উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 11/09/2020 Upokontha sahitya patrika web megazine- 11/09/2020
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 11/09/2020 |
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-11/09/2020, শুক্রবার
সময় :- সকাল 11টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍💍
Upokontha Sahitya Patrika a daily Bengali little Megazine -11/09/2020
অনুকবিতাগুচ্ছ
শংকর হালদার
অনুকবিতা-০১
মানব হৃদয় ভাবনার আপন খেলাঘর
অচল চুপকথা জালবোনে মনের পাতায়-
ভাবনার রূপ রস নিয়ে ।
গুমরে গুমরে শ্বাস নেয় কলম নিবে ,
সাহিত্য স্বীকৃতির একরাশ ভালোবাসা'য় ।
অনুকবিতা-০২
জীবনে মেঘাচ্ছন্নতা কিংবা পূর্ণিমা
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয় ,
সামগ্রিক চেতনায় প্রয়োজন উভয়ের ।
অনুকবিতা-০৩
দহনশীলতা শুদ্ধতার প্রতীক ।
অনুকূল কিংবা প্রতিকূল পরিবেশে প্রস্তরসম হলে,
শত আবেগে তা অপরিবর্তনীয় ।
কঠিন বাস্তব
মন্দিরা ভারতী
আমি - সুখ তুমি স্বল্পস্থায়ী কেন?
সুখ - ওরে পাগলি চিরস্থায়ী জিনিসের মূল্য মানুষ দিতে জানে না। আর আমি কারো কাছে বেশিদিন থাকলে তার অহংকার বেড়ে যায়।
আমি - জীবন তুমি কাকে বেশি ভালোবাসো - সুখ না দুঃখকে ?
জীবন- আমার দুজনকেই প্রয়োজন। দুঃখ না থাকলে মানুষ সুখের কদর বুঝবে না। আর সুখ যদি না থাকে তাহলে লোকে আমায় ভালোবাসবে না।
আমি - মৃত্যু তুমি এত উদার কেন? সকলের দোষ, গুন,লোভ, পাপ এসবের পরেও হাঁসিমুখে সকলকে গ্রহন করে নাও।
মৃত্যু - একটা বাচ্চা যখন মায়ের কোল ছেড়ে পৃথিবী ঘুরতে যায় সে সকল সমস্যার মুখোমুখি হয়। সুখ , দুঃখ , আদর, ঘৃণা সবই পায় । তারপর যখন সে ক্লান্ত হয়ে মায়ের কোলে মাথা রাখে মা তাকে বড়ো যত্নে ঘুম পাড়িয়ে তার সকল ক্লান্তি মিটিয়ে দেয় । ধরে নাও আমিও জীবনের সেই মা।।
কবিতা-
নিকট স্তব্ধতা .......
বিকাশরঞ্জন হালদার
সে শুধু আমার শীতাক্ত প্রহর। যে পথ হাঁটা হলো না, সে পথে ছড়িয়ে আছে তল্লাট যন্ত্রণা!
ক্রম জ্যোৎস্নায় পুড়ে যায় কিশোরী অন্তর। প্রৌঢ় তানপুরায় এখন নিকট স্তব্ধতা!
তাকিয়ে দেখি, আকাশ ভেসে যায় ........
ওরা দরিদ্র
আব্দুল রাহাজ
ওরা দরিদ্র ওরা দরিদ্র
সমাজের মানুষের কাছে এক বোঝা।
বর্তমান সময়ের পরিস্থিতিতে ওরা যেন
ক্ষুধার কাঙাল
সত্যি ওরা যেন বড্ড অসহায়।
আর মানুষ মানব জ্ঞান হীন হয়ে পাশ দিয়ে চলে যায়
ওদের সাহায্য করার মতো আর কেউ নেই
যদিও করে থাকে
গোপনে তা আদায় করে
হুমকি টুমকি দিয়ে।
সত্যি আজব লাগে মানুষের আচরন
আরে মানবজাতি
ওরা যে দরিদ্র
দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে
তাদের মুখে দাও তুলে অন্ন
একালে নাই সঞ্চিত অর্থ খরচ হবে কিন্তু
পরকালে প্রভুর কাছে তো শান্তি পাবে।
ওরা দরিদ্র ওরা দরিদ্র
আসি সন্মিলিত ভাবে জাত পাত ভুলে সাহায্য করি পাশে দাঁড়ায়
তাহলে ওরাও শান্তি পাবে আমরা ও শান্তি পাব সুন্দর পৃথিবী আবার জেগে উঠবে একরাশ আনন্দে।
একটি খুন
উমর ফারুক
কোন একটি অফিসে
কাজ শেষ করে ঘুম চোখে মানুষটি!
দীর্ঘ শ্বাস নেওয়ার আগে অসম্ভব একটি খুন? নিথর হয়ে পড়ে আছে
সোনালী রোদের ঝলকানি ও
বাতাসের শুনশান খবর বয়ে আনে।
নির্জনতা একটি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে
পাথরের মতো শক্ত হয়ে গেছে।
একটি উপকূলে ভোরের ভ্যাবসা আলোয়
দুপুরের প্রখরতা বোঝা যায়।
তদ্রুপ রক্তেস্নাত একটি প্রাণ
অনায়াসে নির্বিঘ্নে যেখানে চলে গেল
এতদূর থেকে কেউ গন্ধ টুকু পায়নি?
যে সভ্যতায় একটি খুন
সেই সভ্যতার ইতিহাস রক্ত দিয়ে লেখা
আর মানুষ মানুষের জন্য নয় পরিষ্কার!
প্রথম পথ
হামিদুল ইসলাম
আমার প্রথম পথ
যে মেয়েটা এখনো দাঁড়িয়ে আছে দরজাার সামনে
নিকষ অন্ধকারে ডুবে গেছে যার চোখ
পথ হারিয়েছে সে প্রতীক্ষার মোড়ে
তাকে টেনে আনি
আলোয় ।
তার বিনুনির মাঝে আটকে আছে রাত
হলুদ একটা অজগর
প্রতিনিয়ত ছোবল তোলে তার চোখের উপর
মৃত্যুকোষে লুকানো আগুন তার আলজীভ বরাবর
আতঙ্ক তার চোখে মুখে
রাতদিন ।
দুরন্ত জাঁতাকলে ওষ্ঠাগত তার প্রাণ
বোধের আকাশ ভাঙে
উত্তপ্ত হাতের মুঠি
শিরায় শিরায় উৎপীড়িত জীবন প্রাত্যহিক
শীতলতার ছোঁয়ায় জীবন্ত করি তাকে
দেখাই প্রথম পথ ।
কবিতা :
কবিতা,তোমাকে বলছি!
বিশ্বজিৎ কর
তবুও একাকীত্ব গ্রাস করে -
তোমার গন্ধ না পেয়ে,
বড় আবেগময় এই গন্ধ!
একাকীত্বের বাতাবরণে তোমাকে দেখি মনের আয়নায়,
তুমি বুঝতেই পারো না...
যদি অবসর পাও কিংবা
কোন ঝরাপাতার দেখা পাও-
বুকে জড়িয়ে রেখো ওকে,
আমার হৃৎস্পন্দন পাবে,
কিছু সময়ের জন্য!
কবিতা
মাটি ও মা
মিনতি গোস্বামী
পা
রাখতে হলে
মাটিতে রাখো পা
মাটিতে উত্তাপ জলের শীতলতা
শরীর শিখবে এদের সখ্যতার আদল
বিপন্ন করতে পারবেনা কোন ঝড় বাদল।
এখন দুচোখে পরেছো দেখি সভ্যতার কাজল
মাটির গন্ধ চেনোনা কীবোর্ডে পাগল
ভালো লাগে সম্পর্কহীন নীরবতা
নিজের মুখ ঢাকো
ভুলবে বলে
মা।
সুকুমার রায়ের প্রয়াণ দিবসে আমার সশ্রদ্ধ নিবেদন🙏
শিশুর প্রিয় প্রণাম নিও
রমলা মুখার্জী
শিশুর মনে কোমল স্হানে
ঢেউ তুলে কে যায়?
'আবোলতাবোল' বাজিয়ে মাদল
তিনি সুকুমার রায়।
বই 'খাই খাই' তুলনা তো নাই
অজানা কোন মন্তরে
রসেতে গড়া মজায় মোড়া
হাসে শিশুর অন্তরে।
কল্প গল্প নয় তো অল্প
'হ-য-ব-র-ল',
'পাগলা দাশু', 'বহুরূপী'
মনকে নাড়ালো।
মজার নাটক কথার চটক
'অবাক জলপান',
'ঝালাপালা', 'ভাবুক সভা'
আরও কত অবদান !
তাঁর ননসেন্স, মন ডে ক্লাবে
কত গুনীজন আসতেন-
সুনীতি কুমার, কবি-গীতিকার
অতুল প্রসাদ সেন।
শিশু-দোসর উপেন্দ্রকিশোর
সুকুমারের পিতা-
মুদ্রনে, চিত্রনে পুত্রে
দিলেন নতুন বার্তা।
বৃত্তি নিয়ে শিল্প দুয়ে
শিখতে গেলেন বিলাত -
থেকে ভিনদেশে লেখেন সন্দেশে
পাঠককুল মাত।
আঁকতেন কবি মজার সব ছবি
অপূর্ব সেই কীর্তি!
কৌতুকে নেচে শিশু গেল বেঁচে
বই ভরা শুধু ফূর্তি।
বুঝে শিশুমন প্রবন্ধ, ভ্রমণ
বিজ্ঞানও ছিল সাথী-
মাত্র ছত্রিশে কালাজ্বর এসে
নেভালো জীবন বাতি।
অল্প সময়ে রসেতে জমিয়ে
জল্পনা জয়-নদী-
সুকুমার রায় স্বমহিমায়
বহিছেন নিরবধি।
মনের অজান্তে
বিপ্লব গোস্বামী
মনের অজান্তে
সুদূর দিগন্তে
স্বপ্নেরা মেলছিল ডানা।
জানে না এ মন
দুনিয়ার নিয়ম
পেঙ্গুইনের আকাশ উড়তে মানা।
ও নদীরে
পিনাকী মুখার্জী
শুরুতে জীবন শেষেও জীবন !!
কখনো ফল্গু কখনো প্লাবন !!
নদীর পাড়ে নীরব ভাঙন ,
জোয়ার ভাটায় দোদুল জীবন !!
সুখ দুঃখের দোলায় দোদুল
জীবন নদীর ঘূর্ণিপাকে ,
উথাল পাথাল ঢেউয়ের পরখ
জীবন নদীর হরেক বাঁকে !!
আছড়ে পড়া জলের মাঝে
আবেগ গুলো ও ঢেউ খেলিয়ে ,
কেউবা ভাসে জল স্রোতে
উল্টো দিকে মুখ ফিরিয়ে !!
ও নদীরে পাগল মতি
উথাল পাথাল জীবন গতি !!
পাগলা দোলায় বাছাই ওরে
কাঁকর পাথর মানিক মোতি !!
নৈরাশ্য
সুশান্ত মজুমদার
উঠোন জুড়ে কর্মহীনতার এক রাশ হতাশা,
রসুই ঘরে চাল বাড়ন্ত ভরসা জল বাতাসা।
স্কুল কলেজ পাঠশালে পড়াশুনা দূরস্থ,
অসুস্থ রোগীর প্রাণ বন্দি দশা গ্রস্ত !
আত্মীয় পরিজন মাসি পিসি চাচি চাচা,
রুদ্ধশ্বাসে একটাই রব আপন প্রাণ বাঁচা ।
শম স্থানে মৃত্যু মিছিল রাস্তায় বেওয়ারিশ লাশ,
নেই ডোম,পড়শী ঘুরিয়েছে মুখ এপাশ ওপাশ ।
আকাশ জুড়ে শকুন শকুনীর অবাধ আনাগোনা,
সমাজপতির বিষাক্ত লালসায় অসহায় ললনা।
শরতের হিমেল সমীরে ভাসে পুজোর বাসনা,
কালঘাম ঝরায় নতুন পোষাকের বায়না।
অক্ষম পিতার আর্তনাদে ধরিত্রী চিরে ফাঁক,
রংমশালী মঞ্চ জুড়ে উন্নয়ন বিকাশের ডাক!
-------------------@-----------------------
বিপ্লব গোস্বামী
মনের অজান্তে
সুদূর দিগন্তে
স্বপ্নেরা মেলছিল ডানা।
জানে না এ মন
দুনিয়ার নিয়ম
পেঙ্গুইনের আকাশ উড়তে মানা।
ও নদীরে
পিনাকী মুখার্জী
শুরুতে জীবন শেষেও জীবন !!
কখনো ফল্গু কখনো প্লাবন !!
নদীর পাড়ে নীরব ভাঙন ,
জোয়ার ভাটায় দোদুল জীবন !!
সুখ দুঃখের দোলায় দোদুল
জীবন নদীর ঘূর্ণিপাকে ,
উথাল পাথাল ঢেউয়ের পরখ
জীবন নদীর হরেক বাঁকে !!
আছড়ে পড়া জলের মাঝে
আবেগ গুলো ও ঢেউ খেলিয়ে ,
কেউবা ভাসে জল স্রোতে
উল্টো দিকে মুখ ফিরিয়ে !!
ও নদীরে পাগল মতি
উথাল পাথাল জীবন গতি !!
পাগলা দোলায় বাছাই ওরে
কাঁকর পাথর মানিক মোতি !!
নৈরাশ্য
সুশান্ত মজুমদার
উঠোন জুড়ে কর্মহীনতার এক রাশ হতাশা,
রসুই ঘরে চাল বাড়ন্ত ভরসা জল বাতাসা।
স্কুল কলেজ পাঠশালে পড়াশুনা দূরস্থ,
অসুস্থ রোগীর প্রাণ বন্দি দশা গ্রস্ত !
আত্মীয় পরিজন মাসি পিসি চাচি চাচা,
রুদ্ধশ্বাসে একটাই রব আপন প্রাণ বাঁচা ।
শম স্থানে মৃত্যু মিছিল রাস্তায় বেওয়ারিশ লাশ,
নেই ডোম,পড়শী ঘুরিয়েছে মুখ এপাশ ওপাশ ।
আকাশ জুড়ে শকুন শকুনীর অবাধ আনাগোনা,
সমাজপতির বিষাক্ত লালসায় অসহায় ললনা।
শরতের হিমেল সমীরে ভাসে পুজোর বাসনা,
কালঘাম ঝরায় নতুন পোষাকের বায়না।
অক্ষম পিতার আর্তনাদে ধরিত্রী চিরে ফাঁক,
রংমশালী মঞ্চ জুড়ে উন্নয়ন বিকাশের ডাক!
-------------------@-----------------------
ধন্যবাদ উপকন্ঠ সাহিত্য পত্রিকা । নিরন্তর শুভকামনা ♥️
উত্তরমুছুনশুভেচ্ছা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ও অভিনন্দন
মুছুন