রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 13/09/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 13/09/2020
Upokontha Sahitya Patrika Web Megazine- 13/09/2020
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 13/09/2020

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
              (ওয়েব ম্যাগাজিন)
            
প্রকাশ কাল:-13/09/2020, রবিবার
               সময় :- সন্ধ্যা 6 টা 

সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577




অনুকবিতা গুচ্ছ
        শংকর হালদার

           ০১
মরা'র আগে মৃত্যুর কাছে আত্ম সমর্পণ-
ভাবিয়ে তোলে আত্মগ্লানি ,
বাঁচার মন্ত্রে মৃত্যুর পরাজয়
কালের বুকে বেঁচে থাকার এ এক রূপরেখা ।
      ০২
ভাবনার মুহূর্তগুলো আঁকড়ে দাগি করেছি স্মৃতির পাতায় ।কাগজ ছিন্ন বা উড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে...
     ০৩
শব্দের বিচরণ কাগজ বুকে
আর তা বিচ্ছুরিত মনের গভীরে
...মুখ নিঃসৃত শব্দ মায়া ডোর
কি করে ছিন্ন করি বলতে পারো আমায় ।
       ০৪
হিয়ার মাপকাঠি কোনো আভরণ নয় ...
ভালোবাসা'র মূলে অগাধ ভালোবাসা...
উম্মোচিত করে নব দিগন্ত ।
      ০৫
মৃত্যুর পর সব শেষ নয়
জন্ম গোপন ...
প্রকৃতি ভারসাম্য খোঁজে তাল ও ছন্দে ।
      ০৬
ভুলে যাবো বলে ভুলে যেতে পারিনি
আবরণ সরে গিয়ে আলোয় প্রতীয়মান
গচ্ছিত যত অনুরাগ ।
     ০৭
চৌকাঠ মাড়িয়ে-
শরৎ শুভ্র ভেলা
যেন জাপটে থাকা তোমার এলো চুলের গন্ধ
আমায় অনুসরণ করে ।






বিদায় দিনে
           বিপ্লব গোস্বামী

সেদিন তোমায় বিদায় দিতে
গিয়েছিলাম তোমার সাথে ;
বিদায় দিলাম হাত মিলিয়ে হাতে।
ভাসিয়ে ছিলাম রাশি রাশি
কথায় গাঁথা কান্না হাসি ;
তোমার যত বিদায় বেলার সাথী।
সেদিন তুমি গান গেয়েছ
আপন মনে নিজে,,,,
শুনিয়েছিলে উদাস করা পদ‍্য।
বুঝে ছিলাম সে ফাগুনে
তোমার পদ‍্য শুনে শুনে ;
কত কষ্টে কাটে তব দিন।







তিনটি কারন
          উমর ফারুক

একটি নতুন
যুগের সূচনা করার জন্য
কিভাবে যে আঁধার রাতে
কলুষিত বাতাস মুক্ত হতে হয়
অসময়ের হাত ছানি
নির্বিকার চিত্তে স্মরণ করে;
এবং সারাদিন হায়েনার
নিপীড়ন থেকে
নিজেকে বাঁচাতে গা ঢাকা
অথবা নিরাকার একটি বিশ্বাস কে
ভালোবাসতে চায়নি কখনো;
সর্বপরি একটু মুমূর্স মুহূর্তে
যখন ওরা নির্দ্বিধায় টিটকিরি
ও অপমানের লড়াইয়ের আভাস
মেলে ধরলো...!
তখন অবিচার থেকে নিজেকে
অনেক দূরে কোথাও
লুকিয়ে রাখতেই মহৎ উদ্যগ ।








    স্বর্ণ পিঞ্জর
                সুশান্ত মজুমদার

রথের মেলায় কিনে মম
সাধের পোষা পাখিটিরে,
পরম যতনে রাখি ধরে
দামি স্বর্ণ পিঞ্জরে ।
অতি সোহাগে খাওয়াই তারে
সোনার বাটি ভরে,
স্বজন হারা বিজন পাখি
থাকে বেজার করে !
বনের পাখি বন্ধ খাঁচায়
স্বপন আঁকে চোখে,
দিবারাতি মুক্তির আশায়
স্বপন আগলে রাখে ।
পাখির দুঃখে কাঁদে প্রাণ
দিলাম তারে ছেড়ে,
শূন‍্য হল স্বর্ণ পিঞ্জর
গেলো পাখি উড়ে !
ধরাধামের বন্দি জীবন
সাঙ্গ হবে যবে,
পরাণ পাখি  দিয়ে ফাঁকি
উধাও হয়ে যাবে !
সোনার  অঙ্গ হবে বিলীন
পঞ্চভূতের সনে,
মরেও তুমি রবে বেঁচে
আপন কর্ম গুণে !









কবিতাঃ
        আশা
              জুয়েল রুহানী

সকাল-সাঁঝে তোমার মাঝে
পাই যে খুঁজে দু'চোখ বুজে
স্বপ্ন রুপের ছবি,
যাহার তরে এ জগতে
ছিলেম যে অভাবি!
আজি স্বপ্ন সকল পূর্ণ হলো
চূর্ণ হলো সব দূরাশা..........
আসা-যাওয়ার এই সময়ে-
কত শত আশা?
নেইকো বলার ভাষা.........
আহা নেইকো বলার ভাষা!








ইচ্ছে হলো তাই
            মন্দিরা ভারতী

খামখেয়ালির নেশায় মেতে
ডানা মেলে মন উড়তে চাই,
রাতের শেষে গগন পথে
মেলিলাম পাখা ইচ্ছে হলো তাই।
তোর শহর বড়োই অচেনা
অচেনা তোর রাস্তাঘাট,
গগনমাঝে ভাসবো আমি
তুই আকাশপানে চেয়ে থাক।
আমি তো দূরেই আছি
শুধু ইচ্ছেরা মেলেছে ডানা,
মন চাই যেখানে উড়বো সেখানে
আজ উড়তে নেই কোনো মানা।।








কবির কলম হয়ে গেছে স্তব্ধ
             শিবব্রত গুহ

কবির কলম হয়ে গেছে স্তব্ধ,
পূর্ব বর্ধমানের সমুদ্রগড়ের বিখ্যাত কবি,
বাবলু হাজরার কলম আর করবে না,
কোন সৃষ্টি নতুন।
উনি আমাদের ছেড়ে, চলে গেলেন,
গেলেন চলে, চিরকালের মতো,
উনি ছিলেন একজন মানুষের মতো মানুষ,
ওনার অপূর্ব সৃষ্টি, করতো মুগ্ধ আমাদেরকে।
আঞ্চলিক ভাষার কবিতা,
উনি লিখতেন খুব ভালো,
ওনার কলম থেকে ঝরে পড়তো,
প্রতিবাদের আগুন।
উনি ছিলেন বড় দয়ালু,
মনটা ছিল ওনার অনেক বড়,
মানুষকে খাওয়াতে বাসতেন ভালো।
উনি মানুষের বিপদে পড়তেন ঝাঁপিয়ে,
সমাজের বুকে ঘটে চলা অন্যায়
অত্যাচারের বিরুদ্ধে সর্বদা গর্জে উঠতো,
ওনার কলম।
বাবলুদা, আপনার কলম, জানতো করতে,
প্রতিবাদ,
ভয়কে আপনি করেছিলেন জয়,
একাঘ্নী সাহিত্য পত্রিকার ছিলেন আপনি
সম্পাদক।
আপনি, ভালোবেসেছিলেন সাহিত্যকে,
মন প্রাণ দিয়ে,
আপনার অকালমৃত্যুতে, দুচোখ বেয়ে,
ঝরে পড়ে আমার,
অশ্রু,
অশ্রু,
শুধু অশ্রু।






কবিতা
         স্মৃতি
      মিনতি গোস্বামী

স্মৃতির পাতায় এখনো কেন আছো জেগে?
মুছে যাওয়া বিকেলকে রাখিনিতো মনে
ধুয়ে ফেলেছি পুরুষালি গন্ধের মাদকতা
পাল্টে ফেলেছি ঠোঁটে লিপস্টিকের রঙ
অভিমানের পলিমাটিতে গড়েছি খেলার পুতুল
স্মৃতির ঘরেই খোঁপায় গুঁজে চলেছো ফুল।





কবিতা :
       যদি ভালবাসতে চাও!
         বিশ্বজিৎ কর

যদি ভালবাসতেই চাও আমাকে -
আকাশে মনের ডানা মেলে ধরো!
যদি ভালবাসতেই চাও আমাকে -
সংকোচের জাল ছিঁড়ে ফেল!
যদি ভালবাসতেই চাও আমাকে -
লজ্জার আবরণ সরিয়ে দাও!
যদি ভালবাসতেই চাও আমাকে -
লোকলাজের নাটুকেপনা ত্যাগ করো!
যদি ভালবাসতেই চাও আমাকে,
তবে ভালবাসতে শেখো!
সময় একেবারে নির্দিষ্ট...!







                    একাকীত্ব
                 হামিদুল ইসলাম

আজ আমি একাকী
বসে আছি
রাতের আকাশ
তারারা কাঁদছে মহুয়া বনে
তারাও আজ একাকীত্বের অংশীদার    ।।
হে জীবন ! 
আলো দাও
পথ দেখাও
সারথি হয়ে এসো শুভ্র শকটের
ঘোচাও একাকীত্ব দাসত্বের যন্ত্রণা   ।।
বসে আছি একা
সঙ্গীহীন জীবন সাগর
ইতিহাস প্রতিদিন বদলে যাচ্ছে জীবনের
তুমি তারাদের মতো কাঁদছো এখনো
স্বপ্নে নিভে যায় আলোর প্রদীপ   ।।
এ দেখাই যেনো শেষ দেখা না   ।।






সার্টিফিকেট
       সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

রাম নাম সত্য হ্যায়। রাম নাম---
বলতে বলতে চলেছে শ্মশানে
শ্মশান রক্ষী চাইলেন সার্টিফিকেট
না কিছু নেই। শ্মশান রক্ষী তাড়া করলো তাদের
ভয় না পেয়ে জেদ ধরলো তারা
দাহ করবেই।
শ্মশান রক্ষী রাগে গড়গড় করতে করতে শব দেহের কাপড় খুলে ফেললো একপ্রকার জোর করেই।
দেখলো একগাদা সার্টিফিকেট
এম এ পাশ, বি এ পাশ, জয়েন্টে পাশ,
মাধ্যমিক পাশ করা তাড়া তাড়া সার্টিফিকেট
শ্মশান যাত্রী রা বললো--
এদের দাহ করতে কোন্ সার্টিফিকেট লাগবে দাদা?
কোন্ হনুমানের ল্যাজ ধরলে তবে লঙ্কা কান্ড ঘটবে-- বলতে পারেন!!!?
     





  অপরুপা
মোহাম্মাদ  আবুহোসেন সেখ

পৃথিবী এক অপরুপা সূন্দরী
তোমারিই তরে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
এই রুপময় জগতে ----শতশত মনুষ্য থাকে
তোমারিই রুপের প্রেম পূজারী আমি।
          চাহিলানারে তাহার দিকে
          বাসিলানারে ভালো তাকে
       কেন রে?---- অপরুপা সুন্দরী।
রুপময় পৃথিবী আমার মাথার ছাতি
ছিন্ন করিলে কেনো গো তুমি?
পৃথিবী এক সুন্দরী নারী
তোমারিই রুপ দেখিয়া মুগ্ধ আমি।
          চাহিলানারে তাহার দিকে
          বাসিলানারে ভালো তাকে
       কেনো রে?--অপরুপা সুন্দরী।।








গার্হস্থ্য
       অনিন্দ্য পাল

অদ্ভুত ঔদার্যে স্মিত হাসি মুখ
রোজকার জীবনে অন্তরীণ জাতি যন্ত্র-যুগ
মার্কেটিং, টিকিট বুকিং, তরঙ্গ জালে অতি উৎসুক
তবু, দিনের শেষে তারার বিছানায় উচ্ছিন্ন অসুখ,
থেমে থেমে চলে প্রবাহ চক্রাকারে
লাল সিগন্যাল সবুজ হয় যদিও চাকার দাগ
একই থাকে... খরস্রোতা শহরে,
প্রতি গৃহ- অণুতে জোট বাঁধে রোজ
নতুন পৃথিবী
একই পরীক্ষাগার তবু পৃথক অঙ্ক
পেন্সিল হিসেবি,
ইটের পোষাকে কেউ বুর্জোয়া কেউ
প্রলেতারিয়েত
অথচ বেদখল হয়ে যায় সব সংজ্ঞা
সব চিহ্ন সব সঙ্কেত
গণ্ডী ছোট হতে হতে আমরা অবাক পরমাণু।









রূপসী রঙ্গনের রঙিন রূপ
          ডা: নরেন্দ্র নাথ নস্কর

ওহে রঙিন রঙ্গন,
কত রঙে রেঙে তুমি সেজে থাক।
লাল, হলুদ, সাদা ও আরো কত রঙে তোমায়  সাজতে দেখি।
কখনো লাল টুকটুকে পাপড়িতে আবৃত হয়ে থাক,তখন কি সুন্দর তোমাকে লাগে।
মনে হয় কোন গ্রাম্য বধূ লাল শাড়ি, লাল ব্লাউজে সেজে গৃহ কোনে কারো অপেক্ষায় আছে।
যখন দেখি সারা গায়ে হলুদ ফুলে ঢেকে আছো, মনে হয়  হলুদ শাড়ি সবুজ পাড়ে সজ্জিত কোন সাক্ষাত সন্ন্যাসিনী মা কালীর পূজায় ব্যস্ত আছে। তখন কি অপুর্ব তোমাকে লাগে যে ভাষায় প্রকাশ করা দুরূহ।
আবার সবুজ গাছে যখন সাদা রঙে সাজ তখন তোমার রূপ বর্ণনা করা কষ্টকর।
আরো কত রঙে যে তুমি সাজ তার বর্ণনার বাহিরে।
এত রূপ তোমার অথ্চ কয়জন রূপ বর্ণনা করে?
এই ভরা বর্ষায় তোমার লাবণ্য আরো ফুটে ওঠে।
কখনও হয়ত তোমার মনে হয় " যদি প্রাণীদের মত হেঁটে চলে বেড়াতে পারতাম,তাহলে বেশ লাগত।"


🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈


লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
           "উপকণ্ঠ শারদ সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 08 Sep 2020 থেকে 16 Sep 2020 এর মধ্যে
শারদীয়া সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ শারদ সংখ্যা- 2020"  
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 17 Sep 2020 , বিকাল 3টা (মহালয়ার দিন) 











0 comments: