"উপকণ্ঠ 26শে জুন সংখ্যা "
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-26/06/2020, শুক্রবার
সময় :- সন্ধ্যা 6 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
আজকে উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিনে যারা কলম ধরেছেন✒✒✒✒👇👇👇👇👇
ইংরেজি কবিতা:-
1) সিদ্ধার্থ সিংহ
2) সাবির আহমেদ
প্রবন্ধ:-
3) অগ্নিমিত্র
4) রাজা দেবরায়
ছোটোগল্প:-
5) ইউসুফ মোল্লা
6) আব্দুল রাহাজ
মজার ছড়া:-
7) রাজ কুমার ঘোষ
কবিতা:-
8) বিমান প্রামানিক
9) ঋদেনদিক মিত্রও
10) তাপস বর্মন
11) হামিদুল ইসলাম
12) বিশ্বজিৎ কর
13) মিনতি গোস্বামী
14) দীপেশ নাগ
15) রুহুল আমিন
16) চিরশ্রী কুন্ডু
গুচ্ছ কবিতা;-
17) মহীতোষ গায়েন
কবিতা:-
18) মিলন পুরকাইত
19) কৌশিক দে সরকার
20) বিপ্লব গোস্বামী
1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣1⃣
Untie
Siddhartha Singha
Siddhartha Singha
Untie Untie Untie
Untie everything you find everywhere
Untie everything you find everywhere
Untie the pebble tied by red thread on the tree of sasthi
that you have vowed
women you can Untie and forget the knot of your cloth end
tied in doubt
Untie the fist full of stolen pickles taken from the jar
under the sun.
that you have vowed
women you can Untie and forget the knot of your cloth end
tied in doubt
Untie the fist full of stolen pickles taken from the jar
under the sun.
Untie Untie Untie
Untie everything you find everywhere
Untie everything you find everywhere
My time of crossing the threshhold has come.
Ille Ignis Fatuus
(Will-O-the-wisp)
by Sabir Ahmed
(Will-O-the-wisp)
by Sabir Ahmed
Upon this marsh,the foolish fire is ignited,
With its beauty to confound the eyewitness,
Like the aurora from a great distance;
Just as desire,jealousy,covetousness,greed,
Draw the world towards themselves.
While flickering inside the dark shadows,
Not far from the winding road puts out;
In a form like the colour of morning glory.
The more the enjoyers try to reach near it,
The more it moves wearily.
প্রবন্ধ
সাহিত্য সম্রাট
- অগ্নিমিত্র
বাংলায় যিনি প্রথম সফল ঔপন্যাসিক, তিনিই আবার ভারতের প্রথম ইংরেজি ভাষায় উপন্যাস রচয়িতা ও বাংলার প্রথম বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ রচনাকারও। তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ..তাঁর লেখা বন্দে মাতরম গান মন্ত্রের মতো গাইতেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা । আর এই গানে সুর দিয়েছিলেন স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । যাঁর বিশ্বকবি উপাধি আবার কিনা বঙ্কিমচন্দ্রেরই দেওয়া ।..
বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এক অনন্য, অপ্রতিম ব্যক্তিত্ব । অতি অনায়াসে ব্যস্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের চাকরিজীবন ও সাহিত্য সেবার মধ্যে সাযুজ্য ও সামঞ্জস্য রেখে উনি চলেছিলেন আজীবন । হিন্দু ধর্মের উন্নতি ও পুনরুত্থানের জন্য সওয়ালও করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র ।
এই সুমহান লেখকের জন্মলগ্নে আন্তরিক শ্রদ্ধা রইল ।।
With its beauty to confound the eyewitness,
Like the aurora from a great distance;
Just as desire,jealousy,covetousness,greed,
Draw the world towards themselves.
While flickering inside the dark shadows,
Not far from the winding road puts out;
In a form like the colour of morning glory.
The more the enjoyers try to reach near it,
The more it moves wearily.
প্রবন্ধ
সাহিত্য সম্রাট
- অগ্নিমিত্র
বাংলায় যিনি প্রথম সফল ঔপন্যাসিক, তিনিই আবার ভারতের প্রথম ইংরেজি ভাষায় উপন্যাস রচয়িতা ও বাংলার প্রথম বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ রচনাকারও। তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ..তাঁর লেখা বন্দে মাতরম গান মন্ত্রের মতো গাইতেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা । আর এই গানে সুর দিয়েছিলেন স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । যাঁর বিশ্বকবি উপাধি আবার কিনা বঙ্কিমচন্দ্রেরই দেওয়া ।..
বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এক অনন্য, অপ্রতিম ব্যক্তিত্ব । অতি অনায়াসে ব্যস্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের চাকরিজীবন ও সাহিত্য সেবার মধ্যে সাযুজ্য ও সামঞ্জস্য রেখে উনি চলেছিলেন আজীবন । হিন্দু ধর্মের উন্নতি ও পুনরুত্থানের জন্য সওয়ালও করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র ।
এই সুমহান লেখকের জন্মলগ্নে আন্তরিক শ্রদ্ধা রইল ।।
ছোটোগল্প
পরিযায়ী
ইউসুফ মোল্লা
পরিযায়ী
ইউসুফ মোল্লা
হঠাৎ রাজু বলে ওঠে, চল মামার বাড়ি যাই। অনেক দিন হলো মামার বাড়িতে যাওয়া হয় নি, আর তোকেও মামার বাড়িটা দেখিয়ে আনা হবে। সাকিব রাজুর সবচেয়ে কাছের বন্ধু। এর আগে সাকিবের মামার বাড়িতে রাজু ঘুরে এসেছে দু'বার। তাই রাজুও ভাবলো সাকিবকে তাদের মামার বাড়িতে নিয়ে যাবে।
পরদিন সকালে তারা তাদের বাইকে চড়ে মামার বাড়ির দিকে রওনা দিল। কিছুটা দূরে যাওয়ার পর দেখলো রাস্তায় অনেক লোকের ভীড়। সাকিব বললো, কী হয়েছে রে রাজু! রাজু বললো, ও যা হয় হোক গে, চল, দেরি হয়ে গেলে আবার বাড়ি ফিরে আসা যাবে না। ওদিকের রাস্তা যা ফাঁকা থাকে ভয় করে। মামার মুখ থেকে অনেকবার শুনেছি ইদানীং চুরি-ডাকাতি হতে। দু'জনে তাই পাশ কাটিয়ে চলে গেল।
রাজুর মামার বাড়িতে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে দু'জনে বাড়ি আসতে চাইলো, কিন্তু মামী বার বার বারণ করলো ওদিকে রাস্তা ভালো নয়, আজ রাতে থেকে যা তোরা। কাল সকালে চলে যাবি। কিন্তু দু'জনে জোর করে চলে এলো। আসতে আসতে ঠিক সেই ফাঁকা রাস্তায় এক যুবতী মেয়ে তাদের বাইকের সামনে এমনভাবে এসে পড়লো, সাকিব হঠাৎ বাইকের ব্রেক কোষে সেই মেয়েটাকে বাঁচিয়ে নিল, আর একটু হলেই বিপদ ঘটতে পারতো। দু'জনে তো ভয়ে কাঁপতে লাগলো, তারপর রাজু বললো, 'কে আপনি?' মেয়েটা বললো, আমি তিনদিন কিছু খাইনি। কিছু টাকা হবে। তারা দু'জন রেগে বললো, এইভাবে কেউ বাইকের সামনে এসে টাকা চায়, কিছু হয়ে গেলে..... তারপর দু'জনে দু'শ টাকা দিয়ে বললো, তোমার কেউ নেই। মেয়েটি কিছু না বলে পাশের বন জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে গেল।
বাড়ির কাছের সেই জায়গাটাতে এখনও অনেক ভীড়। দু'জনে তাই গাড়ি পাশে রেখে ব্যাপারটা জানতে নিচে নামলো। তাদের বন্ধু সৌমেনকে দেখতে পেয়ে বললো, কী হয়েছে রে? সৌমেন বললো, একটা পাগলী নাকি অনেক দিন না খেতে পেয়ে, এই আধঘণ্টা আগে মারা গেল। এখানে বাড়ি নয়, অন্য কোন রাজ্য থেকে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। করোনার ভয়ে কেউ তার কাছে যায়নি। এবার বোধহয় পুলিশ আসবে চল পালাই। এখানে থাকলে পুলিশ অনেক প্রশ্ন করবে- কেউ কিছু খেতে দেয়নি কেন? আমাদের আগে খবর দাওনি কেন? নানা প্রশ্ন, তার আগে চল কেটে পড়ি। তারা দুজন তো অবাক, সেই একই কথা, না খেতে পাওয়া। লাশটাকে দেখবে বলে দু'জন তার কাছে যায়। গিয়ে দেখে অবাক। এ তো সেই মেয়েটা। কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি তো এখানে আসতে পারবে না। আর সকালেই তো এর জন্য ভীড় হয়েছিল। তাহলে ওই মেয়েটা কে ছিল! সাকিব ভাবতে থাকে, না খেতে পেয়ে মরা, তাহলে কী ভীষণ কষ্ট হয়েছিল! যদি সকালে দাঁড়াতাম, তাহলে হয়তো....
রাজু ভাবে, পুলিশ কেন, আমার মনও তো এই প্রশ্নগুলো করছে। ওখানেই দাঁড়িয়ে দু'জনে ঠিক করে, আজ থেকে তারা পাড়ায় পাড়ায় খবর নেবে, কে খেতে পায় না, তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করবে, যেখান থেকে হোক সাহায্য জোগাড় করে। পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবারের যোগান দেবেন। সবার কাছে সাহায্য চাইতে থাকে। আস্তে আস্তে সৌমেন, আরিফ আরো অনেক বন্ধু মিলে এই কাজে শামিল হয়। আজ তাদের পাশে একটা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও যুক্ত হয়েছে। আশেপাশের অনেক না খেতে পাওয়া মানুষ আজ না খেতে পেয়ে মরে না।
রাজু ভাবে, পুলিশ কেন, আমার মনও তো এই প্রশ্নগুলো করছে। ওখানেই দাঁড়িয়ে দু'জনে ঠিক করে, আজ থেকে তারা পাড়ায় পাড়ায় খবর নেবে, কে খেতে পায় না, তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করবে, যেখান থেকে হোক সাহায্য জোগাড় করে। পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবারের যোগান দেবেন। সবার কাছে সাহায্য চাইতে থাকে। আস্তে আস্তে সৌমেন, আরিফ আরো অনেক বন্ধু মিলে এই কাজে শামিল হয়। আজ তাদের পাশে একটা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও যুক্ত হয়েছে। আশেপাশের অনেক না খেতে পাওয়া মানুষ আজ না খেতে পেয়ে মরে না।
'কর্পোরেট' চালাকি !
~ রাজা দেবরায়
~ রাজা দেবরায়
ছাত্র জীবনে প্রায় সবাই এই কথাই শুনে আসছে - "ভালোভাবে না পড়লে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে না" এবং "ভালো নম্বর না পেলে ভালো চাকরি পাওয়া যাবে না" ।
আসলে নম্বর কত পেলো সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় । নম্বরই শেষ কথা বলে বা বলবে সেটাও নয় । নম্বর দরকারী - এই কথাটা সৃষ্টি করেছে 'কর্পোরেট' দুনিয়া । নম্বরের পেছনে ভাগো তাহলেই আপনি "সফল কেরিয়ার" পাবেন ।
আসলে নম্বরের পিছু ভাগা বা এই যে তথাকথিত "কম্পিটিশন" এগুলো সৃষ্টি করা হয়েছে একটি চতুর উদ্দেশ্যে । আপনি শুধু এগুলো নিয়েই ভাবুন বা এগুলো নিয়েই পড়ে থকুন সবসময়, অন্যকিছু ভাবতে হবে না আপনাকে, (এভাবে আরো বলা ভালো) ভাবার অবকাশই দেওয়া হবে না আপনাকে । ভাবলেই তো মহা ঝামেলা ! অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য, ক্ষমতার উদ্দেশ্য ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হবে যে ভাবলে ! তাই "কম্পিটিশন" বানানো হয়েছে !!
আর 'কর্পোরেট' খুব চালাকি করে সেটায় রাজনৈতিক দলগুলোকে যুক্ত করে । আমরা ভাবি রাজনৈতিক নেতারাই আসল দায়ী । তাদের গালাগাল দিই, অপছন্দ করি ইত্যাদি । আসলে এটাও 'কর্পোরেট'-এর চাল । তারা চুপ করে মজা দেখতে থাকে ! আর গোটা বিশ্বকে রাজত্ব করে । আমরা সাধারণ মানুষ ভাবি অন্য কেউ রাজত্ব করে বা ক্ষমতা ভোগ করে ।।
(বাকিটা আগামী পর্বে)
প্রান্তিক মানুষ
ছোট গল্প
আব্দুল রাহাজ
ছোট গল্প
আব্দুল রাহাজ
পাহাড় ঘেঁষা বেশ কতকগুলি জনবসতি ছিল তারা খুবই প্রান্তিক দুবেলা দুমুঠো ভাত ঠিকমত খেতে পায়না এইসব মানুষগুলো পাহাড়ের উপরের দিকে
পাদদেশে গভীর বনে যেত ফলমূল কাঠ সংগ্রহ করত সেখানে থেকে যা পেতো তো তাই দিয়ে কোনরকম তাদের সংসার চলে যেত। সেইসব মানুষ গুলো সত্যিই অসহায় অবস্থায় দিন গুলো কাটায় তাদের মন সরল সাদাসিদে কোন স্বার্থপরতা নেই প্রকৃতি মাকে ভরসা করে চলে যায় দিনের পর দিন বছরের পর বছর। ওদের ছেলেমেয়ে গুলো স্কুলে পড়ে ঠিকই কিন্তু তাদের ভবিষ্যৎ কোথাও যেন কালো অন্ধকারের ইতি টানছে। তবুও তারা জীবন-সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে দিনগুলো কাটিয়ে সমাজে বেঁচে আছে। একবার পাহাড় বন নদী ঘেরা একটা ছোট্ট আদিবাসী অঞ্চল যেখানে বাস করত সাঁওতাল মুন্ডা টুডু উপজাতিরা সত্যিই তারা যেন প্রান্তিক দেখলেও তাদের জন্য মনটা যেন কেঁদে ওঠে। সেই আদিবাসী গ্রামের পাহাড় ঘেঁষা কতগুলি জনবসতির ছেলেমেয়েরা একই স্কুলে পড়ে হরেন টুডু মান্ডি সারেনরা খুবই ভালো ওরা সবাই বন্ধু তারা পরস্পরের বিপদে সাহায্য করে।বিশ্ব মায়ের কোলে সভ্য সমাজের মানুষের কাছে এই প্রান্তিক মানুষগুলো কোথাও যেন অন্তরালে পড়ে যাচ্ছে তাদের জীবন-জীবিকা দিয়ে এই কঠিন সংগ্রাম বাস্তব জীবনকে উপভোগ করছে। একদিন গভীর বনে রওনা দিলেন আদিবাসী ছেলেমেয়েরা তাদের খুব অভাব দেখা দিয়েছে পেটের টানে চলেছে গ্রামের দশ মাইল দূরে ছোট্ট বন আঁধির কাছেএই প্রান্তিক মানুষ গুলো বিশ্বাস করতেন তাদের অভাব দুর্দিনের মধ্যে এই আঁধি তাদের সাহায্য করে সেইমতো তারা রওনা দিল সাথে চির টুডু সরেন মান্ডি আর হরেন সেখান থেকে প্রকৃতির মা তাদের বোনের ফলমূল কাঠ আরো অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে তাদের সেই পাহাড় ঘেঁষা বিশ্ব মায়ের কোলে থাকা ছোট্ট জনবসতিতে ফিরে এলো আর সবুজে ঘেরা আদিবাসী অঞ্চলে ফিরে আসতেই ওরা চারিদিকেই যেন আনন্দের ঘনঘটায় যেন উৎসবের হিমেল বাতাস বইছে। প্রান্তিক মানুষের মুখে চওড়া হাসি দেখে প্রকৃতির যেনো
শান্তি পায়। এই মানুষগুলো তাদের এই দুদিন কে উপভোগ করে মনের কষ্ট কে চেপে রেখে। এইসব মানুষগুলো চাই শান্তি দুবেলা-দুমুঠো খেতে সমাজে একটু বাঁচতেকিন্তু অশুভ মানুষের দ্বারে গিয়ে হয় লাঞ্চিত বঞ্চিত যা এই প্রান্তিক মানুষগুলো যেন কোথাও ছায়ার মধ্যে হারিয়ে যেতে চলেছে। পুড়েছে প্রান্তিক মানুষ ওরাতো বঞ্চিত ওদেরকে সবাই যে সাহায্য করো এইসব কথা হরেন টুডু মান্ডি গ্রামের পাঠশালার পুস্তকে পড়েছে আর ভাবছে আমাদের কেউ সাহায্য করবে তাহলে তো আমরা ফিরে পাব আবার শান্তি ফিরে পাবো ভাতের স্বাদ যা ঠিকমতো নেয়া হয় না আমাদের। আদিবাসী অঞ্চলের ছোট্ট নদী আর ঐদিকে পাহাড় ঘেঁষে প্রান্তিক জনবসতির মানুষগুলো শীতের দিনে বহু তো কষ্ট নিয়ে জীবন যাপন করে এই সময় পরিযায়ী পাখিরা তাদের আশেপাশের অঞ্চলে আসে এর ফলে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এই সময় ভিড় চোখে পড়ে ভালোই উপভোগ করেন প্রকৃতির মায়া সৌন্দর্য্যকে কিন্তু তাদের চোখ পড়ে না সেইসব প্রান্তিক মানুষের জীবনধারণের দিকে এই সময় ওই মানুষগুলো ফিরে থাকে তাদের দিকে কখন তাদের সাহায্য করবে এই আশায় থাকে শীতের দিনগুলোতে। একদিন হরেন সরেন মান্ডি টুডুরা বনের পথ দিয়ে স্কুলের পথে রওনাপ্রতিদিন ওরা না খেয়ে আসে ওরা একটু পানি বা জল খেয়ে এসেছে স্কুলটা প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে এইজন্য ওরা সকালে বেরিয়েছে এবার হাটছে হাটছে ওরা গভীর বন পার হলো গভীর বন পার হলেই তাদের স্কুল। এইসময় টুডু আর খিদে সহ্য না করতে পেরে একজন ব্যক্তির কাছে গেল সে ওখানে এসেছে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে তারপর ওরা বলল কাকু কাকু একটা টাকা দেবেন খুব খিদে পেয়েছে বিস্কুট কিনে খাব তখন ঐ ব্যক্তি বলল তোমরা বিস্কুট খাবে তাহলে চলো আমি তোমাদের বিস্কুট কিনে দেবো তখন ওদের মনে একটু শান্তির ছায়া এল একগাল হাসি নিয়ে দোকানে গিয়ে বিস্কুট নিয়ে খেতে লাগলো ব্যক্তিটি জিজ্ঞাসা করল তোমরা কোথায় যাবে ওরা বললেই তো একটা গভীর বাম্পার হলেই আমাদের স্কুলে আমাদের বাড়ি এখান থেকে দশ কিলোমিটার দূরে আমরা এই কয়েকজন প্রতিদিন হেঁটে হেঁটে স্কুলে যায় ব্যক্তি বলল আচ্ছা তাহলে যাও দেরি হয়ে গেল তো হ্যাঁ যায় ব্যক্তির মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের কাছ থেকে বিদায় নিল ওরা হাসিমুখে স্কুলে চলে গেল সেখানে পর্ব শেষ করে ওরা বাড়ির পথে রওনা দিল এরপর বাড়ি ফিরে সেই বিস্কুট নিজেরা কিছুটা খেয়ে বাবা-মায়ের হাতে দিয়ে বললো বিস্কুট খাও তখন টুডু বাবা বলল এসব কোথা থেকে পেলি বলল আজ স্কুলে যাওয়ার পথে একজন ব্যক্তি বিস্কুট কিনে দিয়েছিল। এরপর পুরো ঘটনাটা তার বাবা-মায়ের সাথে বলল তারপর ওরা অশ্রুসিক্ত চোখে বলে উঠলো তাহলে এখনো ভালো মানুষের ছাপ আছে আমাদের কথা এখনো ভাবে খুবই ভালো লাগলো।এরপর এই প্রান্তিক মানুষগুলো সাংস্কৃতিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান কে অন্য মর্যাদা নিয়ে গিয়ে পালন করত। প্রান্তিক হলেও তাদের মনে ভেদাভেদ হিংসা ভুলে ওরা মেতে উঠতো তাদের পড়ো পরব পার্বনে। খাওয়া-দাওয়ার অসুবিধা থাকলেও ওরা যেন প্রকৃতির মাঝে এই পৃথিবীর বুকে আঁকড়ে ধরে বাঁচে জীবন চলার পথে ওরা বিভিন্ন বাধা জয় করে ওরা আজও বেঁচে আছে সবার মাঝে। এই মানুষগুলো তাদের জীবন ধারণের মধ্য দিয়ে চাই শান্তি আবহাওয়া কিন্তু তাতে কোথাও যেন অবহেলার মত পড়ে থাকে এই সুন্দর মায়া ভরা পৃথিবীর ছায়া তলে। পাহাড় ঘেঁষা জনবসতি গুলি আর পাহাড় বন নদী ঘেরা মানুষগুলো জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দুবেলা দুমুঠো ভাতের আশায় ওরা পরিশ্রম করে আসছে দিনের পর দিন যুগের পর যুগ তবু আজও তারা প্রান্তিক প্রান্তিক।
"হে সভ্য সমাজের মানুষ তাদের আর অন্তরালে ঠেলে দিও না তাদেরকে বাঁচাও ফিরিয়ে আনো খেতে দাও ভাত সাহায্য করো তাদের পাশে দাঁড়াও"
শান্তি পায়। এই মানুষগুলো তাদের এই দুদিন কে উপভোগ করে মনের কষ্ট কে চেপে রেখে। এইসব মানুষগুলো চাই শান্তি দুবেলা-দুমুঠো খেতে সমাজে একটু বাঁচতেকিন্তু অশুভ মানুষের দ্বারে গিয়ে হয় লাঞ্চিত বঞ্চিত যা এই প্রান্তিক মানুষগুলো যেন কোথাও ছায়ার মধ্যে হারিয়ে যেতে চলেছে। পুড়েছে প্রান্তিক মানুষ ওরাতো বঞ্চিত ওদেরকে সবাই যে সাহায্য করো এইসব কথা হরেন টুডু মান্ডি গ্রামের পাঠশালার পুস্তকে পড়েছে আর ভাবছে আমাদের কেউ সাহায্য করবে তাহলে তো আমরা ফিরে পাব আবার শান্তি ফিরে পাবো ভাতের স্বাদ যা ঠিকমতো নেয়া হয় না আমাদের। আদিবাসী অঞ্চলের ছোট্ট নদী আর ঐদিকে পাহাড় ঘেঁষে প্রান্তিক জনবসতির মানুষগুলো শীতের দিনে বহু তো কষ্ট নিয়ে জীবন যাপন করে এই সময় পরিযায়ী পাখিরা তাদের আশেপাশের অঞ্চলে আসে এর ফলে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এই সময় ভিড় চোখে পড়ে ভালোই উপভোগ করেন প্রকৃতির মায়া সৌন্দর্য্যকে কিন্তু তাদের চোখ পড়ে না সেইসব প্রান্তিক মানুষের জীবনধারণের দিকে এই সময় ওই মানুষগুলো ফিরে থাকে তাদের দিকে কখন তাদের সাহায্য করবে এই আশায় থাকে শীতের দিনগুলোতে। একদিন হরেন সরেন মান্ডি টুডুরা বনের পথ দিয়ে স্কুলের পথে রওনাপ্রতিদিন ওরা না খেয়ে আসে ওরা একটু পানি বা জল খেয়ে এসেছে স্কুলটা প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে এইজন্য ওরা সকালে বেরিয়েছে এবার হাটছে হাটছে ওরা গভীর বন পার হলো গভীর বন পার হলেই তাদের স্কুল। এইসময় টুডু আর খিদে সহ্য না করতে পেরে একজন ব্যক্তির কাছে গেল সে ওখানে এসেছে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে তারপর ওরা বলল কাকু কাকু একটা টাকা দেবেন খুব খিদে পেয়েছে বিস্কুট কিনে খাব তখন ঐ ব্যক্তি বলল তোমরা বিস্কুট খাবে তাহলে চলো আমি তোমাদের বিস্কুট কিনে দেবো তখন ওদের মনে একটু শান্তির ছায়া এল একগাল হাসি নিয়ে দোকানে গিয়ে বিস্কুট নিয়ে খেতে লাগলো ব্যক্তিটি জিজ্ঞাসা করল তোমরা কোথায় যাবে ওরা বললেই তো একটা গভীর বাম্পার হলেই আমাদের স্কুলে আমাদের বাড়ি এখান থেকে দশ কিলোমিটার দূরে আমরা এই কয়েকজন প্রতিদিন হেঁটে হেঁটে স্কুলে যায় ব্যক্তি বলল আচ্ছা তাহলে যাও দেরি হয়ে গেল তো হ্যাঁ যায় ব্যক্তির মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের কাছ থেকে বিদায় নিল ওরা হাসিমুখে স্কুলে চলে গেল সেখানে পর্ব শেষ করে ওরা বাড়ির পথে রওনা দিল এরপর বাড়ি ফিরে সেই বিস্কুট নিজেরা কিছুটা খেয়ে বাবা-মায়ের হাতে দিয়ে বললো বিস্কুট খাও তখন টুডু বাবা বলল এসব কোথা থেকে পেলি বলল আজ স্কুলে যাওয়ার পথে একজন ব্যক্তি বিস্কুট কিনে দিয়েছিল। এরপর পুরো ঘটনাটা তার বাবা-মায়ের সাথে বলল তারপর ওরা অশ্রুসিক্ত চোখে বলে উঠলো তাহলে এখনো ভালো মানুষের ছাপ আছে আমাদের কথা এখনো ভাবে খুবই ভালো লাগলো।এরপর এই প্রান্তিক মানুষগুলো সাংস্কৃতিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান কে অন্য মর্যাদা নিয়ে গিয়ে পালন করত। প্রান্তিক হলেও তাদের মনে ভেদাভেদ হিংসা ভুলে ওরা মেতে উঠতো তাদের পড়ো পরব পার্বনে। খাওয়া-দাওয়ার অসুবিধা থাকলেও ওরা যেন প্রকৃতির মাঝে এই পৃথিবীর বুকে আঁকড়ে ধরে বাঁচে জীবন চলার পথে ওরা বিভিন্ন বাধা জয় করে ওরা আজও বেঁচে আছে সবার মাঝে। এই মানুষগুলো তাদের জীবন ধারণের মধ্য দিয়ে চাই শান্তি আবহাওয়া কিন্তু তাতে কোথাও যেন অবহেলার মত পড়ে থাকে এই সুন্দর মায়া ভরা পৃথিবীর ছায়া তলে। পাহাড় ঘেঁষা জনবসতি গুলি আর পাহাড় বন নদী ঘেরা মানুষগুলো জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দুবেলা দুমুঠো ভাতের আশায় ওরা পরিশ্রম করে আসছে দিনের পর দিন যুগের পর যুগ তবু আজও তারা প্রান্তিক প্রান্তিক।
"হে সভ্য সমাজের মানুষ তাদের আর অন্তরালে ঠেলে দিও না তাদেরকে বাঁচাও ফিরিয়ে আনো খেতে দাও ভাত সাহায্য করো তাদের পাশে দাঁড়াও"
চিন্তামনীর ভাষণ
রাজকুমার ঘোষ
রাজকুমার ঘোষ
জয় হো নেতা চিন্তামনী,
বাতেলা তে শ্রেষ্ঠ !
ছাত্রাবেলায় স্কুলে ছিল,
কলিযুগের কেষ্ট ।
বাতেলা তে শ্রেষ্ঠ !
ছাত্রাবেলায় স্কুলে ছিল,
কলিযুগের কেষ্ট ।
কাজ কর্মে সুযোগ দেবে,
ঢালোয়া প্রতিশ্রুতি !
কাজ ফুরোলে ডিকশনারির
সব শব্দের ইতি ।
ঢালোয়া প্রতিশ্রুতি !
কাজ ফুরোলে ডিকশনারির
সব শব্দের ইতি ।
ধনিলোকের পা ধরে,
গরিবের রক্ত চোষে ……
নিজের কাজের স্বার্থে,
বড় গুন্ডা পোষে ।
গরিবের রক্ত চোষে ……
নিজের কাজের স্বার্থে,
বড় গুন্ডা পোষে ।
মাঝে মাঝে সখটি জাগে
হবেই দুঃশাসন ।
তবু কেন সবাই শোনে
চিন্তামনীর ভাষণ?
হবেই দুঃশাসন ।
তবু কেন সবাই শোনে
চিন্তামনীর ভাষণ?
নয় প্রবাসী
বিমান প্রামানিক
বিমান প্রামানিক
শাক ভাত খেয়ে বেঁচে আছি সুখে
থাকুক হাজার দুঃখ আমার বুকেতে।
তবুও তো নিজের গ্রামেই করি বাস।
থাকুক হাজার দুঃখ আমার বুকেতে।
তবুও তো নিজের গ্রামেই করি বাস।
ভাবে তারা টাকা পয়সা অনেক এখানে
কিন্তু সুখের ঠিকানা স্বদেশের কোনে।
যারা থাকে বিদেশেই বারোমাস।
কিন্তু সুখের ঠিকানা স্বদেশের কোনে।
যারা থাকে বিদেশেই বারোমাস।
নিজ ভুমি স্বর্গ যেন এক আমার কাছে
তাই বিদেশে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন আজ মিছে।
প্রবাসী কত ছেলে করে কত উপহাস।
তাই বিদেশে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন আজ মিছে।
প্রবাসী কত ছেলে করে কত উপহাস।
বিদেশ থেকে শুধু আসে অর্থটুকু, তাতে নয় সম্মান
অর্থ অহংকারে তারাই স্বদেশীদের করে অপমান।
ভুলে যায় তারা, এটাই তার গর্ভবাস।
অর্থ অহংকারে তারাই স্বদেশীদের করে অপমান।
ভুলে যায় তারা, এটাই তার গর্ভবাস।
এ মাটিতেই জন্ম যখন ভুলিব কেমনে তারে
এই মাটিতেই হোক মরণ, জীবনে চাই শতবারে।
কেন যায় ওরা বিদেশে! হয়ে অন্যের দাস!
এই মাটিতেই হোক মরণ, জীবনে চাই শতবারে।
কেন যায় ওরা বিদেশে! হয়ে অন্যের দাস!
স্ববাসভুমি আজ নিজের করে গড়ি পুনর্বার
বাধা,বিপদ,ঝঞ্ঝা,তুফান যতই আসুক আবার।
তবু শান্তির নীড়ে আনন্দে করি বাস।
বাধা,বিপদ,ঝঞ্ঝা,তুফান যতই আসুক আবার।
তবু শান্তির নীড়ে আনন্দে করি বাস।
দূর ঠিকানায় পাড়ি দিলে আপন সবাই পর
গ্রামের সবার সাথেই সুখী, গ্রামেই যখন ঘর।
স্বাধীন চেতা হয়ে বাঁচার থাকে অবকাশ।
গ্রামের সবার সাথেই সুখী, গ্রামেই যখন ঘর।
স্বাধীন চেতা হয়ে বাঁচার থাকে অবকাশ।
সুখে দুঃখে পাশে থাকি, তাদেরও পাই পাশে
তাইতো সুখী আমরা সবাই আছি নিজের দেশে।
সবার কথা ভুলে তাই চাই না যেতে প্রবাস।
তাইতো সুখী আমরা সবাই আছি নিজের দেশে।
সবার কথা ভুলে তাই চাই না যেতে প্রবাস।
রামদেব কথা
ঋদেনদিক মিত্রো
ঋদেনদিক মিত্রো
রামদেব মালটা অন্য জিনিস,
তাই তার দ্রব্য বন্য জিনিস,
একবার নিয়ে আসি সর্ষের তেল,
তার সব দ্রব্যের নাকি খুব সেল,
প্যাকেট টা কিনে নিয়ে বাড়িতে আসি,
খুলে দেখি দুর্গন্ধ,
রাগ নিয়ে হাসি,
এর নাম রামদেব, কেউ বলে শালা,
একে কারা দিয়ে যায় ফুলে গাঁথা মালা,
সেই তেল কিছুটা খেয়ে রান্নায়,
অসুস্থ লাগতো , বিষাক্ত প্রায়,
ফেলে দিতে বাধ্য হলাম তখন,
পড়েছি লোকটা নাকি এতোই কৃপণ,
ওর যে NGO, কর্মীদিগে
দিতোনা বেতন ঠিক জানতো বা কে,
ওরই কর্মী সব বলে ছিলো তাই,
এদেশে মহামানব সাজে যে এরাই,
সরকার বেয়াদপ পায় কালো টাকা,
তাইতো এদের সাথে পিরিত টা মাখা,
কোনো আইন, প্রতিবাদ, নেই ঠেকাতে,
দেশটা চলছে পুরো ঢপে ও পাপে,
কিন্তু যদি করেন ওর নির্দেশে
আলাদা ভেষজ কিনে বাড়িতে এসে
নিজেই বানাতে চান কোনো ঔষধ,
সেটায় সারতে পারে হয় তো বা রোগ,
কিন্তু কোনোও মাল প্যাকেজিং হলে,
সেই মাল হতে পারে ঢপ --- ফলাফলে,
নামটা কী রামদেব,
নয় শুধু রাম,
রামের ওপরে তার
দেব সম্মান,
যত কি চিটিং বাজ
এই দেশে পেয়ে যায় বড় সম্মান !
একেবারে বিষাক্ত রামের সাবান,
আমার অভিজ্ঞতা আমি বললাম,
নিজে কী করবেন, নিজেই ভাবুন,
খেতে যাবো এখন, তাই, আমি চললাম,
তাই তার দ্রব্য বন্য জিনিস,
একবার নিয়ে আসি সর্ষের তেল,
তার সব দ্রব্যের নাকি খুব সেল,
প্যাকেট টা কিনে নিয়ে বাড়িতে আসি,
খুলে দেখি দুর্গন্ধ,
রাগ নিয়ে হাসি,
এর নাম রামদেব, কেউ বলে শালা,
একে কারা দিয়ে যায় ফুলে গাঁথা মালা,
সেই তেল কিছুটা খেয়ে রান্নায়,
অসুস্থ লাগতো , বিষাক্ত প্রায়,
ফেলে দিতে বাধ্য হলাম তখন,
পড়েছি লোকটা নাকি এতোই কৃপণ,
ওর যে NGO, কর্মীদিগে
দিতোনা বেতন ঠিক জানতো বা কে,
ওরই কর্মী সব বলে ছিলো তাই,
এদেশে মহামানব সাজে যে এরাই,
সরকার বেয়াদপ পায় কালো টাকা,
তাইতো এদের সাথে পিরিত টা মাখা,
কোনো আইন, প্রতিবাদ, নেই ঠেকাতে,
দেশটা চলছে পুরো ঢপে ও পাপে,
কিন্তু যদি করেন ওর নির্দেশে
আলাদা ভেষজ কিনে বাড়িতে এসে
নিজেই বানাতে চান কোনো ঔষধ,
সেটায় সারতে পারে হয় তো বা রোগ,
কিন্তু কোনোও মাল প্যাকেজিং হলে,
সেই মাল হতে পারে ঢপ --- ফলাফলে,
নামটা কী রামদেব,
নয় শুধু রাম,
রামের ওপরে তার
দেব সম্মান,
যত কি চিটিং বাজ
এই দেশে পেয়ে যায় বড় সম্মান !
একেবারে বিষাক্ত রামের সাবান,
আমার অভিজ্ঞতা আমি বললাম,
নিজে কী করবেন, নিজেই ভাবুন,
খেতে যাবো এখন, তাই, আমি চললাম,
বিষয়: কবিতা
বৃষ্টি আসুক
তাপস বর্মন
বৃষ্টি আসুক
তাপস বর্মন
ঝম ঝমিয়ে বৃষ্টি আসুক
ধুইয়ে দিক সব,
ধুইয়ে দিক শিশুশ্রম
আনুক কলরব।
ধুইয়ে দিক ক্ষুধার্ত চোখ
জীর্ণ দেহ জরা,
ধুইয়ে দিক মলিনতা
রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভরা।
ঝম ঝমিয়ে বৃষ্টি আসুক
কালো হাতের পরে,
ধুইয়ে দিক সমাজ ব্যাধি
হাসি ফিরুক ঘরে।
ধুইয়ে দিক মনের জানালা
ভাসুক স্বপ্নের টানে,
ধুইয়ে দিক নষ্ট জীবন
প্লাবন আসুক প্রাণে।
ধুইয়ে দিক সব,
ধুইয়ে দিক শিশুশ্রম
আনুক কলরব।
ধুইয়ে দিক ক্ষুধার্ত চোখ
জীর্ণ দেহ জরা,
ধুইয়ে দিক মলিনতা
রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভরা।
ঝম ঝমিয়ে বৃষ্টি আসুক
কালো হাতের পরে,
ধুইয়ে দিক সমাজ ব্যাধি
হাসি ফিরুক ঘরে।
ধুইয়ে দিক মনের জানালা
ভাসুক স্বপ্নের টানে,
ধুইয়ে দিক নষ্ট জীবন
প্লাবন আসুক প্রাণে।
বৃদ্ধ
হামিদুল ইসলাম।
হামিদুল ইসলাম।
আমি ধীরে ধীরে
বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছি
সেটা বুঝতে পারি নি কোনোদিন
এখন চুলে পাক ধরেছে
বোঝা যায় আয়নার সামনে দাঁড়ালে
তাই বেশিক্ষণ দাঁড়াবার সাহস রাখি না ।।
বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছি
সেটা বুঝতে পারি নি কোনোদিন
এখন চুলে পাক ধরেছে
বোঝা যায় আয়নার সামনে দাঁড়ালে
তাই বেশিক্ষণ দাঁড়াবার সাহস রাখি না ।।
তবু দাঁত মজবুত
মজবুত শরীর কাঠামো
দু একটা জওয়ান আমার কাছে প্রতিদিন পদানত
খাওয়ার কোনো বাদ বিচার নেই
যা পাই খাই
শরীরটা লোহা। কালাপাহাড় ।।
মজবুত শরীর কাঠামো
দু একটা জওয়ান আমার কাছে প্রতিদিন পদানত
খাওয়ার কোনো বাদ বিচার নেই
যা পাই খাই
শরীরটা লোহা। কালাপাহাড় ।।
বাবা আমার বিয়ের চেষ্টা করেছেন
বহুবার
বাবাকে ' হ্যাঁ ' বলি নি কোনোদিন
এর মধ্যে বাবা চলে গেলেন
মা অর্থব্য
এখন বুঝেছি বিয়ের প্রয়োজনীয়তা ।।
বহুবার
বাবাকে ' হ্যাঁ ' বলি নি কোনোদিন
এর মধ্যে বাবা চলে গেলেন
মা অর্থব্য
এখন বুঝেছি বিয়ের প্রয়োজনীয়তা ।।
এখন আমাকে মেয়েরা দেখলেই
নাক সিঁটকোয়
আমার না কি অনেক বয়েস হয়ে গেছে
সত্যিই তো এ বয়েসে মেয়ে পাওয়া
সত্যিই মুস্কিল
আমি ধীরে ধীরে বৃদ্ধ হয়েছি বুঝতেই পারি নি ।।
নাক সিঁটকোয়
আমার না কি অনেক বয়েস হয়ে গেছে
সত্যিই তো এ বয়েসে মেয়ে পাওয়া
সত্যিই মুস্কিল
আমি ধীরে ধীরে বৃদ্ধ হয়েছি বুঝতেই পারি নি ।।
কবিতা
জীবনদর্শন !
বিশ্বজিৎ কর
জীবনদর্শন !
বিশ্বজিৎ কর
সাঁঝবেলাতে পড়ে তোমায় -
গভীরভাবে মনে,
তুমি আমার জীবন জুড়ে -
আছো নিভৃতে, গোপনে!
তোমার ভালবাসায় আমি -
জীবনের ঠিকানা পাই,
তুমি ছাড়া মনের মানুষ -
এই জীবনে নাই!
তোমার পরশ, তোমার স্নেহ-
আজও জাগায় শিহরণ,
মাগো, তোমার আর্শীবাদ -
আমার জীবনদর্শন !
গভীরভাবে মনে,
তুমি আমার জীবন জুড়ে -
আছো নিভৃতে, গোপনে!
তোমার ভালবাসায় আমি -
জীবনের ঠিকানা পাই,
তুমি ছাড়া মনের মানুষ -
এই জীবনে নাই!
তোমার পরশ, তোমার স্নেহ-
আজও জাগায় শিহরণ,
মাগো, তোমার আর্শীবাদ -
আমার জীবনদর্শন !
কবিতা
আষাঢ়
মিনতি গোস্বামী
আষাঢ়
মিনতি গোস্বামী
যখন তখন বৃষ্টি নামে
নতুন রূপে এলো আষাঢ়
হাসছে দেখো হাসছে সবাই
খুলে মনের বন্ধ দুয়ার।
নতুন রূপে এলো আষাঢ়
হাসছে দেখো হাসছে সবাই
খুলে মনের বন্ধ দুয়ার।
সবুজে সবুজ গাছগাছালি
পুকুর ডোবা ভরছে জলে
প্রকৃতি আবার উঠবে সেজে
নানান রঙের ফুলে ফলে।
পুকুর ডোবা ভরছে জলে
প্রকৃতি আবার উঠবে সেজে
নানান রঙের ফুলে ফলে।
লাঙল নিয়ে চাষীর দল
নামবে এবার জলভরা মাঠে
ধানের বীজ বপন করেই
আনন্দে তাদের দিন কাটে।
নামবে এবার জলভরা মাঠে
ধানের বীজ বপন করেই
আনন্দে তাদের দিন কাটে।
কদম ফুলের গন্ধে মাতাল
দেখো আজ রাইকিশোরী
প্রাণের বঁধু আসবে ফিরে
ছেড়ে রাজ্যপাটের
সওদাগিরি।
দেখো আজ রাইকিশোরী
প্রাণের বঁধু আসবে ফিরে
ছেড়ে রাজ্যপাটের
সওদাগিরি।
ছোটবেলা
দীপেশ নাগ
দীপেশ নাগ
ছোট্ট ছিলাম ভালোই ছিলাম
বাসতো সবাই ভালো,
মা বলতো চাঁদের কণা
ঘর করেছো আলো।
বাসতো সবাই ভালো,
মা বলতো চাঁদের কণা
ঘর করেছো আলো।
বাবা যখন অফিস যেতো
বলতো খোকা আসি
মায়ের মুখের মিষ্টি হাসি
দেখতে ভালোবাসি।
বলতো খোকা আসি
মায়ের মুখের মিষ্টি হাসি
দেখতে ভালোবাসি।
বড় হতেই বাড়লো বিপদ
পড়তে বলে মা,
আদর করে কেউ বলেনা
ক্যাডবেরিটা খা।
পড়তে বলে মা,
আদর করে কেউ বলেনা
ক্যাডবেরিটা খা।
প্রথম দেখা
রুহুল আমিন
রুহুল আমিন
তোমায় প্রথম দেখেছিলাম
সেই সংকৃন্ন স্কুল গেঁটে
সব ভয় পিছে ফেলে
একগুচ্ছ তারার উজ্জলতা নিয়ে
তোমার পানে চেয়ে ছিলাম
পড়ন্ত বিকেলে সূর্য ডোবার আগে
যে মেঘ আকাশ পাড়ি দেয়
সে রং তোমার মুখের আভায় মেশে
নদীর তীরের সেই মুক্ত বাতাস
তোমার চুল বাঁধা হীন ভাবে উড়িয়ে দেয়
তোমার কথা বলার ভঙ্গিমা
লাজুকতার চাদরে মোড়া চোখ
কথার অভ্যানন্তরে চলা স্রোত
অসামান্য আবৃত্তি করার কন্ঠ
এসব আমাকে তেমন প্রভাবিত করেনি
কিন্তু তবুও কেন জানিনা.......।
শুষ্ক আঙ্গিনায় আবেগ ভরা মেঘ
বাস্তবতার মাঝে অভিমানের ঝাপটা বৃষ্টি
মন চলে যায় সেই স্কুল গেটে
আমি পড়ে থাকি ব্যাকড্যেটে।
সেই সংকৃন্ন স্কুল গেঁটে
সব ভয় পিছে ফেলে
একগুচ্ছ তারার উজ্জলতা নিয়ে
তোমার পানে চেয়ে ছিলাম
পড়ন্ত বিকেলে সূর্য ডোবার আগে
যে মেঘ আকাশ পাড়ি দেয়
সে রং তোমার মুখের আভায় মেশে
নদীর তীরের সেই মুক্ত বাতাস
তোমার চুল বাঁধা হীন ভাবে উড়িয়ে দেয়
তোমার কথা বলার ভঙ্গিমা
লাজুকতার চাদরে মোড়া চোখ
কথার অভ্যানন্তরে চলা স্রোত
অসামান্য আবৃত্তি করার কন্ঠ
এসব আমাকে তেমন প্রভাবিত করেনি
কিন্তু তবুও কেন জানিনা.......।
শুষ্ক আঙ্গিনায় আবেগ ভরা মেঘ
বাস্তবতার মাঝে অভিমানের ঝাপটা বৃষ্টি
মন চলে যায় সেই স্কুল গেটে
আমি পড়ে থাকি ব্যাকড্যেটে।
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ
" সময়ের স্রোত "
- চিরশ্রী কুণ্ডু ( অবন্তিকা)
- চিরশ্রী কুণ্ডু ( অবন্তিকা)
সময় স্রোতে ভেসে গেছে হাজারো কথা মালা
তবুও বইছে সময় কাঙ্ক্ষিত ব্যাথার আঘাত যাহা,
তবুও বইছে সময় কাঙ্ক্ষিত ব্যাথার আঘাত যাহা,
কথার বাঁকে বলে যায় নেই তো সময় তাহার অবকাশ
আজও খুঁজে চলেছে ব্যাকুল ঠিকানা অসময় কিনারে।
আজও খুঁজে চলেছে ব্যাকুল ঠিকানা অসময় কিনারে।
উনভ্রান্ত আজ করছে ইশারা করলো একটু খানি পন্থা
কান্ডারী আজ চলছে দেখো সময় আবেগে ভেসে ,
কান্ডারী আজ চলছে দেখো সময় আবেগে ভেসে ,
পুড়ছে দেখো সারি সারি অতল গহ্বরে করছে আঘাত
তবুও বইছে অতৃপ্ত বাসনা সময়ের নিরিখে অনন্তকাল।
তবুও বইছে অতৃপ্ত বাসনা সময়ের নিরিখে অনন্তকাল।
হারিয়ে গেছে কোথায় হঠাৎ কোন আকুল পানে চেয়ে
দূর থেকে আসছে দেখো মৃদু পানে চাহিয়া স্রোতে ভেসে।
দূর থেকে আসছে দেখো মৃদু পানে চাহিয়া স্রোতে ভেসে।
গুচ্ছ কবিতা
মহীতোষ গায়েন
মহীতোষ গায়েন
কথোপকথন
শরীর জুড়ে মহুয়া ফুল
শরীর জুড়ে কালো,
ও মেয়ে তোর শরীরে কি
বিদ্যুৎ চমকালো ?
শরীর জুড়ে কাশফুল তোর
শরীর জুড়ে আলো,
ও ছেলে তোর
সন্ধ্যেবেলার চরিত্র কি ভালো ?
শরীর জুড়ে কালো,
ও মেয়ে তোর শরীরে কি
বিদ্যুৎ চমকালো ?
শরীর জুড়ে কাশফুল তোর
শরীর জুড়ে আলো,
ও ছেলে তোর
সন্ধ্যেবেলার চরিত্র কি ভালো ?
কামনা
হাত কাটে কাটুক
জীবন থেকে সুখ কেটো না।
জীবন থেকে সুখ কেটো না।
হাত কাটে কাটুক
দু'হাতে ফুল চেপে বলো-
আমি আছি, থাকবো;
এগিয়ে যাও,রক্ত ঝরবে না।
দু'হাতে ফুল চেপে বলো-
আমি আছি, থাকবো;
এগিয়ে যাও,রক্ত ঝরবে না।
আকাশ
'ওই' আকাশের মাঝে
আমার হৃদয় বাঁচে।
আমার হৃদয় বাঁচে।
মন
সীমান্তের ওপারে দেখ খসে পড়ে তারা,
ফুলের বাগানে ক্লান্ত পাখি গান গায়...
মনের গভীরে বাড়ে ভালোবাসার চারা।
ফুলের বাগানে ক্লান্ত পাখি গান গায়...
মনের গভীরে বাড়ে ভালোবাসার চারা।
বৃষ্টি স্নান
মিলন পুরকাইত
মিলন পুরকাইত
বৃষ্টি হয়ে ঝরবো আমি, তোমার হৃদয় আঙিনায়।
ভালোবেসে স্বান করে নিও, আমার প্রেমের মহন্নায়।
একটু করে ছুঁয়ে দিবো, বৃষ্টি ঝরা প্রিতিটি ফোঁটায়।
তোমার আমার মিলন হবে, বৃষ্টি ভেজা প্রথম সখাঁয়।
ঐ দেখো আজ মেঘে সেজেছে, বাদল হাওয়া দিচ্ছে ডাক।
এসো গো তুমি নুপুর পায়ে, প্রেমের পরশে ভিজবো আজ। বইছে দেখো বাদল হাওয়া, পাগল হাওয়া দিচ্ছে ডাক।
বৃষ্টি হয়ে ছুঁবো আমি, সোনার দেহে প্রতিটি ফোটায়।।
ভালোবেসে স্বান করে নিও, আমার প্রেমের মহন্নায়।
একটু করে ছুঁয়ে দিবো, বৃষ্টি ঝরা প্রিতিটি ফোঁটায়।
তোমার আমার মিলন হবে, বৃষ্টি ভেজা প্রথম সখাঁয়।
ঐ দেখো আজ মেঘে সেজেছে, বাদল হাওয়া দিচ্ছে ডাক।
এসো গো তুমি নুপুর পায়ে, প্রেমের পরশে ভিজবো আজ। বইছে দেখো বাদল হাওয়া, পাগল হাওয়া দিচ্ছে ডাক।
বৃষ্টি হয়ে ছুঁবো আমি, সোনার দেহে প্রতিটি ফোটায়।।
কবির মৃত্যু
কৌশিক দে সরকার।
কৌশিক দে সরকার।
কবির মৃত্যু হয়না কভু জেনো,
মরছে যত কবি সাজার দল;
পাঠক নিজেই কবিতা লেখে আজ
বাঁচবে কবি কি-নিয়ে তবে বল!
সম্পাদনায় উড়ল কত বয়স
কবিতা নিয়ে কত রকম খেলা ;
চিতার কাঠ জ্বলছে নাতো ভালো
সাধের কাগজ খাটের নীচে ফেলা।
শব্দগুলো জ্বালিয়ে ছিল আগুন
শাসক শ্রেণি পুড়িয়ে দিল সব
ধীরে ধীরে পুড়ছে কবির মেধা
ভাঙ্গতে প্রথা উঠিয়ে ছিল রব।
উঠতি কবি সঙ্গে ছিল যত
ভাবলো বসে করবে স্মরণিকা ;
হাতের গয়না খুলল সাদাশাড়ি
হবেই সম্পাদক বা প্রকাশিকা।
গড়তে চেয়ে নতুন ধারার লবি
দেওয়ালে এখন তিনি নিজেই ছবি
রক্ত যখন ছুটছে শিরার পথে
মন্ত্রগুপ্ত বানিয়েছিল কবি।
সবাই যখন ছুটতো স্মারক নিতে
মঞ্চে উঠে নিতো শংসাপত্র
বলতো কলম ঝড়িয়ে আগুন শব্দ
সাহিত্য আজ হয়েছে জলছত্র।
গতানুগতিক কবিতাগুলো ফেলে
লিখবে এসো নতুন লেখা কিছু
ওয়ার্কশপে কবিতা শেখান যদি
সোনামণিরা ঘুরত পিছু পিছু।
আজকালতো পাঠক মোটেই নেই
যারা পাঠক তারাও লেখে কিছু
আসল কবি নকল কবির মাঝে
মঞ্চ থেকে দেখতে লাগে নীচু।
জ্বলবে চিতা এমন শত শত
মরবে কবি সম্পাদকের দল
এসব বুঝেও সুধায় কবি হেসে
কবিতাটা কেমন হল - বল!
মরছে যত কবি সাজার দল;
পাঠক নিজেই কবিতা লেখে আজ
বাঁচবে কবি কি-নিয়ে তবে বল!
সম্পাদনায় উড়ল কত বয়স
কবিতা নিয়ে কত রকম খেলা ;
চিতার কাঠ জ্বলছে নাতো ভালো
সাধের কাগজ খাটের নীচে ফেলা।
শব্দগুলো জ্বালিয়ে ছিল আগুন
শাসক শ্রেণি পুড়িয়ে দিল সব
ধীরে ধীরে পুড়ছে কবির মেধা
ভাঙ্গতে প্রথা উঠিয়ে ছিল রব।
উঠতি কবি সঙ্গে ছিল যত
ভাবলো বসে করবে স্মরণিকা ;
হাতের গয়না খুলল সাদাশাড়ি
হবেই সম্পাদক বা প্রকাশিকা।
গড়তে চেয়ে নতুন ধারার লবি
দেওয়ালে এখন তিনি নিজেই ছবি
রক্ত যখন ছুটছে শিরার পথে
মন্ত্রগুপ্ত বানিয়েছিল কবি।
সবাই যখন ছুটতো স্মারক নিতে
মঞ্চে উঠে নিতো শংসাপত্র
বলতো কলম ঝড়িয়ে আগুন শব্দ
সাহিত্য আজ হয়েছে জলছত্র।
গতানুগতিক কবিতাগুলো ফেলে
লিখবে এসো নতুন লেখা কিছু
ওয়ার্কশপে কবিতা শেখান যদি
সোনামণিরা ঘুরত পিছু পিছু।
আজকালতো পাঠক মোটেই নেই
যারা পাঠক তারাও লেখে কিছু
আসল কবি নকল কবির মাঝে
মঞ্চ থেকে দেখতে লাগে নীচু।
জ্বলবে চিতা এমন শত শত
মরবে কবি সম্পাদকের দল
এসব বুঝেও সুধায় কবি হেসে
কবিতাটা কেমন হল - বল!
বিচিত্র দুনিয়া
বিপ্লব গোস্বামী
এ বিশ্ব দুনিয়া বড় বিচিত্র ভাই
গুণ দেখে নয়,
জাত দেখে দেওয়া হয়
অগ্ৰাধিকার !
কত জ্ঞাণী গুণীর
জাতের দোষে ভাগ্যে লাথ !
সাধারণ বঞ্চিত হয় সদাই।
গুণ দেখে নয়,
জাত দেখে দেওয়া হয়
অগ্ৰাধিকার !
কত জ্ঞাণী গুণীর
জাতের দোষে ভাগ্যে লাথ !
সাধারণ বঞ্চিত হয় সদাই।
অগ্ৰাধিকার যদি দিতেই হয়
তা যেন পায়
বীর শহীদের সন্তান।
জাত ধর্মের সংরক্ষণ
নিপাত যাক,
প্রকৃত গুণীজন পাউক
তার প্রাপ্ত সম্মান।
🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳তা যেন পায়
বীর শহীদের সন্তান।
জাত ধর্মের সংরক্ষণ
নিপাত যাক,
প্রকৃত গুণীজন পাউক
তার প্রাপ্ত সম্মান।
©সেক আসাদ আহমেদ
সম্পাদক , উপকণ্ঠ
গাংপুরা রামনগর পূর্ব মেদিনীপুর
তাং- 26/06/2020
0 comments: