বুধবার, ২৪ জুন, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 24/06/2020

     
         "উপকণ্ঠ 24শে জুন সংখ্যা "
               "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                    (ওয়েব ম্যাগাজিন)
        প্রকাশ কাল:-24/06/2020, বুধবার
                    সময় :- দুপুর 3 টা

সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত

মুঠোফোন:- 9593043577

🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here

🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

আজকে উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিনে যারা কলম ধরেছেন✒✒✒✒👇👇👇👇👇
ইংরেজি কবিতা:-
      •সিদ্ধার্থ সিংহ
লিমেরিক:-
       • তাপস বর্মন
কবিতা:-
       •বাপন দেব লাড়ু
       • সৌম্য ঘোষ
       • অগ্নিমিত্র
       • সোহিনী শবনম
       • বিশ্বজিৎ কর
       • চিরশ্রী কুন্ডু
       • রাজকুমার ঘোষ
       • রুহুল আমিন
       • শেখ মনিরুল ইসলাম
প্রবন্ধ:-
      ••• রাজা দেবরায়
ছোটোগল্প :-
  ••• আব্দুল রাহাজ

কবিতা:-
••দীপেশ নাগ
•• মিনতি গোস্বামী
•• টুম্পা মুখার্জী
•• উমর ফারুক
•• শোভা মন্ডল
•• বিমান প্রামানিক

🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

He who shall come and stand before me
By  Siddhartha Singha
He who shall come and stand before me
      I will welcome him now
those who came everybody went a top the roof mounting the stairs
tied up bundles one by one
then with their wives and children have spread wings in the sky.
He who shall come and stand before me
        I will welcome him now
if I may get a man or two sometimes.
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

লিমেরিক ....01
তাপস বর্মন
নন্দ খুড়োর মন্দ কপাল যেই ধরেছেন গান,
অমনি খুড়ি খুন্তি হাতে তাড়িয়ে নিয়ে যান।
দাঁড়াও তুমি অকাল কুসমান্ড
খোলটা ভেঙে করলো দুঃখণ্ড,
ভাঙা খোলে তাল ধরেছে বুজে দুচোখ কান।

লিমেরিক .....02
       তাপস বর্মন

পথে থুতু ফেলতে মানা জানেন না শশী বাবু,
যদিও তিনি মহামারীর ভয়ে এক্কেবারে কাবু।
খকর খকর খক কেশে
যেইনা থুতু ফেললেন হেসে,
অমনি কলার ধরলেন চেপে ট্রাফিক পুলিশ হাবু।
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

আর্জি
      ✒✒✒বাপন দেব লাড়ু 

সভ্যতার প্রাচীরের গায়ে
শোকেদের জমে ওঠা,
স্পষ্ট হয় ব্যাথার কালসিটে দাগ্।
ভীড় ঠাসা রাজপথে
ধাক্কা খায় একে অপরের উন্নতিতে ;
তবুও মুঠো বন্দী হয় নি প্রতিবাদে
কারুর বলিষ্ঠ হাত--------,
পথে পথে বোবা মিছিল,
বশীভূত হয়েছে আপন আপন সত্ত্বা।
ঘর্ষণে যদি আগুন জ্বলে,
ভস্মীভূত হবেই বৈষম্যের বেড়া জাল।
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

        দু:খ
        ✒✒✒সৌম্য ঘোষ
শব্দেরও  বেদনা আছে ,
দু:খের নিবিড়তম  তমসার
মধ্যেই  আলোর প্রকাশ ।
অমৃত যার ছায়া , মৃত্যুও কি তার ছায়া নয়  ?
দু: খ  চঞ্চল  রমণীর মতো ,  রহস্যঘন !
অপূর্ণতাই দু: খ  , সৃষ্টিই  যে  অপূর্ণ !
অপূর্ণতা আছে , তাই বিকাশ আছে ।
মানুষ দু: খ কেই পূজা করে , কেননা
দু:খ যে তার নিতান্ত আপনার ।
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥
কবিতা
       স্বর্ণচ্ছটা
              ✒✒✒  অগ্নিমিত্র
সোনালী নদী, তুমিও সোনালী ...
সোনালী রোদও হাসে..।
বর্ণিল সেই আলোর ছটা
আজও যে মনে ভাসে ;
সময় নাকি নদীর স্রোত
বয়েই চলে যায়!
স্মৃতির কাছে সময় হারে
দেখছি আজ এ বেলায় ।..
সোনালী স্মৃতিতে তুমি উজ্জ্বল
সোনায় বাঁধানো কথা ..
স্মৃতিপটে তুমি রোজই আসো,
রোজই হাস্যরতা !!
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

কলম ও বাক্ স্বাধীনতা
   ✒✒✒ সোহিনী শবনম
প্রাচীন যুগের ইতিহাসে,
দেখো যদি উঁকি মেরে;
ভাবের আদান-প্রদান এবং সংযোগ স্থাপন,
করার উদ্দেশ্যে মানুষই ভাষা তৈরী করে।
কথা তো না হয় বলা হল,
ভুলবে তা খানিক পরেই।
খোদাই করে রাখলে সেটি,
বই-এর পাতায় থাকবে দৃশ্যমান হয়েই।
এই যদি হয়, কথা ও কলমের উৎপত্তির কারণ;
তবে বিশ্লেষণে বোঝা যায় যে,
এ স্বাধীনতা হরণ তো নয়ই
বরং তা স্বাধীনতা বিকাশের সহায়ক।
তাই এই‌ প্রাথমিক অধিকারে,
না আসুক কোনো সীমাবদ্ধতার বাঁধন।
যার যা মনের ভাষা ও লেখনী,
তার সার্বিক প্রকাশ ঘটার সুযোগ দেওয়া হোক।
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

কবিতা: কবিতা ভাল নেই!
✒✒✒ বিশ্বজিৎ কর
আমি এক নৈঃশব্দের না-কবি,
শব্দ এখানে হোঁচট খায়,
অপ্রাপ্তির উঁচুনীচু রাস্তায়!
বৃষ্টির শব্দে মহাকালের পদধ্বনি শুনতে পাই!
প্রহরীশূণ্য দরজায় বড় শঙ্কায় থাকি!
কলম টলমল করে,
শব্দগুলো ছটফট করে,
খাতার পাতা বিবর্ণতায় কাঁপে!
না, কবিতা ভাল নেই!
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

হারিয়ে যাওয়া
                        -চিরশ্রী কুণ্ডু (অবন্তিকা)
বেদনার মায়া জালে ফিরতি পথের গভীর রেশ
    হাজারো আশা রয়েছে বুকে অশ্রুর কুঁড়ে ঘরে ,
বাঁধা হীন মরু প্রান্তর রয়েছে চেয়ে মুক্তির পানে ।
    মনের কোণে দুঃখের শ্বাস লক্ষ্য যোজন দূরে ,
এপার ওপার নেই যে সেথা ,মনের অলিগলি
     কাঁটার বেদন সইতে গিয়ে হাজারো রক্তাবলি ।
ব্যাকুল হৃদয় জয় করেছে  উদারতার ব্যাথা
     চোরা বালির এক চিলকে মনের কোণে হেসে
অশ্রু ভেজা দুই নয়নে ভাব প্রকাশের ভিড়ে
     হারিয়ে গেছে কতো আশা  লুকোচুরির ভিড়ে ।
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

       প্রেমের কথা
            ✒✒✒ রাজকুমার ঘোষ

তোমার সাথে প্রথম দেখা নীল আকাশের মাঝে
সুখের সাথী সেই স্মৃতি আজও আছে মনে
প্রতিদিনই ডানা মেলে উড়ে যাই আনমনে
ভালোবাসার দাবি নিয়ে তোমায় নেবো খুঁজে
সুখের ঘরে বৃষ্টি আসুক যখন হবে দেখা
মন কেমনের দিন গুলো সব যাব তখন ভুলে
প্রেমের খাতা ভরাট হবে আশার আলো জ্বলে
নতুন দিশায় উঠবে মেতে নতুন প্রেমের লেখা
কথায় কথায় তুমি আসো আমার মনের দ্বারে
ভাবনাগুলো রঙীন হবে তোমার সম্মুখে
হাত ধরে বলবো আমি থাকবো সুখে-দুখে
তোমার আশায় বসে আছি মন দরিয়ার ধারে।
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥
         সিদ্ধান্ত
✒✒✒ রুহুল আমিন
কল্পনার আকাশে তুই অপরাধী
কিন্তু বাস্তবে তার বিচার কোথায়
তুই লোভি, স্বার্থপর
ক্রধ ঘৃনা তোকে আকড়ে বাস করে
প্রতিদিন তোর নতুন অভিনয়
ভুল সিদ্ধান্তে পা বাড়ায়
তুই অভিনেত্রী হলে মন্দ হতো না
সাগরের ঢেউ আসতো না তোর তীরে
মনে পড়ে গোলাপ সাজানো তোরা?
ফটোতে ছিলাম আমি বদ্ধ
আমার পৃথিবী ওই টুকু
আমি দূর্বল, আমি আর্থ হীন
আমি কঠিন ভালোবাসায় পরাজিত
এখন, অভিনয় আমিও করতে পারি
যেমন করে সিদ্ধান্ত নিলাম
মিথ্যুক এক অভিনেত্রীকে ছেড়ে
নতুন করে জীবন গড়ার
দুই দেশের প্রথিকের থাকে ক্রোধ
তার মাঝে সিদ্ধান্ত নিছক
স্বার্থপরতায় যায় মিশে।
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

         মন
                     ✒✒✒ শেখ মনিরুল ইসলাম
চিনতা কীসের
ভাবনা কীসের
উদাস কেন মন?
সঙ্গে আছি
আমি তোমার
নয়তো  কেহ পর।
দিন গেল কেটে
রাত এলো বুঝি হেটে,
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥
পূর্ণিমার রাত 
 ছোট গল্প
        ✒✒✒ আব্দুল রাহাজ
রাতুল আর ভৈরব দুজনেই খুব ভালো বন্ধু ছিল দুজনেরই বয়স সমান গ্রামের বাড়ি থেকে উঠে সে এখন ওরা থাকে শহরের এক ফ্লাট বাড়িতে দুজনের বাবার চাকরি করে শহরে বদলি হওয়ায় তাদের শহরে আসা। রাতুল আর ভৈরব পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকে গ্রামের বাড়িতে দুজনেই থাকতেন পূর্ব পাড়ায় খুব নামডাক ছিল তাদের‌।বেশ কিছুদিন ভালই কাটছিল ছিল শহরে তবে কেমন যেন লাগছিল রাতুলার ভৈরবের দুজনেই শহরের নামি স্কুলে ভর্তি হয় ভালই পড়াশোনা চলে। এদিকে ভৈরব ছিল একটু গেছো ধরনের অর্থাৎ গাছে উঠে আম পাড়া মাছধরা লুকোচুরি খেলা আর গ্রামের পরিবেশ উপভোগ করা আর পূর্ণিমা রাতে দাদুর কাছে গল্প শোনা সব যেন ভেস্তে যাচ্ছে আহা খেলার মাঠের আকাশ বাতাস আর গায়ে লাগেনা রহিম চাচার মাঠে যে মেশিনে জল তুলে চাষ করা হতো সেই জলে স্নান আর যেন সব বন্ধ। দিন দিন যেন মোটা হয়ে যাচ্ছি এদিকে রাত হলো ভৈরবের নতুন বন্ধু হলো নাম নাট সে একটু হাদাভোদা একটু মোটা সেই শুনেছে রাতুলার ভৈরব গ্রামের ছেলে তখন নাচ হা হয়ে গেল তাহলে গ্রামের কথা বল দ্বারা এবারের স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে তাদের নাম দিয়ে দেবো আরে ধুর পাগল নাম দিতে হবে না আমি তো এমনি গল্প শুনিয়ে দেবো। রাতুলের ভৈরবকে বললো খারাপ লাগছে না গ্রামের পরিবেশটা খোলামেলা আর শহরের পরিবেশ টা কাট পাথরে আবদ্ধ এদিকে যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। পরের দিন স্কুলে দ্বিতীয় বেঞ্চে বসে নাট ভৈরব আর রাতুল হঠাৎ ভৈরব বলল নাথ তোর বাসা তো আমাদের কয়েকটা বাসা-বাড়ির পরেই তো আজ বিকেল বেলায় চলে আয় গল্পটা শুনিয়ে দিতাম নাট বল তাই ও সত্যিই আমার খুব আনন্দ হচ্ছে আচ্ছা তাই হবে। রাতুল বলল আসবি তো আরে হ্যাঁ আসবো ঠিক বিকাল বেলায় সাড়ে চারটার সময় আচ্ছা এদিকে স্কুল ছুটি সাড়ে তিনটায় নাট তাদের দিকে হাত নেড়ে নেড়ে বাড়ি চলে গেল রাতুলের ভৈরব রাস্তার ফুটপাত ধরে হাঁটছে বাড়ি চলে এলো এসে খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে পড়লো। তখন টিক ঘড়ির কাটায় সাড়ে চারটে ভৈরব দের বাড়ির কলিংবেলটা বাজতেই দরজা খুলে বলল আরে নাট এসেছিস তখন ভৈরবের মা বলল এটা কে ভৈরবের মাকে নমস্কার জানালো নাট তারপর রাতুলের ডাকলো ভৈরব সঙ্গে সঙ্গে না চলে এলো ভৈরব রাতুলদের ফ্ল্যাট বাড়ির সামনে একটা ছোট্ট করে গার্ডেন ছিল সেখানে সেখানে তারা এক বেঞ্চে বসলো তারপর ভৈরব শুরু করল তাদের গ্রামের কথা তাথৈ বলল ভৈরব আমাদের এখানে আসার আগে পর্যন্ত যা করেছি সবই বলবি আচ্ছা আচ্ছা তাই হবে। ভৈরব শুরু করলো গল্প গ্রামটা চির সবুজে সবুজে রাঙানো মিলিত সমাহার। একটা ছোট্ট বন ছিল নাম তার শালগেড়িয়া তার পাশে ছোট্ট নদী ময়ূরী আর উত্তর দিকে বিস্তৃত মাঠ আর এক জায়গায় উত্তরপাড়ায় বাঁশঝাড় আমরা সেখানে গ্রামের পাঠশালায় পড়তাম সেখানে বটগাছ ছিল ও কি খেলা টাইনা হতো নাট বললো তাই। একবারে নদীতে মাছ ধরতে গেলাম চুরি করে তখন আমাদের স্কুলে গ্রীস্মের ছুটি চলছে আমি আর রাতুল দুজনের বাড়ি একেবারে পাশাপাশি রাতুলকে চললাম নদীর ধারে একটা গাছ তলায় বসে মাছ ধরতে লাগলাম কি বাতাস লাগবে মনে হচ্ছে এখনই চলে যায় তারপর নাট বললো হলো কি নদীতে যারা নৌকা নিয়ে যাচ্ছিল তারা দেখতে পেয়ে আমাদের তাড়া করল না আর একটু হেসে বলল তারপর শেষে কি হলো আরে তারপর আমাদের ধরতেই পারেনি আমরা চলে গেলাম বটতলায় মাঠে গ্রামের ছেলেরা সবাই খেলা করে আমি আর রাতুল ভালো ফুটবল খেলতাম চুটিয়ে খেলাধুলা করে সন্ধ্যাবেলা কষ্ট হয়ে যেত জামা ভিজে যেত ঘামে দেহ চিটচিট করতো তাই মোড়ল পাড়ার ভিতর একটা বড় পুকুর ছিল সেখানে স্নান সেরে বাড়ি ঢুকতাম প্রতিদিন মায়ের হাতে মার খেতাম আহা কী ভালোই না লাগতো তাই না রাতুল। আর এখানে এসে যেন শুধু স্তব্ধ আর গাড়ির আওয়াজ একঘেয়েমি পরিবেশ। এরপর রাতুল বলল জানিস নাট আমাদের গ্রামের পূর্ণিমার রাত সত্যিই যেন মনকে রূপকথার দেশে নিয়ে যেত সত্যিই জান মনকে রূপকথার দেশে নিয়ে যেত এক দিকে সবুজ বনের সমাহার নদীর হাওয়া তাকে আবার পূর্ণিমার রাত সৌন্দর্য দেখে আমরা আপ্লুত হয়ে যেতাম। ওই রাতে আমার দাদু কত গল্প করত আমরা চুপ করে শুনতাম। একবার তখন আমরা গ্রামের পাঠশালায় পড়ি টিফিনে তো সেই খেলা লুকোচুরি বট গাছে উঠে বসে থাকা দৌড়াদৌড়ি খুবই হতো আর আনন্দের সীমা ছিল না তারপর আমার এক বন্ধু খগেন বলল জানিস আজ রাতে পূর্ণিমার সবাই চিৎকার মেরে উঠলো হো হো হো তাহলে আজকে রাতে শুধু গল্প তখন নাট বলল তারপর কি হল ওই রাতে আমরা আমাদের গ্ৰামের পাশে যে গ্রামে একটা বন ছিল না তার পাশে একটা যাত্রাপালা বসতো আমি আর আমার বন্ধুরা সেখানে যাত্রা পালা শুনতে গেলাম হঠাৎ দেখলাম অনেক রাত হয়ে গেলো ভাগ্যিস পূর্ণিমার রাত ছিল নইলে আমাদের আর বাড়ি ফিরতে হত না। উত্তর দিকে মাঠে রাতের বেলা যেন কারা আছে বাবা দাদুর মুখে শোনা গল্প আমরাও খুব ভয়ে ভয়ে পার হলাম বাড়ি এসে দম ছাড়লাম। আমাদের ওখানে এই পূর্ণিমা রাত ছিল উৎসবের মতো চারিদিকে খুব আনন্দ হতো প্রকৃতির সৌন্দর্য ময়ূর পালকের মতো পাখা মেলে বেড়াতো আমরা ভাবতাম যেন রূপকথার দেশে বাস করছি এরপর ভৈরবা রাতুল বলল এই পূর্ণিমা রাত গ্রামের সৌন্দর্য ছিল খুবই আকর্ষক। তার আমাদের বেশিদিন থাকা হলো না বাবা পরের দিন বদলি হলো শহরে সঙ্গে আমাদেরও নিয়ে এলো সত্যিই খুব মন খারাপ হচ্ছিল আসার সময় সত্যিই অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে পূর্ণিমার রাত জানান দিতে রূপময় দেশের পরিচয়। যেখানে শুধু শান্তি আর শান্তি আর ঠান্ডা বাতাস বয়ে চলত অবিরাম স্রোতের মতো। আর পূর্ণিমা রাত ছিল দুচোখ ভরে দেখার মত সত্যিই এক মায়াভরা পরিবেশ সৌন্দর্যের অপরূপ তা তার মাঝে ফুটে উঠত আমাদের গ্রামৌ ফুটে উঠত পূর্ণিমার রাত।
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

ভিক্ষুক
     ✒✒✒ দীপেশ নাগ 
যাবার পথে সেই দিন 
আমি নিজের কাজে, 
আসলো এক ভিখারিনী 
আমার চোখের কাছে। 

হাড় গুলো ভেসে ছিলো 
জীর্ণ তার দেহ,
অগোছালো চুল তার 
নাই তার কেহ। 

ছিল বাকি এক কাল 
বয়স তার আশি, 
দুয়ারে দুয়ারে চাইছে খাবার 
এ কি তার নিয়তি?

কথায় কথায় বললো আমায় 
ছেলে ছিলো তিন, 
মাঝ বয়সে স্বামী হারা 
তাই আসলো এই দিন।

ছেলেদের দালান বাড়ি 
জায়গা অনেক কম,
মা যে তাই রাস্তায় রাস্তায়
ঘুরছে সারাক্ষণ।
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

         মহোৎসব
           ✒✒✒ মিনতি গোস্বামী
নদী জাগছে নদী জাগছে
নদী জাগলে জেগে ওঠে
জেলেপাড়া, বাঁশের চুবড়ি 
খালুই, বাগদি বৌ 
মাঠের ফসল শেষ হলে
জলের বুকে তোলপাড়।

জেলেডিঙি ,ঘাটজাল ,ঘুণি
 অন্ধকার,হ‍্যারিকেন 
ছিপ,ফাতনা ,কেঁচোসার 
বর্ষায় আবার শুরু
মাটির মহোৎসব।

🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

শুধু ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা থাকলেই শিক্ষিত ?
       ✒✒✒ রাজা দেবরায়
প্রথাগত শিক্ষা সেরকমভাবে না থাকলেও -

যিনি জমি দেখে বা জমির মাটি ছুঁয়ে বলে দিতে পারেন এই জমিতে ফসল কেমন হবে বা কী কী ফসল ফলালে লাভজনক হবে, তিনি শিক্ষিত নন্ ??

যিনি বাইক স্টার্ট দিয়েই বলে দিতে পারেন এই বাইকে কী কি সমস্যা আছে, তিনি শিক্ষিত নন্ ??

যিনি জলে হাত দিয়েই বলে দিতে পারেন এই জলে মাছ চাষ ভালো হবে কিনা বা কোন্ কোন্ মাছ চাষ করলে ভালো হবে, তিনি শিক্ষিত নন্ ??

যিনি কতজন নিমন্ত্রিত শুনে পারফেক্ট এস্টিমেট করতে পারেন, তিনি শিক্ষিত নন্ ??

যিনি (রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব) ঘন্টার পর ঘন্টা বক্তৃতা বা কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন, তিনি শিক্ষিত নন্ ??

যিনি পরের বিপদেআপদে সাহায্যের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন, এনার মূল্যবোধ কি উনাকে শিক্ষিত করেনি ??
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

      পূর্ণতা
         ✒✒✒ টুম্পা মুখার্জী
যা ছিল আমার
সবই বিলিয়ে দিয়ে
পূর্ণ হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা...

' ত‍্যাগে সুখ' ---না, হতে পারিনি
 তেমন মহিয়সী,

' ছিনিয়ে নেওয়ার ডাকাত'--না তাও নই,

'ক্ষমতা আস্ফালনের নূরজাহান ' --না, না, তেমনও নই।

তবে?

আছি প্রতীক্ষার পাহাড় হয়ে,
নীরব অভিশাপের সার্থকতা নিয়ে
তোমার নিঃস্ব হয়ে ফেরার পথে।

🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥
তারুণ্যের আহ্বান 
          ✒✒✒ উমর ফারুক  
অত্যাচারে ভুবন আজই 
পড়ল যে থুবড়ে মুখ
ক্ষুধার জ্বালা সর্ব আগে     
কিসের সাথে জড়াস সুখ? 

সাত সকালে বাদ্য বাজে 
পাখির ডাকে নেই তো বিষ
দূর্নীতিতে শীর্ষে এ দেশ     
জট ভাঙতে শঙ্কা কি? 

আদর খেয়ে নেতায় নেতায় 
বাজেট নিয়ে যুদ্ধ হয়  
শিক্ষাটা আজ বিপন্ন প্রায়
পথ শিশুরটির বাজেট কই? 

কিছু মানুষ দ্বন্দে ঝুঁকে 
স্বার্থে লেগে রাজনীতি  
ভোগ বিলাসে জীবন সাজে
তরুন সমাজ অজ্ঞ্যাতি? 

পথে ঘাটে ত্রাস জমেছে  
মানুষ বড়ই শঙ্কিত 
ধর্ম যেন মিলিয়ে ধুলোয় 
শিক্ষাটাও কলঙ্কিত  

ছাত্র তরুণ ডাক দিয়েছে 
কালো ছায়ায় ভর্তি সব
বিদ্মেষেরই বাঁধ ভেঙেছে     
সম্প্রীতিতে বিস্ফোরণ।
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

বিরহী বেহাগ
       ✒✒✒ শোভা মণ্ডল
এ কোন বিরহী বেহাগ কাঁদে,
রাতের ঘন অন্ধকারে – 
গৃহবাসী কান পাতে 
তিমিরের গায় ... ঘুম ভাঙ্গে, 
ভেসে ওঠে কবেকার চেনা সেই মুখ, 
ঝরে পড়া বকুলের ঘ্রাণে ছুঁয়ে যায় মন, 
জেগে ওঠে কৈশোর হিজল তলায় |

দিন কাটে হুল্লোড়ে,
রাতের আধখানা চাঁদ 
লক্ষ্মী পেঁচার মত উকি মারে 
শিমুলের ফাঁকে |
রাতের গভীরে তারাদের খেলা 
কালপুরুষ – ধ্রুব তারা মিলে মিশে,
আজানের ধ্বনি কানে ভাসে 
রাখালিয়া মেঠো সুরে ভরপুর 
প্রভাতি আমেজ |
কবেকার চেনা সেই মুখ 
ভোরের আলোর সাথে সাথে ডুবে যায় 
ঝরে পড়া স্তুূপাকার হিজল বকুলের তলে |

🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

আমাদের গ্রাম
      ✒✒✒ বিমান প্রামানিক
গ্রাম আমার সোনার মতন 
রাখিব তারে অনেক যতন।
গ্রামের থেকে পাই সোনার ফসল
গ্রামটি যেন আমার মায়ের আঁচল।
আমরা আছি মহাসুখে গ্রামের কুটিরে
গ্রামের চারিদিক যেন সবুজেই ভরে। 
চাষের কাজে গ্রামের চাষীভাই
সকাল হলেই মাঠে ছুটে যায়। 
কারও ঘাড়ে লাঙল, কারও কোদাল
নিবাস তার মাটির কুটিরে, খড়ের চাল। 
এই হলো গ্রামের জীবন্ত ইতিহাস
মাঠ থেকে ঘাট শুধুই সবুজ ঘাস।
গ্রামের সবাই সবার যেন আপনজন
গ্রামের দিকে চেয়ে থাকি সারাক্ষণ।
গ্রামের যত ছেলে মোরা ভাই ভাই,
একসাথে থাকি,খেলি কোনো বিভেদ নাই।
গাছে গাছে শুনি পাখির কলতান, 
পুকুরপাড়ে সারি সারি সবুজে ঘেরা বন।
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥


©©সেক আসাদ আহমেদ
সম্পাদক, উপকণ্ঠ
গাংপুরা, সাগরেশ্বর, পূর্ব মেদিনীপুর
তাং- 24/06/2020



0 comments: