"উপকণ্ঠ 22শে জুন সংখ্যা "
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-22/06/2020, সোমবার
সময় :- সকাল 11 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
আজকে উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিনে যারা কলম ধরেছেন✒✒✒✒👇👇👇👇👇
ইংরেজি কবিতা:-
• সিদ্ধার্থ সিংহ
• কৌশিক দে সরকার
• সুমন্ত সাঁতরা
প্রবন্ধ:-
• আব্দুল রাহাজ
• রাজা দেবরায়
সনেট কবিতা:-
• অর্পণ উপাধ্যায়
কবিতা:-
- আভা সরকার মন্ডল
- হামিদুল ইসলাম
- চিরশ্রী কুন্ডু ( অবন্তীকা)
- সোহিনী শবনম
- শ্যামাপ্রসাদ সরকার
- বিপ্লব গোস্বামী
- ডাঃ তারক মজুমদার
৫টি গ্রন্থ সমালোচনা:-
• প্রশান্ত ভৌমিক
কবিতা:-
• দীপেশ নাগ
• বাপন দেব লাড়ু
• জুয়েল রূহানী
ভৌতিক গল্প:-
• এম ডি আবু হোসেন সেখ
Beckon
🖋🖋🖋 Siddhartha Singha
Why do you beckon me thus for nothing
numerous water lilies have bloomed by the side of the pond
so many colourful people are coming to the fair
until I return, the child hides his face in the pillow feiging sleep
Why do you becken me thus for nothing
leaving all these how can I tie my shoe string now?
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
Power of smile
🖋🖋🖋 Koushik De Sarkar
It is part of smile
That breaks the waves of thought
Fills the gaps of modern life
To change the basic plot.
The parts of smile resembles
To make a big smile
That will represses the revulsion
At the call of meanwhile.
Storm raises it's flag
With gloom,blizzard and death
Afterglow smile will aerify the storm
To take a pleasant lively breath.
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
To a Rustic Peasant
🖋🖋🖋 Sumanta Santra
The sun burned physique.
Thou risk the rains,
Thou endure the heatwaves,
Thou pass through the thunders,
Thou averse the cyclones.
And having a stream of hope
In the heart,
Thou plough the land.
Having a pitcher of desire,
Thou sow the seeds.
Thou deliver grains
To young and old,
To rich and poor,
To wise and foolish.
Thou afford the food
To cruel and kind,
To clever and naive.
But when thou run
Out of thy resource,
When haughty nature,
Snatches from thy fist
All thy belongings.
Thou cry and cry
Lonely,hopelessly, helplessly
Sitting in the bank
Of a sympathetic river.
No one step forward
To soothen thee,
To lighten the burden of sob.
I hail to thee
The god of bread.
Thou being trodden,
Has been serving
The mankind from
The birth of civilization.
Thou art hero of our nation.
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
মহাপ্রলয় আমফান
(প্রবন্ধ)
🖋🖋🖋 আব্দুল রাহাজ
তারিখটা মে মাসের কুড়ি বাংলার উপরে আছড়ে পড়লো বিধ্বংসী সুপার সাইক্লোন আমফান। একদিকে করোনার আবহে গোটা দেশ আতঙ্কে বিশ্ব স্তম্ভিত তারই মাঝেই মহাপ্রলয় আমফান বাংলার বেশ কয়েকটি জেলাকে তছনছ করে দিয়ে চলে গেল ।করোনার আবহে অসাহয়তা মানুষকে যেমন গ্রাস করছে তখন এই বিধ্বংসী ঝরে আরো অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত করল মানুষের। আহারে প্রান্তিক মানুষ গুলো হল দিশেহারা।সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে নষ্ট করেছে জমির পর জমির ফসল গুলো যেন নোনাজলের সলিল সমাধি রূপে মিশে গেল বাড়িগুলো জলের স্রোতে ভেসে গেল হায়রে আমফান তুমি বিধ্বংসী হয়ে নিয়ে চলে গেলে সবকিছুই এবার আমরা তো হয়েছি অসহায়।ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নেই বিদ্যুৎ গাছপালার ভাঙা স্তূপ এর সাথে নদীর বাঁধ ভাঙা জল সবই যেন সাধা ধুধু প্রান্তরপ্রান্তিক মানুষ গুলোর সাজানো সংসার গুলি জলের সঙ্গে সলিলসমাধি রূপে নদীগর্ভে চলে গেল। নেই পানিও নেই খাদ্য বাড়ছে আতঙ্ক বাড়ছে উদ্বেগ তবুও মানুষের সেই দিনের ঝড় কে স্মরণ করলে দেহকে দিয়েছে নাড়িয়ে গায়ের লোম গুলি যেন খাড়া হয়ে যাচ্ছে। তানা কয়েক ঘন্টার ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড সবকিছু মনে হয় মৃতের স্তুপের মত চারিদিকে পড়ে আছে। জলের সাদা ধু ধু প্রান্তরে চারিদিকে নিচের জন্মভিটা চলে গেল নদীগর্ভে। হায়রে আমফান তুমি এত শক্তিশালী রূপে এসেছো আমাদের উপরে। চারিদিকে সোঁ সোঁ সোঁ আওয়াজ রাতের অন্ধকারে বৃষ্টির সাথে সবকিছু লোপাট করে দিয়ে চলে গেছো। সুন্দরবন তোতা বাংলার বেশকিছু প্রান্তিক অঞ্চলের ছবিটা বেশ করুন কোথাও গাছপালা ভাঙ্গা স্তুপ কোথাও আবার বাড়ি ঘর ভাঙ্গা স্তুপ আবার কোথাও বিদ্যুৎ লাইন একেবারে লন্ডভন্ড কোথাও নদী বাঁধ ভাঙ্গা জলে ভেসে যাওয়া সবকিছু নিজের প্রাণকে আঁকড়ে ধরে কেউ গাছে বা কেউ আশ্রয়স্থলে সবকিছু যেন ধ্বংসস্তূপে উথাল পাতাল হয়ে গেছে নোনা জলের স্রোতে মাছ চাষ থেকে শুরু করে মাঠের ফসল সব শেষ মাথায় হাত ওইসব মানুষের যাদের রুটি-রুজির নির্ভর করে ওই ওই সব কাজের উপরে। এই অসহায় প্রান্তিক মানুষগুলো ভাবে দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারব তো। আমফানের তান্ডবে প্রভূত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে প্রচুর মানুষ শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম বেশ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ফলে চারিদিকের এক ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপের মতো পরিবেশ চোখের সামনে ভেসে উঠছে সকলের। এর প্রভাব সত্যিই মানুষের বহুৎ ও ক্ষতির সম্মুখীন এ দিয়েছে যা বাংলা মা অনেকটা নিরাশ হতাশ গ্রস্ত এই আম ফান চোখের সামনে মহাপ্রলয় দিয়ে গেছে বাংলার প্রান্তিক মানুষ গুলোকে।
"আমফান আমফান তুমি এত বিধ্বংসী ভাবে আছি রে পড়ে প্রান্তিক মানুষকে দিয়েছে অসহায় করে তোমার প্রভাবে বাংলা মা আজ নিরাশ হতাশ প্রান্তিক মানুষগুলো অসহায় ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত তুমি মহাপ্রলয় আমফান
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
সবার মধ্যেই 'রাক্ষস' আছে !
~ রাজা দেবরায়
এই শিরোনামটা দিয়েছি শুধুমাত্র আকর্ষিত করার জন্য ! হয়েছেন কিনা জানিনা । তবে লেখাটায় একতরফা মতামত হয়তো দিচ্ছিনা ।
সব মানুষের মধ্যেই ভালো ও খারাপ দুটো দিক আছে । শুধুমাত্র ভালো দিক থাকা যেমন সম্ভব নয়, তেমনি শুধুমাত্র খারাপ দিক থাকাও সম্ভব নয় ।
তাহলে আমরা কাউকে ভালো বলি কেনো অথবা খারাপ বলি কেনো ?
ঐ যে বললাম সব মানুষের মধ্যেই ভালো ও খারাপ দুটোই আছে । মোটামুটিভাবে যার মধ্যে তুলনামূলকভাবে ভালো দিকটা স্বতস্ফূর্তভাবে অথবা সচেতনভাবে বেশি প্রকাশ পায়, তাকেই আমরা ভালো বলি । আর মোটামুটিভাবে যার মধ্যে সচেতনভাবে অথবা যেকোন পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়ে অথবা অনিচ্ছাকৃতভাবে খারাপ দিকটা তুলনামূলকভাবে বেশি প্রকাশ পায়, তাকে আমরা খারাপ বলি ।
তুলনামূলক দৃষ্টিভঙ্গির তারতম্যের বিচারেই আমরা ভালো বা খারাপ বলি । আবার এই তুলনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তির ভিন্ন হতে পারে । কখনো ব্যক্তিগত লাভ বা লোকসানের নিরিখে ভালো বা খারাপ নির্ধারণ হয়ে যায় । একজনের দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি লোক ভালো হতে পারে, আবার একই লোক আরেকজনের দৃষ্টিভঙ্গিতে খারাপ হতে পারে । সময়, স্থান, পরিস্থিতি ইত্যাদির নিরিখে যেকোন কাউকে ভালো বা খারাপ বলা হয়ে থাকে ।
উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে । মনে করুন একজন শ্রদ্ধেয় ডাক্তার পরপর দুটো অপারেশন করলো । প্রথমটা সফল হলো আর দ্বিতীয়টা অসফল হলো । তাহলে হয়তো দেখা যেতে পারে, প্রথম অপারেশনের পরে শ্রদ্ধেয় ডাক্তারকে 'ভগবান' সম্বোধন করা হচ্ছে মানে ভালো বলা হচ্ছে, আর দ্বিতীয় অপারেশনের পরে ঠিক উল্টো আচরণ করা হচ্ছে উনার সাথে মানে ধরে নেওয়া যাক খারাপ বলা হচ্ছে ।
আবার দাউদ ইব্রাহিমকে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই খারাপ বললেও হয়তো দেখা যেতে পারে তার সাগরেদগণ অথবা তার অতি নিকট পরিচিতরা তাকে ভালো বলছে । কোন এক বা অনেক সাগরেদকে অর্থ বা নিরাপত্তা বা অন্যভাবে সাহায্য করে হয়তো সেও 'ভগবান' আখ্যা বা তকমা পেয়ে গেছে !
তবে মোটামুটিভাবে সবার মধ্যেই ভালো ও খারাপ থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে আমরা 'ভালো' হওয়ার বা দেখানোর চেষ্টাটাই সর্বাধিক স্তরে করে থাকি !!
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
সনেট কবিতা
(কলাবৃত্ত ছন্দে)
গঙ্গা
🖋🖋🖋 অর্পণ উপাধ্যায়
তুমি অতি বেগবতী, তুমি আদি মাতা,
তোমা লয়ে কত গীত আছে মনে গাঁথা।
তোমা পথে কত দেশ, কত বন- গিরি,
তারও উচ্চে তোমা স্থান হিমাদ্রি।
কত লোক করে স্নান তোমা পূণ জলে,
হায়ঃ! কত ভেরী যায় ডুবিয়া অতলে।
একদিকে দেশ ডুবায়ে অপরে বাচাও,
একাকী পেলে নদীপথে সমানে নাচাও।
কত চাষি চাষ করে কত ধান ক্ষেত,
তোমার পথের ধারে কত বাঁশ বেত।
তোমা পথে কত ঘাট, কত জনপদ,
গড়িয়াছ কতক তুমি অশ্বখু হ্রদ।
জীবনের শুরু হয় তোমারই জলে,
জীবনের শেষ হয় ফেলিয়া অতলে।।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
অতৃপ্তি
🖋🖋🖋 আভা সরকার মন্ডল
অন্ধকার গহ্বরে বেড়ে ওঠা আগাছাগুলো
নিড়িয়ে দেবার কেউ নেই...
সঠিক বেঠিক পদক্ষেপ হিসেবে রাখার কেউ নেই...
দুঃসময়ে দৃঢ় প্রত্যয়ে
সুপথে এগিয়ে দেয়ার কেউ নেই।
ফিরে আসা যায় না ?
আর একবার বৃক্ষ হয়ে?
শেকর স্পর্শ করা বাকি রয়ে গেছে আমার....
প্রবেশ করা হয়নি খাঁচার ভেতরেও
দেখা হয়নি সুখ বিলোতে বিলোতে
কোন অসুখ বাসা বেঁধেছিল কিনা সেখানে।
যেমন করে ছুঁয়ে থাকতে হয়
তেমন করে ছুঁয়ে থাকাও হয়নি আমার..
খরখরে হয়ে আসা রুক্ষ বাকলে
প্রয়োজন ছিল আরো নিবিড় স্পর্শের মলম..
আজ আরও একবার তাই
সুযোগ চেয়ে ছটফট করে অতৃপ্তি ।
কোন নালিশ কোনদিন শুনিনি তোমার মুখে....
যে কোনো ঝড়ের মুখে দাঁড়িয়ে
ফিরিয়ে দিতে, উল্টোমুখে তার গতি..
অবলীলায়..
কত কিছু বাকি রয়ে গেল শেখা...
তোমার রেখে যাওয়া ছায়াটা এখনো
আগলে রেখেছে মা,
হাহাকারের ঢেউগুলো যখন বাঁধ ভেঙে দেয়
তাঁকেই আঁকড়ে শান্তি খুঁজি...
তাঁর কাছেই খুঁজি দু'দণ্ডের শীতলতা,
বড় বাধ্য ছিলাম
বড় নির্ভরশীল...
তাই ভুল শুদ্ধ বাছাই করতে
থমকে যাই বারবার, অস্থিরতায় শুধু
তোমাকেই মনে পড়ে,
জীবনের প্রতি বাঁকে জট খুলতে
ব্যকুল হয়ে বারেবারে ডেকে ফেলি --
বাবা ..বাবা..বাবা..
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
" লাট্টু জীবন "
🖋🖋🖋 হামিদুল ইসলাম।
রাস্তার উপর ছেলেগুলো
লাট্টু ঘোরাচ্ছে তখনো
জীবন ঘুরলে যেমন দেখায়
জীবনও ঘোরে
লাট্টুর মতো ।।
ছোট্টোবেলায় লাট্টু ঘোরাতাম তখন বুঝি নি লাট্টুর মতো
জীবনও ঘোরে
আজ দেখছি জীবন আর লাট্টু এক
একে অন্যের প্রতিরুপ ।।
খারাপ কাজ করলে
বাবা তখন দাবড়ে দিতেন
ভয়ে আমি অস্থির
ঠিক ভয়ে কোনোদিন বলতে পারি নি
আমি একটি মেয়েকে ভালোবাসি ।।
তখন মনে হয়েছিলো
ভালোবাসা অপরাধ
মেয়েদের দিকে তাকানো অপরাধ
এমন কি কথা বলাও
যখন বড়ো হলাম, দেখলাম বাবাই অনেকটা পাল্টে গেছেন ।।
পাল্টে যাওয়া আর লাট্টুর মতো
ঘুরে ঘুরে পাক খাওয়ার নামই ভালোবাস ।।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
"" উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ ""
সুরের ছন্দ
🖋🖋🖋 চিরশ্রী কুণ্ডু ( অবন্তিকা)
সুরের ছন্দে রচিত হয়েছে
হাজার হাজার তাল
ব্যাকুল হৃদয় জয় করেছে
অহর্নিশ মনের বেখেয়াল ।
তেপান্তরের পথের পানে
সুর উঠেছে তখন হেসে
কোথায় কোথায় আবেগ গুলো
ঘর বেঁধেছে জীবন মাঝে ।
রাগ রাগিণী উঠেছে কেঁদে
মনের কোণে দুঃখের শ্বাস
মাতাল হওয়া বলছে দেখো
ওই সুরেতে উদারতার বাস ।।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
সঙ্গীত
🖋🖋🖋 সোহিনী শবনম
খোলা গলায় গাইলে তবু,
বাউল, কীর্তন,সারি।
ঝুমুর, ঠুমরী, টপ্পা সবাই,
করল দল ভারী।
নানা রাগের মিশ্রণে,
সঙ্গীত হল সুরেলাময়।
বসন্ত বাহারে রাগ গেল পালিয়ে,
মন হল প্রশান্তিময়।
হারমোনিয়াম এ হল শুরু,
গিটার এল হাতে।
বাঁশি হাতে কৃষ্ণ সে যে,
রাধাকে ভালোবাসে।
বাদ্য তথা রাগগুলি সব,
নামেতেই শ্রুতি মধুর
শুকনো ব্যথিত মনতটে তাই,
সঙ্গীত একমাত্র দোসর।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
মন কেমন
🖋🖋🖋 শ্যামাপ্রসাদ সরকার
মনখারাপটা অমোঘ হলে
ওষুধ আছে কান্না তার,
কমলাকোয়া রোদ্দুর নেই
আগুনগোলা আকাশটার।
নাম তো আছেই, সেই ডাকনাম
ডাকতে গিয়েও জিভ জড়ায়!
হাতখানি সেও ধরেই ছিল,
হাতের আগুন হাতেই পোড়ায়!
অনেকতো দিন ভোরের বেলায়,
পা আটকায় রাধার চূড়ায়,
পিচ রাস্তায় ঘন্টি দিয়ে
পড়শী চলে ব্যস্ততায়...
কি হয়েছে? সময় কোথায়,
মন খারাপ তার ব্যস্ততায়!
লম্বাছাদের এককোণে সেই,
ডাকত পাখি শিস্ দিয়ে,
কৃষ্ণচূড়া ঢাকত আকাশ
হাঁটার পথে বাঁক নিয়ে!
মাটীর ওপর আড়াল তাদের,
আকাশ ছেড়েই হাতধরা,
কমলাকোয়া রোদ্দুর আজ
ভীষণরকম মনমরা!
মন ভালো নেই,চাবির গোছায়,
মনখারাপের গৃহস্থালীর!
সুচারু গ্রীবায় সন্ধে নামে,
পাতার আড়াল বনস্থলীর।
কি হয়েছে? অনেকদিনই...
হাতচিঠি আর মুঠোর ফোন!
মনখারাপ আর কিছুই না তো,
টের পাওয়া যায় বিলক্ষণ।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
আষাঢ়
🖋🖋🖋 বিপ্লব গোস্বামী
ঝরিছে অবিশ্রান্ত ধারা
নদীতে জোয়ার,
বাড়িছে তরঙ্গ দোলা
ভাঙ্গিছে দু'ধার।
ফুটিল কদম, কেয়া
শাপলা, শতদল ;
সবুজে ভরিছে বন
তৃণ ফুল-ফল।
বাড়িছে নদীর ঢেউ
কলকল ধ্বনি,
যৌবনে ঢলিছে মধু
সাজিছে অবনী।
গগণ জুড়িয়া মেঘ
অশ্রান্ত গর্জন,
ভয়েতে গৃহেতে নাবিক
জাহাজ বর্জন।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
বদলে ফেলি
🖋🖋🖋 ডাঃ তারক মজুমদার
বিপুল এই জনারণ্যে
তুমি একা আমি ও একা ,
তবুও অলক্ষ্যে কৃত্রিম মুখ পোড়ে -- ।
হারানো শৈশব ফিরে ফিরে আসে
খাঁ খাঁ রোদ্দুর এ বুকে --- ।
স্বপ্নে ভাসে বিপন্ন ভবিষ্যৎ
জাগ্রত বিবেকে নামে অঝোর বৃষ্টি,
স্বচ্ছতার নামাবলী গায়ে জড়িয়ে
বাক দেবীর আরাধনায় মগ্ন
সব বাচালতা ভূলে---- ।
তবুও ---
ওষ্ঠাগত প্রানে বৃষ্টি নামে যখন
আমি সিক্ত হই বারে বারে
নিত্যনাটের খেলাঘরে----
বদলে ফেলি আটপৌঢ়ে জীবন।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
করোনাকালের বইপড়া
🖋🖋🖋 প্রশান্ত ভৌমিক
সময় খুব অশান্ত। বিশ্বের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকেই যাচ্ছে। গৃহবন্দী মনও অশান্ত। সেই অশান্ত মনকে শান্ত করার একমাত্র উপায় বইপড়া। টেলিভিশনে আসক্তি নেই বলে শুধু বই পড়া আর লেখালেখির ছাড়া তেমন কোন কাজ নেই। গত কিছুদিনে পড়া কিছু বইয়ের সম্পর্কে আলোচনা করলাম এখানে।
১। গভীর রাতে দিঘির ধারেধারে
লেখক :- নীললোহিত
নীললোহিতের বাকি কাহিনিগুলোর মতই যথেষ্ট সুন্দর। একটু সিনেম্যাটিক। লার্জার দ্যান লাইফ। বাস্তব জীবনে মাসির প্রেমে পড়াটা ঠিক স্বাভাবিক নয়। কিন্তু নীললোহিত সেটাই করে ফেলে। ইংরেজিতে ব্যাপারটাকে ‘ইডিপাস কমপ্লেক্স’ বলা হয়। ছোট্ট উপন্যাসটিকে সবগুলো চরিত্রের প্রতি ঠিকমত নজর দেয়া হয়েছে বলে মনে হয় না। শুরু থেকেই হাস্যরসের মধ্যে দিয়ে কাহিনি এগিয়েছে। ড্রাইভার টিভূতি আগাগোড়া কমিক এলিমেন্ট। তবে গল্পের মূল টুইস্ট শেষবেলায় ঝর্ণামাসির স্বীকারোক্তি। এক মুহূর্তেই পরিস্কার হয়ে যায়, কেন তিনি আর ওখানে একরাতও থাকতে চান নি। জীবন কি আসলেই মানুষকে নিয়ে এমন খেলে?
২। সত্যি মিথ্যের মাঝখানে। নীললোহিত
অসাধারণ। নীললোহিতের স্বাদু গদ্য আমার সবসময়ের প্রিয়। আর এই বইতে তো লেখক বেছে নিয়েছেন অন্যতম আবেগের একটি বিষয়- মা। বন্দনাদি নীললোহিতের কাহিনিগুলোর অন্যতম আবেদনময়ী চরিত্র। বলতে দ্বিধা নেই, আমি নিজেকে বন্দনাদির একজন প্রেমিক হিসেবেই জানি। তাছাড়া সব মিলিয়ে কাহিনিটা খুবই ভাল। শুধু একটাই কথা, কাহিনিগুলো কিছুটা লার্জার দ্যান লাইফ হয়ে যাচ্ছে। অবশ্য ভালই লাগে কিছুটা সময়ের জন্য স্বাভাবিক জীবন ছেড়ে নীললোহিতের সঙ্গে হারিয়ে যেতে।
৩। পুতুলখেলা। সিজার বাগচী
সিজার বাগচীর প্রতিটা উপন্যাস একেকটার চাইতে আলাদা। ‘পুতুল খেলা’ উপন্যাসের শুরু থেকে একটা প্রেমের গল্প এগোতে গিয়েও এগোয়নি। সমান্তরালে এসে দাঁড়িয়েছিল অন্য একটি গল্প। শেষমেশ দেখা যায়, প্রেমের গল্পে থেমে না থেকে ‘পুতুল খেলা’ পরিণত হয়েছে এক থ্রিলারে। পূর্বাশা যেন সত্যিই এক পুতুল। সেই পুতুলকে নিয়ে খেলছে দীপেশ, দৃপ্ত। আসলে পুতুল নিয়ে খেলছে নিয়তি। হয়ত মানুষের নিয়তিই প্রকৃতির হাতের পুতুল হওয়া।
৪। বারপুজো। গৌতম ভট্টাচার্য
‘বারপুজো’ ফুটবলের জগৎ নিয়ে। গৌতম ভট্টাচার্যের আগের উপন্যাস ‘উইকি’ ছিল ক্রিকেট নিয়ে। ‘বারপুজো’র শুরুটা মন্থর। কিছুটা বিরক্তিকর। এরপর ঠিক ফুটবলের স্পিড চলে আসে। কাহিনি এগোয় স্বাভাবিক ভাবে। কিন্তু শেষটা লড়াই জেতার নয়। আবার হেরে যাওয়াও নয়। শেষটা নিরন্তর লড়াই করে যাওয়ার। অর্চিত আর তার দুই বন্ধুকে নিয়ে হলেও গল্পটা মূলত অর্চিতের। ময়দানের রাজনীতি খুব দৃঢ়ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন সাংবাদিক থেকে সাহিত্যিক বনে যাওয়া গৌতম ভট্টাচার্য।
৫। যামিনী রায়ের দেশ। অংশুমান কর
অংশুমান রায়ের কবিতা খুব স্বাদু। ঠিক যেন শীতের রোদ পোহাতে বসে নলেন গুড়ের পিঠে খাওয়া। বেশ কিছু কবিতা একদম মনে গেঁথে গেছে। নদীর জীবন, মেমরি কার্ড, টাইম মেশিন, যামিনী রায়ের দেশ সিরিজ, নাগরদোলা সিরিজের বেশকিছু কবিতা, শোনো মেয়ে এবং শীত সিরিজের কবিতা- সবকিছুই যেন হাহাকার ছড়িয়ে আনন্দের রেশ বুলিয়ে যায় মনে। মহৎ কবিতার বৈশিষ্ট্যই তো এমন। অংশুমান করের কবিতার ভাষা বারবার মুগ্ধ করে যায়। সত্যিই যেন অসাধারণ ভ্রমণ যামিনী রায়ের দেশে।
গত কয়েকদিনে পড়া বইয়ের মধ্যে এসব বই পড়ে ভাল লেগেছে আমার। আমার পাঠ প্রতিক্রিয়া পড়ে কেউ যদি বইগুলো পড়তে আগ্রহী হন, সেখানেই আমার স্বার্থকতা।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
মা এখন বুড়া বেডি
🖋🖋🖋 দীপেশ নাগ
ছেলে আমার বড় অফিসার
কথা এত কয় না,
খোকা কইয়া ডাক দিলে
একটাবারও তাকায় না।
ছেলে এখন ব্যস্ত মানুষ
বউ এখন সব,
মা যে এখন বুড়া বেডি
বাবা এখন পর।
ছেলে করসে বড় বাড়ি
দামী দামী জিনিস,
আমিই কেবল কম দামী
তারার চোখে বিষ।
ছেলের ঘরের দুইডা নাতি
দেখতে বড় মিষ্টি,
আমার কাছে আইতে দেয় না
এ কি বিধির সৃষ্টি?
বাড়ির সব চাকরবাকর
দিসে এখন ছাইড়া,
মা তো এখন বইয়া খায়
সবকাজ দিবো কইরা।
চোখে শুধু জল নিয়া
একটা কথা ভাবি,
এই দিনের লাইগা পুলারে
মানুষ করসি আমি?
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
অবয়ব
🖋🖋🖋 বাপন দেব লাড়ু
আছে ঠিক এই রকম অনেক জীবন একা,
আস্তিনে লুকোনো লজ্জায়,
শিহরিত হয় আহ্লাদী ঘুম।
সনাতনী রোদ মেঘের খামে করে লুকোচুরি।
পুরনো গীটারে ধূমায়িত হয় ছেঁড়া সুর।
স্বজন হারানো মুঠোফোনে বয়ে যায় বেলা -----
খালি হাত ছুঁয়ে নিয়ে
আজ শুধু সহমরণ খেলা।
সেই গ্রাম, সেই ঘুঘু ভিটে,
ধান ক্ষেতে আজও লেগে রক্তের ছিটে,
এসো কাছে হাতে রাখো হাত,
ঘুমহীন চোখ, এমনই দিনের শেষে
অবয়বটুকু পড়ে থাক একা ফুটপাতে।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
উপকন্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ
চোখের ভাষা
🖋🖋🖋 জুয়েল রুহানী
আমারি দু'চোখ জুড়ে সাগরের ঢেউ খেলে
তাকায় না প্রিয়সী মনের দু'চোখ মেলে
তার মাঝে যত রূপ দক্ষিনা হাওয়ায় খেলে,
উরু উরু মন ছুটে একটু সুযোগ পেলে।
হৃদয় মন্দিরে মোর প্রিয়সীর ছবি আঁকা
মনের আবেসে যা যায় না কখনও দেখা,
মনের সরল পথ কখনও বাঁকা-
কখনও সুখের ছবি কখনও দুঃখ আঁকা!
প্রিয়সীর চোখে যেন অনেক স্বপ্ন আঁকা
অনেক কাব্যগাঁথা প্রম-বিরহের,
তাইতো উদাস মনে সংগোপনে
রচিত ইতিহাস অতীত জীবনের!
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
ভুতুড়ে গল্পঃ আত্মকথা
বটগাছ
🖋🖋🖋 এম ডি আবুহোসেন সেখ
আমাদের চৌরাস্তার লক্ষীঘাটায় মস্ত বড়ো বটগাছ।বাবা ঠাকুরদাদাদের মুখে শোনা বয়স নাকি তাদের থেকেও বেশি।এখন ওই জায়গার নাম ডাকে সবাই?কেউ বলে বটগাছ তোলা কেউ বলে চৌরাস্তার লক্ষীঘাটা।হঠাৎ আমার প্রশ্ন জাগলো বললাম আমি বাবাকে বাবা তখন বললো খোকা বোল তোর প্রশ্নটাকে বললাম বাবাকে বাবা বটগাছ আছে বলে সবাই না হয় বলে বটগাছ তোলা কিন্তু অনেকে লক্ষীঘাটা বলে কেন?বাবা বলে শোন খোকা আমরা তখন তোদের বয়সে ওই খোটটা পাড়ায় একটা হিন্দুর মেয়ে ছিল।দেখতে ভারী সুন্দর পরিষ্কার ছিপ ছিপে।আমাদের বটগাছ তোলাই তখন ব্রীজ হয়নি আমরা ভিজে ভিজে খাল পারাপার করতাম।এখন যদিও ব্রীজ হয়েছে কিন্তু তখন ছিলনা।হঠাৎ একদিন সকালবেলায় শোনা যায় ওই লক্ষীনামের ফুটফুটে মেয়েটিকে ভুতে টিপে মেরেছে। এই খবর তখন মুখে মুখে সকল গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে ছিল তাইতো সেদিনের পর থেকে সবাই লক্ষীঘাটা বলে।
বাবা আরও বলে যে একটা গল্প বলি শোনো খোকা।আমার বয়স তখন সাতাশ বছর বাজার থেকে বাড়ি ফিরতে আমার রাত হয়েছে।আর ওই বটগাছ তোলা থেকে খাল পারাপার করার সময় শুনতে পাই একটা মেয়ের কান্না। আমি তখন খাল না পার হয়ে বটগাছ তলায় গিয়ে দেখি একটা মেয়ে উলঙ্গো অবস্থায় বসে বসে কাঁনছে----আর তখন প্রচন্ড শীতও পড়ছে।বাবা বলছে আমি আসতে আসতে ওর কাছে গিয়ে যেই বলেছি কে তুমি মা এখানে বসে এই প্রচন্ড শীতের মধ্যে কাঁনছো আর তখনই দেখি আমার দিকে বড়ো বড়ো লাল লাল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।যেই না আমার দিকে তাকিয়েছে অমনি আমার গায়ের লোম সব সোজা হয়ে গেছে।আমার তখন খুব ভয় পাচ্ছে
আর মনে মনে ভাবছি যে আমি যদি ছুট মেরে খাল পার হইতো তাহলে ওতো আমাকে লক্ষীর মতো মেরে ফেলতে পারে।তাই আমি মনে মনে ঠিক করলাম আমি ওকে আমার সঙ্গে নিয়ে যাব।এদিকে কিন্তু আমার প্রচন্ড ভয় পাচ্ছে। আমি পকেট থেকে বিড়ি দেশলায় বের করে একটা বিড়ি ধরালাম আর নতুন দেশলায় ঠুকে ভাবছি আমার যা হবে হবে ওর মুখ আমি দেখবো।আমার নতুন দেশলার কাঠি সব একের পর এক ধরিয়েছি কিন্তু ওর মুখ দেখতে পায়নি।এদিকে দেশলার কাঠি তো সব শেষ।এবার ভাবছি কি করবো? বটগাছের পাশে একটা বাঁধ ছিল আমি একবার ওর দিকে তাকায় আর এক পা এক পা করে বাঁধের ধারে গিয়ে একটা মোটা লাঠি তুললাম।তুলে নিয়ে ওর কাছে গিয়ে পোঁদের বাছায় করে মেরে বললাম চল আমার সাথে ও কিছুতেই বটগাছ ছাড়েনা যখন তিন -ঘা দিলাম তখন ও হাঁটতে শুরু করল।তখনও আমি বুঝতে পারছিনা যে এ ভুত না মানুষ।বাবা বলছে যে যদি আমি আগে যায় আর ও পিছনে পিছনে আসে তাহলে তো আমাকে গলা টিপে ধরতে পারে তাই আমি ওকে আগে দিলাম আর আমি পিছে পিছে আসছি।বেশ কিছু ধুর আসার পরে রাস্তার পাশে একটা খড়ের গাদা ছিল দেখি যে ছুটে গিয়ে ওই খড়ের গাদার ওপর পড়ে মিশে গেল।আমি তখন ভয়ে ওখান থেকে ও বাবারে বলে একছুটে বাড়ি এসে হাপাচ্ছি।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
©সেক আসাদ আহমেদ
সম্পাদক, উপকণ্ঠ
গাংপুরা, পূর্ব মেদিনীপুর
তাং- 22/06/2020
0 comments: