রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 27/09/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 27/09/2020
Upokontha Sahitya Patrika Web Megazine- 27/09/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 27/09/2020


বিশেষ ধারাবাহিক প্রবন্ধ :

      কবিতার রূপকল্প --  পর্ব ৭
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
              সৌম্য ঘোষ
""''''''''''"""""""""""""""""""""""""""''''''''''"""""""""""""""""
 বিদ্রোহী কবি : মধুসূদন দত্ত-- ফিরে দেখা 



                 মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ( ১৮২৪--১৮৭৩) উনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি ও নাট্যকার এবং প্রহসন রচয়িতা। তাঁকে বাংলার নবজাগরণে সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব গণ্য করা হয় ।আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি। ২৫শে জানুয়ারি, ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত কায়স্থ বংশ তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন রাজনারায়ণ দত্ত এবং মাতা   জাহ্নবীদেবী। তিনিই প্রথম জীবনে টিমোথি পেনপোয়েম  ছদ্মনামে লিখতেন। যৌবনে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন । ফলে তাঁর পিতা তাঁকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেন। জীবনের দ্বিতীয় পর্বে তিনি মাতৃভাষার প্রতি আকৃষ্ট হন। বাংলা কবিতায় তিনি সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক । হিন্দু কলেজে তাঁর সহপাঠী ছিলেন সর্বশ্রী ভূদেব মুখোপাধ্যায় ,রাজনারায়ণ বসু ,গৌরদাস বসাক, প্যারীচরণ সরকার প্রভৃতি। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র । তিনি বহু ভাষাবিদ।  মাতৃভাষা ও ইংরেজি ছাড়াও ফারসি, ল্যাটিন, গ্রিক ,তেলেগু ,তামিল সহ মোট 12 টি ভাষায় দক্ষ ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলী -------  দ্য ক্যাপটিভ লেডি ,মেঘনাদবধ, শর্মিষ্ঠা, কৃষ্ণকুমারী (নাটক) ,পদ্মাবতী (নাটক), বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ (প্রহসন), একেই বলে সভ্যতা (প্রহসন), তিলোত্তমাসম্ভব, বীরাঙ্গনা, ব্রজাঙ্গনা, চতুর্দশপদী কবিতাবলী, হেক্টর বধ ইত্যাদি ইত্যাদি।

                 
                 উনিশ শতকে ইংরেজ শাসন ব্যবস্থা ও ইংরেজি শিক্ষা প্রবর্তনের ফলে বাঙালি জীবনে এক আলোড়ন দেখা দেয় এই আলোড়ন কলকাতা কেন্দ্রিক হিন্দু মধ্যবিত্ত সমাজের সীমাবদ্ধ ছিল এই আলোড়ন এর প্রথম পূর্ণাঙ্গ সুফল----- মাইকেল মধুসূদন দত্ত । তাঁর কাব্যে ছিল সেক্যুলার মনোভাব । তিনি ইহবাদী, যুক্তিবাদী এবং মানবতাবাদি । এই জীবন রসিক কবি ভোগবাদীও ছিলেন । মাইকেল মধুসূদন উনবিংশ শতাব্দীর গতিশীলতার প্রথম পূর্ণতম বিকাশ।

                     মিল্টন ভক্ত এই কবি শুরুতে ইংরেজিতে কবিতা লিখতেন । ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাজে অবস্থানকালীন তিনি রচনা করেন " the captive ladie" , " visions of the past". ভারত হিতৈষী ড্রিংকওয়াটার বীটনের মাতৃ ভাষায় লেখা, "something higher and better" পড়ার পর তাঁর মধ্যে আত্ম অনুসন্ধান জাগায় । মধুকবি বুঝেছিলেন, মাতৃভাষায় চর্চা ও শ্রীবৃদ্ধি সাধন এর চেয়ে মহত্তর কিছু হয় না।  বাংলায় তিনি প্রথম লিখেছিলেন নাটক । পদ্মাবতী নাটকের তিনি প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন করেন । সমগ্র পাশ্চাত্য সাহিত্যের সঙ্গে তাঁর প্রগাঢ়  পরিচয় ছিল। হোমর, ভার্জিল,মিল্টন ,দান্তে ,টাসো  প্রভৃতির রচনার সঙ্গে তাঁর নিবিড় পরিচয় ছিল। মধুকবি ভারতীয় ঐতিহ্য "grand mythology" - কে প্রাণবন্ত ভাবে উপস্থাপিত করেছিলেন।

                        আখ্যানকাব্য তিলোত্তমাসম্ভব তাঁর কবি জীবনের সূত্রপাত।  তিলোত্তমা সৌন্দর্যের প্রতিমা আর এই রোমান্টিক কাব্যের ভাষা লালিত্য ও পেলব । তিনি বাংলা কাব্যজগতে প্রবর্তন করেন সাহিত্যিক মহাকাব্য ধারা। তাঁর মহৎ সৃষ্টি মেঘনাদবধ কাব্য রচনায় । উপাদান আহরণ করেছিলেন বাল্মিকী-কৃত্তিবাস থেকে। আর সামনে আদর্শ হিসেবে ছিল মিল্টনের " The paradise lost" . সপ্তসিন্ধু দশদিগন্ত মন্থন করে মধুকবি মেঘনাদবধ কাব্য রচনায় হাত দিয়েছিলেন কিন্তু তাঁর অন্তঃশীল বাঙালি মনটি এই কাব্যে উজ্জ্বল ভাবে উপস্থিত  । কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, এই কাব্যে একটা বিদ্রোহ আছে। তিনি মাইকেলকে বিদ্রোহী কবি আখ্যা দেন।

( চলবে.....)





সেই মেয়ে
       সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

   আমি এক মেয়ে---যার

জন্মলগ্নে বাজেনি শঙ্খ
দেয়নি কেউ উলুধ্বনি।
মায়ের মুখটাও ছিল বিষণ্ণ যেন--
   মেয়ে জন্মেছে বলে।

সারাদিন ধরে আমার শরীরের
  তাপমাত্রা মাপা হয়েছে
প্রচন্ড গরমেও যখন সবাই
অনাবৃত
আমাকে শরীর ঢাকতে     শেখানো হয়েছে নানান পোশাকে আবৃত থাকতে

শেখানো হয়েছে পরের বাড়িতে যাবার নানান উপদেশ
বিয়ের পরে। অথচ
যার শরীরটাকে ভোগ করেছে এক অজানা অচেনা পুরুষ
বিছানায় খুঁটে খুঁটে চেটেপুটে।

যার গর্ভে সন্তান জন্ম নিয়েছে
যে চিরকাল উচ্ছ্বিষ্ট খেয়েছে।

সকলের খাবার পরে অবশিষ্ট খাবার খেয়ে স্বামী শ্বশুর শাশুড়িকে শান্ত রেখেছে সর্বক্ষণ
  সেই মেয়ে

  বিয়ের সময় যাকে ঘিরে চারদিকে ফিসফিস ফিসফিস
        সেই মেয়ে।

দেনা শোধ করতে না পেরেও যার বিয়েতে বাবাকে অযথা  খরচ করতে বাধ্য হতে হয়েছে
    আমি সেই মেয়ে।

পদবী পাল্টিয়ে আমি বউ হয়েছি।
নিজস্বতা বিসর্জন দিতে হয়েছে।
আমার শরীরের আশেপাশে ঘুরঘুর করেছে অসংখ্য মধুকর।

       মধু পানের আশায়
টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছে আমার শরীর।
      আমি সেই মেয়ে।
ছেলেমেয়েদের সামলানো
স্বামীর কামনা পরিতৃপ্ত করা
ঘরের বাড়ির পাটঝাঁট  করা

সকলে শরীর এলিয়ে শুয়ে পড়লেও
যাকে রান্নাঘরের সাঁজবাতি জ্বালিয়ে
  চা থেকে নানান ব্যঞ্জণ রাঁধতে হয়েছে।
যার জন্য ডাক্তার আসলে
বাবা মাকে অশ্রাব্য কটু কথা শুনতে হয়েছে---
"কেমন মেয়ে রে বাবা শরীর খারাপ লেগেই আছে"
    আমি, হ্যাঁ আমি
       সেই মেয়ে।

বিধবা হলে যাকে যত কুসংস্কার মেনে চলতে বাধ্য করা হয়
যার আঁচলে পয়সা বিন্দুমাত্র থাকে না।
যে অন্য কোনো পুরুষের সাথে খোলামেলা বন্ধুত্ব্ও করতে পারে না।
   সেই মেয়ে।

কান্না এলেও কাঁদতে পারেনা যে মেয়ে
     আমি সেই মেয়ে।
স্তনে ক্যানসার, নিম্নাঙ্গের জন্য যন্ত্রণা থাকলেও যাকে
      মুখ বুঁজে সহ্য করতে হয়েছে।

প্রসব বেদনায় কাতর হয়েও সহ্য করতে হয়েছে নানান অকথা কুকথা যখন তখন
       যাকে
     সেই মেয়ে।







(বিদ্যাসাগর স্মরণে)

বিভাগ-হাইকু কবিতা
শংকর হালদার

০১।
সাগর তুমি
বিদ্যাকে সাক্ষী রেখে
প্রণতি পদে ।
০২।
উদ্যম্ মন
দুঃখ মেনেছে হার
ললাট জয়ী ।
০৩।
আদর্শ স্থান
জনমানব মাঝে
ওগো দরদী ।
০৪।
দারিদ্র্য ভীত
গর্জনে থরথর
জয়ী পুরুষ ।
০৫।
মাতৃ দরদী
সংস্কার মুখী ,যে
ভুবন খ্যাত ।
০৬।
মুগ্ধ পৃথিবী
চিনেছে নাম -ধাম
অক্ষর চিনে ।
০৭।
তব ছটায়্
কুসুম ফোটে রাশি
মানব হৃদে ।
০৮।
তব পরশে
বর্ণ শেখা আলোয়
বর্ণ স্থাপন ।
০৯।
আলাপীমন
শিক্ষা আলোয় নারী
অক্ষর শিখে ।
১০।
তোমাকে পেয়ে
বদলে গেছে দেশ
সম্মান হানি ।







বাংলা হাইকু
       মন্দিরা ভারতী

অমাবশ্যার তারাগুলি
জানালার ফাঁকে
জোনাকির দল।








সময়
      আব্দুল রাহাজ

সময় যেন এক দ্রুতশীল স্রোত
যে সময় কাউকে তোয়াক্কা করে না
দিন যায় দিন আসে নদীর স্রোতের মতো ভাসতে থাকে
সময় জীবনটাকে বদলে দেয়
প্রকৃতির মায়া কোলে সময় যেন চলমান।








অবুঝ সোনা
          বিপ্লব গোস্বামী

আমার অবুঝ ছোট্ট সোনা
বুঝে নাতো কিছু,
ধরতে চায় নিজের ছায়া
দৌড়ে পিছু পিছু।

গরমে পরে ভারী কাপড়,
শীতে খালি গা,
আগুন দেখলে ধরতে যায়
জলে বাড়ায় পা।

কাজের জিনিস নষ্ট করে
মোবাইল ফেলে জলে,
ছোট কাকার চশমা নিয়ে
দৌড়ে পালায় দূরে।

বাবার ব‍্যাগের কাগজ গুলো
সব দিয়েছে ফেলে,
রান্না ঘরের টমেটো গুলো
সব দিয়েছে গেলে।

ধরতে গেলে দৌড়ে পালায়
হাসে খিল খিল,
অবুঝ সোনার দুষ্টুমিতে
বাপের আছে মিল।








কবিতা
        সাফরিদ সেখ

সারা দিনের ব্যস্ততার মাঝে
তোমাকে হারিয়ে ফেলি কবিতা।
রাত বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে
তুমি আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হও।
প্রাত্যহিকের চাওয়া পওয়ার মাঝে
কখন যেন তুমি মিলিয়ে যাও,
তোমায় খুঁজে এনে খাতায় বসায়।

প্রাতে পুনঃ  পুনঃ মিলে যাও কোলাহলে
তোমার দেখা পাইনা তখন কোনো মতে।
অফিস,দোকান-বাজার নিত্য কেনাকাটায়
ছেলের টিউশনি,মেয়ের নার্সারি
এর মাঝে কখন তুমি অদৃশ্য হয়ে গেছো।
সন্ধ্যা হলে তোমাকে কলম বন্দি করে।

এমন দিন  নামচার সমাবেশে কবিতা
তোমার আসা যাওয়া নব রূপে ক্ষণে ক্ষণে।








                   কবিতার জন‍্যে
                    হামিদুল ইসলাম
                      
শুধু কবিতার জন‍্যে
যদি আমার জন্ম হতো এই বাংলায়
আমি ধন‍্য হতাম
শব্দের শৃঙ্খলায়  ।

কবিতাকে আমি ভালোবাসি
কবিতা যেনো এক অবলা নারী
তার ঠোঁটে চুম্বন দিই
তাকে ভালোবাসি  ।

কবিতার জন্ম আমার বুকে
আমি কবিতা চষে বেড়াই
কবিতাকে খুঁজি
পলাশডাঙা শিফনবাড়ি ধানসিঁড়ি  ।

কবিতা আমার জন‍্যে বয়ে আনে
শব্দের ডালি
এক আকাশ বাসি ফুল
কবিতার জন‍্যে বাঁচার বড়ো লোভ হয় আমার।

বাঁচতে চাই কবিতার জন‍্যে
কবিতার সাথে করি রাত্রি যাপন।







কবিতা :
জাগো,নতুন প্রভাত!
              বিশ্বজিৎ কর

কিছু খুঁজছিল,হয়তো বা কাউকে কাছে চাইছিল.....
না,গতরাতে ঘুম আসেনি!
রাতবিরেতে ঘুমের আজকাল অভিমান হয়,
কল্পনার জগতে মানভঞ্জনে ভোর হয়ে যায়!
ভোরের পাখি হৃদমাঝারে গুনগুন করে -
"জাগো,নতুন প্রভাত জাগো.."









শেষ লেখা
        উমর ফারুক

যে চাওনি পৃথীবিতে বিপ্লব ঘটুক
কয়েক দশক মুখ ঢেকে নাও!
মোহের ফাঁদে মগ্ন হও!?
মুছে যাবে একদিন তোমার পরিচয়
নজরে কেউ রাখবেনা।
নজরে রাখবে তোমার রুহ ।
কতটা কলুষিত করেছ তার হিসেব কষবে,
একদিন আবৃত্তি শুনবে দুইজন প্রহরী
আওড়িয়ে উচ্চারণ হলে নীরবে
অশ্রুজলের মিছিল
ও রক্ত নদী প্রবাহিত হবে।
বাঁশ তলার পুকুর পাড়ে তোমার মুখ ঢাকা
ওরকম চেহেরা ওরকম বিত্তবান মহত্ত বোধ , আত্মম্ভরিতা ও লালসার মিশ্রণে তৈরি করা জীবন প্রণালীর কি হবে?
দুখ সমুদ্র বন্যা বইয়ে দিতে পারে
অবশ্য অন্তর নির্মল হলে পদ্ম ফুটবে।









কবিতা:
     সময় এক
                 সফর
কলমে: আসরাফ আলী সেখ

কালো ঊষার মোড়কে মেঘের ফাঁকে ফাঁকে,
তুমি চলো তালে তালে আপনার সাথে,
কালো হিরে আনো বয়ে কালো বিড়াল থাকে চেয়ে!
সোনার রোদের বোঝা নিয়ে হাঁটতে থাকো আপন মনে,
মেঘের ছানা  তোমার খোঁজে হন্নে হয়ে ছুটে মরে!
সাগর জলে জোয়ার কালে ভাটার বুকে হিংসা জমে
হঠাৎ তোমায় চেপে ধরে,
বসন্তের ডালে ডালে ফুল ফোটে গোছা ভরে,
ডাকে কোকিল সুরে সুরে বিষাদ আনে ভব ঘুরে!
কদম অতি যতনে গড়া সবাই হতে চাই তোমার সখা,
তুমি কারো বন্ধু ও ন ও শত্রু বিভীষণ,
যে তোমার বন্ধু হয় তারে করো সমর্পণ!
তোমায় জয় করেছে যারা তোমার দেওয়ালে ঘড়ি টাঙিয়ে ছে
তাঁরা,
তুমি তাদের খুঁজে ফেরো হৃদয় খুঁড়ে নয়ন জলে।।








কবিতা
        নারীর ঈশ্বর
মিনতি গোস্বামী

নারীর হাতেও কলম মানায়
শুনিয়েছিলে তুমি
নারী শিক্ষার ব‍্যাবস্থা করেই
পুণ্য করলে জন্মভূমি।
শিক্ষা পেলেই নারী জাতির
ঘটতে পারে মুক্তি
বর্ণমালায় রেখেছিলে
সেই লুকোনো শক্তি।
বিধবার সাদা সিঁথিতে উঠলো
সিঁদুর তোমার প্রয়াসে
কষ্টপীড়িত নারী আজ
তোমার দয়ায় ঘুরছে আয়াসে।
নারী হয়ে জেনেছি তাই
তুমি আমাদের মূর্ত ঈশ্বর
জন্মদিনে​ নয়তো শুধু
প্রতি পলে তোমাকে নমস্কার।








মানবের পরিচয়
         জুয়েল রুহানী

সময় যখন সন্নিকটে-
দুঃসময়ের!
আপন মানুষ যায় পালিয়ে
হোক না কাছের!

সু-সময়ে ছিল যারা-
আপন মানুষ,
দুঃসময়ে আজকে তাদের-
নেই কোন হুষ!

বাস্তবতা বড়ই কঠিন-
দুঃসময়ে,
আপন কি হয়, যে পাশে রয়-
সু-সময়ে?

মানুষ চিনো; যে পাশে রয়
দুঃসময়ে,
সেই তো আপন, সর্বদা যে-
রয়কো পাশে।








বনের পাখি
         গোপাল বিশ্বাস

বনের পাখি
বনে থাকি
বনের ছবি আঁকি
গহীন বনের ভালবাসা র
নেই যে কোন ফাঁকি  l

মুক্ত হাওয়া
নির্মল পরিবেশ
ফুলবনে ঘুরি
মনের সুখে গাই গান
ইচ্ছে মতন উড়ি  l

বনের মাঝে
কতো পাখি
এক সাথে খেলি সবুজ গাছের ডালে বসে
দুঃখ্য ঝেরে ফেলি   l

স্বাধীন বনে রাজনীতি
ভোটা  ভোটি নাই
গাছ গাছালিতে ঘর বেঁধে
সুখে জীবন কাটাই   l






দয়ার সাগর
        রাজু গোলদার

হে প্রভু তুমি ধন্য,
তোমারই করা বাঙালির প্রানে।
কখন জানি না তুমি,
এসেছিলে মোদের এই ভুবনে।
দিয়ে গেছো কত লিখে,
অক্ষরে অক্ষরে বর্ণপরিচয়ে।
দিবানিশি এই বিশ্ব দরবারে,
জেগেছে বাঙালি তোমাকে নিয়ে।
কত বইয়ের পাতায় পাতায়,
পেয়েছে খুঁজে কত তোমার সুনাম।
দেখছি তোমাকে ছবির অন্তরালে,
তবুও আমি দূর থেকে জানাই প্রনাম।








0 comments: