বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন-17/06/2020



            "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)
        প্রকাশ কাল:-17/06/2020, বুধবার
                    সময় :- সকাল 6 টা

সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত

মুঠোফোন:- 9593043577

🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
 Click here

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click here

🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

আজকে উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিনে যারা কলম ধরেছেন✒✒✒✒👇👇👇👇👇
নিবন্ধ:-
• রাজীব কুমার নন্দী
ইংরেজি কবিতা:-
• সিদ্ধার্থ সিংহ
মজার ছড়া:-
• রাজ কুমার ঘোষ
কবিতা:-
• কাশীনাথ সাহা
• সোহিনী শবনম
ছড়া:-
• প্রদীপ কুমার দে
• জুয়েল রূহানী
• বিশ্বজিৎ কর
প্রবন্ধ:-
•••রাজা দেবরায়
ছোটোগল্প:-
•• আব্দুল রাহাজ
কবিতা:-
• সেখ সাবির মোল্লা
• টুম্পা মুখার্জী
• অনাদি মুখার্জী
🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉

নিবন্ধ
মানসিক অবসাদ এর লকডাউনে কি মৃত্যুর হাতছানি ?
        
    🖋🖋🖋 রাজীব কুমার নন্দী
"শোনা গেলো লাশকাটা ঘরে
নিয়ে গেলো তারে;
কাল রাতে-ফাল্গুনের রাতের আঁধারে।
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হল তার সাধ।"

আট বছর আগের একদিনের কবিতা হলেও আজ একজন অভিনেতার মৃত শরীর লাশ কাটা ঘর ছুঁয়ে যাবে!হ্যা সুশান্ত সিং রাজপুত।বসন্ত পেরিয়েছে 34 টি।আত্মহত্যা দিয়ে নিজের জীবনের বর্ণময় অধ্যায় শেষ করে গেলেন।
এ দায় কার?মানসিক অবসাদ, নাকি একাকিত্বের যন্ত্রনা।এমনকি লকডাউনের দীর্ঘ বন্দী দশা?মনোবিদরা না না মত দিচ্ছেন।
এই লকডাউন অবসাদে তথা ব্যাক্তিগত মানসিক অবসাদে নীরবে অনেকেই শিকার।লক ডাউন কি আসল কারণ?
আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে...এই সুরেই আজ প্রথমবার বিস্বাদ লেগেছে মনে।শত্রু আজ মেঘের আড়ালে লুকিয়ে যেনো অপ্রতিরোধ্য।চাণক্য এর কথায়:-শত্রু যখন অদৃশ্য তখন নিজেকে লুকিয়ে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।......
    মানুষ আজ এক অজানা বিপদের সম্মুখীন..যে বিপদ পৃথিবী এর আগে হয়ত পায়নি..করোনা ভাইরাসের প্রকোপ গৃহবন্দী দশাতেই আটকানো সম্ভন।সমস্যা হচ্ছে দীর্ঘদিন পরিবারের সাথেই আমরা আছি কিন্তূ ছিলাম না সর্বক্ষণ।এটাই এখন সমস্যার মূল।সবার ভাবনা মানসিকতায় এনেছে উদ্বেগ ও সমস্যা যা পারিবারিক কলহ ও অবসাদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।বাবা মা ভাই বোন থেকে শুরু করে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে এখন সিঁদুরে মেঘ।

মানুষের মানসিকতাই মানুষের ভাবনার বিকাশ ঘটায়।মানুষ আজ বড্ড বেশি খিট খিটে হয়ে পড়ছে একাকিত্বের যন্ত্রনায়।পরিবারের মাঝে থেকেও সে বেশী করেই যেনো একা।মানুষ মানেই তার শুধু পরিবার নয়, সে বেঁচে থাকে সামাজিক মেলবন্ধন এর মধ্যে।যা অবশ্যই পারিবারিক কলহের কারণ সৃষ্টি করতে বাধ্য।
সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ রয়েছে।যদি আমরা আর্থিক ভাবে দেখি.. উচ্চবিত্ত/ধনী
মধ্যবিত্ত
গরীব
আপাত ভাবে তিন ধরনের মানুষের ভাবনা চাহিদার মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে।একদিকে গরীব যেমন পেটের অন্ন যোগাবে বলে ব্যাস্ত।দিন আনি দিন খাইর সংসারে না খেতে পাওয়াটাই সমস্যা।
মধ্যবিত্ত তাদের ও রোজগার বন্ধ ,জমানো টাকায় ও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তায় তারাও খুব মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।ইচ্ছে না থাকলেও তারা পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়ছেন।আর ধনী দের কথা ..তাদের ও সেই একই অবস্থা না হলেও পারিবারিক কলহ কমবেশি ধরা পড়ছে।নাহলে সুশান্ত সিং রাজপুতের মত অভিনেতা আত্মহত্যা করে?
তাঁর "ছিছরে" ছবিতে বাঁচার মানের কথা বলেছিলেন।আর সেই কিনা নিজেই শেষ।তাদের ভাবনায় ইচ্ছাশক্তি তে আজ যেনো লাগাম পড়েছে।আধুনিকতার রূপসাগরের হাতছানি আজ ড্রইং রুমে বন্দী।সাথে পারিবারিক কলহের তিক্ত সুর।
আজ পৃথিবীর প্রত্যেকটি পরিবার কিছু না কিছু সমস্যায় জর্জরিত বর্তমান করোনা পরিস্তিতি তে।কেউ হারিয়েছে প্রিয়জন,কেউ হারিয়েছে কফিহাউসের আড্ডা,কেউ হারিয়েছে রোজগার,কেই হারিয়েছে মাথার ওপর ছাদ, কেউ হারিয়েছে শিক্ষার দিশা।হারানোর মাঝে মানুষ আজ হারিয়েছে তার স্বভাব বোধ।যা প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে সমাজে পারিবারিক জীবনে।
বিভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক দের মতে গৃহবন্দী হতে গিয়ে হারিয়ে ফেলছে জীবনের মানে।ভালোথাকতে গিয়ে ভালো থাকছে না অনেকেই।
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয়েছে এক মানসিক তর্জা যা থামার অবকাশ নেই।সেই যুদ্ধ কোনো আইনজীবী জিতবে বলে আমার মনে হয় না।
"ভেঙ্গেছো দুয়ার এসেছো জ্যোতির্ময় তোমারই হউক জয়"
পারিবারিক কলহে নয় সব পরিবারকে মানসিক ভাবে সুস্থ স্বাভাবিক সুসম্পর্কের মধ্যে অবসাদহীন হয়ে জয় করতে হবে জীবনকে।.....খুঁজতে হবে বাঁচার মানে।
আর মনে মনেই হোক বা মুখে গাইতে হবে গান.....উই সেল ওভার কাম সাম ডে..... আমরা করবো জয় নিশ্চয়💐💐💐
সাথে বিকেলের রোধ মেখে নচিকেতার গান:-এক দিন ঝড় থেমে যাবে,পৃথিবী আবার শান্ত হবে...শুনলে মন্দ হয় না...
🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉
ইংরেজি কবিতা:-👇👇👇
Getting to know
🖋🖋🖋 Siddhartha Singha
The boy will come to know after a few days
there is nothing in this world called Nakshi Kanthar Math.
it is only fairy tale!
Given a chance
Even if she is not a Cinderella
Her father can easily kiss her lips
There is nothing called friend in the world---

Son will know all these some day!
still as long as I can, I shall drape
the doors and windows of his room
With heavy curtains
I shall fill the sky light holes
With straw and grass so that
small birds may nest---

son will some day get to see
Yet I try to delay that day in his life
That's why I engage myself in the fierce battle!
🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉
মজার ছড়া:-

নরহরির নাটক 

🖋🖋🖋 রাজকুমার ঘোষ 
ছিচকাদুনি নরহরি, 
ন্যাকার চূড়ামণি…! 
আঁতলামিতে হতে চায়
সবার কাছে গুণী । 

নিজের ঢাক নিজে পেটায়
বাড়ায় নিজের দাম… 
মাঝে মাঝেই সুর পালটে 
করে ‘কেষ্ট’র নাম …। 

দুধের স্বাদ ঘোলে মেটায়, 
সোস্যাল সাইটে বসে…। 
‘মামনি’দের তোয়াজ করে
পায়না পাত্তা শেষে । 

বুড়োভাম নরহরি, 
দেখায় কত চটক…! 
কলপ করা ভেল্কিতে, 
জমেকি আর নাটক ?
🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉
আলোকথা
🖋🖋🖋 কাশীনাথ সাহা 
কালকে আমি আগুন ছুঁয়েছি 
আজকে ছোঁবই আলো
নিষিদ্ধ পাপ আগুন খেয়েছে 
আলো আজ ছুঁয়েছিল। 

অচেনা কিশোরী ডাক দিয়েছিল
গত জন্মের পর
নিরুদ্দেশে হারাবো আজ
বাঁধতেও পারি ঘর। 

ঘর বাঁধবার স্বপ্নটি আজও 
বনজ্যোৎস্নায় উড়ে
কখনো কাঁপে ভালবাসায়
কখনো প্রবল ঝড়ে। 

ঘর মানে শুধু খড়কুটো 
মোমবাতি এক কোনে
তবে কে পুড়ছে নদী তীর জুড়ে
আজ ভরা শ্রাবণে!

কতো পথ আমরা দু'জনে হেঁটেছি 
ক্লান্তি আসেনি আজও
পথ ছেড়ে কবেই পথ হারিয়েছি
এখনো কি পথ খোঁজ! 

এইখানে তুমি ওষ্ঠ ছুঁইয়ে
বপন করেছো ঋণ
সেই কথা আজও বয়ে চলে যায়
নিভৃতে প্রতিদিন। 

আজকে আমি আলোর সাথে 
খেলবো গোপন খেলা
আগুনে পুড়েও বলতে পারিনি 
সব ছিল ছলাকলা।
🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉

বর্ষা
🖋🖋🖋 সোহিনী শবনম
বর্ষা মানেই অবিরাম বৃষ্টি,
তৃষ্ণা মেটানোর সুখ।
গ্ৰীষ্মের দাবদাহে না পুড়লে ভায়া,
মধুর লাগবে কি করে, বর্ষার এই অপরূপ রূপ!

ধূলিময় গাছপালা হয় স্নিগ্ধ স্নাত,
এই বৃষ্টির শীতল জলে ধুয়ে।
প্রকৃতি মা নিজেকে তাই,
সুন্দর করে নিচ্ছেন গুছিয়ে।।

ফসল পাবে পরিমিত জল,
হাসি ফুটবে চাষীর মুখে।
তোমরা না হয় কাঁচের ঘরে মেতে থাকো,
সানডে সাসপেন্স আর কফির চুমুকে,
বাইরের ভেজা শহরের দিকে চোখ রেখে।

একটুখানি বিরক্তি-ও লাগে, 
ভিজে ভিজে টিউশন যেতে হবে।
রাগ করো না ভাইটি আমার,
বর্ষা এই কয়েক মাস-ই তো রবে।

প্রকৃতির এই মিষ্টি দান,
গ্ৰহণ করো হে মুক্ত-প্রাণ।
বর্ষা! তুমি আবার এসো,
রইল তোমার সাদর‌ আমন্ত্রণ।।
🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ

ছড়া
সুপ্রভাত
   🖋🖋🖋 প্রদীপ কুমার দে
ডাকে তোমায় ভোরের আকাশ
ডাকে ভোরের পাখি,
বলছে তোমায় জেগে ওঠো
খোলো দুটি আঁখি।

ডাকে তোমায় সবুজ ঘাস
ডাকে পথের বকুল,
বলছে তুমি উঠলে পরে
ফুটবে তবে ফুল।

খেলার মাঠ বলছে তোমায়
বন্ধু উঠে বসো,
খেলার সাথী নেইকো আমার
খেলতে তুমি এসো।

ফুলের বাগান বলছে জাগো
বাড়িয়ে দুটি হাত,
আমিও তাই বলছি তোমায়
মিষ্টি সুপ্রভাত।
🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉

উপকন্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ
ছড়া
আষাঢ়ে বৃষ্টি নামে
 🖋🖋🖋 জুয়েল রূহানী
আষাঢ়ে বৃষ্টি নামে-
নদী ভরা জল,
নদীতে নাইতে নামে-
গ্রাম্য ছেলের দল!

পথে ঘাটে কাঁদা-জল-
পিছলে পরার ভয়,
মাঠে-ঘাটে জল ভরা-
ঘন বরষায়।

আষাঢ়ে ঘরের চালে-
রিম্ ঝিম্ কলতান,
তাকালে বাহির পানে-
ভরে দু'নয়ন।

আষাঢ়ে মেঘের ডাকে-
শঙ্কিত সবে,
এই ঘন বরষায়-
কখন কী হবে!
🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉
ছড়া:-
 সাবধান,চীন !
🖋🖋🖋 বিশ্বজিৎ কর 

সাবধান, সাবধান চীন-
নাচিয়ে ছাড়ব অনবরত, 
তা ধিন! তা ধিন! 
সাবধান, সাবধান চীন-
কেটে পড় সীমানা ছেড়ে, 
হয়ে যাবি পুরো বিলীন! 
ওই চীন, শুনে রাখ্ -
জওয়ান ভাইয়েরা আমাদের, 
সদা জাগ্রত সীমানায়! 
ওই চীন, জেনে রাখ্ -
অশান্তি করলেই তোরা, 
 উড়ে যাবি গুলি-গোলায়!
🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉


প্রবন্ধ 
৩৭ এর নামতার মজা - ৪ যোগ ৩ বিয়োগ !!!
🖋🖋🖋 রাজা দেবরায়

৩৭ এর নামতার একটি মজার জিনিস লক্ষ্য করলাম ! ভাবলাম সবার সাথে ভাগ করি বিষয়টা । হয়তো আরো নতুন কিছু বেরিয়ে আসতে পারে ।

আমরা জানি ৩৭×১=৩৭ । এইবার প্রথম সংখ্যাটির সাথে মানে দশকের ঘরের সংখ্যার (এইক্ষেত্রে ৩০) সাথে চার (এইক্ষেত্রে ৩০ এর বদলে ৩) অথবা চল্লিশ যোগ করতে হবে এবং দ্বিতীয় সংখ্যাটি থেকে মানে এককের ঘরের সংখ্যা থেকে তিন বিয়োগ করলে ৩৭×২=কত(?) তা আমরা সহজেই পেয়ে যাবো । এরকমভাবে দশকের ঘরের সংখ্যার সাথে চল্লিশ যোগ এবং এককের ঘরের সংখ্যা থেকে তিন বিয়োগ করলে ৩৭ এর নামতার ফলাফল সহজেই পাওয়া যাবে ।

তবে ফলাফল তিন সংখ্যার হলে একত্রে শতকের ঘরের এবং দশকের ঘরের সংখ্যাদ্বয়ের যোগফলের সাথে চার যোগ অথবা চল্লিশ যোগ ও এক বিয়োগ অথবা দশ বিয়োগ এবং এককের ঘরের সংখ্যা থেকে তিন বিয়োগ ও দশ যোগ করতে হবে ।

উদাহরণ দিলে বিষয়টা বুঝতে আরো সুবিধে হবে ।

৩৭ × ১ = ৩৭

৩৭ × ২ = (৩+৪)(৭-৩) = ৭৪

৩৭ × ৩ = (৭+৪)(৪-৩) = ১১১

৩৭ × ৪ = (১১+৪-১)(১-৩+১০) = (১৫-১)(১১-৩) = ১৪৮

[এইক্ষেত্রে যেহেতু ১ থেকে ৩ বিয়োগ করা যাবেনা, তাই দশকের ঘরের সংখ্যা থেকে এককের ঘরের সংখ্যার সাথে ১০ 'ধার' করে এনে যোগ করে ১+১০=১১ করা হয়েছে । দশকের ঘরের সংখ্যা থেকে ১ (অর্থাৎ দশকের ঘরের ১০) বিয়োগ করা হয়েছে অঙ্কটির মিল রাখার জন্য]

৩৭ × ৫ = (১৪+৪)(৮-৩) = ১৮৫

৩৭ × ৬ = (১৮+৪)(৫-৩) = ২২২

৩৭ × ৭ = (২২+৪-১)(২-৩+১০) = (২৬-১)(১২-৩) = ২৫৯

[এইক্ষেত্রে যেহেতু ২ থেকে ৩ বিয়োগ করা যাবেনা, তাই দশকের ঘরের সংখ্যা থেকে এককের ঘরের সংখ্যার সাথে ১০ 'ধার' করে এনে যোগ করে ২+১০=১২ করা হয়েছে । দশকের ঘরের সংখ্যা থেকে ১ (অর্থাৎ দশকের ঘরের ১০) বিয়োগ করা হয়েছে অঙ্কটির মিল রাখার জন্য]

৩৭ × ৮ = (২৫+৪)(৯-৩) = ২৯৬

৩৭ × ৯ = (২৯+৪)(৬-৩) = ৩৩৩

৩৭ × ১০ = (৩৩+৪)(৩-৩) = ৩৭০

অথবা

৩৭ × ১ = ৩৭ [৩০+৭]

৩৭ × ২ = (৩০+৪০)(৭-৩) = ৭০ (+) ৪ = ৭৪

৩৭ × ৩ = (৭০+৪০)(৪-৩) = ১১০ (+) ১ = ১১১

৩৭ × ৪ = (১১০+৪০-১০)(১+১০-৩) = (১৫০-১০)(১১-৩) = ১৪০ (+) ৮ = ১৪৮

[এইক্ষেত্রে যেহেতু ১ থেকে ৩ বিয়োগ হবেনা, তাই দশকের ঘরের সংখ্যা থেকে এককের ঘরের সংখ্যার সাথে ১০ 'ধার' করে এনে যোগ করে ১+১০=১১ করা হয়েছে । দশকের ঘরের সংখ্যা থেকেও ১০ বিয়োগ করা হয়েছে অঙ্কটির মিল রাখার জন্য]

৩৭ × ৫ = (১৪০+৪০)(৮-৩) = ১৮০ (+) ৫ = ১৮৫

৩৭ × ৬ = (১৮০+৪০)(৫-৩) = ২২০ (+) ২ = ২২২

৩৭ × ৭ = (২২০+৪০-১০)(২+১০-৩) = (২৬০-১০)(১২-৩) = ২৫০ (+) ৯ = ২৫৯

[এইক্ষেত্রে যেহেতু ২ থেকে ৩ বিয়োগ হবেনা, তাই দশকের ঘরের সংখ্যা থেকে এককের ঘরের সংখ্যার সাথে ১০ 'ধার' করে এনে যোগ করে ২+১০=১২ করা হয়েছে । দশকের ঘরের সংখ্যা থেকেও ১০ বিয়োগ করা হয়েছে অঙ্কটির মিল রাখার জন্য]

৩৭ × ৮ = (২৫০+৪০)(৯-৩) = ২৯০ (+) ৬ = ২৯৬

৩৭ × ৯ = (২৯০+৪০)(৬-৩) = ৩৩০ (+) ৩ = ৩৩৩

৩৭ × ১০ = (৩৩০+৪০)(৩-৩) = ৩৭০ (+) ০ = ৩৭০

এছাড়াও ৩৭×৩=১১১, ৩৭×৬=২২২ এবং ৩৭×৯=৩৩৩ সবগুলো ফলাফলেই একই সংখ্যা তিনবার পাওয়া যায় । এটাও একটা মজার বিষয় !

এছাড়া ৩৭ এর নামতা সহজে বের করতে হলে আগের সংখ্যার সাথে ৩৭ যোগ করে নিলেই হলো । যেমন - ৩৭×২=৭৪, তাহলে ৩৭×৩=(৭৪+৩৭)=১১১

অথবা

আরেকটি পদ্ধতি ৩০ দিয়ে গুণ এবং ৭ দিয়ে গুণ । যেমন - ৩৭×৮=(৩০×৮)+(৭×৮)=২৪০+৫৬=২৯৬ ।।
🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉
এক বাবা হারা ছেলে
 (ছোট গল্প)
🖋🖋🖋 আব্দুল রাহাজ 

একটা গভীর বনে বাস করতো একটি ছোট্ট পরিবার খুব সুখে শান্তিতে বসবাস করতো  পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে  ছোট্ট নদী সেখানে সবসময় মাঝির আনাগোনা । গভীর বনে তাদের বাড়ি ছাড়া আরও দুই একটা বাড়ি ছিল  সেখানে  বাদল মিনতি নিশান এই তিন জন ছিল খুব ভালো বন্ধু একসাথে খেলাধুলা করে নিশানের বাবার কাছে পড়াশোনা করে  তাদের শৈশব যেন ওই ছোট্ট নদী কে ঘিরে গড়ে উঠেছে। মানুষ গুলো অত্যন্ত প্রান্তিক তারা নদীতে মাছ ধরে রহিম চাচার আড়ৎ এ বেঁচে সেখান থেকে  যা পায় তাই দিয়ে সংসার চালান বন ছিল তাদের মা খুব সাহায্য করতো এইভাবে তাদের দিন চলতো। বাদল ওর  বাবাকে খুব ভালো বাসতো বাবার সাথে মাছ ধরতে যেত নৌকা চালাতে ছোট থেকে বাবার কাছে পড়তো।  বাদলের বয়স তখন  আট  ছেলে ঘুমাচ্ছে মাথায় চুমা দিয়ে বেরিয়ে পড়লো মায়া দ্বীপে কাজ করতে অনেক দিন পর বাড়ি আসবে এই বলে নিজের স্ত্রীর কাছে থেকে  বিদায় নিয়ে  রওনা দিলো   পথে যেতে যেতে উঠলো ঝড় বৃষ্টি মাঝ নদীতে প্রবল জলচ্ছাস একটা জলের ঝাপটায় নৌকা উল্টে গেল একবার বাদল বলে চিৎকার করে উঠলো তারপর সব শেষ সলিল সমাধি রূপে নদীগর্ভে তলিয়ে গেল। এদিকে বাদল রহিম চাচার বললো আমার বাবা কোথায় যেন রহিম চাচা বলে নাতো বাবু কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে মা মা করে বললো বাবা কোথায় আমি বাবার কাছে যাব এই বলে মাটির দেওয়াল এ বসে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো  বাদল যখন উঠলো তখন ওর মা বললো বাদল কিছু খেয়ে নাও খেতে খেতে বললো বাবা কোথায় তখন মা বললো শোনা তোমার বাবা কাজে গিয়েছে  যেদিন বাড়ি ফিরবে সেদিন তোমার জন্য অনেক কিছু কিনে আনবে এই বলে হো হো হো করে হেসে উঠলো বাদল   কিছু খেয়ে একটু পড়াশোনা করে খেলতে খেল নিশান আর মিনতির সঙ্গে । এদিকে গ্ৰামের খগেন অধিকারী ছুটতে ছুটতে বৌদি বৌদি  বলে চিৎকার করতে করতে  বাড়ি ঢুকলো হাঁপাতে হাঁপাতে হাঁপাতে বললো দাদা আর নেই নদীর তলে নৌকা শুদ্ধ তলিয়ে গেছে এই কথা শোনা মাএই বাদলের মা অঝরে কেঁদে উঠলো সেই কান্নার যেন সীমা নেই  তার পর বললো বাদল যেন না জানে এই কথাটা এই ভাবে কেটে গেল কয়েকটা বছর বাদল বড়ো হলো একদিন বাবার কথা জিজ্ঞাসা করলো মায়ের কাছে  মা সেই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে বললো তোর বাবা দুই বছর আগে  নৌকা ডুবে মারা গেছে রে খোকা এই কথা বলা মাএই ছেলে বলে উঠলো আমার আর তাহলে ভালো ভালো জিনিস নেওয়া হলো না এই বলে মনের দুঃখে কষ্টে বাবা হারা কষ্ট কে আঁকড়ে ধরে নদী বন ঘেরা  প্রকৃতির মায়া কোলে চির পথের সাথি হয়ে মাকে আগলে ধরে বসবাস  করতে লাগলেন। নদীর 
দিকে তাকিয়ে বাদল   ভাবছে  ওই বোধহয় বাবা আসছে খোকা বলে ডাকছে আর আমার জন্য সেই জিনিস গুলো নিয়ে আসছে এসব কথা ভাবতে ভাবতে প্রভুর লীলাখেলায় একই দিনে বাদল আর তার মা চলে গেলেন শান্তির দেশে সব কষ্টকে বিলীন করে বাবার কাছে চলে গেলেন  আর তাদের বাড়ি পড়ে রইল নীল আকাশের নীচে  মাহামায়া প্রক‌তির কোলে। যেখানে লুকিয়ে আছে এক বাবা হারা  ছেলের গল্প।

🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉

তোমাকে চাই,তোমাকে চাই।
উপকন্ঠ প্রাত‍্যহিক বিভাগ।
🖋🖋🖋 সেখ সাবির মোল্লা।

রৌদ্রতপ্ত মাঠ থেকে ক্লান্ত শরীর নিয়ে যখন তোমায় বলবো "একগ্লাস জল দাও"
তারপর যদি বলি এর বদলে কি চাও তুমি?
তুমি নিশ্চয় বলবে "আমি তোমাকে চাই,আমি তোমাকে চাই"
এসো কোলে মাথা রাখো,তোমাকে আদর করি।

সারাদিন অফিসের কাজে অনেক ছোটাছুটির পর যখন বলবো "মাথাটা টিপে দাও না"
তারপর যদি বলি এর বদলে কি চাও তুমি?
তুমি নিশ্চয় বলবে "আমি তোমাকে চাই,আমি তোমাকে চাই"
এসো তোমার বুক ছুঁয়ে দিই,কপালে হাত রাখি।

তোমার মনের মতো প্রিয় ব্যঞ্জনগুলো করে কালঘাম হয়ে কিচেন থেকে ফিরে এসে লোডশেডিং দেখে যদি বলি "পাখা দিয়ে হাওয়া করো"
তারপর যদি বলি বদলে কি চাও তুমি?
তুমি নিশ্চয় বলবে "আমি তোমাকে চাই,আমি তোমাকে চাই"
এসো বিছানা পেতে দিই,
আমার উরুতে মাথা রাখো।

অফিসে "বসে"র কাছে খুব বকা খেয়ে বিগড়ানো মন নিয়ে বাড়ি ফিরে তোমার বরফের মতো শান্ত মন দেখে যদি তোমা খারাপ কিছু বলে দিই।
তারপর যদি বলি কি চাও তুমি?
তুমি নিশ্চয় বলবে "আমি তোমাকে চাই,আমি তোমাকে চাই"
এরপর সজোরে চুম্বন করে বুকে টেনে নিয়ে আমাকে শান্ত করবে।

🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉
 ফেরারি
    🖋🖋🖋 টুম্পা মুখার্জী

একলা ঘরে নিঃস্ব হয়ে পড়ে আছে দূরবীন,
স্মৃতি গুলো জমাট বেঁধে স্থির,
তারকাদের ভিড়ে নিজেই আজ নীহারিকা,
ফেলে আসা রক্তক্ষরণ নীল তুহিন,
স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনারা আজ ছায়াপথ।

কী লাভ অত হিসেবের?

'মেনে না নিতে পারা' চরম সত্য,
'মানিয়ে নেওয়া' কেবল 
মাথা নীচু করে বাঁচা ।

বহুরূপী মুখোশের সমাবেশে
ক্লান্ত শ্রান্ত মন সত‍্যের আশ্রয় খোঁজে,
হোক না সে কঠিন, চরম অথবা শীতল,
তবু ছলনা তার থেকে এক
 মহাকাশ ব‍্যবধানে...
ফেরার রূপকথা আর বোঝে না সে,
তাই ফেরারি সুখেই অন্তর্লীন।
🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉
তুমি আছো হৃদয় ধামে,
     🖋🖋🖋 অনাদি মুখার্জি 

কি করে বোঝাবো তোমাকে 
তুমি আছো আমার মনের মাঝে,,
আষাঢ়ের বৃষ্টি ভেজা বুকের খাঁজে,,
তুমি আছো অপূর্ব সাজে চোখে কাছে,
কি করে বোঝাবো তোমাকে 
তুমি আছো আমার কাছে মেঘ হয়ে,,
কখনো চাঁদের আলো ঝনার মতোন ,
আবার মনে হয় তুমি আছো
তোমার ঐ হাসি যেনো মিষ্টি ঝরে
মনের খাতায় লিখতে গিয়ে যে নাম লেখা হয়নি,
আজ সেই নাম লিখি মনে 
তুমি আছো আমার হৃদয় ধামে,
🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉🌉

©সেক আসাদ আহমেদ
   সম্পাদক, উপকণ্ঠ 
গাংপুরা, পূর্ব মেদিনীপুর
তাং- 17/06/2020


1 টি মন্তব্য: