"উপকণ্ঠ ২১শে জুন সংখ্যা "
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-21/06/2020, রবিবার
সময় :- সকাল 11 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
আজকে উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিনে যারা কলম ধরেছেন✒✒✒✒👇👇👇👇👇
নিবন্ধ:-
• রাজীব কুমার নন্দী
অনুগল্প:-
• সুজাতা সরকার
ছোটোগল্প:-
• আব্দুল রাহাজ
ইংরেজি কবিতা:-
• সিদ্ধার্থ সিংহ
• সোহিনী শবনম
কবিতা:-
- ডঃ রমলা মুখার্জী
- বদরুদ্দোজা শেখু
- অগ্নিমিত্র
- বিশ্বজিৎ কর
- সৌভিক রাজ
ছড়া:-
• রাজ কুমার ঘোষ
বিশেষ প্রতিবেদন:-
• বাপন দেব লাড়ু
কবিতা:-
- দীপেশ নাগ
- এম ডি আবু হোসেন সেখ
- অনাদি মুখার্জী
- জহরলাল দাস
- জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
- টুম্পা মুখার্জী
- দেবনাথ সাঁতরা
"উপকণ্ঠ ২১শে জুন সংখ্যা "
নিবন্ধ
মাতৃভূমি লোকাল হলে পিতৃভূমি লোকাল নয় কেনো!
..............................................
পিতৃ দিবসে ভালোবাসার আবাহন।
🖋🖋🖋 রাজীব কুমার নন্দী
"...তখন তাকে এমনি বকে দেব।
বলব তুমি ভারি দুষ্টু ছেলে,
বলব তুমি চুপটি করে পড়,
যখন হব বাবার মত বড়।"
কবিগুরুর ভাবনার রংমিলান্তি মিশেছে আজ পিতৃদিবসের সন্ধিক্ষণে।ছোটবেলার হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাবার হাত ধরা শুরু হতো মায়ের কোলে চাঁদ মামা দেখার ঠিক পরেই।ছেলেবেলার আবদার গুলো মায়ের কাছে থাকলেও সিংহভাগ থাকলেও তা বাস্তবে মেটাতেন কিন্তূ বাবা।বাবা না মা ভালোবাসার দুই জায়গা নাকি একত্রিত আকাশ ছোঁয়া আনন্দ তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।তবু দু জনেই খুব কাছের।
ছেলেটি থাকতো হোস্টেলে বাবাকে লিখছে চিঠি-
আমি কিচ্ছু শুনতে চাই না আর বুঝতেও চাই না। তুমি এক্ষুনি যেখান থেকে পার বাস, প্লেন, ট্রেন, অটো, গরুর গাড়ি যা খুশি চেপে চলে এস আমার কাছে। নাহলে আমি মাকে বলে দেব, তুমি বাজার যাওয়ার নাম করে রোজ দুটো করে মিষ্টি খাও!
এই ভাবেই বাবার ভালোবাসা উৎযাপন করতো শৈশন বেলা।পিতৃ দিবস নিয়ে আছে কাহিনী।আসলে আমরা মাতৃ দিবস নিয়ে অনেকেই বুঝি যত্নবান।পিতৃ দিবস কোথাও কি ফিকে মনে হয় না।আসলে বাবার কি ব্রাত্য হয়ে পড়ছেন?আসলে সন্তান দের কাছে সবাই সমান।পিতৃ দিবসের কাহিনীতে বলা হয়-
এই দিনটির উদযাপন প্রথম আমেরিকাতে শুরু হয়। একজন আমেরিকান মহিলা যার নাম সোনোরা স্মার্ট ডড তিনি অনুধাবন করেন মাদার্স ডে’র মতো আমাদের ফাদার্স ডেও পালন করা উচিত। কারণ, আমাদের জীবনে বাবা এবং মা, দু’জনেরই গুরুত্ব সমান। মূলত এই ভাবনা থেকেই ফাদার্স ডে’র জন্ম হয়। ১৯১০ সালের জুন মাস থেকে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে।আতিক হেলাল এর লেখায় পাই পিতৃত্বের জয়গান-
"বাবাই প্রথম শিক্ষক আমার/ বাবাই আমার গুরু
চক পেন্সিল কলম ধরা বাবার কাছেই শুরু"
যদিও বাবা মাকে ভালবাসার আলাদা করে কোনও দিন হয় না। তবু এক আধটা বিশেষ দিন পালন করতে খারাপ লাগে না। সারা বিশ্বে ফাদার্স ডে পালন করা হয় পিতৃত্বের উদযাপন করার জন্য। তাছাড়া যারা সিঙ্গল ফাদার তাঁরাও এই দিনটি পালন করেন। বেশিরভাগ দেশেই এটি জুন মাসের তৃতীয় রবিবার পালন করা হয়। আমেরিকা ও ইউরোপের মতো দেশে ফাদার্স ডে’র দিন ছুটি থাকে।
মাতৃভূমি লোকাল নামে আছে ট্রেন,কিন্তূ পিতৃভূমি লোকাল হতে কি কোনো আপত্তি আছে?
এইনিয়ে অনেক বিতর্ক সভাও হয়েছে ঘটা করে।কোথাও যেনো নীরবে নিভৃত্ত্বে বাবা ও মা তাদের সন্তানের প্রতি ভালোবাসার গভীরতা মাপার চেষ্টা হয়।আমরাও জিজ্ঞেস করে ফেলি বাবা না মা?কে বেশি ভালোবাসে?সব কিছুর অন্তরালে বাবারা বাইরের কঠিন রূপকে দেখিয়েও ছেলে মেয়েকে আগলে রাখে সারাজীবন।
মাতৃ দিবসের মত পিতৃ দিবসেও পিতারা ভালোবাসা পাক অথবা ভার্চুয়াল জগতে উৎযাপন হোক বা যাহোক।পিতা ও সন্তানের এক আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে।যা সারা বছর ধরে হয় উজ্জাপন।সেই ভালবাসা একটি দিনে আবদ্ধ রাখা যায় না।তাই তো কবি জাহিদুল ইসলাম ভাষায় বলতে হয়
"বাবা মনে পড়ে সেই শীতের সকাল/ তোমার কোলে লুকিয়ে থাকা
মনে পড়ে সেই বিকেল/ তোমার আঙুল ধরে হাঁটতে যাওয়া"
👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦
অনুগল্প
আজ পিতৃদিবসে
পৃথিবীর সব স্নেহশীল পিতা কেই আমার অসীম শ্রদ্ধা
বাবা
🖋🖋🖋 সুজাতা সরকার
বাসটা হঠাৎ ই থেমে গেল !সব্বাই এক সঙ্গে চিৎকার করে উঠলো"নেমে যাও বাস থেকে " বাসের সীটে বসে একটু ঘুমিয় পড়েছিলাম-তাকিয়ে দেখি বাসের খালাসী ও দুএক জন মিলে এক অসতি পর বৃদ্ধকে টেনে নামাচ্ছে বাস থেকে ,তার কোলে একটি অর্ধ পোড়া মেয়ে বিকট দর্শন মেয়ে বলে চেনা যায়না যদিও।
বৃদ্ধ কাকুতি মিনতি করতে লাগলো বাসে একটু নিয়ে যেতে হৃদয়পুর অবধি।কেউ যার কথা শুনলো না টেনে হিঁচরে নামালো বাস থেকে বুকের ভিতর অদ্ভুদ একটা কষ্ট অনুভব করলাম কন্ডাকটারকে টাকা দিয়ে ওদের পিছে নেমে এলাম-তাই তো দেখলাম কোল থেকে ছিটকে পরা মেয়েকে পরম মমতায় কোলে তুলে নিল মেয়েটি আঁকড়ে ধরলো বাবাকে।আমাকে দেখে একটু ভয় পেল বললাম "ও কে ?ওর এমন দশা কেন ?বল আমাকে "
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো আমার মা মরা মেয়ে সুন্দরী অনেক কষ্টে একাই মানুষ করেছিলুম
ও বড় হয়ে আমার 'মা'হয়েছিল ।
সতের বছরে বিয়ে দিলাম ভালো ছেলে দেখে অনেক টাকা কর্জ করে কিন্তু কশাই বুঝলেন পনের টাকার জন্য আগুন দিলো ওর গায়ে।
বহু কষ্ট করে ওকে বাঁচিয়েছি গো
তাই আর কাছ ছাড়া করিনা কখন ও ।
বলুন বাবু ওর ঐ হতকুৎসিত চেহারার জন্য কে দায়ী ?
নিষ্ঠুর সমাজে ও কূরূপা কিন্তু আমার কাছে ও সুন্দরী !আমার মানিক
তখন ই সেই মুহুর্তে তার মধ্যে এক পরম পিতাকে দেখলাম। সব চেয়ে স্বর্গীয় সে দৃশ্য।।
👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦
আমার বাবা শ্রেষ্ঠ
(ছোট গল্প)
🖋🖋🖋 আব্দুল রাহাজ
সময়টা ছিল রাতুল ভৈরব দের খুবই অভাব দুর্দিনের দিন তারা অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছিল একটা ছোট্ট গাছ তলায় তার বাবা নিরলস পরিশ্রম করে তাদের দুমুঠো অন্ন তাদের মুখে তুলে দিচ্ছিলেন কিন্তু তাদের মা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছে খুব কষ্টে তাদের দিন কাটে। তাদের একটা সুন্দর গ্রামের মধ্যে বাড়ি ছিল পাশেই ছিল নদী একদিন রাতে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির দাপটে নদীর চলে চলে যায় তাদের বাড়ি সলিল সমাধি হয় সেই জলের ভিতর তার মায়ের তখন তারা বনে কাঠ কাটতে গিয়েছিল সেই সময় তাদের এই জনমদুঃখিনী মাকে তারা হারায় সত্যিই তারা যেন অসহায় রাতদিন এক করে তার বাবা কাজ করে একটা ছোট্ট কারখানায় একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে শুধুই গাছতলা তবুও তার বাবা তাদেরকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছে আর ওরা অপেক্ষায় থাকে বাবা কখন আসবে কখন দুটো খেতে পাবে সেই আশায় সারাদিন পথ চেয়ে থাকে তার বাবাই ছিল এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শ্রেষ্ঠ। একবার গাছ তলায় থাকাকালীন রাত্রি প্রবল বৃষ্টি একটা বড় প্লাস্টিক নিয়ে তাদের ঢেকে দিয়ে তাদের বাবা সারারাত পানিতে ভিজে বসে থাকে রাতুল আর এই ভৈরব ওরা স্বচক্ষে দেখলেএই ঘটনা সত্যিই ওরা অনুভব করেছিল তাদের জন্য তার বাবা কত কষ্ট করে মানুষ করছে এই সুন্দর পৃথিবীর ছায়া তলে সভ্য মানুষের মধ্যে তারা বেঁচে আছে তার বাবা কে আঁগলে ধরে। বাবা যে কত বড় তাদের কাছে নিয়ামত তারাই উপলব্ধি করেছিল । তবুও অনেকে তাদের গায়ে হাত তোলে তারা যে তারা যে নিষ্ঠুর মনটা হয়েছে পাষাণ আর থমানব জাতির কাছে খুবই লজ্জাজনক। রাতুল ভৈরব তার বাবাকে আঁগলে ধরে সারা জীবন বেঁচে থাকে। তাঁদের কাছে তার বাবাই হল প্রাণ।
"সম্মান দাও সম্মান দাও বাবা কে মাকে ওরাই তো এই পৃথিবীর নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দেয় তবে কেন অত্যাচার তাদের উপর ওরাই তো আমাদের প্রাণ এই ব্যস্ত জীবনে আমাদের জন্যই তো পায়ের ঘাম মাথায় ফেলে কাজ করছে তাদেরকে একটু শান্তি দাও শান্তি দাও"।
👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦
Walk
🖋🖋🖋 Siddhartha Singha
Walk barefoot each day,
at least for a while.
However slipperry the ground be
in the soft drizzle,
however sharply the gravel and the bricks raise their heads
and the earth be strewn with potholes,
walk berefoot, even for a little while
each day.
Or else
the ground beneath your feet
may shift.
sullking in neglect.
👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦
Father
🖋🖋🖋 Sohini Shabnam
F-Future maker
A-Always active
T-Teaches everything
H-heal wounds
E-Emotional support
R-Right way
A full person to show
His child the right way to live
And be a true man .
Embracing the child after birth,
With his first loving touch,
He makes the child feel safe.
To fulfill the needs of family
Works hard and stay active always.
By teaching very gently and lovingly,
Helps us to distinguish between right and wrong.
From the silence of child,
Understands the pain,
And heals the unseen wounds.
Whenever the emotional house of his child start losing its bricks,
He gives an extra emotional brick to make that house stronger and happier.
He is the pioneer of every child to show how to live the life happily fighting against wrong and give the education of courage to chhose the right way.
Happy Father's day
👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦
কবিতা
পিতৃ তর্পণ
🖋🖋🖋 ডঃ রমলা মুখার্জী
বাবা ছিলেন বড্ডো সোজা, উদারচেতা, সরল-
হৃদয় জুড়ে অমৃত ধারা, বাতিল যত গরল।
দুষ্টুরা ঠকিয়ে তাঁকে কৌশলে নিত অর্থ-
সংসারে ঘটত প্রায়ই বেশ কিছু অনর্থ।
লিখতেন কবিতা পিতা অমিত্রাক্ষর ছন্দে -
কাব্যরসে ভরপুর তা, আমোদিত গন্ধে।
পিতার মন-আকাশে এক সুর-জাগানিয়া কবি-
অনুক্ষণ পুজতেন তাঁকে, তিনি বিশ্বকবি।
ছোট্ট থেকে তাইতো কত গেয়েছি রবির গান,
জনকের জন্য সবই, সকলই তাঁর দান।
তাঁর কাছে আবৃত্তি পাঠ, ছোটোতে সুকুমার -
ক্রমশঃ নজরুল, রবি, অনন্ত ভান্ডার।
পিতার প্রবল উৎসাহ দানে দারুণ পড়াশোনা-
প্রত্যহ পাঠ নিতেন, করতেন আলোচনা।
ভোজন-রসিক পিতৃদেবের মেনুতে নানা আহার -
কোপ্তা, কালিয়া, মালাইকারি, আহা কি তার বাহার!
রন্ধন-পটু জন্মদাতার সেই রেসিপিতে কি স্বাদ!
দোর্মা, মটন খেতে তাঁর জাগছে বড় সাধ।
উচ্চমানের নানা চা-পাতা থাকত পিতার সংগ্রহে-
অতিথি আপ্যয়ন করাতেন, স্বযত্নে, সাগ্রহে।
স্মৃতিপটে ভাসছে বাবার হারিয়ে যাওয়া দিন-
শোধ দেওয়া যায় না কভু জন্মদাতার ঋণ।
প্রণমি চরণে আজ শুভদিনে, ওগো পরম পিতা-
নয়ন-জলে ভক্তিফুলে পুজে তোমার দুহিতা।
👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦
পিতৃ দিবস উপলক্ষ্যে কবিতা
কবরের পাশে
🖋🖋🖋 বদরুদ্দোজা শেখু
খবর পায়নি সে, বাপ তার গত হয়েছেন
মাসখানেক আগে । যখন খবর পেল,
শোকে রাগে দুঃখে বেদনায় অবিশ্বাসে
ব'সে পড়লো মেঝেয় ধপাস ক'রে,প'ড়ে গেল যেন
তালগাছ, তার বড়ো হওয়ার পিছনে বাপের
উৎসাহের স্মৃতিগুলো একে একে উঠে এলো
এলোমেলো মনে , দারিদ্র্য আর সুচিকিৎসার
অভাব ,দেখাশুনা সেবার অভাব,সাহচর্যের
অভাব বিদ্ধ করতে লাগলো তাকে,
এখন তার মনে হলো, বুড়ো বাপের জন্য সে
কোনোদিন কিছু করতেই পারেনি ;
পেটের দায়েই সে দেশ-দেশান্তরে যাযাবর ,
খবর পাবে কি ক'রে ? - - - কর্মে ইতি টেনে
যখন সে গাঁয়ে এলো , একাকী দাঁড়ালো গিয়ে
বিদেহী বাপের কবরের পাশে মৌন আত্মমগ্ন
দাবানল বুকে নিয়ে, শূণ্য দুখে আফসোসের অসুখে ----
শেষ দেখা কপালে হলোনা, অশ্রুজলে চোখদুটো
ঝাপসা ধূসর হলো, কেউ পিঠে হাত রেখে
বললো "ভাই,এসেছেন" ,
দরদর ক'রে ব'য়ে গেল বাঁধ-ভাঙা চোখের ঝরণা দুটি ,
আজ তার দায়মুক্তি, বোঝা -মুক্তি, মাথার ওপর বটগাছ থেকে ছুটি !!
👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦
কবিতা
সঙ্গীত দিবস
🖋🖋🖋অগ্নিমিত্র
আজকে যে গানের দিন..
এই দিন হোক রঙীন।
সঙ্গীতে ঈশ্বরের বাস,
বিষণ্ণতা করে নাশ !
মনকে সজীব রাখে
যদি তা হৃদয়ে থাকে ;
আজ শুধু কলতান..
পাখিরাও গায় গান !
আজকে বলছে মন
গানই হলো জীবন ।।
🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧
আহা, একুশে!
🖋🖋🖋 বিশ্বজিৎ কর
সব একুশে তো এমন নয়,
আজ একুশের পিতৃদিবসে-
সুর,তাল,লয়ের বিন্যাস!
সব একুশে তো এমন নয়,
আজ একুশের যোগদিবসে-
দেহগঠনের নিত্য অভ্যাস!
হ্যাঁ,সব একুশে এমন হোক -
গুরুজন-স্মরণে পথচলা....
মানবিকতার সুরে জীবনমুখী গান স্পন্দিত হোক্,
সুস্থ,সবল শরীর গঠনে!
🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫
বিভাগ-কবিতা
পাসে থেকো বাবা।
🖋🖋🖋সৌভিক রাজ।
বাবা মানে আমার কাছে ভীষণ রাশভারী,
পড়তে বসো কিংবা বাড়ি ফিরবে তাড়াতাড়ি।
বাবা মানে গম্ভীর খুব অনেকখানি কঠিন,
শত চেষ্টা করেও মেটানো যায় না যার ঋণ।
বাবা মানে বটবৃক্ষ সংসারের প্রধান মাথা,
যে শত কষ্ট সহ্য করেও সন্তানের মাথায় ধরে ছাতা।
বাবা মানে বাস্তব কঠিন আড়ালে চোখের জল,
হাজার দুঃখের মাঝে যে থাকে হাসিমুখে অবিচল।
বাবা মানে ছেঁড়া চটি আর পুরনো একটা জামা,
সকলের সাধপূরণের চাবিকাঠি হয়ে সংসারাতে থাকা।
বাবা মানে হঠাৎ আবদার সকলের প্রত্যাশা,
অবিরাম পরিশ্রম করে যে পূরণ করে সকলের আশা।
বাবা মানে স্নেহের স্পর্শ শক্ত করে ধরা হাত,
সকলের চোখে ঘুম আর নিজে কাটাচ্ছে বিনিদ্র রাত।
বাবা মানে ঘর্মাক্ত শরীর কপালে চিন্তার ভাঁজ,
আধুনিকতা জানে না যে সেই পুরনো দিনের ধাঁচ।
বাবা মানে অদম্য জেদ ক্লান্তি ভরা মুখ,
সন্তানের ভালোয় যে বিসর্জন দিয়েছে নিজের সুখ।
বাবা মানে স্নেহের শাসন মানুষ হওয়ার শিক্ষা,
তোমার মতোই হতে পারি বাবা এই হোক মোর দীক্ষা।
আসলে বাবা কোন শব্দ নয় সে আমার চেতনার ভূমি,
শেষ দিন পর্যন্ত বাবা আমার পাসে থেকো তুমি।
👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦
বেনিয়মের ছড়া
🖋🖋🖋রাজকুমার ঘোষ
ঘরের বাইরে আকাশ যে আজ কালো মেঘে ঢাকা
মনের মাঝে ভাবনাগুলো চলছে আঁকা-বাঁকা
অনন্ত সুখের প্রাপ্তি নিয়ে হচ্ছে কত ভুল!
জীবন গড়ার বানীগুলো বড়ই চক্ষুশূল...
চাওয়া-পাওয়ার হিসাব কষে করবো শুধু লড়াই
ভাঙা-গড়ার মরণ খেলায় করছি কত বড়াই...!
সুখের খোঁজে দিচ্ছি বলি অসহায়দের রক্ত
নতমস্তকে গ্রহন করি অসৎ সঙ্গের ভক্ত।
বেনিয়মের ধ্বজা নিয়ে খুঁজে চলেছি সুখ?
নিয়মমাফিক ভাবনা থেকে সরিয়ে রাখি মুখ
অন্ধকারের মানুষকে বানাই মোদের রাজা
তাদের চরণ না ধরলে কপালগুনে সাজা...
🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫🤫
*বিশ্ব সঙ্গীত দিবস সম্বন্ধে কয়েকটি কথা*
(একটি প্রতিবেদন)
_তথ্য সূত্র : ইন্টারনেট_
🖋🖋🖋 বাপন দেব লাড়ু
Music gives a soul to the universe, wings to the mind, flight to the imagination and life to everything.” ― Plato.
প্রতি বছর ২১ শে জুন সারা পৃথিবী জুড়ে পালিত হয় World Music Day বা ‘বিশ্ব সঙ্গীত দিবস’। কিন্তু কি এই দিবস আর কেনই বা পালন করি । ইতিহাস বলছে, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস শহরে প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই Musical Festival । তবে তখন এই উৎসব পরিচিত Fête de la Musique নামে। মন্ত্রী জ্যাক ল্যাং প্রথম প্রস্তাবিত করেন এমন একটা উৎসব পালন করবার জন্য। কিন্তু ফ্রান্সে জন্ম হলেও বিশ্ব ভরা এই গান উৎসবের প্রকৃত উৎস মার্কিন মুলুক ! ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে’ আসলে মার্কিন এক সঙ্গীতজ্ঞের মস্তিস্কপ্রসূত। ওনার নাম জোয়েল কোহেন। সময়কাল মোটামুটি সত্তরের দশক। এই সময় ফ্রান্সের এক রেডিও স্টেশন (ফ্রেঞ্চ ন্যাশনাল রেডিও)-এ মিউজিক প্রোডিউসার ছিলেন কোহেন। হঠাৎই তার মাথায় উঁকি দেয় এই ধারণা। গানে গানে ভরিয়ে উদযাপন করলে কেমন হয়! উনি প্রথমে চেয়েছিলেন বছরে গ্রীষ্মের সুন্দর দিনগুলি শুরু অর্থাৎ গ্রীষ্ম বরণের মাধ্যমে পালন করবেন দিনটি, সেই ভাবনা থেকেই তার মাথায় আসে ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে’-র ধারণা। পরে ১৯৮২ সালে কোহেনের এই ধারণাটিকে মান্যতা দেওয়া হয়। উৎসবের আনন্দে আর সুরের মূর্ছনায় ভরে ওঠে চারিদিক। সেই বছর থেকেই ফ্রান্সে শুরু হয় ‘ফেতে দে লা মিউজিক’ (Fête de la Musique) বা ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে’। তারপর থেকেই গোটা বিশ্বে ২১ জুন দিনটি পালিত হয় ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে’ বা ‘বিশ্ব সঙ্গীত দিবস’। বর্তমানে বিশ্বের ১২০ টি দেশে পালিত হয় এই উৎসব। ‘ফেতে দে লা মিউজিক’-এর অর্থ ‘ফেস্টিভ্যাল অফ মিউজিক’ বা ‘সঙ্গীতের জলসা’। পেশাদার হোক বা সখের শিল্পী সমস্ত ধরণের সঙ্গীত শিল্পীই এই উৎসবে যোগ দিতে পারেন। ১৯৮৫ সালের পর থেকে ইউরোপের আশেপাশের দেশগুলিও এই উৎসবে যোগ দিতে শুরু করে। বর্তমানে এই উৎসব পালনকারী দেশগুলো এই দিনটি প্রত্যেক বার পালন করে আসছেন। এই উৎসবের মূল মন্ত্র ; " গান হতে হবে মুক্ত ; সংশয়হীন "। কিন্তু এই বছর মমহামারীর কারণে ঘর বন্দী সবাই। তবু্ও সেই উদ্দেশ্য থাকুক চিরন্তন। সবাই মিলে পালন করি এই বিশ্ব সঙ্গীত দিবস। বেঁচে থাকুক সঙ্গীত, বেঁচে থাকুক সাহিত্য, সুরের মূর্ছনায় দূরীভূত হবেই সব সংশয়।
🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧
জন্মদাতা
🖋🖋🖋 দীপেশ নাগ
তুমি আমার জন্মদাতা
যাবেনা ভুলা তোমার কথা।
বাবা তুমি অমূল্য রতন
করতে পারি যেন তোমার যতন।
বাবা তুমি আমার আশ্রয়
আমাকে দাওনি কখনো প্রশ্রয়।
বাবার কষ্ট সার্থক হবে
আমি মানুষ হব যবে।
বাবা তুমি সবার শ্রেষ্ঠ
দূর করবো তোমার দুঃখকষ্ট।
বাবা তোমার মহৎদান
গাইবো তোমার জয় গান।
করেছ পূরণ সকল আবদার
হয় না তুলনা আমার বাবার।
👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦
গুরুজনের আশীর্বাদ
🖋🖋🖋 এম ডি আবুহোসেন সেখ
আমি হবো গঙ্গা--নদী পার।
আসুক না যত ঝড় তুফান।
দলে যাবো কিন্তু মোচকাবোনা।
কারণ,সঙ্গে আছে গুরুজনের আশীর্বাদ।
হোকনা পথ যত মসৃণ বা কঠিন।
আসুক না যত মহাপ্রলয়।
থামাতে পারবেনা আমায়।
আছে গুরুজনের আশীর্বাদ।
আমি বিদ্রোহী,আমি বিদ্রোহী।
আমি উওাল সমুদ্রের ঢেউ।
আমি চির শিশু,চির কিশোর।
সকল গ্রাম বাংলার,হতে চাই প্রিয়।
আসুক না যত মহামারি।
হোকনা যত ভয়ের উদার।
সবই জয় করে,
দেবো আমি পথ পাড়ি।
আমি করিনা মাথা নত
ওই উপর আল্লা ছাড়া।
তাই করবো আমি জয়
নানা দেশ বিদেশ কে।
সবই সমস্যা তয়াক্বা করে।
ফুটিয়ে তুলবো,আমার কবিতায়
আমি কে।
কারণ সঙ্গে আছে গুরুজনের আশীর্বাদ ।
👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦
পিতা
🖋🖋🖋 অনাদি মুখার্জি
পিতা তুমি হলে আমার জীবনের জন্মদাতা ,
যাবে না গো ভোলা তোমার অবদানের কথা !
তোমার স্বপ্ন ছিল আমাকে নিয়ে দুই চোখের পাতায় ,
পিতা তুমি থাকো চিরকাল আমার মনের খাতায় !
আমার মনে পড়ে সেই সব শীতের সকাল ,
তোমার কোলে লুকিয়ে থাকতাম সারাটা বিকাল !
তোমার দেখানো পথে আজ হাটছি আমি ,
শীতের রাত্রে আজো ও খুঁজি তোমার অনুভূতি !
তোমার সাহস ও প্রেরনা আমার অহংকার ,
তুমি শ্রদ্ধা ,তুমি ভালোবাসা ,তুমিই জীবনের অঙ্গিকার !
👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦
বাবা মানে
🖋🖋🖋 জহরলাল দাস
বাবা মানে বটবৃক্ষ
বাবা মানে আশ্রয়,
বাবা মানে জন্মদাতা
সন্তানের আসল পরিচয়।
বাবা করেন লালন পালন
বাবা করেন বড়ো,
খাওয়া দাওয়া লেখাপড়া
করেন কতো আরো।
শেষ জীবনে সকল বাবার
স্বপ্ন হয়না পূরন
সন্তান সুখ হয়না প্রাপ্তি
ঠাঁই যে হয় বৃদ্ধাশ্রম।
👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦
অমর ছবি
🖋🖋🖋 জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
বিশেষ কোনো দিন নয় প্রতিদিন
দেখি সেই অমলিন ছবি ক্ষয় আর
প্রাচুর্য রেখেছো দুহাতে উদার হাসিমুখ
অজস্র না -- কে ঠেলে মুক্তির ডানা মেলা
পাখি বড়ো একটা দেখিনি শূন্যতার গম্ভীর ধ্বনি
বর্ষার মাঠ বেয়ে উড়ে যায় দিগন্তের দিকে.......
বহুজন পরিবৃত গৌরব আসর
রসকথা ভাসে উদ্দাম দমক চমকায়
ঝড়ের পাল একাই একঘর ভক্তজন
আক্ষেপহীন কথাগুলো গল্প হয়ে যায়
পুলকনিশ্বাসে আনন্দবিমোহন সুখ
কিংবদন্তি লেখে কালের কলম
হঠাৎ শূন্যতা প্রতিষ্ঠা পায় না
তাই অতিথি অপ্রিয় থেকে যায় দূরে
সত্য তাই প্রত্যয়হীন তুমি থাকো প্রাণময়
অমর ধ্রুবের মতো অমলিন। বাবা।
👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦
পরমাত্মা
🖋🖋🖋 টুম্পা মুখার্জী
ছোট্ট ছোট্ট আঙ্গুলে আঁকড়ে ধরা
মহীরুহ পাহাড় সম শীতলতার
আবহে মশগুল আমাসত্ত্বা,
দুঃখের দিলবাহার অচ্ছুৎ যার
হিমাদ্রি সম উচ্চতায়,
ঈশ্বরেরর বরাভয় সঙ্গীতও ম্লান
যার স্নেহের স্বরে,
যার কাঁধ আমার পেখমবাড়ি,
যার হাত আমার বিজয় পতাকা,
যার প্রতিশ্রুতি আমার সব পেয়েছির জগৎ,
আমার সকল দুঃখ নিমেষে অবসানের যে জাদুকর,
আমার কান্না পলক সময়ে হাসি আনন্দে বদলে দেওয়ার স্রষ্টা যিনি...
তিনিই আমার পরম পুরুষ, মহান পরমাত্মা ...আমার জন্মজন্মান্তরের স্রষ্টা, আমার রৌদ্র স্নাত পথের বটবৃক্ষ আমার জনক,---
যার কাছে আমি প্রথম শিখিনি
"পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম "...
যে আমায় শিখিয়েছে, "জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী "...
হ্যাঁ তিনিই আমার জনক, আমার পরম পিতা।
👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦👨👧👦
. হারানো সুর
🖋🖋🖋 দেবনাথ সাঁতরা
আমি একটা গান বাঁধতে চেয়েছিলাম,
একটা হৃদয় স্পর্শ করা প্রেমের গান,
যেই গানের মধ্যে থাকবে আমার সব খামখেয়ালি,
আর তোমার চোখ ভেজানো অভিমান।
যেই গানের সুর দিয়ে তোমায় আঁকা যাবে,
সেই গানের রাগে লুকিয়ে থাকবে তোমার হাসি,
আমি সেরকমই একটা গান লিখতে চেয়েছিলাম,
বোঝাতে চেয়েছিলাম, তোমাকে কতটা ভালোবাসি।
আমি একটা প্রেমের গান বাঁধতে চেয়েছিলাম,
যেই গান, আমার ভাঙা গলাতেই শুনতে বেশ লাগবে,
আমি কদম তলায় কৃষ্ণের মতো সেই গান গাইবো,
আর তুমি রাধার মতো মুগ্ধ হয়ে শুনবে।
আমাদের মধ্যে এই চাঁদের দূরত্বটা,
যেই গান ঠোঁটের কাছাকাছি নামিয়ে আনবে,
সেই গান তোমাতে আমায় মিলিয়ে দেবে,
যেই গান শুনে তোমার চোখে অকাল বৃষ্টি নামবে।
আমি সেরকমই একটা গান লিখতে চেয়েছিলাম,
লিখেও ছিলাম বেশ কিছুটা,
কিছু দুরেই হলো সুরের নৌকাডুবি,
তারপর, আর খোঁজ মেলেনি হারানো সুর টার।
🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧🎧
© সেক আসাদ আহমেদ
সম্পাদক, উপকণ্ঠ
গাংপুরা, পূর্ব মেদিনীপুর
তাং:- 21 জুন 2020
সুন্দর হয়েছে। এগিয়ে চলুক কলম। এগিয়ে চলুক সাহিত্য।
উত্তরমুছুনমতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন