শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 27/06/2020

 
            "উপকণ্ঠ 27শে জুন সংখ্যা "
          "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)
        প্রকাশ কাল:-27/06/2020, শনিবার
                    সময় :- সন্ধ্যা 6 টা

সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত

মুঠোফোন:- 9593043577

🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here

🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
আজকে উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিনে যারা কলম ধরেছেন✒✒✒✒👇👇👇👇👇

ইংরেজি কবিতা:-
     • সিদ্ধার্থ সিংহ
ভ্রমন কাহিনী:-
     • ডাঃ সায়ন ভট্টাচার্য
ধারাবাহিক প্রবন্ধ:-
      • রাজা দেবরায়
ছোটোগল্প:-
      • আব্দুল রাহাজ
      • ইউসুফ মোল্লা
কবিতা:-

  • শোভা মন্ডল
  • জুয়েল রূহানী
  • বাপন দেব লাড়ু
  • বিমান প্রামানিক 

অনুগল্প:-
  ••রাজীব কুমার নন্দী
কবিতা:-

  • গণেশ দেবরায়
  • প্রদীপ কুমার দে
  • বিপ্লব গোস্বামী
  • তাপস কুমার বেরা
  • হামিদুল ইসলাম
অনু কবিতা:-
  • তাপস বর্মন

🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳

What you will want tomorrow
Siddhartha Singha
What you will want tomorrow. I will just give you that
I will teach you all the chants of royal hypnotism
I will teach you the secret trick of black magic
I will teach you, the style of sitting relaxed on the arm-chair
What you will want tomorrow. I will just give you that all
only for today you put armour on me.





Travelogue:
Chandipur and Balasore
- The Calcuttaman ( Dr Sayan Bhattacharyya)
A few years ago, I suddenly found myself gearing up for a short official trip to Balasore. It is a small town in Odisha.
I had heard a lot about this place. This was where the brave freedom fighter Bagha Jatin breathed his last at the banks of BuriBalam river.
  I was going solo and so were two of our colleagues. We put up in a big hotel on the main road.
That evening, I got some spare time, during which I visited the Jhareswar Mahadev temple nearby. It is a old temple with a beautiful open courtyard and adjoining pond. The construction style is brilliant.
Balasore is also famous for Kheerchora Mahadev temple, but it was far away and there was not much time left.
I described my visit to my colleagues over dinner, and  made plans with them to visit Panchlingeshwar and Chandipur after the next day's official work. A vehicle was hired for the day.
  Panchlingeshwar is a old shrine of Lord Shiva atop a hill. We climbed the flight of stairs to reach the top after some time. There we saw 5 natural Shiva lingams submerged in the water of the rivulet. There is a saying that if one sees and touches all the 5 lingams, he or she is very lucky. We could, but almost slipped and fell. We prayed and sat on the top if the hill for a while.
It was a spectacular sight, with the rivulet flowing down from the hilltop. There were also 2 temples atop.
On the way back to Balasore, we also visited Chandipur.  It is a famous coastal town . Waves recede back and again reach the shores at short intervals. This tidal phenomenon is the main attraction of Chandipur. This place also has the missile testing centre of the Government, which is closed for general public.
In Chandipur we had the opportunity to relax and have some food in the OTDC panthanivas which is huge with sprawling lawns and gardens and has lovely food. At that time the waves had receded back and only some shells were visible. It was a partly rocky coastline.
My friends went to the shore again after food, and found to their amazement that the waves were brushing the shores. They were excited.
If God permits , I want to visit these places again, this time with family. However for that the situations have to normalize.






'কর্পোরেট' চালাকি !
(গত পর্বের পর অন্তিম অংশ)
~ রাজা দেবরায়
আর অবশ্যই টাকার প্রয়োজন আছে, এই নিয়ে কোন সন্দেহই নেই । কিন্তু এই যে বাচ্চাকে স্কুল থেকে এনে দুই-তিনটা প্রাইভেট কোচিংয়ে পড়িয়ে, তারপর রাত্রিবেলা খাইয়ে পরের দিনের স্কুলের পড়া তৈরী করতে বলা (অনেক সময় সকালেও প্রাইভেট কোচিং থাকে ঐ একই দিনে) - একটা অমানবিক, অসুস্থ, অস্থির, অমানুষিকতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়, সেটাই চায় 'কর্পোরেট' দুনিয়া !
'কর্পোরেট' চিন্তা করে - ব্যাগের ভারে শিরদাঁড়াটা ছোট বয়স থেকেই বেঁকিয়ে দিতে পারলে এবং অধিক পড়াশোনার চাপে মস্তিষ্ককে ভোঁতা করতে পারলে আর উচ্চবাচ্য করতে পারবে না কোনোদিনই ! মাথার মধ্যে 'ঢের সারা' ইনফো ঢুকিয়ে দিলে অন্য কিছু ভাবতেই শিখবে না অথবা বলা ভালো ভাবনা কী জিনিস "খায় না মাথায় দেয় ?" সেটাই জিজ্ঞেস করবে হয়তো মনে মনে !!মোদ্দা কথা ভাবনার অবকাশই পাবে না ।
ভালো চাকরী, মোটা বেতন নিয়েই খুশি থাকবে । এগুলোর বিনিময়ে অসম্ভব, অমানুষিক পরিশ্রম বা "দক্ষ শ্রমিক"-এর বুদ্ধিশ্রম দেবে । মোটা টাকা কামানোটাকেই জীবন ধরে নেবে । আসলে যে জীবনের মূল উদ্দেশ্য যে শুধু এটাই নয়, সেটা শেখাবে কে ? সেই ব্যাপারটাই তো ইচ্ছে করে রাখা হয় না ।
শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে 'গবেষণা', কিন্তু ব্যবহারিক প্রয়োগ হচ্ছে 'ভালো চাকরী' । তাই তো রামমোহন, বিদ্যাসাগর, ডিরোজিও, মদনমোহনের পরে সেই অর্থে সমাজসংস্কারক পেলাম না আমরা । ভবিষ্যতেও আদৌ পাবো কিনা জানা নেই ! কারণ 'কর্পোরেট' দুনিয়া সেটা চায় না কোনোভাবেই ।।






বটতলা
     ছোট গল্প
আব্দুল রাহাজ

একটা ছোট্ট গ্রাম নামটি তার সবুজপুর গ্রামের মধ্যে একটা প্রাচীন বড় বটগাছ ছিল নামটি তার শালবট তার পাশেই ছিল শালবন। শালবনের পাশে ছিল একটা ছোট্ট নদী নামটি আত্রাই সে বয়ে বলেছে প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে। গ্রামটিতে কিছু সংখ্যক লোকের বসবাস তারা ছিলেন অত্যন্ত প্রান্তিক দক্ষিণ দিকে বিস্তৃত মাঠ ছিল সেখানে গ্রামের মানুষের চাষবাস। রহিম করিম হারাধন হরিমতি ওরা যেন একসাথে ভাইয়ে ভাইয়ে সর্ব ধর্ম নির্বিশেষে বসবাস করে চাষবাস করে। গ্রামটিতে শালবনের পাশে প্রতিদিন একটা ছোট্ট বাজার বসতো সেখানে গ্রামের মানুষ কেনাবেচা করতো জিনিসপত্র। গ্রামের বটগাছ তলায় একটা ছোট্ট স্কুল ছিল সেখানে গ্রামের ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করত আর টিফিন বেলা কাটতো বটগাছে খেলা করে। একবার সেই গ্রামের কয়েকজন ছেলে মেয়ে তাদের পাশাপাশি বাড়ি তাদের মধ্যে আছে গ্রামের মোড়লের ছেলে তারা সবাই বটতলার স্কুলে পড়তো তাদের মধ্যে একজনের নাম বিল্টু সে খুবই গেছো ধরনের আর সবাই অত ছিল না কারণ তাদের বাড়িতে সবাই বড়োরা শাসন করতো কিন্তু বিল্টুর শুধু বাবা ছাড়া আর কেউ নেই বিল্টু স্কুলের সময়টা ওদের সঙ্গে  খেলা করতো বটগাছ ছিল তাদের শৈশব বাল্যকালের খেলার মূল কেন্দ্র আত্রাই নদী ছিল তাদের স্নানের কেন্দ্র এরপর বিল্টু ছেলেটি গ্রামের কর্তা মোড়লের ছেলে হারাধনের খুব ভালো বন্ধু আর সবাই খুব ভালো বন্ধু ছিল বিকাল বেলায় সবাই বটতলায় গিয়ে কত খেলা করতো যতক্ষণ না পর্যন্ত সূর্য পশ্চিমাকাশে হলুদ আভা রূপের ডুবছে এইভাবে তাদের সঙ্গে চলে বিল্টুর খেলাধুলা। এদিকে গ্রামের পাঠশালা পড়া প্রায়  শেষের পথে বিল্টুর এবার কি হবে গ্রামের আশেপাশে তো কোন হাই স্কুল নেই যেতে হলে হয়তো শহরের স্কুলে যেতে হবে কিন্তু তার সব বন্ধুদের তো শহরে পড়ার মতো পয়সা আছে আমার তো নেই কিন্তু আমিতো আমাদের ক্লাসের প্রথম তাহলে এবারে আমার পড়াশোনা শেষ বাবার সাথে যেতে হবে কি মাঠে এইসব কথা বিল্টু সেদিন নদীর ধারে ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করতে করতে ভাবতে লাগলেন। তারপর সন্ধ্যা নেমে এলো বাড়িতে এসে  পাঠশালার পড়া তৈরি করতে লাগলো এদিকে তার বাবা এখনো আসেনি আর বন্ধু রহিম এসে বললো বিল্টু কাল আমাদের শেষ পাঠশালা বিল্টু বলল কি তাই তো তোরা কি করবি রহিম বলল জানি না কাল দেখা যাবে। রহিম বন্ধু কি হবে দেখা যাক বাবা তো এখনো বাড়ী আসেনি ও আচ্ছা আমি যাই কাল দেখাবে পাঠশালায় আচ্ছা ঠিক আছে তার কিছুক্ষণ পর বল্টুর বাবা বাড়িতে এলো বলল বাবা বিল্টু পড়াশোনা করছো বাবা হ্যাঁ বাবা বিল্টু বলল। বিল্টুদের  বাড়ি বিচালি চাল বাঁশেরখুটি দেওয়া সেখানে বসে একটা বিড়ি টানতে টানতে বলল বাবা বিল্টু পড়াশোনা কেমন চলছে বিল্টু বললো ভালোই চলছে। একটু পরে বিল্টুর বাবা খেতে ডাকলো দুঃখিনী মা হীন পরিবারের সন্তান বিল্টু পরিবারের মধ্যে মেধাবী ছেলে বিল্টু বেড়ে উঠছিল কিন্তু তা মনে হয় এবার ভাটা পড়বে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিল্টু তার বাবা বিছানায় শুয়ে শুয়ে গল্প করতে লাগলো গল্পের মাঝে বলে উঠলো বাবা আমাদের তো গ্রামের পাঠশালা কাল শেষ সবাই শহরের স্কুলে ভর্তি হবে আমি কি ভর্তি হতে পারবো তখন তার অর্থাৎ বিল্টুর বাবা বলে উঠলো দেখছি রে এতদিন তো ফ্রিতে সব চলছিল এবার তো পয়সা লাগবে শহরে তো থাকতে হবে। অনেক পয়সা তখন বিল্টু বলল রহিম নরেন সরেন আলাপন সবাই চলে জাবে হারাধন ও চলে যাবে আমি একা পড়ে যাব বাবা আমি দেখছি কাল। পরের দিন যথারীতি স্কুলে গেলে ওরা পাঠশালা যেন এক অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল সবার চোখে মুখে যেন এক অন্য ছাপ বটগাছটা যেন অন্য দিনের তুলনায় কেমন একটা হয়ে আছে দেখতে দেখতে পাচ্ছ না শেষ হয়ে গেছে। ওরা আর আর পাঠশালায় আসবেনা এরপর কে কোথায় পাঠশালা শেষ করে বট গাছের উপর বসে প্রত্যেক দিনের মতো ওরা অল্প করে খেলা করে কিন্তু সেইদিন যেন ওরা সব কেমন মনমরা হারাধন বললো আমি কাল সকালে চলে যাচ্ছি রে শহরে পড়াশোনা করতে জানিনা আবার কবে তোদের সাথে দেখা হবে তারপর অসীম বলল আমিও কাল সকালে শহরে চলে যাব কবে দেখা হবে কে জানে এইভাবে নরেন সরেন চলে যাবার কথা বলল তারপর বিল্টু বলল আমাদের গ্রামে একটা বড় স্কুল থাকলে পড়াশোনা করা যেত একসাথে ওরা বলল হ্যাঁ হ্যাঁ। ওরা সবাই বলল তুই যাবি না শহরে নারে বাবা আর আর পারছেনা এরপর ওদের সাথে কিছুক্ষণ থেকেই বিল্টুর অশ্রু গড়াতে লাগলো এক ছুট দিয়ে বাড়িতে চলে এলো তারপর বিল্টুর বাবা বলল কিরে পাঠশালায় শেষ হ্যাঁ বাবা ওরা না সব চলে যাবে কাল কিন্তু কি করবো বল আমার আর সেই সামর্থ্য নেই রে আর এরপর মনে দুঃখে-সুখে কিছু খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল বিকাল বেলা নদীর ধারে বসে একা একা তার মনে পড়ে যাচ্ছে তার পাঠশালার কথা কিন্তু সে তো আর নেই বটগাছটা হয়ে যাবে একা এসব কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো তার একটুও টের পাইনি তারপর বাড়ি এসে বিল্টু বলল বাবা কিছু একটা ব্যবস্থা হল নারে বাবা চল কাল আমরা কাজ করতে যাব নিজের মেধাকে দারিদ্রতার মাঝে বিলিয়ে দিয়ে চলে গেল কাজ করতে। পরের দিন ভোরে হতে না হতেই চলে গেলো গ্রামের উত্তর দিকে একটা মাঠ ছিল তাদের সেখানে কাজ করতে এদিকে তার বন্ধুরা একে একে সবাই চলে গেল তারপর বিল্টু একা একা বটতলা নদীর দীর্ঘ গুলি ঘুরে ঘুরে বেড়াতো আর সারা দিন বাবার সাথে চাষ করতে লাগলো এইভাবে কয়েকটা বছর বিল্টু অনেকটা বড় হয়ে উঠলো এদিকে চাষের ক্ষেতে কাজ করে এবং অনেকটা আর্থিক সচ্ছলতা দেখা দিল ঘরবাড়ি হলো এবং সাথে সাথে তার যে মেধা কোথাও যেন প্রকৃতির কোলে মিশিয়ে দিল এরপর বিল্টু বটগাছের থেকে ফিরতেই মনে পড়ে যেত তাদের ছেলেবেলা পাঠশালার দিনগুলোর কথা। নদীতীরে বসতেই বিল্টু শুনতে পেত ওরে হারাধন চল বটগাছে যায় বটগাছে যায় আর সেই বটগাছ বিল্টুর কাছে ছিল স্মৃতি বিজারক।
আব্দুল রাহাজ



সাতুয়ার  চর
শোভা মণ্ডল
শ্রীকান্ত !
তুমি তো জানো ভালো করে ,
কে ছিল সেই দুরন্ত নাবিক ,
দুঃসাহসিক ,নিঃস্বার্থ মানব প্রেমিক ,
সূচিভেদ্য অন্ধকার,
শ্বাপদ সংকুল, ভুট্টা জনারে এর  ক্ষেত,
খরস্রোতা নদীর উত্তাল ঢেউ, জীবনের ঝুঁকি  হাতে করে,
বারবার ছুটে যায়, 
সতুয়ার চরে....
কে ছিল সে  .....শ্রীকান্ত !






কবিতা
          "তেলবাজ"
           জুয়েল রুহানী
গল্প শোনো পাতি নেতার
এই সমাজে আছে,
তেলের শিশি নিয়ে সদা-
ঘুরে নেতার পাছে।
হাত-পা টিপে স্বার্থ লুটে
লজ্জা কি আর আছে?
চামচামি যার স্বভাব বটে
থাকে পায়ের কাছে!
হাত বাড়িয়ে পা জড়িয়ে
পাতি নেতার বায়না,
মাথা গোজার একটুকু ঠাই-
ছাড়া কিছু চায়না
তেল থাকতেই তেল ঢেলে দেয়
মাথার'পরে নেতার,
অাশার বাণী শুনিয়ে দেয়-
গরম যে মাঠ জেতার।
তেলবাজিদের ভন্ডামিতে
নেতার পকেট ফাঁকা,
নির্বাচনে হারার পরে-
দেয় স'বে গা  ঢাকা!






Struggle For Existence
বাপন দেব লাড়ু
As Long as you live I exist.
এইভাবেই প্রেমেদের বেড়ে ওঠা,
পরে ইচ্ছেরা যখন ধূমকেতু ছোঁয়, 
ঠোঁটের ভেতর উদাস বাতাস তখন
কালো কালো বৃষ্টিমেঘ ডাকে।
দমকা হাওয়ায় বিষ এসে মেশে
অবিশ্রান্ত রক্তের সাথে ;
বলা হয়ে ওঠেনি তখনও সব কথাদের এক বাক্যে ;
বলতে পারলেই কি সমাধান হতো সব কিছুর?
জীবন তার নির্দিষ্ট ছন্দেই থাকে,
আর প্রেম  Struggle for Existence-এ।।







              জল বাঁচাও
           বিমান প্রামানিক
মিথ্যে মিথ্যে আর তো নয়
আজকে সবার বড়োই ভয়।
জীবনে যেন আজ পরাজয়
এখন  আর নয় জল অপচয়। 
ওরে, ওগো সবার কাছে আর্জি
জল বাঁচাও এই মোদের মর্জি।
পানীয় জল নিয়ে নয় কারসাজি
স্বচ্ছ পরিবেশ তৈরিতে হও রাজি।
জীবনদায়ী আছে ওষধি নানা জানি
জলও তার আগেই ,এটা তো মানি?
সামাজের বুকে আছে নানা জ্ঞানী গুণী
জল বাঁচাতে সবাই যেন সবার কথা শুনি।
জলের মতো নেই কিছু এর বুকেতে
জল ছাড়া পারবে কি প্রাণ বাঁচাতে?
প্রশ্নটি কর, স্লোগান তোলো নিজের মনেতে
জল বাঁচাও জাগিয়ে তোলো গাছ লাগাতে।
একটু খানি যদিওবা করো অবহেলা
বুঝবে একদিন ঠিকই এর কি জ্বালা।
জলই জীবনদায়ী,যায়না তা ভোলা
তাই তো বলি,জল নিয়ে নয় ছেলেখেলা।
চাও যদি বাঁচতে আর অন্যকে বাঁচাতে
জল রক্ষার জন্য স্লোগান তোলো একসাথে।
জল নয় বৃথাই অপচয় ,সজাগ করো সঙ্গীতে
জল নষ্ট জীবনের কষ্ট জানেন কি তাতে?
জলের কোনো নেই বিকল্প এই ভুমিতে
তাইতো বলি এগিয়ে এসো সবাই একসাথে।
থাকলেও টাকা পাবে না তা জীবন বাঁচাতে
আবার ও বলি এসো কন্ঠ মেলায় সবার সাথে।




            অনু গল্প
মাস্ক
      রাজীব কুমার নন্দী
           
লক ডাউনের প্রথম সপ্তাহের এক  শনিবারের  বিকেল,রোদ তখন সন্ধ্যার অঞ্জলী মেখে বিদায়ের আয়োজন করছে।আকাশ এর মত মেঘলা হয়ে আছে সকলের মন।আমাদের বাড়িতে তখন সেনিটাইজার,সোশ্যাল ডিস্টেন্স, এমনকি মাস্ক নিয়ে রীতিমত চর্চা চলছে অন্যান্য দের বাড়ির মতোই।বাবা মা প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা নিউজ চ্যানেলে করোনার মৃত্যু সংখ্যা হিসেব করে চলেছে।রাত জেগে গৃহবন্দী  হয়ে সারা রাত অনলাইনে চলতো বন্ধুদের সাথে আড্ডা।অতিন আমাদের প্রিয় বন্ধু ছিলো।সত্য, রতন,স্যান্ডি, দেব রাও আমারা সব কলেজের বন্ধু।লকডাউন এর আগে দীঘায় খুব আড্ডা।অফিস ফেরৎ কেরাম হতো।নো স্মোকিং....নো গার্ল ফ্রেন্ড..আমাদের ট্যাগ লাইন থাকলেও অতিন কিন্তূ বিপরীত স্রোতে গা ভাসিয়ে ছিলো কোনো এক বেলা বোসকে না পেয়ে সিগারেটের ধোঁয়ায়।প্রাক লকডাউন এর আগে আমরা সকলে মাস্ক পরেই ছিলাম সতর্ক।"ভূতের ভবিষ্যৎ" নাম ছিলো অতিনের মাস্কের।আমরা খুব মজা করতাম ওটাকে নিয়ে যখন তার ফেসবুক প্রোফাইলে মাস্ক এর ছবি আপলোড হলো!      
           এখন আড্ডা থেমেছে লকডাউনের চরম আঘাতে।সবাই গৃহ বন্দী।আমাদের "বন্ধু চল"হোয়াটস আপ গ্রূপে রাত জেগে চলতো আড্ডা।আগেই বলেছি আমরা অতিন ছাড়া নো স্মোকিং ও নো গার্লফ্রেন্ড এর দুনিয়ার আজব প্রাণী!কিছুদিন ধরে অতিন অনলাইনে আসছেই না।স্যান্ডি আর রতন বল্লো ও কলকাতা চলেগেছে তার বাবার কাছে।কিছুদিন ধরে কারোর ফোনই সে ধরেনি।রাত তখন একটা বাজে।অতিন হটাৎ আমায় চ্যাট করে..কেমন আছিস?আমি ভাবলাম রেগেই আর কথাই বলবো না।তবু বল্লাম ভালো।ও বল্লো জানিস লকডাউনে অনেক দূরে চলে এসেছি..জানিনা কবে দেখা হবে।ভালো থাকিস।হোয়াটস আপ এর ডিপি তে আমাদের বন্ধুদের গ্রূপ ছবির বদলে একটি মাস্ক এর ছবি..মাস্কে লেখা"ভবিষ্যৎ অন্ধকার"।কখন যে ঘুমে চোখ জড়িয়ে গেছে জানিনা।সকাল আটটার দিকে স্যান্ডির ফোনে ঘুম ভাঙলো।শুনেছিস রাজীব? ......অতিন কাল সন্ধ্যায় মারা গেছে!!
আমি নির্বাক!হাত থেকে ফোনটা পড়েই গেলো।কাল রাত জেগে কে তাহলে চ্যাট করছিলো?
অতিন মারা গেছে?মায়ের ডাকে সাপ্তাহিক বাজার করতে বেরোতে হলো।বাইকে স্টার্ট দিয়েছি..মা বল্লেন বাবু মাস্ক টা পরে নে.....





তোমার ইচ্ছেতেই আমরা
             - গণেশ দেবরায়

শিল্পীর হাতে রং তুলি
ইচ্ছে মতো গড়ছে সব
কখনো শিশু চঞ্চল নদী
কখনো যুবক উদ্দাম বন্যা
কখনো বৃদ্ধ নিশ্চুপ দুপুর
কখনো মুমূর্ষু নিঝুম রাত।
আমরা সবাই অপেক্ষায় থাকি
শিল্পী কে খুশি করতে
যেমন করে খুশি করে
বাঁকা চাঁদ অস্তগামী সূর্য
এমনকি রক্তাক্ত নদীও।





কবিতা
        বন্ধু তুমি
          প্রদীপ কুমার দে
ন্ধু তুমি সবুজ পাতা
বৃষ্টি রিমঝিম,
বন্ধু তুমি শীতল হাওয়া
কথা অন্তহীন।
বন্ধু তুমি জীবন জুড়ে
নতুন নতুন আশা,
বন্ধু তুমি হৃদয় মাঝে
শুধুই ভালোবাসা।
বন্ধু তুমি ঘুমের মাঝে
স্বপ্ন হয়ে আসো,
বন্ধু তুমি প্রভাত হলে
রৌদ্র হয়ে হাসো।
বন্ধু তুমি ঘাসের ডগায়
শিশির বিন্দুখানি,
বন্ধু তুমি মোর জীবনে
মূল্য অনেকখানি।
বন্ধু তুমি কাজের ভিড়ে
ভরসা অনেকখানি,
বন্ধু তুমি সারাজীবন
আপন বলে জানি।






হয়তো তুমি আসবে ফিরে
     ✍বিপ্লব গোস্বামী

হয়তো তুমি আসবে ফিরে
ভাঙ্গা বুকের ভাঙ্গা নীড়ে।
আসলে কাছে বুঝে নিও
ভেজা চোখের ভাষা।
ইচ্ছে হইলে মিটিয়ে দিও
ভাঙ্গা বুকের আশা।
হয়তো তুমি আসবে ফিরে
শুকনা গাঙ্গের ভাঙ্গা তীরে।
আসলে ফিরে নৌকা বাইও
শুকনা গাঙ্গের জলে।
ইচ্ছে হইলে মিশে যাইও
কুল হারাদের দলে।




আতঙ্ক
তাপস কুমার বেরা
আতঙ্ক -
এই একটা শব্দ
গ্রাস করে চলেছে
আমাদের সবাইকে |
এ বড় কঠিন
প্রশ্ন |
এ কিসের লক্ষণ ?
আতঙ্ক নামক ঘুনপোকা
প্রতিনিয়ত ,
প্রতিটা মুহূর্ত
কুরে কুরে খায় |
ভিতরটা একেবারে
ফোঁপরা করে দেয় |
আতঙ্কিত আমরা
অজান্তেই
সমাজের ভেতর কি
বিভেদের বীজ
বপন করছি ?    




                  প্রভাতী সূর্য
               হামিদুল ইসলাম
               
প্রতিদিন বিষ্ফোরণে উড়ে যায়
ঘর বারান্দা
মৃত‍্যু দখল করে কবিতার প্রাণ
অসহায় যন্ত্রণাগ্রস্ত শিশু
রক্তাক্ত হৃদয়ের কার্নিস খোঁজে প্রাণ   ।।
সতর্কতা আর ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে
প্রতিদিন
সর্বনাশা কবন্ধ সরীসৃপ চূর্ণ করে মনের দেয়াল
পাখিরা উড়ে যায় অরণ‍্যে
শেকড়ে আটকে থাকে গাছেদের প্রাণ   ।।
রবীন্দ্রনাথের বড়ো দরকার ছিলো
আজও
লোকটা সেই যে গেলো
আর ফিরে আসলো না
জীবনের মানে এখন সম্পূর্ণ অন‍্য রকম   ।।
জীবন আতঙ্কগ্রস্ত
প্রতিদিন অবসাদে ভাঙে গোয়ালিনীর বাসা
শ্মশানে শেয়ালেরা মৃতদেহ খোঁজে এখনো
লাশের গন্ধ ভাসে চারদিক
আঁধারে ঢাকে প্রভাতী সূর্য   ।।






ছোটোগল্প
.                              সৃজনশীলতা
                             __ ইউসুফ মোল্লা
  শুভ কাঁদতে কাঁদতে ঘরে ঢুকলো। মা বললো, কীরে স্কুলে যাসনি? শুভ আরো জোরে কাঁদতে লাগলো। লকডাউনের কারণে বাবা এখন বাড়িতেই থাকে। অফিস বন্ধ। আর্থিক দিক থেকে মুষড়ে পড়ছে দিন দিন। তাও ছেলেকে দামি স্কুল ছাড়াই নি। আজ শুভর স্কুলে রেজাল্ট দেওয়ার কথা ছিল। বাবা সবে দুপুরে খেয়ে শুয়েছে। ছেলের কান্না শুনে হুড়মুড়িয়ে উঠে বাইরে এলো। 'কীরে শুভ তোকে কেউ মেরেছে নাকি?' - বাবা প্রশ্ন করলো। শুভ এবার কান্না থামিয়ে বাবাকে বলতে লাগলো- আমাদের science স্যার বলেছেন, তোর দ্বারা কিচ্ছু হবে না। তোর বাবাকে স্কুলে দেখা করতে বলবি। তোর T. C. দিয়ে দেবো। শুভ সবে এ বছর হাইস্কুলে গিয়েছে। তাও আবার ভালো করে স্কুল হতে না হতে করোনার জন্য লকডাউন হয়ে গেল, তাই স্কুলে আর যাওয়া হয়নি। কিন্তু অনলাইনে পড়াশোনা হয়েছে, পরীক্ষাও হয়েছে। মা শুভর বাবাকে বলতে থাকে, তোমার জন্য ছেলেটা এমন গোল্লায় গিয়েছে, এবার তুমি যাও স্কুলে। শুভর বাবা ছেলেকে কোলের কাছে টেনে নিয়ে আদর করতে করতে বললো, বাছা আমার এতে কান্নার কিছু নেই, কাল আমি তোমার সাথে তোমাদের স্কুলে যাবো।
      শুভ, শুভর বাবা, সেক্রেটারি  আর সাইন্সের স্যার- সবাই হেড মাস্টারের রুমে বসে। হেড স্যার রুমে ঢুকতেই সবাই স্যারকে গুড মর্নিং বললেন। হেড স্যার চেয়ারে বসেই বললো, হ্যাঁ, সুশান্ত স্যার শুভর বিষয়টা কী বলুন তো? সুশান্ত স্যার হলেন শুভর সাইন্সেস টিচার। সুশান্ত স্যার শুভর উত্তর পত্রটা ল্যাপটপ থেকে বের করে হেডস্যারের সামনে দিলেন। হেডস্যার একটু পড়েই বললেন, হুম এ ছেলেকে স্কুলে রাখা যাবে না। শুভর বাবা চুপ করে বসে ছিলেন। সেক্রেটারি তখন হেডস্যারকে বললেন, কী হয়েছে স্যার? হেডস্যার বললেন, পরিবেশ থেকে আমরা কী কী শিক্ষা লাভ করি? - এই প্রশ্ন এসেছিল। তার উত্তরে ও লিখেছে, পরিবেশকে আমরা যা দিই, পরিবেশও তাই ফিরিয়ে দেয় আমাদের। যদি আমরা বন ধ্বংস করে ফ্লাট তৈরি করি, তাহলে ভূমিকম্পে সে ফ্লাট ধ্বংস করে দেবে। যদি আমরা ঘুষ খাই, তাহলে কোনো বড়ো ব্যাধি এসে সে টাকা কেড়ে নেবে। যদি শিক্ষা দানে ফাঁকি দিয়ে থাকি, তাহলে নিজের সন্তান নিজের কথা শুনবে না। যদি অনেক টাকা নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালাই অর্থাৎ শিক্ষাকে ব্যাবসা করে তুলি, তাহলে সেখান থেকে ভালো মানুষ তৈরি হবে না, চোর ডাকাত, খুনি এসব তৈরি হবে।
তাহলে আপনারাই বলুন, এ ছেলেকে আমাদের স্কুলে রাখা যাবে কীভাবে? সুশান্ত স্যার বললো, আমার দেওয়া  নোটটা কত সুন্দর করে এর উত্তর করা ছিল। সবাই সেই নোট লিখে ফুল মার্কস পেল আর এর যতো পাকামি।
       শুভর বাবা এবার কথা বললেন, ঠিক আছে স্যার আমার ছেলেকে T. C. দিন কিন্তু কয়েকটা কথা আমার বলার ছিল। হেডস্যার বললেন, ঠিক আছে বলুন। শুভর বাবা তখন বললেন, আমিই ওকে বারণ করেছিলাম, কখনো মুখস্থ করে পড়াশোনা করবি না। বিষয়টা ভালোভাবে আগে বুঝবি, তার সমস্যা গুলো জেনে সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা করবি। তাই ও অন্যদের মতো নোট মুখস্থ করে লেখেনি, যেটা বুঝেছে, সেটাই লিখেছে। সেক্রেটারি সাহেব বললেন, হুম ঠিক তো। মুখস্থ করে পড়াশোনা করলে সৃজনীশক্তি হারিয়ে যাবে তো ধীরে ধীরে। এতে অন্যায় কিছু দেখছি না তো! আমি অনুরোধ করছি স্যার, আপনারা বিষয়টি আরো একবার ভালো করে ভেবে দেখুন। হেডস্যার বললেন, তাই বলে পড়াশোনার প্রক্রিয়া পাল্টে ফেলা তো যাবে না। শুভর বাবা তখন বললেন, স্যার আমি পড়াশোনার সিস্টেম পাল্টে দেওয়ার কথা বলছি না, তবে পড়াশোনা করতে গিয়ে সৃজনশীলতা যাতে নষ্ট না হয়, সেদিকে নজর রাখার কথা বলছিলাম। হেডস্যার তখন সুশান্ত স্যারকে বললেন, শুভর খাতাগুলো আরো একবার দেখবেন আর সৃজনশীল লেখার জন্য পুরো নম্বরও দেবেন।
      নতুন মার্কশিট নিয়ে শুভ বাড়িতে যখন এলো, তখন তার মা বললো, T. C. দিয়েছে তো, হুম যাও নিজের মতো করে লেখো বাবার কথা শুনে। আমি কতোবার বলেছিলাম, স্যারেরা যেমন বলে তেমন লেখো..... শুভ ছুটে এসে মায়ের গলা জড়িয়ে বলে, মা আমি আমাদের ক্লাসের প্রথম হয়েছি।
            



  অনু কবিতা 
  হাজার বছর বাঁচতে চায়
           তাপস বর্মন

চৈতি বিকেলের মজা পুকুরপাড়ে
মাথা নুইয়েছে শুশনি।
বসন্ত ঘাড়ের কাছে ঘন ঘন শ্বাস ফেলছে,
জড়িয়ে ধরেনি।
যারা গেছে তারা যাক, কে আটকাবে?
প্রতীক্ষার কালো রাত্রি পেরিয়ে কালবৈশাখীর
মেঘ কি দুফোঁটা বৃষ্টি ঝরাবে শুশনির মূলে?
সে হাজার বছর বাঁচতে চায় কুহকিনী হয়ে।

🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳

© সেক আসাদ আহমেদ
সম্পাদক, উপকণ্ঠ
গাংপুরা সাগরেশ্বর রামনগর পূর্ব মেদিনীপুর
তাং- 27/06/2020, শনিবার


🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳
  

0 comments: