বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 03/09/2020

      উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 03/09/2020, বৃহস্পতিবার Upokontha Web Megazine 03/09/2020

Upokonthasahityapatrika.com   

         
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 03/09/2020

          "উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
              (ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-03/09/2020, বৃহস্পতিবার
               সময় :- দুপুর 2 টা 
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴

কবিতা
(কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যাযের 
শততম জন্মদিন স্মরণে)
      ভাতের প্রার্থনায়
                  মিনতি গোস্বামী

রাস্তা যখন নাম হয়েছে অধিকার তাতে সবার
তুমিই বলেছিলে কোন অন্ধকার রাতে 
রাষ্ট্র যখন একাই চাবুক হাতে ঘুরে বেড়ায়
তুমিই পারো বিপ্লবের গান শোনাতে।

পোপ না বিঞ্জান এই যুগেতেও ধন্দ
অতিমারীতে মরলেও পাল্টাচ্ছে না মদ
পোষাক পাল্টে ঘুরছে শুধু
জনগণের মাঝে
ভাবছে সবাই চিরদিন থাকবে অন্ধ।

মানুষ,দেশ, জন্মভূমি তোমার কবিতা
এর জন্য লড়াই, বিদ্রোহ
রাতের আকাশে পেয়েছিলে ভাতের গন্ধ
ভাতের প্রার্থনায় সয়েছিলে দ্রোহ।






আমার বন্ধু 
        আব্দুল রাহাজ

সময়টা ছিল মিশনারি স্কুলে পড়ার সময় তখন আমার বয়স তিন তখন বেশ ছোট প্রথম যেদিন স্কুলে যায় সেদিন আমার পাশে বসে কাইফ মোহিত মইফুল আবু বক্কর রবিউল আমাদের মিশনারি স্কুলে খুব কম জন পড়তো এখানে ক্লাস দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করাতো তারপরেই আবার অন্য স্কুলে যেতে হতো এরপর দিন যায় দিন আসে বেশ বন্ধুত্ব হয়ে গেল দের সাথে কত খেলায় না হল মনে আছে একবার শনিবারে আমাদের স্কুলে বিস্কুট দিতে সবাইকে সেই দায়িত্ব ছিল রবিউলের কাছে সেদিন আমাদের স্যার তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলে যান তারপরও দায়িত্ব যেটা সেটা পালন করতে লাগলো আমরা অফিস ঘরের জানালা দিয়ে দেখলাম অনেকটা বিস্কুট নিল প্রকল্পে আগে থেকে আমরা কিছু বললাম না ইস্কুল ছুটি হবার পর আমাকে ধরলাম বললাম এই তুই নিয়েছিস বিস্কুট নিয়েছিস স্যারকে বলে দেবো রবিউল আমাদের কে বলল দেখ দেখ তোরা বলিস না আমি বাড়ি গিয়ে খাবো আমার বাড়িতে ভাত নেই আমরা শুনে খুব মায়া লাগলো ওর উপর। এরপর আমাদের এখানে একটা সুজন দীঘির ঘাট আছে আমরা স্কুলে ছুটি শেষে বসতাম কাই ফেলেছিল সেদিন ভাত ও রবিউলকে দিলে ওটা খেতে এইভাবে আমরা মিশনারি স্কুল শেষ করি যেদিন শেষ হয় কতটা কষ্ট মনে হয়নি কিন্তু রবিউল সে চলে গেল অল্প বয়সে কাজের জগতে আমরা আবার অন্য স্কুলে ভর্তি হলাম তারপর হাই স্কুলে যখন ভর্তি হলাম তখন আবার দেখা রবিউলের সাথে কি লম্বা হয়েছে টিংটিঙে আমরা তো বেশ আনন্দ পাচ্ছিলাম কাইফ আমি আর মইফুল ওদিকে আবুবক্কার মুহিত দারিদ্রতার কারণে স্কুলের ভর্তি হতে পারল না খুব কষ্ট হচ্ছিল দের জন্য তারপর ওদের সাথে করেই কাটে পুরো স্কুল জীবনটা কখনো আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয় আবার কখনো আমাদের মধ্যে মিলিত হয়ে যায় এই ভাবেই আমাদের বন্ধুত্ব আজও অটুট আছে যা থাকবে আজীবন বিভিন্ন স্মৃতি নিয়ে আজও আমাদের বন্ধুত্ব প্রকৃতির এক নীল আকাশের নিচে অটুট আছে স্মৃতি গুলো যেন আজীবন মনের মনিকোঠায় গেঁথে থাকবে এক অন্যরূপে।






কবিতা : 
           নেই  
           সায়ন প্রামানিক

ছোট্ট একটা স‌ংবাদ 
সে আর নেই ! 
জীবন যেন আর জীবনে নেই ।
সভ্যতার প্রদীপখানি নিভে গেছে ,
তেল আর নেই ,
মোমবাতির সলতে জ্বলছে   
আলো তাতে নেই ।
এক গাছা সাদাফুল 
আনন্দধারা নেই ।
পড়ে আছে খালি কফিন 
সে ? আর নেই, .......

       





 ভালোবেসে
            শিবব্রত গুহ

ভালোবেসে তোমায় দিতে পারি, 
গোলাপ ফুলের তোড়া,
আমার মনটা যে, তোমার,
প্রতি ভালোবাসায় ভরা।
ভালোবেসে তোমায় নিয়ে যেতে পারি,
সিনেমা দেখাতে, 
আমার মন সবসময় চায়, 
তোমাকে কাছে পেতে।
ভালোবেসে তোমায় দেব, 
চকোলেট আর ক্যাডবেরি, 
তুমিই হলে যে আমার রূপকথার পরী।
ভালোবেসে তোমায় নিয়ে যাব,
রেস্টুরেন্টে খেতে,
তোমার কথা ভাবতে ভাবতে, 
রোজ আমি যাই ঘুমাতে।
ভালোবেসে তোমার জন্য, 
পারি আমি আমার নিজের জীবনটা দিতে?
ওগো সুন্দরী, বলো না, বলো না, গো,
আমি কি পারবো না কখনো,
তোমার প্রেমিক হতে?







কাকের বাসায় কোকিল ছানা 
         জুয়েল রুহানী

কাকের বাসায় কোকিল ছানা
যত্নে বেড়ে ওঠে,
কাক কী জানে কোকিল ছানা?
প্রভূর বিধান বটে!

কাকের বাসায় কোকিল এসে
ডিম পেড়ে যায়,
কাক, আপন মনে তা দিয়ে যায়-
স্নেহ-মায়ায়!

বিধির বিধান বোঝা যে দায়
কোকিল কাকের বাসায়!
যত্নে পরম বড় করে-
সময় হলে তাড়ায়!








                এই জীবন
              হামিদুল ইসলাম
                 

প্রতিদিন জীবন যন্ত্রণা 
জীবন এক সমুদ্র
এক লহমা 
প্রবল মায়াতে ঘিরে রাখি এই জীবন ।

বন্ধুরা ব‍্যস্ত হয় পড়ে 
জীবনকে উপভোগ করে সারাক্ষণ
এ জীবনের জন‍্যেই এ জীবন যাপন ।

প্রেম আসে জীবন ভরপুর 
কখনো স্থায়ী 
কখনো ক্ষণস্থায়ী। তবু আসে রাত।

কদাকার জীবন 
নগ্নতার অনন‍্য প্রতীক 
জীবনে মধুর বন্ধন ফিরে আসে না আর ।

জীবন কল্পতরু 
হাওয়ায় ভেঙে পড়ে গাছ 
ভ্রূণগুলো বিকশিত নিত‍্য অবহেলায় ।

পদ্মবীজে ভ্রূণের কথকতা 
এ জীবন নশ্বর 
পুড়ে যায় নশ্বর জীবন জীবনের একান্ত মায়ায়।







কবিতা : কথার কথা! 
           বিশ্বজিৎ কর

না-বলা কথাগুলো মনে হয় বিদ্রোহের অপেক্ষায় !
কতজন বলেন,বলেই চলেন-
বলুন,বলুন,আপনি বলুন....
কতজন আড়ষ্ট থাকে, 
অপ্রিয় সত্যের আঁচ পেয়ে! 
কতজনের ধূর্ত্ততা জেগে ওঠে, 
কন্ঠরোধের উদগ্র বাসনায়! 
কবিতা আমার কথা বলে,কখনো বা নিজের,সকলের...!
আসলে বিদ্রোহের তো সীমা আছে, 
না-বলা কথাগুলো একদিন কথা বলবেই!







ফিরিয়ে আনা ছানা
            অঞ্জলি দে নন্দী, মম


নন্দীদের কার পার্কিং স্পেসের এক কোণে লেনের কুত্তিটি তিনটি ছানার জন্ম দিল। দারোয়ান ওগুলোকে বস্তায় পুরে, দড়ি দিয়ে মুঠি বেঁধে বহু দূরে জঞ্জালের মধ্যে রেখে এলো। ক্লাস ফোরে পড়া আশিস স্কুল থেকে ফিরে, কার থেকে নেমে, ছানাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজ নিল। " দারোয়ান কাকু! পাপ্পিরা কই? " দারোয়ান- ' ওদের আঁস্তাকুড়ে ফেলে দিয়ে এসেছি। ' আসিস খুব কাঁদছে ....... দাদু দারোয়ান ও আশিসকে নিয়ে সেই ফেলে আসা জায়গায় গেল। বস্তার মুখ খুলে আবার ফিরিয়ে আনলো। আশিস, " ভাগ্যিস বস্তাটা ছেঁড়া ছিল, তাই ওদের শ্বাস রোধ হয়ে মৃত্যু হয় নি। '' ওদের এখনও চোখ ফোটে নি। আশিস ও দাদু অপেক্ষা করছে .............. আশিস ওদের নাম রেখেছে- সান, জুপিটার, মুন ..........









       রুজি
             উমর ফারুক

শ্রাদ্ধ করে দেবে যদি না দাও টাকাটি
ইনকাম পৃথিবীর সুখ আনে পরিপাটি
ভিক্ করে ঠিক চলে ভিখিরির সংসার
ধনীদের কোটি টাকা লোভ তবু বারবার।
আকাশও চোখ বুজে ইনকাম ঝড়লে
শুকনো পাতা যেন বাদলের ছোবলে।
দিন শেষে পায় ভাত গন্ধে ভরে পেট
তবুও শুকর করে প্রভূরই কাছে হেঁট
রুষ্ট থাকেনা তাই বরকত অবিরাম
স্রষ্টার ছায়া তলে শান্তির ঝরে ঘাম
এই যুগে গরীবের হাত যত ছোট হয়
ধনীরা ভেঙে দিতে চাই ততো অসময়।
পৃথিবীতে কত লোক রুজি করে খায় যে
কেউ রোদে চাষ করে সারাদিন মাঠেতে ।
মারা যায় তারা যারা শ্রমিকের সৎ ভাই
বুকের জঠর জ্বালা কুরবানি করে যায়।
সংসার পুড়ে ছাই শত ভারাক্রান্ত
ভারী হয়ে যায় দিনে মৃত গুলো জ্যান্ত
এ মৃত নড়ে চড়ে কঙ্কাল দেহের তে
চোখ বুজে থাকে পড়ে পৃথিবীর মেঝেতে।

🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴




🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴🌴
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
           "শিক্ষক দিবস সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 01 Sep 2020 থেকে 04 Sep 2020 এর মধ্যে
যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
বিষয়:- সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান ও শিক্ষক দিবস
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "শিক্ষক দিবস সংখ্যা"
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 5 Sep 2020 , দুপুর 2 টা 












0 comments: