙ্গ আজ ভীষণ ভঙ্গ,
অপুষ্টির কঙ্কাল কাঁদে, নিঃসঙ্গ সে উলঙ্গ।
একই চিত্র শহর গ্রামে, দেখছি বসে অহর্নিশ-
আতুর পাশে থাকছে যারা, জানাই সেলাম, শত কুর্নিশ।
পঞ্চাশ আর ছিয়াত্তরের মন্বন্তরেও মরিনি যখন,
অতিমারী শেখাবে সাম্য, ভেদাভেদ নয়, সবাই আপন।
মৃত্যুর সাথে সংগ্রামী সাথী, বুকে বাঁধো অমিত বল....
সবায়ের তরে সবাই আমরা, মুছে ফেলো চোখের জল।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
চীনের অন্যায় ভাবে লাদাখ দখল করার চক্রান্তের প্রতিবাদে আমার এই লেখনী:-
প্রতিবাদ
✍✍✍ হরিহর বৈদ্য্য
কাড়বে লাদাখ সেই আশা আজ
করছে যে ঐ চীন,
শত্রুকে কভু ছেড়ে দেব মোরা
নইতো এতটা হীন।
দেশকে বাঁচাতে চীনের সাথে
নয়কো কোনো আপোস,
এক হাত নিলে,শত হাতে
মোরা
নেব তার প্রতিশোধ।
চৈনিক দ্রব্য বর্জন করে
করবো অসহযোগ,
বিনা যুদ্ধে সুচাগ্র মেদিনী
দেবনা করিতে ভোগ।
শহীদের রক্তে দেশের মাটি
সিক্ত হয়েছে আজ,
শহস্রবেগে বধিব উহারে
ওরে বিদেশী দাঙ্গাবাজ।
অন্যায় নাহি সহিবো নিরবে
করিবোই প্রতিবাদ,
যেকোনো মূল্যে রক্ষ্যা করিবো
ভারত মাতার লাজ।
করোনা ছড়িয়ে এ পৃথিবীতে
ফেলেছিস তোরা ত্রাস,
সময় হয়েছে দেখবি এবার
তোদের সর্বনাশ।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
অপরুপা
✍✍✍ এম ডি আবুহোসেন সেখ
পৃথিবী এক অপরুপা সূন্দরী
তোমারিই তরে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
এই রুপময় জগতে ----শতশত মনুষ্য থাকে
তোমারিই রুপের প্রেম পূজারী আমি।
চাহিলানারে তাহার দিকে
বাসিলানারে ভালো তাকে
কেন রে?---- অপরুপা সুন্দরী।
রুপময় পৃথিবী আমার মাথার ছাতি
ছিন্ন করিলে কেনো গো তুমি।
পৃথিবী এক সুন্দরী নারী
তোমারিই রুপ দেখিয়া মুগ্ধ আমি।
চাহিলানারে তাহার দিকে
বাসিলানারে ভালো তাকে
কেনো রে?--অপরুপা সুন্দরী।।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
____________________________________
" খোঁজ নিয়ো না "
_______________
হামিদুল ইসলাম।
____________________________________
আমাকে ঘৃণা করছো।
করো। আমার আপত্তি নেই একফোঁটা
আকাশে রামধনু রঙ
বৃষ্টি হচ্ছে ভালোবাসার
সেই বৃষ্টিতে আজ আমি ডুবে মরবো। মরবোই ।।
আমার মৃত্যু হলে তোমার শান্তি
তোমার ঘৃণাগুলো রেখে দিয়ো আমার সমাধির ভেতর
ওরা আমার হৃদয় পুড়ে খাক করে দিক
ছাইগুলো উড়ুক হাওয়ায়
তুমি সেই ছাই দেখে মনের আশ মেটাতে পারবে ।।
বলো তো, কেনোই বা আমাকে ভালোবাসলে
কেনোই বা এগিয়ে এসে হাত ধরলে
সেই হাত কেনোই বা সরিয়ে নিলে বহুদূরে
আমি আজ নীরব দর্শক
ভাবি নি এভাবে তুমি চলে যাবে ।।
আমি আজ একা
আমার নিঃসঙ্গ জীবন
এ জীবনে আর জড়াবো না কাউকে
এ হৃদয় জ্বলুক পুড়ুক
খোঁজ নিয়ো না কোনোদিন বৃক্ষের কাছে ।।
____________________________________
" বনলতা "
______________
হামিদুল ইসলাম।
____________________________________
সন্ধ্যা সমাসীন
মুখরিত পাখিদের আকাশ
ইচ্ছেগুলো স্বাধীন
পায়ে পায়ে পেরিয়ে যাই নদী সমুদ্র বন্দর ।।
হাওয়ায় উড়ে মেঘ
সূর্য অস্তমিত
মনের আকাশে ভাসে কোনো এক রুপসী
বুকের গভীরে রাখি সুপ্ত আদর ।।
গভীর রাতে স্বপ্ন দেখি
রুপসী আমার পাশে
ঠিক যেনো বনলতা সেন
তাকে নিয়ে বসি মুখোমুখি ।।
বলি, এতোদিন কোথায় ছিলে
বান্ধবী আমার
সে বলে, আমি সেই বনলতা সেন
জীবনানন্দ নেই তাই আমি বড়ো অসুখী ।।
তুমি নতুন বনলতা আমার
আমার পাশে থাকো চিরদিন
আমি ফিরি দেশে দেশে
তোমাকে বুকে রাখি ভালোবাসা যতো হোক সুকঠিন ।।
____________________________________
_____________________________________
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
কবিতা
সময় হবে তো!
✍✍✍ বিশ্বজিৎ কর
কত কথা থমকে আছে,
না-বলার অনুশোচনায়!
কত কবিতা লেখাই হয়নি,
অভিমানের বাঁধভাঙা স্রোতে!
কত সুর গান হল না,
আবহসংগীতের কান্নায়!
কত রাত জাগা হয়নি,
নিস্তব্ধতার বাতাবরণে!
কত কথা শোনা হয়নি,
ভীরু হৃদয়ের কম্পনে!
সময় হবে কি,সময়ের যাঁতাকলে?
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
মৃত্যুর সূর্যোদয়
✍✍✍ প্রশান্ত মাইতি
একলা বসে ঠায় নিশ্চল সন্ধ্যার
আকাশের নিচে খোলা ছাদ বারান্দায়
জ্বলন্ত চিতার মত নিশ্চুপে পুড়ছে
যন্ত্রনাকাতর আমার হাতের সিগারেট
বাতাসে মৃত্যুর গন্ধ রাতপোকাদের ডানায়
লাশেদের বন্দি আর্তনাদ মর্গের দেওয়াল
ফুঁড়ে টোকা মারছে জমের দরজায়
টিমটিম করে জ্বলা চৈতালির সন্ধ্যারতির
মঞ্চ প্রদীপের আগুন শিখায়
নীরবে পুড়ছে আমার যন্ত্রনা ঝড়
একলা বসে প্রহর গুনি মৃত্যুর সূর্যোদয় ।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
🖼
অপরূপ বর্ষ
✍✍✍ প্রদীপ কুমার দে
দিন ফুরিয়ে আগন্তুকের মত হাজির
আঁধার কালো যামিনী,
কালোমেঘ সঞ্চারিত গগনে চমকায়
ক্ষণিকপ্রভা দামিনী।
মরিচিকাসম চপলার আলোর ভিড়ে
বজ্রের শব্দ কড় কড়,
করুনাধারার মত বর্ষণে তৃপ্ত
তৃষ্ণার্ত ধরার কলেবর।
বারিবর্ষণে প্রাণোচ্ছল তরুতলে
শ্যামলিমার স্নিগ্ধ আভা,
তৃণ আচ্ছাদিত প্রান্তরে দৃশ্যমান
ধরণীর শোভন শোভা।
খাদ্যরসিক মানুষের সরস হৃদয়
তৃপ্ত খাদ্য রসনায়,
বর্ষার শ্যামশ্রী রূপে মুগ্ধ কবিমন
মগ্ন পদ্য রচনায়।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
আমার পিতা
✍✍✍ সৌম্য ঘোষ
সেদিন দেখেছি তাঁকে মেদুর স্বপ্নে ,
আবার এলেন তিনি ,
অবিরাম বর্ষার শীতল বাতাসে , আমার পিতা!
তবে কি বেয়াড়া কিছু ঘটেছে আমার শহরে?
কখনো রৌদ্রে , কখনো বা পৌষের নলেন সুবাসে!
তোমার ছবি গোধূলির অস্তরাগে রাখে বুকে
স্বপ্ন-ঘোড়া ছোটে মাঠে , নদীতে নীল পদ্মের চোখে ।
রোজ সকালে বাতাসে কাঁপে কচি পিয়াল পাতা ।
রাজপথে হাঁটছে একা , আমার পিতা ।
অবিশ্বাস্য শূণ্যতায় , কখনো অরূপ বাগানে
তিনি , আমার পিতা !
আমার দু'চোখ ভেজে , গাঢ় অন্ধকারে যেন কারো
পরম স্পর্শ , আমি শোকাহত !
কখনো পিতার চোখে টলটলে জলের বুদ্বুদ
দেখিনি আমরা কেউ !
মধ্যে মধ্যে তাঁর ডাক শুনি দয়াবান রোদ্দুরে ,
গাঢ় সেই ডাক শুনি স্বপ্নের গভীর
স্তব্ধতায় কোন নৈ: শব্দের দিকে ।
পিতা , তোমার সেই ডাক
নদীর এক তীর থেকে অন্য তীরে
সুঘ্রাণ ভরা শষ্য-ক্ষেতের আলোর ওপর ,
সমুদ্র-ঘেরা কবিতার দ্বীপপুঞ্জে ।।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
অমোঘ সত্য
✍✍✍ টুম্পা মুখার্জী
ঘুমভাঙা জানালায় জমে থাকা কুয়াশা
কাঠগোলাপের সুগন্ধে মোহময়,
অস্তিত্বের আয়না প্রসাধন সেরে
নেমে আসে মাটিতে,
দ্বিধাবিভক্ত অন্তরাত্মা ইন্দ্রজালে সম্মোহিত,নিখুঁত অভিনয় শেষে
একে একে ফিরে আসে সাজঘরে,
অমোঘ সত্যকে আলিঙ্গনের বাসনায়।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
কবিতা
ভাষা
✍✍✍ জুয়েল রূহানী
কোকিল ডাকে কুহু কুহু
পায়রা বাক্ বাকুম,
ভোরের আলোয় মোরগ ডেকে-
ভাঙ্গিয়ে দেয় ঘুম!
বিড়াল ছানা মিঞাও মিঞাও
ছাগল ছানা ম্যা,
বনের ধারে ডাকছে শোন-
শেয়াল কিক্কা-হুয়া।
ঘুঘু ডাকে ঘু-ঘু ঘু-ঘু
কাক ডাকে কা-কা,
হাস ডাকে প্যাঁক প্যাঁক-
চ্যাঁও চ্যাঁও মুরগী ছা।
হাম্বা ডাকে গরু-বাছুর-
টিকটিকি টিক্ টিক্,
পশু-পাখি যে যাই ডাকুক-
ভাষা বুঝে ঠিক।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
প্রজন্ম
............
✍✍✍ গোবিন্দ কুমার সরকার
------–---------–-------------
লালিত স্বপ্ন বহে শত জনমের,
আমা হতে তোমাতে সত্তার গমন,
ভ্রান্তির বিলাস রচি,স্বপ্নের আলোকে,
আছে যা কিছু,উত্তরাধিকার আমার অপত্যের।
যা পেয়েছি ,নিয়েছি আকন্ঠ ভরে,
পার্থিব সুখ লালসে, ভোগে মত্ত ভুগি
রাখিনি সঞ্চয় ,লুটিয়েছি মনের হরষে,
বাঁচতে চাই প্রজন্ম আকড়ে ধরে।
চেয়ে আছি তোর মুখপানে,
আশার আলো জ্বেলে,
রঙীন পৃথিবী,সার্থক হোক স্বপ্নের,
শতকোটি বছরের সাধ এই প্রজন্মের।
শোধরাতে চাই, সব ভূলচুক
নির্মল নতুন পৃথিবীর কাছে এই প্রত্যাশা,
হোক জঞ্জাল শত,করব প্রতিকার,
প্রজন্ম প্রজন্মের বাহক যেন সহজাত অধিকার।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
না কবিতা
✍✍✍ ডাঃ তারক মজুমদার
(১)
লাভ ক্ষতির হিসাব কষে
কী লাভ ?
যেখানে সম্পর্ক অনিবার্য
সেখানে সংযত থাকাটাই
শ্রেয়------ ।
-----------------
(২)
ভাঙা গড়ার খেলায়
অনেকেই উন্মত্ত এখন
ভাঙতে ভাঙতে একদিন
ভেঙে ফেলে রক্তের সম্পর্ক ।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
জয়িতা তুমি এখন ঘুমাও!
✍✍✍ জহরলাল দাস
জয়িতা তুমি এখন ঘুমাও!
এখন ঢের রাত!
আকাশের তারারাও এখন ঘুমিয়ে আছে।
কৃষ্ণা দ্বাদশীর চাঁদও কিছুপর
দিগন্তে বিলীন হবে।
আমার চোখজোড়া স্বপ্ন ভেঙে খান খান।
বর্নিল স্বপ্ন নিয়ে তোমার হাত ধরে পথ চলা
শুরু করেছি।
কিন্তু এ কোন দুস্বপ্নের রাত!
এ কোন কালবৈশাখীর অমানিশা!
তোমার আর আমার নিস্পাপ জীবনে
বয়ে এনেছে অমাবস্যার কালো মেঘ!
তুমি এবার ঘুমাও জয়িতা
আমি পরবর্তী আর এক যুদ্ধ জয়ের জন্য
নির্ঘুম রাত জাগি!
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
© সেক আসাদ আহমেদ
সম্পাদক, উপকণ্ঠ
গাংপুরা, পূর্ব মেদিনীপুর
তারিখ:- 20/06/2020
বিশ্ব শরনার্থী দিবস
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-20/06/2020, শনিবার
সময় :- সন্ধ্যা 7 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
আজকে উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিনে যারা কলম ধরেছেন✒✒✒✒👇👇👇👇👇
"উপকন্ঠ শরণার্থী সংখ্যা"
ছোটোগল্প
আশ্রয়
✍✍✍ সেখ সাবির মোল্লা।
"ওরা কারা মা যারা আমার দিদিকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গেল"-ভোরের আবছা আলোয় ১০ বছরের শিশু ঘুমমাখা চোখে আতঙ্কিত মুখে মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো।
"ওরা আমাদের মতোই আল্লাহর সৃষ্টি মানুষ বাবু"বলতে বলতে মায়ের চোখ দুটো চিকচিক করে উঠলো।ছেলেদের মিথ্যা শেখাতে নেই,কোনদিন মিথ্যাও বলেনি তবুও আজ কেন বলতে হলো জানেনা।কিছুক্ষণ আগে তার আব্বাকে,দিদিকে হারিয়েছে চিরকালের মতো,যাদের জন্য দশ বছর বয়সেই এতিম হয়ে যাবে তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্টি মানুষ বলাটা কি ঠিক হলো।
"তাহলে মা ওরা কেন আমাদের ঘর জ্বালিয়ে দিল,দিদিকে টেনে নিয়ে কোথায় গেল,ওদের হাতের অস্ত্রে টসটস করে রক্ত গড়াচ্ছিল কেন"।
নাহ এর কোন উত্তর নেই সত্যিটাই বলতে হবে।
"ওরা আমাদেরকে এই দেশে থাকতে দেবে না বাবু।তাই ওরা আমাদেরকে হত্যা করছে নৃশংস ধারালো অস্ত্র দিয়ে"।কিন্তু ছোট শিশু একদিন তার মায়ের মুখে গল্প শুনেছে ৬০০ বছর ধরে পূর্বপুরুষেরা এই মাটির সাথে জড়িয়ে আছে।আরো কত বছর থাকলে এই মাটি তাদের হবে।
মাকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করে ছোট্ট শিশু।
"জানি না বাবা,কেন এমন করছে ওরা"
"মা,আব্বাকে ওরা ছুড়ি দিয়ে গলাটা কেটে নাচ করছিল ,আমিও কাটবো গলা ওদের।
মায়ের চোখে তখন সূর্যের আলোতে চিকচিক করছে।ছেলেটা কি শেষ পর্যন্ত খুনী হবে।আকাশের দিকে একবার মুখ তুলে তাকালো।
ফিরবে না আর তার স্বামী,মাথার অলঙ্কার একমাত্র আদরিণী,আপনজন।
দুহাত দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলো তার শেষ বাঁচার সম্বলকে।
"না বাবু ,আল্লাহ ওদেরকে মাফ করবে না কোনোদিন।আল্লাহর গজব ওদেরকে শেষ করে দেবে"।
মা, তখন তাহলে আবার দিদিকে,আব্বাকে,আমার বন্ধুকে ফিরে পাবো ,আমি আবার তোমার কোলে মাথা রেখে শোব,তুমি আমায় গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেবে।আব্বা আবার আমার জন্য কত খেলনা কিনে আনবে বলো মা।কত আনন্দ হবে তখন।
নির্বাক মুখে চোখ দিয়ে গলগল করে পানি ঝরছে।মা তার সন্তানের আর ভুল ভাঙালো না।এই বিশ্বাস নিয়েই,আশা নিয়েই বাঁচুক বাবু।
হঠাৎ একটা উন্মাদ শব্দ ভেসে আসছে দূর থেকে।পাখিরাও আতঙ্কে কিচিরমিচির করছে।এতক্ষণের নীরবতার অভিমান ভেঙে ক্ষেপে উঠলো সদ্য প্রভাত।
লাল কাপড়ের দস্যুরা আসছে এই দিকেই,শব্দটা স্পষ্ট হচ্ছে আরো।
সকালের সূর্যটাকেও মেঘ চাপা দিয়ে দিল,বৃষ্টি আর বজ্রপাতের মধ্যেই মা কোলের শিশুকে চলে যেত বললো।
"চলে যা বাবু,ছুটে পালা"।
"তুমি যাবে না মা"।
তোকে বেঁচে থাকতে হবে বাবা,এখান থেকে নদী ঘাট ত্রিশ মিনিট ।সেখানে থেকে বাংলাদেশে চলে যা কেউ মারবে না আর।ওরা তোকে একটা থাকার জায়গা দেবে।
রুদ্ধশ্বাসে ছুট দিল বাবু।
অনেকটা যাওয়ার পর পিছনে ফিরে তাকালো।কয়েকজন দস্যু মিলে ছিড়ে খাচ্ছে তার মাকে।উন্মাদ অট্টহাসিতে চাপা পড়েছে বজ্রের শব্দ।মায়ের মুখটা আকাশের সাথে সখ্যতা করেছে যেন।তারপর সেই দস্যুরা নিথর নিস্প্রান উলঙ্গ দেহকে ছুড়ে ফেললো নাফ নদীতে।মনের অন্দরে ওর একটা ভাবনাই ঘোরাফেরা করছে ---
"আল্লাহর গজবে আবার ফিরে পাবো সকলকে,আবার ফিরে পাবো"।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
ওরা শরণার্থী
ছোট গল্প
✍✍✍ আব্দুল রাহাজ
ভুটিয়া ইয়াছিন বাটুল ওদের গ্রাম টা ছিল পূর্ববঙ্গে তাদের খুবই আনন্দে দিন কাটতো সুখে শান্তিতে বসবাস করত এদিকে দেশে লেগেছে ঘোর যুদ্ধ গ্রামের পর গ্রাম যুদ্ধের হাত থেকে বাঁচতে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ওরা তখনও খবর পাইনি প্রত্যন্ত প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাস করত গ্রামের এক সিধু মাস্টার বললেন হে গ্রামবাসী তোমরা কি গ্রাম ছেড়ে যাবে না পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে তোমরা কি মৃত্যুবরণ করবে আর বেশি দেরি করো না চলে যাও চলে যাও নইলে ওদের হাতে আমরা অত্যাচারিত লাঞ্চিত বঞ্চিত হব মা বোনদের ইজ্জত লুটিয়ে নেবে ওরা তখন গ্রামের লোক হাতের কাছে যা ছিল তাই নিয়ে লাইন দিয়ে চলল কেউ কেউ চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে পিছন ফিরে তাকায় নিজের জন্মভুমিকে ছেড়ে তারা পাড়ি দিচ্ছে এক অন্য দেশান্তরে। তখন ভুটিয়া ইয়াসিন আর বাটুলরা একসাথে লাইন দিয়ে বাবা মার হাত ধরে চলে যাচ্ছে ওরা জানে না ওদের সামনের দিনগুলো কি অবস্থা হবে কিন্তু তাদের সেই ছেলেবেলার স্মৃতি শৈশবের আম বাগান নদীগুলো তাদের দিকে চেয়ে থাকবে তারপর ওরা বুঝতে পারল ওরা আর দেশের মানুষ নেই হয়ে গেছে শরণার্থী ওদের এখন পেট চলবে কেউ সাহায্য করলে। ওরা তো নিজের জন্মভিটা নিজের দেশের ভূমিকে ছেড়ে দিয়েছে ওরা এখন সবার কাছে বিশ্ব মায়ের কাছে শরণার্থী শরণার্থী। এই মানুষগুলো দুঃখ কষ্ট অধিকার কেউ বোঝেনা ওরা হয়ে যায় সমাজের অন্তরালের এক ছায়া যা তাদের কাছে বড় কষ্টের দুঃখের। ওরা যে শরণার্থী উদ্বাস্তু এসব নিয়ে আজও পরিচিত হয়ে আছে সবার কাছে।
"ওরা শরণার্থী শরণার্থী ওদেরকে তোমরা অবহেলা কোরোনা ওরাও তো মানুষ ওরা ওদের সবাই সাহায্য করো সাহায্য করো পাশে দাঁড়াও লাঞ্ছিত বঞ্চিত অত্যাচারিত
করোনা ওরা বড়ই কষ্টে দুঃখে দিন কাটাচ্ছে "
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
নিবন্ধ
শরণার্থী
✍✍✍ অগ্নিমিত্র ( ডঃ সায়ন ভট্টাচার্য)
শরণার্থী । ছিন্নমূল । উদ্বাস্তু । রিফিউজি।
চারটে কথা, মানে একই; বা মোটামুটি এক।
কেউ তাদের পছন্দ করে না । কেউ ভাবে না, কোন পরিস্থিতিতে তারা নিজেদের দেশ ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছে । সবাই ঘৃণা ভরে তাদের দিকে তাকায় ।
অনেক সময়ে তাদেরকে বন্ধ করে রাখা হয় ' ঘেট্টো ' বা ক্যাম্পে। অনেক সময়েই সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে মিশতে দেওয়া হয় না ।
আমাদের দেশের স্বাধীনতা এসেছিল পার্টিশন ও রক্তক্ষয়ী দাঙ্গার বিনিময়ে । এর বিশেষ প্রভাব পড়েছিল পাঞ্জাব ও বাংলায় । অনেক অনেক শরণার্থী এপারে চলে এসেছিলেন প্রাণের দায়ে।
সারা বিশ্বেও এক চিত্র । সিরিয়ার মহাসংঘর্ষে অনেক পরিবার যেভাবে পেরেছে তুর্কি বা গ্রিসে বা অন্যান্য দেশে চলে গিয়েছে । আজও সমুদ্রের জলে ভেসে আসা সেই শিশুটির দেহের ছবি চোখের সামনে ভাসে ।
শুধু আইন দিয়ে বা তর্ক করে শরণার্থীদের যথার্থ পুনর্বাসন হবে না । একটু মানবিকতারও প্রয়োজন । মনে রাখতে হবে, শরণার্থী ও অনুপ্রবেশকারী এক নয়।।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
I beg your pardon
✍✍✍ Siddhartha Singha
Let him stay as he wishes.
do not tell him---paint not that colour but this one here
what you are looking at here and there?Make haste
keep your eyes not in the sky but in the pages of books
Let him stay as he wishes.
I beg your pardon, don't make the boy a puppet in your hand.
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
One day
✍✍✍ Debnath Santra
One day the spring's sun rose,
One day the moon was so close;
One day many flowers bloomed,
One day scent of love was all-around;
One day the sky was full of blues,
One day the clouds were like fairies ;
One day the birds sang a lot
One day nature breathing was too hot.
That day I again woke up
That day l felt my first love
That day I wanted to live
That day I wanted to keep;
That day is still in my eyes
Because you smiled as you wish.
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
Pain of Pen
(Rectified poem)
✍✍✍ Sabir Ahmed
From age to age I am tired.
I am cheerless,I am sad.
Of uncounted people -
I am busy writing history.
Of Georges I am the mandatory.
Makes me use to judge the fate of life,
I am in pain.
An innocent is to be hanged when.
Without no reason,
From pocket to pocket I am confined
Of a wise and an erudite.
To write the white and black side
Of a groom and bride.
Wordlessly I write so many poetries
Of failure, love between lovers.
I am obliged to make dishonest deeds,
Sometimes from a saint into a thief,
Or from a thief into a saint's needs.
To achieve a goal -
Woe of a higher degree holder's life,
The ungot pain,depression of defeat,
Creates a commotion in my breast.
So I have been writing since ancient,
The history of a few thousand years,
Novel,drama and all genres.
By me the landlords capture,
The lands of the illiterate and the beggar.
While writing I feel thirsty,
Leave me-
Nobody makes out my entreaty.
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
কবিতা
বদলা চাই
✍✍✍ বিপ্লব গোস্বামী
দেশের হিতে শক্র হাতে
শহীদ হলো বীর জোওয়ান।
বীরের জাতী বীর লড়াইয়ে
করে গেলো জান বলিদান।
বদলা চাই,বদলা চাই
বদলা চাই এ বলিদানের।
সুদ আসলে বদলা চাই
বীর শহীদের আত্মদানের।
বদলা চাই,বদলা চাই
বদলা চাই সারা দেশ।
অমনি করে আর কত কাল
সৈন্য সইবে দুঃখ ক্লেশ।
বাজাও রণ ভেরী
ধর অস্ত্র সৈন্য দল।
ঝাপিয়ে পড়ো শক্র নাশো
আমরা কেবল চাই বদল।
রণ ঝংকারে ঘন হুংকারে
জেগে উঠো বীর জোওয়ান।
অসুর রাজ্যের অসুর নাশো
করে দাও কবর স্থান।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
চিন্তামনীর প্রেম
✍✍✍ রাজকুমার ঘোষ

হঠাৎ দিলো চমক .. .
বান্ধবীর হাতটি ধরে,
জোটে স্যারের ধমক।
লাভ লেটার নিয়ে হাতে
ধরালো যখন তাকে.. .
সপাটে এক থাপ্পর খেয়ে,
দিদি ডাকতে থাকে।
দ্বিতীয় প্রেমে চিন্তামনী,
ভীষণ খেলো ধোঁকা...
আশার আলো নিভলো শেষে,
পকেট যখন ফাঁকা ।
অবশেষে প্রেমের ফাঁদে,
পটলো একটি মেয়ে.. .
সুযোগ বুঝেই তড়িঘড়ি,
করে ফেল্লো বিয়ে।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
মৃত্যু মিছিল
✍✍✍ ডঃ রমলা মুখার্জী
সোনার দেশে মারণ অসুখ বাড়িয়ে দিল লক্ষ বেকার....
অতিমারীর করাল থাবা ক্রমেই নিচ্ছে ভয়াল আকার।
দুর্ভিক্ষ দুয়ারে হাসে, মানুষ চোখের জলে ভাসে-
আতঙ্ক আর মৃত্যুভয়ে পৃথিবী আজ মরছে ত্রাসে।
"কোলাহল তো বারণ হল", কথা তো নয় কানে কানে-
মৃত্যু মিছিলে স্তব্ধ মানুষ, করোনার মারণ বানে।
রেস্তরাঁ আর হোটেলওয়ালার কপালেতে ভীষণ শনি,
বাহির দ্বার রুদ্ধ আজ, রুদ্ধ যত বিকিকিনি।
ছোট বড় ব্যবসা-পত্তর, সর্বস্তরেই সর্বনাশ -
এখন পেটের প্রবল ক্ষুধা ঘাড়ে ফেলছে দীর্ঘশ্বাস।
যে মেয়েটা মাজতো বাসন, ছেলেটা ধুতো চায়ের কাপ,
দিন আনি দিন খাই-এর ঘরে নিরন্নের অভিশাপ।
বস্ত্রবিপনী, প্রসাধনীর নেই তো কোনো কেনাকাটাই,
কারখানায় বন্ধ তালা, শ্রমিক জবাই, কর্মছাঁটাই।
ক্লান্ত শ্রমিক ফিরছে ঘরে দূরের পথে রাস্তা হেঁটে.....
শ্রান্ত পথিক নিদ্রা-কাতর, মালের গাড়ি মাড়িয়ে ছোটে।
সাংস্কৃতির মৌনব্রত, কলাকুশলী, শিল্পী মরে-
দুর্ভিক্ষ নেমে আসে একে একে সবার ঘরে।
মারণ রোগ ছাড়ে না তো ধনী কিংবা গরীবজনে,
শিশু হারায় মাকে তার, বোঝে না তাই আঁচল টানে।
টোটো, অটো, ট্যাক্সি চালক ঘরে বসে মাথায় হাত -
বাস, ট্রাক, আকাশ, জল সব যানই উল্টে কাৎ।
পর্যটন শিল্পগুলির জানি না কি তার ভবিষ্যৎ,
মানুষ প্রাণে বাঁচলে তবেই পাড়ি দেবে দূরের পথ।
অতিমারী আর অনাহারে ভরছে যখন সকল ঘর-
মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা, উঠল কিনা প্রবল ঝড়।
সেই ঘূর্ণির ঘনঘটায় ক্ষেতের সব ফসল নষ্ট -
সোনার বাংলা ভেসে গেল, নামল সেথা চরম কষ্ট।
সুন্দরবনের সোঁদরী ডুবল, জলের তলায় গ্রামকে গ্রাম-
পাড়ভাঙা নোনা জলের তোড়ে ধ্বংস মাঠ, নগর ধাম।
ধ্বংসস্তুপের মাঝেও আশা কখন দেবে কেউ খাবার -
অপেক্ষাতেই কাটছে দিন, রাত্রিটাও হচ্ছে কাবার।
প্রকৃতির প্রলয় রঙ্গে বঙ্গ আজ ভীষণ ভঙ্গ,
অপুষ্টির কঙ্কাল কাঁদে, নিঃসঙ্গ সে উলঙ্গ।
একই চিত্র শহর গ্রামে, দেখছি বসে অহর্নিশ-
আতুর পাশে থাকছে যারা, জানাই সেলাম, শত কুর্নিশ।
পঞ্চাশ আর ছিয়াত্তরের মন্বন্তরেও মরিনি যখন,
অতিমারী শেখাবে সাম্য, ভেদাভেদ নয়, সবাই আপন।
মৃত্যুর সাথে সংগ্রামী সাথী, বুকে বাঁধো অমিত বল....
সবায়ের তরে সবাই আমরা, মুছে ফেলো চোখের জল।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
চীনের অন্যায় ভাবে লাদাখ দখল করার চক্রান্তের প্রতিবাদে আমার এই লেখনী:-
প্রতিবাদ
✍✍✍ হরিহর বৈদ্য্য
কাড়বে লাদাখ সেই আশা আজ
করছে যে ঐ চীন,
শত্রুকে কভু ছেড়ে দেব মোরা
নইতো এতটা হীন।
দেশকে বাঁচাতে চীনের সাথে
নয়কো কোনো আপোস,
এক হাত নিলে,শত হাতে
মোরা
নেব তার প্রতিশোধ।
চৈনিক দ্রব্য বর্জন করে
করবো অসহযোগ,
বিনা যুদ্ধে সুচাগ্র মেদিনী
দেবনা করিতে ভোগ।
শহীদের রক্তে দেশের মাটি
সিক্ত হয়েছে আজ,
শহস্রবেগে বধিব উহারে
ওরে বিদেশী দাঙ্গাবাজ।
অন্যায় নাহি সহিবো নিরবে
করিবোই প্রতিবাদ,
যেকোনো মূল্যে রক্ষ্যা করিবো
ভারত মাতার লাজ।
করোনা ছড়িয়ে এ পৃথিবীতে
ফেলেছিস তোরা ত্রাস,
সময় হয়েছে দেখবি এবার
তোদের সর্বনাশ।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
অপরুপা
✍✍✍ এম ডি আবুহোসেন সেখ
পৃথিবী এক অপরুপা সূন্দরী
তোমারিই তরে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
এই রুপময় জগতে ----শতশত মনুষ্য থাকে
তোমারিই রুপের প্রেম পূজারী আমি।
চাহিলানারে তাহার দিকে
বাসিলানারে ভালো তাকে
কেন রে?---- অপরুপা সুন্দরী।
রুপময় পৃথিবী আমার মাথার ছাতি
ছিন্ন করিলে কেনো গো তুমি।
পৃথিবী এক সুন্দরী নারী
তোমারিই রুপ দেখিয়া মুগ্ধ আমি।
চাহিলানারে তাহার দিকে
বাসিলানারে ভালো তাকে
কেনো রে?--অপরুপা সুন্দরী।।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
____________________________________
" খোঁজ নিয়ো না "
_______________
হামিদুল ইসলাম।
____________________________________
আমাকে ঘৃণা করছো।
করো। আমার আপত্তি নেই একফোঁটা
আকাশে রামধনু রঙ
বৃষ্টি হচ্ছে ভালোবাসার
সেই বৃষ্টিতে আজ আমি ডুবে মরবো। মরবোই ।।
আমার মৃত্যু হলে তোমার শান্তি
তোমার ঘৃণাগুলো রেখে দিয়ো আমার সমাধির ভেতর
ওরা আমার হৃদয় পুড়ে খাক করে দিক
ছাইগুলো উড়ুক হাওয়ায়
তুমি সেই ছাই দেখে মনের আশ মেটাতে পারবে ।।
বলো তো, কেনোই বা আমাকে ভালোবাসলে
কেনোই বা এগিয়ে এসে হাত ধরলে
সেই হাত কেনোই বা সরিয়ে নিলে বহুদূরে
আমি আজ নীরব দর্শক
ভাবি নি এভাবে তুমি চলে যাবে ।।
আমি আজ একা
আমার নিঃসঙ্গ জীবন
এ জীবনে আর জড়াবো না কাউকে
এ হৃদয় জ্বলুক পুড়ুক
খোঁজ নিয়ো না কোনোদিন বৃক্ষের কাছে ।।
____________________________________
" বনলতা "
______________
হামিদুল ইসলাম।
____________________________________
সন্ধ্যা সমাসীন
মুখরিত পাখিদের আকাশ
ইচ্ছেগুলো স্বাধীন
পায়ে পায়ে পেরিয়ে যাই নদী সমুদ্র বন্দর ।।
হাওয়ায় উড়ে মেঘ
সূর্য অস্তমিত
মনের আকাশে ভাসে কোনো এক রুপসী
বুকের গভীরে রাখি সুপ্ত আদর ।।
গভীর রাতে স্বপ্ন দেখি
রুপসী আমার পাশে
ঠিক যেনো বনলতা সেন
তাকে নিয়ে বসি মুখোমুখি ।।
বলি, এতোদিন কোথায় ছিলে
বান্ধবী আমার
সে বলে, আমি সেই বনলতা সেন
জীবনানন্দ নেই তাই আমি বড়ো অসুখী ।।
তুমি নতুন বনলতা আমার
আমার পাশে থাকো চিরদিন
আমি ফিরি দেশে দেশে
তোমাকে বুকে রাখি ভালোবাসা যতো হোক সুকঠিন ।।
____________________________________
_____________________________________
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
কবিতা
সময় হবে তো!
✍✍✍ বিশ্বজিৎ কর
কত কথা থমকে আছে,
না-বলার অনুশোচনায়!
কত কবিতা লেখাই হয়নি,
অভিমানের বাঁধভাঙা স্রোতে!
কত সুর গান হল না,
আবহসংগীতের কান্নায়!
কত রাত জাগা হয়নি,
নিস্তব্ধতার বাতাবরণে!
কত কথা শোনা হয়নি,
ভীরু হৃদয়ের কম্পনে!
সময় হবে কি,সময়ের যাঁতাকলে?
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
মৃত্যুর সূর্যোদয়
✍✍✍ প্রশান্ত মাইতি
একলা বসে ঠায় নিশ্চল সন্ধ্যার
আকাশের নিচে খোলা ছাদ বারান্দায়
জ্বলন্ত চিতার মত নিশ্চুপে পুড়ছে
যন্ত্রনাকাতর আমার হাতের সিগারেট
বাতাসে মৃত্যুর গন্ধ রাতপোকাদের ডানায়
লাশেদের বন্দি আর্তনাদ মর্গের দেওয়াল
ফুঁড়ে টোকা মারছে জমের দরজায়
টিমটিম করে জ্বলা চৈতালির সন্ধ্যারতির
মঞ্চ প্রদীপের আগুন শিখায়
নীরবে পুড়ছে আমার যন্ত্রনা ঝড়
একলা বসে প্রহর গুনি মৃত্যুর সূর্যোদয় ।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
🖼
অপরূপ বর্ষ
✍✍✍ প্রদীপ কুমার দে
দিন ফুরিয়ে আগন্তুকের মত হাজির
আঁধার কালো যামিনী,
কালোমেঘ সঞ্চারিত গগনে চমকায়
ক্ষণিকপ্রভা দামিনী।
মরিচিকাসম চপলার আলোর ভিড়ে
বজ্রের শব্দ কড় কড়,
করুনাধারার মত বর্ষণে তৃপ্ত
তৃষ্ণার্ত ধরার কলেবর।
বারিবর্ষণে প্রাণোচ্ছল তরুতলে
শ্যামলিমার স্নিগ্ধ আভা,
তৃণ আচ্ছাদিত প্রান্তরে দৃশ্যমান
ধরণীর শোভন শোভা।
খাদ্যরসিক মানুষের সরস হৃদয়
তৃপ্ত খাদ্য রসনায়,
বর্ষার শ্যামশ্রী রূপে মুগ্ধ কবিমন
মগ্ন পদ্য রচনায়।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
আমার পিতা
✍✍✍ সৌম্য ঘোষ
সেদিন দেখেছি তাঁকে মেদুর স্বপ্নে ,
আবার এলেন তিনি ,
অবিরাম বর্ষার শীতল বাতাসে , আমার পিতা!
তবে কি বেয়াড়া কিছু ঘটেছে আমার শহরে?
কখনো রৌদ্রে , কখনো বা পৌষের নলেন সুবাসে!
তোমার ছবি গোধূলির অস্তরাগে রাখে বুকে
স্বপ্ন-ঘোড়া ছোটে মাঠে , নদীতে নীল পদ্মের চোখে ।
রোজ সকালে বাতাসে কাঁপে কচি পিয়াল পাতা ।
রাজপথে হাঁটছে একা , আমার পিতা ।
অবিশ্বাস্য শূণ্যতায় , কখনো অরূপ বাগানে
তিনি , আমার পিতা !
আমার দু'চোখ ভেজে , গাঢ় অন্ধকারে যেন কারো
পরম স্পর্শ , আমি শোকাহত !
কখনো পিতার চোখে টলটলে জলের বুদ্বুদ
দেখিনি আমরা কেউ !
মধ্যে মধ্যে তাঁর ডাক শুনি দয়াবান রোদ্দুরে ,
গাঢ় সেই ডাক শুনি স্বপ্নের গভীর
স্তব্ধতায় কোন নৈ: শব্দের দিকে ।
পিতা , তোমার সেই ডাক
নদীর এক তীর থেকে অন্য তীরে
সুঘ্রাণ ভরা শষ্য-ক্ষেতের আলোর ওপর ,
সমুদ্র-ঘেরা কবিতার দ্বীপপুঞ্জে ।।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
অমোঘ সত্য
✍✍✍ টুম্পা মুখার্জী
ঘুমভাঙা জানালায় জমে থাকা কুয়াশা
কাঠগোলাপের সুগন্ধে মোহময়,
অস্তিত্বের আয়না প্রসাধন সেরে
নেমে আসে মাটিতে,
দ্বিধাবিভক্ত অন্তরাত্মা ইন্দ্রজালে সম্মোহিত,নিখুঁত অভিনয় শেষে
একে একে ফিরে আসে সাজঘরে,
অমোঘ সত্যকে আলিঙ্গনের বাসনায়।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
কবিতা
ভাষা
✍✍✍ জুয়েল রূহানী
কোকিল ডাকে কুহু কুহু
পায়রা বাক্ বাকুম,
ভোরের আলোয় মোরগ ডেকে-
ভাঙ্গিয়ে দেয় ঘুম!
বিড়াল ছানা মিঞাও মিঞাও
ছাগল ছানা ম্যা,
বনের ধারে ডাকছে শোন-
শেয়াল কিক্কা-হুয়া।
ঘুঘু ডাকে ঘু-ঘু ঘু-ঘু
কাক ডাকে কা-কা,
হাস ডাকে প্যাঁক প্যাঁক-
চ্যাঁও চ্যাঁও মুরগী ছা।
হাম্বা ডাকে গরু-বাছুর-
টিকটিকি টিক্ টিক্,
পশু-পাখি যে যাই ডাকুক-
ভাষা বুঝে ঠিক।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
প্রজন্ম
............
✍✍✍ গোবিন্দ কুমার সরকার
------–---------–-------------
লালিত স্বপ্ন বহে শত জনমের,
আমা হতে তোমাতে সত্তার গমন,
ভ্রান্তির বিলাস রচি,স্বপ্নের আলোকে,
আছে যা কিছু,উত্তরাধিকার আমার অপত্যের।
যা পেয়েছি ,নিয়েছি আকন্ঠ ভরে,
পার্থিব সুখ লালসে, ভোগে মত্ত ভুগি
রাখিনি সঞ্চয় ,লুটিয়েছি মনের হরষে,
বাঁচতে চাই প্রজন্ম আকড়ে ধরে।
চেয়ে আছি তোর মুখপানে,
আশার আলো জ্বেলে,
রঙীন পৃথিবী,সার্থক হোক স্বপ্নের,
শতকোটি বছরের সাধ এই প্রজন্মের।
শোধরাতে চাই, সব ভূলচুক
নির্মল নতুন পৃথিবীর কাছে এই প্রত্যাশা,
হোক জঞ্জাল শত,করব প্রতিকার,
প্রজন্ম প্রজন্মের বাহক যেন সহজাত অধিকার।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
না কবিতা
✍✍✍ ডাঃ তারক মজুমদার
(১)
লাভ ক্ষতির হিসাব কষে
কী লাভ ?
যেখানে সম্পর্ক অনিবার্য
সেখানে সংযত থাকাটাই
শ্রেয়------ ।
-----------------
(২)
ভাঙা গড়ার খেলায়
অনেকেই উন্মত্ত এখন
ভাঙতে ভাঙতে একদিন
ভেঙে ফেলে রক্তের সম্পর্ক ।
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
জয়িতা তুমি এখন ঘুমাও!
✍✍✍ জহরলাল দাস
জয়িতা তুমি এখন ঘুমাও!
এখন ঢের রাত!
আকাশের তারারাও এখন ঘুমিয়ে আছে।
কৃষ্ণা দ্বাদশীর চাঁদও কিছুপর
দিগন্তে বিলীন হবে।
আমার চোখজোড়া স্বপ্ন ভেঙে খান খান।
বর্নিল স্বপ্ন নিয়ে তোমার হাত ধরে পথ চলা
শুরু করেছি।
কিন্তু এ কোন দুস্বপ্নের রাত!
এ কোন কালবৈশাখীর অমানিশা!
তোমার আর আমার নিস্পাপ জীবনে
বয়ে এনেছে অমাবস্যার কালো মেঘ!
তুমি এবার ঘুমাও জয়িতা
আমি পরবর্তী আর এক যুদ্ধ জয়ের জন্য
নির্ঘুম রাত জাগি!
🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼🖼
© সেক আসাদ আহমেদ
সম্পাদক, উপকণ্ঠ
গাংপুরা, পূর্ব মেদিনীপুর
তারিখ:- 20/06/2020
বিশ্ব শরনার্থী দিবস
0 comments: