শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন-19/06/2020



              "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)
        প্রকাশ কাল:-19/06/2020, শুক্রবার
                    সময় :- সকাল 11 টা

সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত

মুঠোফোন:- 9593043577

🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here

🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
আজকে উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিনে যারা কলম ধরেছেন✒✒✒✒👇👇👇👇👇



🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪

Will you not see for once
✍✍✍ Siddhartha singha
Now pause a little

How many more competitors will you surpass in the rat race?
How much more will you climb up the hill
with your armoured brigade, how many times will you
             plant your own flag, on the ground?

Now pause a little...

Will you not stand by the side of the pond and behold for
     once, branches of waterhyacinth flowers?
🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪


Upon the Expectation                   
       ✍✍✍ Sabir Ahmed
Will you take leave tomorrow ?
The time of the train do you know ?
Valediction,valediction, ah! sorrow.
O morning! you will come else never,
O night tell the clock to stop forever.
Tears,O tears ! can you hear,
The parting words and the heart's whisper?

The sun rises and he sets.
Like an innocent child the earth weeps ;
Having not seen
The smiling face of the moon.
The night stars are unseen,
In the firmament by the daylight;
They return again at night.
The world will last-
As long as the rotation and the sun last.

Though the windy gusts
Break the birdy nests,
They make and remake it,
For their offspring on eggs they incubate.
When the flood is seen in the river,
The trees of both sides are sunk under water,
Yet they rekindle themselves a few days after.

It is still dawn now.
Birdsong could be heard.
As the rainbow-
Rises behind the clouds at the end
Of the rain.
O friends ! you will be gone-
In just a few hours.
Perhaps -
It is like a bolt from the blue,
To both of you and to me too.
"I will not let go",
But I have to go to pull the world,
To make a living intended.

 Friends,stay good,today I was alone.
May be our chats will crawl,
Behind  the memories the time all.
In anticipation of a new return,
In the cradle of delighted mind,
I must be waiting for the way,
For myself among you I find.
For I owe my all to you may I say.

🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪

নৌকার মাঝি
(ছোট গল্প)
   ✍✍✍ আব্দুল রাহাজ
ওরা যেন এক জলের কান্ডারী নদীর একূল ওকূল তাদের যেন নখদর্পনে চোখের সামনে সব যেন ভেসে ওঠে তাদের। তাদের গাওয়া গানে নদী মা যেন পায় অনন্য স্বাদ । তারা প্রান্তিক হলেও এই নদীকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছে গোটা জীবন কোথাও যেন এই নদী তাদের কাছে মায়ের মতো। ওরা যেন নদীকে জীবন দিয়ে ভালোবাসে রাতদিন এক করে কেউ মানুষ পারাপারে করে কেউ মাছ ধরে কেউ গঞ্জে যায় এইভাবে তাদের দিন কাটে দিনের পর দিন বছরের পর বছর এখান থেকে ওরা উপার্জন করে সংসার চালান। ছেলে মেয়েদের মুখে অন্ন তুলে দিতে পরিশ্রম করে জীবনের শেষ বিন্দু পর্যন্ত তবুও ওরা যেন অসহায় নদী মা প্রকৃতি মা ওদের যেন সাহায্য করে আসছে দিনের পর দিন বছরের পর বছর এই সব মানুষ গুলো সত্যিই যেন তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ। মনু মাঝি কালু মাঝি রহিম মাঝি এরা যেন নদীকে তাদের সম্পদ হিসেবে পেয়েছে । একবার প্রচন্ড ঝড়ের রাত নদীর জল উথাল পাথাল তখন রাত দশটা মাঝিরা সবাই সকাল সকাল বাড়ি ফিরেছে কেউ গল্প করছে কেউ আবার মনের আনন্দে গান গাইছে কেউ হুকোয় টান দিচ্ছে এমন সময় একজন চিৎকার করে মাঝি মাঝি মাঝি নদী মুখো দৌড়ায় এমন সময় মনু মাঝির চোখে পড়ে কে কে কী হয়েছে আমি নরেন মায়ের খুব অসুখ কথা শোনা মাএই মনু মাঝি বললো দাঁড়াও আমি যাইতেছি ওরে কালু ওরে রহিম বেরিয়ে চল চল নরেনের মায়ের অসুখ ডাক্তার বাড়ি নিয়ে যেতে হবে ওরা দৌড় নরেন দের বাড়ি এলো নরেনের কাকুতি মিনতি দেখে ওরা গঞ্জে মদন মোহন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে রাজি হলো। এদিকে ওরা নৌকায় নরেন এর মাকে দিয়ে রওনা হলেন যতই পথ এগোয় ততই কঠিন হয়ে পড়ে এদিকে জলের ঝাপটায় যেন নৌকা যায় যায় কোনরকমে প্রভুর কৃপায় পৌঁছলো রাতের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠলেন।নরেন মাঝিদের জড়িয়ে ধরে কাঁদে আর বলে খুব বড়ো উপকার করলে গো দাদা। এইভাবে মাঝিরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ায় সাহায্য করে‌।
এই ভাবে নৌকার মাঝি গুলো নদী তীরে দিন কাটিয়ে কারও সাহায্য করে জীবিকা উপার্জন করে ছেলে মেয়েদের মুখে দুবেলা দুমুঠো অন্ন তুলে দেয়। এই নদী তাদের নৌকাকে আঁকড়ে ধরে সারা জীবন কাটিয়ে দেয়।
সত্যি ওরা কোথাও যেন মহান কোথাও বীর বললেও উপেক্ষা করা যায়।
🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪

প্রবন্ধ
শুধুই অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য !
     ✍✍✍ রাজা দেবরায়

সতীদাহ প্রথার পেছনেও মূলত অর্থনৈতিক স্বার্থ কাজ করতো । স্বামীহীনা মহিলার সম্পত্তি জীবিত অবস্থায় গ্রাস করা সম্ভব নয়, তাই এই (কু)প্রথা । তাছাড়া ভরণপোষণের দায়িত্ব কে নেবে ? সেটা মাথায় রেখেই এই (কু)প্রথার প্রচলন করা হয় ।

তাছাড়াও যখন সদ্যবিধবা স্ত্রীকে চিতায় তোলা হতো, তখন ওনার গায়ে থাকতো সমস্ত সোনা, রূপার অলংকার এবং এটাকেই নিয়ম বানিয়ে রেখেছিলো । সবাই জানে যে আগুনে পোড়ে সোনা, রূপা প্রায় নষ্ট হয় না । দাহ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এগুলিও তখন প্রাপ্তি ছিলো ।

পুরোটাই অর্থনৈতিক ব্যাপার !!!

আজকাল বিভিন্ন 'ডে'ও সৃষ্টি করা হয়েছে অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যেই । আবেগকে পুঁজি করে গিফ্ট কেনাতে একপ্রকার বাধ্য করা হয় বলা যায় ! গিফ্টই সম্পর্ক অটুট রাখার বা নতুন সম্পর্ক গড়ার মাপকাঠি বা চাবিকাঠি, এরকম ধারণা সৃষ্টি করা হয়েছে পরিকল্পনামাফিক অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করার জন্য ।

কর্পোরেট এইসব খুবই পরিকল্পিতভাবে করে বর্তমানে আরো দ্রুততার সাথে মুনাফা লুটে যাচ্ছে, আর প্রতিদিন অর্থনৈতিকভাবে আরো আরো বেশি স্ফীত হচ্ছে ।।

🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪
** উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ **
    *** প্রহর ***
           ✍✍✍চিরশ্রী কুণ্ডু (অবন্তিকা)

ভাসিয়ে নিয়ে গেলাম সুর
      গলির আঁকে বাঁকে
তোমার আমার প্রথম দেখা
      সূর্যাস্তের সময় বুনে ।।

হাসির ছলে গেলাম ভেসে
     কোনও এক ক্লান্ত অভিসারে
দিলাম খুলে আকাশ জুড়ে
      মনের ঘরে চোরাবালিতে ।।

বইছে দেখো বারি ধারা
      হারিয়ে যাওয়া পথের বাঁকে
কোনো এক অন্তিম সুরে
      পাতা ঝড়ার প্রহর গুণে ..।।
🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪

আমার স্বপ্ন
      ✍✍✍ সোহিনী শবনম
বিশ্বাসঘাতকের ভিড়ের মাঝে,
চাইনা হতে হৃদয়হীনা।
আমি না হয় কঠোর হব,
হীরের মতো উজ্জ্বল কিরণা।

ভাঙতে তাহা পারবে নাহি,
ঠুনকো নয় তা মোটেই।
উদার হবে বিশ্ব-সমান,
ভালোবাসা অশেষ আছে ছোট্ট এই হৃদয়টিতেই।

ক্যানোপি হয়ে দেবো ছায়া,
দুঃখ যাবে ক্ষয়ে।
রেজিষ্টার খাতায় নাইবা উঠল নাম,
স্থায়ী স্থান চাই ঐ হৃদয়ে।

প্রথম স্থানে অধিষ্ঠিত,
চাই না হতে কখনো।
করতে চাই এমন কিছু,
যাতে নামটি হয় স্মরনীয়।

প্রথমকে সবাই মনে রাখে,
নম্বর পাওয়ার চেষ্টায়।
অনুপ্রেরণা তো সেই হতে পারে,
শ্রেষ্ঠত্ব যার একমাত্র পরিচয়।

সোহিনী শবনম

🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪

"উপকন্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"

অনেক বছর পর
         ✍✍✍ বাপ্পা দাস
অনেক বছর পর ,
যদি আমার সাথে দেখা হয় তোর ।
চেনা চেনা লাগে , চিনতে না পারিস ধর ।
যদি মনে না থাকে আমার নাম ।
সে কি সম্ভব ? কিন্তু যদি এমন হয় ।
যদি মধুর সব স্মৃতি গুলো , পায় ক্ষয় ।
মনে না থাকে তোর ।
যদি ভুলে যাস ,
কলেজে একদিন আমার মনটা করেছিলি চোর ।
যদি ভুলে যাস ,
মাঝরাতে মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে হতো ভোর ।
যদি ভুলে যাস ,
দেখা হলে জড়িয়ে ধরে বলতিস
তুই আমার , আমার হবি বর ।
অনেক বছর পর ।
যদি চিনতে না পারিস ধর ।
কিংবা ভান করিস না চেনার
হাজার হোক , আমি এখন প্রাক্তন তোর ।
🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪
 বিসর্জন
    ✍✍✍ টুম্পা মুখার্জী
আজ আমার বিসর্জন,
বিসর্জন না হলে যে
আমার আবার আবাহন
 হবে না...
আমি নিজেকে বিসর্জন দিচ্ছি
 আমার সকল দুর্বলতা, দুঃশ্চিন্তা, দুঃখ,অভিমান, কষ্ট, আবেগ, আবদার, অধিকার বোধ, বিশ্বাস, পাগলামি, খুনসুটি, ভরসা আর... আর সীমাহীন ভালোবাসা থেকে....

আমি আর ফিরব না তোমার কাছে সেই নীড় ভাঙা পাখির মতো, যে জানে তার সুখের ঘর ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে নতুন ঝড়ের আগমনে, তা সত্ত্বেও সে সেই ঘরের মোহে তার অতি পরিচিত অতি আপন ডালে ফিরে ফিরে যেত, আর বারবার প্রত‍্যাখ‍্যাত হয়ে তীব্র হাহাকার করত, আর্তনাদ করত, অপ্রাপ্তির যন্ত্রণায় নিজেকেই বারবার আঘাত করত....

আজ আমার বিসর্জন,
বিসর্জন না হলে তো
 আমার আবার আবাহন
হবে না,
আজ আমারই নোনা জলে
আমার বিসর্জন ,
কিন্তু কিছু সময়ের মাত্র অপেক্ষা, আর অভ্রান্ত বিশ্বাসের বুনন ,
তোমার নোনা জলের ঢেউয়ে আমার ঠিক আবাহন ....

হিসেব রেখো সময়ের, হিসেব রেখো কথার,
আমি আর ফিরব না,
এবার তোমার ফেরার পালা...

আজ আমার বিসর্জন
আমারই নোনা জলে,
কিন্তু তোমার নোনা জলে আমার ঠিক আবাহন,
বিসর্জন না হলে যে আবাহন হয় না...
হিসেব রেখো সময়ের,
হিসেব রেখো কথার,
আমি আর ফিরব না,
এবার তোমার ফেরার পালা।
🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪
বার্ধক্য সূচনা
    ✍✍✍ আব্দুর রহমান
ভেসে আসে কুমারী মেয়ের ভালবাসার রঙ্গমঞ্চে
রামধনু রঙের আঁচল সরিয়ে ব্লাউজের ভেতর পুরুষ্ট স্তনদুটি
সব কিছু ভুলে সব পেয়েছির আসর জমে উঠার আগেই
অবাক পৃথিবী থেকে বিদায় নিল টটেনহ্যামের ব‌উ
সব এলোমেলো হয়ে যায় জীবনের রোজ নামচা
ভোরের আলোর গন্ধ বাসি ফুল ভার্সন বিষন্নতা
সেও একদিন পুরোনো আঁধার হলে ঢুকে পড়ে
বাসি বিছানায় শুয়ে থাকে স্বপ্ন নতুন করে শুরু
অম্ল অজীর্ণ রাতের ঢেকুর তুলে শুকতারার পথে
এক হাত দেয় তুলে যেন কেউ বাড়িয়ে দেয় বদান্যতা

ভেসে আসে কুমারী মেয়ের ভালবাসার রঙ্গমঞ্চে
ক্লিভেজ , বেরিয়ে আসে নদীর পাড়ের খাদের কিনারা
শুকতারার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে
সংস্কৃতি আমার বুকের ওপরে কবর কেটে গেল
 🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪

কবিতা
 মেঘলা মন
✍✍✍ গণেশ দেবরায়


আকাশ মেঘলা
              স্তব্ধ দিন
 বাতাস নিশ্চুপ
         গাছেরা মলিন।

উত্তপ্ত পৃথিবী
       মন বিষাক্ত
রাত নিঝুম
       সীমান্ত রক্তাক্ত ।

সময় ক্লান্ত
    ভাষা নেই মুখে
স্বপ্ন বিষজ্বালা
         পাংশু মুখে।

পঙ্কিল পথ
       বর্ষার জল
মুক্ত হোক
      আজ ধরাতল ।
🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪
কবিতা
 অকপটে কিছু কথা!
   ✍✍✍ বিশ্বজিৎ কর।
আমি তো কিছুই চাই না লিখতে -
ওরা বলে-"লেখো"!
আমি তো চোখ বন্ধ করে থাকি -
ওরা বলে-"তুমি দেখো"!
মাঝেমাঝে লিখতে ভয় হয়-
কত লাল চোখ, হিংস্র নজর!
দেখতে প্রায়ই কষ্ট পাই -
কত হতাশা,শোক,ধান্দাবাজি!
কবিও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে -
পুরস্কার,সম্বর্ধনার লালসায়!
কই,এখন তো আর কেউ বলে না-
"ও রাজা,তোর কাপড় কোথায়?"
🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪

ভাত চাইনা
    ✍✍✍ তাপস বর্মন
আমরা ভাত চাইনা। কে কাকে ভাত দেবে?
সবাই তো উপভোক্তা।
বিজ্ঞাপনের মোড়কে নিজেকে বিক্রি করার
আকাঙ্খা আকাশ ছুঁয়েছে।
থালা হাতে হাজার ক্যামেরার ঝলকে
ঝলসে মরার চেয়ে ভুভুক্ষ থাকা অনেক শ্রেয়।
আমাদের আকাশে সূর্যের দাঁত খিঁচুনি
আড়াল করতে মেঘছায়া উঁকি মারেনি।
ভাত চাইনা হুজুর, প্রাপ্যটুকু দিয়ো।
🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪
"উপকন্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"

কবিতা
 ঝিলের জলে কলমীলতা
✍✍✍ জুয়েল রূহানী



ঝিলের জলে কলমীলতা-
মৃদু হাওয়ায় দোল খেয়ে যায়,
সবুজ রঙ্গের হাতছানিতে-
স্বপ্ন রুপে এ মন হারায়!

পূবাল হাওয়ায় কলমীলতা-
বহুরূপে অঙ্গ নাচায়,
সঙ্গ পেয়ে এই অভাগার-
রূপ ছড়িয়ে হৃদয় বাঁচায়!

ঝিলের জলে কলমীলতা-
আপন মনে দোল খেয়ে যায়,
রাত্রি যাপন ঝিলের জলে-
হেলে-দুলে দিন যে ফুরায়!
🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪


© সেক আসাদ আহমেদ
   সম্পাদক, উপকণ্ঠ
গাংপুরা পূর্ব মেদিনীপুর
তাং- 19/06/2020



২টি মন্তব্য: