"উপকণ্ঠ 01 জুলাই সংখ্যা "
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় সংখ্যা
প্রকাশ কাল:-01/07/2020, বুধবার
সময় :- সন্ধ্যা 6 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়
ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়
(জন্ম-১ জুলাই ১৮৮২ – মৃত্যু ১ জুলাই ১৯৬২) ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৪৮ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি ওই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। চিকিৎসক হিসেবেও তার বিশেষ খ্যাতি ছিল। ১৯১১ সালে ইংল্যান্ড থেকে এফ.আর.সি.এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলকাতার ক্যাম্বেল মেডিক্যাল স্কুলে (বর্তমানে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ) শিক্ষকতা ও চিকিৎসা ব্যবসা শুরু করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট সদস্য, রয়্যাল সোসাইটি অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন ও আমেরিকান সোসাইটি অফ চেস্ট ফিজিশিয়ানের ফেলো নির্বাচিত হন। ১৯২৩ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের প্রভাবে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার নির্বাচনে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন। পরে কলকাতা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও কলকাতা পৌরসংস্থার মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯৩১ সালে মহাত্মা গান্ধীর ডাকে আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়ে কারাবরণ করেন। ১৯৪২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মনোনীত হন। ১৯৪৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থীরূপে আইনসভায় নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ সালে গ্রহণ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন পাঁচটি নতুন শহরের দূর্গাপুর, বিধাননগর, কল্যাণী, অশোকনগর-কল্যাণগড় ও হাবরা। তার চোদ্দো বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বকালে নবগঠিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রভূত উন্নতি সম্ভব হয়েছিল। এই কারণে তাকে পশ্চিমবঙ্গের রূপকার নামে অভিহিত করা হয়। ১৯৬১ সালে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্নে ভূষিত হন। মৃত্যুর পর তার সম্মানে কলকাতার উপনগরী সল্টলেকের নামকরণ করা হয় বিধাননগর। তার জন্ম ও মৃত্যুদিন (১ জুলাই) সারা ভারতে "চিকিৎসক দিবস" রূপে পালিত হয়।
তথ্যসূত্র:- ইন্টারনেট, উইকিপিডিয়া থেকে সম্পূর্ণ সংগৃহীত
⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️
ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়
অ না দি মু খা র্জি
ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় নিয়ে বেশি কিছু বলছি না ,তবে যে টুকু না বললে ও হয় ! তিনি ছিলেন ভারতবর্ষের এক জন খ্যাতানামা চিকিৎসক ,তার হাত দিয়ে অনেক মানুষ বিনা পয়সা সুস্থ হয়েছিলেন ! তাই উনার সম্মানে জন্য ই প্রতিবছর সরকার 1991 সাল থেকে এই দিনটি চিকিৎসক দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে ! আসলে এই পয়লা জুলাই তার জন্ম দিন 1882 সাল ,আবার একই দিনে পয়লা জুলাই তিনি মারা যান 1962 সালে ! তার কর্মজীবন শুরু হয় এই চিকিৎসক দিয়ে , এই ছাড়াও এই চিকিৎসা করেও তিনি পার্ট টাইমে ট্যাক্সি ও চালিয়ে ছেন ! অনেকেই জানে না তার জীবনের সব চেয়ে বেশি ভালো বাসা পেয়েছে এই চিকিৎসা মধ্যে দিয়ে ! তার চিকিৎসা খুব নাম ছিল একবার গান্ধী জি যখন পুণের আগাখা প্যালেসে ইংরেজ দের হাতে বন্ধি ছিলেন , তখন গান্ধী জি শারিরীক অবস্থা খুব খারাপ হয়েছিল ,সব খাওয়া ঔষধ বন্ধ করে দিয়েছিল ! ইংরেজ রা ভেবে ছিল আর বাঁচবে না গান্ধী জি ,তখন সেই সময় ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় গান্ধী জি কে সুস্থ করে তুলেছিল ! ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় শুধু মাত্র ডাক্তার ছিলেন না ,তিনি পশ্চিম বঙে রুপকার ও ছিলেন ! ভারতবর্ষ সাধীনতা পাওয়া পর তিনি 14 বছর মুখ্যমন্ত্রী ও ছিলেন এই বাংলা র ! মুখ্যমন্ত্রী থাকা কালিন তিনি তিনটি শহর ও প্রতিষঠা করেন ! তার হাতের গড়া সটলেক ও কল্যাণি ও দুর্গাপুরে সৃষ্টি হয় ! তিনি খুব সৎ ও উপকারী মানুষ ছিলেন ! এই জন্য তার জন্ম ও মৃত্যু দিন টা কে স্মরণ করে চিকিৎসক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে ! শুভ চিকিৎসক দিবসে প্রতিটি চিকিৎসক কে আমার মন থেকে শুভেচ্ছা ও ভালো বাসা জানাই !
⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️
অনন্য বিধানচন্দ্র
আ ব্দু ল রা হা জ
বিধানচন্দ্র ছিলেন একজন শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব তারই প্রচেষ্টায় পশ্চিমবঙ্গ হয়েছে নতুন রূপে উদ্ভাসিত হয়েছিল আমাদের গর্ব আমরা পশ্চিমবঙ্গে বাস করি তার প্রচেষ্টায় পশ্চিমবঙ্গ সেজে উঠেছে এক অনন্য রূপে। যখন পূর্ব বাংলার ভিটেমাটি ছাড়া মানুষগুলো উদ্বাস্তু হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিচ্ছে সেই সব মানুষগুলোর কথা ভেবেছেন তাদের থাকার জায়গা করে দিয়েছে দুবেলা দুমুঠো ভাত এর অন্য তাদের মুখে তুলে দিয়েছেন। তার চেষ্টায় তৈরি হয়েছে পাঁচটি শহর এরকম তিনি বহু শহর প্রতিষ্ঠা করে গেছেন পশ্চিমবঙ্গে। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী মানুষের পাশে তিনি ছিলেন সব সময় ছিলেন চিকিৎসক থেকে রাজনীতিবিদ তার অনন্য ব্যক্তিত্ব মানুষের সামনে ফুটে উঠেছে এক অন্য রূপে। তার প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছিল বিভিন্ন শিল্প কারখানা তিনি ভেবেছেন সেই সব অসহায় মানুষের কথা যারা পূর্ববঙ্গ থেকে ভিটেমাটি ছেড়ে এসেছিলেন আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গে তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন পর্যাপ্ত খাবার জল পানি য় তাদের জায়গা করে দিয়েছেন সত্যি তিনি অনন্য অনন্য সবার মাঝে আজও তিনি অমর সবার মাঝে তিনি আজও শ্রেষ্ঠ বীর বিধান চন্দ্র। তার প্রচেষ্টায় পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছিল অনন্য স্বাদ নতুন রূপে গড়ে উঠেছিল আমাদের পশ্চিমবঙ্গ।
"তুমি বীর তুমি মহান তুমি সেই বিধানচন্দ্র তুমি এগিয়ে এসেছি সেই অসহায় মানুষের দিকে তাদের ভিটেমাটি জায়গা করে দিয়েছো তুমি সত্যিই তুমি এক অনন্য অনন্য।
সত্যি তোমার চেষ্টাই পশ্চিমবঙ্গ হয়েছে এক নতুন রূপে উদ্ভাসিত হয়েছে হয়েছে
তুমি অনন্য অনন্য বিধানচন্দ্র"
⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️
রূপকথা
অ গ্নি মি ত্র
পশ্চিমবঙ্গকে যিনি নব রূপ দান করেছিলেন তাঁর নাম ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় । তিনি একধারে স্বনামধন্য ডাক্তার, আবার বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও অত্যন্ত দূরদর্শী মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী ।
ছিন্নমূল মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য ডাঃ বিধান রায় কল্যাণী ও কলকাতার লাগোয়া সল্টলেক , এই দুটি পরিকল্পিত উপনগরী স্থাপন করেন ।..শিল্পনগরী হিসেবে গড়ে তোলেন দুর্গাপুরকে । পরিকল্পনা করেন অশোকনগরের ।
তৈরী হয় হরিংঘাটা ডেয়ারি প্রকল্প, যা আজও চলছে সগর্বে ।
যেখানে তিনি থাকতেন সেই বাড়ি এখন এক ব্যস্ত সরকারি পলিক্লিনিক । এখানেই রোজ সকালে বিনামূল্যে রুগী দেখতেন বিধান রায় ।..চিকিৎসক হিসেবেও ছিলেন সর্বোৎকৃষ্ট ।
আজ চিকিৎসক দিবসের শুভ অবসরে এই মনীষীর চরণে শতকোটি প্রণাম জানাই । আজ পয়লা জুলাই ওনার জন্মদিন তথা তিরোধান দিবসও বটে ।।
⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️
"রয়াল হাইনেস" - ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়
ম ধু মি তা রা য় চৌ ধু রী মি ত্র
ঠাকুমার ছিলে তুমি "ভজন"!!
ডাক্তারিতে এমন সফল পায় আর কজন?
রোগীর লিস্টে সাধারণের সাথে আছেন কত গুণীজন।
তোমারই অনুরোধে তিনি লিখে দিলেন "মৃত্যুহীন প্রাণ, /
মরণে তাহাই তুমি করিলে দান"।।
মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এই বাংলায় আছে তোমার অনেক অবদান।
মানুষ তো হয় দোষে-গুণে, মনে পড়ে সেই বাংলার খাদ্য আন্দোলন।
প্রিয় ব্যক্তির স্থান দিয়েছে তোমায় বাংলার মানুষজন।
জন্মদিনে মৃত্যুদিন কাঁদায় আমাদের সকলের মন।
⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️
Do not open the door
S i d d h a r t h a S i n g h a
Do not open the door whenever one knocks.
if one meets too often the blunt nose, fat heel, make up
washed out by sweat all the catch the eye
if becomes known who uses what perfume to cover up the odour of sweat.
much over writing is detected is the signature
Do not open the door whenever one knocks.
if you do not walk keeping a little distance, feet entwine and stumble.
⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️
The appeal of Embryo
S a b i r A h m e d
I want to live.
Among you let me live.
Don't hit me,
Or don't kill me, oh !
I also have pain,
I also suffer.
When you apply lethal liquid,
Or pills on me.
one day
You too were like me,
In your mother's womb.
May be
You are different professionals on the earth.
I want to live.
Among you let me live.
Let me appear oh ! dear oh ! honor.
Don't suffocate my latent talent.
Give me a chance to promote it.
Dream of living is with my closed eyes.
The boat of hope is in my chest,
That does not let me be.
I am the winner one,
And had to fight with my comrades;
For a few weeks or days;
For a few hours; minutes or seconds.
let me get free.
Ah ! I feel the prick of sopher and curette.
Don't abort me.
Like you
I too want to be,
A doctor,a professor,an advocate or a poet.
I want to sip
The beauty of the world…
hue,odour and form.
O God tells to them
To let me set free.
I want to live.
Among you let me live.
I am not dead,I am alive.
Don't deprive me of your love and affection.
⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️
কৃষ্ণগহ্বর
র ঞ্জ না রা য়
বেঁচে থাকার পথে অনেক নুড়ি পাথর কুড়িয়ে
অবশেষে কালবৈশাখীর জানলায় রেখেছি চোখ
আত্মজৈবনিক চেতনায় নিঃশব্দে অগ্নিদহন
গ্রন্থি ছিড়ে যায় ঝরাপাতায় স্মৃতির অশ্রুবিন্দু
কয়েকটি প্রহরের নিঃশ্বাসে জ্বলে ওঠা রংমশাল
ধোঁয়াশারই ছবি আঁকে জীবনের অঙ্ক খাতায়
হৃদয়ের আধারে জন্ম নেয় যে ভালোবাসা
সে তো অবিনশ্বর, অদ্বয় আনন্দের অনুভব ।
#
শ্রাবনময় জীবনের চোখে বসন্তের স্বপ্ন উজ্জ্বল হয়
একটি কৃষ্ণগহ্বর গোপনেই মহাপ্রলয়ের দিন গোনে।
⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️
মেঘলা আকাশ
তা প স ব র্ম ন
মেঘলা আকাশ উঁকি মেরে যায়
আমার কুঁড়ে ঘরে,
সব অভিমান ধুইয়ে দেবে
টাপুর টুপুর ঝরে।
জানালা দিয়ে ফিসফিসিয়ে
বলে কানে কানে,
আমি তোমার সঙ্গী হবো
ভরিয়ে দেব গানে।
ছ্যানাৎ করে উঠল হৃদয়
শুনে মেঘের বাণী,
পারবো কি সঙ্গ দিতে
ভয় হয় কি জানি?
⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️
ছোটোগল্প
নিঃশব্দ ভালোবাসা
বা প ন দে ব লা ড়ু
"দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার গানেরও পারে " মোবাইলটা বেজে ওঠে। আজ রবিবার, সবে মাত্র সকাল সাতটা বাজে। সকাল সাতটাতেই মনে হচ্ছে ভর দুপুর। ফাল্গুন মাসের সূর্যদেব যেন দিন দিন তার তেজ বাড়িয়েই যাচ্ছেন। এখন থেকেই রোদের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। ধীরে ধীরে সংসারের কাজ গুলো সেরে নিচ্ছে নীলিমা। আজ অফিস ছুটি, তাই তাড়া ও একটুখানি কম। নাহলে এই সময়টা শ্বাস নেওয়ার সময় টুকুও পায় না নীলা। মোবাইলটা রিসিভ করে 'হ্যালো' বলতেই ওপার থেকে ভেসে আওয়াজ এল
"আমি সংসারী হতে চলেছি নীলা, আমার বিয়ে ঠিক্ হয়ে গেছে"।
যেন একরাশ অব্যক্ত মনখারাপ ঝরে পড়লো কথাগুলো শুনে নীলার সামনে। আর কোনো কথা না বলে ফোনটা কেটে দিল নীলা। নীলা জানে নতুন নাম্বার হলেও কার কন্ঠ ছিল। গলা চিনতে তার ভুল হয়নি। সুরঞ্জনের কন্ঠ ছিল ওটা। মোবাইলটা টেবিলে রেখেই সোফাটাতে বসে পড়লো নীলা। চোখে অদৃশ্য বৃষ্টি নামলেও গলাটা যেন কাঠ হয়ে আসছে । কাঠগড়ায় আসামীকে শেষ রায় দেওয়ার পর যেমন করে নিস্তব্ধ হয়ে যান বিচারক, ঠিক তেমনই অবস্থা এখন হয়েছে নীলার। বুঝতে পারলো নীলা সুরঞ্জন এতোদিনে তাকে বেশ জব্দ করেছে। এইতো কিছুদিন আগে পর্যন্তও সুরঞ্জনকে সংসারী করা নিয়ে ঝুড়ি ঝুড়ি উপদেশ দিয়েছে নীলা, কিন্তু আজ কেন এতটা কষ্ট পাচ্ছে মনে মনে? কিন্তু, কিসের এই কষ্ট? কিসের এই যন্ত্রণা? নিজেকে বার বার প্রশ্ন করে যায় নীলা। মুখে সে সুরঞ্জনকে সবসময় দূরে সরিয়ে রেখেছে , কিন্তু তারই অজান্তে তারই বুকের কোনো একটুকরো অঞ্চলে সুরঞ্জনের জন্য রয়েছে একটুকরো মাটি, একটা ছোট্ট ঘর, অনন্ত কষ্টেও হাতের কাছে পাওয়া এক রাশ ভরসা ; আর তার জন্যই অনেক ভালোবাসা, যা নীলা জানতে পারলেও মুখে প্রকাশ করেনি এতদিনে । যদিও প্রতি মুহূর্তে, প্রতি পদক্ষেপে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছে ভালোবাসা সুরঞ্জন। এরই নাম কি ভালোবাসা? দুরে গেলেইতো বোঝা যা বোঝা যায়।
কলেজের সহপাঠী সুরঞ্জন। ঝক্ ঝকে স্মার্ট ছেলে। সেই কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে পড়াবার সময় যেদিন প্রথম দেখেছিল সুরঞ্জন কে, ভালো লেগে গেছিলো নীলার। দুজনেই সায়েন্স-এর ছাত্র, সুতরাং কাছাকাছি আসতে বেশী সময় লাগেনি। পড়াশোনার ব্যাপারে ও অনেক সাহায্য পায় নীলা সুরঞ্জনের কাছ থেকে। ওদের বেশীর ভাগ কথা ক্লাসরুম থেকে ক্যানটিন হয়ে ফিরতি ট্রেন পর্যন্ত সবটাই ছিল পড়াশোনা আর ক্যারিয়ার নিয়ে। এমনি ভাবে এক সময় থার্ড ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষা ও শেষ হল। কখনো কখনো নীলাও বুঝতে পারতো সুরঞ্জনের একটা ফিলিং রয়েছে তার প্রতি কিন্তু সেভাবে কোনোদিন বোঝবার চেষ্টা করেনি। দুচোখ জুড়ে অনেক স্বপ্ন থাকলেও পড়াশোনা আর এগোনো হল না নীলার। সামান্য ভূষিমাল দোকানী কন্যা দায় থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বার বার উপায় খুঁজছিল। এমনই তেই একটা খবর এসে গেল। থার্ড ইয়ারের রেজাল্টে ভালো মতো পাশ করে যায় নীলা আর সুরঞ্জন । কলেজ জীবন শেষ করে বাইরে চলে যায় সুরঞ্জন। আর নীলা ভীষণ একা হয়ে যায়। ঠিক এমন সময় হঠাৎই বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। নীলার বাবার নির্বাচন করা পাত্র, সুমিতের সঙ্গে। সুমিত পেশায় ইঞ্জিনিয়ার, ভালো ঘর। বিধবা শাশুড়ী নিয়ে তিন জনের এই সংসার ভালোই চলছে। বিয়ের পর কখনও কখনও সুরঞ্জনের কথা ভীষণ ভাবে মনে পড়ে নীলার। বাপের বাড়ি গেলে পুরোনো বন্ধু বান্ধব দের জিজ্ঞেস করে সুরঞ্জনের খবর কিন্তু আধুনিকতার জীবিকা দৌড়ে ব্যাস্ত সবাই, কেউ কারুর খবর রাখে না আর। অতএব কেউ ঠিকঠাক কিছুই বলতে পারেনা। অনেক বার স্বামীর সঙ্গে সুরঞ্জনের গল্প করেছে নীলা। কখনো সখনো মুচকি হেসে সুমিত বলে, "তবে তোমার আমায় বিয়ে করা উচিৎ হয়নি"। এই কয়েক বছরে পাকা গৃহীনি হয়ে উঠেছে নীলা। একটা মেয়ে ও হয়েছে ওর। নাম রেখেছে মৌপিয়া। এখন ওর বয়েস চার বছর। শাশুড়ী মারা যাওয়ার পরেও, বেশ চলছিল ওদের এই গোছানো সংসার। হঠাৎই এর মধ্যে বিপর্যয় আসে। অফিসে গিয়ে স্ট্রোক্ হয় সুমিতের। ওখান থেকেই নার্সিংহোম। টাকা পয়সা র কোনো অভাব নেই। কিন্তু ভাগ্যের কি নিষ্ঠুর পরিহাস! শেষ রক্ষা হয় না, চার পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে সুমিত। শাশুড়ীমা মারা যাওয়ার পরে এই কয়েক বছরের পরেই স্বামীর অস্বাভাবিক মৃত্যু যেন অকুল সাগরে তলিয়ে দেয় নীলাকে। জীবনের যে এমনও একটা দিক থাকতে পারে এর আগে কখনও ভেবেই দেখেনি নীলা। চিন্তা করেও যখন কোনো কূল কিনারা খুঁজে পায় না নীলা, আচমকাই একদিন দেখা হয়ে যায় সুরঞ্জন এর সঙ্গে। তখনই নীলার অসহায় হাতটা ধরে ছিল সুরঞ্জন। এই প্রথম তাদের এত কাছাকাছি আসা আর পড়াশোনা আর ক্যারিয়ারএর বাইরে বেরিয়ে ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলা। কোনও এক বন্ধুর সহায়তায় সুমিতের অফিসেই একটা কাজ পাইয়ে দেয় সুরঞ্জন নীলাকে। নীলার বাড়িতে প্রায়ই আসে এখন সুরঞ্জন। মৌপিয়া কে কোলে নিয়ে আদর করে। মৌপিয়ারও ভীষণ প্রিয় তার সুরঞ্জন আংকেল। অনেকটা সময় কাটিয়ে যায় সুরঞ্জন নীলার সঙ্গে। বেশ বুঝতে পারে নীলা প্রত্যেক বারই সুরঞ্জন যখন আসে কিছু একটা বলতে চায় । তবু্ও নীলা ঠিক সেই আগের মতন ওই দিকে পাত্তা দেয় না। একদিন চায়ের কাপ্ টা দিতে গেলে ইচ্ছে করেই আঙুল ছুঁয়েছিল সুরঞ্জন। স্বামী মারা যাওয়ার এতোদিন পরে সুরঞ্জনের এই ছোঁয়া যেন একটা মায়াতে জড়িয়ে দিল নীলাকে। ইচ্ছে না থাকলেও হাতটা সরিয়ে নিতে পারছেনা নীলা। যেন এক পরম তৃপ্তির স্পর্শ। স্পর্শও যে কখনও কখনও এমন মধুর হয় আজই বুঝতে পারছে নীলা। ভয় পেয়ে যায় নীলা। সেদিনের পর থেকে নানান অছিলায় সুরঞ্জনকে বিয়ে টিয়ে করে সংসারী হওয়ার উপদেশ দেয় নীলা। শেষমেশ একদিন ভীষণ কঠোরভাবে বলে " তুমি বিয়ে ক'রে সংসারী হও সুরঞ্জন, নাহলে এখানে আর এসো না"। মাথা নুইয়ে শুকনো মুখে বেরিয়ে যায় সুরঞ্জন। তারপর প্রায় কয়েকমাস কেটেগেছে, কোনও খবর নেই। ফোনে অনেক বার চেষ্টা করেও সুরঞ্জন কে পায়নি নীলা। মোউপিয়া প্রায়ই বলে "মা সুরঞ্জন আংকেল এখন কেন আর আসেন না মা? " উত্তর দিতে পারেনা নীলা। মেয়েকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে হয়তো কোনও কাজে আটকে পড়েছে। তার পর আজ এই ফোন। সে যা চেয়েছিল আজ তাই হতে চলছে। মনটাকে অনেক করে খুশী করতে চাইছে নীলা এই বলে যে যাক্ এতদিনে সুরঞ্জন তার নিজের ভালো মন্দ টা বুঝতে শিখেছে, কিন্তু পারে না। কোথাও যেন গভীর একটা খোঁচা অনুভব করে নীলা। আজ মনে হচ্ছে যে জিনিসটা তারই প্রাপ্য ছিল কেউ যেন সেই জিনিসটাই জোর করে তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে, কিন্তু কেন? কিছুতেই নীলা তার হিসেব মেলাতে পারে না। সে জানতো গোপনে চুপচাপ সে এসেছিলো, হতেও চেয়েছিল শুধুই একান্ত ভাবে তার কিন্তু মাঝপথেই নিঃশব্দে সে হারিয়ে গেল। মৌপিয়াকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে কাঁদতে থাকে নীলা।
⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️
প্র দী প কু মা র দে
তরুনদল
তমসাঘন রাত্রি ভেদিয়া
আনিব নূতন ভোর,
আঁধারঘন মেঘ সরায়ে
ওঠাবো দিবাকর।
নবযুগের নূতন বল
আমরা তরুনদল।
দুর্গম পথ সুগম করে
চলবো মোরা উদ্যমে,
গড়বো মোরা নব পথিকৃৎ
রইব জগৎ স্পন্দনে।
পৃথ্বীর আকাশে উজ্জ্বল
আমরা তরুনদল।
দেশের সংকট মোচন করতে
মৃত্যুকে করব বরণ,
মোদের রক্তে রাঙিয়ে দেব
দেশমাতৃকার চরণ।
মোদের প্রতিজ্ঞা হবে সফল
আমরা তরুনদল।
⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️
সে খ সা বি র মো ল্লা
তবে তাই হোক
মেঘের কাছে একমুষ্ঠি বৃষ্টির ঋণ নিয়ে তোমার তৃষ্ণার্ত আঁচল ভিজিয়ে দেবো,
তুমি বৃষ্টি পিয়াসী।
দগদগে সূর্যের দহন থেকে বিপ্লবের তেজ ছিনিয়ে নিয়ে তোমার মৃত পিঞ্জরে অগ্নুৎপাত ঘটাবো,
তুমি বিপ্লব তল্লাশি।
নিরীহ চাঁদের আলো থেকে শুভ্রতার শান্তি কেড়ে নিয়ে তোমার অশান্ত বুকে লেপে দেবো,
তুমি শান্তিকামী।
গোধূলির সোনারঙা মাঠ থেকে উতল সৌন্দর্য হরণ করে তোমার সারা অঙ্গে ছড়িয়ে দেবো,
তুমি সৌন্দর্য পিপাসু।
শস্য ভরা পৃথিবীর পেট চিরে রাশি রাশি খাবার লুটে নিয়ে তোমার অভুক্ত পেটের জ্বালা মেটাবো,
তুমি খাদ্যের সন্ধানী।
⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️
নির্যাস
হা মি দু ল ই স লা ম
জল থেকে জন্ম জলজ কীট
প্রতিদিন ভাঙে জল
উত্তপ্ত হৃদয়
খাবি খায় সামুদ্রিক হাওয়া
তবু তাকে চিনে নিই প্রাণের ব্যাকুলতায় ।।
নিঃশব্দ আকাশ
সন্ধ্যায় সূর্য ঢলে পড়ে শেষ দিগন্তে
হিসেবের দলিলে প্রতিদিন নীল ঘোড়া খেয়ে যায় ঘাস
ঈশ্বর জানেন
এখন পৃথিবীর কতোটা সর্বনাশ ।।
পাখিরা নীড়ে ফেরে
উথাল পাথাল মন
হারিয়ে যায় পালিয়ে যায় খাঁচার পাখি
কেবল পিঞ্জর পড়ে থাকে সন্ন্যাসিনীর নিস্তব্ধ হাতের মায়ায় ।।
প্রতিদিন এক দুই তিন করে গুণি
প্রতিটি অগভীর শ্বাস
মন থেকে মন ছুয়ে যায়
হারিয়ে যায় না কেবল খাঁটি প্রেমের নির্যাস ।।
এসো হৃদয়ে ভরে রাখি কেবল এক চিলতে প্রেমের আশ্বাস ।।
⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️
পাঁখি
জু য়ে ল রু হা নী
ও পাঁখি তুই কোথায় পেলি
এত রূপের বাহার?
সব কিছুরই স্রষ্টা যিঁনি-
সকল দয়া তাঁহার!
ও পাঁখি তুই কোথায় যোগাস
আপনেরি আহার?
এই ধরনীর স্রষ্টা যিঁনি-
দায়িত্ব যে তাঁহার!
ও পাঁখি তুই কেমন করে
আকাশে যাস উড়ে?
স্রষ্টা মহান দিয়েছে যে
শক্তি ডানা ভরে!
ও পাঁখি তুই গুনগুনিয়ে
করিস কি ভাই গান?
নাম যপি ঐ মহান প্রভূর
যাঁর সৃষ্টি সু-মহান!
⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️
রু হু ল আ মি ন
আবেগ
আবেগ আর বাস্তবতার মাঝের দরজা বন্ধ
দু'চোখে বন্যার অসংখ্য
উপহারের হাত ঘড়িটা
আর সময় দেখায় না
সেও নিছক তোর মতোই
আজ জ্বলে নেভে
বোকা আমার হৃদয়
আবেগ ভাবে বাস্তবতাকে
কল্পনা উপলব্ধি সীমায় মিশে যায়
ফিরে আসে স্মৃতির উপকথা
কেমন করে ভালোবাসো তোকে?
আবেগে নেই তার পরিচয়
শুষ্ক ঠোঁটে মিলিন হাঁসি
আজও নাকি তুই আমার পথে বসে থাকিস?
সেই মালাতে আবেগ রাখি
যার মাঝে তুই থাকিস।
⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️
মেয়েটা বদলেগেছে
বি প্ল ব গো স্বা মী
আমার সেই ছোট মেয়েটা
নয়তো সেই মেয়ে ;
শহরের নামী কলেজে পড়ে
নয়তো আর গেঁয়ে।
আগে আমায় বাবা ডাকত
এখন ডাকে ড্যাড ;
আগের মত শাসন করলে
বলে আমায় মেড ।
পোশাকটা আজ বদলেগেছে
বদলেগেছে বুল ;
কথায় কথায় ব্যঙ্গ করে
নিজের জাতি কুল ।
তার কাজে বাধা দিলে
বলে বুঝবে না ওসব ;
এর চেয়ে বেশি বলতেগেলে
বলে আমায় যতসব।
রাত গভীরে জেগে থাকে
মজে থাকে নেটে ;
একলা হাসে একলা কাঁদে
কথা বলে রেটে।
⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️🏵⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️
0 comments: