উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 08/09/2020 Upokontha Daily web Megazine 08/09/30202
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 08/09/2020 |
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-08/09/2020, মঙ্গলবার
সময় :- দুপুর 12 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳
লিমেরিক
সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
বিরাট শকে হারিয়েছি জ্ঞান, দেখে বিদ্যুৎ বিল
কে যেন ভাই অর্থ- চাকে ছুঁড়ে দিলো ঢিল
আলু পটল আগুন দাম
বাজার কথায় ঝরছে ঘাম
নিজেকে তাই বাঁচাতে ভাই, দোরে এঁটেছি খিল।
স্তব্ধ কোলাহল .....
বিকাশরঞ্জন হালদার
শ্রাবণের গন্ধ মেখে জেগে থাকে দিনের শরীর! বিচিত্র অক্ষর পাখি নদীর পাতায়!
তোমার চিবুকের তিল- এ, আশ্চর্য গল্পের স্মৃতি জল!
ক্রমশ যে আনমনা মন
উৎসের কিনার থেকে আজ শুধু স্তব্ধ কোলাহল .......
আমার দেশ
সেকেন্দার আলি সেখ
আমার দেশ কাঁদতে জানে হাসতে জানে
পরম প্রীতির গল্প শোনে l
আমার দেশ গড়তে জানে লড়তে জানে
মাটির ভিতর শস্য বোনে l
আমার দেশ ভাবতে জানে ভাঙতে জানে
স্বদেশ গড়ার মন্ত্র জ্ঞানে l
আমার দেশ শুনতে জানে বুনতে জানে
জাগায় আশা সবার প্রাণে l
আমার দেশ শিখতে জানে লিখতে জানে
শহীদ বীরের বিজয় গাথা
আমার দেশ খুঁজতে জানে বুঝতে জানে
গরিব দুখীর সুপ্ত ব্যথা l
আমার দেশ ভাঙতে জানে জুড়তে জানে
ভারত গড়ার পদ্য লিখে
আমার দেশ শুনতে জানে বুনতে জানে
জীবন গড়ার গদ্য শিখে l
এসো আলোয়...
শুভ্রাংশু কুম্ভকার
জীবনবোধের প্রতি পর্যায়ে অচেনা আঁধার পদস্খলন ডাকে,
চকিতের চমক নয়,বরাবরের অভ্যাসে চলমান মূহুর্তগুলো ছবির মতো আটকে থাকে।
ধান্দাবাজির ফায়দা তোলা মুখোশধারী অচেনা তবু আমার চোখে,
কপটতার পোষ্যরা সব অমানুষের মতোই ভিড়ে লুকিয়ে থাকে।
নগ্ন সভ্যতাকে তবুও অযাচিত ভাবে আবরণে ঢেকে রাখে সবুজের দল,
কচিকাঁচা বিশুদ্ধ আশাময় আলোকবর্তিকার রশ্মি বিচ্ছুরণে আগামী উজ্জ্বল।
মেঘভাসা উদাসী আকাশে ভালোলাগার মেদুর আদর,
স্বপ্নাবকাশ শেষে ঘুম জড়ানো চোখে নরম তুলতুলে ভোর,
হাইতোলা,আড়মোড়া ভাঙা, উদ্যমের চায়ে চুমুক দিই ,বাস্পাকার স্বপ্নের ঘনীভবন সফলতার তরলে,
নবীনের ছোঁয়ায় বিষাক্ত বাতাস পরিশুদ্ধ হবে,অন্য পরিচয় স্বীকৃতি পাবে বোধোদয়ের সকালে...
কালো মুছিয়ে আলোর পথে অক্লান্ত যাত্রায় দৃপ্ত কণ্ঠে উচ্চারিত হবে...
অসতো্ মা সদগময়..
তমসো্ মা জ্যোতির্গময়....
শিক্ষা বাঁচাও
উমর ফারুক
পথের ওপরে ওঁরা তাকে ফেলে রেখে গেল
জাতির মেরদণ্ড ভেঙে ...
বুকে গাঁথা যন্ত্রনা আর আহাজারি!
প্রথম কাতারে বসে কাতর হচ্ছেন কেউ ?
কিছু লোক তাকে চিনতে পারলো না ।
কেঁপে উঠল পাঁজর—
কিভাবে যে তারা জাতির জন্য
কঠিন পথ পারি দেবে?
আবার কেঁপে উঠল
কিভাবে যে আঁধার পথে
জ্বলে উঠবে নিভে যাওয়া টিপটিপে লন্ঠন!
জ্ঞ্যানের মিশাইলে কোনঠাসা
যার নামে মেরুদন্ড খাড়া করে
বেঁচে থাকে জাতি।
জ্বর আসে কাঁপুনি দিয়ে তার
হাত পা তুলে দাঁড়াতে পারেনা ঝিমিয়ে যায়,
তাকে চিনতে পারলো না কেউ?
কাউকে ধোকা দেইনি কখনো সে
তার দেহ রক্তমাখা, শরীর রূঢ়
কাছ থেকে স্পর্শ করে কেউ বেঁচেছে
এখন জাতির সামনের ভবিষ্যত অনড়!
অভিশপ্ত বিপদ আছে জেনেই
তাকে মেরে ফেলে কু-সংস্কৃতির চর্চায় ।
পুবে দিকের বাঁকা পথে বাধা নেই বলে
আরেকটা বাঁকা পথে
অভিশপ্ত বিপদ অবতীর্ণ
চিনতে পারলে হয়ত বা অকারনে
শেষ নিঃশ্বাস নিতে পারত না
শিড়দাঁড়ায় টনটনে ব্যাথা
তবুও জাতি তাকে চিনতে পারলো না!!
শিক্ষক
তৃণা মুখার্জী
শিক্ষক বা গুরু, যাঁদের ছায়ায় আমরা পরবর্তীকালে বৃহৎ বৃক্ষ হওয়ার প্রেরণা পাই।
কখনো বকুনি ,আবার কখনো একরাশ ভালোবাসা।
অনেকটা এক আকাশের মেঘ আর বৃষ্টির মত।
পরিণত ,পরিপূর্ণ হতে শেখায়।
শিক্ষক।
গুরু।
অভিভাবক।
ছাত্র জীবন হোক কিংবা সংসারিক জীবন প্রত্যেকটি মানুষ আমাদের শিক্ষা দেয়।
কেউ শিক্ষা দেয়, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার।
কেউবা এগিয়ে যাওয়ার ,কেউ বাঁচার।
কেউ সঠিক মূল্যবোধের।
শিক্ষক মানে......
এক রাগী, চশমা পরা গম্ভীর মানুষ নয়।
শিক্ষক মানে.......
আছি তো, চিন্তা কি , ভরসা দেওয়া ব্যক্তিত্ব।
যাঁদের কাছে প্রশ্নের বান নিক্ষেপ করলে একটা একটা বান উত্তরের ফুল হয়ে ফেরত আসে।
শ্রদ্ধায় নত হয়ে যায় মাথা।
ক্ষুদ্র ভাষা দ্বারা যা প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
শিক্ষক মানে.....
প্রণামের মধ্যে শান্তি আর আশীর্বাদে অনেক আশার আস্ফালন।
প্রণাম সেইসব প্রকৃত শিক্ষাগুরুদের যাঁরা প্রণাম ও শ্রদ্ধার আসল মানে বুঝিয়ে , এক প্রকৃত উপলব্ধি করা সঠিক মানুষ গড়তে সাহায্য করে চলেছেন।
তুমিময় আমি
আরশাদ আল গালিব
আকাশের ঐ নিলীমায় তাকিয়ে
দুচোখে সীমাহীন মায়া ছড়িয়ে
একবুক তৃষ্ণা নিয়ে
অপেক্ষায় আছি, এক টুকরো
শীতল মেঘের তৃপ্তি মেয় স্পর্শের আশায়।
অপেক্ষায় আছি সেই মোহময় দিনের
আর, সেই তীব্র আকুলতার আহ্বানের
যা ব্যাকুল করে দিবে আমায়
আর মেটাবে তৃষ্ণার্ত সেই চাহনিকে।
দুটি হৃদয় এক হবে
আর, হয়তো এভাবেই কেটে যাবে
দিন, মাস, বছর কিন্তু বন্ধন অটুট রবে
যা চিরকাল আমাদের বাঁচতে শেখাবে।
এভাবেই পৌঁছে যাব সেই অমোঘ সীমানায়
একসাথে হয়ে আর শুধুই দুটি হাত ধরে
কালপুরুষ নক্ষত্র উদয় হবে
আর আমরা যাব অস্তাচলে
এক নতুন জীবনের সন্ধানে।
প্রণাম
বিপ্লব গোস্বামী
বৃদ্ধা ও তর্জনীতে
আশির্বাদ দিয়ে,
নয়নেতে দেন যিনি
আলো জ্বালায়িয়ে।
দেখিয়ে দেন যিনি
পথের দিশা,
তৃষিত বুভুক্ষু প্রাণে
বিজয়ের নেশা।
সমীরণ হয়ে যিনি
ছড়ান সৌরভ,
ছাত্রের বিজয় যার
প্রাণের গৌরব।
যিনি রক্ষা করেন
সভ্যতার প্রাণ,
সেই শিক্ষাগুরুকে
জানাই প্রণাম।
কবিতা : গদ্যময় রাত!
বিশ্বজিৎ কর
দেখা না হোক,কথা হোক -
ঝরাপাতায় তৈরি মন-খাঁচায় বসে!
তুমি এক নাম না জানা পাখি,
হঠাৎ করে খাঁচা ভেঙ্গে পালিয়ে আসা হয় না তোমার!
ব্যস্ততায় তুমি যাও হারিয়ে,
কেমন যেন বিহ্বল হয়ে তুমি কেঁদে ফেল..
চোখের জল হয় কবিতা,
তোমার রাতের গদ্যময়তায়!
আমারও দেখা শারদ উৎসব
আব্দুল রাহাজ
আমি তখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি পাশের গ্রামের আমার বন্ধু পবিত্র ওর সাথে ওদের পাড়ার শারদ উৎসবে গিয়েছিলাম সেদিন তা বেশ মজা হয়েছিল ওদের বাড়ি সেদিন বেশ আত্মীয়-পরিজন এসেছিল আমি একটু লাজুক স্বভাবের ছিলাম প্রতিমা প্যান্ডেলের সামনে ওর সাথে বসেছিলাম প্রতিমা দিকে তাকিয়ে অনেক মনের ভেতরে প্রশ্ন জাগছে কল্পনা হচ্ছে বেশ ওর সাথে বললাম সেগুলো আমার বলল দুর্গা মা আমাদের শ্রেষ্ঠ মা বছরের এই উৎসব আমাদের সামনে আসে যে আমরা বেশ সাড়ম্বরে পালন করে থাকি ও বলল এটা হলো বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব আচ্ছা এই ব্যাপার আমি বললাম। এরপর আস্তে আস্তে লোকজন বাড়তে লাগলো চারিদিকে যেন মেলার জমজমাট পরিবেশ রাত্রেবেলা দেখলাম আলোর রশ্মি চারিদিকে
দিন যেন অপরূপ দৃশ্য ফুটে উঠেছে সাথে বিভিন্ন রকম খাবারের স্বাদে-গন্ধে চারিদিকে যেন উত্তাল হয়ে উঠেছে। একটা ছোট ছেলে ও তার বাবা এসেছে ওই মেলায় বাচ্চা ছেলেটি বলল বাবা বাবা আমি ওই গাড়িটা কিনব বাচ্চা ছেলের বাবা ওর মুখের দিকে তাকিয়ে বলল বাবা অত টাকা তো আমার কাছে নেই বাচ্চা ছেলেটি কাঁদতে লাগলো তারপর তার হাতে একটা জিলাপি ধরিয়ে দিতে এসে চুপ করে গেল আমি পুরো ব্যাপারটা ভালোভাবে দেখলাম শারদ উৎসব মনে হয় ধনী-গরীব সর্বধর্ম মিলনের এক উৎসব। এই শারদ উৎসব দেখে ও ওই বাচ্চা ছেলেটি ও বাবার প্রত্যক্ষ দৃশ্য দেখে রাত্রে বাড়ি আসা হয়।
তারপর থেকে যাওয়ার সুযোগ হয়নি কিন্তু ওই যে শারদ উৎসব দেখা
যা আমার কাছে আজীবন স্মৃতিবিজড়িত হয়ে থাকবে।
সত্য মিথ্যে
হামিদুল ইসলাম
ভালো আছি
আদতে কি ভালো আছি ?
ভালো আছি বলছি মুখে
আসলে ভালো নেই তবু ভালো থাকি ।
সুখে আছি মুখের জবাব
আসলে সুখে নেই মোটেই
প্রাণের গভীরে এখন একরাশ আতঙ্ক
মরবো কি বাঁচবো এই পৃথিবীর ঘাটেই ।
এখন পৃথিবী অসুস্থ
আতঙ্কে থাকে মন
সারাদিন যেখানে ঘোরাঘুরি করি
সেটা বাড়ির আড্ডা আর অনুভূতিহীন জীবন ।
কিন্তু আমাদের করার কি উপায় আছে
আমরা গাছেদের থেকেও অক্ষম
ভালো নেই তবু ভান করি
আমি ভালো আছি, আমি আছি সক্ষম ।
আসলে সবই মিথ্যে কথা
মিথ্যের অভ্যাসে আমরা গড়েছি জীবন
যতো সত্য হোক না কেনো
তাকে চেপে দিয়ে মিথ্যকে করে নিই আপন ।
আমি সবার জন্য বাঁচতে চাই
বিমান প্রামানিক
আমি একটি বৃক্ষ হতে চাই
আমার বুকেতে পথিক আশ্রয় পায়।
আমি আমার শাখা-পাতায় রাখবো ঘিরে,
মাঠের চাষী আমার ছায়ায় আসবে ফিরে।
আমি একটি বৃক্ষ হতে চাই
আমায় ঘিরে কত পাখি বাসা বানায়।
আমার একটি সবুজের শাখা
মেটাই কত পশুর পেটের ক্ষুধা।
আমি একটি বৃক্ষ হতে চাই
পথের ধারে ছায়া করে রাখবো তাই।
পথের পথিক আসবে যখন এ পথে
একটুখানি বসে প্রাণটি জুড়াবে।
আমি একটি বৃক্ষ হতে চাই
মাথার উপর ছাতার মত থাকতে চাই।
বৃষ্টির জলে মাটি যেন ক্ষয় না হয়
মাটির পরে রাখবো ধরে আমার শাখায়।
আমি একটি বৃক্ষ হতে চাই
বৃক্ষ হয়ে ছাতার মত থাকতে চাই।
কত না প্রাণীর আমি জীবন বাঁচাই
আমাকে মেরো না তোমরা ভাই।
বন্ধ তালার দ্বার খোলো
মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ
বন্ধ কেনো আজ সমাজ তালার
দ্বার খোলো দ্বার করবো খেলা।
কাঁদনের হার ধুকে ধুকে বেড়ে যায়।
মরিচা পড়ে ক্ষয় হয়ে যায়
সমাজ অথবা মানবজাতির গা।
মুখতালার চাবি কি সবাই,
দিলো অন্যের হাতে,প্রশ্ন জাতির কাছে?
বন্ধ কেনো আজ সমাজ তালার
দ্বার খোলো দ্বার করবো খেলা।।
শত্রুর যদি হওগো গোলাম
তার থেকে শান্তি, মৃত্যু তোমার।
মরচা যদি চাও পরিষ্কার
ঘোটাও বিস্ফোরণ মুখের হুংকার।
জ্বলবে আগুন,ছুটবে তারাই
যতসব বন্ধ তালার মালিকানা।
এতে পাবে মুক্তিপনের,একরাস চাবিখানা।
বন্ধ কেনো আজ সমাজ তালার
দ্বার খোলো দ্বার করবো খেলা।
ছোটগল্প
আত্মহনন
অগ্নিমিত্র
শোভা বলল -' কীগো, বাজার থেকে এলে ?'
নবীন বলে -' হ্যাঁ, এই নাও। '
' টাকা ফেরত হয়নি?'
' নাঃ, জিনিসের যা দাম ! টাকা সেরকম বাঁচেনি। দু টাকা বেঁচেছে এই নাও।'
চাকরি করে নবীনই। মাস মাইনে প্রায় পুরোই শুভাকে দিতে হয়। সেখান থেকে শোভা বাজারের খরচ দেয়। হিসেব দেয় নবীন।
শোভা রেগে যায় । দু টাকা ছুঁড়ে মারে নবীনের মুখে।
' এই নাও দুটাকা। লাগবে না । '
' উফ্, লাগলো তো !'
' এই মেয়েদের মতো উফ আফ্ করো না তো। ..যাও বাসগুলো মেজে দাও। তারপর সবজি কেটে দিও ।
এই বলে শোভা টিভি দেখতে চলে গেল। নবীন কাজ শেষ করলে সে রান্না চাপাবে।
সেদিন বাসন মাজতে গিয়ে একটা গ্লাস ভেঙে ফেলেছিল নবীন। শোভা নানা কথা শুনিয়েছিল।
- তুই কি যা খুশি তাই করবি ?'
বলে শোভা এক কিল মারে নবীনের পিঠে।
' এইটা আমি কিনে এনেছিলাম । তুই বা তোর বাবা মা তো দেয়নি । সাবধানে কাজ করিস না কেন ?!' আরো বলে চলে শোভা।
আজ বাসন ধুতে ধুতে সেই সব কথা মনে পড়ে খুব নবীনের ।
ছুরিটা সামনেই রাখা। বড় নতুন ছুরি। হাতের শিরা কেটে ফেলা যাবে সহজেই! ..
এই সব ভাবছে নবীন, এমন সময়ে শোভা বলে -' কী হলো ?! আমাকে তো আবার রান্না করতে হবে । নিজের প্রেমিকার কথা ভাবছিস নাকি ?!'
' কে ? কার কথা ?!'
' আর কার?! নিজের মায়ের !! ..ওই তো তোর আসল প্রেমিকা না ! নোংরা সম্পর্ক তো !'
আবার রোগ চেপে যায় নবীনের ! ছুরিটা সে এবার নিজের হাতের শিরায় বসিয়ে দেয়!
এক মুহূর্তেই যেন সব ঘোলাটে হয়ে আসে নবীনের।
অনেক পরে জ্ঞান ফিরলে সে দেখে, হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। হাতে পট্টি । স্যালাইন চলছে। একটু দূরে শোভা দাঁড়িয়ে ।..
পুলিশ সেখানে এসে শোভাকে কিছু জিজ্ঞাসা করে । করে চলে যায়।
শোভা এসে ওর পাশে বসে । বলে -' তুই কী রে ?! সত্যি কথা শুনে এত রেগে যাস ?! '
বলে একটু দূরে গিয়ে নার্সের সাথে কি কথা বলে শোভা।..
নবীন ভাবে -'প্রথম চেষ্টা সফল হলো না। তাতে কী ?! আবার চেষ্টা করা যাবে ! ছুরিটা তো আছেই।। '
সেই ছেলেটাই একটা ছেলে
জাহাঙ্গীর দেওয়ান
যেদিন শিশুটি মায়েরকোলে
বংশ করেছে আলো।
সেদিন থেকেই পুরোনো নয়-
নতুন প্রদীপ জ্বালো।
পিতা-মাতা, মাসি-পিসি বাগ
আজ ভরেছে কূলে।
ন্যাড়া বাগিচা সুশোভিত হল
সুরভিত আজ ফুলে।
বুনো ফুলেতেই ভরা ছিল গাঁ
ফুটল নতুন গোলাপ।
হিংসুক ছাড়া সকলেই মানে
দেখনা করে আলাপ।
শিক্ষা দিক্ষা সহ জ্ঞান গরিমা
গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে।
ধর্ম-কর্ম আর শৌর্য-বীর্যকেই
লোকেই মানে অন্তরে।
দান ধ্যানও আপদে বিপদেই
মানুষেরি পাশে থাকে।
এহেন ছেলের বাদ দিয়ে সব
প্রশংসা করেন কাকে?
গল্প-সাহিত্য ও ছড়া-কবিতায়
সবখানেতেই তাঁর নাম।
মরনের পরেই জেনেনিও সব
কোন খানেই তাঁর ধাম।
জ্ঞাণী-গুণীদের সম্মান দিলেই
জ্ঞানী-গুনী হওয়া যায়।
সমালোচনায় দিন ফুরায় যারা
তারাই তো হোঁচট খায়।
কলকাতার কড়চা
ড.মহীতোষ গায়েন
মেয়েটির কোন দোষ ছিল না
ছেলেটি অবশ্য করেছিল দোষ,
কলকাতা আছে মহা আনন্দে
কলকাতা তবুও থাকে নির্দোষ।
মোড়ে মোড়ে আছে চেকিং
আছে পুলিশ টহলদারি,
তবুও কি নিরাপদ থাকে
পথে একা রাতে নারী।
গাড়ির মধ্যে একা পেয়ে হলো
তরুণী শ্লীলতাহানি,
পুলিশ এসেও পেটি কেস দেবে
একথা আমরা জানি।
প্রতিবাদীকে পিষে দিল দোষী
হলোনা সমন জারি,
আনন্দপুরের পুলিশ বললো
এফ আই আর নিতে কি পারি?
কলকাতা থাকে কলকাতাতেই
সব দেখে,প্রশাসন নিশ্চুপ,
কলকাতার বাহারি রাতে
পোড়ে মানবতার ধূপ।
ছেলেটা কি ধর্ষক ছিল
মর্ষকামীও বটে?
প্রতিবাদে কেউ এগিয়ে এলেও
নাস্তানাবুদ জোটে।
অভিযুক্ত অধরা থাকে সময়
কেটেই যায়,
আনন্দপুরের পুলিশ এলেও
দম্পতি পায় ভয়।
শরীর মনে গভীর অসুখ
চাঁদ ওঠে ফোটে ফুল
আমরা মানুষ,মানুষ আমরা
তবুও ভাঙেনা ভুল।
অবশেষে মামলা হলো
পাঁচটি ধারার মামলা,
অমিতাভ বসু পগার পার
আবার হবে কি হামলা?
রহস্য কি কোথাও আছে
কেন হলো অনাচার?
মানবিকতার মৃত্যু দেখি
প্রত্যাশিত নয় আর।
কবিতা :
বিধির খেলা
সায়ন প্রামানিক
প্রতিদিন লড়ছি তো
আমরাও
কঠিন বাস্তবতাকে হারিয়ে
তবে কি লেখা থাকবে আমাদের কথা ইতিহাসের পাতায় ??
আমরা তো সামান্য মাত্র
দু তিনদিনের অতিথি মাত্র
কর্ম শেষ আমরাও শেষ--
একদিন জ্বলবে আমাদের ও দেহ
পুড়ে ছাই হবে সব স্বপ্ন
এইটাই যে নিয়ম , বিধির খেলা ।
সন্ধ্যারতি
সৌম্য ঘোষ
শেষে একদিন বুঝলাম আমায় চলে যেতে হবে,
কবিতার শেষ অক্ষরকে অনাথ আশ্রমে
গচ্ছিত করে দেবো ।
মল্লিক কাশেম হাটের যে কসাই-র দোকান,
সেই কসাইও কবিতা বোঝে তার মতো......
একটু সময় পেলে দয়াময়ীর সামনে
নতজানু থাকতাম.....
আমাদের চুঁচুড়া টাউনের রাস্তাগুলো
সাবেক ইস্ট ইউরোপের মতো লাগে
হেরিটেজ, হেরিটেজ ...........
গলির ধূলাগুলো , মহররম
আকাশদীপ জ্বালিয়ে কালীপূজা......
এই সবকিছু পিছনে ফেলে, একদিন
সন্ধারতি দেবো ।।
তেপান্তরের মাঠে
পিনাকী মুখার্জী
মস্তবড় বেজায় দূরে
সেই সপ্তসাগর পার !!
যেথা সোনার কাঠি
রূপোর কাঠি জাদুর সম্ভার !!
আকাশ কুসুম ইচ্ছে গুলো
ইচ্ছেডানা এঁটে !!
রামধনু রং স্বপ্ন গুলো
পক্ষীরাজে ছোটে !!
আকাশ ঘিরে মেঘ করেছে
সূয্যি গেছে পাটে !!
তেপান্তরে অবান্তরে
গুলিয়ে আলোর হাটে !!
মাথার উপর আশার পাহাড়
অসার বোঝা পিঠে !!
মুক্তি না পায় মনটা ওড়ার
ওদের তেপান্তরের মাঠে !!
যুগাবর্তন
রাহাত জামিল
খুঁজেছি সুগভীর সমুদ্র হতে বিশালাকার অরণ্যে,
ফেলে আসা অতীতের প্রতিটি পাণ্ডুলিপির প্রচ্ছদ;
যেখানে লেখা ছিল দুটি কাঙ্ক্ষিত প্রানের ভবিষ্যৎ।
জোয়ান নাবিকের বেশে চলেছি যুগ হতে যুগান্তরে,
এক হাতে বাইবেল অন্য হাতে স্টিয়ারিং হুইল ;
খুঁজে চলেছি দুজনের মিলনতীর অহর্নিশি জলারণ্যে।
ক্লান্তভাবে হাঁটছি মহাপৃথিবীর অনন্ত কক্ষপথে,
দক্ষিনের তুঙ্গাভদ্র হতে পশ্চিমের আতপ্ত সাহারায়;
জীবনানন্দ দাসের মত বনলতা সেনের অন্বেষণে।
নীলাভ প্রশান্তের বিরামহীন তুমুল জ্বলোচ্ছাস,
সহস্র বছর পূর্বে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নিষ্কল কথাগুলো,
উচ্ছাসিত ঢেওয়ে নিমজ্জিত অতল জলতলে।
ঝরে যাওয়া ভবিষ্যতের সাজানো স্বপ্নিল ঝর্ণা গুলো,
মিশে গেছে গতানুগতিক তিনটি নদির সংযোগস্থলে;
রহস্যঘন জীবনের মোহনায় খুঁজছি ডুব দিয়ে ডুবুরীর মত।
অন লাইনের স্কুলের জগতে
ডা: নরেন্দ্র নাথ নস্কর
গ্রামের এক প্রাইমারি স্কুল থেকে ক্লাস ফোর পাশ করে বিনম্র সবেমাত্র পঞ্চম শ্রেণীতে উঠেছে।
নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান সে।বাবা মায়ের ইচ্ছা কষ্ট করেও যে কোন প্রকারে ওকে এবারে একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করাবে তারা।
সেইমত নিকটবর্তি সি বি এস সি অনুমোদিত প্রাইভেট স্কুলে তাকে ভর্তি করানো হল।
আগের বাংলা স্কুলের শিক্ষা বর্ষ শুরু হত জানুয়ারি, নতুন স্কুলে শুরু হবে মার্চ থেকে।
কিন্তু স্কুল শুরু হতে না হতেই করোনা রোগ নিয়ে সমস্যার কারনে লকডাউন শুরু হয়ে গেল।
এর ফলে নতুন স্কুলে তেমন ভাবে কারো সাথে পরিচয় হবার সময় হয় নি, কি শিক্ষক কি ছাত্র কাউকে সে ভালো করে চিনল না।
স্কুলের পরিবেশ কেমন তা দেখার সুযোগ ও সময় কিছুই পেল না বিনম্র খুব অল্প সময়ের মধ্যে।
যাইহোক সরকারি নির্দেশ অনুসারে শিক্ষকদের অনলাইন ক্লাস নিতে বলা হল নিয়মিত, যাতে ছাত্ররা সিলেবাস শেষ করতে পারে।
প্রায় ছয় মাস ব্যাপি অনলাইন ক্লাস চলছে স্কুলে।সেখানে নিয়মিত রোল কল হয়।কে ক্লাসে যোগ দেয় নি তার হিসাব থাকছে।
শতকরা আশি শতাংশ রোল থাকলে তবে পরীক্ষায় বসতে পারবে ছাত্ররা।
সমস্যায় পড়ল বিনম্র তার বাবা গরিব ও মোটে একটা মোবাইল আছে তার।
পয়সার জন্য কম্পিউটার ও নেট নেওয়া সম্ভব হয়নি তাদের। কি করবে ভেবে পেল না তার বাবা।এখন মনে হচ্ছে স্থানীয় বাংলা বিদ্যালয়ে ভর্তি করালে ভালো করাত। আর্থিক সামর্থের মধ্যে।
মোবাইলেও ক্লাস করা যায়।তাতে নেট কানেকশন নিতে হবে। আবার রোজ ক্লাসের জন্য আললিমিটেড নেট নিতে হবে কারন সারাদিন ক্লাস হয়। খরচ সাপেক্ষ কিছুটা।
কি করবে কষ্ট করে তার বাবার মোবাইলে নেট নিয়ে,সে অন্যের থেকে শিখে নিয়ে ক্লাস শুরু করল।
কিন্তু সরাসরি মোবাইলে অন্য ছাত্রদের মুখ দেখার সুযোগ ছিল না। মোবাইলে কয়েকটা মুখ দেখা যেত শুধু।আবার ভিডিও বন্ধ থাকলে মুখ ও দেখা যেত না। কখনো হয়ত শিক্ষকের মুখও দেখা যেত না যদি ভিডিও না চলে। শুধু ক্লসের বোর্ড ও শিক্ষকের গলা শোনা যেত,এই মাত্র।
স্কুলের চারপাশ,তার পরিবেশ,কিছুই তার কম সময়ে চেনা হল না ভালো করে।
না হল ক্লাসে বন্ধু করা,না হল শিক্ষকদের সাথে চেনা শুনা।
কিছুদিন পর সে যেন হাঁপিয়ে উঠল এই অনলাইন ক্লাসের দুনিয়ায়।
পড়াশুনার বাইরেও যে কত কি জানতে চিনতে হয় সেটা সে নতুন স্কুলে পেল না।শুধু ক্লাস আর ক্লাস, এই থিয়রি ও পরিবেশ তার বদ্ধ লাগল।
কবে যে এর থেকে সে মুক্তি পাবে,এই ভেবে তার মন খারাপ হয়ে গেছিল কিছুদিন। কিন্তু তার মা ও বাবা তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বলল আর কিছুদিন পরে করোনার টিকা বেরিয়ে যাবে আর স্কুলে যাবার বাধাও উঠে যাবে। তখন তুইও স্কুলে গিয়ে আনন্দ পাবি।
কয়েক মাস একটু অপেক্ষা কর বাবা।
তোর মত অনেকেই আছে যারা কষ্ট করে মানিয়ে নিয়েছে।
কি করবে বাবা মা র কথা সে অমান্য করেনি কোনদিন।
তাই সে অনিচ্ছাসত্তেও এই অনলাইনের দুনিয়ার স্কুলের জগতকে মানিয়ে নেবার চেষ্টা করতে লাগল। ভাবল কবে যে স্কুলের পরিবেশে একটু হাওয়া খাবে। স্কুলের মাঠে একটু হাঁটতে পারবে। মুক্ত আকাশের মত আনন্দ আর কোথায় আছে।
প্রকৃতি যে তার প্রাণে মনে।
স্বপ্নচারণা
বদরুদ্দোজা শেখু
স্বপ্নগুলো ঘুরে বেড়ায় অরণ্য পাহাড়ে
তুষারঝড়ের দেশে হাড়-কাঁপানো জাড়ে
দাঁড়ে ব'সে খুঁটে খায় ম্যমির ফসিল
সমুদ্র-লাভার তলে শ্যাওলার নীল
সবুজ সাম্রাজ্য জুড়ে তার আনাগোনা
অজানা রহস্য খুঁজে', তাঁবুর যোজনা
আদৌ পছন্দ নয় তার কোনো কালে
নীলিমার ছাদ খুঁজে দিকচক্রবালে,
মায়াজালে মুগ্ধ থাকে সময়ের বাঁকে
আলপনা আঁকে গূঢ় তরঙ্গের শাখে
আদিম প্রশ্নের পাখি পার্শ্বসহচর
সবই তার ঘরবাড়ি, বিশ্বচরাচর
ভর ক'রে থাকে কাঁধে আবাদে বিবাদে
হাসতে হাসতে যায় মোহনায় কাঁদে
বাঁধে সব সুখদুখ দীনহীন বোধি
জীবনের মায়াধামে মরমী দরদী ।।
প্রকৃতির ডাকে
শুকদেব পাল
শহরের ঐ জমাট বাঁধা কার্বনে
রুদ্ধশ্বাস আকাশ বাতাস ,
জঞ্জালের স্তূপ রাশ রাশ,
হাঁপিয়ে উঠা গাড়ির ইঞ্জিন গুলি
প্রশ্বাসে ছাড়ে বিষ বাষ্প-কালি
ঘ্যান ঘ্যান সব কোলাহল মুখর,
স্ফীত শিরা গুলি মাথার ভেতর ,
ছুটে যেতে চায় তবু নিরুপায় ,
শোণিত ছোটে শিউরে ওঠে
বুক তৃষ্ণার্ত অক্সিজেনের অন্বেষণে।
তাই প্রস্থান করি বনানীর বুকে
মুক্ত প্রান্তরে সবুজে সবুজে
গ্রামের ঐ পথ ডাকে
শিহরণ শাখে শাখে
জেগে উঠে কচি কচি পাতা
ফিরে এসো সবে সন্তর্পণে নিরবে
মায়ের আঁচল পাতা ,
তোমার বাতাসে বুক ভরাব
ফুলে ফুলে রঙ ছড়াব
তাই তো বেঁধেছি কুঠীর তোমার উদ্যানে
ছড়া বইয়ের বোঝায় নাকাল
ডঃ রমলা মুখার্জী
বইয়ের ব্যাগের বোঝায় আমি হচ্ছি বড়ই নাকাল-
খেলার মাঠ, রূপকথা আর অবসরের আকাল।
মোটা মোটা বইয়ের পাহাড়,আমি কুপোকাৎ-
রাশিকৃত পড়ার ভারে বেহাল, চিৎপাত।
পিঠে আমার বড্ড ব্যথা, বইয়ের ব্যাগের ভারে-
দেখো কেমন চাপ পড়েছে মেরুদণ্ডের হাড়ে।
একটু আমায় খেলতে দাও,আমি বড়ই ক্লান্ত,
গান, আঁকা, পড়ার চাপে বড্ড উদভ্রান্ত।
ইঁদুর দৌড়ে ছুটতে ছুটতে কাটে দিনরাত-
শৈশব ফিরিয়ে দাও, বাড়াও একটু হাত।
বাঁধন খুলে যেতে দাও আমায় দেশান্তরে....
পক্ষীরাজের পিঠে চেপে সুদূর তেপান্তরে।
ডিপ্রেশন
অলোক রায়
সারাদিন মন মরা,
খিটখিটে মেজাজ।
অল্পেই রাগ ওঠে,
ভালো লাগে না কাজ।
কিড়মিড় করে মন,
সকালে ব্রাশ হাতে।
স্বভাবেরা রাগচটা প্রতি ক্ষণ।
মুখ ধুয়ে প্রাতরাশে,
শুরু করে অভাবেরা হাতরাতে।
ছুঁড়ে ফেলে থালা দুরে,
মোবাইল গেম শুরু করে।
পড়াশোনা লাটে ওঠে,
সারাদিন খেয়ে আর ঘুমিয়ে কাটে।
অবহেলিত সময়,
নেই কোন দাম।
যুগের স্রোতে অভিযোজিত নয়,
তাই বেকারত্বের গ্রাসে গ্রাম।
মনের স্বভাব ডুবছে ডিপ্রেশনে,
প্রেমিকাও মজেছে অনশনে।
স্বভাবের ইতিউতি,
অন্তরালে সম্পর্কের কাটাকুটি।
বৃষ্টিটা অবিকল তোমার মতো
মন্দিরা ভারতী
যেমন তুমি এসে সময় অসময়ে
ভালোবাসার মাঝে করে যাও ছল,
রোদ না জানি মেঘ না জানি
হঠাৎই আসছে যখন তখন
বৃষ্টিটাও তোমারই মত অবিকল।
যখন আমার শুকনো হিয়া
তোমার অপেক্ষায় করে ছটফট,
তখন যেমন তুমি এসে
ভালোবাসার জলে যাও ভিজিয়ে,
বৃষ্টিও তেমন করছে খেলা
শুকনো ঘাসের সাথে
সময় অসময়ে মাঝ দিয়ে।
মানব সেবা
জুয়েল রূহানী
শোন রে, মুসলমান-
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান,
করলে মানব সেবা
পাবে তবে সম্মান।
ধর্মীয় ভেদ ভূলে-
একসাথে হাত তুলে
কর্ম সাধন কর-
সব ভেদাভেদ ভূলে।
মানব জীবন গড়-
মানব সেবা করে,
প্রভূর দয়া তবে-
আসবে তোমার'পরে।
শিক্ষক
চিত্তরঞ্জন দাস
আমরা বকি, আমরা মারি
আমরা করি শাসন ---
তবুও সবার মণিকোঠায়
পাই যে সেরা আসন !
আমরা পড়াই, আমরা বোঝাই
আমরা ধরি ছড়ি ---
শিশুরা হোক যতই অবোধ
মানুষ তাদের করি !
কখনো বা বাবার মতো
বজ্র কঠিন হয়ে ---
বাক্যবাণে দগ্ধ করি
মনের ব্যথা সয়ে।
আমরা আবার মায়ের স্নেহে
সোহাগ করি তারে
সাধ্যমত চেষ্টা করি,
বোঝাই বারে বারে !
খেলতে গিয়ে ফাটলে মাথা
নার্স হয়ে যাই তৎক্ষণাৎ ,
প্রাণটা কাঁদে যখন শুনি
শিশুর মুখে আর্তনাদ !
একটি শিশুর আমরা পিতা,
আমরাই নার্স, আমরা মাতা ---
দশটা - চারটে একটি শিশুর
শিক্ষকেরাই মাথার ছাতা!
তবুও শোনে শিক্ষকেরা
হাজার কথা, অপমান ---
বেতন দিয়ে হয় তুলনা
শিক্ষাদাতার মহান দান!
বলে সবাই শিক্ষকরা
জাতির মেরুদণ্ড নাকি ---
ভন্ডামি আর দেখবো কত,
কতই বা আর দেখার বাকি ?
তোমরা যারা ফোড়ন কাটো
স্বশিক্ষিত কিংবা জ্ঞানী ---
সমাজ গড়ায় কার অবদান
সে তো আমরা সবাই জানি !
যতই করো নিন্দা মন্দ,
যতই হানো আগ্নিবান ---
তোমার বুকের শব্দে খোঁজো
শিক্ষা দাতার কি অবদান !!
অসাধারণ প্রতিটি লেখা।শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন সম্মানীয় সম্পাদক ও পরিচালন মণ্ডলীকে।
উত্তরমুছুনমতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ... ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।।।।
মুছুন