মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন-15/09/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 15/09/2020
Upokontha Sahitya Patrika web megazine - 15/09/2020 

Upokontha Sahitya patrika web megazine 15/09/2020

••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

বি:দ্র:-  উপকণ্ঠ শারদ সংখ্যা- 2020 এর কাজ চলবে তাই আগামীকাল অর্থাৎ 16/09/2020,বুধবার " উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ" প্রকাশিত হবে না । 
17/09/2020 , শুভ মহালয়ায়              " উপকণ্ঠ শারদ সংখ্যা- 2020" প্রকাশিত হবে। 
এছাড়া আগামী 18/09/2020 ,শুক্রবার থেকে যথারীতি "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ " প্রকাশিত হবে।         
                               বিনীত
    সম্পাদক, উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা
       

••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

আজ 15/09/2020 মঙ্গলবার প্রকাশিত হল উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিনের " উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ " 👇👇👇👇👇👇👇👇👇



হাইকু কবিতা

           শংকর হালদার



০১।
মাটির ছন্দ

অনুভবে কৃষাণ
উল্লাসে মাতে ।

০২।

শক্তি দায়িনী
আদ্যা শক্তি মা তুমি

মঙ্গলময়ী ।
০৩।

সিক্ত বসন
যৌবন মেলে ধরে

দৈহিক রীতি ।
০৪।

বদলে গেছে
শুভ্র নিয়মে চ্যুতি

কাঁদে সমাজ ।
০৫।

স্মৃতি রোপণ
যৌবন এল দ্বারে

স্বপন নিয়ে ।
০৬।

শূন্যতা প্রাণ
আঁকড়ে থাকি তবু 

ফাগুন নিয়ে ।
০৭।

অঞ্জলি মোর 
তব চরণ তলে 

গ্রহণ করো ।











অলঙ্কারে
        সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

      অলঙ্কারে ভরা ছিল আলমারি
        সবই নিলাম তারে যেন আমারই
ভাবিনি  রেগে যাবে ছলছল হবে আঁখি
নীরবে সয়ে যাই। ক্ষমা চাই যদি ভুল করে থাকি।।
যেদিন জানলে সবার তরেই দিয়েছি সব বেচে
রুদ্রমূর্তি ধরে দাও ফিরিয়ে বললে তুমি নেচে।
  আজ  সায়াহ্ণে প্রতিক্ষণে চিন্তার জাল যাই বুনে
কী ভুলে এমন কাজ করলাম এতদিনে।
  না না ভুল নয় তো তবে
  পাবার কথা ভাবিনি এই ভবে।
আজকে আমি দীন ভিখারি হয়েছি শ্রী হীন
পাখির গান  গেছে থেমে এমন ই ভাগ্য হীন
বাতাসে ভাসে না আর সুগন্ধি সুবাস
  ভিন্ন পথে যায় চলে যায় সকল আবাস।
শোনো প্রেয়সী আমি করিনি চুরি
সবই আমি  ফিরিয়ে দিতে পারি
সংসারের প্রয়োজনে যা করেছি হৃদয় দিয়ে
সকলের মঙ্গলেই করেছি সবই দিইনি উড়িয়ে।
সাহস দাও শক্তি যোগাও এই সংসারের টানে
বিশ্ব সভায় তুমি রবে  তব মূল্য বান দানে।
আমার স্বরলিপি এঁকে বেঁকে চলে  ফাল্গুনে
মোহের ছলে নয় প্রেয়সী নির্জনে গগনে
   আমি অতি ক্ষুদ্র তব প্রিয়
   ক্ষমা করে কাছে টেনে নিও
এমনি করেই দিতে যেন পারি
দুখে শোকে  অলঙ্কারে সুধাপাত্র ভরি
অলঙ্কারের মূল্য কতটুকু তবে
যদি না কাজে লাগে কোনো মহোৎসবে
তাইতো বলি তোমার সকল অবদান
  যারা জানে তারাই বলবে দারুণ মূল্যবান
সহজ হয়েই বলবে নীরবে
আগুন নিভে গেলে করবে আশীর্বাদ সবে।







ঋতুরানী
        সুশান্ত মজুমদার  

শিউলি ফুলে সেজে কন‍্যা
দিঘির ঘাটে চলে,
দিঘল কালো বেনী তার
হাঁটুর নীচে দোলে।
শারদ শিশির ঘাসের ডগায়
সূর্য কিরণ মিশে,
আলতা রাঙা চরণ তলে
মুক্তা হয়ে হাসে।
পেঁজা তুলার মেঘের ভেলা
দূর আকাশে ধায়,
বানিজ‍্য শেষে যেন সওদাগর
ফিরছে দেশে তায়।
সারি সারি কাশের ঝোপ
ভরা দিঘির পাড়,
হাওয়ার তালে ধানক্ষেত দোলে
ঘাসফড়িং বাঁধে জোড়।
সকাল সাঁঝে কাঁসর বাজে
কিচমিচ শালিকের ঝাঁক,
ঢাকীর দল আঁখি ছলছল
আশায় বাঁধে বুক।
বলাকার ডানায় বাঁশের মাথায়
ইমনরাগে সন্ধা নামায়,
ঋতু রানীর এমন  আভায়
পূজার গন্ধ বাতাসে ছড়ায়।      
         
                



কবিতা : কবির কথা!
                   বিশ্বজিৎ কর

বর্ণগুলো ভাসছে বাতাসে -
পাই না সহজে নাগাল,
মহান কবিগণ নিচ্ছেন লুফে-
এই কবির পোড়া কপাল!
দূর্বোধ্যতম কবিতা সব-
মহান কবিগণের হাতিয়ার,
লাইক-কমেন্ট শয়ে শয়ে-
চমৎকার!চমৎকার!
লাইকের সংখ্যায় হয় যাচাই-
কবিতার গুণমান,
কবিতা,তুমি ভাল থেকো -
ইহাই যুগের বিধান!










কবিতা
         চিঠি
        মিনতি গোস্বামী

চিঠি
আসেনা আর
এখন কারোর ঠিকানায়
হোয়াটসঅ্যাপ,ম‍্যাসেঞ্জারেই
কুশল সংবাদ
সকাল থেকে সবাই সবার শুভ চায়
নতুন সভ‍্যতায় নেই দুঃখ বলে কিছু।
রঙিন খামের চিঠি ঘুরতো মনের পিছু
প্রহর মাস গোণা ছিল অপেক্ষায়
স্পর্শে মিটতো মনের সাধ
স্বপ্ন উড়তো ডানায়
খুঁজতো প্রিয়ার
চিঠি।










এক পলকে দেখা
         আব্দুল রাহাজ

ওরা তখন সবে হাইস্কুলে ভর্তি হয়েছে ওদের গ্রাম থেকে ওরা দুজন যায় রহিম আর তানজিম রহিম তানজিম কে কোনদিন দেখেনি কারণ সে শুধু স্কুলে যায় আর বাড়িতে ঢোকে তার সাথে রহিমের কোনদিন দেখা হয়নি রহিম জানতোই না যে আমাদের গ্রাম থেকে আমার ক্লাসে আর একজন পরে ওদের বাড়িটা গ্রামের পশ্চিম দিকে গোল দিঘির পারে আর রহিম দের বাড়িটা পূর্বপাড়ায় এইভাবে রহিমার তানজিম ওদের গ্রাম থেকে স্কুলে যেত কিন্তু রহিমের এক পলক ও পড়েনি তার দিকে।
একদিন প্রচন্ড বর্ষা স্কুলে সেদিন পরীক্ষা রহিম ছাতা নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে গ্রামের পথ দিয়ে যেতে যেতে ওদের স্কুলের পোশাক দেখে দাড়িয়ে পড়ল থমকে রহিম দূর থেকে ভাবল ওখানে আমাদের স্কুলের একজন কে দাঁড়িয়ে আছে যাই দেখি তারপর ওখানে গেল গিয়ে দেখল একটা মেয়ে বলল কাঁদছো কেন আমার ছাতা হাওয়ায় উড়ে গেছে ও আচ্ছা তাহলে কি করা যায় রহিম তখন ওর দিকে ফিরে তাকায় নি অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে কথা বলছে কারণ রহিম ছিল খুব লাজুক স্বভাবের এরপর রহিম বলল তাহলে আমার ছাতাটি নাও আমি দেখি একটা কিছু জোগাড় করতে পারি রহিমের এক পলক পড়ে গেল তার দিকে আরে মেয়েটি বলল তুমি তো আমাদের ক্লাসে তোমার বাড়ি কোথায় রহিম বলল পূর্বপাড়া তখন তানজিম বলল ওহো তোমার আমাদের গ্রামের বাড়ি অথচ আমরা জানতামই না আচ্ছা বেশ ভালো তাহলে এবার একসাথে যাওয়া যাবে এবার থেকে রহিম আস্তে আস্তে বলল হ্যাঁ হ্যাঁ তখন ঘড়িতে নটা আমি একটা কচুপাতা মাথায় দিয়ে আমি যাব তানজিম বলল একিই ছাতায় যাব রহিম তারপর ওরা আলাদা আলাদা ভাবে স্কুল গেল তারপর পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি আসার সময় তানজিম দাঁড়িয়ে থাকলো ছাতা নিয়ে ওকে দেবে বলে রহিম তানজিম কে দেখে পিছুটান টানলো তানজিম বলল ওরে রহিম তো ছাতা নিবিনা একসাথে চলো বাড়ি যাই বড় লাজুক ছেলে একসাথে গল্প করতে বাড়ি আসলো। ওইযে রহিম এক পলকে দেখেছিল প্রথম দেখা এইভাবে ওরা বন্ধুত্ব হয়েছিল আজীবন।







শরতের জন্ম শরতে
     
      মম

প্রকৃতির সন্তান।
বাংলার তুমি সম্মান।
অশেষ তোমার দান।
বাঙালীর তুমি প্রাণ।
সৃষ্টিতে তুমি চির মহান।
শ্রী শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
আজ তোমার জন্মদিন।
হুগলীর দেবানন্দপুর।
হয়েছিল ধন্য সেদিন
তুমি প্ৰথম কেঁদেছিল সেথায় যেদিন।
তোমার লেখনির টান,
তা তো অফুরান,
সেদিক পানে
মম অন্তর আজ ধায়।
মম মনে নব সৃষ্টি চেতনা আনে।
তুমিই তো হৃদয়ের বাধাহীন উড়ান।
তোমার সৃষ্ট সাহিত্য ডাকে
সদাই আমাকে,
আয় আয় আয়!!!.......







                     প্রেম
              হামিদুল ইসলাম
            
ভুলে যাচ্ছি নিজেকে
কখনো সঙ্গীহারা মন হারিয়ে যায় দূরাকাশে
খুঁজি তাকে প্রতিদিন ।
অন্ধকার জীবন
রাস্তার দুপাশে ক‍্যাকটাস মাথা তুলে দাঁড়ায়
বাধা যেনো কালাপাহাড় ।
নৈঋতে মেঘ
তোমার কথা ভাবি
তুমি চলে গেলে আমাকে একাকী ফেলে ।
আবার প্রেম করতে চাই তোমার সাথে
গুলিয়ে ফেলি নিজেকে
কোথায় পাই সেই চেনা চেনা মুখ  ।
হাতে তুলে নিই মুঠো ফোন
ফোন করি প্রতিদিন
সুইচ অফ   ।

তবু মনের গভীরে সাজিয়ে রাখি প্রেমের কবিতা ।










      শরৎচন্দ্র জয়ন্তী 

মাওলানা মহবুবুর রহমান
    

বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্টশিল্পী,
হে কলমচি শরৎচন্দ্র।
ছোটো গল্পে অন্যতম তুমি,
যেন রবির আকাশে চন্দ্র ৷
আজ খুশির ১৫ই সেপ্টেম্বর,
তোমার শুভ জন্মদিন।
অশেষ শ্রদ্বা জানাই তোমায়,
আমি অনুজ , নবীন ৷
সমাজচেতা ,বিপ্লবী তুমি,
সত্যান্বেষী ,সাম্যের দূত ।
তোমার কলমী শক্তিবলে,
জাতিভেদ,শোষণ পরাভূত ৷
অপরাজিতা ,অনিলা তুমি,
সর্বশ্রেষ্ট চিত্রকর।
আপন কীর্তিতেই তুমি হে,
বাংলা সাহিত্যে চির অমর ৷
কথাশিল্পের যাদুকর তুমি,
বিশ্বখ্যাত অনুপমা।
আমিও যেন তেমন হই,
এইটুকু মনোষ্কামনা ৷

        🌺🌺🌺





উপকণ্ঠ শারদ সংখ্যা- 2020 জন্য লেখা পাঠান 
আগামীকাল  শেষ তারিখ 


আপনাদের পত্রিকার বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুন 
সম্পূর্ণ বিনামূল্যে 






     

0 comments: